নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী,নিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরান ইজরায়েল যুদ্ধ ও নির্মম বাস্তবতা

১৪ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:২০



আইআরজিসির প্রধান, সেনাবাহিনীর প্রধান, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, ৪/৫ জন পরমাণু বিজ্ঞানী এত সহজেই শেষ! ইরানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের এত আওয়াজ কই গেলো! ইরানের ওপর ইজরাইলের সামরিক আক্রমণ একটা জিনিসকে সুস্পষ্ট করে দেয়। ‌ইরানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোটেও যুগোপযোগী না। ‌সম্ভবত আমেরিকা তৈরী এফ ৩৫ যুদ্ধবিমান ইরানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম শনাক্ত করতে পারেনি।‌ তবে এক্ষেত্রে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ইরানের খুব ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া, ইরানকে এই ব্যাপারে কোন সতর্ক করেনি অর্থাৎ অগ্রিম সতর্ক করেনি।

অল্প কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের সাথে ভারতের যুদ্ধের সময় যখন ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো পাকিস্তানে আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং টেক অফ করেছিল চায়না থেকে সরাসরি পাকিস্তানের এয়ার ফোর্স এর কাছে আর্লি ওয়ারনিং সিস্টেম এর মাধ্যমে এই যুদ্ধবিমানগুলোর সব ধরনের সামরিক তথ্যাবলী পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল, যেন পাকিস্তান অতি দ্রুত পূর্ব প্রস্তুতি নিতে পারে।

জিপিএস, গ্লোনাস এবং বাইডু এই তিনটা হচ্ছে এই মুহূর্তে পৃথিবীর আকাশের উপরে চলমান তিনটা স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং সিস্টেম বা যেটাকে আমরা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমও বলি। চায়না তার বাইডু স্যাটেলাইট সিস্টেম এর মাধ্যমে খুব সহজেই ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলো ডিটেক্ট করে এবং সাথে সাথে পাকিস্তানকে জানিয়ে দেয়। ‌কিন্তু রাশিয়া ইরানকে এই কাজটা করেনি কেন?

আমি যতটুক জানি রাশিয়ার গ্লোনাস আমেরিকার জিপিএস এর চাইতেও আধুনিক। সম্ভবত এই তথ্য ভুল আছে, কারণে অল্প কিছুদিন আগেই সম্ভবত জুনের এক তারিখে ইউক্রেন রাশিয়ার ভিতরে ঢুকে প্রায় গোটা বিশেক দামি দামি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে সামান্য ড্রোন দিয়ে, যেটা রাশিয়ার early ওয়ারনিং সিস্টেম ডিটেক্ট করতে পারেনি। ইরানের সময় একই ঘটনা যদি ঘটে থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে রাশিয়ার তৈরি এই সিস্টেম একেবারেই ফালতু, কোন কাজের না। ‌আর যদি সত্যিই ডিটেক্ট করে থাকে কিন্তু ইরানকে তথ্য পৌঁছে না দেওয়া হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, ইজরাইল রাশিয়াকে আক্রমণে পূর্বেই এই হামলার কথা জানিয়ে অনুমতি নিয়েছিল এবং রাশিয়া এসে অনুমতি দেয়া সাপেক্ষে ইরানকে কোন কিছুই জানিয়ে দেয়নি আগেই। ইজরায়েলের সাথে রাশিয়া সুসম্পর্ক আছে। বাইরের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেখে ভুল বোঝার কোন কারণ নেই। এগুলো আন্তর্জাতিক চালবাজি।

ইজরাইলের আক্রমণে পড়ে ইরানের সামরিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ‌সত্যিকার অর্থে একটা দেশের সামরিক বাহিনীর প্রধানকে যদি এভাবে গুলি করে হত্যা করা যায়, তাহলে সেই দেশের নিরাপত্তা বলে আসলে কিছুই থাকে না। কমপক্ষে ১০ জন ইরানের উচ্চপদস্থ সামরিক ও পারমাণবিক বিশেষজ্ঞকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। ইরানের সামরিক সক্ষমতা আসলে কতটুকু ভঙ্গুর ছিল ইজরাইল আঙ্গুল দিয়ে খুব সহজেই দেখিয়ে দিয়েছে। অবশ্যই তারা আমেরিকার সাহায্য নিয়েছে, কোনরকম ভুল ছাড়া নিখুঁত অ্যাটাক করেছে।‌ যে যুদ্ধে জিতবে না সেই যুদ্ধ করার কোন মানে হয় না। ‌ইরানের অবশ্যই আমেরিকার প্রস্তাব মেনে নেওয়া উচিত ছিল। পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ করে আরো চার বা পাঁচ বছর অপেক্ষা করে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা দরকার ছিল।

মধ্যে প্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশগুলোকেই যেমন, এর আগে লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়া, ইরান, এসব দেশগুলোকে দেখা যায় কাজের চাইতে কথা বলে বেশি। ‌যা না আছে তার চেয়ে বেশি কথা বলে। এর আগে ইরাক কিভাবে ধ্বংস করে দিয়ে গিয়েছিল সাদ্দাম হোসেন সেটা সবাই জানে। ইরানের সামরিক সক্ষমতা সম্ভবত ৫০ বছরের মতো পিছিয়ে দিয়েছে ইজরাইল। ‌পারমাণবিক সক্ষমতা অন্ততপক্ষে ১০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। ‌তবে ইরানের জন্য একটা খুব বড় শিক্ষা হয়েছে এবার। ‌যে রাশিয়াকে পার্টনার মনে করেছিল, তারা ইরানকে এবার বাঁচাতে পারেনি এবং সম্ভবত ভবিষ্যতেও আর পারবে না অথবা করবে না।

এই পৃথিবীতে ভূ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পার্টনার বেছে নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ‌ইরান শুধুমাত্র তার পার্টনার বেছে নেওয়াতে ভুল করার জন্য আজকে এই ভয়ঙ্কর বিপদে পড়লো।‌ অথচ ঠিক একই রকম ঘটনায়, সঠিক পার্টনার বেছে নেওয়ার জন্য ভারতকে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান। ভবিষ্যতে হিসরাইল আবার ইরানে আক্রমণ করবে এটা নিশ্চিত। ‌অতি দ্রুত ইরানের রাশিয়ার পরিবর্তে চীনের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার। ‌

আমেরিকার তৈরী এফ ৩৫ স্টিলথ এয়ারক্রাফট। ‌সত্যিকার অর্থে রাশিয়া তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের কোনো এয়ারক্রাফট নেই। কিন্তু চায়না ইতিমধ্যেই অন্তত তিন বা চারটা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে, যা ইরানকে নিশ্চিতভাবে আমেরিকা তৈরি থার্টি ফাইভ এর বিরুদ্ধে নিরাপত্তা দিতে সহায়তা করবে। ‌চীনের তৈরী সর্বাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আছে যা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান যেমন এফ ৩৫ বা এফ 22 কে সরাসরি সনাক্ত করতে পারে। নিজের পিঠ বাঁচানোর জন্য চীন এগুলো তৈরি করেছিল, তাইওয়া কে ঘিরে নিজের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য। ইজরায়েলের মতন তাইওয়ানেও এর থার্টি ফাইভ স্টিলথ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ বিমান আছে।‌

আশা করছি ইরান এবার সঠিক পার্টনার বেছে নিবে এবং সামরিক সক্ষমতা আরো বহুগুনে বৃদ্ধি করবে। যেন পরেরবার হিসরাইল এভাবে আক্রমণ করার আগে অন্তত ১০ বার চিন্তাভাবনা করে নেয়।

একটা মুসলিম রাষ্ট্রের সামরিক সক্ষমতা এভাবে ধ্বংস হতে দেখে খুব খারাপ লেগেছে। ‌

Mohiuddin Mohammad Zunaid
মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ যুনাইদ
১৪ জুন ২০২৫

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭

শায়মা বলেছেন: আজকাল আর আসোনা নাকি?
লেখালিখি কি কমে গেছে ভাইয়া?

১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: অফিসের কাজে মহা ব্যস্ত থাকতে হয়। সময়ই পাই না। লেখালিখি পুরোপুরি বন্ধ এখন।

২| ১৪ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমাদের বঙ্গ মিডিয়া তো ইরানের গুণ কীর্তনে সয়লাব, তারা ইতিমধ্যেই এই যুদ্ধে ইরানকে জিতিয়ে দিয়েছে, আজ-কালের মধ্যেই হয়তো বিজয় মিছিল বের হবে কারণ ইরানের গতরাতের হামলায় এক ইসরাইলী বেসামরিক নারী নিহত হয়েছে। আরও খবর রটেছে, নেতানিয়াহু নাকি দেশ ছেড়ে পালিয়েছে... চারিদিকে ইরানের বিজয়উল্লাস বইছে বঙ্গ মিডিয়াগুলোতে।

১৪ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: বাংলাদেশি মিডিয়া হচ্ছে রাম ছাগল প্রকৃতির। আমার ধারণা গোদী মিডিয়ার পর সবচেয়ে ভুয়া এই পৃথিবীতে। এরাই তো বছরের পর বছর শেখ হাসিনা নামে একটা খুনি পিচাশ মহিলার প্রশংসা করে বেরিয়েছিল।

৩| ১৪ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪৩

মেঘনা বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ। তবে একটা জিনিস যোগ করছি। আপনি জানেন কিনা, মুসলিম রাষ্ট্র ইরানকে টাইট দেওয়ার জন্য ইরানের পার্শ্ববর্তী আরেকটি মুসলিম রাষ্ট্র কাতারে আমেরিকার বিমান ঘাটি আছে। এবং সেখান থেকেও আমেরিকার f35 ইসরাইলকে সঙ্গ দিয়েছে।
জানিনা একটি মুসলিম রাষ্ট্রের সামরিক সক্ষমতা এভাবে ধ্বংসের জন্য একটি মুসলিম রাষ্ট্রের বেইমানি আপনাকে কতটা আঘাত করলো ?

১৫ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: আশেপাশের সব সুন্নি মুসলিম দেশ হচ্ছে বেঈমান। এরা নিজের মাটিতে আমেরিকার ঘাটি করতে দিয়েছে। আর এইসব ঘাটির উদ্দেশ্যই হচ্ছে ইজরায়েলকে নিরাপত্তা দেওয়া।

৪| ১৪ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৫০

আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: আধুনিক যুগে যারা প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাবে তারাই মোড়লগিরি করতে পারবে।

৫| ১৪ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৫৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে তার নিয়ন্ত্রিত মুসলিম শাসক গোষ্ঠী বসাতে চায়।

৬| ১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮

রাসেল বলেছেন: ইরান ফলাফল জেনেই ইস্রায়েল এর সাথে লড়াই করতে গেছে, ইহা সাধারণ মানুষের চোখে ধুলা দিয়ে অন্য কোনো উদ্দেশ্য হাসিল করা। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান, গোয়েন্দাপ্রধানকে হত্যা করে ফেলে; তারপর কি তাদের স্বকীয়তা, সামরিক শক্তি এর সততা উপর বিশ্বাস করা যায় না।

৭| ১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৬

ঊণকৌটী বলেছেন: চিন প্রশ্নের মুখে, তার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, তার rader, তার মিসাইল সব ব্যর্থ প্রমাণ ভারত পাকিস্তানের সাম্প্রতিক তিন দিনের যুদ্ধ | অস্ত্র বাজারে ধ্বস নেমেছে, পাকিস্তানের নয়টি জঙ্গি আস্তানা ও তেরো টি বিমান ঘাঁটি ধংস করে দিয়েছে কিছুই করতে পারেনি চীনা ডিফেন্স সিস্টেম এমন কি কিরনা পাহাড়ে পারমাণবিক ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে ভারতের bormos মিসাইল ,আজকের দিনে চীনা অস্ত্রের শেয়ার বাজার লক্ষ্য করেন উত্তর টা পেয়ে যাবেন ধন্যবাদ |

১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: পুরোপুরি নির্বোধ বিশ্লেষন। ভারতীয় গোদী মিডিয়ায় যা যা বলা হয়েছে সেটা ডাহা মিথ্যা। বাস্তবতায় ফিরে আসুন। ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ায় কী বলেছে দেখে আসুন। ভারত এবার পাকিস্থানের কাছে সিরিয়াস ভাবে হেরেছে। ৬টা বিমান ধংস যা তা কথা না।
আর এটা পোস্টের বিষয় না। পোস্টের বিষয় নিয়ে কথা বলুন।

৮| ১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৩

আমি নই বলেছেন: প্রথম আক্রমনে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কাজ করেনি তার কারন মোসাদ সেগুলো বিকল করতে সক্ষম হয়েছিল, এ সংক্রান্ত কিছু নিউজ টুইটারে দেখেছি।
১২০০-১৫০০ কিলোমিটার দুরে থেকে ঝাক ঝাক যুদ্ধ বিমান উড়ে আসল আর সেটা টের পেলনা এটা অসম্ভব, নুন্যতম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমেও এটা ধরা পরার কথা। কিন্তু এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কাজই করেনি, মিসাইল প্যাড থেকে ওরেই নাই।
২য় আক্রমনে ম্যানুয়ালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এ্যকটিভেট করার নিউজ আমি দেখেছি, এবং ২য় আক্রমনে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কাজ করেছিল, ফলাফল প্রথম আক্রমনের মত অতটা ক্ষতি করতে পারে নাই।

আপনি বলেছেন ইরানের উচিৎ ছিল আমেরিকার কথা মেনে নেয়া, আপনার কি ধারনা ইরান মেনে নিলেই যুদ্ধ এরাতে পারত? কখনই না। নেতানিয়াহু আমেরিকার কথায় চলেনা, উল্টা আমেরিকাই নেহানিয়াহুর কথায় চলে। আমেরিকা হচ্ছে সন্ত্রাসী ইসরাইলের পাপেট, এইপ্যকের টাকা খেয়ে সিনেটর/কংগ্রেস ম্যানরা ভুরি ফুলাইসে তারা সন্ত্রাসী ইসরাইলের কথার একটুও এদিক ওদিক যাবেনা এবং যায়ও নাই। সন্ত্রাসীরা প্রথম আক্রমন করল আর সিনেটর/কংগ্রেস ম্যানরা দোষ দিল ইরানকে। এমনকি ট্রুপ পাঠানোর কথাও বলেছে। হাস্যকর।

ইরাকে হামলাও সাদ্দাম বড় বড় কথা বলত এজন্য হয় নাই, হামলা হয়েছে সন্ত্রাসী ইসরাইলের অনুরোধে। বৃহত্তর সন্ত্রাসী রাষ্ট্র গঠনে যে রাষ্ট্রই বাধা দেবার সম্ভাবনা আছে সব রাষ্ট্রকেই ধংশ করা হয়েছে এবং করা হবে। বড় বড় কথার জন্য কোনো রাষ্ট্রকে ধংশ করা হলে উত্তর কোরিয়াতো শুধু কথা বলে তাই নয়, অলরেডি নিউকও বানায়া ফেলসে, কই ওখানে তো কোনো আক্রমন হয় না? কারন একটাই, উত্তর কোরিয়াতে সন্ত্রাসী ইসরাইলের কোনো স্বার্থ নাই, থাকলে দেখতেন।

ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া গেছে, এখন বাকি ইরান। ইরান গেলেই সন্ত্রাসী জায়নিষ্টদের স্বপ্নের বৃহত্তর ইসরাইল গঠনে আর কেউ বাধা দিতে পারবেনা।

১৪ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: আশেপাশে মুসলিম দেশগুলো কি করছে এরাও তো সন্ত্রাসী ইসরাইল রাষ্ট্রের পক্ষে। ‌ জর্দান তো ইসরাইলের বি টিম হয়ে কাজ করছে।

৯| ১৪ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

কথামৃত বলেছেন: রাশিয়া ও চিন চাইতেছে, আমেরিকা সরাসরি এই যুদ্ধে জড়িয়ে পরুক। আফগানিস্তানের মতো ২০ বছর কিনবা, ইরাকের মতো ৮ বছর এই যুদ্ধে লেগে থাকুক। এতে রাশিয়া ও চায়না দুই জনে রি লাভ। আমারিকা যখন ইরাকে যুদ্ধে লিপ্ত চিন তখন পুরা বিশ্বের বানিজ্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।

১৪ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: যুদ্ধ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ব্যবসা। যুদ্ধ যত বড় হবে তত অস্ত্র বিক্রি হবে, তত সমরাস্ত্র বিক্রি হবে এবং তত বেশি লাভ হবে।
এজন্যই আমেরিকা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিবছর অন্তত একটা না একটা যুদ্ধ লাগাবেই। ‌ ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ এখন আমেরিকার অস্ত্র ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন যুদ্ধক্ষেত্র দরকার।

১০| ১৪ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৪৭

আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আশেপাশে মুসলিম দেশগুলো কি করছে এরাও তো সন্ত্রাসী ইসরাইল রাষ্ট্রের পক্ষে। ‌ জর্দান তো ইসরাইলের বি টিম হয়ে কাজ করছে।

জী, শুধু জর্ডান নয় সৌদিও গত রাতে ইয়েমেন সিমান্তে বিমান মোতায়েন করেছিল যাতে আনসারুল্লা কোনো ক্ষেপনাস্ত্র মারতে না পারে।

আশেপাশের মুসলিম দেশগুলোর জনগনের বেশিরভাগই সন্ত্রাসী ইসরাইলের বিপক্ষে কিন্তু ক্ষমতাসীনদের ভয়ে কিছু করতে পারেনা।

১১| ১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ইরানের উচিৎ ছিল ইসরাইলের একটি এলাকা গাজার মত ধ্বংস করা যাতে ইসরায়েল ভয় পেয়ে আর আসাতে না পারে।

১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২১

নীল আকাশ বলেছেন: পুরো ইস্রায়েল এভাবে ধংস করে দিতে পারতো ইরান, যদি ইউরোপ ও আমেরিকা নগ্নভাবে সাহায্য না করতো।

১২| ১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ শুধু সামরিক নয়, বরং এটি এক ভয়াবহ কূটনৈতিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। ইরানের এয়ার ডিফেন্স ও মিত্র নির্বাচনের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে গেছে। চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার আহ্বান আপনার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা ভবিষ্যতের জন্য যৌক্তিক পরামর্শ। একটি মুসলিম দেশের এইরকম বিপর্যয় হতাশাজনক এবং গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্য সতর্কবার্তা।

১৩| ১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৫১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্য থেকে যতদিন না রাজা বাদশারা বিতাড়িত হবে ততদিন ইসরাইলের মার খেতেই হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.