নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একলব্যের গন্তব্য

মৃত্যুরে স্মরণ করে হয়েছি অজর।

আরন্যক নীলকণ্ঠ

এই করেছো ভালো, নিঠুর এই করেছো ভালো এমন করে হৃদয়ে মোর তীব্র দহন জ্বালো! আমার এ ধূপ না পোড়ালে গন্ধ কিছুই নাহি ঢালে আমার এ দীপ না জ্বালালে দেয়না কিছুই আলো! যোগাযোগ‍‌‌- ফেবু ঠিকানা: fb.com/wreckman.bloodsmith

আরন্যক নীলকণ্ঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুগল্প-১: ছবির ঘ্রাণ

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

বৃতি ফটোগ্রাফার, রথীন ফটোগ্রাফার না। রথীন আর্টিস্ট, পেনসিল কানে গুজে ঘোরে। বৃতির সাথে প্রথম দেখা আর্ট এক্সিবিশনের করিডোরে; রথিন ছবির কাঁচের ভেতর প্রায় মাথা ঢুকিয়ে স্কেচের কাঠকয়লার শেডটা কেমন করে করলো তাই দেখছিলো- এবং সেটা বৃতির পছন্দের 'সাবজেক্ট' ছিলো না। নেতিবাচক রঙ মাখিয়ে কথা সাজাতে ওস্তাদ বৃতি কোনরকম ভূমিকা না করেই বলে দিলো, এই যে, শুনছেন? পেনসিল স্কেচের কোনও সেন্ট থাকে না! নাকটা সরান ছবির উপর থেকে!



বিরক্ত রথীন পেছনে তাকিয়ে দেখে ঢ্যাঙা লিকলিকে একটা মেয়ে হাতে ক্যামেরা দুলিয়ে ছবির সামনে থেকে সরে যেতে বলছে। রথীনের মন মেজাজ সেদিন ভালো ছিলো না, ভালো থাকলে বিনা প্রশ্নে জায়গা করে দিতো। মুখটা ব্যাজার করে বললো, ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবির গায়ে ঘ্রাণ থাকে না, আর, যদি থাকেও আপনার কথা শুনে বোঝা যাচ্ছে আপনি কখনও সেটা পাননি!



বলাই বাহুল্য, ঘটনাটা (অথবা ঝগড়টা) তার পরেও বেশ কিছুদূর গড়িয়েছিলো!



এই ঘটনার মাস ছয় পর, এক সন্ধ্যেবেলায় জলের উপর দিয়ে ঘাসফড়িং-এর ওড়া দেখতে দেখতে রথীন ব্যস্ত হয়ে উঠে বললো, ওটার ছবি তোল, তোল, তাড়াতাড়ি, উড়ে গেলে আর শট পাবি না!



বৃতি রাগে ভ্রু বাঁকিয়ে পার্সেলটাঙে হিস হিসিয়ে বললো, কেন, তুই এঁকে রাখ, পরে নাক ডুবিয়ে ঘ্রাণ নিস!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৮

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: হাহাহা!মজার তো! :)

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৯

আরন্যক নীলকণ্ঠ বলেছেন: ধন্যবাদ!

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


বেশ মজা করে লিখেছেন।

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩২

আরন্যক নীলকণ্ঠ বলেছেন: হ্যাঁ, এক ছোট ভাইয়ের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে কাহিনীটা মাথায় এসেছিলো।

মজা লেগেছিলো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.