![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের রাজনীতিতে কে যোগ্য আর কে অযোগ্য এটা বলা খুব কঠিন, কিন্তু খালেদা জিয়া যে শিষ্টাচার জানেন না, সেটা একপ্রকার নিশ্চিত। গতকাল বিডি নিউজ এ একটি খবরের শিরোনাম দেখে পড়ার আগ্রহ হল। হয়তো নেহাৎ সাংবাদিক সুলভ আচরণের কারনে, অথবা বাংলার রাজনীতিকে কলঙ্ক থেকে একটু আড়াল করতেই শিরোনাম লেখা হয়েছিল "সামরিক বাহিনীর চরিত্র নষ্ট করা হচ্ছে: খালেদা"। কিন্তু এই শিরোনামের ভেতরে এই নারী, যিনি নাকি একজন সাবেক মেজর কাম প্রেসিডেন্ট এর স্ত্রী এবং নিজেও আমার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তাও একাধিকবার। তিনি সরকারের বাইরে থেকে সরকার এবং প্রশাসনের বিরোধিতা করতেই পারেন এবং আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিও সেটাই। কিন্তু, সেটার ভাষা কি মার্জিত হতে পারে না ? একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী কিভাবে বলতে পারেন, “পুলিশের কমিশনার ছিল আগে, এখন র্যাবের ডিজি বেনজীর- এ হলো মানুষখেকো, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী)। আর এর আগে ছিল জিয়া (র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান)। আরো কয়েজন আছ।-----------র্যাবের বেনজীরকে বলব, এসব বন্ধ করেন। নইলে এর পরিণতি ভালো হবে না।”
মাননীয় নেত্রী, আপনি যাকে নাম ধরে ডাকছেন, তার সাথে আপনার তুলনা করাও ঠিক না। আপনি এসএসসি ফেইল একজন মানুষ। আর বেনজির আহমেদ ইংরেজিতে মাস্টার্স, এমএ, এল।এল।বি - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেখানে বর্তমানে পিএইচডি করছেন। বিসিএস দিয়ে তারপর প্রশাসনে যোগ দিয়েছেন। আপনার মত নিজের স্বামীর ঘাড়ে পাড়া দিয়ে এই পসিশনে আসেন নাই। সো, সম্মান করা শিখবেন আশা করি। সম্মান করবেন, সম্মান পাবেন। যদিও কতটুকু সম্মান প্রাপ্য আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের, সেটা আসলেই চিন্তার বিষয়। কারন আপনারা যখন কথা বলা শুরু করেন,তখন মনে করেন যে বললেই হইলো!! কে শুনতেছে?? সব তো গরু ছাগল!! কিন্তু ম্যাডাম, জামানা পাল্টাচ্ছে। শুভ বুদ্ধির উদয় হউক।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৫
নাসিব বলেছেন: ছোটবেলা থেকে রাজনীতি করে যেটুকু বুঝেছি, সেটাই লিখেছি। আপনি বলেছেন খারাপ কাজের সমালোচনা করা গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কি আওয়ামীলীগ বা বিএনপি তাদের শাসন আমলে একটা ভালো কাজ করে নাই ? কই, কোনোদিন কি দেখেছেন বাহবা দিতে যে, শাবাশ ! ভালো করেছেন? আর, হুকুম তামিল এর যে কথা বলছেন, যদি তৃণমূলের কেউ এভাবে বলতো, তাহলে বলতাম যে একজন জনপ্রতিনিধির কথা। সেনাবাহিনীর আতুর ঘর থেকে বেরিয়ে শুধু মাত্র স্বামীর প্রভাবে এবং আবেগে রাজনীতিতে আসা কাউকে জনপ্রতিনিধি বলা ঠিক হবে?
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪২
রাফা বলেছেন: প্রকৃত শিক্ষা মানুষকে বদলে দেয়।শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।শুধু একাডেমিক শিক্ষাই একমাত্র শিক্ষা নয়।মানুষ প্রথমে তার পরিবার থেকেই শিখতে শুরু করে ।সেকানেই যদি গলদ থেকে যায়-আর কোন শিক্ষাই কাজে লাগেনা।খালেদা জিয়ার আশেপাশের মানুষগুলো যেমন তার রাজনিতিটাও ঠিক তেমনি।কাজেই তার কাছে বেশি কিছু আশা করাই ভুল আমাদের।আর রাজনীতির কোন দোষ নেই দেখতে হবে রাজনীতির মানুষগুলো।মানুষ যেমন হবে রাজনীতিটাও ঠিক তেমনি হবে।সর্বোপরি আমরাই আমাদের নেতা নির্বাচন করি কাজেই এর ভাগিদার আমরাও।আপনি ,আমি ঠিক হয়ে গেলে সব কিছুই ঠিক হয়ে যাবে।তখন আমাদের নেতৃত্তেও গুনগত পরিবর্তন আসবে।
অনাগত সুন্দর দিনের জন্য আসুন আপনি আমি সবাই কিছু করি।তাহোলেই বদলে যাবে আমাদের সোনার বাংলা।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: "তিনি সরকারের বাইরে থেকে সরকার এবং প্রশাসনের বিরোধিতা করতেই পারেন এবং আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিও সেটাই৷"
আপনার রাজনৈতিক জ্ঞান সীমিত এই কথায় খুব স্পষ্টই প্রকাশ পেয়েছে৷গণতান্ত্রিক রাজনীতি সম্পর্কে ধারণা থাকলে এই কথা বলার কথা নয়৷ সরকারের খারাপ কাজের সমালোচনা করাটা গণতান্ত্রিক রাজনীতি অন্যতম প্রধান অংশ৷
"মাননীয় নেত্রী, আপনি যাকে নাম ধরে ডাকছেন, তার সাথে আপনার তুলনা করাও ঠিক না। আপনি এসএসসি ফেইল একজন মানুষ। আর বেনজির আহমেদ ইংরেজিতে মাস্টার্স, এমএ, এল।এল।বি - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেখানে বর্তমানে পিএইচডি করছেন।"
একজন মন্ত্রী বা সাংসদ শ্রমিক নেতা, এমনকী অতীতের অশিক্ষিত কুলি বা রিকশাওয়ালাও হয় পদাধিকার বলে তার মন্ত্রণালয় বা দফতরের সচিবের চেয়েও ক্ষমতাধর থাকে এবং সচিবকে উক্ত জনপ্রতিনিধির হুকুম তামিল করতে হয়৷ এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচ্য নয়৷ আর সেখানে একজন সাবেক সরকার প্রধানের শিক্ষাগত যোগ্যতার দোহায় দেওয়া নিতান্তই বোকামি৷
তারপরও বলব খালেদা জিয়ার শালীনতা বজায় রেখে এবং ভদ্রভাবে কথা বলা উচিত৷ কারণ ভদ্রতার মূল্যায়ন সবাই করে৷ সামনা-সামনি না করলেও অগোচরে হলেও করে৷