নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, নিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ ভৌতিক কাহিনী - জ্বীন সাধনা! (প্রথম পর্ব)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৩



ভর দুপুরবেলা। রিক্সা থেকে নেমেই তাড়াহুড়া করে কুরিয়ার সাভির্সের একটা দোকানে ঢুকল রুমি। ছোট কাগজে লেখা একটা গোপন নাম্বার দেখাতেই দোকানদার ওর হাতে একটা মাঝারি সাইজের প্যাকেট তুলে দিলে সেটা সাইন করে রিসিভ করল রুমি। ভালো করে প্যাকিং করা। একটু দূরে সড়ে এসে প্যাকেট ছিড়ে ভিতরের সবকিছু ঠিক আছে নাকি দেখে নিল ও! প্যাকেটের ভিতরে অর্ডার করা জিনিসপত্র আর বিশেষ করে সুন্দর করে বাঁধানো অতি প্রাচীন একটা বই দেখে ওর মনটা সাথে সাথেই উড়ু উড়ু হয়ে গেল! অনেক, অনেকদিন ধরে ঠিক এই বইটাই খুঁজছিল রুমি……….

এক
শুক্লাপক্ষের প্রথমরাত। ভরা পূর্ণিমার পূর্ণ চাঁদের আলোয় সবকিছু ঝিকমিক করছে। খোলা জানালা দিয়ে সেই আলো এসে রুমির পুরো ঘরটাই আলোকিত করে রেখেছে! হাতঘড়িতে সময় দেখল ও! রাত বারটা বাজতে দশমিনিট বাকি। বিছানা থেকে উঠে, টেবিলের উপর রাখা একটা বড়বাক্স হাতে নিল ও। তারপর একদম চুপচাপ দরজা খুলে রুম থেকে বের হয়ে আসল ও। বাসার একদম শেষ মাথায় একটা ছোট স্টোররুম আছে, সেটা আজকে প্রাচীন বইটার কথামতো সাফসুতর করে পাকপবিত্র করবে ও। স্বচ্ছ পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় সেই ঘরের তালা খুলে ভিতরে ঢুকল রুমি……


দুই
দরজীর দোকান থেকে পরেরদিন বিকেল বেলা পছন্দমতো বানানো কাপড়গুলি নিয়ে বাসায় ফিরল রুমি। যথেষ্ঠ সাফসুতর করে গতকালকে ঘরটা কাজে লাগানোর মতো তৈরি করলেও, আজকে থেকেই প্রথম সাধনায় বসতে হবে ওর। চান্দ্রমাসের প্রথম সপ্তাহের প্রথম বৃহঃস্পতিবার আজ। সাধনার জন্য একটি নির্জন পাকপবিত্র ঘর নির্বাচন করার কথা বইয়ে পড়ার সাথে সাথেই ঐরুমটার কথা মাথায় আসে ওর। পূর্বমুখি রুম, পর্যাপ্ত আলো বাতাস রুমে আসা যাওয়া করে, রাস্তা থেকে দূরে হবার জন্য কোলাহল আর আওয়াজ মুক্ত থাকে সবসময়, ঠিক যেমন বইটাতে লেখা আছে! পুরোঘরটাই ভালো করে তীব্রভাবে আতর দিয়ে ও সুগন্ধিময় করে তালা দিয়ে রেখেছে গতকালকে থেকে……

বইটার দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী একটি শুভমুর্হুত দেখে আজকে দিনের বেলা প্রয়োজনীয় সব দোয়া কালাম মুখস্ত করে ফেলেছে রুমি। রাত বারটা বাজার সাথে সাথেই বিছানা থেকে উঠে ঐরুমটাতে চলে আসল ও। সেলাইবিহীন একরঙ্গা পশমী কাপড়ের পোষাক পড়ে মাথায় বড় করে বানানো টুপিটা পড়ল। পরিষ্কার মেঝেতে পশমী কাপড় দিয়ে বানানো একটা ছোট কার্পেট বিছিয়ে, পশ্চিমমুখী হয়ে বসে, নতুন একটা কাঠের তসবী কার্পেটের উপর রাখল। নিজের সারাদেহে তীব্র আতর দেয়ার পর, সারাঘরেও একই আতর ভালো করে ছিটিয়ে দিল। এরপর সারাঘরে লাল জংলি গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে দিয়ে, সাতের গুনিতক বেশ কিছু নির্দিষ্ট মাপের সাদা পশমী কাপড় বের করে সামনে রাখল রুমি। সর্বপ্রথম এই কাপড়গুলি দিয়ে সাধনার সলতে বানাতে হবে। গোলাপজল, মেশক, কস্তুরী ভালো করে মিশিয়ে প্রতিটা সাদা কাপড়ের উপর বইয়ে দেয়া নির্দিষ্ট একটা নকশা আঁকতে শুরু করল রুমি।

মোট একুশটা সলতে বানানো হলে, সেগুলি কার্পেটের উপর রেখে, কার্পেটের সামনে চক্রাকারে সাতটা মোমবাতি মেঝেতে রেখে জ্বালিয়ে দিল রুমি। এইবার আসল কাজ শুরু করতে হবে……

বইয়ে দেয়া প্রথম দোয়াটা একুশবার অস্ফুটস্বরে বলার পর, দ্বিতীয় দোয়াটাও এগারশত একুশবার একই ভাবে পড়ল রুমি। তারপর, প্রথম বানানো সলতেটা খাঁটি সরিষার তেলে চুবিয়ে মাটির একটা প্রদীপ হাতে নিয়ে সেখানে রেখে আগুনে ধরিয়ে দিল ও। আজকে এই সলতেটাই সারারাত জ্বলতে থাকবে। এইসময়ে একাগ্রচিত্তে রুমি জ্বীন হাজির করার একটা দোয়া নিয়ম মেনে বারবার পড়ে যেতে লাগলো।
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। আছমানে সুলেমান চন্ডাল কুন্ডাল,
জিন আখফান আমার বশে আন। জুল জাল মহা ইন্দ্রজাল।
আমার বাক্য ঠেলেনা। জিন আখফান মহাকাল।
সুলেমান নবী আল্লার বাক্যে রও।
আল্লার হুকুম জিন্নি আমার আয়ত্ব হও।


ঠিক এই নিয়মেই আগামী একুশ দিন রুমিকে টানা সাধনা করে যেতে হবে…..

তিন
টানা তিনদিন ধরে সাধনা করে যাচ্ছে রুমি। আজকে প্রায় ভোররাতের দিকে প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে দুইচোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিচ্ছিল ও। হঠাৎ ঘরের টিনের ছাদের উপর ধুপ করে একটা শব্দ হলো। মনে হলো খুব ভারী কিছু যেন একটা ছাদের উপর এসে পড়ল। চোখ খুলে কানখাড়া করে রইল রুমি! ভয় কাটিয়ে জ্বীন হাজির করার জন্য নিয়ম মতো আবার দোয়া পড়া শুরু করল ও-
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। আ’যামতু আ’লাকুম ইয়ামা’
শারাল জিন্নি ওয়াল ইনশি রবতান রবতান, মাহলান মাহলান,
নাশরান নাশরান, মাহশারান মাহশারান, বিহাক্কি সুলাইমানা
পয়গামবারা ইনি দাউদা আ’লাইহমাসসালামা,
হাজির শাও, হাজির শাও, হাজির শাও।


প্রতিবার হাজির শাও বলার সময় একবার করে নিয়ম মতো হাতে তালি দিল রুমি।

এগারবার দোয়া পড়ার পর ঘরের ভিতরেই খচখচ আওয়াজ ক্রমাগত শুনতে পেল ও। মনে হলো খুব ভারী কিছু ঘরের ভিতরে একজায়গা থেকে অন্যজায়গায় কেউ যেন টেনে নিয়ে যাচ্ছে। তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখ দুটি থেকে সাথে সাথেই ঘুমের রেশটা কেটে গেল ওর। বৈশাখ মাসের প্রচন্ড গরমের সময়েও ঘরের ভিতর নিঃসীম শীতলতা অনুভব করল ও। কিছু একটা ঠিক নেই! ওর অবচেতন মন বলছে ঘরের ভিতরে কিছু একটা চলে এসেছে। হুট করেই সবগুলি মোমবাতি আর সলতের আগুন ধুপ করে নিভে গেল, সাথে সাথেই শুনতে পেল এক অপার্থিব ফিসফাস আওয়াজ! সেই ফিসফাস যেন প্রতিনিয়ত অনুরণিত হচ্ছে সারাঘরের প্রতিটা কোনা থেকে, একবার জোরে আর একবার আস্তে! শুধুই নিঃসীম গলিত অন্ধকারের মাঝে ভয়ংকর এক চরম বাস্তবতার ক্রমাগত প্রমাণ শোনা যাচ্ছে ফিসফাসের তীক্ষ্মতার এই হঠাৎ তারতম্যে! রুমি সামনে তাকিয়ে দেখল সেই গভীর অন্ধকারের ভিতর থেকে খুব ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে একটা অপার্থিব শারীরিক অবয়ব…….

হঠাৎ বদলে যাওয়া চারপাশটা বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে দেখতে লাগল রুমি। সিরসির করা একটা ঠান্ডা ভয়ের স্রোত রুমির মাথা থেকে পা পর্যন্ত বয়ে গেল! বইয়ে তো এই রকম হবার কথা লেখা ছিল না। নিয়ম মতো সালাম দিয়ে নাম জিজ্ঞেস করলো রুমি, কিন্তু কোনই উত্তর আসল না। কোন কিছুতে কি ও ভুল করেছে? ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে সেই অবয়ব! স্পষ্ট হয়ে উঠছে বিভৎস পোড়া একটা মুখ, যার চোখের দুইটা গর্তই ফাঁকা। গলে পড়ছে শীর্ন কংকাল প্রায় হাতের চামড়াগুলো। কংকালের মতো মুখের ঠোঁটের কোনায় জমে আছে শয়তানি প্রতিভূ একটা কুৎসিত হাসি। ওটার পায়ের দিকে হঠাৎই নজর গেল রুমির। মেঝে থেকে প্রায় একহাত উপরে শুন্যে ভাসমান অবয়বটার দুইটা পা গোড়ালী থেকে একদম উল্টো দিকে ঘুরানো। কোন শব্দ না করে শুধুই দুইহাত সামনে বাড়িয়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে রুমির দিকে। চোখ দুইটা প্রচন্ড আতঙ্কে প্রায় বেড়িয়ে আসতে চাইলো রুমির। অস্বাভাবিক হারে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাচ্ছে ওর, সারা দেহ ঘামে ভিজে যাচ্ছে। অনেক চেস্টা করেও মনে করতে পারল না ঠিক এই সময় কি করতে বলা হয়েছিল বইটাতে! কোন চিৎকারও করতে পারলনা ও! অসহায়ের মতো ফ্যালফ্যাল করে শুধুই তাকিয়ে আছে সামনের দিকে। শুধু হাড় সদৃশ্য হাত দুইটা ওকে স্পর্শ করার আগেই প্রচন্ড আতঙ্কে জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পরল রুমি……….

চার
রুমিকে পরের দিন সকাল থেকেই বাসায় খুঁজে না পাওয়ায় বাসার সবাই চারিদিকে খুঁজাখুঁজি শুরু করল। আর দুপুরবেলা অজ্ঞান অবস্থায় বাসা থেকে বেশ দূরে একটা বড় পুকুরের পাশে পরিত্যক্ত বাঁশঝাড়ের ভিতর পাওয়া গেল। বাসায় যখন নিয়ে আসা হলো তখনও রুমি অজ্ঞান! সবাই ওর জ্ঞান ফেরার জন্য অপেক্ষা করছে। বাসায় নিয়ে আসার অনেকক্ষন পরে জ্ঞান ফিরে আসল রুমির কিন্তু কিভাবে ও বাঁশঝাড় পর্যন্ত গেল সেটা কিছুতেই মনে করতে পারল না। এর মধ্যেই রুমির গায়ে প্রচন্ড জ্বর চলে আসল। গায়ে পানি, মাথায় পানি ইত্যাদি শত চেস্টার পরও কোনভাবেই রুমির জ্বর কমানো যাচ্ছে না। চোখ বন্ধ রেখেই মাঝে মাঝে অস্পষ্ট স্বরে কি যেন প্রলাপ বকছে রুমি। ভাষাটা এতই দুর্বোধ্য যে কেউ সেটার অর্থও বুঝতে পারল না। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রায় সন্ধ্যার সময় ডাক্তার ডেকে আনার পর উনি রুমির অবস্থা ভাল ভাবে দেখে স্যালাইনের সাথে একটা ইঞ্জেকশন দিয়ে বললেন পরবর্তি আট নয় ঘন্টা শারীরিক দুর্বলতার জন্য টানা ঘুমাবে রুমি।

রাত প্রায় বারোটা। রুমি এখনও টানা ঘুমাচ্ছে ডাক্তার সাহেবের কথা মতো। রুমির পাশে রুমির আব্বা শুয়ে আছেন। হঠাৎ করেই উনার মনে হলো কে যেন বাইরে থেকে জানালায় জোরে জোরে বাড়ি দিচ্ছে। আবার ঘরের সাথে লাগোয়া বারান্দায় কার যেন হাঁটার আওয়াজ শুনলেন উনি। বিছানা থেকে উঠে বসতেই খেয়াল করলেন রুমি বেশ জোরেই বিছানায় ছটফট করছে। ঘর জুড়ে একটা বিশ্রি পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, প্রায় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম। ভয়ে উনি প্রায় সাথে সাথেই জোরে জোরে আয়াতুল কুদসী পড়া শুরু করলেন। ঘরের বিশ্রি পোড়া গন্ধটা কমে আসল আর রুমিও ছটফট বন্ধ করে গভীর ভাবে ঘুমিয়ে গেল। কিছুক্ষন অপেক্ষা করে সব কিছুই স্বাভাবিক দেখে উনিও রুমির পাশে আবার ঘুমিয়ে পড়লেন। ঘুমের ঘোরে উনি প্রায় এক ঘন্টা পরে খেয়ালও করলেন না রুমির সারাদেহ শুন্যে ভাসতে ভাসতে ঘরের দুইটা বদ্ধ জানালার গ্লাসের সাথে যেয়ে ক্রমাগত বাড়ি খেতে লাগলো..........

পাঁচ
সকাল বেলা ঘুম ভেঙ্গে যাবার পরও রুমির জ্বর কমল না। জ্বরের ঘোরে দুর্বোধ্য ভাষায় চিৎকারের সাথে সাথে প্রচন্ড আতংকে বার বার কেঁপে কঁপে উঠছে রুমি। অবস্থা বেগতিক দেখে আশেপাশে সবার সাথে পরামর্শ করে জ্বীন তাড়াতে পারে এইরকম একজন কবিরাজ বা ওঝাকে দুপুর বেলা বাসায় ডেকে আনতে গেল রুমির বাবা।
কবিরাজ বাসায় এসে সবকিছু শুনে রুমির বাবার সামনেই তন্ত্র মন্ত্র পড়ে ফুঁ দেয়া শুরু করল। অল্প কিছুক্ষন রুমি চুপ করে থাকার পর হঠাৎই প্রচন্ড ক্রোধে গর্জন করে এগিয়ে এসে ডান হাত দিয়ে কবিরাজের টুটি চেপে ধরল। কবিরাজের উচ্চস্বরের চিৎকার শুনে আশেপাশের সবাই এগিয়ে এসে কোন রকমে রুমির হাত থেকে কবিরাজকে ছুটাল। রুমির হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার সাথে সাথেই কবিরাজ রুমিদের বাসা থেকে বের হয়ে গেল।
রুমির আব্বা যতটুকু বুঝার বুঝে ফেললেন। দিনের বাকী সময় এবং প্রায় সারারাত উনি অথবা বাসার কেউ একজন রুমির পাশে বসে দোয়া কালাম পড়তে পড়তেই কাটিয়ে দিল...............

ছয়
পরের দিন রুমির বাবা নিজ এলাকার জামে মসজিদের খতিব সাহেবের সাথে দেখা করেন। রুমির এই সমস্যার কথা খুলে বলতেই উনি উত্তর দিলেনঃ
-আপনার এই কাজের জন্য ভালো একজন রাকী দরকার। আমি এই কাজ করি না। তবে আপনি যখন এত কষ্ট করে আমার কাছে এসেছেন, আমি আসলেও রুমির উপর আছর হয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখছি।

রুমির বাবা'র সামনেই পরিষ্কার পাকা মেঝের উপর উনি মাটি ছড়িয়ে দিয়ে বড় একটা চর্তুভুজ আঁকলেন। তারপর রুমির বাবার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে সেই চর্তুভুজের ভিতরে অনেকগুলি ছোট ছোট ঘর কেটে তাতে আরবীতে প্রতিটা ঘরের ভিতরে লিখলেন। তারপর কিছুক্ষন দোয়া পড়ার পর বিসমিল্লাহ বলে রুমির বাবার দেয়া তথ্যের সাথে মিলিয়ে সুনির্দিস্ট একটা দোয়া পড়তে পড়তেই ছোট ছোট ঘর গুলি নিজের আংগুল দিয়ে কাটতে শুরু করলেন। দোয়া পড়া শেষ হলে শেষ পর্যন্ত একটা ঘর কাটতে বাকি রয়ে গেল দেখে উনি রুমির বাবাকে বললেনঃ
-রুমির উপর অবশ্যই আছর হয়েছে। আপনি অতি সত্তর ভালো কোন একজন রাকীর সাথে দেখা করুন।

রুমির বাবা এইরকম রাকী কাউকেই চেনেন না বলে খুব করে অনুরোধ করলেন উনার পরিচিত ভালো একজন রাকী'র ঠিকানা দেয়ার জন্য। খতিব সাহেব উঠে যেয়ে ভিতর থেকে একটা কাগজ লিখে এনে রুমির বাবার হাতে দিয়ে বললেন খুব তাড়াতাড়িই যেন উনার সাথে যোগাযোগ করা হয়……


পরের পর্ব আগামী পরশুদিন পোস্টে দেয়া হবে।


১। জ্বীন আছর করার সঠিক পদ্ধতিটা আমি ইচ্ছে করেই কিছুটা পরিবর্তন করে লিখেছি। বলা তো যায় না, কেউ যদি নিজের আগ্রহ নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে…….
২। জ্বীন জাতীর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না, কারন পবিত্র কুরআন শরীফে বহুবার এদের কথা বলা হয়েছে।


উৎর্সগঃ
আমার খুব প্রিয় করুণাধারা আপুকে। এইসব রহস্যময় বিষয়গুলি আপুর খুব প্রিয়। ঠিক জানি না কতটুকু ভালো লিখতে পেরেছি! দ্বিতীয় পর্বও লেখা শেষ। মূল্যায়নের দায়ভার যথারীতি আমার সম্মানিত পাঠকদের কাছেই রেখে গেলাম।

এই সিরিজের আগের গল্পগুলি যারা পড়তে চান, তাদের জন্য-
১। গল্পঃ ভৌতিক কাহিনী - পরী সাধনা! (প্রথম পর্ব)
২। গল্পঃ ভৌতিক কাহিনী - পরী সাধনা! (দ্বিতীয় পর্ব)

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, এপ্রিল, ২০১৯

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭

হাবিব বলেছেন: ছবি দেখেই তো ভয় করছে

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: ১ম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
জ্বীন আছর করার দৃশ্যে পড়বেন আর ভয় পাবেন না, সেটা হলো কিছু??
সবটুকু পড়েন।
ধন্যবাদ।

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: গুরুজী একঢালা লাগলো, কিছু সাসপেন্স দেন

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: জ্বীন আছর করার দৃশ্যে ভয় পান নি আপনি? বলেন কি?
লেখার পর আমার নিজেরেই তো পড়তে ভয় ভয় করছিল।
আরও সাস্পেন্স চান। ঠিক আছে। পরের পর্ব দেখবেন।
ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭

জুন বলেছেন: নীল আকাশ বিষয়টি আমার প্রিয়। তবে বেশ কিছুটা পড়ে একটি কথা বলার জন্য এই ছন্দপতন। গল্পে বারবার রুমি রুমি (যদিও আমার বড় ভাইয়ের নাম ;)) কানে বাজছে। ভেবে দেখতে পারেন বিষয়টি। আশাকরি আমার অযাচিত মাতব্বরিতে মনক্ষুন্ন হবেন না 8-|
এবার পুরোটা পড়ি।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০০

নীল আকাশ বলেছেন: আপু, আমার কপাল খারাপ। রুমি যে আপনার বড় ভাই এটা জানতাম না। বলে ভালোই করেছেন। পরে কোন গল্প লেখার সময় খুব সাবধান থাকবো। বারবার নাম সহ আরও কিছু ভুল ধরা পরার পর একবারে ঠিক করে দেব। ভালো করে পড়ে বলুন আর কি কি ভুল ঠিক করতে হবে।
ধন্যবাদ।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভালই লাগলো। তবে ১ম বারের তুলানায় ২য় বারের দোয়া পড়ার পরিমান অনেক বেশি কেন ?

জ্বীন সাধনা করে অনেকে জ্বীন হাসিল করে এবং তাদের দিয়ে বিভিন্ন কাজ করায়-২য় পর্বে কি এমনই কিছু পাব নাকি ?

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: দোয়া সব অরিজিনাল দিয়েছি এবার। গতবার ভুয়া মফিজ ভাই ভুলটা ধরেছিল। এবার সাবধান হয়ে গেছি।
সাস্পেন্স পরের পর্ব পড়ার জন্যই তোলা থাক!!

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০৮

জুন বলেছেন: খুবই ভয় ভয় ভয়াবহ কাহিনী। যেই দোয়া পড়ে জ্বীনকে দাওয়াত দিচ্ছিলো রুমি ভাইয়া সেগুলো একটু পড়েই ভয়ের চোটে বন্ধ করে দিলাম পাছে যদি এমন প্রেতাত্মার মত জ্বীন এসে আমার কাছে হাজির হয় :-&
গল্প চলুক সাথে আছি নীল আকাশ।
ব্লগার সিগন্যাসকে মিছ করছি এসব গল্পের একজন সমঝদার পাঠক এবং লেখক হিসেবে।
+

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২০

নীল আকাশ বলেছেন: পরের পর্বে জ্বীন তাড়ানোর কাহিনী থাকবে। পড়ে মজা পাবেন নিশ্চিত।
সাথে থাকুন আপু।
শুভ কামনা রইল!!

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

ভাল করেছেন পরিবর্তন করে লেখায় ;)

পড়তে পড়তে তো আমারই মনে হচ্ছিল যদি এসে সালাম ঠুকে বসে ;)
হা হা হা =p~ =p~ =p~
আমার আবার অন্যরকমের চর্চায় সিদ্ধতা আছেতো! ;)
অবশ্য আল্লাহর কালামেই তাদের মাঝে মন্দদের প্রতিরোধের, নিরাপত্তার বাক্যাবলি দেয়া আছে।

আগে কি পড়েছিলাম ! এরকম মনে হলো কেন?

রহস্য গল্পে ++++++++++++++

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৩

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
এই ধরনের গল্প লিখতে আমার খুবই ভালো লাগে। লেখার পড় কেমন যেন নিজেরই ভয় ভয় লাগে।
অবশ্য আল্লাহর কালামেই তাদের মাঝে মন্দদের প্রতিরোধের, নিরাপত্তার বাক্যাবলি দেয়া আছে। - কি যে দারুন মিলিয়ে বলেছেন সেটা কালকেই ২য় পর্ব পড়ার পর বুঝবেন। কিন্তু আপনি আগে কিভাবে বুঝলেন বলুন তো?
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
গত কালকে আপনাকে নক করেছিলাম ফেবুতে। চিনতে পারেন নি আমাকে??
শুভ কামনা রইল!!

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯

জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: পড়ার পর তো আমার বেশ ভয় ভয় লাগছে। কালকে কি পরের পর্ব পাবো?
ধন্যবাদ

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: জ্বীন আছর করার দৃশ্যে পড়বেন আর ভয় পাবেন না, সেটা হয় নাকি?
আগামী পরশু দিন ২য় পর্ব পাবেন।
শুভ কামনা রইল!

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭

করুণাধারা বলেছেন:  রুদ্ধশ্বাসে পড়া এই গল্পের শেষে আমার নাম দেখে অবাক এবং আনন্দে আপ্লুত হলাম, নীল আকাশ। এটাই কি আমার সেই সারপ্রাইজ? অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সারপ্রাইজ এর জন্য!!

 গল্পটা খুবই বাস্তব সম্মত হয়েছে, আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে খুব আগ্রহী। আমাদের এই চেনা জগতের বাইরে এক অচেনা জগৎ আছে,  প্যারালাল ইউনিভার্স; তার বাসিন্দাদের আমরা দেখতে পাই না, কিন্তু তারা আমাদের দেখছে। জিনে অবিশ্বাসের প্রশ্নই তো আসে না, কারণ পবিত্র কোরআন শরীফে জিন সম্পর্কে সূরা এবং উল্লেখ আছে।

 জানিনা জিন নিয়ে লেখা এই মন্ত্রটা আপনার বানানো কিনা! তবে সত্যি সত্যি মন্ত্র গুলো যে এমন হয় সেটা আমার মনে পড়ল অনেক আগে শোনা একটা মন্ত্রের অংশবিশেষ মনে থাকায়। সেটা ছিল এরকম:

" ছেরহেন্ডি ফেরহেন্ডি গরিবি ওড়িশা
=========================

যে নিজে শিখে, দুসরা জনকো নাহি শিখায়
উসকা বাপ হোগা নির্বংশ।"

অদ্ভুত সব শব্দাবলী, কিন্তু এগুলোতে কাজ হয়!!!

 একটু অবাক লাগলো, শেষের দিকে রুমির মুখে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর উল্লেখ দেখে। যতদূর জানি, এভাবে মানুষের অধীন হয় কেবল শয়তান জিন। এদেরকে বিসমিল্লা বলে ডাকা হল কেন?

গল্প, আগেই বলেছি, রুদ্ধশ্বাসে পড়েছি। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।+++++

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
আপনাকে আমি পরে মন্তব্য করছি।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় আপু,
আপনাকে দেখে সত্যই ভালো লাগছে। আপনার জন্যই এই গল্প লেখা। আসল মজা তো পরের পর্বে। এটা তো আমার কাছে দুধ ভাত। পরের পর্বের জন্যই এটা লেখা হয়েছে।

এই ধরনের প্রচুর বই আজকাল পাওয়া যায়। নীচে দেখুন:-


দোয়া সব অরিজিনাল দিয়েছি এবার। গতবার ভুয়া মফিজ ভাই ভুলটা ধরেছিল। এবার সাবধান হয়ে গেছি।

ভালো খারাপ সব ধরনের জ্বীন এভাবে হাসিল করা যায়। তাবিজ কবজ যারা করে এভাবঈ জ্বীন হাসিল করে নেয় কাজ করানোর জন্য।

গল্পটা খুবই বাস্তব সম্মত হয়েছে, আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে খুব আগ্রহী। আমাদের এই চেনা জগতের বাইরে এক অচেনা জগৎ আছে, প্যারালাল ইউনিভার্স; তার বাসিন্দাদের আমরা দেখতে পাই না, কিন্তু তারা আমাদের দেখছে। - এটার জন্য আমার এর পরের পোস্টের গল্পটা পড়বেন। ঠিক এই ঘটনাটার উপরই লিখেছি।

সাস্পেন্স পরের পর্ব পড়ার জন্যই তোলা থাকল!!
আপনার জন্য দুর্দান্ত সবকিছু ২য় পর্বে এনে লিখেছি।

আপু আপনি নিশ্চয় ভালো আছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!

৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩০

বাংলার মেলা বলেছেন: আগের বার পরী সাধনায় কেমন একটা রোমান্টিক আবহ ছিল। কিন্তু এইবার জ্বীন সাধনায় এরকম কিছু দেখতে পাচ্ছিনা। রুমির মত ছেলেরা জ্বীন সাধনায় আগ্রহী হয় কেন? কেবলই কৌতুহল নাকি অন্য কোন বিষয় এখানে জড়িত থাকে?

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বীন সাধনা কেউ বিনা কারনে করে না। এতে অবশ্যই কোন না কোন স্বার্থ জড়িত থাকে।
এটা খুবই দুঃসাহসিক ব্যাপার কারন পুরোপুরি না জেনে করতে গেলে এই রুমির মতোই অবস্থা হবে।
পরের পর্ব পড়ার জন্য আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।
ধন্যবাদ।

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০

আরোগ্য বলেছেন: রাতে পড়বো ইনশাআল্লাহ।

ভৌতিক গল্প রাতে পড়ার মজা দ্বিগুন হয়।

আমি কিন্তু বেশ আশাবাদী।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই কেমন আছেন?
আপনার অধরাকে নিয়ে সেই রকম আরেকটা দুর্দান্ত গল্প লেখা হয়েছে। আমি কথা দিয়ে এসেছিলাম আপনাকে।
এটা পড়ে মজা পাবেন কনর্ফাম। পরের পর্ব আরও দারুন।
রাতে পড়ার পর জানাবেন কেমন লাগল!!
ধন্যবাদ।

১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: Read this wiki entry and edit the বানান'স

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: এটা অফিসের কম্পিউটার থেকে কেন যেন ঢুকতে দিচ্ছে না। বাসায় যেয়ে চেস্টা করব দেখার।
ধন্যবাদ।

১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: The link may be wrongly inserted.
Whatever, শুক্লপক্ষ হবে। আসলে "পক্ষ" নামক উইকির লিংক দিতে চেয়েছিলাম। আগের কমেন্টটা ডিলিট করলেও সমস্যা নেই।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: মন্তব্য যখন করেই ফেলেছেন তখন থাক। আমি সাধারণত কারও মন্তব্য ডিলিট করি না। তবে মনে হয় আজকে প্রথম এক আস্ত বেকুবের মন্তব্য ডিলিট করব।
ধন্যবাদ।

১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এগারশত একুশ বার B:-)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: জী!! এত সহজ জ্বীন সাধনা করা?? আরও অনেক কিছু করতে হয়। সেগুলি লিখি নি।
এই জন্যই তজবী লাগে গুনতে। ;)

১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:২২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালো লেগেছে বাট কমন প্লট (দোয়া-বই-কবিরাজ-শব্দ)......

চলুক এ লেখা :)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: আসল মজা তো পরের পর্বে। এটা তো আমার কাছে দুধ ভাত। পরের পর্বের জন্যই এটা লেখা হয়েছে।
কালকেই দিব। পড়ার পড়ে বলবেন কেমন লাগল??
খুব ভালো লাগছে আপনাকে দেখে। আচ্ছা আগের পর্বগুলির লিংক কি কাজ করছে। ভিপিএন দিয়ে ঢুকেছি। লিংকগুলিও সেখান থেকে কপি করা। কষ্ট করে জানাবেন কি?
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!

১৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫

শায়মা বলেছেন: জ্বীনগুলোর টেলিফোন নাম্বার দিও তো ভাইয়া! :)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: গতবার পরীদের ঠিকানা দেয়ার পর কয়েকজন এদের সাথে কি করেছিল কে জানে আমাকে পরীরা দিনের বেলা হারিকেন নিয়ে খুঁজছিল। এত বড় রিক্স নেয়া আবার ঠিক হবে কিনা আগে ভেবে দেখতে হবে :P :P :P

আপু আপনি নিশ্চয় ভালো আছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!

১৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভিপিএন দিয়ে লিংক কপি করলে যে লিংক কপি করবেন সেটাই থাকবে। শুধুমাত্র ওয়েব প্রক্সি ব্যবহার করলে লিংকটা রাইট ক্লিক করে চেক করবেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। এই সমস্যাই আমি।
দেখি বাসা থেকে ঠিক করতে পারি নাকি!!

১৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: এই আধুনিক জগতে এরকম গল্প আমাকে মর্মাহত করে।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: কিন্তু জ্বীন জাতী তো পুরাতন কিংবা আধুনিক বুঝে না। এরা মানব জাতীর সাথে কিয়ামত পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। ইসলামিক পুস্তক ভালো করে পড়ুন। আমি ধর্মীয় বিষয়ে না জেনে কিছু বলি না।
ধন্যবাদ।

১৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেকুবী প্লট

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার মতো বেকুব টাইপের লোকজনের মাথা এটা ঢুকলে সারা পৃথিবীই উদ্ধার হয়ে যেত।
আপনাকে আমার গল্প পড়তে কে বলেছেন?
আমার গল্প পড়ার জন্য নূন্যতম বুদ্ধিশুদ্ধি লাগে সেটা আপনার আছে কেই এই সার্টিফিকেট দিল ব্লগে??

১৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭

মুক্তা নীল বলেছেন: নীল আকাশ ভাই ,
আপনার প্রশংসার তারিফ না করে পারছি না । এতো নিখুঁতভাবে বর্ননা ফুটিয়ে তুলেছেন কিভাবে? জ্বিন হাজির করার বর্ননা তারপর অন্যান্য আনুসাঙ্গীক যা যা লাগে, আপনি এতো কিছু কিভাবে জানেন? কোন হুজুর কে কি কখনো দেখেছিলেন?
জ্বিন আছে এতো আমাদের পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে । তবে খারাপ জ্বিন ভয় লাগে । ভাই , রুমিকে বই কে দিলেন ? আর রুমি
হটাৎ জ্বিন হাজির করছে কেন রহস্য জমজমাট । আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।

করুণাধারা আপুকে উৎসর্গ ভালোলাগা। আপু আমারও খুব প্রিয়।

সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে ও লিখেছেন। শুভ কামনা রইলো ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
আপনাকে আমি পরে মন্তব্য করছি।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
এত দেরী করে ফিরে আসার জন্য লজ্জিত। প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি বোনের কাছ থেকে। আপনাকে আলাদা করে মন্তব্য করব দেখেই তখন করিনি।
এই ধরনের প্রচুর বই এবং ইন্টারনেট সাইট আছে যারা এইসব বিক্রি করার নামে সাধারন পাবলিকের মাথায় কাঠাল ভাঙ্গে তবে সত্য সত্য জ্বীন কিন্তু হাসিল করার পন্থা আছে। আমার পরিচিত একজন করেছিল। তবে খুব কঠিন এবং বিপদজনক কাজ। কাজে কোনরকম ভুল হলে এই রুমির মতন অবস্থা হবে। উপরে করুনাধারা আপুর প্রতি মন্তব্যে একটা ছবি দিয়েছে, দেখুন।

ছয় নাম্বার প্যারার কাজ আমি নিজের চোখেই দেখেছি। বাস্তব প্রমান আছে।

২য় পর্বে কিছু চমক থাকবে। পড়ার পরই বুঝবেন কেন বলছি।
ভালো থাকুন, আশা করি পায়ের সমস্যা এখন পুরোপুরি ঠিক হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

২০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: তবে আপনার লিংকগুলো ঠিকই আছে :)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: ফিরে এসে আবার চেক করে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার মতো এতই সুহৃদয় বন্ধু কয়জনের থাকে বলুন। এই জন্য শুধু আপ্নাকেই অনুরোধ করেছিলাম দেখার জন্য।
বেচে গেছি আবার ঠিক করতে হবে না।

২১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন:
যাই হোক,গল্পটা অসাধারন হয়েছে।তবে যে ডায়ালগগুলো লিখেছেন সেদিকে একটু লক্ষ্য রাখবেন।কারন সেগুলোর অর্থ কোন নেতিবাচক অর্থও বহন করতে পারে।

শুভ কামনা প্রিয় ভাইকে।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার উপদেশের জন্য ধন্যবাদ। খুব ভালো পয়েন্ট নিয়ে বলেছেন। লেখার সময় সাবধানে থাকব।
২য় পর্বে অনেক ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আসব। আপনাকে খুব করে অনুরোধ করছি ভালো করে
পড়ে দেখবেন কোন ভুল করছি নাকি। ধর্মীয় বিষয়ে সবাই তো আর সাহায্য করতে পারবে না
আপনার মতন।
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!

২২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,

আজ সারা দিন আমি বারমুডা ট্রাঙ্গেলে ছিলাম। কাজেই নেট থাকার কোন প্রশ্নই ওঠে না। এখন ফিরতে চলেছি। বাড়ি ফিরে সময় নিয়ে পড়ে মন্তব্য করব।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ রাত্রী,
এটা কি করলেন আপনি? আমাকে রেখে একা একা বারমুডা ট্রাঙ্গেলে চলে গেলেন?
একবারও এই অধম ভাইটার কথা মনেও পড়ল না?
ইস, কত শখ ছিল জীবনে একবার হলেও এখানে যাব!!
এখন আমি কি করবো গো????
:(( :(( :((

২৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



১ম শ্রেণীতে পড়ার সময়ে এসব হাউকাউ রহস্যময় মনে হতো, ২হ শ্রেণীতে উঠার পর আসলে এগুলো হাউকাউতে পরিণত হয়েছে

২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার যে চিন্তাভাবনা আর কথা বার্তা তাতে আপনার এখনও প্রি প্লে তে পড়া উচিৎ।

২৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭

হাবিব বলেছেন: আমাদের বাড়ির কাছে আছে একজন, যিনি জ্বিন তাড়ানোর কাজ করে। কিন্তু কোন পয়সা নেন না। যে বাড়িতে কাজ করেন সে বাড়িতে খানও না। আমাদের বাড়িতেও এসেছেন.........

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: উনি যদি ভালো রাকী হয়ে থাকেন তাহলে টাকা পয়সার প্রতি লোভ থাকার কথা নয়।
তবে রুকাইয়্যা করার বিনিময়ে কিছু হাদিয়া নেয়া সহী হাদিস মোতাবেক অনুমুতি আছে।
আমাদের নবী করিম (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজেই এটা নিয়েছেন।
প্রথম পর্ব কেমন লাগল হাবিব ভাই?

২৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৯

হাবিব বলেছেন: প্রিয় ভাই নীলআকাশ, আপনি তো গল্পের রাজা। নতুন করে গল্পের কথা আর কি বলবো। খুবই স্মুথ............ ভালো লেগেছে গল্প। ২য় পর্বের জন্য আগ্রহ নিয়ে বসে আছি।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: এটা কিছু না।
আসল মজা তো পরের পর্বে। এটা তো আমার কাছে দুধ ভাত। পরের পর্বের জন্যই এটা লেখা হয়েছে।
ঐটা ভালো করে পড়বেন আশা করি ভাই।
ধন্যবাদ।

২৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৭

শায়মা বলেছেন: এখন ভালো আছি ভাইয়া।
কিছুদিন অসুস্থ্য ছিলাম। আর পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিজি ছিলাম অনেক অনেক ....

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: সেদিন ব্লগে কোথায় যেন পড়লাম আপনি একটু অসুস্থ, সেজন্যই জানতে চেয়েছিলাম এখন কেমন আছেন।
আল হামদুলিল্লাহ, ভালো আছেন শুনে খুব খুশি লাগল।এই রকম ভালোই থাকুন সব সময়।
ধন্যবাদ এবং শুভ রাত্রী।

২৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রিয়েলি!!!!!!!!!!!!

মিসড ইউ !
কাল অফিসে রাস ছিল বেশ! সাথে সামুর প্রোপিক চেঞ্জের লিংকটা নিয়ে বেশি ব্যাস্ত ছিলাম!
সরি ফর দ্যাট!
আবার নক নকের অপেক্ষায় রইল! জ্বিনি মন্ত্র সহ

কুন্দে কুন্দে কাপাট, খাঞ্জানে মাঞ্জান
দুনিয়া পিছে থুইয়া, বায়তাল্লাহ সামনে লইয়া
-- - - -
নীল আকাশের পাঁচ আত্ম পাঁচ পরান
আমার কাছে আন - ইয়া আল্লাহ
;)
ভায়া
জলদি আসু জলদি আসু
দিলাম মন্ত্র পইড়া ফু
=p~ =p~ =p~

২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই আপনার মন্তব্যগুলি এতই সুন্দর হয় যে বার বার পড়তে ইচ্ছে করে।
সামুর প্রোপিক লিংক জাদিদ ভাই আমাকেও শেয়ার করেছে। ট্রাই করতে হবে।
জ্বীন হাসিল করার মন্ত্রগুলি কিন্তু এবার অরিজিনাল দিয়েছি।
নক না হয় আবার করলাম অসুবিধা কি?
ফিরে আসার জন্য খুব করে ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

২৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! বেশ নিখুঁত করে ছোট খাট সব তুলে এনেছেন !! বেশ লেখা। নিশ্চয়ই এমনধারার পাঠক রা আনন্দিত হবেন এবং উৎসাহ নিয়ে পড়বেন আপনার লেখা।

দেখি পরের পর্ব আমাদের জন্য কি নিয়ে আসে।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১২

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ রাত্রী,
আমার গল্পে আপনি না থাকলে কেমন যেন লাগে, তাই নিজেই যেয়ে ধরে এনেছি আপনাকে।
এত খুটিনাটি লিখতে পেরেছি কারন বেশ কিছু দৃশ্য নিজের চোখেই দেখা। লিখতে গেলে অনেক বড় হয়ে যেত দেখে কিছুটা
কাটছাট করেছি।
আপনাকে আমি এর ২য় পর্ব পড়ার জন্য বলব। কারন ২য় পর্ব লেখার জন্যই এই ১ম পর্ব লিখেছি।
২য় পর্ব বেশ ষ্ট্যাডি করে লিখেছি। অনেক ধর্মীয় বিষয় নিয়ে এসেছি।
ভুল কিছু লিখে ফেললে ভুলটা ধরিয়ে দেবেন।
আসার জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা রইল।।

২৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:১৭

বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম।
শেষ রাতে জ্বিন কাহিনি আর ছবি দেখে তো দোয়া খুঁজতাছি --
-যে জটিল বিষয় নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত বর্ণনা করেছেন তারজন্য আপনাকে সেলুট।।


আচ্ছা এগারশত একুশ বার একটা দোয়া পড়তে কত সময় লাগতে পারে!!
রাকী মানে কি ভাই??

বাকিটুকুর অপেক্ষায়।
ভালো থাকুন।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১১

নীল আকাশ বলেছেন: অলাইকুম আস সালাম লতিফ ভাই।
রাকী মানে হলো যারা সহী শুদ্ধ ইসলামিক পদ্ধতিতে রুকাইয়্যা তথা অবৈধ ভাবে মানবদেহ দখলকারী জ্বীনদের দূর করতে পারেন।
সংখ্যা একটু এদিক ওদিক করে দিয়েছি আসল সংখ্যা থেকে তবে কাছাকাছি।
পরের পর্ব একদম ধর্মীয় পোস্ট হবে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

৩০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় নীল আকাশভাই,

আপাতত খতিব সাহেবের পরামর্শে রুমির বাবা তাহলে ভালো রাকির সন্ধানে চললেন । আমরা অপেক্ষায় রইলাম রুমির আছর মুক্তির উপায় হিসেবে রাকির সাহেব কি পদক্ষেপ নেন।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় দাদা,
আগের প্রতি মন্তব্য আপনার সাথে দুস্টামী করেছিলাম। মাইন্ড করেন নি তো? আমার সত্যই ঐ জায়গায় যাবার খুব ইচ্ছে।
কলিকাতায় ঘুরতে আসার জন্য বছরের সেরা সময় কোনটা। ফামিলি নিয়ে ঘুরতে আসব?

আপনার উপরের মন্তব্যে আমার এই পর্বের ভাব সংকোচন লিখে দিলেন দেখছি। দুর্দান্ত লাইন হয়েছে। পরের পর্বটা পড়ে কিছুটা অস্বস্তি লাগবে আপনার। সেজন্য আগেই বলে নিচ্ছি তবে সহী জ্বীন তাড়ানোর ইসলামিক পদ্ধতি কি, কিভাবে কাজটা করা হয় সেটা জানতে পারবেন।

আমাকে কয়েকটা আমার অজানা জিনিস বলেন, আরতি আর অঞ্জলী কি? দূর্গা পূজায় নবমীতে এদের কখন ইউজ করার হয়। নবমী পূজায় রাতের বেলায় মন্দিরে পূজা মন্ডপে কি কি অনুষ্ঠান হয় জানতে চাই সিকোয়েন্স বা ক্রম সহ??? জ্ঞানের অভাবে একটা গল্পে আটকে গেছি। লেখার জন্য কত কিছু যে জানতে হয়!! সনাতন ধর্ম মতে মেয়ে পছন্দ হলে কোন অনুষ্ঠানে আংটি পড়িয়ে মেয়ে বুক করে ফেলা হয়?

সাত সকালবেলা প্রথমেই আপনার কাছ থেকে শুভ সকাল শুনে খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!

৩১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশভাই,

প্রতিমন্তব্যে আবার আসা। হা হা হা... আপনি দুষ্টুমি করবেন,আর আমি সেটা মাইন্ড করবো না কেন? আমি ভীষণ মাইন্ড করেছি। তবে সমাধানের রাস্তা আছে। ইমিডিয়েট কোন একটা গ্রান্ড ফিস্টের আয়োজন করুন সেখানে নিজের পিউরিফিকেশনের সুযোগ নিয়ে প্রমাণ করুন যে আপনি প্রকৃতই একজন সুহৃদ। দেশী ইলিশ কিন্তু রাখা চাই চাই । হা হা হা...
এবার আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তরে বলি- কলকাতায় ঘোরার জন্য ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি বেস্ট সময়। ডিসেম্বরে লাস্ট উইকে আমি নিজে এখানে থাকি না বাইরে কোথাও ঘুরতে যাই। তবে আপনি যদি আসেন সেক্ষেত্রে কোথাও না গিয়ে আপনাকে সঙ্গ দেব। অন্যথায় জানুয়ারিতে 23 থেকে 26 এর মধ্যে ডেট করতে পারেন। ওখানেও 2/1 দিন আপনাকে সময় দিতে পারবো। আর ফেব্রুয়ারিতে বাচ্চার পরীক্ষা থাকে। দিল্লি বোর্ডের এক্সাম গুলি ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়। কাজেই ওই সময়ে এলে বেশ অসুবিধায় পড়বো আরকি ।

আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে বলি:- আরতি আর অঞ্জলী এক জিনিস নয়।
যেকোনো বিগ্রহকে উদ্দেশ্য করে আরতি দেওয়া হয়। সাধারণতঃ আরতি সকাল-সন্ধ্যায় দেওয়া হয়ে থাকে। পুরোহিত মশাই সম্পূর্ণ বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের সাহায্যে আরতি দিয়ে থাকেন। আর অঞ্জলি যে কোন ভক্ত দেবতার কাছে প্রার্থনা করে নৈবেদ্য সহযোগে। কিছু না হলে অন্তত ফুল সহযোগে দেবতার কাছে অঞ্জলি দেওয়া যায়।

আপনার তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরে বলি:- অষ্টমীর শেষ ও নবমীর শুরুতে দুটি দণ্ডের মাঝে সন্ধিপূজো হয়। এক একটা দণ্ড মানে 24 ঘন্টা। কাজেই দুটো দণ্ডের মাঝে অর্থাৎ সন্ধিতে যে পূজো হয় সেটাই সন্ধি পূজো নামে পরিচিত। এখানেও কিন্তু সকাল -সন্ধে আরতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি সন্ধির সময় বিকালের মতো রাতেও হয়ে থাকে। পূজোর উপকরণ সমূহ - পঞ্চপ্রদীপ , কর্পূরদানি, নতুন বস্ত্র গামছা, পাখা বা চামর( সাদা বড় পশমি জাতীয়), শঙ্খের উপরে অর্ঘ্য( 108 টা দুবা ঘাস, বেল পাতা ,আম পাতা, ধানের শীষ, শিশির জল, কুমারী পূজোতে লাল ফুল অন্যথায় সাদা ফুল , পদ্মফুল সহ আরো অনেক কিছু থাকে)
পূজো শেষে সংশ্লিষ্ট মণ্ডপে দেবতার প্রতীকস্বরূপ নারায়ণকে শয়ন কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। কাপড় মুড়িয়ে শয়ন কক্ষে রেখে পরের দিন প্রভাতে উলুধ্বনি বা হাততালি দিয়ে আবার দেবতাকে জাগানো হয়। প্রভাতে আবার আরতি দিয়ে দুপুরে/বিকালে দেবীকে বিদায় জানিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়।

তবে আঞ্চলিক ভেদে পূজার উপকরণ ও পদ্ধতি নিয়ে কিছু বিতর্ক আছে।
জানিনা এটা আপনার কতটা কাজে লাগবে ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

০৩ রা জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: আন্দাজে আপনাকে আমি পুজা নিয়ে বলতে বলেছিলাম দেখে লজ্জিত। তবে এই অংশগুলি কিন্তু কাজে লেগেছে ঐ গল্প। পোস্ট দেবার পরই বুঝবেন কেন চেয়েছিলাম?
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!

৩২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১০

আরোগ্য বলেছেন: বোনাই আমি ভালো আছি। আশা করি আপনিও সুস্থ আছেন।

প্রথমে ক্ষমা চাই কথা মত গতকাল পড়তে পারিনি।

আমাদের বাসার ছাঁদেও জীনদের বসবাস। প্রায় রাতেই টানাটানির শব্দ ও শীলপাটায় বাটাবাটির শব্দ পাওয়া যায়। কয়েকবছর আগে প্রতিদিন রাতেই শব্দ পাওয়া যেত। আমরা ভাবতাম উপরে তিনতলায় কেউ সোফা টানছে, চারতলার লোক ভাবতো নিচের কেউ মনে হয় রাত জেগে মশলা বাটছে। পরে অবশ্য রহস্য উদঘাটন হয়, যে কারও কোনদোষ না সব জীনের কেরামতি। কিন্তু কাউকে কোন ক্ষতি করে না।

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি রুমির জন্য ভালো একজন রাকি পাওয়া যাবে।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি জানতাম আপনি পড়বেন, দেরী করেছেন এটা কোন ব্যাপার না। আপনি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েন, সময় তো লাগবেই। তাছাড়া গত কালকে লাইলাতুল বারাত ছিল। আমি নিজেও অনেক ব্যস্ত ছিলাম ধর্মীয় কাজে।

পুরোনো ঢাকার বাসাগুলি এই সব কাহিনী অহরহই শুনা যায়। আমি তো শ্বশুর বাড়ির কিছু আত্মীয়দের বাসায় গেলেই বানর আর জ্বীনদের নিয়ে অনেক চমকপ্রদ কাহিনী শুনি। ভয় ভয়ও লাগে।

জ্বীন ভাল এবং খারাপ ২ ধরনেরই হয়। এরা আপনাদের কোন বিরক্ত না করলে মনে হয় এরা ভালই হবে।
২য় পর্ব পুরোটাই আমি সাজিয়েছি কিভাবে সহী ইসলামিক নিয়ম মেনে এদের দূর করতে হয়। পড়লে অনেক নতুন কিছু
জানতে পারবেন। রাকী মানে হলো যারা সহী শুদ্ধ ইসলামিক পদ্ধতিতে রুকাইয়্যা তথা অবৈধ ভাবে মানবদেহ দখলকারী জ্বীনদের দূর করতে পারেন। আগামী পর্ব শুধুই রাকীদের নিয়ে হবে।

কালকেই ইনসাল্লাহ পরের পর্ব পোস্ট দেব। পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম অগ্রীম।
আপনার আম্মা নিশ্চয় এখন আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই এবং শুভ কামনা রইল।

৩৩| ২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:২৯

মা.হাসান বলেছেন: নীল আকাশ ভাই, আপনার পোস্টে এত দেরিতে আসার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। ঈদের পর দুই সপ্তাহ বড় রকমের ব্যস্ততা ছিল। এর পরে বড় ব্যস্ততা না থাকলেও যেন তেন ভাবে আপনার পোস্টে কমেন্ট করার ইচ্ছে ছিল না বলে আজ দেখব কাল দেখব করে পোস্টগুলোতে কমেন্ট করা হয় নি।
আপনার বর্ননা বরাবরের মতই অসাধারণ হয়েছে। গল্পের রুমির সামনে যেভাবে ছায়া ছায়া থেকে জ্বীনের শরীর ফুটে উঠার বর্ণনা দিয়েছেন তা যদি পাঠক ফলো করে তবে ভয় পেতে বাধ্য। উপক্রমণিকা তে পুরাতন একটি বই থেকে রুমি জ্বীন নামানোর পদ্ধতি জেনেছে বলেছেন, কিন্তু ওই পুরাতন বই কিভাবে রুমিরর কাছে আসলো সেই বিষয়ে একটি রহস্য রেখে দিয়েছেন। আমার কাছে এই স্টাইলটা খুব ভালো লেগেছে। লেখক এই স্বাধীনতাটুকু ব্যবহার করলে ভবিষ্যতে এখান থেকে অনেক কিছু এক্সটেন্ড করার সুযোগ থাকে। ছবিটি আমার কাছে গড়পড়তা মনে হয়েছে। আমার অনুরোধ থাকবে বই আকারে প্রকাশের সময় কোন শিল্পীকে আপনার গল্পটির তৃতীয় অনুচ্ছেদের শেষ দুটো প্যারা পড়াবেন এবং এর পরে তার উপর ভিত্তি করে একটা ছবি আঁকতে বলবেন।
অনেক শুভকামনা।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: হাসান ভাই আমি আপনার চেয়েও বেশি দুঃখ প্রকাশ করছি আপনার এই মন্তব্য না দেখার জন্য।
আমার কাছে আপনার এই মন্তব্যের কোনই নোটিফিকেশন আসে নি। আল্লাহ মালুম আরও কত মন্তব্য এইভাবে জমে আসে
আমার বিভিন্ন পোস্টে। আমি আমার সব পোস্টের মন্তব্য পোস্ট ভিত্তিক জমা করতে যেয়েই দেখি এই ভয়াবহ অবস্থা!

আপনার বর্ননা বরাবরের মতই অসাধারণ হয়েছে। গল্পের রুমির সামনে যেভাবে ছায়া ছায়া থেকে জ্বীনের শরীর ফুটে উঠার বর্ণনা দিয়েছেন তা যদি পাঠক ফলো করে তবে ভয় পেতে বাধ্য। - সবাইকে ভয় দেখানো জন্য লিখেছি ভয় না পেলে হবে?

আমি আমার নিজস্ব নিয়মে লিখি সবসময়। লেখকদের হাতে সবসময় কিছু রেখে দিতে হয়।

এই বছর ভৌতিক বিষয়ে বই বের করার কোণ পরিকল্পনা নেই। আগে শবনম বের হোক। দেখি সবাই কি বলে?
আর তাছাড়া এই সিরিজে আরও কিছু লেখা হোক।

ছবির ব্যাপারে যা বলেছেন এখনই নোট করে রাখছি। আপনি জাস্ট গ্রেট সমালোচক।
আমার হাতে ব্লগে কোন এওয়ার্ড দেয়ার সিস্টেম থাকলে আমি গল্পের পাঠক হিসেবে শ্রেষ্ঠ পাঠক পুরষ্কার দিতাম।

যাই, বাকি পোস্টগুলিতে খোঁজ নিয়ে দেখি।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

৩৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৩৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: *রাকী মানে কি?
*দোয়াগুলো কি আসল?
*রুমির বাবা রাতে স্মভবত আয়াতুল কুরসী পড়েছিলেন। আয়াতুল কুদসী এসেছে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২২

নীল আকাশ বলেছেন: আমার গল্পগুলি পড়া শুরু করলেন নাকি?
*রাকী মানে কি? - যিনি সহী ইসলামিক পদ্ধতিতে কুরআন এবং হাদীস মেনে রুকাইয়া করেন।
*দোয়াগুলো কি আসল? - মাথা খারাপ! অরিজিনাল থেকে সামান্য চেঞ্জ করে দিয়েছি। বলা তো যায় না? কেউ যদি আবার ট্রাই করে বসে!!!
*রুমির বাবা রাতে স্মভবত আয়াতুল কুরসী পড়েছিলেন। আয়াতুল কুদসী এসেছে। - আয়াতুল কুদসী সহী এবং শুদ্ধ উচ্চারণ।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.