![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন লেখক, সমাজ কর্মি , মা এবং মুক্তিযোদ্ধা
রিনি, মিনি তিন্নি দের ডায়েরি
ব্রিটেনে থাকা ইমিগ্র্যান্ট করা পরিবার গুলোর প্রায় প্রত্যেক টি মেয়েদের পেছনে একটা করুন ,সংগ্রামী কষ্টকর গল্প থাকে।
প্রায় প্রত্যেক টি মানুষ নিজের ছেড়ে আসা দেশ টি দরিদ্র তাই চলে আসে ।
তারপর সংগ্রাম এর পথ ধরে জীবন কে এগিয়ে নেয়া। তবে ভাগ্যিস দেশ টিতে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সিস্টেম আছে তাই মেয়ে গুলো জীবনে একটি নিরাপত্তা পায়। এটাই তাদের সব চেয়ে বড় পাওয়া।
একটি মেয়ে কত খানি ডেসপারেট হলে অনেক ব্যাবধানের একটি পুরুষকে বিয়ে করে এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষ টি বেকারও হয়।
এই জিনিস গুলো বাবা মা জেনে মেয়ে টিকে বিয়ে দায় শুধুমাত্র মেয়েটিকে পার করার জন্য। তারপরেও ক্ষান্ত দায়না বাবামা সেই মেয়ের ঘাড়ে চাপাতে থাকে বাকি সন্তানের দায়িত্ব ।
সেই দায়িত্ব নিতে পারলে মেয়েটি ভালো না নিতে পারলে মেয়েটি খারাপ এই দায়িত্ব নিতে শ্বশুরবাড়ি থেকেও চাপ আসতে থাকে।
আর দেশে গেলেই একটু শান্তি পাবে তাই নয় দুই পক্ষেই খারাপ ব্যাবহার করতে থাকে বাকি ছেলে পেলে গুলোকে পার করার জন্য।
এই গল্প গুলো রিনি, মিনি, তিন্নি সবার জীবনের ডায়েরি থেকে পাওয়া যাবে।
এরা দেশে নিঃশ্বাস ফেলতে যায় না , যায় সবার নিষ্ঠুর আচরণের সম্মুখীন হতে।
বিদেশ থেকে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই কাপড় চোপড় একটু ভালো হয় তা তাদের সহ্য হয়না ।
"টাকা দাওনা কেন" এটা একটা কমন এক্সপেক্টেসান অনেক স্বজনের ।
যদি বলা হয় "টিউশানি করার কথা" তা হলে শুনতে হবে "এত টা গরীব হয়ে যায়নি যে এই কাজ করবো" । তারা কংস রাজার বংশ । অনেক মর্জাদা তাদের এই কাজ কেন করবে?
রিনা বিনারা ভাবে হায়রে ,তাহলে কি তারা অড যব করবে বিদেশে নিজেদের সন্মান বিসর্জন দিয়ে এবং এরা দেশে বসে বসে খাবে ?
এই কি বিচার? রিনা বিনারা আর দেশে ফিরতে চায় না তখন । বুঝার অপেক্ষা থাকে না তারা কে "কলুর বলদ" বানানো হচ্ছে। তারা তাদেক কে শুধু ব্যাবহার করতেই চাই ।
দেখার জন্য বসে নাই দেশের মানুষ । তখন মনে হয় "ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি" ।
১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: প্রবাসী জীবন কঠিন এটা মানা যায় । কিন্তু কষ্ট সেখানেই যখন তারা দেশে যায় তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আগের মত গ্রহণযোগ্যতা পায় না। তারা "বহিরাগত" । আর কিছু কিছু পরিবার লিস্ট ধরিয়ে দায় অনেক কিছু পাবার আশায় । যা অনেক পুরন করা সময়
সম্ভব নয়।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:০৪
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: কস্টের আখ্যান।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: প্রবাসী জীবন শুরুর দিকটা সবার কষ্টের । কষ্ট গুলো চেপে রেখে আমরা দেশে জানায় "তোমার দোয়ায় ভালো আছি মা" ।
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রবাসীদের কষ্টের যাপিত জীবনের ঘটনা দেশে থাকা স্বজনরা ভাবতেও পারেনা।
৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৪৪
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাইয়া । তাই ঝাঁপি খুলে বসেছি তাদের হয়ে লিখতে ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আমার বেশ কিছু কাজিন এবং কলেজ লাইফের বান্ধবী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থাকেন। আমাদের বন্ধুদের একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ আছে, মাঝে মাঝে সেখানে সবাই কথা বলে। আসলে বিদেশে জীবন অনেক কঠিন। সেখানে নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকলেও, দিন শেষে বাড়ি ফিরে ক্লান্ত শরীরে যখন বিছানায় শুয়ে পড়তে ইচ্ছে করে, তখন এক গ্লাস পানি এগিয়ে দেওয়ার মতো কেউ পাশে থাকে না। সবারই নিজস্ব ব্যস্ততা। এর চেয়ে নিজের দেশে জীবনযাপন একটু কষ্টকর হলেও, প্রিয়জনেরা তো কাছে থাকে—এই সহজ সুখটাই আমার বেশি ভালো লাগে।