নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, নিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ ভৌতিক কাহিনী - জ্বীন সাধনা! (দ্বিতীয় পর্ব)

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮



যারা আগের পর্ব পড়েন নি তারা আগে এটার প্রথম পর্ব পড়ে আসুন। গল্পঃ ভৌতিক কাহিনী - জ্বীন সাধনা! [প্রথম পর্ব]


চারদিন পরে.....
আছরের নামাজের ইমামতী শেষ করে বাগানবাড়ী জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম তারিক সাহেব মসজিদের বারান্দায় বসে তসবী হাতে নিয়ে আল্লাহর নামে জিকির করছিলেন। হঠাৎ মাথা উঁচু করে দেখেন, বারান্দার বাইরে তিনজন লোক উনাকে সালাম দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। উনি জিকির শেষ করে এদের ভিতরে ডাকলেন। ভিতরে বসে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই ভয়ার্ত কন্ঠে একসাথে তিনজনই রুমির আছর হবার কথা উচ্চস্বরে বলতে শুরু করল। হাত উঁচু করে এদের থামিয়ে দিলেন তারিক সাহেব। রুমির সবচেয়ে কাছের কে জেনে তাকেই প্রথম কথা বলতে বললেন।
দীর্ঘ বিশ মিনিট ধরে গভীর আগ্রহ নিয়ে এদের প্রতিটা কথাই খুব মনোযোগ দিয়ে শুনলেন তারিক সাহেব। প্রায় তিনজনই তাকে একান্তই অনুরোধ করতে লাগল রুমিকে ভালো করে দেয়ার জন্য। তারিক সাহেব একটু বিরক্ত হলেন। এই রকম কথাবার্তা প্রায় শিরকের পর্যায়ে পড়ে যায়!
- সকল শিফা করার একমাত্র মালিক এই বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। ভালো যদি করেন, তিনিই করবেন। তাওক্কাল যদি রাখতে চাও, তবে আল্লাহ উপরই রাখো। আমি সামান্যই একজন গুনাহগার বান্দা। তিনি না চাইলে কোন কিছুই করা সম্ভব না। আর এই ধরনের শিরকই কথা কখনই বলবে না।
কিছুক্ষন চুপ করে থেকে মসজিদের সাথেই লাগোয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার হাদিসের শিক্ষক করিম সাহেবকে উনি ডেকে পাঠালেন। পুরো ঘটনাটা উনাকে ভালো ভাবে শুনিয়ে রুকাইয়া করার সহী ইসলামিক পদ্ধতি মেনে রুমির উপর প্রথমে মাসনুন আমল করার এবং শিখিয়ে দেবার জন্য নির্দেশ দিলেন। আর এখনই এদের সাথে যেতে নির্দেশ দিলেন……

এক
মাদ্রাসার হাদিসের শিক্ষক করিম সাহেব রুমির বাসায় এসে প্রথমেই বাসার সবাই, বিশেষ করে রুমি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে নাকি সেটার খোঁজ নিলেন, বাসায় শরিয়ত মোতাবেক পর্দা প্রথা মানা হয় নাকি জানতে চাইলেন, সারা বাসা ভালো ভাবে খোঁজ করে হারাম কিছু আছে নাকি দেখতে বললেন। নির্দিস্ট কিছু জিনিস আছে শুনে কিছুটা বিরক্ত হয়েই রুমির পরিবারের সবাইকে ডেকে উনি প্রকাশ্যেই বললেন-
-বাড়ীর পরিবেশ যত দূর সম্ভব পবিত্র রাখতেই হবে। বাসায় যে কোন প্রকার তাবিজ থাকলে সেটা খুলে ফেলে সহীশুদ্ধ ভাবে নষ্ট করে ফেলতে হবে কারন তাবিজ হারাম। কোন প্রকার বাদ্যযন্ত্র, কোন প্রাণীর ছবি, ভাস্কর্য, কুকুর বা এমন কিছুই রাখা যাবে না, যা রহমতের ফেরেশতা প্রবেশে বাঁধা দেয়। আর যেই ঘরে ফেরেশতা ঢুকতে পারে না, সেইখানে ঢুকে শয়তান আর খারাপ জ্বীন!
-প্রথমেই ঘর থেকে সকল ধরনের আল্লাহর অবাধ্যতার সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলুন। যেমন: টেলিভিশন, রেডিও, ছবি, পুতুল, মূর্তি। যদি আপনাদের পক্ষে পুরো বাসার সবকিছু ঠিক করা সম্ভব না হয় তাহলে অবশ্য কর্তব্য হল, অন্তত রুমির ব্যক্তিগত ঘরকে এসব থেকে পবিত্র করুন। এটা করতেই হবে, না হলে কোন চিকিৎসাতেই কাজ হবে না।
কিছুক্ষন পর রুমির ব্যক্তিগত ঘরকে মোটামুটি পরিষ্কার করার পর, রুমির ঘরে ঢুকে দেখেন রুমি বিছানায় শুয়ে আছে। রুমির পাশে বসে কুরআন শরীফের কিছু সুনির্দিস্ট আয়াত উচ্চস্বরে পাঠ করলেন। তেলায়াত শুনার সাথে সাথেই রুমি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানো শুরু করল। জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেয়া শুরু করল, প্রচন্ড মাথাব্যথা বলে চিৎকার করে উঠল, সবশেষে অদ্ভুত ভাষায় কথা বলে উঠল। রুমির এইসব আচরন এবং কথা ভালো ভাবে দেখে এবং শুনে করিম সাহেব রুমির সামনে থেকে উঠে আসলেন। রুমির ঘর থেকে বের হয়ে এসে, ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে সুললিত কন্ঠে প্রথমে আযান দিলেন। আযান দেবার পর, জোরে জোরে জ্বীন জাতী হযরত সুলাইমান (আঃ) কাছে যে ওয়াদা করেছিল, সেটা ভালো ভাবে স্মরণ করিয়ে দিয়ে রুমির দেহ থেকে আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক অবৈধ ভাবে দেহ দখলকারী জ্বীনকে চলে যাবার জন্য অনুরোধ করলেন। এইভাবে পরপর তিনদিন করিম সাহেব একই কাজ করার পরও যখন রুমি কোনভাবেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠল না।

দুই
করিম সাহেবের কাছে রুমির বর্তমান অবস্থা জানার পর তারিক সাহেব উনাকে নির্দেশ দিলেন মাদ্রাসা থেকে কুরআন শরীফের হেফয সম্পুর্ন হয়েছে এমন একজন ছাত্রকে সাথে নিয়ে রুমির ঘরে যেয়ে আগামী তিনদিন টানা সুরা আল-বাকারা উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করার জন্য, রুকাইয়্যার পানি তৈরি করে রুমিকে খাওয়ানো এবং সহী শুদ্ধ ভাবে রুমিকে রুকাইয়্যার গোছল করানো জন্য।
চারদিন পর তারিক সাহেব রিপোর্ট পেলেন সুরা আল-বাকারা পড়ার সময় রুমি কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠে বটে, কিন্তু হাফিয সাহেব চলে আসার পরপরই জ্বীন কোন না কোন ভাবে আবার ফিরে আসে রুমির দেহে। কোনভাবেই এর ফিরে আসা আটকানো যাচ্ছে না!
তারিক সাহেব উপলব্ধি করলেন এখন সময় এসেছে উনার রুমির বাসায় যেয়ে নিজের চোখে পরিস্থিতি দেখে রুকাইয়্যার পরবর্তি স্টেপ নেয়ার.....

তিন
পরের দিন মাগরীবের নামাজের ইমামতী শেষ করার পর, পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে করিম সাহেবকে সাথে তারিক সাহেব রওনা দিলেন রুমির বাসার দিকে। ইবলিশ এবং শয়তান জ্বীন মানুষের আজন্ম শত্রু। এদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নামলে পাল্টা আক্রমন খুবই স্বাভাবিক। নিজেকে প্রস্তুত না করে এই যুদ্ধে নামা নিছক বোকামী এবং চরম বিপদজনক। তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছেন জ্বীনের আছর সাধারণত হয় স্বল্পস্থায়ী বা আংশিক বা সামগ্রিক। রুমির উপর সম্ভবত ইফরীত্ব জীনের সামগ্রিক আছর হয়েছে। ইফরীত্ব, জীনদের মধ্যে সবচেয়ে দুষ্ট এবং প্রচন্ড ক্ষমতা এদের। এদের বিরুদ্ধে রুকাইয়্যা করার জন্য ইবলিশ এবং শয়তান জ্বীনদের আচরন, জীবন যাপন থেকে শুরু করে তাদের সকল কর্মকান্ডের বিষয়ে যতদুর সম্ভব স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হয় আর ঈমানের ভিত অত্যন্ত মজবুত, ঈমানের সকল শাখা-প্রশাখায় অবাধ বিচরণ এবং পূর্ণ দখল থাকতে হয়। সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ হলো “আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তা’আলার কথা তথা পবিত্র কুরআন মাজীদের আয়াত শয়তান জ্বীনদের উপরে ভয়ংকর ভাবে কার্যকরী” এই ধ্রুব সত্যে অটুট বিশ্বাসী এবং যে কোন পরিস্থিতিতে এই সত্যের ওপরে পর্বত প্রমান স্থির থাকতে হয়। শুধুমাত্র রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কর্তৃক শেখান দোয়া, সাহাবীদের পালন করা সহী পদ্ধতি এবং পবিত্র কুরআনের আয়াত দিয়েই এই রুকাইয়্যা কাজ সম্পন্ন করতে হবে, কোন প্রকার বিদআত / কুফরী কর্মকান্ডের অনুসারী হওয়া যাবে না, সেটা যত খারাপ অবস্থাতেই হোক না কেন......

চার
তারিক সাহেব রুমির বাসার কাছে আসতেই শুনতে পেলেন আদিম এক পৈশাচিক ক্রুঢ় স্বরে কে যেন ক্রমাগত চিৎকার করে যাচ্ছে। বাসার সামনে যেয়ে দাড়াতেই রুমির বাবা ভয়ার্ত কন্ঠে জানাল, আজকে বিকেলবেলা থেকেই রুমি অস্বাভাবিক আচরন শুরু করেছে। একটু পরপরই তীব্র ক্রোধে গর্জন করছে, সমস্ত ঘর থেকে থেকে ভয়ংকর ভাবে কাঁপছে। কেউ ওর ঘরে যেতে সাহস পাচ্ছে না। তারিক সাহেব রুমির বাবা'র দিকে তাকিয়ে বললেনঃ
-করিম সাহেব প্রথমবার বাসায় আসার পর যা যা করতে বলেছিল সবকিছু কি মেনে চলেছ তোমরা? বাসা থেকে সমস্ত অপবিত্র জিনিসপত্র সব সড়িয়ে ফেলেছ তো? রুমির শরীর বন্ধক বা ঘর বন্ধক করার জন্য কিংবা জ্বীন তাড়ানোর জন্য কোন তাবিজ কবজ কারো কাছ থেকে নিয়ে আসনি তো?
রুমির বাবা সাথে সাথেই বললেনঃ
-বাসা যতদুর সম্ভব উনার কথা মতো পরিষ্কার করা হয়েছে আর আমি তো কোন তাবিজ বা এই ধরনের কিছুই আনি নি।
-তুমি আননি কিন্তু তোমার পরিবারের কেউ কি এনেছে? ভালো করে খোঁজ নাও। সূরা বাকারা পরপর তিনদিন পড়ার তো এই বাসায় এদের আসতে পারার কথাই না। বাসার ভিতরে যেয়ে সবাইকে ভালো করে জিজ্ঞেস করে এসে আমাকে আগে জানাও।
পাঁচমিনিট পরে রুমির বাবা হাতে দুইটা বড় তাবিজ নিয়ে এসে বললঃ
-রুমি'র মামা রুমি'র মা'কে গ্রামের এক হুজুরের কাছ থেকে এইগুলি এনে দিয়েছিল। একটা বাসা বন্ধক করার জন্য আর আরেকটা রুমির শরীর বন্ধক করার জন্য।
তারিক সাহেব তাবিজ দুইটা হাতে নিয়ে খুলে ভিতরের কাগজগুলি বের করে পড়লেন তারপর বললেনঃ
-তাবিজ স্পষ্টভাবে শিরক। তাবিজ হল শয়তান জ্বীনদের সাথে একটা কন্ট্রাক্ট বা চুক্তিপত্র। এটাকে ভিক্টিমের শরীরে ঝুলাতে বলে অথবা আশেপাশের কোথাও রেখে দিতে বলে। এই চুক্তিপত্রে এরা শয়তানকে খুশি করার জন্য নানা হাবিজাবি লিখে রাখে। বিনিময়ে শয়তান জ্বীন তার কিছু কাজ করে দেয়। তাই যে কোন ভাবে প্রথমেই সকল প্রকার তাবিজ হাতে পাওয়া মাত্র সহী পদ্ধতিতে নষ্ট করে ফেলতে হয়। সহী পদ্ধতিতে নষ্ট না করলে এর কার্যক্ষমতা নষ্ট হয় না। করিম সাহেব, আপনি প্রথমেই সহী পদ্ধতিতে এই তাবিজ দুইটা নষ্ট করে ফেলুন। আর এই জন্যই রুকাইয়্যার আগের কাজগুলি পুরোপুরি সফল হয়নি।

করিম সাহেব একটা পরিষ্কার পাত্রে পানি নিয়ে সেটাতে নীচের দোয়াগুলি ক্রমান্বয়ে পড়ে ফু দিলেন, তারপর তাবিজ দুইটা সেই পানিতে কিছুক্ষন ডুবিয়ে রাখলেন।
(সূরা আ'রাফ ১১৭-১২২ নং আয়াত, সূরা ইউনুস ৮১-৮২ নং আয়াত, সূরা ত্বহা ৬৯ নং আয়াত, সূরা ফালাক্ব ৩ বার, সূরা নাস ৩ বার)
পানি থেকে উঠিয়ে পানি ঝেড়ে ফেলে ম্যাচের কাঠি দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে কাগজগুলি পুরোপুরি নষ্ট করে ফেললেন। তারপর ফুঁ দেয়া পানিগুলিকে বাড়ির বাইরে যেই দিকে কেউ হাঁটাচলা করে না সেখানে ফেলে দিলেন।

এরপর তারিক সাহেব রুমির বাবা আর বাসার অন্তত দুইজন পুরুষকে প্রথমেই অজু করে আসতে বললেন। এরা সবাই অজু করে আসার পর, করিম সাহেব সহ সবাইকে নিয়ে উনি ঘরের ভিতরে বিসমিল্লাহ বলে প্রবেশ করতেই, সমস্ত গর্জন মুহুর্তেই মধ্যে থেমে গেল। চারিদিকে শুধুই শুনশান নিঃসীম এক নিরবতা। ঘরের মধ্যে অস্বাভাবিক শীতল একটা পরিবেশ। বিছানায় রুমি দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে বসে সবার দিকে অদ্ভুত ব্যাখ্যাতীত এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। সবাইকে আয়াতুল কুদসী পড়তে বলে তারিক সাহেব রুমির সামনে যেয়ে বসলেন। ছেলেটা এই কয়দিনে একবারেই শুকিয়ে গেছে, তাছাড়া মারাত্মক অসুস্থও মনে হচ্ছে। রুকাইয়্যার জন্য কুরআন শরীফের সুনির্দিস্ট কিছু সূরার তেত্রিশটা আয়াত যখন পড়ার পর উনি ডানহাত রুমির কপালে রাখলেন, রুমি উনার সামনে থেকে পাগলের মতো ছুটে চলে যাবার চেস্টা করতে লাগল। সবাইকে বললেন রুমিকে ধরে রাখতে। কিছুক্ষন দোয়া পড়ার পর, উনি রুমির শরীরে যে ইফরীত্ব জ্বীন আশ্রয় নিয়েছে তাকে সৃষ্টিকর্তা'র হুকুম মেনে আদেশ দিলেন কথা বলার জন্য।
- আমি এই নিখিল বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আদেশ মেনে তোমাকে এই মুহুর্তে এইখান থেকে চলে যেতে বলছি।
অদ্ভুত এবং অপার্থিব মোটা একটা কন্ঠস্বর কথা বলে উঠলঃ
- না না।
- আল্লাহ জীন এবং ইনসানের থাকার জায়গা পৃথক করে দিয়েছেন। তুমি কেন এইখানে এসেছ? এই নির্দেশ না মানলে তোমাকে যে কঠিনতম আযাব দেয়া হবে সেটা তুমি জান না? ভুলে গেছ পরকালে এর জন্য কি ভয়ংকর শাস্তি দেয়া হবে তোমাকে!
রুমি নিশ্চুপ হয়ে রইল!
-তোমার নাম কি?
রুমি এবারও নিশ্চুপ হয়ে রইল!
- তুমি কি মুসলিম?
রুমি প্রথমে মাথা উচু নীচু করলেও একটু পরে আবার দুইপাশে মাথা নাড়ল।
তারিক সাহেব বুঝতে পারলেন রুমির সাথে একের অধিক অনুপ্রবেশকারী রয়েছে যাদের মধ্যে একজন অন্ততঃ অমুসলিম। তখন তিনি রুমির বাবার দিকে ঘুরে জিজ্ঞেস করলেনঃ
-রুমি কি রাতের বা দিনের বেলা ঘুমানোর সময় সাপ বা এই জাতীয় কোন প্রাণী দেখে বা দেখে ভয় পায় যে ওকে তাড়া করছে? আর দেখলে কয়টা প্রাণী দেখে?
-জী, প্রায় সব সময়ই ঘুমের মধ্যে রুমি ভয় পায় আর ঘুম থেকে উঠার পর বলে কালো কালো দুইটা কুকুর, কখন বিরাট দুইটা সাপ ওকে ধরার জন্য তাড়া করছে।
এবার তারিক সাহেব একদম নিশ্চিত হলেন যে দুইটা জ্বীন রুমি দেহে আশ্রয় নিয়েছে। আবার রুমির দিকে ফিরলেন উনি। উনার ডানহাত এখনও রুমির কপালে।
-তোমার ধর্ম কি?
রুমি চুপ করে রইল! কোন উত্তর দিল না।
-তোমার কয়জন আশ্রয় নিয়েছ এই ছেলের দেহে?
রুমি দুই বার মাথা উচু নীচু করল।
-তোমার কি দুইজনই পুরুষ?
রুমি মাথা উচু নীচু করল।
-আমি তোমাকে সৃষ্টিকর্তার একমাত্র মনোনিত ধর্ম ইসলাম গ্রহন করার জন্য আহবান করছি। তুমি কি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করবে? করলে এখনই আমার সাথে সাথে বলো, লা ইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ!
রুমি দুইপাশে মাথা নাড়ল। অর্থাৎ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করবে না।
তারিক সাহেব নরম স্বরে সেই কাফির ইফরীত্ব জ্বীনকে পর পর আরও দুইবার ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার জন্য অনুরোধ করলেন। কিন্তু এটা কোন ভাবেই রাজি হলো না।

এরপর তারিক সাহেব রুমির বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল চেপে ধরে পর পর অনেক গুলি প্রশ্ন করে যা যা জানার সব কিছুই জেনে নিলেন এদের কাছ থেকে। এই জ্বীনদেরকে তো পুরোপুরি এই বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী করা যাচ্ছে না কারন, রুমি নিজেই জ্বীন হাসিল করার প্রকৃয়ার মাধ্যমে এদেরকে ডেকে এনেছে। তাই উনি নরম স্বরে পর পর তিনবার বললেন-
- আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, রাসুল (সাঃ) এর নির্দেশ মেনে তোমাদেরকে সুযোগ দিচ্ছি, বিনা কষ্টে এখান থেকে চলে যাবার জন্য। যদি এরপরও না যাও তাহলে অত্যন্ত পীড়াদায়ক কঠিনতম শাস্তি ভোগ করতে হবে তোমাদের। তোমরা চলে যাও এবং আর কখনই এখানে ফিরে আসবে না। আর যাবার আগে সৃষ্টিকর্তার নামে ওয়াদা করে যাবে এই ছেলের কাছে আর কখনই ফিরে আসবে না।
মুসলিম জ্বীন আল ফুরকানের আয়াত দ্বারা পীড়াদায়ক ভয়ংকর শাস্তিগুলির কথা জানে, তাই কোন রকম শাস্তি দেয়া শুরু করার আগেই রুমির দেহ ত্যাগ করে চলে গেল। যাবার আগে এই ইফরীত জ্বীনকে কঠিন ওয়াদা করালেন তারিক সাহেবঃ আমি আল্লাহর নামে শপথ করছি, এই মুহূর্তে এই শরীর থেকে আমি চলে যাবো। আর কখনই এর কাছে ফিরে আসব না। পরবর্তীতে আর কোনও মুসলিমের ওপর আছরও করব না। এই ওয়াদা ভঙ্গ করলে আমার ওপর আল্লাহর লানত পড়বে। আমি যা যা ওয়াদা করলাম এই ব্যাপারে আল্লাহ সাক্ষী রইল।

কিন্তু বার বার অনুরোধের পরও আরেকটা অমুসলিম ইফরিত জ্বীন চলে যেতে চাইল না, নাছোড় বান্দার মতো রুমির সারা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থাকতে চাইল। রুকাইয়্যা করার জন্য কারো উপরে ভর করা দুষ্টজ্বীনদের ধূর্ত আচরণ এবং ফাঁদ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হয়। তারিক সাহেব অবশেষে বাধ্য হলেন কঠিন পন্থা বেছে নেয়ার। সবাইকে এগিয়ে এসে রুমিকে ধরতে বললেন। আর উনি রুমির মাথায় হাত রেখে কুরআন শরীফের সুনির্দিস্ট কিছু সূরার মধ্যে প্রথম সূরা মূমীনুন থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু আয়াত উচ্চস্বরে তেলাওয়াত শুরু করলেন.....
যখন এই ইফরীত জ্বীনের জীবন বিপদের সম্মুখীন হলো তখন এটা নিজে থেকেই চলে যেতে চাইল। তারিক সাহেব এই অমুসলিম ইফরীত্ব জ্বীনকে জীবন ভিক্ষা দেয়ার বিনিময়ে এর কাছ থেকেও আল্লাহর নামে কঠিন ওয়াদা আদায় করেছেন যে, এটা আর কখনোই রুমির কাছে ফিরে আসবে না। এরপর তারিক সাহেব একে সুনির্দিস্ট ভাবে মুখ, নাক, কান, হাত কিংবা পা দিয়ে বের হতে আদেশ দিলেন কিন্তু একে আর কোন শাস্তি দিতে চাইলেন না কারন তিনি প্রথমেই নিয়ত করে এসেছেন যেন জ্বীনগুলি রুমির শরীর থেকে চলে যায়। জ্বীন চলে যাবার পর উনি আবার রুকাইয়্যার আয়াতগুলি পড়লেন এবং রুমি মানসিক কিংবা শারীরিক পরিবর্তন হয় কিনা সেটা দেখে পুরোপুরি নিশ্চিত হলেন যে দুইটা জ্বীনই রুমির দেহ থেকে চলে গেছে।

রুমির ঘরে ঢুকার প্রায় একঘন্টা পরে তারিক সাহেব যখন রুমির বিছানা থেকে উঠে আসলেন তখন বেশ ক্লান্তবোধ করছেন। ষাটোর্ধ্ব বয়সের একজন মানুষের পক্ষে এটা আসলেও অনেক পরিশ্রমের কাজ। কিন্তু ইসলাম ধর্মে ধর্মীয় জ্ঞান গোপন করা কঠিনতম অপরাধ! এটা সরাসরি আবু হুরাইরা (রাঃ) এর সহী সনদ থেকে বর্নিত। মৃত্যুর আগে উনি এই হাদিসটা উদ্ধৃত করে এটা ছাড়াও আরও বেশ কিছু খুব গোপন হাদিস একদম শেষ সময়ে বলে গিয়েছিলেন। এই জন্য উনি উনার জানা রুকাইয়্যা করার সমস্ত জ্ঞান মাদ্রাসার বেশ কিছু শিক্ষক এবং ছাত্রদের মাঝে বিতরন করার আপ্রান চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইনসাল্লাহ, খুব শীঘ্রই হয়ত রুকাইয়্যার কাজে খুব বড় কোন ঝামেলা না হলে উনাকে আর যেতে হবে না।

রুমির বাসা থেকে চলে আসার আগে তারিক সাহেব রুমি এবং ওর বাবাকে ডেকে নিয়ে খুব ভাল করে বাসার সবার পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়া এবং সহী ইসলামিক জীবন ব্যবস্থা মেনে চলার জন্য আদেশ দিলেন। এবং সব শেষে এটাও বলে গেলেন, রুমি যদি সহীশুদ্ধু ভাবে জীবন যাপন না করে তাহলে আবারও একই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে। পুরো বাসায় ইসলামিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আদেশ করে উনি করিম সাহেবকে নিয়ে ফিরে আসলেন।

পাঁচ
আটদিন পরে মাগরীবের নামাযের ইমামাতি শেষ করে তারিক সাহেব মসজিদের বারান্দায় তসবী হাতে জিকির করার জন্য এসে দেখেন রুমি মসজিদের বারান্দায় খুব গভীর মনোযোগ দিয়ে মাগরীবের নামায পড়ছে। এটা দেখে তারিক সাহেবের মুখ থেকে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবেই উচ্চারিত হলো, মাশ-আল্লাহ, মাশ-আল্লাহ। আর সাথে সাথেই উনার মনে পড়ে গেল পবিত্র গ্রন্থ আল-ফুরকানে দেয়া সুনির্দিষ্ট কিছু আয়াত-
হে জ্বীন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? ছাড়া হবে তোমাদের প্রতি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ও ধুম্রকুঞ্জ তখন তোমরা সেইসব প্রতিহত করতে পারবে না। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে তখন সেটা রক্তবর্ণে রঞ্জিত চামড়ার মত হয়ে যাবে। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? সেদিন মানুষ না তার অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে, না জ্বীন। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? অপরাধীদের পরিচয় পাওয়া যাবে তাদের চেহারা থেকে; অতঃপর তাদের কপালের চুল ও পা ধরে টেনে নেয়া হবে। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
[সূরা আর-রাহমান, আয়াত ৩৩ থেকে ৪২। এই সূরায় মোট ৩১ বার জ্বীন ও মানবজাতিকে উদ্দেশ্য করে বারবার প্রশ্ন করা হয়েছে, অতএব, তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?]

সমাপ্ত

১।খুব যৌক্তিক কিছু কারনে রুকাইয়্যার শেষধাপ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই উল্লেখ করি নি। বিশুদ্ধ রাকী ছাড়া এর ভুল প্রয়োগ যেকোন সময়ই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে!
২। ইচ্ছাকৃত ভাবেই সবধরনের তাবিজ নষ্ট করার সহীশুদ্ধ পদ্ধতি বিস্তারিত ভাবে লিখে দিয়েছি যেন সবাই এটা ব্যবহার করা শিখতে পারেন।
৩।ইফরীত্ব জীন সম্পর্কে জানার জন্য গুগলের সাহায্য নিন, প্রচুর তথ্য দেয়া আছে ইন্টারনেটে।
৩।সহী ইসলামিক পদ্ধতিতে রুকাইয়্যা করা কিংবা এই সম্পর্কিত যে কোন সাহায্যের জন্য সরাসরি যোগাযোগ করুন এখানেঃ
https://m.facebook.com/groups/ruqyahbd?_rdr

কৃতজ্ঞতাঃ
গল্পের এই পর্ব লেখার জন্য নিম্মলিখিত এই সাইট থেকে বিস্তারিত ভাবে সাহায্য নেয়া হয়েছে। https://facebook.com/groups/ruqyahbd
এই সাইটের আবদুল্লাহ ভাইয়ের দুর্দান্ত সব লেখাগুলি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে এটা লেখার। তাই পুরো কৃতজ্ঞতাই রইল উনার এবং এই সাইটের জন্য।

আপডেটঃ
আল্লাহ চাইলে কি না সম্ভব হয়! রুকাইয়া বিডি সাইটের শ্রদ্ধেয় এবং সম্মানিত আবদুল্লাহ ভাই নিজে এসে এই পর্ব পড়ে গেছেন। আলহামদুলিল্লাহ। উনার উপদেশ মতো উনাদের আরেকটা ওয়েবসাইট http://www.ruqyahbd.org ঠিকানাও এখানে তুলে দিলাম। এই সাইটে উনাদের বিভিন্ন লেখা, অডিও, পিডিএফ সব আছে। সহায়তার জন্য গ্রুপের লিংক ঠিক আছে।

তাছাড়াও ইন্টারনেটে প্রাপ্ত এই সম্পর্কিত বিভিন্ন ইসলামিক সাইটের তথ্য সাহায্য হিসাবে নেয়া হয়েছে। যতদুর সম্ভব সর্ব্বোচ্চ চেস্টা করা হয়েছে সহী শুদ্ধ ভাবে লেখার। কোন ভুল পাওয়া গেলে সেটা ধরিয়ে দেবার অনুরোধ রেখে গেলাম।

উৎর্সগঃ
আমার খুব প্রিয় করুণাধারা আপুকে। এইসব রহস্যময় বিষয়গুলি আপুর খুব প্রিয়। ঠিক জানি না কতটুকু ভালো লিখতে পেরেছি! মূল্যায়নের দায়ভার যথারীতি আমার সম্মানিত পাঠকদের কাছেই রেখে গেলাম। পাঠকদের ভালো লাগলেই এই সিরিজ নিয়ে আরও লেখার চিন্তা করব।


এই সিরিজের আগের গল্পগুলি যারা পড়তে চান, তাদের জন্য-
১। গল্পঃ ভৌতিক কাহিনী - পরী সাধনা! (প্রথম পর্ব)
২। গল্পঃ ভৌতিক কাহিনী - পরী সাধনা! (দ্বিতীয় পর্ব)

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ,এপ্রিল, ২০১৯

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৯

বাংলার মেলা বলেছেন: পরী আর জ্বীন সাধনা নিয়ে লিখলেন। আশা করি আরও কিছু সাধনা নিয়ে লিখবেন। হিন্দু তান্ত্রিক ও সাধুরাও এভাবে পিশাচ তাড়ায়। তাদের কর্মকান্ড নিয়েও লিখবেন। তারপর একটা বই প্রকাশ করুন। বইয়ের নাম দেবেন 'পরী সাধনা'। অধীর আগ্রহে থাকব সেই বই পড়ার জন্য।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০০

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
১ম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আশা করি আরও কিছু সাধনা নিয়ে লিখবেন। হিন্দু তান্ত্রিক ও সাধুরাও এভাবে পিশাচ তাড়ায়। তাদের কর্মকান্ড নিয়েও লিখবেন। তারপর একটা বই প্রকাশ করুন। বইয়ের নাম দেবেন 'পরী সাধনা'। অধীর আগ্রহে থাকব সেই বই পড়ার জন্য।
খুব ভালো বুদ্ধি দিয়েছেন। কিন্তু এই জন্য আমাকে প্রচুর স্ট্যাডি করতে হবে। তবে আপনার বুদ্ধি খুব ভালো লেগেছে আমার। আরও লিখব এই সব নিয়ে। সময় দিবেন ভাই। আমি কোন কিছু ভালো না হলে লিখি না।
সব সময় পাশে থাকবেন আশা করি।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: গল্পের ১ম অংশের লিংক সংযুক্ত হয়নি।

৪র্থ প্যারার ২য় অংশের ২য় লাইনে রুমির মামা রুমির মাকে ..........হবে।

দুর্দান্ত হয়েছে।++++++++

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১০

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
অনেক কষ্ট করেছি এটা লেখা জন্য। তবুও পিছু হটে আসিনি।
আপনার কথা মতো লাইনটা পুরো ঠিক করে দিয়েছি। ধন্যবাদ।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য মন থেকে শুভ কামনা রইল!!

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: চমতকার।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১০

নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুভ কামনা রইল!!

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০১

মুক্তা নীল বলেছেন: নীল আকাশ ভাই,
শুভ সকাল। প্রথমেই ধন্যবাদ দিব আপনাকে এমন সুন্দর একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য। প্রথম পর্ব আমার ভালো লেগেছে দ্বিতীয় পর্ব মারাত্মক হয়েছে।
আপনি খুব সতর্কতার সাথে কোরআনের আয়াত দিয়ে জিন তাড়ানোর পদ্ধতি টা সহীহ ভাবে দেখিয়েছেন। খুব ভালো লেগেছে এরই মাঝে আর একটি কথা না বললেই নয় কুফুরি কালাম নিয়ে আপনি একটা কথা লিখেছেন, যদিও ছোট্ট করে আরেকটু বড় করে লিখলে ভাল হত। সব মিলিয়ে ভালো লাগা আর ভালো লাগে এই কারণে আপনি যে গল্পে ডুব দেন সেটার ভেতর থেকে একদম সবকিছু সহ তুলে আনেন। সত্যিই চমৎকার হয়েছে। ভালো থাকবেন শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১১

নীল আকাশ বলেছেন: কোনটা তাবিজ নিয়ে যেটা বলেছি। কনর্ফাম করুন।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৮

জুন বলেছেন: পড়া শুরু করলাম নীল আকাশ ।

এমন কাকতালীয় কি করে হয় :-*
গত পোস্টেই বলেছি আমার বড় ভাই এর ডাক নাম রুমী আর ভালো নাম তারিক :|

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: জুন আপু,
আমিও গত পর্বেই বলেছি আমার কপাল আসলেও খারাপ। তবে তারিক আমার আব্বার নামও। সেই জন্য এই নামটা এখানে ব্যবহার করেছি।
গল্প কেমন লেগেছে এটা বলুন আপু? অনেক কষ্ট করেছি এটা লেখার জন্য। তবুও পিছু হটে আসিনি।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুভ কামনা রইল!!

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
তাবিজের অপর পিঠে শিরক। কিন্তু আপনি আর কি বললেন, বুঝলাম নাহ।

যে কোন প্রকার তাবিজ থাকলে সেটা খুলে ফেলে সহীশুদ্ধ ভাবে নষ্ট করে ফেলতে হবে কারন তাবিজ হারাম। 

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে এটা নিয়ে পরে বিস্তারিত ভাবে আলাদা করে লিখব। একটু সময় দিন। আমি বুঝতে পারছি আপনি কি জানতে চাচ্ছেন।
মন্তব্যের জন্য শুভ কামনা রইল!!

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯

জুন বলেছেন: খুব সুন্দর বিস্তারিত ভাবে জ্বীন তাড়ানোর কথা লিখেছেন যা আমাদের জন্যও শিক্ষনীয় নীল আকাশ । না জেনে বুঝে এসব অপরিনামদর্শী কার্য্যকলাপ কি ধরনের ভয়ংকর পরিনতি ডেকে আনতে পারে তার প্রমান রুমীর বই আনিয়ে এই ধরনের চেষ্টা করা ।
যাই হোক তারিক সাহেবের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দুষ্ট জ্বীনের আছর থেকে রুমী সুস্থ হলো এটাই বিশাল ব্যপার ।
+

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
সুন্দর করে আমার এই পর্বের শান-ই-নযুল লিখে দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুভ কামনা রইল!!

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩

মুক্তা নীল বলেছেন: ভাই
আপনি তাবিজ নিয়ে যা লিখেছেন তা ঠিকই লিখেছেন। আপনার মন্তব্য আর আমার বক্তব্য একই। আমি আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত। আমি নিজেও তাবিজে বিশ্বাসী নই।
আশাকরি এই বিষয়ে আর কোন দ্বিধা নাই।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এটা নিয়ে আমারও কোন সন্দেহ নাই। এটা শিরক এবং হারাম।
আবার ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩

জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: দুর্দান্ত গল্প লিখেছেন। এই পর্ব আগেরটার চেয়ে ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: পড়া এবং খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৯

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: পুরা ভয়ঙ্কর অবস্থা বানিয়া ফেলছেন #:-S

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

নীল আকাশ বলেছেন: ভয়ংকর অবস্থা থেকে তো রুমি কে বের করে আনলাম। আবার কি ভয়ংকর হলো?
এই পর্ব কেমন লেগেছে?
ধন্যবাদ।

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: গুড
লেখার মধ্যে দারুন এক ছন্দ আছে। অনেক দরকারি তথ্যও পেলাম। চালিয়ে যান...


"আটদিন পরে মাগরীবের নামাযের ইমামাতি শেষ করে তারিক সাহেব মসজিদের বারান্দায় তসবী হাতে জিকির করার জন্য এসে দেখেন রুমি মসজিদের বারান্দায় খুব গভীর মনোযোগ দিয়ে মাগরীবের নামায পড়ছে"
রুমি বাগানবাড়ি মসজিদে কেন গিয়েছে?

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
কই ছিলেন আপনি এত দিন??
কত দিন পরে আপনাকে পেলাম।
ইচ্ছে করে কিছু তথ্য দিয়েছি সবাই যেন এর থেকে উপকার পায়।

রুমি বাগানবাড়ি মসজিদে কেন গিয়েছে? - সত্য কথা হলো গল্পটার শেষ মিলানোর জন্য। তারিক সাহেবের সাথে দেখা করতে গিয়েছিল বলেও ধরতে পারেন।
পড়ার এবং সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৭

করুণাধারা বলেছেন: আপাতত লাইক দিয়ে গেলাম। ইনশাল্লাহ, পরে আবার ফিরে আসবো।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: অবশ্যই ফিরবেন, এটা আপনার গল্প।
আপনার কেমন লাগলো এটা আমি সত্যই জানতে চাই।
ধন্যবাদ।

১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,

পুত্র মারা যাওয়ার পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও ক্রমশ প্ল্যানচেটের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিলেন। এটাতো ঠিক গল্প নয়, অদ্ভুত এক ধরনের সাধনা। আমার আশঙ্কা এবার না আপনি ক্রমশ জিন পরী নিয়ে কাজ কারবার শুরু করেন।

বহু প্রতিক্ষার পর অবশেষে রুমি মুক্তি পেল। মুক্তি পেলাম আমরাও একদম বন্ধ পরিস্থিতি থেকে। তবে আপনি স্যার এর পরে চোখ বুজিয়ে জিন পরি হাসিলের কাজে নামতে পারেন। আপনার আশপাশের ইমাম সাহেব /হাফেজ সাহেবের যে ভাত মরে যাবে সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত। ভালোই দক্ষিণা মিলবে হাহাহা...
উৎসর্গ ভালো লাগা।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: সেই দিনের দুস্টামীর শোধ নিলেন মনে হয়, তাইনা!!
তবে এই কাজে নামলে আপনাকে পার্টনার বানাব, যা পাব ভাগাভাগি করে খাব। কি বলেন?
গত কালকে নবমী নিয়ে যে দারুন ফিরিস্তি দিয়েছেন তাতে নির্ঘাত আমরা ২ জনই একসাথে নেমে যেত পারব।

আপু, এই ধরনের বিষয় পছন্দ করেন দেখেই উনাকে উৎর্সগ করেছি।

আপনি তো আর আমাকে শেফালী ম্যাডামের প্রেম কাহিনী পড়তে দিলেন না।
তাই আপনার জন্যই একটা প্রেম কাহিনী লিখছি।

সব সময় পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ এবং অনন্তর শুভ কামনা রইল!

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুপ্রভাত নীলাআকাশ!
এত দেখছি রীতিমত গবেষণা পত্র গল্পের ঢঙে !!
ভালোলাগা ++

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
যেই পরিমান লেখাপড়া করেছি এই পর্ব লেখার জন্য তাতে সত্যই একটা গবেষনা পত্র হয়ে যাবে। হিউজ সাপোরটিং ডকুমেন্ট হাতে আছে। ভাবছি এই সব নিয়ে একটা প্রবন্ধ লিখে ফেলবো।
গল্প কেমন লাগলো জানাবেন না??
চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুভ কামনা রইল!!

১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

নতুন বলেছেন: কোরানে জীন সম্পকে আছে তাই সেটা মেন নিন....

কিন্তু ঐ জীনই যে মানুষকে সমস্যায় ফেলে আছর করে সেটা কি কোরানে আছে? নেই তাই না....

তবে জীন/ভুত/প্রেত/পিশাচে আছর করেছে বলে ঝাড় ফুক সবই কি ভন্ডামীর অংশ নয় কি?

আফ্রিকায়র ওঝা তাদের মন্ত্র পড়ে এই রকমের আছড় মুক্ত করে....
ভারতে পুরহিত সংস্ক্রিতি মন্ত পড়ে.....
হুজুররা কোরানের আয়াত পড়ে....
খৃস্টিয়ানরা জিসাজের দোহায় দেয়.....
থাইল্যান্ডে তাদের মন্ত্র পড়ে বুদ্ধিস্ট পুরহিত....

সবাই কিন্তু এমন ভুত/জীন তাড়ায়.....

তাহলে জীন কি এই সব করলে চলে যায়???

আসলে মানুষিক রোগীকে সব দেশেই এই রকমের ভন্ডামী করে কিছু মানুষ টাকা পয়সা আয় করে....

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:১০

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি দারুন প্রশ্ন করেছেন।
আপনাকে আমি এই প্রশ্নগুলির জন্য পরে উত্তর দেব, বিস্তারিত ভাবে।
একটু সময় চেয়ে নিচ্ছি।
এই পর্ব পড়ার ধন্যবাদ। আমি আবার আপনার কাছে ফিরে আসব।
ধন্যবাদ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: নতুন ভাই, শুভ রাত্রী।
আপনি উপরের মন্তব্যে কিছু প্রশ্ন রেখেছিলেন যা আমি তখন উত্তর দিতে পারি নি।
শ্রদ্ধেয় এবং সম্মানিত আব্দুল্লাহ ভাই (রুকাইয়া বিডি) নিজেই আপনার এই প্রশ্ন গুলি উত্তর আমাকে দিয়ে গেছেন। উনার দেয়া উত্তরটাই আমি নীচে তুলে দিলাম হুবহু-
-----------
মুসলিমরা কুর'আনের সাহায্যে জ্বীন, ভূত ছাড়ায় যেটা আল্লাহর কালাম। তাই জ্বীন ভূত ভিক্টিমকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু অন্যান্য ধর্মের ধর্মগুরুরা কিভাবে বাইবেল, গীতা পড়ে ভূত ছাড়াতে পারে? যেখানে এই বইগুলো নিজেই গভীর শির্কে পরিপূর্ণ সেগুলো কিভাবে শয়তানের বিরুদ্ধে অস্ত্র হতে পারে?
Answer: "...আওফ ইবনু মালিক আশজাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জাহেলী যুগে বিভিন্নমন্ত্র দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করতাম। তাই আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আরয করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এব্যাপারে আপনার কি অভিমত? তিনি বললেন, তোমাদের মন্ত্রগুলো আমার কাছে পেশ করতে থাকবে, যদি তাতে শিরক না থাকে তাহলে কোনো সমস্যা নেই। (সহীহ মুসলিম হাদিস নং ইফাঃ ৫৫৪৪, ইসলামওয়েব ২২০০)
এই হাদিসেও দেখা যাচ্ছে ইসলামপূর্ব সময়ে ঝাড়ফুঁকের প্রচলন ছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এগুলো দ্বারা ফায়দা হয় কিভাবে?
.
প্রথমতঃ বিভিন্ন শয়তানি মন্ত্র আছে যার মাধ্যমে শয়তানদের সন্তুষ্ট করে তাদের সহায়তা নেয়া যায়, এবং এসবের প্রভাব তো অবশ্যই আছে। এরকম কিছু দিয়েও জ্বিন ছাড়ানো যায়।

দ্বিতীয়ঃ বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী জ্বিন আছে, বিভিন্ন প্রকারের জ্বিন আছে। কোরআন পড়লে বিভিন্ন প্রকারের জ্বিনদের ওপর বিভিন্ন ইফেক্ট হয়। কেউ দেখে একটা মারাত্মক আলো তাকে আঘাত করছে, কেউ দেখে প্রচণ্ড জোড়ে বজ্রপাত হচ্ছে ইত্যাদি। এরকমভাবে, কোরআন এর ইফেক্ট আর অন্যান্য ধর্মের ইফেক্ট এ পার্থক্য আছে।

তৃতীয়তঃ বিভিন্ন ধর্মের জ্বিন আছে। উদাহরণস্বরূপঃ খৃষ্টান জ্বিন আছে, তারা অবশ্যই বাইবেলের কথা শোনে। তাদের সামনে যখন বাইবেল থেকে পড়া হয় কিভাবে ঈসা আ.জ্বিন ছাড়াইছে তখন তারা বিগলিত হয়, চলে যেতে রাজি হয়।

চতুর্থতঃ এসবে শিরক থাকে বিধায়ও শয়তান ধরতে পারে, অর্থাৎ এদের ধরলেই তো শিরকি কবিরাজের কাছে যাবে, শিরক করবে। শয়তান তো এটাই চায় মানুষ শিরক করুক, তখন আরও দাবি করে আমার নামে ছাগল জবাই করা, মুরগি জবাই কর, এই এই জিনিশ দে। এসবগুলোই গাইরুল্লাহর নামে কোরবানির মত শিরক। এসব শিরকে সন্তুষ্ট হলে তারপর শয়তান চলে যায়।

পঞ্চমতঃ এটাও সম্ভব যে, সেই ওঝা কোন জ্বিনের উপাসনা করে, সেই জ্বিন অনেক শক্তিশালী। অতএব, তার সাহায্য নিয়ে ছোট জ্বিনকে তাড়ায়।

আশা করি আপনার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর আপনি পেয়ে গেছেন।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!

১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


গাঁজাখোরী প্লট

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: আবার এসেছেন আপনি?
আপনাকে না আমি আমার গল্প পড়তে মানা করেছি।
আমার গল্প আপনার জন্য উপযুক্ত নয়।
এই সব গল্প প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য।
আর আপনি এখনও প্রি প্লে তে পড়ার উপযুক্ত।

১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২

বলেছেন: প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের গল্পে তো মাথা খারাপ হয়ে গেলো।
এত কষ্ট করে গল্পটা লিখেছেন বুঝতে পারছি।


২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১

নীল আকাশ বলেছেন: লতিফ ভাই,
সবাই তো আর ব্লগে অপ্রাপ্তবয়স্ক নয়!!
যেই পরিমান লেখাপড়া করেছি এই পর্ব লেখার জন্য তাতে সত্যই একটা গবেষনা পত্র হয়ে যাবে। হিউজ সাপোরটিং ডকুমেন্ট হাতে আছে। ভাবছি এই সব নিয়ে একটা প্রবন্ধ লিখে ফেলবো।
গল্প কেমন লাগলো জানাবেন না??
চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুভ কামনা রইল!!

১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রি প্লে-তে পড়ার উপযোগী লোকজনও তাহলে আমাদের সাথে আছেন!

সময় নিয়ে পড়ে দেখার ইচ্ছে থাকলো।

শুভকামনা সবসময়।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: নকিব ভাই,
আপনি এসেছেন খুব ভাল হয়েছে। আমি বেশ কিছু জায়গায় ধর্মীয় অনেক কিছু লিখেছি।
আমি আপনাকে খুব করে অনুরোধ করব পুরোটা ভালো পড়ে আমাকে জানান সব ঠিক আছে কিনা না।
ভুল থাকলেও ধরিয়ে দিন। বেশ ভয়ে আছি। এই সব ব্যাপারে ভুল করা যাবে না।
ধন্যবাদ।

১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: দারুন সমাপ্তি! পোস্টটি পড়তে যেমন ভালো লেগেছে তেমনি অনেক কিছু জানতে পেরে উপকৃতও হলাম। লিঙ্ক দেয়ায় খুব সুবিধা হয়েছে, লিঙ্ক ধরে একটার পর একটা লিঙ্ক পেয়েছি, অনেক কিছু জানতে পারলাম। আমার মত অনেকেই উপকৃত হবেন নিশ্চিতভাবেই। এজন্য যেভাবেই, যতই ধন্যবাদ জানাই না কেন, মনে হবে কম বলা হয়েছে...........

আগের পর্বের মত এই পর্বও আমাকে উৎসর্গ করায় খুবই আনন্দিত হলাম, চমৎকার এই উপহারের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নীল আকাশ।

সমস্ত কিছু, খুঁটিনাটি, এতটা ভালো ভাবে বর্ণনা করেছেন, বোঝাই যাচ্ছে কতটা কষ্ট হয়েছে এই পোস্ট লিখতে। তবে আপনার এই কষ্ট অনেকের অনেক কষ্ট লাঘব করবে, নিশ্চিত জানবেন।

ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
বেশ কিছুদিন আগে আপনি আমাকে একজন পুরাতন ব্লগারের একটা পোস্ট দিয়েছিলেন। বেচারা একটা তাবিজ নষ্ট করতে পারছিল না। শেষ পর্যন্ত উনার মা মারা যান। এটা আমাকে খুব গভীর ভাবে স্পর্শ করেছিল। তাই এবার হারাম তাবিজ কিভাবে নষ্ট করতে হয় সেটা বিস্তারিত ভাবে দিয়ে দিয়েছি, উনার মতো আর কেউ যেন খালি হাতে ফিরত না যায়।

সারাদেশে এখন জ্বীন তাড়ানোর নামে বিশাল ভন্ডামী চলছে। প্রায় সবই কুফরী কালাম এর উপর চলে। এদের কাছে গেলেই ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। সহী এবং সঠিক পদ্ধতি সবাইকে পরিষ্কার করে লিখে দিয়েছি যেন সবাই জানতে পারে।

খুব কষ্ট করেছি এই পর্ব লেখার জন্য, মনে কোনই দুঃখ নেই। একজনেরও যদি উপকার হয় তাও আমার সব কষ্ট সার্থক হবে।

আপনি খুব খুশি হয়েছেন দেখে আমারও ভালো লাগলো। ঊৎর্সগটা কাজে লেগেছে।

জ্বীনদের নিয়ে আরও কিছু লিখব।

সব সময় এভাবে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
ধন্যবাদ এবং অনন্তর শুভ কামনা রইল।

২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পুরো লেখাটা এক কথায় চমৎকার!গল্পের মূল সারাংশ আমাকে একটি কথা মনে করিয়ে দেয়,মহান আল্লাহ্‌ বলেন,
তোমরা নিজেদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিও না।সূরা বাকারা ১৯৫ নম্বর আয়াত।

জীন নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই।অনেকে জীন কাবু করার জন্য অনেক ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটাই তাঁদের জন্য ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়।যেমনটা আপনার গল্পের রুমি নামক চরিত্রে ফুটিয়ে তুলেছেন।এই বিষয়টা সত্যিই ভাববার মতন।

জীন দেখতে কেমন এই বিষয়ে মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আ'লামিন ভালো জানেন।কেননা পবিত্র কোরআনে সূরা আল জীনে ২৬ নম্বর আয়াতে উল্লেখ আছে, তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী, আর তিনি তাঁর অদৃশ্যে জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না।

জীনদের বিষয়ে আরও উল্লেখ আছে, আয়াত ১৪-১৫,সূরা জীন,

‘আর নিশ্চয় আমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক আছে আত্মসমপর্ণকারী এবং আমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক সীমালংঘনকারী। কাজেই যারা আত্মসমপর্ণ করেছে, তারাই সঠিক পথ বেছে নিয়েছে’। আর যারা সীমালঙ্ঘনকারী, তারা তো জাহান্নামের ইন্ধন।

আর সেই সমস্ত সীমালঙ্ঘনকরারীদের থেকে বাচার বিষয়ে কয়েকটি হাদিস দিলাম,

একটি ঘটনাটি তিনজন সাহাবী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হলো। তাঁরা হচ্ছেন উবাই ইবনু ক্বা’ব (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হলো। তাঁরা হচ্ছেন উবাই ইবনু ক্বা’ব (রাঃ) আবূ আইয়্যূব আনসারী (রাঃ) এবং আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, কুরআনুল কারীমের মধ্যে একটি আয়াত রয়েছে যা কুরআন মাজীদের সমস্ত আয়াতের নেতা। যে বাড়িতে ওঠা পাঠ করা হয়, তথা হতে শয়তান পালিয়ে যায়। ঐ আয়াত হচ্ছে আয়াতুল কুরসী। (মুসতাদরাক-ই-হাকিম)।

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলায়হি ওয়াসাল্লাম) বলেন, দু’টি আয়াতের মধ্যে আল্লাহ তা’আলার ইসমে আযম রয়েছে। একটি হচ্ছে আয়াতুল কুরসী এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে আলিফ লাম মিম। (মুসনাদ-ই-আহমাদ)।

অন্য হাদীসে রয়েছে যে, ইসমে আযম তিনটি সূরাতে রয়েছে। এই নামের বরকতে যে প্রার্থনাই মহান আল্লাহর কাছে করা তা গৃহীত হয়ে যায়। ঐ সূরা তিনটি হচ্ছে সূরা আল বাক্বারাহ, সূরা: আলে ইমরান এবং সূরা ত্ব-হা-। (তাফসীর-ই-ইবনু মিরদুয়াই)।

সুতরাং আমাদের উচিৎ মহান আল্লাহ্‌ ও তার রাসূলের নির্দেশনা মেনে জীবন যাপন করা।যা আমাদের সাধ্যের বাহিরে সে বিষয়ে কৌতূহল বশত এমন কিছু না করা যা আমাদের সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করে দেয়।
আল্লাহ্‌ সকলের মঙ্গল করুন।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
শুভ রাত্রী।
কোন ভাষাই এত সুন্দর একটা মন্তব্যকে উপযুক্ত ভাবে ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাতে পারবে না। ঠিক এই জন্যই ভাই কে আমি অনুরোধ করেছিলাম মন্তব্যের জন্য।

আপনার লেখার সাথে আমি যোগ করতে চাই-

"And I (Allaah) created not the jinns and humans, except they should worship Me (Alone)." [al-Dhaariyaat 51:56].

"O assembly of jinns and mankind! Did there not come to you Messengers from amongst you, reciting unto you My Verses...?" [al-An'aam 6:130]

"...Verily he [Shaytaan] and his qabeeluhu [his soldiers from the jinn or his tribe] see you from where you cannot see them..." [al-A'raaf 7:27]

Allaah has told us in His Book the essence from which the jinn were created. He says (interpretation of the meaning):
"And the jinn, We created aforetime from the smokeless flame o fire." [al-Hijr 15:27]

"And the jinns did He create from a smokeless flame of fire." [al-Rahmaan 55:15].

According to a hadeeth narrated by 'Aa'ishah, the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: "The angels were created from light, the jinn were created from fire, and Aadam was created from that which has been described to you." (Reported by Muslim, 5314).

সুতরাং কোন ভাবেই জ্বীনের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ বা প্রশ্ন তোলা যাবে না।

সব সময় এভাবে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
ধন্যবাদ এবং অনন্তর শুভ কামনা রইল।

২১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রুদ্ধশ্বাসে পড়া কি একেই বলে!

:)

একদমে পড়ে গেলাম।
আপাতত ভাল লাগা টুকু রেখেই বিদায়।
আবার আসছি - - -

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ এবং অনন্তর শুভ কামনা রইল।

২২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:১৯

বলেছেন: আল্লাহ জীন ও ইনসান থাকার পৃথক জায়গা করে দিয়েছেন - এই একটি লাইন কোট করলাম তাতেই বুঝা যায় আপনি কতটা সাধনা করে লিখেছেন। কুরআনের সুরা থেকে শুরু করে কোন কিছু বাদ যায়নি।

- আপনার লেখা সমন্ধে মৃল্যায়ন করারা কোন সাহস ও দুঃসাহস আমার মতো ক্ষুদ্র মানাবের নেই।

শুধু শুভ কামনা।।।+++++

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
কি যে বলেন ভাই! লজ্জায় তো মাথা কাটা যাচ্ছে।
তবে যেহেতু ধর্মীয় পোস্ট আমি সর্ব্বোচ্চ চেস্টা করেছি সহী শুদ্ধ ভাবে লেখার জন্য।
সব সময় এভাবে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
ধন্যবাদ এবং অনন্তর শুভ কামনা রইল।

২৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এবার আসেন কিছু বাতচিৎ করি ;)

প্রথম প্রসংগ তাবিজ নিয়ে!

তাবিজ করা হারাম বলেছেন? এটা বলা কি সঠিক হল?
আপনার লেখনির প্রভাবক ক্ষমতা বেশি। তাই পাঠকের বিশ্বাসযোগ্যতায় তার প্রভাবও বেশি!

যদিও র্টামটা ইদানিং ওহাবিদের তাবলীগওলাদরে মাঝে প্রচলিত!
এমনকি “ অ মা ভাতদেও’র মতো স্বাভাবিক কথায়ও শিরক খুঁজে পায়! :-/
আমি ফান করি তাদের পেলে- তবেকি বলবো ভায়া? অ আল্লাহ ভাত দেও? আর মায় যদি ঠাডি দিয়া বিইসা থাকে
জীবনেও ভাত খাওয়া হইবো না ;) =p~

তাদের কিছু স্থুল চিন্তা ভাবনাই বহু সমস্যা সৃষ্টি করছে।

রাকীর বাকী পদ্ধতি গুলো অনেক চাপায়ে চুপায়ে বলাতে গল্পের রোমাঞ্চ খানিকটা কমলেও আপনার ব্যাখ্যায় তা মেনে নিনু :)
রাকীর ফেসবুক সাইটে গিয়ে মেন হল - শত বছর পিছনে চলে গেছি বুঝি! আর এত মানুষের এত সমস্যা!!!
ওএমএ!!!!!
মাথা বনবন ঘুরতে ছিল!

কসম করানোটা ভাল লেগেছে। শক্ত কসম হয়েছে বটে।

আর সিরিয়াসলি শকড হয়েছি বাড়ীর পরিবেশ পবিত্র করা অংশে !
টেলিভিশন, রেডিও ছবিতে বাড়ী অপবিত্র হয়!!!!!!!!!!!!শকড!!! সিরিয়াসলি!
একসময় এটা তীব্র ছিল। এখনো আছে। ছবি তোলাও হারাম ছিল!
কিন্তু জ্ঞান আর প্রযুক্তির এই সর্বন সময়ে আমরা কি এখনো সেই সব ভুল ধরে রাখবো?
ব্রিটিশ খেদাতে ১০০ বছর পিছিয়ে ছিল মুসলমানরা ইংরেজী শেখা হারাম ফতোয়ায়!!!!

বুঝছি কপালে আরো খারাবী আছে!
আরো শতখানেক বছর শত্রুর হাতে জম্মের মাইর খাইলে যদি ঈমান ঠিক হয়!!! ;) :P

বাকী সব বরাবরের মতোই দারুন। কারণ আপনার গল্প মানেই স্পেশাল । গল্পের কাটাকুটি আমার কম্মো নয় ভায়া :)
অলোয়েজ শতে শ :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় ভাই,
আমি আপনার এই মন্তব্যের জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ দিচ্ছি।
তাবিজ নিয়ে আপনার কথার প্রক্ষিতে খুব শিঘ্রই একটা পোস্ট দিব। সেইখানেই আমি আমার এই কথাগুলির ব্যাখ্যা দিব।

রাকীরা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেন । আমি সবগুলি থেকে সহী নিয়মগুলি এক এক করে তুলে দিয়েছি।

ইসলাম যেটা হারাম ঘোষনা করেছে সেটা সর্বাবস্থায় হারাম। হাজার বছরের ঐতিহ্য হলেও হারাম, কোটি বছরের সংস্কৃতি হলেও হারাম। মুসলমানদের বিশ্বাস মতে ভাল-মন্দ, মঙ্গল-অমঙ্গল সব কিছুই আল্লাহর হুকুমেই সংঘটিত হয়ে থাকে। মুসলমানকে কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করতে হবে একমাত্র আল্লাহর কাছেই। টেলিভিষন আর রেডিও তে যা হয় আজকাল সেটা কি আসলেও ইসলাম সমর্থন করে বলুন? ঘরে শয়তান আর ফেরেস্তা আসা নিয়ে আমি যা বলেছি সেটা হাদিসের সমর্থনেই লিখেছি।

ধর্ম হলো বিশ্বাস, পরিপূর্ণ বিশ্বাস। আংশিক বিশ্বাস বলে এতে কিছুই নেই।

বাকী সব বরাবরের মতোই দারুন। কারণ আপনার গল্প মানেই স্পেশাল। আমি সবসময় চেস্টা করি নতুন কিছু নিয়ে লেখার আর সেজন্য প্রচুর পরিমানে স্ট্যাডি করি লেখার আগে। এই গল্প নিয়ে আপনার এই লাইনটা আমার হৃদয়ে গেঁথে রইল।

সব সময় এভাবে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
ধন্যবাদ এবং অনন্তর শুভ কামনা রইল।

২৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এক
পড়া হবে
নির্দিষ্ট হবে (দন্ত স)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২ টাই ঠিক করে দিয়েছি।
চোখে পড়লেই সব সময় ভুল ধরিয়ে দিবেন।
লেখার সময় সব কিছু মাথায় থাকে না।

২৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: হাশিমকে ধরতে বললেন :||

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি ভাই একদম অনুবীক্ষন যন্ত্র। বিরাট ভুল করে ফেলেছিলাম লিখার সময়। আপনার মন্তব্য দেখার সাথে সাথেই ঠিক করে দিয়েছি।
অসংখ্য ধন্যবাদ এই ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য।

২৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সহী জ্বীন তাড়ানো পোস্ট :D

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
সারাদেশে এখন জ্বীন তাড়ানোর নামে বিশাল ভন্ডামী চলছে। প্রায় সবই কুফরী কালাম এর উপর চলে। এদের কাছে গেলেই ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। সহী এবং সঠিক পদ্ধতি সবাইকে পরিষ্কার করে লিখে দিয়েছি যেন সবাই জানতে পারে।

খুব কষ্ট করেছি এই পর্ব লেখার জন্য, মনে কোনই দুঃখ নেই। একজনেরও যদি উপকার হয় তাও আমার সব কষ্ট সার্থক হবে।

জ্বীনদের নিয়ে আরও কিছু লিখব।

সব সময় এভাবে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
ধন্যবাদ এবং অনন্তর শুভ কামনা রইল।

২৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৭

আরোগ্য বলেছেন: ভালো একজন রাকী যদি পাওয়া যেতো তাহলে হয়তো আমার আম্মু আজকে ভালো থাকতো। গণ্ডায় গন্ডায় টাকা গেছে কিন্তু কোন কাজ হয় নি। তাছাড়া ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসায় হিতে বিপরীত হয়েছে। হয়তো এটাই আল্লাহর ইচ্ছা। তাছাড়া মাঝে মাঝে সুস্থ হয় তার জন্য আলহামদুলিল্লাহ।

আপনার গল্পের চমক সবাইকে টানে। ১৬ নং মন্তব্যেে দেখলাম মুরুব্বিও এসেছে :P
প্লটের জন্য অনেক গবেষণা করতে হয়েছে। পরিশ্রম সফল হয়েছে তা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। গল্পেে ভালোলাগা রইলো।

করুনাধারা আপুকে অভিনন্দন।

পরবর্তী গল্পের জন্য শুভ কামনা করছি।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: আরোগ্য ভাই,
সালাম ভাই।
আমার মনে হয় আপনার আম্মার ভালো কোন একজন রাকীর কাছে নিয়ে সব গুলি রুকাইয়্যার পরীক্ষা করে দেখা উচিৎ। আল্লাহর রহমত কার উপর কখন নাযিল হবে সেটা তো আমরা কেউ জানি না। আমি সময় চেয়ে নিচ্ছি। ঢাকায় সহী রুকাইয়্যা করার জন্য কিছু সেন্টার খোলা হয়েছে। আমি এড্রেসটা বের করে আপনাকে এখানেই দিয়ে দিব। অপেক্ষা করুন।

সারাদেশে এখন জ্বীন তাড়ানোর নামে বিশাল ভন্ডামী চলছে। প্রায় সবই কুফরী কালাম এর উপর চলে। এদের কাছে গেলেই ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। সহী এবং সঠিক পদ্ধতি সবাইকে পরিষ্কার করে লিখে দিয়েছি যেন সবাই জানতে পারে। খুব কষ্ট করেছি এই পর্ব লেখার জন্য, মনে কোনই দুঃখ নেই। একজনেরও যদি উপকার হয় তাও আমার সব কষ্ট সার্থক হবে।

১৬ নং মন্তব্যে উন্মাদ একজন এসেছিল। আমি এর আগের পর্বেই উনাকে মানা করেছিলাম আমার গল্প না পড়ার জন্য। গিনিপিগের বুদ্ধি নিয়ে উনি সবাইকে বিচার করেন। দুর দুর করে আমার এই গল্পের পোস্ট থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি।

এর পরের গল্প আপনার জন্য লেখা হয়েছে। সম্ভবত আমার অন্যতম সেরা লেখা হবে সেটা। নাবিলা সিরিজের। অধরাকে নিয়ে। এই মাসের শেষেই পোস্ট দিয়ে দিব। অগ্রীম দাওয়াত দিলাম আপনাকে।

সব সময় এভাবে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
ধন্যবাদ এবং অনন্তর শুভ কামনা রইল।

২৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার চোখে সব পড়ে ;)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: অবশ্যই। আর ঠিক এই জন্যই আপনাকে আমি এত পছন্দ করি।
আপনি পড়লেই সব ভুল গুলি ঠিক করে ফেলতে পারি।
অনন্তর শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

২৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৫

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই,
একটা সত্য ঘটনা লিখেছি। সময় করে পড়ে নিয়েন, আমার ব্লগে।
ভালো থাকুন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১১

নীল আকাশ বলেছেন: আমার শেষ প্রতি মন্তব্যটা পড়ুন।
আজকে আপনাকে নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছি।
ধন্যবাদ।

৩০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৫

মুক্তা নীল বলেছেন: ভাই,
২টি-ই না।
আর এই ছবিটা আসেনি।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: মুক্তা আপু, শুভ রাত্রী।
খুব ভাল করেছেন আপনার পোস্টে আমার মন্তব্য ডিলিট করে।
তারমানে আপনি এখনও সেফ হন নি। প্রথম পাতায় আপনার লেখা এখনও আসে না।
আমি কালকে আপনাকে নিয়ে একটা পোস্ট দিব আপনার ভাই হিসেবে।
ইনসাল্লাহ সেখানেই কথা হবে আপনাকে নিয়ে।
আপনার গল্পটার মন্তব্য ইচ্ছে করেই আমি এখন দিচ্ছি না। সবার শেষে দেব।
আমি কিছু লেখার টিপস দিব আপনাকে। সেগুলি পড়লে আপনি আরও ভাল করে লিখতে পারবেন।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!

৩১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দুই পর্বই পড়লাম। বিস্তারিত লিখেছেন.......সুন্দর গল্প।
ইংল্যান্ডে প্রচুর জ্বীন-ভুত আছে। ভাবছি পার্ট টাইম পেশা হিসাবে জ্বীন-ভুত তাড়ানোর কাজ শুরু করবো কিনা! :P

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
যাক এবার আপনি পছন্দ করেছেন। আপনার জন্যই এই গল্পে পুরোপুরি ইসলামিক নিয়ম মেনে লিখেছি।
ইংল্যান্ডে প্রচুর জ্বীন-ভুত আছে। ভাবছি পার্ট টাইম পেশা হিসাবে জ্বীন-ভুত তাড়ানোর কাজ শুরু করবো কিনা!

অবশ্যই করতে পারেন। আমার এই পর্ব প্রিন্ট করে নিয়ে কালকে থেকেই জ্বীন-ভুত তাড়ানোর কাজে নেমে পড়ুন। ইনকাম কিছু হলে আমার সাথে শেয়ার করতে কিন্তু ভুলবেন না।
ধন্যবাদ।

৩২| ২৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:০২

মা.হাসান বলেছেন: আপনার এই পোস্টটিতে ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে এনেছেন। শারীরিক পবিত্রতা, বাসার পবিত্রতা ঈমানের দৃঢ়তা, (অধিকাংশ) তাবিজের খারাপ দিক। এই বিষয়গুলোর অবতারণা খুব ভালো লেগেছে। যারা নিজেদর মুসলমান বলে দাবী করে তাদের এই বিষয় গুলোতে সচেতন হওয়া দরকার। জিন তাড়ানোর বিবরণ আমার জানা মতে অথেন্টিক এবং বর্ণনা অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে । মানুষ যেহেতু সহজেই ভুল করে, রুমি কে দিয়ে আবার জিন সাধনা করাতে পারেন এবং আরো বড় বিপদে ফেলে আরো জমজমাট করে একটি কাহিনী লিখতে পারেন। এরকম তিন /চারটি গল্প মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ বই বের করা সম্ভব। ২০২০র বইমেলায় আপনার বইয়ের অপেক্ষায় থাকবো।

০৩ রা জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: রাগ করে ব্লগে আসা বন্ধই করে রেখেছিলাম। জানিও না আপনি এসে কখন পড়ে গেছেন। ফেবুতে কত খুজেছি আপনাকে! কেউ চিনেনা আপনাকে। ইস, এত মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে আপনার সাথে আর কখন কথা হবে না। কিছু মনে না করলে ফেবুতে গ্রুপে আমাকে পাবেন তারপর এ্যাড করবেন। আমার নামঃঃ Mohiuddin Mohammad Zunaid

এই গল্প রুকাইয়া সাইটের আব্দুল্লাহ ভাই এসে পড়ে ওকে বলে গেছেন। ১০০% অথেন্টিক প্রসেডিউর নিয়ে লিখেছি। ধর্মীয় কিছু লেখা খুব কঠিন, অনেক কষ্ট করে অনেক স্ট্যাডি করে লিখেছি। ব্যক্তিগত জীবনেও কেউ এটা ফলো করতে পারবেন।

আপনার কথা মতো শবনম নিয়ে আগাচ্ছি। আরও দুইটা পর্ব প্রায় শেষ। আলাদা করে শুধু আপনাকে পড়তে দেব যদি বিরক্ত না হন।

ধন্যবাদ ভাই, আমি এখন সেফ হইনি। কয়েকটা গল্প লেখা শেষ পোস্ট দিতে পারছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.