নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমরা সবাই সবার

নাইট বার্ড

আসছি ভবে যাইতে হবে

নাইট বার্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

জারজ পুত্র অবশেষে চিৎকার দিয়া উঠিল

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

সন ১৯৭১ যুদ্ধ চলছে

জারজ পুত্রের দাদা আখের গোছাতে ব্যাস্ত, হিন্দুদের ছেড়ে যাওয়া জায়গা কিভাবে দখল নেওয়া যায় সে চিন্তায় মগ্ন। এলাকার রাজাকারের অন্যতম চামচা হিসাবে এ সুযোগ সে নিবেই। মনে মনে সন্দেহ দেশ যদি আবার স্বাধীন হয়ে যায়! যাই হোক খুব বেশি ফোকাস এ না থেকে জারজটার দাদা ভালোই সম্পত্তির মালিক বনে গেলো। যুদ্ধ শেষ হলো কিন্তু জারজটার দাদা পরাজিত হলো না। গা বাচিয়ে একসময় ঢাকাতে চলে আসলো। ইধার কা মাল উধার করে হয়ে গেলো বড়লোক। সাজলো দেশ প্রেমিক।



আর এই দিকে জারজ পুত্রের বাবা ও বসে নেই। বাবার (জারজপুত্রের দাদার) হারামের টাকা দিয়ে কালোবাজারি করে টাকা বাড়াতে লাগলো। এত টাকা দিয়ে করবে কি। শুরু করলো মাগিবাজি আর মদ খাওয়া। আজ এই হোটেল এ যায় তো কাল ঐ হোটেল এ। ফাইভ স্টার এ যায় আবার পাড়ায় ও যায়। মাথা ঠিক নাই! বিভিন্ন নাড়ীদের সাথে মেলামেশা আর মদ গিলতে গিলতে টের পেল তার আর সেক্স পাওয়ার ই নাই, হায় হায় নপুংসক!



লজ্জার কথা কাকে বলবে এইদিকে জারজ টার বাবার বিয়ে ঠিক হলো। ঘরে আসলো জারজটার মা। ওমা বছর না ঘুরতেই জারজটার মা বলল সে মা হতে চলেছে। কার সন্তান এটা! জারজটার বাবা ভাবে আর অবাক হয়। যাই হোক অবশেষে জন্ম নেয় সেই জারজপুত্র।



বাপের (!) টাকার গরমে জারজপুত্র নামী দামী স্কুলে ভর্তি হয়। ক এর পর খ লাগাতে না পারলেও প্রইভেট টিউটর এর জোরে ক্লাস এর পর ক্লাস টেনে টুনে পাস করে। বছর বছর জন্মদিন পালন করে ওয়েস্টিন আর রেডিসন হোটেল এ। আর বাপ খালি ভাবে, তুই কার পাপ এর ফসল? কিন্তু কিছু বলতে পারে না। লেখা পড়া না করলেও বাপের হারামের টাকা দিয়ে ফূর্তি করা শুরু করে জারজপুত্র। ক্লাস এ ভালো ফল করা ছাত্র দেখলেই মাথায় রক্ত উঠে জারজ পুত্রের। বলে উঠে "ফকিরের পুত"।



দিন বাড়তে থাকে জারজ পুত্র ও বড় হতে থাকে। টেনে টুনে পাস করে মনে খায়েস জাগে পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে পড়বে। কিন্তু তার যেই রেজাল্ট, সে ফর্ম ই কিনতে পারে না। কোনো চাকরি করবে সেই যোগ্যতা ও নাই। দেখে দেশের সব ভালো ভালো চাকুরিতে পাবলিক ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা। দেশ চালাচ্ছে এই পাবলিক ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা। অসহ্য লাগে তার সবকিছু । এই দিকে বাপের মতো সেও শুরু করে মাগিবাজি আর মদ গিলা। দামী দামী বাইক নিয়ে সুন্দরী মেয়ে নিয়ে ঘোরা। কদিন পর টের পায় তার প্রেমিকা আবার পাবলিক ইউনিভার্সিটির এক ছেলের জন্য পাগল । বুক ভরা ঘৃনা জন্মে উঠে, পাবলিক ইউনিভার্সিটির ছাত্র দেখলেই। চিৎকার করে বলতে থাকে



শালা ফকিন্নির পুত!

শালা ফকিন্নির পুত!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২২

মশিকুর বলেছেন:
কোটার বিভিন্ন শাখা প্রশাখা গজাইতেছে।

সেই পোস্ট সম্পর্কেঃ কোটার সাথে "ফকিন্নির পুত" এর কি সম্পর্ক তা মাথায় ঢুকেনি। কেউ একজন পাবলিক ইউনিভার্সিটির ছাত্রকে ফকিন্নির পুত বললেই সে 'ফকিন্নির পুত' হয়ে যায় না। সত্য কথা বলতে কি বেশির ভাগ মেধাবী ছাত্র পাবলিক ইউনিভার্সিটিতেই পাওয়া যায়।

লেখকের উদ্দেশেঃ কেন জানি মনে হয় কাঁদা ছোড়াছুড়ি করতে গিয়ে, আমরা রাজনীতিবিদের মত আসল বিষয়টা অস্পষ্ট করে ফেলি।

ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০১

নাইট বার্ড বলেছেন: ধন্যবাদ মশিকুর
হঠাৎ কেনো জানি মনে হচ্ছে
"যেমন কুকুর তেমন মুগুর" প্রবাদ টা এই সময়ের জন্যই বানানো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.