নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান মনের জানালা খুলে দায় এবং সেই খোলা জানালা দিয়ে না জানা বিষয় গুলো দেখি যা বাংলাদেশের সীমা ছাড়িয়ে সারা পৃথিবী দেখতে সাহায্য করে ।

এইচ এন নার্গিস

আমি একজন লেখক, সমাজ কর্মি , মা এবং মুক্তিযোদ্ধা

এইচ এন নার্গিস › বিস্তারিত পোস্টঃ

"নরওয়ে" ভ্রমন , পৃথিবীর পথে পথে

৩১ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:২৫

পৃথিবীর পথে পথেঃ নরওয়ে ( Norway, Trond heim) 2020,ভ্রমণ কাহিনী , ২য় পর্ব 

" Norway the place to be wild and young"

"I am a traveller. May be I will end up living in Norway"

ওসলো থেকে স্পিড ট্রেনে থ্রন্ড হেইম

'থ্রন্ড হেইম' নরওয়ের উত্তরের একটি অঞ্চল। এখানে আমরা যাওয়ার জন্য টিকিট করলাম। নরওয়ের ২৬ টি অঞ্চলে যাওয়ার জন্য আছে স্পীড ট্রেন। তাছাড়া আছে প্লেন এবং সড়ক যোগাযোগ।   সাগর তীরবর্তী অঞ্চলে আছে সুন্দর জাহাজ দিয়ে যাওয়ার ব্যাবস্থা।

নরওয়ের ভাষায় যাকে বলা হয়  'SJ Intercity train'। সাত ঘণ্টায় ৪৯৭ কিমি পাড়ি দিতে এই ট্রেন টি কে চলতে হবে ঘণ্টায় ২১০ মাইল বেগে। বিস্তৃত পাইন ফরেস্ট , বৃহৎ লেইক আর নয়ন জুড়ানো প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরা কান্ট্রি সাইড দেখার জন্য এই ট্রেন জার্নি টির তুলনা নেই ।

তাছাড়া জার্নিটি ছিল খুব আরামদায়ক। প্লেনের  মতো  বসা এবং শোয়ার ব্যাবস্থা, মজাদার লাঞ্চ এবং ব্রেকফাস্ট পরিবেশনা , মাঝে মাঝে চা কিংবা ফলের জুস যা জার্নিটিকে আরও আনন্দদায়ক করে ছিল। বড়ো বড়ো জানালা দিয়ে মনোরম প্রকৃতি দেখতে দেখতে চললাম।যেহেতু তখন ছিল উইন্টার তাই চারদিক স্নো দিয়ে ঢাকা ।  কোথাও সীমাহীন পাইন বন , কোথাও স্নো ক্যাপ মাউন্টেন , কোথাও বিরাট বা মাঝারি আকারের ঝর্না । যার পানি জমে গিয়ে ঝুলে আছে। কোথাও নীল পানির লেইক। মাঝে মাঝে দুই একটা কাঠের গুঁড়ির কুঁড়েঘর যার পাশ দিয়ে ছুটে চলেছে নদী বা ফিওড । নির্জনতা আর একটি সৌন্দর্জ  নরওয়ের ।

ট্রেন  ছুটে চলেছে কোন সময় মাউন্টেনের মধ্য দিয়ে বিরাট লম্বা সুরঙ্গের লাইন দিয়ে । কোথাও মাউন্টেনের ধার দিয়ে গাঁ ঘেঁষে। সবচেয়ে উঁচু স্টেশনে পৌঁছালে ঘোষণা করা হল 'এখন আমরা যাচ্ছি সবচেয়ে উঁচু পর্বতের দিকে।'যেহেতু স্পিড ট্রেন তাই মাজ খানে কোন থামা থামি ছিলনা। বেশির ভাগ যাত্রী টুরিস্ট । হয় লোকাল না হয় ইন্টারন্যাসানাল। তাছাড়া স্কি খেলার জন্য অনেক মানুষ ছিল।

অবশেষে আমরা এসে গেলাম Trond Heim। আমাদের হোটেল বুকিং করা ছিল। সোজা সেখানে গেলাম। এখন বলি থ্রন্ড হেইম (Thrond haim) এর গল্প ।

পরদিন আমরা একজন লোকাল ইংলিশ জানা টুরিস্টকে নিয়ে লোকাল যা আছে তা দেখে  নিলাম । যেমন রয়াল রেসিডেন্স, মেদিভ্যাল মিউজিয়াম , মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি , ১৭ সেঞ্চুরির দুর্গ এই সব।এখানে একটি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি এবং একটি মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি আছে যা আমরা দেখতে গেলাম।

শহর টি নিডেলভা নদীর তীরে অবস্থিত । ভ্যাইকিং আমলে রাজধানী ছিল।নদীর ধারে লাল আর হলুদ রঙের কাঠের বাড়ি দুই আর তিন তলা বিশিষ্ট , এখন একটা টুরিস্ট স্পট ।  বর্তমানে বাণিজ্য কেন্দ্র। ট্রনড হেইম (Trond Heim) আর একটা জিনিসের জন্য বিখ্যাত, তা হল  স্পোর্টস  যেমন নরডিক স্কি এবং ফুটবল। 'ট্রনড হেইম'  মিউজিকের (Jazz Orchestra)  জন্যও  বিখ্যাত।

আমরা প্রায় ঘুর্নিয়মান রেস্টুরেন্ট যা কিনা লম্বা টাওয়ারের উপরে ,যেখান থেকে ডিনার খাওয়া এবং সমস্ত শহর দেখা যাবে। মজার জিনিস আমরা এক জায়গাতেই বসে থাকবো আর পুরো রেস্টুরেন্ট ঘুরতে থাকবে। এখানে উঠে ছিলাম  লিফট দিয়ে।

দুইদিন থাকার পর প্লেন যোগে আমরা চলে আসলাম থ্রমসো। যা কিনা আরও উত্তরে ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

শায়মা বলেছেন: বাহ আপুনি!! অরোরার ছবি দেখে মুগ্ধ হলাম!!!

আরও কিছু ছবি দিলে ভ্রমন কাহিনী আরও কাব্যময় হয়ে উঠতো!!!

০৭ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:০৪

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: ছবিগুলো খুব সুন্দর। আরো দিলে দারুণ হতো।

৩| ০৭ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:০৫

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: থ্যাংকস ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।

৪| ১৪ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৫:৫৬

Sulaiman hossain বলেছেন: অসাধারন ভ্রমন কাহিনী,মন প্রান জুড়িয়ে গেল।মনে হল যেন আপনার সাথে আমরাও ভ্রমন করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.