![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবুতর এককালে ডাকপিয়নের কাজও করত। রাজকন্যার মনের কথা দিয়ে আসত রাজপুত্রকে। দরবেশ আদম শহীদের কাছে যুদ্ধে হেরে গেলে বিক্রমপুরের রামপালের রাজা কবুতর দিয়ে বাড়ির মেয়েদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। ই-মেইল যুগে এখন আর এর দরকার হয় না। তবে কবুতর দিয়ে এখন করা যায় আয়-রোজগারও
একজোরা কবুতরের দাম সর্বচ্চ কত হতে পারে বলে আপনার ধারনা? ১.৫ লক্ষ টাকা জোড়া কবুতর আছে আমাদের দেশে! না আপনি ভূল শুনছেন না আমি যখন প্রথমবার শুনেছিলাম তখন আপনার মতই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
নিচে কিছু কবুতরের নাম ও দাম সর্ম্পকে ধারণা দেয়া হল
১. গিরিবাজ ( Gribaz) দাম (৫০০-২০০০০)
২. গোলা ( Gola ) দাম (৫০০-২০০০০)
৩. লক্ষা ( Lokkha ) দাম (৩০০০-৮৫০০০)
৪. সিরাজী ( shirazi) দাম (৩০০০-৩৫০০০)
৫. য্যাকবিন ( Jacobin) দাম (৫০০০-৮০০০০)
৬. হুমা ( Huma) দাম ( ৩০০০-১০০০০০ )
৭. ম্যাকপাইপুটার ( Magpie Pouter ) দাম ( ১০০০০-১৫০০০০)
৮.কিং (King) দাম ( ৮০০০-৫০০০০)
কবুতরের খাবার
বিভিন্ন রকম কবুতরের খাবারও ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।গোল্লা প্রজাতির কবুতর সাধারণত সব ধরনের শস্যদানাই খায়। আর গিরিবাজ কবুতরে খায় ধান, গম, সরিষা, তিসি, ভুট্টা, কুসুম ফুলের বিচি ইত্যাদি। ফেন্সি কবুতরের খাবার হচ্ছে ডাবি্ল বুট, ছোলা বুট, গম, সূর্যমুখীর বিচি, কুসুম ফুলের বিচি ইত্যাদি। হোমারের খাবার একেবারেই ভিন্ন। ১৭ পদের শস্যদানা পরিমাণমতো মিশিয়ে এদের খাবার তৈরি করা হয়। এ খাবারে অন্তর্ভুক্ত থাকে বাদাম, ডাবি্ল বুট, ছোলা বুট, সূর্যমুখীর বিচি, কুসুম ফুলের বিচি, তিসি, বাজরা, চিনা, মুগ ডাল, মাসকলাই, মসুর, হেলেন ডাল ইত্যাদি। যখন হোমার কবুতরকে প্রতিযোগিতার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তখন এই খাবারের পাশাপাশি ধানের সঙ্গে মাখন বা ঘি মিশিয়ে খাওয়ানো হয়।
কবুতর পালন
কবুতর সাধারণত ছয় মাস বয়সে ডিম দেয়। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে সময় লাগে ১৭ থেকে ১৮ দিন এবং বাচ্চার এক মাস বয়সেই মা কবুতর আবার ডিম দেয়। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার পর থেকে বাচ্চাকে খাবার খাওয়ানো থেকে শুরু করে সব ধরনের যত্ন মা কবুতরই করে। খাবার জন্য বাণিজ্যিকভাবে বাচ্চা উৎপন্ন করতে চাইলে ১৫ থেকে এক মাস বয়সী বাচ্চা বাজারে বিক্রি করা যায়। আবার রেসের জন্য কবুতরকে বাচ্চা বয়স থেকেই আলাদাভাবে যত্ন নিতে হয়। রেসিংয়ের জন্য নির্বাচিত কবুতরকে জন্মের চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই পায়ে একটি ট্যাগ রিং পরানো হয়, যেখানে থাকে একটি কোড নম্বর, জন্ম সাল এবং দেশের কোড নম্বর। কবুতরটির বয়স দুই থেকে তিন মাস হলেই পরিবার থেকে আলাদা করে ভিন্ন খাঁচায় রাখা হয়। চার মাস বয়স হলে আবারও খাঁচা পরিবর্তন করা হয়। এবার খাঁচা থাকে ঘরের বাইরে। এ সময় কবুতরটি তার বাসস্থান ও পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা পায়। ছয় মাস বয়সে বাসস্থানের আশপাশে সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওড়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এভাবে রেসার কবুতর উড়তে শেখে এবং ধীরে ধীরে ওড়ার বেগ ও দূরত্ব বাড়তে থাকে।
কবুতরের রোগবালাই
পর্যাপ্ত যত্নের পরও কবুতরের বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। কবুতরের একটি অতিপরিচিত রোগ হলো রানিক্ষেত। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এ রোগ প্রতিরোধে কবুতরকে তিন দিন বয়সে একবার, ২১ দিন বয়সে একবার, এরপর প্রতি দুই মাস অন্তর প্রতিষেধক টিকা দিতে হয়। বসন্ত একটি পরিচিত রোগ। এ রোগের জন্য ডিম পাড়ার আগে মা কবুতরকে এবং বাচ্চাকে ২১ দিন বয়সে টিকা দিতে হয়। কলেরা রোগের জন্য জন্মের দুই মাস বয়সে টিকা দিতে হয়। এ ছাড়া কবুতরের ঠাণ্ডা-জ্বর হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রেনামাইসিন ট্যাবলেটের সঙ্গে মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। কবুতরের আরেকটি পরিচিত অসুখ হলো বদহজম। বদহজম হলে কবুতরকে এজাইম ট্যাবলেট বা বিট লবণের পানি খাওয়াতে হয়। কবুতরের মালিক যদি কবুতর মালিক সমিতির সদস্য হন তবে সংগঠন থেকেই ওষুধ বা টিকা সংগ্রহ করতে পারবেন। অথবা ঢাকার গুলিস্তানের কাছে ফুলবাড়িয়ায় অবস্থিত জাতীয় পশু হাসপাতালে কবুতরের যাবতীয় চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায়।
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
নিঝুম দ্বীপ বলেছেন: বর্ণান্ধ আপনি নিজে কি কাজ করেন? কি দেখে আপনার মনে হল যে আমার কোন কাজ নেই?
৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
পথের দাবী বলেছেন: বুঝালাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৪
বর্ণান্ধ বলেছেন: কাম নাই কোনও?