![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা পড়তে আর লিখতে ভালোবাসি।
আমরা যারা ৭১' পরবর্তী প্রজন্ম, আমাদের দীর্ঘ সময় যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রসঙ্গে এক ররকম অন্ধকারেই রাখা হয়েছিলো। দীর্ঘ ২ যুগ সময়ে আমাদের বোঝানো হয়েছিলো স্বয়ং বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন। তাই তাদের বিচার চাওয়ার কোন সুযোগ নেই। অথচ, বঙ্গবন্ধু তার জীবদ্দশাতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে গেছেন। তাঁর সময়েই সাড়ে সাতশ'র (৭৬৬) উপর যুদ্ধাপরাধীদের বিভিন্ন মেয়াদের সাঁজা হয়েছিলো, আর অপেক্ষায় ছিল সাড়ে ন'হাজারের উপর অপরাধীদের বিচার কার্যক্রম। পুচকে ২৫ হাজারের মত রাজাকার-আল বদর- আল সামস সদস্যকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়ে ছিলো।
৭৫'এ পটপরিবর্তনের পর, জেনারেল জিয়া ৩১ ডিসেম্বর দালাল আইন বাতিলের মাধ্যমে তাদের শুধু মুক্তিই দেননি, তাদের এই দেশে রাজনীতি করার সুযোগও করে দেন।
তিনি শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, একজন সেক্টর কমান্ডারও ছিলেন (স্বাধীনতার ঘোষক বিশেষণটা যোগ করলাম না, তিনি কখনই বলেন নি যে তিনিই স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন)! তিনি কেন এ কাজ করলেন? এ প্রশ্নের উত্তর আজো জানা হল না। এখনো তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল এই যুদ্ধাপরাধীদের তথা ৭১'এর রাজাকার-আল বদর- আল শামস বাহিনীকে বুকে জরিয়ে রেখেছেন। আর সময় সময় ৭১'এ শহীদদের স্মরণকালে মায়া কান্নায় বুক ভাসিয়ে দেন। ক্যানো? আর কতকাল তাদের এই মিথ্যে অশ্রু জল আমাদের দেখতে হবে! আর কত কাল!
অনেক নেতা-বুদ্ধিজীবি এই সময়ে এইসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে অনেক প্রশ্ন তোলেন। স্বচ্ছতার কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের কথা বলেন। আরে বাবা, এরা কোন স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কিংবা কোন আন্তর্জাতিক আইন মেনে ৭১'এ গণ হত্যা চালিয়েছিল? তাদের তাণ্ডব বন্ধ করতে কোন জাতি হুঁশিয়ার করে ছিল?
কানাডা কখনি এমন তাণ্ডব দেখেনি, তাই তারা এই বিভীষিকাময় যন্ত্রণা বুঝবে না। তাঁরা যদি এমন তাণ্ডব এমন বিভীষিকাময় সময় দেখতো, তবে এমন অপরাধীদের ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে মৃত্যুদণ্ড দিতে দুবার ভাবতো না। যেমনটি যুক্তরাষ্ট্র করে থাকে! তাঁরা মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বলে। কিন্তু নিজেদের স্বার্থে যখন আঘাত আসে। সোজা অপরাধীদের পাঠিয়ে দেয় গ্যাসচেম্বারে কিংবা দাঁড় করিয়ে দেয় বন্দুকের সামনে। বিন লাদেনকে তো বিচারের সম্মুখীনের সুযোগই দেয়নি! এক দেখাতেই শেষ করে দিয়েছে? এমনকি তাকে তাঁর মৃত্যু পরবর্তী ক্রিয়াকর্মের সুযোগও দেয়নি! সাদ্দামকে ফাঁসি দিয়েছে, তাও ঈদের দিন প্রত্যুষে। আর তারা বলে কি না মানবতার কথা! তাদের তাবেদারি করতেই কি কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হল?
মনে রাখতে হবে, ৭৫'এ সাজা প্রাপ্তরা মুক্ত হয়েছে! কি নিশ্চয়তা আছে যে আগামীতে লঘু শাস্তি প্রাপ্তরা মুক্তি পাবে না? তাদের রাজবন্ধি হিসেবে দেখা হবে না! গলায় গাঁদার মালা পড়ে মুক্ত হবে না? কিংবা গাড়িতে ফ্ল্যাগ উড়িয়ে দেশ দাবড়িয়ে বেড়াবে না!
আর যেন তারা রেহাই না পায়। মৃত্যু দণ্ডই তাদের একমাত্র শাস্তি। সামান্য করুনা পাবার যোগ্যও তারা নয়। যুদ্ধাপরাধীর বিচারের নামে আর কোন প্রহসন দেখতে রাজি নয় ৭১'পরবর্তী প্রজন্ম।
এই আন্দোলন চলবেই চলবে। যতক্ষণ পর্যন্ত একজন রাজাকার-আল বদর-আল সামস এই বাংলার বুকে থাকবে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
নীল ফিউজিটিভ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ...
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
s r jony বলেছেন: পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ।
নতুন'রা এই পোস্ট পড়ে ইতিহাস জানতে পারবে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
নীল ফিউজিটিভ বলেছেন: তমাকেও অনেক ধন্যবাদ...
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬
আগে নাকি ভালো ছিলাম বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। সবাইরে জানানো উচিত।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭
নীল ফিউজিটিভ বলেছেন: এই সুযোগ... আমাদের সব বুঝে ন্যাবার...দেশ প্রেমী চিনে নেবার...
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
সংকেত মাহমুদ বলেছেন: হুম, মুজিব মরার আগের দিন পর্যন্ত আটক ১১ হাজারের ২ হাজারের বিচার সম্পন্ন হয় যার মধ্য ৭৫২ জনের ফাসিসহ বিভিন্ন দন্ডাদেশ হয় আর চলতে ছিল সাড়ে ন'হাজারের উপর অপরাধীদের বিচার কার্যক্রম।
আজকের সাকা,কামারুজ্জামান এরা ছিল ৭২ ই দায়ের করা মুক্তিযুদ্ধে হত্যা মামলার পলাতক আসামী ।১৯৭২ সালে কামারুজ্জামান, সাকার বিরুদ্ধে মামলা ছিলো।
ক) রাজাকার কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার পর প্রথম মামলা হয় ১৯৭২ সালে। মামলার নম্বর হচ্ছে- (৫)৭২, জি আর নং- ২৫০ (২) ৭২। মামলা করেন শহীদ বদিউজ্জমানের ভাই হাসানুজ্জামান। উল্লেখ্য যে, কামারুজ্জামান তখন পলাতক আসামী ছিলো।
খ) সাকা চৌধুরীর নামে ১৯৭২ সালে দালাল আইনে চট্রগ্রাম জেলার হাট হাজারী থানায় ১৩/৪/১৯৭২ তারিখে ১৭ নং মামলা দায়ের হয়। রাউজান থানা ৪১(১)৭২ নং এবং ৪৩(১)৭২ নং মামলা দায়ের করা হয়।
ইতিহাস বলে এবং ডকুমেন্টস বলে যে, উক্ত ২ জন কখনোই সাধারণ ক্ষমার জন্য আবেদন করেনি। এবং তারা পলাতক আসামী হিসেবেই ১৯৭৫ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর এই দালাল আইন বাতিল হবার আগ পর্যন্ত বিদ্যমান ছিলো।
কিন্তু তারা পলাতক ছিলো চোরের মতন