নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান মনের জানালা খুলে দায় এবং সেই খোলা জানালা দিয়ে না জানা বিষয় গুলো দেখি যা বাংলাদেশের সীমা ছাড়িয়ে সারা পৃথিবী দেখতে সাহায্য করে ।

এইচ এন নার্গিস

আমি একজন লেখক, সমাজ কর্মি , মা এবং মুক্তিযোদ্ধা

এইচ এন নার্গিস › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুশি আপা

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৪৩

খুশি আপা

রং শ্যাম বর্না ।
এই রং নিয়ে আপন মা সেই ছোট্ট অবুঝ মেয়েটিকে কত কটূক্তি না করেছে! শুধু কি কটূক্তি ? তার সাথে মারধোর।

সে তো বাচ্চা মানুষ । বুঝতে পারে না তার কি অপরাধ?
মারধোরের ধরন কষ্ট দিয়ে । কখনো পিঠে লাথি ,কখনো মাথা খাটের পায়ার সাথে থেঁতলে দেয়া।

অভাগা, অবুঝ, নিরপরাধ ছোট্ট মেয়েটি অপলক দৃষ্টিতে পিঠা পিঠি বড়ো বোন আর ছোটো ভাই টির দিকে চেয়ে থাকে । ভাবে তারা যেন এগিয়ে এসে মা কে বাধা দায় , তাহলে সে মারার হাত থেকে বাঁচ তে পারে ।

তারাও ছোটো আর এর মধ্যে জড়িয়ে আছে মার সুনজরে থাকা । তার বিরাগ ভাজন কে হতে চায় ।

মা কিন্তু তার যতো আক্রোশ আর ক্রোধ ঝাড়তে শ্যামা ছোটো মেয়েটিকে লক্ষ্য করে। সেই বড়ো বোনও নয় ভাইটি তো নয় ।
সে সময়ের মা বাবা পুত্র ধন কে মহা মূল্যবান মনে করে আলাদা ভাবে ট্রিট করতো । এখন কি করে জানি না।
পেছনে কারন বড়ো হলে ইনকাম করে তারা কে দিবে। আরও কারন আছে যেমন পুত্র বংশ রক্ষা করে আর মেয়ের ঘরের সন্তান তাদের বংশের নয়।
এই সব অযৌক্তিক চিন্তা চেতনায় তারা বড়ো হওয়া মানুষ।

তারা জেন্ডার ইকুলিটি মানে না । বাচ্চার অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা নাই । পক্ষপাতিত্ব দুষ্ট আচরণ করে । সম অধিকার, সম সন্মান দেয়া এগুলো চর্চা করে না।

কৃতিত্ব পুর্ন স্কুল রেজাল্ট করলেও প্রশংসা করে না। চাকুরী ক্ষেত্রে প্রমোশন পেলেও তা উপেক্ষা করে ।কারন সেই মেয়েটিকে নিচু করতেই তার মজা ।

বাচ্চাকে বুলি করা যে কত খানি খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে তা জানে না।

সেই শ্যামা মেয়ে টি এক দিন বড়ো হয় , সন্মান জনক চাকুরী পায় কিন্তু ছোটবেলার নিজের মার কাছ থেকে যে অত্যাচারিত হয়ে ছিল তা মানসিক ভাবে তাকে এতো এফেক্ট করে তা তার মন থেকে কোনো দিন যায় নি ।

তার বিচারও পাই নি। অনেক কে সে বলেছে কিন্তু কেউ সেই মাকে গিয়ে বলে নাই কেন এরকম করেছ বা এটা তার ভুল আচরণ ।

মারাও যে অপরাধ করে তা অনেকে মানে না। আমরা দেখেও দেখি না, শুনেও শুনি না। চার দিকে কত যে অবিচার আর অত্যাচার ।

উন্নত দেশ গুলোর মতো এ দেশে চাইল্ড লাইন নাই ( ,চাইল্ড প্রটেকসান আইন নাই, NSPCC নাই, মা হওয়ার আগে চাইল্ড সাইকোলজি পড়ে না, কি ভাবে ভালো মা বাবা হওয়া যায় তা স্কুলে পড়ানো হয় না।

খুশি আপা আর এই পৃথিবীতে নাই । চলে গেছে অনেক অভিমান নিয়ে অনেক দুঃখ নিয়ে ।

প্রতিবাদ যে সে করে নাই তা নয় । তবে তা করলেই সে মা সবার কাছে আরও বেশি করে তাকে খারাপ বানানোর চেষ্টা করতো ।

খুশি আপা হয়ে গিয়েছিলো একজন বিকার গ্রস্ত মেয়ে। তা ছিল সেই মার আচরণের পরিণতি ।

এখনো কান পাতলে ভেসে আসে তার গেয়ে বেড়ান সেই গানের রেশ "রদনো ভরা এ বসন্ত ,সখি কখনো আসেনি বুঝি আগে "

নারী ও শিশু অধিকার কর্মী , লন্ডন

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:২২

সোনালি কাবিন বলেছেন: :( :P

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:২৪

সোনালি কাবিন বলেছেন: সরি। উপরে ভুল ইমোতে চাপ পড়ে গেছে। আসলে আমি মনের ভাব প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম এইভাবে

:( :(

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৪৫

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: থ্যাংকস ভাইয়া ।

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩৫

সামরিন হক বলেছেন: আগেকার মানুষেরা ধর্মপ্রাণ ছিলো শুনেছি! তাও কেন ন‍্যায় অন‍্যায় সম্পর্কে জানতো না বুঝলাম না!!তবে
ঘটনাটি পড়ে একটা প্রশ্ন উদয় হয়েছে মনে— মেয়েটির নাম কেন খুশি রেখেছিলেন তাঁর পরিবার??! যদি এতই বিরক্ত ছিলেন পরিবার!!

শুভেচ্ছা রইলো।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৮

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: তার বড়ো বোনের নামের সাথে মিল রেখে , বড়ো বোনের নাম লুসি তার নাম খুশি । তা ছাড়া নাম টি বাবার দেয়া। থ্যাংকস মন্তব্যের জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.