![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]
আমরা প্রায়ই বলি 'এই দেশের কিচ্ছু হবেনা'। হ্যাঁ, সামাজিক, রাজনৈতিক অরাজকতা, রাজনৈতিকদের দেদার দুর্নীতি তাদের মুখ থেকে এই হতাশ বাক্যটা বের করতে বাধ্য করে। তারপরেও...আমাদের চারপাশের অনেক অনিয়ম, উশৃঙ্খলতা, নেতিবাচকতার অন্ধকারের মধ্যেও কেউ কেউ আলোর দিকে চোখ রেখে হাঁটছে। সমাজের অসংখ্য অনাসৃষ্টির দায় নিজেদের নরম কাঁধে তুলে নিয়ে সেগুলো থেকেই সুন্দর কিছু সৃষ্টি করতে চাইছে। কি করছে তারা?
কিছু কিছু ছেলে মেয়ে প্রাণ বাজি রেখে দুঃস্থর জন্য রক্ত সংগ্রহ করছে।
কার কোথায় টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ আছে সেটা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ছে ভিক্ষুকের মতন। অন্যকে সাহায্য করতে চেয়ে 'টাকা মেরে ড্রাগ খায়' জাতিয় অপবাদকেও পরোয়া না করে।
কিছু কিছু ছেলে মেয়ে দৌড়াচ্ছে রাস্তায় কাগজ কুড়িয়ে সল্যুশনে নেশা করে জীবন নষ্ট করা শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায়।
যেখানেই একটু জায়গা পাচ্ছে 'কচি কচি বাচ্চাদের হাতে বই ধরিয়ে দিয়ে তাদের অক্ষর জ্ঞান দিচ্ছে।
সামাজিক ওয়েব সাইটটাকে শুধুমাত্র আড্ডার জায়গা না বানিয়ে অন্যের হিতের জন্য আন্তরিক ভাবে কাজ করতে চাইছে। একের পর এক পোস্ট দিয়ে তারা তাদের সহযোগিতা করবার জন্য অনুরোধ করে যাচ্ছে সহযোগিতা করবার এড্রেস/নম্বর সহ।
সেই সব পোস্ট কমেন্টে
শাবাশি
স্যালুট
এগিয়ে যাও
মাশাল্লাহ টাইপের প্রশংসা বাক্য আর 'সাথে আছি'র আশ্বাস বাণী ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। লক্ষ লক্ষের মধ্যে হাতে গোনা কজনই এগিয়ে আসছেন তাদের সহযোগিতায়। এরা সেই খড়কুটোকে আঁকড়ে ধরেই এগিয়ে যাচ্ছে ধৈর্য ধরে।
ওদের ধৈর্যকে সালাম।
----------
আমরা যারা নেট/ফেসবুক ইউজ করি তাদের অবশ্যই একটা সেলফোন একটা কম্পিউটার অবশ্যই আছে। সেগুলো চালাতে কিছু খরচ হয় অবশ্যই? আমরা যারা দেড়-দিন অন্তর অন্তর বন্ধুদের সাথে হ্যাং আউটের ছবি দেই সামনে মুখরোচক খাবার সামনে রেখে, বা শপিং এ গিয়ে সেলফি দেই, বা দুই ঠোঁটের মাঝে দশ টাকা দামের সিগারেট রেখে হেভি ভাবের ছবি আপ দেই, তাদের পক্ষে কি সারা মাসে নিদেন ১০০/২০০ টাকা বাঁচানো কি খুব বেশি কষ্টকর?
বন্ধুদের সাথে হ্যাং আউটের সময় ১০০ টাকা বাঁচানো যায় এমন খাবার অর্ডার দেওয়া যায়। শপিং এ গিয়ে ৬০০ টাকার লিপস্টিক এর জায়গায় ৫০০ টাকায় কেনা যায়। সারা দিনে দশটা সিগারেটের জায়গায় ৯টা পোড়ানো যায়...
আমি জাস্ট দুই তিনটা উদাহরণ দিলাম। আরও অনেক উপায়ে আমরা মাসে ১০০/২০০ টাকা বাঁচিয়ে এই পাগল ছেলেমেয়েগুলোকে সাহায্য করতে পারি চাইলেই।
আমরা কি তা করি?
কেন করিনা সেটাও কি কখনো ভাবি?
আসুন একবার ভেবে দেখি-
//
কথাগুলো ফেবুতে বলা। আমার এক আপা বলেছিলেন ক বছর আগে। আমি প্রতি বছর এখনো এটা শেয়ার করি। বলি। কিন্তু কেউ ভাবে বলে মনে হয় না।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১০
নীলসাধু বলেছেন: রাস্তায় বের হলে এক্সিডেন্ট হতে পারে
মরে যেতে পারি জেনে আমরা সবাই বাসায় বসে থাকলে কেমন হতো?
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা বলি- আসলেই এভাবে ভাবা হয় না। কিন্তু ভাবা উচিত।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩২
নীলসাধু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলসাধু,
মসীকৃষ্ণ তিমির মাঝে এটুকুই যা আশার আলো টিমটিম করে জ্বলছে। জানিনে তা দারূন ভাবে জ্বলে উঠবে কবে!
অনেকেই এসব নিয়ে ভাবেন বটে কিন্তু করেন না। কেন করেন না ? কারন, দেখে শুনে মানুষের উপর অনেকটাই বিশ্বাস উঠে গেছে এদের। যে সমস্ত ছেলেমেয়েরা এমন জনহিতৈষী কাজে নিরলস , তাদেরকেও বিশ্বাসের জায়গাতে বসাতেও তাই দ্বিধা হয়।
এই বিশ্বাস - অবিশ্বাসের দোলাচল থেকে কি করে এদের, "যারা ভাবেন করেন না"কে ছেলেমেয়েদের সাথী করে তোলা যায়, তেমন আস্থার জায়গাটির অভাব কে ঘুঁচিয়ে দেবেন ?