![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২৫ মার্চ ১৯৭১ এর আগে ও ২৫ মার্চ রাতে যা হয়েছে তা সবই আমরা জানি। এর ভিত্তিতে কি একটি রাষ্ট প্রতিষ্ঠা করা যায় ?
১. আল্লাহ তায়ালা ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধ এবং নিপীড়িতদের সাহায্য করা ওয়াজিব করে দিয়েছেন। এভাবে তিনি জিহাদ, ইনসাফ ও আইন-শাসন প্রভৃতি যেসব কাজ ওয়াজিব করে দিয়েছেন তা রাষ্ট্রশক্তি ও রাষ্ট্র কর্তৃত্ব ছাড়া কিছুতেই সম্পন্ন হতে পারে না।
-আস-সিযাসাতুশ শরইয়্যাহ, পৃষ্ঠা-১৭২-১৭৩।
আমরা নির্যাতিত ও নিপিড়িত ছিলাম এটা তো সত্যি কথা ?
২. যেমন অমুসলিম অধিবাসীরাও দারুল ইসলামের (ইসলামী রাষ্ট্রের) নাগরিক। – আলমাবসুতু লিসসারাখসী, ১ম খণ্ড, ৮২ পৃ. এবং আল মুগনী, ৫ম খণ্ড, ৫১৬ পৃ.।
অন্যন ধর্মের লোকরা কি নির্যাতিতো হতো না ?
৩. রাষ্ট্রের নেতৃত্ব জনগণের বাইয়াতের ভিত্তিতে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ জনগণ যখন কারোর হাতে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব অর্পণ করে, তখনি সে রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারে, পূর্ববর্তী কোনো পদাধিকার বলে নয়।-মিনহাজুস সুন্নাত, ১ম খণ্ড, ১৪২ পৃ.।
শেখ মুজিবকে কি আমরা নির্বাচিত করি নাই ?
৪. হে জনতা আমি আমার শাসকবর্গকে তোমাদের উপর নিয়োগ করেছি এ জন্যে যে, তারা তোমাদের জানমাল ও ইজ্জতের উপর হস্তক্ষেপ করবে। বরং তাদের নিয়োগ করেছি এ উদ্দেশ্য যে, তারা তোমাদের পরস্পরের মধ্যে ইনসাফ কায়েম করবে, সরকারি ভাণ্ডার থেকে জাতীয় প্রয়োজনমত তোমাদের মাঝে বণ্টন করবে। এদের কেউ যদি এর বিপরীত কিছু করে থাকে তাহলে এ জনসমাবেশে তার বিরুদ্ধে আমার সামনে দাঁড়িয়ে ফরিয়াদ করো। তাবকাতে ইবনে সায়াদ, ৩য় খন্ড ২৯৩ পৃষ্ঠা।
আমাদের কি কোনোটাই নিরাপদ ছিলো ?
৫. নবী করিম সঃ করেছেনঃ
যে লোক ইসলামী রাষ্ট্রের অমুসলিম নাগরিককে কোনোরূপ কষ্ট দেবে, আমি নিজেই তার বিপক্ষে দাঁড়াবো এবং আমি যার বিরুদ্ধে দাঁড়াবো কিয়ামতের দিন তার বিরুদ্ধে আমি মামলা দায়ের করবো।
আল জামেউল সাগীর লিস সুয়ুতী, ২য় খন্ড ৪৭৩ পৃষ্ঠা
অন্য ধর্মের নাগরিককে কি এই মর্যদা দেয়া হয়েছে ?
এবার প্রশ্ন হলো,ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত যে রাষ্ট্র সেটা ভেঙ্গে বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদে কি একটি নতুন রাষ্ট প্রতিষ্ঠা হতে পারে । ইসলাম কি বলে ?
যদি আমরা প্রচলিত সংজ্ঞায় মুসলিম নেশন থিয়োরী বিশ্বাস করি – তা প্রচার করার চেষ্টা করি তা কতটা সঠিক হবে সেই বিষয়ে ভাবনার গভীর বিবেচনার দাবী রাখে। অন্যদিকে পরষ্পরের কাছে পরিচিত হওয়ার একটা উপায় হিসাবে প্রচলিত জাতি সত্বার পরিচায়ক বা একীভূত একটা সম্প্রদায় বা ভৌগলিক অথবা ঐতিহাসিক কারনে একই ভুখন্ডে বসবাসকারী বা একই সংস্কৃতি ধারন করা একদল মানুষ যখন নিজেদের পরিচয়দানের জন্যে একটা জাতি হিসাবে চিহ্নিত হয় – তাতে সমস্যা নেই। কারন আল্লাহ এভাবেই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন –
“হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সেই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন”।(৪৯:১৩)
সুতরাং দেখা যাচ্ছে পরিচিত জন্যে জাতিগত ভাবে বিভক্তির বিষয়ে কোন সমস্যা নেই। এই বিষয়ে হাদিস থেকে পাওয়া যাবে একই ভাষ্য – বিশেষ করে মদীনা সনদের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার শুরু হয়েছিলো – তার মধ্যেও আমরা জাতির সংজ্ঞা পেতে পারি।
মদীনা সনদের একটি ধারা ।
১) সনদপত্রে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়সমূহ ইসলামী রাষ্ট্রের অধীনে একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে।
মুলত “মুসলিম জাতি” – এই ধারনার ভিত্তি হলো রসুল মোহাম্মদ (সঃ) এর অনুসারীগন একটা “জাতি”তে পরিনত হবে। এই ধারনা কোরানের শিক্ষার সাথে কোন ভাবেই খাপ খাচ্ছে না। কারন এতে উম্মতে মোহাম্মদ (সঃ)কে একটা সংকীর্ন গন্ডিতে বেঁধে ফেলার একটা প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে দেখা যায়।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২০
আসাদ ইসলাম নয়ন বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
আলাপচারী বলেছেন: ধর্মের আলোকে আ মাদের স্বাধীনতার ন্যায্যতা পরিষ্ফূটন করার জন্য শুকরিয়া।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২১
আসাদ ইসলাম নয়ন বলেছেন: ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:৫৮
রাফা বলেছেন: হুম,আসলে অনেক কিছুই মনে হয় আমাদের অজানা। ধর্ম নিয়ে অনেক কিছুই বলি ধর্মের দোহাই দিয়ে অনেক কিছুই জায়েজ করতে চাই।আমার মনে হয় সঠিক ভাবে অধ্যায়ন করে জেনে বুঝে তারপর বলা উচিত।
আপনাকে ধন্যবাদ,কিছুটা আলোকপাত করার জন্য।
আসাদ ইসলাম নয়ন।