![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রুয়েটে চতুর্থ বর্ষের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ।বাক্তিগতভাবে আমি মেকানিক্যাল ডিজাইন,এরোস্পেস,এরোডাইনামিক্স অফ রোড ভেহিকল,পাওয়ার প্লান্ট ডিজাইন নিয়ে কাজ করি ।কিন্তু কবিতা,ছোটগল্প,ভ্রমন,বন্যপ্রানি জগত এবং সুন্দরবন ভালোবাসি ।আমি আমার ভাললাগা নিয়ে এখনকার মত সব সময় কাজ করে যেতে চাই
চলে গেলেন ড. আফিয়া সিদ্দিকা...
বিশ্বের একমাত্র নিউরো সাইন্টিস্ট ড.আফিয়া সিদ্দিকা অবশেষে মুক্তি পেলেন নারকীয় যন্ত্রনা থেকে। নিস্তার পেলেন আমেরিকান ধর্ষকদের খেলা থেকে, বিশ্ব দর্শকদের হেলা থেকে। পিচ্চি মেয়ে মালালা ও ড. আফিয়া দু’জনেই পাকিস্তানি । আশ্চর্য এক ম্যাসেজ মিলছে এই দু’জন থেকে। মালালা স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরী। আফিয়া পিএইচডি হোল্ডার। একজনকে ওরা খুবলে খায়, অন্যজনকে নিয়ে মেতে ওঠে পরিকল্পিত খেলায় ! ড. আফিয়াকে আল-কায়েদার সাথে জড়িত সাজিয়ে ইউএস আদালত তাকে সাজা দেয়। সাথে দেয় গণ ধর্ষণের অলিখিত লাইসেন্স। আর মালালাকে কোলে তুলে গেয়ে উঠে মানবতার গান ! বিশ্ব বিবেক গা ভাষায় স্রোতের অনুকূলে ! মানবতার ধ্বজাধারীরা বসে থাকে মুখে কুলুপ এটে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার এক চোখা দৃষ্টিভঙ্গি এড়িয়ে যায় এই দিক। আর যারা বৃহন্নলা, নিরবে হজম করে যায় আর চেটে খায়, খুঁজে ফিরে গর্ত যে কোনো শর্তে। অন্য যৎসামান্য বাকি আছেন যারা তারা চুড়ি পরা । তারা দেখতে থাকে, বুঝতে থাকে আর মনে মনে গাইতে থাকে তুমি চোর হইয়া চুরি করো পুলিশ হইয়া ধরো অথবা সর্প হইয়া দংশন করো ওঝা হইয়া ঝারো ।
২০০৩ সালে প্রথমে কিডন্যাপ করা হয় ড. আফিয়াকে। এই কিডন্যাপিংয়ে সহায়তা করে খোদ পাকিস্তান সরকার। গুম করে রাখা হয় ২০০৮ পর্যন্ত। নিয়ে যাওয়া হয় আমেরিকান টর্চার সেলে। চলতে থাকে গণ ধর্ষণ, দিনের পর দিন। তাকে উলঙ্গ করে কুরআন শরীফের পাতা ছিড়ে মেঝেতে বিছিয়ে রেখে বলা হত, যাও, কুরআনের উপর হেটে গিয়ে কাপড় নিয়ে এসো। ড. আফিয়া সেটি করতে পারতেন না কারন তিনি মুসলমান । তখন তার উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যেত । ২০০৮ সালে তাকে নিয়ে সাজানো হয় মূল নাটক। এক আমেরিকান সেনা হত্যা চেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার দেখানো হল। শুরু হয় বিচারিক প্রহসন। আমেরিকান আদালত তাকে ৮৬ বছরের সাজা ঘোষণা করে! একজন মুসলিম সাইন্টিস্ট নারীকে নিয়ে বিশ্ব মোড়লরা মেতে উঠলো নোংরা খেলায় । দেড়’শ কোটি মুসলমানের এই দুনিয়ায়, ছয়’শ কোটি মানুষের এই পৃথিবীতে কেউ কিছু বললো না! কেউ না! আশ্চর্য এক পৃথিবীতে আমাদের আবাস !
ড.আফিয়ার বিরুদ্ধে প্রহসনের বিচারিক রায় ঘোষণার সময় তাকে কিছু বলতে বলা হলে বিচারকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, “আপনি তাদের ক্ষমতা দিয়েছেন আমাকে ধর্ষণ করার, উলঙ্গ করে সার্চ করার! আপনার কাছে কিছুই বলবার নেই আমার। আমি আমার আল্লাহর কাছে যেয়েই যা বলার বলবো। আমি তো সেদিনই মরে গেছি যেদিন আমাকে প্রথম ধর্ষণ করা হয়েছিলো ।” সেই আফিয়া মারা গেলেন অবশেষে। আমি বলি মারা যাননি, আসলে তিনি বেঁচেই গেলেন। ২০০৩ থেকে মরে ছিলেন তিনি। মৃত্যুর মাধ্যমে বরং বেঁচে গেলেন তিনি। তাকে আর খুবলে খাবে না পিশাচের দল! তাকে আর বিবস্ত্র করে বলা হবে না যাও, কুরআনের উপর পা রেখে কাপড় নিয়ে এসো গিয়ে! উফ! কী অসহ্য যন্ত্রনার-ই-না ছিলো নয়’টি বছর!
তো,ড.আফিয়ার সাথে নোংরা খেলার এই নায়কদেরই যখন দেখি মালালাকে নিয়ে মাথা ঘামাতে, হা হুতাশ করতে, মানবতার পক্ষে বড় বড় বুলি আওড়াতে, তখন সন্দেহ করতে ইচ্ছে করে মালালা তাদের নিজেদেরই প্রডাকশন কি না ? অথবা উদ্দেশ্য হাসিল করবার জন্যে তারা নিজেরাই তালেবান সেজে মেয়েটিকে গুলি করেছে কি না ?
বিশ্বের একমাত্র স্নায়ূ বিজ্ঞানী ড. আফিয়া সিদ্দিকির তাঁর মূল অপরাধ ছিলো তিনি এতো উচ্চ শিক্ষিত হয়েও কুরআনের প্রতি ঝুকে ছিলেন কেনো? কুরআন থেকে কেনো রেফারেন্স টানতেন? তাই মানুষটিকে ওরা মেরে ফেললো তিলে তিলে। অকথ্য নির্যাতন করে। বিশ্ব মিডিয়া চেপে গেলো খবরটি, সেই প্রথম থেকেই। ইন্টারনেটে প্রকাশিত এক চিঠিতে মুসলিম জাতিকে তিনি ঘুমন্ত জাতি বলে সম্ভোধন করে কিছু আক্ষেপের কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন, আমি আর তোমাদের সাহায্যের আশা করি না। আমি তোমাদের বোন না। আমি আমার আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাই, আর কারো কাছেই না । আফিয়া মিথ্যে বলেননি মোটেও।
সেকুলার লিবারেল ছোট্ট একটি মেয়ে মালালাকে এই সময়ের সেরা বুদ্ধিজীবি বানিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড় । এক মালালাকে নিয়ে এতো দৌড় ঝাপ কিন্তু বিশ্বে যে আরো মালালারা ইরাকে, আফগানে, ফিলিস্তিনে, পশ্চিমা ন্যাটো ঝুটের অবিরত ড্রোন হামলায় যে মারা যাচ্ছে, তাদের কী হবে? ২০০১ থেকে এ পর্যন্ত শুধু আফগানিস্তানেই মারা হয়েছে ১৩ হাজার ২শ থেকে বেশি শিশু. যাদের বয়স ১৫ থেকে কম। অর্থাত যারা প্রত্যেকেই এক একজন মালালা। এদের বেলায় মানবতা নিরব কেনো? নাকি বিশ্ব সভ্যতার ঠিকাদার কর্তৃক অসভ্যতা চললে সেটাকে অসভ্যতা বলআ যায়না ? মালালা আমার বোন। সে সুস্থ হোক। কিন্তু ইরাক,আফগানিস্তানের এই শিশুরা কি মালালা থেকে কম? তাহলে কেনো তাদের বেঁচে থাকার অধিকার থাকবে না? ডবল স্ট্যান্ডার্ড আর কতদিন ? আফগান, ইরাকের এই শিশুরাতো আর সন্ত্রাসবাদী ছিলো না। এরা কোথাও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেয়নি। এরা জীবনে কাউকে একটা গুলিও করেনি। তাহলে এদের মেরে ফেলা হলা কেনো? এই শিশুদের অপরাধ কী ছিলো? বিশ্ব মানবতা এদের বেলায় নিরব কেনো? একজন মালালাকে নিয়ে আধিখ্যেতার অন্ত নেই। বিশ্বের অত্যাধুনিক হাসপাতাল গুলোতে চলছে তার চিকিৎসা। অথচ, ইরাকে আফগানে ফিলিস্তিনে আহত মালালাদের দেখবার কেই নেই! মালালার পেছনে খরচ হচ্ছে লক্ষ লক্ষ ডলার, আর এদিকে তাদেরই আঘাতে রাস্তায় পড়ে কাতরাতে থাকা শিশুরা পয়সার অভাবে ধুকছে মৃত্যু যন্ত্রনায়!? কেনো? মানবতার নামে কেনো এই উপহাস?
মারা গেলেন ড. আফিয়া সিদ্দিকি। বছরের পর বছর লাগাতার ধর্ষণ আর নির্যাতনের সাথে সাথে তার শরীরে ক্যান্সারের বীজও পুতে দিয়েছিলো সভ্যতার মুখোশপরা নরপশুরা। শারীরিক আর মানসিক যন্ত্রনার দু:সহ নারকীয় একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো। বুকে কুরআন নিয়ে মাথা উচু করেই বিদায় নিলেন আফিয়া। চলে গেলো বোনটি আমার। আমরা তাকে বাঁচাতে পারলাম না ।
কুরআনের অনুসারী হয়েছিলেন বলে মক্কার মুশরিকরা হযরত সুমাইয়াকে উত্তপ্ত বালুতে শুইয়ে রেখে অকথ্য নির্যাতন করতো। আগেই জানানো হয়েছে আফিয়া ইস্যূতে মিডিয়া নিরব! তাই তাঁর মৃত্যু ব্যাপারেও পরিষ্কার করে জানানো হচ্ছে না কিছূ। ড. আফিয়ার মৃত্যু সংবাদটি সঠিক হলে আর তিনি মারা যেয়ে থাকলে ইতোমধ্যে নিশ্চই সুমাইয়ার হাত ধরে বসে আছেন এবং ভাল আছেন তিনি। কিন্তু বিশ্ব মুসলিম ভালো থাকবে কেমন করে? আর ওপারে যেয়েই বা কী জবাব দেবে? আফিয়া তো চলে গেলেন বিশ্ব বিবেকের গালে চপেটাঘাত করে। একজন আফিয়া এভাবে নিষ্পেষিত হয়ে বিদায় নিলো আমাদের চোখের সামনে। কেউ কিছু বললো না! কেউ কিছু করলো না! বুঝতে পারছি না ধিক্কার আমি কাকে দেবো? লাম্পট্যবাদে জড়িত আমেরিকানদের? বৈশ্বিক বোবা বৃহন্নলাদের? মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দকে? নাকি এই সময়ের অংশ হিসেবে নিজেকেই
নিজের বিবেককে প্রশ্ন কর মুসলমান
সংগৃহীত
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০২
ইতল বিতল বলেছেন: উনার উপর নির্যাতনের কথা আগেও পড়েছি।
তবে মৃত্যুর সঠিক তারিখটা জানতে পারলে ভালো হতো।
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২
মিলন হোসেন১৫৮ বলেছেন: বােন তোমার জন্য কিছুই করতে পারিনি অামাদের ক্ষমা করে দিত্ত
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০০
কালনী নদী বলেছেন: afia movement
৫| ১৪ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২২
মজুমদার আলমগীর বলেছেন: ক্ষমতা, নারী ও অর্থের লোভ মুসলিম নেতৃত্বকে বাধা সম্মূখীন করে তুলছে!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: কষ্টের খবর।