নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃজনশীলতার জয় হোক যুগে যুগে সকল সঙ্কটে

ভালবাসুন সেই জিনিসকে যাকে ভালোবাসেন ঘৃণা করুন ঐ জিনিসকে যাকে ভালবাসতে হয় ।

নাজমুল আহসান সৈকত

রুয়েটে চতুর্থ বর্ষের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ।বাক্তিগতভাবে আমি মেকানিক্যাল ডিজাইন,এরোস্পেস,এরোডাইনামিক্স অফ রোড ভেহিকল,পাওয়ার প্লান্ট ডিজাইন নিয়ে কাজ করি ।কিন্তু কবিতা,ছোটগল্প,ভ্রমন,বন্যপ্রানি জগত এবং সুন্দরবন ভালোবাসি ।আমি আমার ভাললাগা নিয়ে এখনকার মত সব সময় কাজ করে যেতে চাই

নাজমুল আহসান সৈকত › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মহান এবং বীর জাররার বিন আজওয়ার(রাঃ)......যার সম্পর্কে আমরা মুসলিম ভাই বোনেরা অনেকেই জানিনা

০৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫

আজকে আমি এমন একজন মুসলিম বীরের কথা আলোচনা করব যিনি ইসলামের ইতিহাসে অর্ধনগ্ন বীর হিসেবে খ্যাত ।দুঃখজনক হলেও সত্যি এমন অনেক মহান বির ছিলেন যাদের কথা আমরা খুব বেশি জানি না।আমাদের উচিৎ উনাদের জীবনী জানা এবং একে সত্যিকার অর্থে আমি বলবো নিজেদের জানা।



যার কথা বলছিলাম উনি হলেন জাররার বিন আজওয়ার(রাঃ) ।উনার নাম অর্ধনগ্ন বীর হওয়ার পেছনে একটি চিত্তাকর্ষক কাহিনী বিদ্যমান।একটি যুদ্ধের ময়দানে তিনি প্রচণ্ড গরম অনুভব করছিলেন।তিনি কোমর এর উপর থেকে বর্ম এবং ভারী পোশাক খুলে ফেললেন।এরপর তিনি প্রচণ্ড আরাম অনুভব করলেন।পরবর্তী সকল যুদ্ধেই তিনি এভাবে যুদ্ধ করেছেন।তাই তিনি এ নামেই খ্যাত।



তার অনেকগুলো বীরত্বব্যঞ্জক এবং চিত্তাকর্ষক ঘটনার মধ্যে একটি বর্ণনা করছি।তিনি ছিলেন খালিদ বিন ওয়ালিদ(রাঃ) এর অনেক প্রিয়ভাজন এবং বিশ্বস্ত কমান্ডার।আজনাদাইনের যুদ্ধে খালিদ বিন ওয়ালিদ(রাঃ) খুব কাছ থেকে রোমান বাহিনীকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি সাহসী স্কাউট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।জাররার(রাঃ) স্বেচ্ছায় রাজি হয়ে যান ।তিনি আগের মতই বর্ম খুলে রোমান বাহিনীর শিবিরের নিকটবর্তী এক টিলার চূড়ায় উঠে যান।এর মধ্যে রোমান বাহিনী থেকে তাকে দেখে ফেলে এবং তাকে ধরার জন্য ৩০ জনের এক বাহিনী প্রেরণ করে।উনি ঘোড়ার মুখ ঘুরিয়ে মুসলিম শিবিরের দিকে ধিরে ধিরে যাত্রা শুরু করেন।মজার ব্যাপার হল উনি দুই শিবিরের মাঝামাঝি যায়গায় এসে থেমে যান।তারপর তাদেরকে বলেন,তোমরা কি মনে করেছ যে,আমি তোমাদের ভয়ে পালাচ্ছিলাম।বরং তোমাদের এখানে নিয়ে এসেছি এইজন্যই যাতে তোমরা আর ফিরে যেটে না পারো।তিনি এরপর বর্শা আর তলওয়ার ব্যাবহার করে প্রায় ১৯ জনকে মারতে সক্ষম হন।বাকিরা পালিএ যায়।



তিনি খালিদ বিন ওয়ালিদ(রাঃ) এর সাথে থেকে অনেক যুদ্ধে এইরকম অনেক বীরত্ব দেখিয়েছেন।কতই না উত্তম ছিলেন তারা।যারা দ্বীনের জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করতেন।তারা দুনিয়াতেও যেমন আখিরাতেও তেমন শ্রদ্ধার পাত্র।আল্লাহ আমাদেরকে উনাদের সম্পর্কে জানার তওফিক দান করুন এবং ঈমান বাড়ানোর তওফিক দান করুন, আমিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.