![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আওয়ামীলীগ থেকে এবার ঠিক কি বিবেচনায় মেয়র প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে জানি না। তবে, কয়েকটি পৌরসভায় মনে হল কিছুটা নিজ হাতে বিরোধী প্রার্থীর কাছে বিজয়ের মালা তুলে দেয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ আছে অনেক পৌরসভার আওয়ামীলীগ মনোনয়ন না পাওয়া প্রার্থীদের। আমি নিজ পৌরসভা পাবনার কথাই জানি, সেটাই বলছি। সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন পাবনা জেলা যুবলীগ এর সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান টিপু। তিনি বিশিষ্ট চাঁদাবাজ হিসেবেই নাকি পাবনাতে বেশি পরিচিত। মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহিন। তিনি বেশ জনপ্রিয় একজন নেতা এবং পাবনার বেশির ভাগ মানুষ আশা করেছিলো যে সে ই হবে আওয়ামীলীগ এর প্রার্থী। আরেকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন জনাব কামিল হোসেন। একসময় তার নামে ড্রাগ ডিলিংস এর অভিযোগ ছিল এবং নিজেও বাংলা(!) খুব ভালো খেতে পারেন- এটা সর্বজন স্বীকৃত। তিনি ছিলেন পাবনা জেলা আওয়ামীলীগ এর সাবেক প্রচার সম্পাদক। বর্তমানে তার কোন পদ নেই আওয়ামীলীগ এ। কারন, জেলা আওয়ামীলীগ এর কমিটি এখনো পূর্ণ হয় নি। জনাব সোহেল হাসান শাহিন নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে না গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। কিন্তু সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে গিয়েছেন কামিল হোসেন। এখন, আমার প্রশ্ন, কামিল হোসেন বর্তমানে কোন পদে নেই, তাহলে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে সে কি সাজা পাবেন ? আর, এর চেয়ে বড় প্রশ্ন - রাকিব হাসান টিপু কিভাবে মনোনয়ন পেল!! তাকে স্বয়ং আওয়ামীলীগ এর অনেক সমর্থক ই ভোট দিবে না, এর চেয়ে বেছে নিবে আরেক সতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা এবং বর্তমান মেয়র কামরুল হাসান মিন্টুকে। সব মিলিয়ে পাবনা পৌরসভার মেয়র পদ এক হিসেবে আওয়ামীলীগ মিন্টুর গলাতেই পড়িয়ে দিয়েছে। সব থেকে মজার বিষয়, প্রার্থী নির্বাচনে মাননীয় সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদকের মতামতকেও অগ্রাহ্য করা হয়েছে। দেখা যাক, ফল ই বলে দিবে এই সিদ্ধান্ত কত টুকু সঠিক ছিল।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৫
নাসিব বলেছেন: আপনি একটা ভুল ধরে সব ভুল বলতে পারেন না ভাইজান। কিছু যায়গায় ভুল হয়েছে, কিন্তু কেন হয়েছে, এটা নেত্রীর খতিয়ে দেখা উচিৎ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আওয়ামী লীগের জন্য সুযোগ ছিল আদর্শবান প্রার্থী দেয়ার; শেখ হাসিনা সেি সুযোগ নেয়নি; আদর্শবান প্রার্থী হেরে গেলেও অসুবিধা হতো না; কারণ, বিএনপি থেকে জয়ী হলেও, উহা জেলে যেতে লাগবে ১/২ বছর।