![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্য কমান্ডমেন্টস।
নাহ, মুসা নবীর নয়।
জর্জ অরওয়েলের 'অ্যানিমল ফার্ম'।
"ওয়াটেভার গোয আপন টু লেগস ইয অ্যান এনিমি।"
"ওয়াটেভার গোয আপন ফোর লেগস, অর হ্যায উইংস, ইয আ ফ্রেন্ড।"
অরওয়েলের বহুমাত্রিক অ্যালিগরী আর ডিসটোপিয়ান দর্শনের ঝক্কি-ঝামেলায় না গিয়ে নিতান্ত সোজা-সাপ্টা সরলরৈখিক আক্ষরিক ভাবটা যদি টানি, কী দাঁড়ায়? স্থান, কাল, পাত্র ভেদে আমাদের 'মহাজাগতিক উপলব্ধি' আমূল বদলে যায়, এই-ই তো?
এমন যদি হত, ইচ্ছে হলে আমি হতাম প্রজাপতির মত!
এক জনমে বেছে নিতাম মৎস্যকুমারী-জীবন, পুনর্জন্মে ডাইনী বুড়ি'র।
নিদেনপক্ষে বিপরীত মেরুর কারো সাথে তো অদল-বদল করা যায় বছর কয়েক! যেমন ধরুন, শ্রমিক নেতা-কারখানার মালিক, কিংবা ইসরাইলী-ফিলিস্তিনি। পরের জুতো-জোড়া ধার করে কদম কয়েক হেঁটে হেঁটে কি সারিয়ে তোলা যেত না পৃথিবীর গেঁটেবাত?
"ভিলেনের" মুখে গল্পের বয়ান, হালের ফিল্ম-ইন্ডাস্ট্রিরও ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে ধীরে ধীরে।
স্লীপিং বিউটির "দুষ্টু" পরীর কাহিনী আমরা শুনেছি Maleficent -এর মুখে; কিংবা শয়তানের মুখে "দ্য ডেভল'স অ্যাডভোকেট"-এর সেই পাঞ্চলাইন ক'টি , "I've nurtured every sensation man's been inspired to have. I cared about what he wanted and I never judged him. Why? Because I never rejected him. In spite of all his imperfections, I'm a fan of man! I'm a humanist. Maybe the last humanist."
বাক্সবন্দী চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে হোক, বিভূতিভূষণের চাঁদের পাহাড়ের দেশ ভ্রমণের নেশায় হোক, কিংবা হোক 'বনে-সুন্দর' বন্যের সৌন্দর্যের তৃষ্ণায় - আফ্রিকার সাভানায় অদৃশ্য হওয়ার মতলব আঁটলাম।
অভিযাত্রার প্রস্তুতি চলতে থাকুক, এ'বেলা মুখোশের ভেতরের কেচ্ছা ভাঙি।
উচ্চমার্গীয় আলাপ খানিক লোক-দেখানো। আসল ঘটনা অন্যখানে। কৃতিত্ব সব আমার নাছোড়বান্দা কন্যার, আর আমার প্রমত্তা জোয়ারের মত মাতৃস্নেহের (পড়ুন 'প্রশ্রয়ের' )। আমরা থাকি দুবাইয়ের কাছাকাছি; মরুপ্রান্তরের চিড়িয়াখানায় সবেধন উট ছাড়া অন্য পশুপাখীরা রা-টি করেনা। গুহার বাইরে শ্রী-মুখটি পর্যন্ত বের করতে নারাজ - কে জানে কোন গোপন গোলটেবিল বৈঠকে আইন পাস হয়েছে কি' না! পশু-পাখীদের একযোগে হরতাল চলে বারোমাস। এক, দুই, তিন দিনেও মেয়ের 'সিংহমামা'র দেখা না পাওয়ার শোকে মেয়ের মা ততোধিক কাতর।
আফ্রিকা মহাদেশে এই-ই প্রথম।
বোকা-না-বনার চেষ্টায়, আর ওয়ালেটের স্বাস্থ্য বাঁচাতে ঘোড়া ডিঙিয়ে সরাসরি আফ্রিকার স্থানীয় এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করি ই-মেইলে। প্রতিদিন ডজনখানেক চিঠি পাই। যে যার ঢাক বাজাতে উদগ্রীব। এরিমধ্যে একটা চিঠি সতেজ হাওয়ার মত আমার মন ছুঁয়ে দিলো। আমাদের আফ্রিকাযাত্রায় ভজঘট না বাঁধে, চিঠির প্রেরিকা এ-নিয়ে আন্তরিকভাবে সচেষ্ট। পত্রলেখিকার আন্তরিকতায় কৃতজ্ঞতাবনত আমি ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন, মশার কয়েল, আর দূরবীন জোগাড়ের ভাবনা মুলতবি রেখে দোকানে দোকানে আরবী সুগন্ধি'র খোঁজ করে বেড়াই, তাকে উপহার দেব। বাড়িতেও আফ্রিকা ভ্রমণের বিশাল আয়োজন চলতে থাকল। সারাদিনের অফিস আর স্কুল শেষে বাবা-মেয়ে বাড়ি ফিরলে আমি বাটন চেপে "লায়ন কিং" চালু করে দেই। স্কুলের পড়া মুখস্থ না হলেও, "হাকুনা মাটাটা"র কথা আর সুর পিতা-কন্যার আগাগোড়া মুখস্থ হয়ে গেল। এভাবে দিন গড়াতে লাগলো। অবশেষে প্লেনে ওঠার আর যখন দু'দিন বাকী সর্বসাকুল্যে, তখন পরিবারের সহৃদয় কর্তা আমার কর্মদক্ষতা বিবেচনায় টীকা, কয়েল, দূরবীন, ক্যামোফ্লাজের মিলিটারি পোশাকের যাবতীয় বন্দোবস্ত নিজেই করলেন।
ল্যান্ডিংয়ের মিনিট পাঁচেক আগে মেয়ের উল্লসিত চিৎকার কানে এলো, "ঐ যে যেব্রা"! "ধুর! এয়ারপোর্টে যেব্রা ঘোরে নাকি রে, বোকা মেয়ে!" ঘাড় ঘুরিয়ে জানালায় উঁকি দিয়ে দেখি, তিনটা যেব্রা জটলা পাকাচ্ছে। মৃদু ঝাঁকুনি দিয়ে উড়োজাহাজের চাকা মাসাইমারার মাটি স্পর্শ করলো।
অবর্ণনীয় সৌন্দর্য যার, তার বর্ণনা করার পন্থা আমার জানা নেই। মাসাইমারার সৌন্দর্যে সিক্ত হতে হলে, কেনিয়ায় পাড়ি জমানো ছাড়া গত্যন্তর নাই। এখানে আদিগন্ত ক্যানভাসে নামে সাঁঝের মায়া। তারপর আকাশে একটা একটা করে ফুটতে থাকা তারার মত তৃণভূমি ছেয়ে যায় পশুপাখীতে। এই-ই মাসাইমারা, বন্যপ্রাণীদের "চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির...যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে উচ্ছ্বসিয়া উঠে..."
বনপুরীর রাজবর্গ যার যার স্থানীয় এলাকায় মিম্বারে দাঁড়িয়ে নিজের প্রভুত্ব ঘোষণা করেন।
প্রকৃতি থেকে ক্রমশঃ এত দূরে ছিটকে পড়ছি আমরা যে, মিম্বারের বিষয়টা নিজের চোখে না দেখলে ভাবতাম ওটা বুঝিবা ডিযনীর লায়ন কিং-এরই একটা অংশবিশেষ। অভিযানে সামান্যতম সময়ও যেন নষ্ট না হয়, সেজন্য আমরা তৃণভূমির মাঝে তাঁবু গেড়ে সেখানেই ছিলাম, হোটেলে নয়। তাঁবুর ভেতর থেকেই যেব্রার দলের খুরের আওয়াজ পাওয়া যেত। তাঁবু সুরক্ষিত, পর্যটকদের জন্য সব রকমের সুব্যবস্থা আছে, মজুদ আছে আধুনিক সরঞ্জাম। স্থানীয় মাসাই উপজাতির জোয়ানেরা তাঁবুর প্রহরায় সদা নিয়োজিত। সাথেই লাগোয়া মাসাইদের গ্রাম। মন চাইলে গ্রাম ঘুরে দেখবারও ব্যবস্থা আছে।
ভীত, শোষিত শ্রেনীদের চেহারায় যে বিনয়ের ছাপ থাকে, তার বাইরেও কেনিয়াবাসীদের চোখেমুখে কিছু একটা ছিলো। আফ্রিকা ভ্রমণে উপরি হিসেবে যা মিললো, তা হল এজেন্টের সাথে জমজমাট খাতির হয়ে গেল। এই-ই সেই এজেন্ট, যার প্রসঙ্গ শুরুতেই টেনেছি। বেটিনা লেকা। বাবা কৃষ্ণাঙ্গ, কেনিয়ান, মা শ্বেতাঙ্গ, ওলন্দাজ। নেদারল্যান্ডের টপ-নচ ইউনিভার্সিটি থেকে চমক লাগানো ফলাফল নিয়ে গ্র্যাজুয়েইশনের পর স্বেচ্ছায় মাসাইমারাতে বাকী জীবনটা কাটাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গল্পে-গল্পে জানা হল, বেটিনা'র মা-ও অল্পবয়সী তরুণী যখন, তখনও প্রেমিকের (পরবর্তীতে স্বামী) সাথে সেভাবে সখ্যতা গড়ে ওঠেনি, সেসময়ের কথা। বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত বেটিনার মা, দেশ-ভ্রমণের খেয়ালে সুদূর নেদারল্যান্ড থেকে কেনিয়ায় বেড়াতে এসে এখানেই আটকা পড়ে গেছিলেন মায়ার জালে। মম্বাসা'র এমন একটা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘর বানালেন, যেখানে না ছিলো ইলেকট্রিসিটি, না ছিলো রানিং ওয়াটার। কেনিয়াবাসীর চোখের দ্যুতিতে যে স্বচ্ছতা, সেখানেই কি লুকোনো ছিলো যাদুর কাঠি?
বনপুরীর গল্পে ফেরা যাক। বন্যেরা বনে সুন্দর। 'গ্রেইট মাইগ্রেইশন'-এর মৌসুমে বন্যেরা দলবেঁধে কেনিয়া থেকে তানযানিয়ায় পাড়ি দেয়। লাখে লাখে একযোগে ওদের পাহাড় থেকে ঝাঁপিয়ে পড়া মারা (Mara) নদীতে, সাঁতরে ঐ পারে তানযানিয়ার পথে রওয়ানার দেবার সুরিয়াল দৃশ্য শতচেষ্টার পরও ক্যামেরায় ধারণ করতে পারিনি - যদিও ফ্রেমবন্দী করেছি অসংখ্যবার। ভয়ানক সাহস সঞ্চয় করে ফটোরিয়ালিযমে টেকনিকের অনুকরণে, আর্টিস্টিক ফ্লেইভারে একটা ছবি জুড়ে দিলাম তার মধ্যে থেকে।
মজার প্যারাডক্স হল, সাভানায় প্রবেশের আগে বেশ খানিক সময় নিয়ে "বনের আইন" সংক্রান্ত ব্রিফিং শুনিয়েছিলেন ট্যুর গাইড। এসইউভি দেখে বনপুরীর বাসিন্দারা যেন ভড়কে না যায়, ওদের অধিকার সর্বাগ্রে, ওদের প্রচ্ছন্ন ক্ষতির কারণ যেন আমরা না হই, এজন্য কেমন কায়দা-কানুন মেনে চলতে হবে, প্রকৃতিপ্রেমী হতে হলে করণীয় কী কী, ইত্যাদির অ, আ, ক, খ।
দ্য কমান্ডমেন্টস।
"দ্য এলিফ্যান্ট ম্যান" প্রজন্মের অন্ধকার সংষ্কৃতি পেছনে ফেলে মানবজাতি এগিয়ে গেছে।
চিড়িখানার প্রচলিত বিনোদনের শৃঙ্খল টুটবে কবে?
==
[উৎসর্গপত্র: প্রিয় সহব্লগার ও পর্যটক বাণীব্রত রায়, যাঁর মাসাইমারা ভ্রমণের মুগ্ধকর ব্লগ পড়বার সৌভাগ্যই আমাদের সাফারীর জন্য মাসাইমারাকে বেছে নেবার একমাত্র কারণ। সুলেখক ও বন্ধুবর ফারুক আব্দুল্লাহ, তাঁকে জবরদস্তি করে আমার আবোল-তাবোল শোনাতে একটুও বাধে না!]
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে অকপট মন্তব্যের জন্য! এজন্যই লেখাটা ব্লগে দেয়া - গঠনমূলক ফীডব্যাক পাওয়ার জন্য। এরপর যদি লিখি, অবশ্যই আপনার মন্তব্য মাথায় রেখে তারপর লিখবো!
সতত শুভকামনা আপনার জন্য।।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৩
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: লেখাটা ভাল লেগেছে। তবে ছবির অনুভূতি টা একদম নষ্ট হয়ে হয়েগেছে আপনার নিজের নাম ফোটাতে গিয়ে। নাম তো অন্য ভাবেও দেয়া যায়। মূল ছবির চেয়ে আপনার নামই মুখ্য হয়ে গিয়েছে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫০
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: আমার আঙিনায় আপনাকে স্বাগত!
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
ভাই, ছবিগুলো ফর্মাল প্রতোযোগিতায় পাঠানো আছে তো, কপিরাইট সংক্রান্ত ঝামেলা'র কারণে অদ্ভুতুড়ে ওয়াটারমার্ক লাগাতে হয়েছে, নাম ফোটাবার জন্য না ঠিক।
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ও আচ্ছা তাই বলেন। পরবর্তীতে মূল ছবি থেকে আমাদের বঞ্চিত করবেন না আশা করি। ভাল থাকবেন।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: থ্যাঙ্কিউ ভাইয়া! আপনিও ভাল থাকুন।
৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৫
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: চমৎকার লেখায় ভ্রমণটা মনে হচ্ছিল আমিই করছি। +
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: আমার মন ভাল করে দেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, রক্তিম দিগন্ত!! এতো চমৎকার মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পাচ্ছি, আমার চেষ্টাটা তবে সফল! অনিঃশেষ শুভকামনা আপনার জন্য!
৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভালোলাগলো। তবে অরিজিনাল ছবিগুলো দিলেই ভালো হতো। কেমন যেন লাগছে এগুলো দেখতে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে! ছবিগুলো অনায়াসে দেখবার মত হয়নি বলে আমি দুঃখিত।
ফটোগুলো ফর্মাল প্রতোযোগিতায় পাঠানো আছে তো, কপিরাইট সংক্রান্ত ঝামেলা'র কারণে অদ্ভুতুড়ে ওয়াটারমার্ক লাগাতে হয়েছে। এছাড়া আমার অন্য উপায় ছিলো না।
আপনার জন্য নিরন্তর শুভেচ্ছা!
৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫
বনমহুয়া বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ অনুপ্রাণিত করবার জন্য, আর স্বাগত আমার আঙিনায়!
৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ব্যাতিক্রমধর্মী কিছু ছবি,
অন্যরকম ভালো লাগা।
ধন্যবাদ
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: থ্যাঙ্কিউ, নূরু ভাই! আমার অসম্ভব প্রিয় লেখক, বিমলমিত্রের স্মরণে আপনার লেখাটা আমি সেদিন খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম!
"তরুলতা অতি সহজেই তরুলতা, পশু-পাখি অতি সহজেই পশু-পাখি, কিন্তু মানুষ অনেক কষ্টে অনেক দুঃখে অনেক যন্ত্রণায় অনেক সাধনায় আর অনেক তপস্যায় তবে মানুষ। আমি কি সেই মানুষই হতে পেরেছি?” এত পরিশ্রমী পোস্ট এত ডেডিকেইশন নিয়ে আপনি লেখেন কীভাবে!
৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
আদম_ বলেছেন: বাপরে এতো কঠিন ভাষায়ও মানুষ লেখে!!!
খটমটে ভাষার আড়ালে হারিয়ে গিয়েছে একটি ভ্রমণ পোস্ট, যা হতে পারতো সাবলীল-সহজপাঠ্য-সুন্দর।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: হুমম, সবই আমার ফাটা কপালের লিখন! আমার আঙিনায় স্বাগত আপনাকে, সাদা মনের মানুষ!
৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৫
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ভাল লেগেছে ভ্রমণ ব্লগ ।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৪৯
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!
আপনার নিক ইউনিক এবং স্মার্ট!
শুভকামনা আপনার জন্য।
১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
প্রতিযোগিতার বাইরে কোন ছবি নেই ? থাকলে ওগুলো কিছু শেয়ার করলে ভাল হতো। ছবিগুলোর জন্য পোষ্ট ভাল লাগছেনা।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৫১
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরপর ছবি শেয়ার করতে চাইলে আপনার উপদেশ অবশ্যই মনে থাকবে। আমার আঙিনায় স্বাগত আপনাকে!
১১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৪
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: দৃশ্য দেখা আর জ্ঞানার্জন একসাথে।
ধন্যবাদ ফর শেয়ারিং।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:০০
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: ভাইয়া, অনেক দিন পর! খুব খুশী লাগছে আপনার লেখাটা ভাল লেগেছে, এজন্য। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা মন্তব্যের জন্য!
'বিবর্তিত পার্সোনালিটি' টাইটেলে আপনার লেখা ছোটগল্প আমার খুব ভাল লেগেছিলো। চতুরের সময়কার কথা!
ভাল থাকুন ভাইয়া!
১২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৯
প্রামানিক বলেছেন: আপনার লেখা পাঠ করলুম। সাহিত্যিক জ্ঞান ভিন্ন বোধগম্য কঠিন। ছবি দর্শনেও পুরো মজা অনুপস্থিত, কারণ ছবির অন্তরভাগে হালকা পর্দা সেটে দেয়া। তারপরেও দাঁত ভাঙা বঙ্কিমী স্টাইলে লেখনীর জন্য ধন্যবাদ।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১২
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: সমালোচনা, তা যদি হয় গঠনমূলক, আমি খুব অ্যাপ্রিশিয়েট করি। কিন্তু আপনার 'রসিকতা' অ্যাপ্রিশিয়েট করতে পারলাম না।
১৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: আমি বুঝলাম না অনেকেই বলছে লেখাটি কঠিন আর সাহিত্যিক ভাবধারার মানে কি ????
যাই হোক নাইফাপু , আমি মজা পেয়েছি এবং ভাষা বেশ সহজ মনে হয়েছি । একটা কথা বলি -
শুরুতেই আপনার জর্জ অরওয়েল কিংবা অ্যালিগরী আর ডিসটোপিয়ান দর্শন অথবা ইউটোপিয়া এসব যে কি তা অধিকাংশের ই জানার কথা না ।
ছবি আরও হতে পারতো , এবং ছবিতে আপনার নাম দেয়ার দরকার থাকলে ছবির এক কোনায় দিন ।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: আমার আঙিনায় স্বাগত, সাদী ভাইয়া!
বাঁচালেন! অসংখ্য ধন্যবাদ! আমার কাছে আপনার মন্তব্য অমুল্য!
শুরুতেই জর্জ অরওয়েল-এর প্রসঙ্গ অবশ্য ইচ্ছাকৃত, ফন্দি।
টার্গেট রিডারের জন্য। হাহাহা।
হুম, তবে ব্লগের স্টাইলের সাথে যে বেমানান, সেটা বুঝতে পারছি। ফটোর ব্যাপারটা এরপর থেকে মনে রাখবো।
আন্তরিক শুভকামনা।
১৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো ছবি এবং লেখা। অবশ্য প্রথমদিকে লেখায় ঢুকতে কিছুটা ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। এরপরে বেশ ফ্লুয়েন্ট ছিলো। ছবিগুলোর রেজাল্ট কবে দেবে? পুরষ্কার পাইলে কী খাওয়াবেন?
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: সামনের মাসে দেবার কথা, কিন্তু অন্য একটা ছবি পুরস্কার পেয়েছে আজকেই!
কী খাবেন বলেন?
১৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা)
ষ্টাইলিশ লেখা ।
প্রথমাংশের জটটা খুললো সবটুকু পড়ার পরে । কেনিয়ার দূর্গম বনভূমি আর সবুজ সাভান্নার মতোই লেখাটি দূর্গম আর সতেজ , একই সাথে ।
আপনার একমাত্র ছাত্রীটি তো এখন অনেক বড় হয়ে গেছে ! মা-মেয়ের যুগলবন্দি শুনে ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: ভাইয়া, আপনার মন্তব্যটাও খোলা হাওয়ার মত সজীব আর দরাজ! প্রাণছোঁয়া!
অনিঃশেষ শুভকামনা আপনাকে আর আপনার প্রিয়জনদের জন্য!
১৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫১
উল্টা দূরবীন বলেছেন: ছবি ব্লগ খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর ছবির সাথে সাথে সাবলীল বর্ণনা। আর শেষের ছবিটা একদম হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। আমি এরকম একটা ছবি তোলার স্বপ্নে বিভোর থাকি।
সুন্দর ছবিব্লগের জন্য ধন্যবাদ এবং আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: আপনার ছবি তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হোক! সহৃদয় মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, প্রিয় দূরবীণ!
১৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১২
জুন বলেছেন: অসাধারন বর্ননা সাথে চমৎকার সব ছবি আমার স্বপ্নের সেই মাসাইমারার নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা)। শেয়ারের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
+
উল্লেখ্য এই বিখ্যাত মাসাইমারা আর সেরিংঘেটি ন্যশনাল পার্কের বর্ননা শুনে আর ন্যশ জিওতে দেখে দেখে বছর চার পাঁচেক আগে একবার সেখানে যাবার সব পরিকল্পনা চুড়ান্ত করি । কিন্ত অফিসের ছুটি ও বাংলাদেশ থেকে কেনিয়ার ভিসার ব্যাপারটি আমাদের জন্য একটু জটিল থাকায় আর যাওয়া হয়নি। তবে এখনো হাল ছাড়িনি ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: আপনার স্বপ্ন দ্রুত বাস্তবায়িত হোক, প্রিয় জুন। মাসাইমারা ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন প্রশ্ন থাকলে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো উত্তর জানাতে। http://tripadvisor.com এর রিভিউগুলো বেশ উপকারী, ডিটেইলসে লেখা থাকে অনেকের ফীডব্যাক। আপনি ওখানে ফোরামে জয়েন করেও প্রশ্ন করতে পারেন।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! ভাল থাকুন অনেক, অনেক!
১৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১
মুদ্দাকির বলেছেন: ভালোই !! তবে আপনি হলিউডের বড় ফেন, বোঝা গেল
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৭
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অসাধারন বর্ণনা এবং অসাধারন সব ছবি।দারুণ ভালো লাগার ছবি ব্লগ।ভালো থাকবেন প্রিয় ব্লগার
++++++
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: আপনার অনুপ্রেরণায় মন পাখি হয়ে গেল, প্রিয় রুদ্র ভাইয়া! নিরন্তর শুভকামনা আপনাকর এবং আপনার প্রিয়জনদের!
২০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বাব্বা ! ইবনে বতুতার নাতনীতে ব্লগ ভরে গেছে !
তবে ভ্রমন পোস্ট আমার দারুণ লাগে । যে কারনে আমি জুন'আপুর ফ্যান !
দুর্বোধ্য ভাষার কারনে আপনারটা পড়তে গিয়ে প্রথমেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে । পড়ার পুরোটা সময়ই এর রেশ যায়নি ।
ভ্রমন পোস্ট সহজ ভাষায় হলে ভাল হয় ।
আপনার লিখার হাত ভাল , সাহিত্যে বেশ দখল আছে ।
শুভ কামনা থাকলো সিস অনামিকা ।
২১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। প্লাস ও প্রিয়তে।
পরে আবারো এসে মন্তব্য করবো বলে আশা রাখছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১২
আদম_ বলেছেন: বাপরে এতো কঠিন ভাষায়ও মানুষ লেখে!!!
খটমটে ভাষার আড়ালে হারিয়ে গিয়েছে একটি ভ্রমণ পোস্ট, যা হতে পারতো সাবলীল-সহজপাঠ্য-সুন্দর।