নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হায়দারাবাদের ডায়েরী….
জার্নি টু হায়দারাবাদ (১১/০৮/২০১৪)
অবশেষে পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিপ্লোমা কোর্স করার জন্য ইন্ডিয়ার হায়দারাবাদ যাচ্ছি… এক বছরের জন্য। অনেক অনিশ্চয়তা ছিল, সকল অনিশ্চয়তাকে পাশে ফেলে শেষ পর্যন্ত রওয়ানা হচ্ছি হায়দারাবাদের উদ্দেশ্যে। আজ রাত ৯:৪০ এ ফ্লাইট। এয়ার ইন্ডিয়ায়। প্রথমে কোলকাতা এয়ারপোর্ট। রাতে কোলকাতা থাকতে হবে। পরের দিন কোলকাতা এয়ারপোর্ট থেকে হায়দারাবাদ। দুপুর ১:৩৫ এয়ার ইন্ডিয়ার ডমেস্টিক ফ্লাইট। ১৮০০০ টাকায় ক্রয় করা এয়ার ইন্ডিয়ার টিকিটে সেরকমই উল্লেখ আছে।
গতকালকে শ্রীপুর থেকে ঢাকা এসেছি। আমি,নাফিউল ও হাস্না।পৌছতে-পৌছতে সন্ধা হয়ে গেল। এসেই শুনলাম আখিকে হসপিটালে নিতে হবে। ওর বেবি হওয়ার জন্য জরুরিভাবে সিজার করতে হবে। ওকে হসপিটালে নেওয়ার ব্যবস্থা করে ব্যস্ত হয়ে গেলাম হায়দারাবাদ যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য।প্রস্তুতি নেওয়া সেরে আবার দৌড়ালাম হসপিটালে।শুভ সংবাদ।আবার আমি মামা হয়েছি।আখির ছেলে হয়েছে।সবাই খুব খুশি। আব্বা এসেছে ফরিদপুর থেকে….
এয়ারপোর্টে আমাকে বিদায় দেওয়ার জন্য আমার সাথে আসল রুইচ,মিলন,হাস্না ও আমার প্রাণপ্রিয় নাফিউল।ওদের সবাইকে রেখে ঢুকে গেলাম বোডিং পাসের জন্য।বোডিং পাস করে ওদের কাছে ফিরে এলাম বিদায় নেওয়ার জন্য। নাফিউল কোনভাবেই আমাকে ছাড়তে রাজি হচ্ছিল না।সে আমার সাথে বিমানে চড়বে।বারবার সেকথাই বলছিল। অনেক কষ্টে বুঝিয়ে-শুনিয়ে ওদের নিকট থেকে বিদায় নিলাম।বিদায় নিয়ে ইমিগ্রেশনের জন্য লাইনে দাড়ালাম। অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডার হওয়ার জন্য ইমিগ্রেশন ফরমালাটিস খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে গেল…
এয়ার উন্ডিয়ার ফ্লাইট নং০২২৯ এ ওঠার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।যাত্রী কম থাকার কারনে বিশ মিনিট আগেই প্লেন ছেড়ে দিল।ইচ্ছামতো জানালার পাশের একটি সিটে বসেছি।জীবনে প্রথমবারের মতো প্লেনে উঠেছি।একটা অন্যরকম অনুভুতি হচ্ছিল।ঘোষনা আসল সিট বেল্ট বাধার জন্য।সিটবেল্ট বাধলাম।রানওয়েতে এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেন দৌড়তে শুরু করল।একসময় উড়তে শুরু করল …. আমি জানালা দিয়ে দেখছিলাম ইট-সিমেন্টের ঢাকা শহরকে….
কোলকাতা (১১/০৮/২০১৪)
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান উড়ছে।আমি জানালার পাশের একটি সিটে বসে আছি।জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছি।আকাশে জ্যোস্নার আলো।ভরাট চাঁদ যেন একদম বিমানের পাশে…।বিমান থেকে বেরিয়ে হাত বাড়ালেই ছোয়া যাবে।এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান মাঠ,ঘাট,পথ,প্রান্তর,শহর,গ্রাম সব পেছনে ফেলে উড়ে যাচ্ছিল।মাঝে-মাঝে বিভিন্ন শহরের আলোকিত বিল্ডিং দেখা যাচ্ছিল…
এক ঘন্টার মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান কোলকাতায় পৌছে গেল।বিমান থেকে নামলাম।কোলকাতা এয়ারপোর্টের সকল ফরমালিটিজ শেষ করলাম।লাগেজ বুঝে নিলাম। এখন কোলকাতা এয়ারপোর্টের আশেপাশে কোন একটা হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। জীবনে প্রথম বারের মতো দেশের বাইরে…।নানারকম শংকা কাজ করছে…। বেড়িয়ে এলাম এয়ারপোর্ট থেকে। একটি ট্যাক্সি নিলাম। ট্যাক্সি ওয়ালাকে বলে এয়ারপোর্টের তিন কিলোমিটারের মধ্যে একটি হোটেল ম্যানেজ করে ফেললাম। হোটেল রিজিন্সি। একরাতের ভাড়া ১০০০ রুপি।ট্যাক্সিওয়ালার ভাড়া পরিশোধ করে রুমে ঢুকে পড়লাম।নন এসি রুম।একদম খারাপ না । এটাচ বাদ, টেলিভিশন, ফোন আছে। বেশ গরম পড়েছে। ফুল স্পিডে ফ্যান ছেড়ে দিলাম।রাতের খাবার অর্ডার দিলাম।সবজি ডাল ভাত ২২০ রুপি।
১১:৩০ বেজে গেছে।রাতের খাবার সেরে ফেললাম।প্রথমবারের মতো দেশের বাইরের কোন হোটেলের খাবার খেলাম।খেতে হবে তাই।তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া দরকার।সকালে আবার কোলকাতা এয়ারপোর্টে দৌড়তে হবে।সেখান থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার ডমেস্টিক ফ্লাইটে হায়দারাবাদ।
ঘুমানোর চেষ্টা করছি। ঘুম আসছে না।লাইট বন্ধ করলাম। প্রথমবার পরিবার পরিজন ছেড়ে এতো দূরে দেশের বাইরে পা রেখেছি। নাফিউলের কথা মনে পড়ল।বুকের মধ্যে কেমন একটা চাপা কষ্ট শুরু হয়েছে।মনে হচ্ছে দম বন্ধ হয়ে যাবে। বিছানা থেকে উঠে পরলাম। লাইট জালালাম।টেলিভিশন ছেড়ে দিলাম।নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলাম। অবশেষে একসময় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম….
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪
ইমরান আশফাক বলেছেন: ওখানকার লোকজোন বন্ধু বত্সল। তবে বেশি লোকজোনকে বিস্বাশ করবেন না, পরে পসতাবেন।
৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৮
নিয়ামুলবাসার বলেছেন: ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপীকে সাহস যোগানোর জন্য.... আমার দেশের বর্ননা আপনাকে শুনাবো একদিন..... ধন্যবাদ ইমরান আশফাককে পরামর্শ দেওয়ার জন্য....
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: প্রথম ভ্রমনের ব্যাপারটা বেশ সুন্দর উপস্থাপনায় ভাল লাগলো। আগ্রহ হচ্ছে নিযামের দেশের বর্ননা শুনতে। যাত্রা শুভ হোক এই কামনায়।।