![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Sun will forget to shine, Stars will forger to bright, But I will not forget you.. নটরডেম কলেজে পড়ছি। ২য় বর্ষ। বিজ্ঞান বিভাগ। জন্ম ২রা জুন, ১৯৯২। জন্মস্থান রাজশাহী জেলার মিশন হাসপাতাল।
বুঝতে পারলাম যে কারো সাথে কখনোই মজা করা যাবেনা। ঠাট্টা বিষয়টা আমার জীবনটাকে নিয়ে যেভাবে খেলা শুরু করেছে তাতে করে আর কখনোই কারো সাথে ঠাট্টা করার কথা মনেও আসবে না।
সমস্যাটার শুরু মামীর কারণে। হ্যা, আমি তার কথাই আগে বলছি। কারণ এখানে আমার আপুর কোনোই দোষ নেই।
মামী কয়েকদিন আগে আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিল। আমি মনে হয় আগে থেকেই কোন বিপদের সম্ভাবনা আচ করতে পারি। মামী ঢাকাতে আসে না প্রায় ৭ বছর ধরে। কিন্তু তবু্ও আমি চাচ্ছিলাম না যে সে আসুক।
এদিকে আমার ফুপাতো বোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেবার জন্য আমাদের বাসায় আগেই এসেছিল। ঘটনার দিন মামী হঠাৎ আমাদের দুজনকে আলাদা করে ঘরে ডাক দিয়েছিল। আমাকে জিজ্ঞাসা করলো,"রীফাজ, তোমাকে আমি একটা কথা জিজ্ঞেস করবো, তার উত্তর সরাসরি দিও।" আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে।
সে আমাকে বললো, তুমি কি স্বর্ণকে পছন্দ করো? প্রশ্নটা শুনে আমি অবাক না হয়ে পারিনি। যদিও এই অবাক হবার ব্যাপারটা আমার মধ্যে খুব কম।
আর এর পরে আমি যে উত্তরটা দিই সেটাই ছিল আমার করা সবচেয়ে বড় ভুল। সবাইকে সমান ভাবে চেনা যায় না। আমি কম কথা বলি ঠিক, কিন্তু মাঝে মাঝে এমন সব কাণ্ড করি যার জন্য অনেক বেশী খেসারত দিতে হয়। আমার অবশ্যই কোন না কোন দোষ আছে।
আমি তখন বলি যে হ্যা করি। এটা শুনে আমি জানি যে আপু একটু অবাক হয়েছিল এবং সে ব্যাপরটাতে সিরিয়াস হয়ে যায়। মামী আপুকেও সেই একই প্রশ্ন করে। কিন্তু সে বিষয়টাকে অনেক সিরিয়াসভাবে নেয় এবং বলে যে মামী এটা কখনো সম্ভব না, এটা কেমন প্রশ্ন ইত্যাদি। পুরো বিষয়টাতে আমি খুবই মজা পেয়েছি কিন্তু আমি জানতাম না যে ব্যাপারটা এই পর্যায়ে যাবে। কারণ তার সাথেও মাঝে মাঝে এই নিয়ে ঠাট্টা হতো এবং আপুর সাথে মজাও হতো। তবে আমি এমন সিরিয়াস হয়ে বলতাম যে আমার কাছে এখনো মনে হয় যে আপুও ব্যাপারটি বুঝে উঠতে পারত না। এখনো বুঝতে পেরেছে কিনা কে জানে। তবে একটা জিনিস সত্য যে আমি অভিনয় খুব ভাল করতে পারি। কেউ এ পর্যন্ত কোন মজার বিষয় আমি না বলা পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারেনি। এজন্যই মনে হয় আমি মানুষকে বোকা বানাতে পছন্দ করি। কিন্তু তা আমার জন্য অনেক বিপদের কারণ হয়ে গেল।
আম্মু রাজশাহী(আমার নানা বাড়ী) গিয়েছিল। বাসায় আমার ফুপু, স্বর্ণ আপু ছিল। এর মধ্যে স্বর্ণ আপু আমাকে কেন জানি এভয়েড করতে শুরু করলো। আমার কেন জানি এটাতে খুব বেশী মন খারাপ হলো। আম্মুর জন্য আরো বেশী মন খারাপ হলো। আম্মুকে রাতে ফোন দিলাম তাকে তাড়াতাড়ি চলে আসার জন্য।কান্নাকাটি করেছিলাম। আম্মু আমার ব্যাপারটাতো বুঝলোই না বরং মনে করে বসল যে আপুর সাথে আমার কোন কিছু হয়ে বসে আছে।
আমি এখন পর্যন্ত যাকে সবচেয়ে বেশী বিশ্বাস করি সে মানুষটা আমার মা। কিন্তু সে সেটা জানে কিনা আমি জানি না। আমি তাকে যতটুকু বিশ্বাস করি, সে যদি তার অর্ধেকটাও আমাকে করতো, আমি জোর দিয়ে বলতে পারি এমন একটা চিন্তা করতে পারত না।
আমি মামীকে যে ঠাট্টার ছলে কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে খুবই সিরিয়াস ভাবে কথাটা বলেছিলাম ঠিকই কিন্তু আম্মু মামীকে ফোন করাতে মামী সব কিছু আম্মুকে বলে দেয়। আর বাসায় আসার পর থেকে আমাকে মিথ্যাবাদী ছাড়া আর কিছু সে মনে হয় এখনো ভাবতে পারছে না। জানিনা, কবে আমি বিশ্বাস ফিরে পাবো। তবে একটা কথা আমি বলতে পারি, আমি কারো সাথে আর কখনো ঠাট্টা করবো না, মিথ্যা বলা দুরে থাক।
আম্মুকে যে আমি কতটা ভালবাসি সেটা মনে হয় আমি নিজেও জানিনা। সবচেয়ে সত্যি কথা এটাই যে সেরাতে আমি যতফোটা চোখের পানি ফেলেছিলাম সবটাই তার জন্য। তার জন্য আমি অনেক কেদেছি। আমার আম্মু কি সেটা জানে?
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৩১
এখন ও বৃষ্টি ভালবাসি বলেছেন: সময়ের স্রোতে সব ঠিক হয়ে যাবে ,মায়েরা কিছু মনে রাখতে পারে না ।
আমি আপনার মত অবস্থায় এক বার পরছিলাম ।
পরে একবার ঠিক করলাম মরে যাব ।
কোথায় মরব তার জায়গাও ঠিক করে এসে ছিলাম ,পরে আর মরা হয় নাই ।
এখন সব ঠিক ।
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:০৫
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: আসলে তোমার মামীর দোষ দিয়েও লাভ নেই। তোমাদের মেলামেশা দেখে আমারও প্রথম প্রথম এরকমই মনে হচ্ছিল। কিন্তু তুমি যখন তাকে আপু আপু করে ডাক দিতে তখন মনে হতো আমি আসলে একটা বোকা। শুধু উল্টাপাল্টা ভাবি। তখন নিজেকেই নিজে কষে একটা ঝাড়ি মারতাম। তোমাদের মধ্যে খুব ভাল একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল। কিন্তু এর মানে এই নয় যে তুমি তার সাথে প্রেম করতে। তোমার মামী এখানে একটু বোকামী করেছে। তার বোঝা উচিত ছিল যেহেতু স্বর্ণ আপু তোমার খুব কাছের একজন মানুষ এবং তোমার কোন আপু নেই সেহেতু তুমি তাকেই বড় আপুর মতো সম্মান করবে। যা আমরা বোনহীন ছেলেরা করি। আমার সাথে আমাদের চার তালার আপুদের খুব খাতির। রাত্রে যখন কারেন্ট যায় রাত্রে ছাদে গিয়ে আড্ডা মারি। রেডিওতে প্রোগ্রাম শুনি। গতকালকে রাত্রে ১২টা পর্যন্ত বড় আপুর সাথে আড্ডা মেরেছি। তোমারতো কাজিন। কিন্তু আমার কেউ না। তাই বলে কিন্তু তার ফ্যামিলি বা আমার ফ্যামিলি থেকে কিছু ভাবেনি।।।
তার সাথে এতো কি কথা বলি শুনতে চাও? এককথায় যাকে বলে "শেয়ারিং"। আমার কষ্টের কথাগুলো তার সাথে শেয়ার করি তার সে তার কষ্টের কথাগুলো আমার সাথে শেয়ার করে। আর দু'জন মিলে সমাধান বের করি। দূঃখ শেয়ার করলে বাড়ে। আর আনন্দ শেয়ার করলে কমে। আর এগুলো শেয়ার করার সবচেয়ে সুন্দর মাধ্যম একজন "আপু"। কারণ আমি খেয়াল করে দেখেছি। আপুরা ভাইয়াদের চাইতে এই ব্যাপারগুলোকে বেশি মনোযোগ দিয়ে শুনে এবং সুন্দর সমাধান বের করে দেয়।
আরেকটা কথা, যে রসিকতা বুঝেনা তার সাথে রসিকতা না করাটাই ভাল।।।
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:০৮
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: সরি..... একটা ভূল করে ফেলেছি। তাড়াতাড়ি টাইপ করেছি। কখন কারেন্ট যায় ঠিক নেই। তাই।
ভূলটা হয়েছে দ্বিতীয় প্যারাতে। লাইনটা হবে এরকম, "দূঃখ শেয়ার করলে কমে আর আনন্দ শেয়ার করলে বাড়ে...."
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:১৮
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: বিরাট ক্যারফা লাগাইয়া দিছ বুঝা যাইতাছে।
আর মামী সাহেবাই বা কি রকম। এই ধরনের প্রশ্ন উনার মাথায় আইলো কেমনে আমি তো তাই বুঝতাছি না।