শর্টফিল্ম রিভিউঃ BOUNDIN (হতাশ পাবলিকদের জন্য মাস্ট সি)

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

জীবনে আশাটাই সব। যতক্ষণ আকাংক্ষা থাকে ঠিক ততক্ষণই একটা মানুষ বেচে থাকে। স্বপ্নহীন কোন মানুষকে পৃথিবী তার কোলে অযথা বয়ে বেড়াতে চায় না। দুঃখ-কষ্টগুলোকে যারা মুদ্রার ওপিঠ ভেবে সবসময়ই লড়ে যান তারাই জীবনে আশা নিয়ে বাচতে পারেন। বিপদের সময়গুলোতেও যে আনন্দ নিয়ে বেচে থাকা যায় সেদিকটাই তুলে ধরে ২০০৩ সালে “পিক্সার এনিমেশন ফিল্ম স্টুডিও” তৈরী করেছে BOUNDIN নামের শর্টফিল্মটি।



শর্টফিল্মের শুরুতে একটা ছোট্ট খালের দৃশ্য ভেসে ওঠে। মোটামুটি বিস্তীর্ণ জঙ্গলের মত একটা জায়গা।বসন্তের কোন এক সকালে সেখানে খালের মত পানির ধারাটির পাশে ঢিবির মত একটা জায়গায় একটা লোমশ সাদা ভেড়া ঘুমুচ্ছিল। ভেড়াটি লাফালাফি করে নাচগান করতে খুব পছন্দ করে। ঘুম থেকে উঠেই সে JUMP আর BOUNCE করে গাইতে থাকে। তার সাথে সাথে খালের মাছ, সাপসহ আশেপাশের নানাররকম অদ্ভুত প্রাণীরাও নেচে গেয়ে মেতে থাকে। আচানক ভেড়ার লোম কেটে নেয়ার জন্য ওকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং সব লোম কেটে নিয়ে অতি কদর্যরুপে তাকে ফেরত দিয়ে যাওয়া হয়। পানিতে নিজের কুৎসিত রুপ থেকে ভেড়া মুষড়ে পরে। আশেপাশের প্রাণীরাও তাকে বিদ্রুপ করে হাসতে থাকে। সব আশা হারিয়ে বিষণ্ণ ভেড়া মুখ লুকিয়ে ঝোপে লুকিয়ে থাকে। তখনই আগমন ঘটে আশার দেবতা টাইপ একজনের। এই পাবলিকের কথাগুলোই মূল টুইস্ট। সে আবার ভেড়াকে বাউন্স করা শেখায়। এরপরের কাহিনী আরও জোস।



অনেকদিন আগের মুক্তি পাওয়া হেতু অনেকেই হয়ত দেখে থাকবেন শর্টফিল্মটি। কিন্তু নিজের আশেপাশে হতাশ মানুষদের ভয়ঙ্কর মৌন মিছিল দেখে এটা নিয়ে লিখতে ইচ্ছা হলো। আমাদের তরুণরা ইদানিং খারাপ সময় মোকাবেলা করে ড্রাগস দিয়ে নতুবা সুইসাইড করে। হাস্যকর শোনালেও এটাই বর্তমানের হালচিত্র। লড়াই করার মানসিকতা নিয়ে আসাটাই একজন যুবকের জীবনের মূল চ্যালেঞ্জ হওয়া উচিত।



২০০৩ সালের অস্কার নমিনেশন পেয়েছিল শর্টফিল্মটি। সাড়ে চার মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্যের কিছু দৃশ্য আর কথাই আপনার জীবনীশক্তি বাড়িয়ে দিতে পারে। একটুও বাড়িয়ে বলছি না। নিজেই পরখ করে দেখুন।



ইউটিউব লিঙ্ক

২০ টি +৬/-০