নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ তাসনিম (নিশাত)

হে নির্লজ্জ ভারত ক্রিকেট আমাদের প্রাণ। এটি হত্যা করার দুঃসাহস দেখাবেনা।

নিশাত তাসনিম

ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/mohammed.tasnim.39

নিশাত তাসনিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্চ মাস আমাদের ইতিহাসে অগ্নি ঝরা মার্চ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে এবং আমরণ থাকবে।ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ কাল।

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০২

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে লেখা একটি দেশের নাম।







১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জনের আদেশে ১ম বঙ্গভঙ্গ সম্পন্ন হয়। কিন্তু ১৯১১ সালে, প্রচণ্ড গণআন্দোলনের ফলশ্রুতিতে বঙ্গ আবার একত্রিত হয়।



এর পর দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীন হয় এবং ভারত বিভক্ত হয়ে দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা নিয়ে গঠিত হয় পাকিস্তান এবং হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয় ভারত। নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তান দুই হাজার মাইলের ব্যবধানে অবস্থিত দুটি প্রদেশের সমন্বয়ে গঠিত হয় - পূর্ব পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ) ও পশ্চিম পাকিস্তান। ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে যোজন যোজন ব্যবধানে অবস্থিত এ দুটি অংশের মধ্যে মিল ছিল কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মে।



পাকিস্তান কর্তৃক আমাদের উপর শোষণ জুলুম নির্যাতনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়ঃ



পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্য ছিল। মোট জাতীয় বাজেটের সিংহভাগ বরাদ্দ থাকত পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। পাকিস্তানের মূল শাসক গোষ্ঠী ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের। পশ্চিমা শাসকেরা পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি বিমাতাসূলভ আচরণ করতে থাকে। পূর্ব পাকিস্তান চরম অর্থনৈতিক বঞ্চনার শিকার হয়। এ কারণে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ পাকিস্তান সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়ে এবং মানুষের মনে ক্ষোভ দানা বাধতে শুরু করে।



পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই এর পূর্ব অংশ পশ্চিম অংশের তুলনায় নানাভাবে বঞ্চিত হতে থাকে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ২৩ বছর ছিল পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি অনুসন্ধান করে দেখা যায় ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই শুরু হয় পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণমূলক আচরণ। কেবল অর্থনৈতিক শোষণ নয়, বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপরও নিপীড়ন শুরু হয় এবং এর প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয় যখন পাকিস্তানের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এসে ঘোষণা দেন "উর্দু এবং কেবলমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।" সাথে সাথে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালীরা এই ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্যে এই আন্দোলন তীব্রতম রূপ ধারণ করে। এদিন পুলিশের গুলিতে প্রাণ দেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ আরো অনেকে। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীকে শেষ পর্যন্ত ১৯৫৬ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিতে হয়। আজ পৃথিবীব্যাপী ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।





পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীতে বাঙ্গালীরা অবহেলিত ছিল। সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন অংশে সমগ্র বাহিনীর মাত্র ৫ শতাংশ ছিল বাঙ্গালী অফিসার এবং এদের মধ্যে অধিকাংশই প্রযুক্তিগত বা ব্যবস্থাপনার পদে ছিলেন। খুব অল্প সংখ্যক বাঙ্গালী অফিসার আদেশদানকারী পদ লাভের সুযোগ পেতেন। পশ্চিম পাকিস্তানীরা বিশ্বাস করত বাঙ্গালীরা পশতুন বা পাঞ্জাবীদের মত "সাহসী" নয়। পাকিস্তানের বাজেটের একটি বিশাল অংশ সামরিক খাতে বরাদ্দ থাকলেও পূর্ব পাকিস্তান এর সুফল সামান্যই পেত। ১৯৬৫ সালে কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাঙ্গালীদের মধ্যে নিরাপত্তা-হীনতার অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দেয়।



জনসংখ্যার দিক দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তানের বৃহত্তর অংশ হওয়া সত্ত্বেও দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তান কুক্ষিগত করে রাখে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে ক্ষমতার বণ্টন পূর্ব পাকিস্তানের অনুকূল হওয়ায় পশ্চিম পাকিস্তান "এক ইউনিট তত্ত্ব" নামে এক অভিনব ধারণার সূত্রপাত করে, যেখানে সমগ্র পশ্চিম পাকিস্তান একটি প্রদেশ হিসেবে বিবেচিত হয়। এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের পূর্ব ও পশ্চিম অংশের ভোটের ভারসাম্য আনা। মজার ব্যাপার হল বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পাঞ্জাব প্রদেশ প্রস্তাব করে পাকিস্তানে সরাসরি জনসংখ্যার বণ্টনের ভিত্তিতে ভোট অনুষ্ঠিত হোক, কারণ পাঞ্জাবিরা ছিল সিন্ধি, পশতুন, বালুচ বা পাকিস্তানের অন্য যেকোন গোত্রের তুলনায় সংখ্যাগরিষ্ঠ। একেবারে শুরু থেকেই পাকিস্তানে শাসনের নামে ষড়যন্ত্র শুরু হয়, আর এই ষড়যন্ত্রে মূল ভূমিকা পালন করে সামরিক বাহিনী। যখনই পূর্ব পাকিস্তানের কোন নেতা, যেমন খাজা নাজিমুদ্দিন, মোহাম্মদ আলী বগুড়া , অথবা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতেন, তখনই পশ্চিম পাকিস্তানীরা কোন না কোন অজুহাতে তাদের পদচ্যুত করত। নানারকম টালবাহানা করে জেনারেল আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখল করে নেন এবং দীর্ঘ ১১ বছর ধরে পাকিস্তানে তার স্বৈর-তান্ত্রিক শাসন চালু থাকে। পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের এই অনৈতিক ক্ষমতা দখল পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়েই চলে।



১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর ভোলার সাইক্লোন পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করে, সেই সাথে জোয়ারের কারণে প্রায় ৩,০০,০০০ থেকে ৫,০০,০০০ মানুষ প্রাণ হারায়। প্রাণহানির সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও এটিকে ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ হারিকেন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক সরকার এমন ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরও জরুরি ত্রাণকার্য পরিচালনায় গড়িমসি করে। ঘূর্ণিঝড়ের পরও যারা বেঁচে ছিল তারা মারা যায় খাবার আর পানির অভাবে। ঘূর্ণিঝড়ের এক সপ্তাহ পরে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান স্বীকার করে সরকার দুর্যোগের ভয়াবহতা বুঝতে না পারার কারণেই ত্রাণকার্য সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত মানুষগুলোর প্রতি পাকিস্তান সরকারের এমন নিষ্ঠুরতা দেখে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ২৪শে নভেম্বর এক সভায় মাওলানা ভাসানী পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অদক্ষতার অভিযোগ তোলেন এবং অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করেন। ইতিহাসে প্রথমবারের মত একটি প্রাকৃতিক ঘটনা একটি দেশে গৃহযুদ্ধের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।





পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি চূড়ান্ত নাটকীয়তার মুখোমুখি হয় যখন ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। দলটি পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯ টি আসন হতে ১৬৭ টি আসনে জয়লাভ করে এবং ৩১৩ আসনবিশিষ্ট জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, যা আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনের অধিকার প্রদান করে। কিন্তু নির্বাচনে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা-প্রাপ্ত দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো শেখ মুজিবের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিরোধিতা করেন। তিনি প্রস্তাব করেন পাকিস্তানের দুই প্রদেশের জন্যে থাকবে দু'জন প্রধানমন্ত্রী। "এক ইউনিট কাঠামো" নিয়ে ক্ষুব্ধ পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে এরূপ অভিনব প্রস্তাব নতুন করে ক্ষোভের সঞ্চার করে। ভুট্টো এমনকি মুজিবের ৬-দফা দাবি মেনে নিতেও অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন। মার্চের ৩ তারিখ পূর্ব ও পশ্চিম অংশের এই দুই নেতা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে দেশের ভাগ্য নির্ধারণে ঢাকায় বৈঠকে মিলিত হন। তবে বৈঠক ফলপ্রসূ হয় না। মুজিব সারা দেশে ধর্মঘটের ডাক দেন। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ) এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। এই ভাষণে তিনি ২৫শে মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের আগেই বাস্তবায়নের জন্য চার দফা দাবি পেশ করেন



অবিলম্বে মার্শাল ল' প্রত্যাহার করতে হবে।

সামরিক বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরে যেতে হবে।

নিহত ব্যক্তিদের সঠিক সংখ্যা অনুসন্ধান করতে হবে।

২৫শে মার্চে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের আগে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।




শেখ মুজিব তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে ঘোষণা করলেন, "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম"। তাঁর এই ভাষণ গোটা জাতিকে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় উন্মাতাল করে তোলে।



শেখ মুজিবের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠনের অধিকার অর্জন করে, কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক সরকার ক্ষমতা কোন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের হাতে ছেড়ে দিতে রাজি ছিল না। যদিও ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের তারিখ নির্ধারিত হয়, কিন্তু ভেতরে ভেতরে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পশ্চিম পাকিস্তানের নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং সামরিক বাহিনীর অফিসারদের নিয়ে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বোনা শুরু করে। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ কোন কারণ ছাড়াই ৩ তারিখের নির্ধারিত অধিবেশন বাতিল করা হয়। ক্ষুব্ধ পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের ধৈর্যের শেষ সীমা ছাড়িয়ে গেল এই সিদ্ধান্ত। সারা দেশে বিক্ষোভের বিস্ফোরণ হয়। ঢাকা পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে। বঙ্গবন্ধু সারা দেশে ৫ দিনের হরতাল এবং অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তার আহবানে সারা পূর্ব পাকিস্তান কার্যত অচল হয়ে যায়। সামরিক সরকার কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে কিন্তু বুলেটের ভয় দেখিয়ে বাঙ্গালিদের রাজপথ থেকে সরানো যায় না। ৫ দিন হরতাল শেষে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন।



মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠকঃ

সারা দেশ যখন ক্ষোভে উত্তাল, তখন ইয়াহিয়া খান ঢাকায় এসে শেখ মুজিবের সাথে সরকার গঠন ও ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করে। কিন্তু একই সঙ্গে সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা চালানোর পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে। বেলুচিস্তানের কসাই হিসেবে পরিচিত জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসাবে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়, কিন্তু কোন বাঙ্গালী বিচারপতি তাকে শপথ পাঠ করাতে রাজি হন না। পূর্ব পাকিস্তানে সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র আনা হতে থাকে। ১০ থেকে ১৩ মার্চের মধ্যে পাকিস্তান এয়ারলাইন্স তাদের সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করে পূর্ব পাকিস্তানে জরুরী-ভিত্তিতে "সরকারী যাত্রী" পরিবহণ করতে। এই "সরকারী যাত্রী"দের প্রায় সবাই ছিল শাদা পোশাকে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর সেনা। এমভি সোয়াত নামে গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই একটি পাকিস্তানী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে। কিন্তু বন্দরের নাবিক ও শ্রমিকেরা মালামাল খালাস করতে অস্বীকার করে। ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের একটি দল বাঙ্গালী প্রতিবাদকারীদের ওপর গুলী চালাতে অস্বীকার করে, যার মাধ্যমে শুরু হয় বাঙ্গালী সৈনিকদের বিদ্রোহ। অনেক আশা স্বত্বেও মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক সফল হয় না। ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীকে বাঙ্গালি নিধনযজ্ঞের সবুজ সংকেত প্রদান ক'রে সন্ধ্যায় গোপনে পশ্চিম পাকিস্তান যাত্রা করে।





স্বাধীনতার ঘোষণা:

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাতে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন । কথিত আছে, গ্রেপ্তার হবার একটু আগে ২৫শে মার্চ রাত ১২টার পর (অর্থাৎ, ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে) তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন যা চট্টগ্রামে অবস্থিত তৎকালীন ই.পি.আর এর ট্রান্সমিটারে করে প্রচার করার জন্য পাঠানো হয়।



ঘোষণাটি নিম্নরূপ অনুবাদ: এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।



২৬শে মার্চ বেলাল মোহাম্মদ, আবুল কাসেম সহ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের কয়েক'জন কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ.হান্নান প্রথম শেখ মুজিব এর স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি মাইকিং করে প্রচার করেন।



পরে ২৬শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। অবশ্যই এখানে বিতর্ক রয়েছে। অনেকেই বলেন ২৬ শে মার্চ নয় ২৭ শে মার্চেই শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা বার্তাটি পাঠ করেন এবং তারা একটা ভিডিও চিত্র উপস্থাপন করেন। ঘোষণাটি নিম্নরূপ:

আমি,মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির প্রাদেশিক কমান্ডার-ইন-চিফ, শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আমি আরো ঘোষণা করছি যে, আমরা শেখ মুজিবর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম ও আইনসিদ্ধ সরকার গঠন করেছি যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার জোট-নিরপেক্ষ নীতি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। এ রাষ্ট্র সকল জাতীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং বিশ্বশান্তির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আমি সকল দেশের সরকারকে তাদের নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। শেখ মুজিবর রহমানের সরকার একটি সার্বভৌম ও আইনসম্মত সরকার এৰং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাবার দাবিদার।



খুব সুন্দর বর্ণনা করে লিখেছেন ব্লগার কান্ডারি অর্থব ভাই তার এই পোস্টে। তিনি লিখেন " ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর বর্বরের মতো ঘৃণ্য হামলা চালায়। সে রাতে পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনপ্রিয় বাঙালি নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বন্দী হন। মার্চ এর ২৬ তারিখ দিনের প্রথম প্রহরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ চলে যান আত্মগোপনে। জনগণ তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। এই সঙ্কটময় মুহূর্তে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় পশ্চিম পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বর আক্রমণের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করে বিদ্রোহ করেন এবং ২৬শে মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। তারপর থেকে আজো ২৬শে মার্চ এই দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালিত হয়। ঘোষণাটি নিম্নরুপ:







প্রিয় দেশবাসী,আমি মেজর জিয়া বলছি।...আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আপনারা দুশমনদের প্রতিহত করুন। দলে দলে এসে যোগ দিন স্বাধীনতা যুদ্ধে। গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েট ইউনিয়ন, চীনসহ বিশ্বের সব স্বাধীনতাপ্রিয় দেশের উদ্দেশে আমাদের আহ্বান, আমাদের ন্যায়যুদ্ধের সমর্থন দিন এবং স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিন।...ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের অবধারিত।







২৭শে মার্চ প্রত্যুষে কালুরঘাটে অবস্থিত চট্টগ্রাম বেতারের বিপ্লবী কর্মীরাও অদূরে বাঙালী সেনাদের অবস্থানের খবর পেয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে। সেখানে তারা মেজর জিয়াকে বেতারে একটি ঘোষনা দিতে এবং ট্রান্সমিশন কেন্দ্র পাহারা দিতে কয়েকজন সৈনিক দেবার অনুরোধ করে। মজের জিয়া এতে রাগান্বিত হয়ে তাদের ফিরিয়ে দেন। অবশ্য কিছুক্ষন পরে তিনি কালুরঘাট ট্রান্সমিশন কেন্দ্র পাহারার জন্য ৮জন সৈনিক পাঠান। তারপর হঠাৎ করে নিজে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন এবং ট্রান্সমিশন কেন্দ্র থেকে নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ঘোষনা করে স্বাধীনতার ঘোষনা প্রদান করেন। তার এই ধরনের ঘোষনায় নেতৃবৃন্দ হতভম্ব হয়ে পড়েন। পরে সর্বজন শ্রদ্বেয় ব্যক্তিত্ব প্রাত্তন কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রী জনাব,এ.কে. খান সাহেবের বাসায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে নিজ হাতে মেজর জিয়ার মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন যেটা আজ আমরা শুনে থাকি।



তার এই ঘোষণা পত্রটিতে যেহেতু বঙ্গবন্ধুর পক্ষথেকে ঘোষণা করছেন কথাটি উল্লেখ ছিলনা তাই তিনি পরবর্তীতে সেই ভাষণ সংশোধন করেন এবং পুনরায় ২৭ শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে সকাল ১১টায় স্বাধীনতার আরেকটি ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। ঘোষণাপত্রটির ভাষ্য নিম্নরুপ:







This is Swadhin Bangla Betar Kendra. I, Major Ziaur Rahman, at the direction of Bangobondhu Mujibur Rahman, hereby declare that Independent People's Republic of Bangladesh has been established. At his direction , I have taken the command as the temporary Head of the Republic. In the name of Sheikh Mujibur Rahman, I call upon all Bengalees to rise against the attack by the West Pakistani Army. We shall fight to the last to free our motherland. Victory is, by the Grace of Allah, ours. Joy Bangla.





অনুবাদ: আমি,মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির প্রাদেশিক কমাণ্ডার-ইন-চিফ, শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আমি আরো ঘোষণা করছি যে, আমরা শেখ মুজিবর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম ও আইনসিদ্ধ সরকার গঠন করেছি যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার জোট-নিরপেক্ষ নীতি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। এ রাষ্ট্র সকল জাতীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং বিশ্বশান্তির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আমি সকল দেশের সরকারকে তাদের নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। শেখ মুজিবর রহমানের সরকার একটি সার্বভৌম ও আইনসম্মত সরকার এৰং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাবার দাবিদার।"









১৯৭১ সালে ২৬/২৭ মার্চের এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে যা নয় মাস স্থায়ী হয়। শহীদ হয় ৩০ লক্ষ বাংলাদেশী , ইজ্জত নষ্ট হয় ৩ লক্ষ মা-বোনের।

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা।




তাই মার্চ মাস আমাদের ইতিহাসে অগ্নি ঝরা মার্চ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে এবং আমরণ থাকবে।



৭ ই মার্চে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়েই ৭ কোটি বাংলাদেশীদের রক্তে যে আগুন লেগেছিলো সে আগুনের তীব্র দাবানল বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ গুলোকে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা ভাষায় কথা বলার পূর্ণ অধিকার অর্জন ও স্বাধীনতার পরিপূর্ণ সাধ গ্রহণে সহযোগিতা করেছিলো।



৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণের মধ্যে একটি। মাত্র ১৬ মিনিটের একটি ভাষণের মাধ্যমে ৭ কোটি মানুষকে একই কাতারে আনার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। মাত্র ১৬ মিনিটের একটি ভাষণ ৭ কোটি মানুষকে স্বাধীনতার পরিপূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করার জন্য নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে পাক হানাদার বাহিনীর বন্দুকের সামনে বুক উঁচু দাঁড়ানোর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস পৃথিবীতে আর একটিও নেই



জয় বাংলা বলুন আর বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলুন এই কথা স্বীকার করতেই হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ নামের এই প্রিয় দেশটির জন্ম হতো না। মূলত ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যেই নিহিত রয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। স্বাধীনতা যুদ্ধের সূত্রপাত মূলত ঐদিন থেকেই।





স্বাধীনতা তুমি বঙ্গবন্ধুর রক্তে আগুন জ্বলা জ্বালাময়ী সে ভাষণ

তুমি ধানের শীষে মিশে থাকা শহীদ জিয়ার স্বপন।






তথ্যসূত্রঃ



JYOTI SEN GUPTA, NAYA PROKASH, 206, BIDHAN SARANI, CALCUTTA-6, FIRST EDITION, 1974, CHAPTER-15, PAGE-325 and 326। HISTORY OF FREEDOM MOVEMENT IN BANGLADESH, 1943-1973: SOME INVOLVEMENT



"প্রথম আলো-গোপন মার্কিন দলিল-‘একজন পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।’"। Prothom-alo.com। 2012-12-08। সংগৃহীত 2013-02-18



↑ "US State Department Secret Telegram on Bangladesh Declaration of Independence"। Docs.google.com। সংগৃহীত 2013-02-18।



↑ Maj. Gen. (Retd.) K. M. shafiullah, Bir Uttom, Academic Publishers, Dhaka, First Edition, 1989, Page-45। Bangladesh at War



↑ Lt. Gen. (Retd.) Kamal Matinuddin, Wajidalis, Lahore, First Edition, 1994, Page-255। Tragedy of Errors: East Pakistan Crisis, 1968-1971

মন্তব্য ৯৫ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৯৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আবারও একটি পরিশ্রমী পোষ্ট । সুন্দর করে সাজিয়ে লিখাটা ভালো লাগে । শুভেচ্ছা জানবেন । :)

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯

নিশাত তাসনিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আদনান ভাই :) ভালো থাকুন ।

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: আর একটি

সাথে আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯

নিশাত তাসনিম বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: কারেন্টের দাম ডবল হয়া তিন ডবল অইতাসে। মালে কইসে ট্যাক্স বাড়াতে অইবো।

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪

নিশাত তাসনিম বলেছেন: এই পোস্টের সাথে কারেন্টের সম্পর্ক কি ? #:-S #:-S

দেশটা তো ওদেরই । ওরা দাম ৫ গুন বাড়ালেও আমাদের কি করার আছে?

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট ।সুন্দর ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫

নিশাত তাসনিম বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই ।

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: এতো অসাধারন পোস্ট।

অনেক সুন্দর এবং পরিশ্রমী পোস্ট।

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭

নিশাত তাসনিম বলেছেন: একটি স্বাধীন পতাকা ও স্বাধীন দেশের জন্য এই মার্চ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই একটু কষ্ট করলাম আর কি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৩

সুমন কর বলেছেন: কষ্টসাধ্য পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ।

বিজরের মাসে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৪

নিশাত তাসনিম বলেছেন: এটি আসলে বিজয়ের মাস নয় । এটি অগ্নি ঝরা মার্চ মাস। এই মাসেই স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়েছিলো। তাই এই মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয় ।

সকল মুক্তিযুদ্ধাকে বিনম্র শ্রদ্ধা।

৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৭

মামুন রশিদ বলেছেন: অগ্নিঝরা মার্চে দারুণ পোস্ট ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৩

নিশাত তাসনিম বলেছেন: ধন্যবাদ মানুন ভাই ।

৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৮

রাসেলহাসান বলেছেন: খুবই চমৎকার তথ্যবহুল পোষ্ট!!

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৪

নিশাত তাসনিম বলেছেন: ধন্যবাদ রাশেল ভাই ।

৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৬

সুমন কর বলেছেন: ভুলে বলেছিলাম। আসলে অফিস থেকে এসেই আপনার পোস্ট দিয়েই ব্লগিং শুরু করি।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২

নিশাত তাসনিম বলেছেন: ব্যাপার না :)

১০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ
জীবন বাংলাদেশ আমার মরন বাংলাদেশ

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩

নিশাত তাসনিম বলেছেন: বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ

১১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি যতটুকু জানি,১৯০৫ সালের ভাগের ব্যাপারে আমরা বাঙ্গালীরাই বেশী লাভবান হতাম। কারন কলকাতাসহ ২৪পরগণার বিরাট একটা অংশ সাথে ত্রিপুরা,আসামের অনেকটা। বিশেষত এই কারনেই অনুশীলন সহ কয়েকটি দলের বিরাট একটা অংশ এর প্রচন্ড বিরোধীতায় নেমে ছিল। সাথে ছিল পুলিশ,জজ,ইংরেজসহ তৎকালীন সরকারী চাকুরীজীবিদের উপর চোড়াগোপ্তা হামলা।
এইসব দল ও বিরোধীনেতাদের অনেকেই কিন্তু ৪৭এর দেশ তথা বাংলা ভাগের প্রতিবাদ করেন নি।( লোকনাথ বল,ত্রৈলক্যনাথ চক্রবর্তি সহ আরো নাম যারা ঐ আন্দোলনের সাথে জড়িত তাদের নামগুলি এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না) ।
তবে শেখ মুজিব আর তার ৭ই মার্চের ভাষন পুরো আন্দোলনকেই নুতন মাত্রা দিয়ে আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য নির্ধারন করে দিয়েছিলো এতে দ্বিমত পোষন করার প্রশ্নই আসে না। যেমনটা নেই জিয়া,খালেদ মোশারফ,হায়দার,কাদের সিদ্দিকী,জলিল,এমন কি সিরাজ সিকদারসহ আপামর জনতার। যার মাঝে প্রায় ৭০% মুক্তিযোদ্ধার কোন রাজনৈতিক পরিচয় ছিলো না।।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোষ্টের জন্য।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

নিশাত তাসনিম বলেছেন: আসলে বঙ্গভঙ্গের ইতিহাস লিখতে গেলে বিশাল এক মন্তব্য হয়ে যাবে। এক কথায় আমার যে উত্তর হবে তা হলো বৃটিশরা সারা জীবন আমাদের শোষনই করেছে । ভালোর জন্য কখনো কিছু করেনাই।

তবেও আপনার কথাও অনেকটা ঠিক । ১৭৬৫ সালের পর থেকেই বিহার ও উড়িষ্যা বাংলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ফলে সরকারী প্রশাসনিক এলাকা হিসেবে বাংলা অতিরিক্ত বড় হয়ে যায় এবং বৃটিশ সরকারের পক্ষে এটির সুষ্ঠু শাসনক্রিয়া দুরূহ হয়ে পড়ে। বঙ্গভঙ্গের সূত্রপাত এখান থেকেই।কিন্তু ১৯১১ সালে, প্রচণ্ড গণআন্দোলনের ফলশ্রুতিতে বঙ্গভঙ্গ রহিত হয়। দ্বিতীয়বার বঙ্গভঙ্গ হয় ১৯৪৭ সালে। এর ফলে পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানে এবং পশ্চিমবঙ্গ ভারতে যুক্ত হয়। এই পূর্ববঙ্গই পরবর্তীতে পাকিস্তানের কাছ থেকে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।

শেখ মুজিব আর তার ৭ই মার্চের ভাষন পুরো আন্দোলনকেই নুতন মাত্রা দিয়ে আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য নির্ধারন করে দিয়েছিলো এতে দ্বিমত পোষন করার প্রশ্নই আসে না। যেমনটা নেই জিয়া,খালেদ মোশারফ,হায়দার,কাদের সিদ্দিকী,জলিল,এমন কি সিরাজ সিকদারসহ আপামর জনতার। যার মাঝে প্রায় ৭০% মুক্তিযোদ্ধার কোন রাজনৈতিক পরিচয় ছিলো না।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:১২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ঘোষণাটি কার, কোন্ প্রেক্ষিতে এবং কার নির্দেশে দেওয়া হয়েছিলো সেটি নিয়ে কথা বলছে না বিতর্ককারীরা। স্বাধীনতার ঘোষণা ‘কে দিয়েছেন’ এ নিয়ে হাস্যকর বিতর্কটি শুরু হয়েছে মাত্র কয়েক বছর আগে। এরশাদের পতনের পর।

অনেক সময় ও শ্রম দিয়েছেন লেখাটিতে। একটি পরিচ্ছন্ন এবং পরিপূর্ণ লেখা। আজকের দিনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত বিবেচনায় পোস্টটি নির্দ্বিধায় স্টিকি করা যায়

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১

নিশাত তাসনিম বলেছেন: আমাদের সত্য ও সঠিক ইতিহাস স্বীকার করার মানসিকতা নেই।

যদিও আমি আওয়ামীলীগ করিনা তবে এটাই সত্য স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যেই নিহিত ছিলো।

অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনার অনুরোধে সামু পোস্টটিকে স্টিকির মর্যাদা দিয়েছে ।

কৃতজ্ঞতা রইলো।

১৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

পোস্টটি স্টিকি করাতে সামুকে ধন্যবাদ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২

নিশাত তাসনিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কান্ডারি অর্থব :)

১৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

বেকার সব ০০৭ বলেছেন: এক কথায় চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট।

অজানা তথ্য গুলো জানা হল এই পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ





০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪

নিশাত তাসনিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বেকার সব ০০৭ ভাই । ভালো থাকুন ।

১৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অনেক পরিশ্রম করে সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন। তার জন্য প্রথমেই একটা ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কিছু বিষয়ের সাথে একম হতে পারছিনা। আবার কিছু বিষয় খটকা লাগে।

প্রথম বিষয় হল উনার ৭ ই মার্চের ভাষনে উনি স্বাধিনতার ঘোষনা দিছেন নাকি ২৫ মার্চের কাল রাতে গ্রেফতার হবার আগ মুহুর্তে।

যদি ৭ ই মার্চ হয় তবে তখন থেকেই তো একটা সসস্ত্র যুদ্ধ হবার কথা। কিন্তু মানুষ কিসের অপেক্ষ করছিল। নাকি সেটা ছিল শুধু মাত্র ততকালিন সরকারের প্রতি অনাস্থা।

আর যদি ২৫ মার্চের রাতে হয় তাহলে আর কিছু বলার নাই। পুরাটাই একটা হাস্যকর ঘটনা। কেনই বা তিনি গ্রেফতার হলেন, তার লেখা সেই ঘোষনা পত্রটাও বা কোথায় আর কেন মেজর জিয়া প্রদেশিক আর্মির কমান্ডার ইন চিফ হয়ে বার বার একজন নেতার জন্য মুখে ফেনা তুললেন ??

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৬

নিশাত তাসনিম বলেছেন: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাতে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন । কথিত আছে, গ্রেপ্তার হবার একটু আগে ২৫শে মার্চ রাত ১২টার পর (অর্থাৎ, ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে) তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন যা চট্টগ্রামে অবস্থিত তৎকালীন ই.পি.আর এর ট্রান্সমিটারে করে প্রচার করার জন্য পাঠানো হয়।

ঘোষণাটি নিম্নরূপ অনুবাদ: এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।

২৬শে মার্চ বেলাল মোহাম্মদ, আবুল কাসেম সহ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের কয়েক'জন কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ.হান্নান প্রথম শেখ মুজিব এর স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি মাইকিং করে প্রচার করেন।

পরে ২৬শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

১৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

জানা বলেছেন:

শ্রমসাধ্য এবং চমৎকার এই পোস্টটির জন্যে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

গুরুত্ব এবং গভীরতা বিবেচনা করে পোস্টটি সবার নজরে রাখা হয়েছে। এখানে যুক্তিযুক্ত এবং মন্তব্য বা আলোচনা কাম্য।

অপ্রাসঙ্গিক যেকোন মন্তব্য মুছে দেবার জন্য অনুরোধ থাকছে লেখকের প্রতি।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০০

নিশাত তাসনিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় জানা ম্যাডাম। পোস্টটিকে স্টিকির মর্যাদা দেওয়ার কারণে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

যুক্তিযুক্ত মন্তব্য অবশ্যই কাম্য অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য আমি সাথে সাথেই মুছে দিবো। আপনি অনুরোধ না করলেও দিতাম।

ভালো থাকুন সবসময় ।

১৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: খাজা নাজিমুদ্দীনকে বরখাস্ত করা হয়েছিলো, এরকমটা জানা নাই।

আপনার কাছে কী এই ব্যপারে তথ্যসূত্র আছে কোনো?

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

নিশাত তাসনিম বলেছেন: এখান থেকে রাজনৈতিক অসমতা পয়েন্ট টি পড়ুন ।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০১

জামান বস বলেছেন: ভাল লেগেসে !

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

নিশাত তাসনিম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

১৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
এত কষ্ট করতে পারেন কেমনে ! অবাক হয়ে যাই।
ভাল পোস্ট, ওয়েল ডান ||

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:২৫

নিশাত তাসনিম বলেছেন: কষ্ট না করলে কি কেষ্ট মিলবে ? :)

অজস্র ধন্যবাদ।

২০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

খন্দকার আরাফাত বলেছেন: অনেক শ্রম ব্যয় করে লেখা তথ্যবহুল পোস্টটি স্টিকি করায় সামুকে ধন্যবাদ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

নিশাত তাসনিম বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ কষ্ট করে মন্তব্য করার জন্য।

২১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন ২৭ শে মার্চ।পাঠ করা আর ঘোষণা করা এক জিনিস না।২৬ শে মার্চ জিয়া কিছুই করেন নি।২৫ শে মার্চ রাত থেকে আক্রমণকারী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।২৬ শে মার্চ কয়েকজন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন যাঁদের মধ্যে জিয়া নেই।আর তাই ২৭ শে মার্চের স্বাধীনতাঘোষণাপত্র পাঠ করার মধ্যে আলাদা কোন ভেল্যু নাই।আসল ব্যাপারটা হল ২৬শে মার্চ না ২৭শে মার্চ পাঠ করা হল!তাই আপনার পোস্টের কিছু কিছু লেখা আপত্তিকর।আপনি লিখেছেন কথিত আছে, গ্রেপ্তার হবার একটু আগে ২৫শে মার্চ রাত ১২টার পর (অর্থাৎ, ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে)-এটা কথিত না প্রতিষ্ঠিত সত্য।বুঝলামনা এমন ভূল তথ্যে ভরা পোস্ট মডু স্টিকি কেন করল?অনেকেই চমৎকরার,পরিশ্রমী,কষ্টসাধ্য,তথ্যবহুল,সুন্দর পোস্ট বলে গেলেন দেখে আরও অবাক হলাম।এখানে দেখুন জিয়া ২৭ শে মার্চ ঘোষণাপত্র পাঠ করে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন।


এখানে দেখুন কর্ণেল অলি আহম্মদ(তখন ক্যাপ্টেন)জিয়াকে নিজে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার খবর জানান।

আর এইনিন বেলাল মোহাম্মদ নিজের জবানীতে স্বীকার করেছেন যে তিনি ২৬ শে মার্চে চট্রগ্রামে গোসাইলডাঙ্গা আওয়ামীলীগের সভাপতি ডা: আনোয়ার আলীকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন এবং বলেছেন ২৭ শে মার্চ তিনি মেজর জিয়াকে নিয়ে যান কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে,যখন জিয়া তাঁর সাজোয়া কোম্পানি নিয়ে রহস্যজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন,


তাই ইতিহাসের মত সিরিয়াস বিষয় নিয়ে এমন ভিত্তিহীন কথাবার্তা না বলাই ভালো।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

নিশাত তাসনিম বলেছেন:
আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি এখানের প্রতিটি তথ্য উইকি থেকে সংগৃহীত। নিজ থেকে কিছু লেখা হয় নাই।

ঘোষণাটি কার, কোন প্রেক্ষিতে এবং কার নির্দেশে দেওয়া হয়েছিলো সেটি নিয়ে কথা বলছে না বিতর্ককারীরা। স্বাধীনতার ঘোষণা ‘কে দিয়েছেন’ এ নিয়ে হাস্যকর বিতর্কটি শুরু হয়েছে মাত্র কয়েক বছর আগে। এরশাদের পতনের পর।

পোস্টে সবার নিচে সূত্র লিঙ্ক সহ দেওয়া আছে পড়ে নিন দয়া করে।

২২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: একজন দেখলাম প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ জীবন বাংলাদেশ আমার মরন বাংলাদেশ গেয়ে গেলেন।খুব হাস্যকর লাগলো ব্যাপারটা।এখানে দেখুন কর্ণেল অলি আহম্মদ(তখন ক্যাপ্টেন)জিয়াকে নিজে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার খবর জানান।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩

নিশাত তাসনিম বলেছেন: প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ গেয়ে যাওয়াতে সমস্যাটা কোথায়? কে কি মন্তব্য করবে যার যার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।
আমার কাছে কোন ব্লগার কোন পোস্টে কি মন্তব্য করেছে সেটা নিয়ে আপনার অনধিকার চর্চা করাকে হাস্যকর মনে হচ্ছে।

২৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫

বেঈমান আমি. বলেছেন: পরে ২৬শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

স্টিকি পোস্টে এত বড় ভুল করলে তো চলবে না।এটা হবে ২৭শে মার্চ নট ২৬শে মার্চ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

নিশাত তাসনিম বলেছেন:
স্বাধীনতার ঘোষণা:
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাতে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন । কথিত আছে, গ্রেপ্তার হবার একটু আগে ২৫শে মার্চ রাত ১২টার পর (অর্থাৎ, ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে) তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন যা চট্টগ্রামে অবস্থিত তৎকালীন ই.পি.আর এর ট্রান্সমিটারে করে প্রচার করার জন্য পাঠানো হয়।

ঘোষণাটি নিম্নরূপ অনুবাদ: এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।

২৬শে মার্চ বেলাল মোহাম্মদ, আবুল কাসেম সহ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের কয়েক'জন কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ.হান্নান প্রথম শেখ মুজিব এর স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি মাইকিং করে প্রচার করেন।

পরে ২৬শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ঘোষণাটি নিম্নরূপ:
আমি,মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির প্রাদেশিক কমান্ডার-ইন-চিফ, শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আমি আরো ঘোষণা করছি যে, আমরা শেখ মুজিবর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম ও আইনসিদ্ধ সরকার গঠন করেছি যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার জোট-নিরপেক্ষ নীতি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। এ রাষ্ট্র সকল জাতীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং বিশ্বশান্তির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আমি সকল দেশের সরকারকে তাদের নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। শেখ মুজিবর রহমানের সরকার একটি সার্বভৌম ও আইনসম্মত সরকার এৰং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাবার দাবিদার।

১৯৭১ সালে ২৬ মার্চের এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে যা নয় মাস স্থায়ী হয়। শহীদ হয় ৩০ লক্ষ বাংলাদেশী , ইজ্জত নষ্ট হয় ৩ লক্ষ মা-বোনের।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা।

২৭ শে মার্চ এর ব্যপারে গ্রহণযোগ্য লিঙ্ক পাইনি। কিন্তু ২৬শে মার্চ এর ব্যাপারে আমার কাছে গ্রহণযোগ্য তথ্যসূত্র আছে।

JYOTI SEN GUPTA, NAYA PROKASH, 206, BIDHAN SARANI, CALCUTTA-6, FIRST EDITION, 1974, CHAPTER-15, PAGE-325 and 326। HISTORY OF FREEDOM MOVEMENT IN BANGLADESH, 1943-1973: SOME INVOLVEMENT

"প্রথম আলো-গোপন মার্কিন দলিল-‘একজন পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।’"। Prothom-alo.com। 2012-12-08। সংগৃহীত 2013-02-18

↑ "US State Department Secret Telegram on Bangladesh Declaration of Independence"। Docs.google.com। সংগৃহীত 2013-02-18।

↑ Maj. Gen. (Retd.) K. M. shafiullah, Bir Uttom, Academic Publishers, Dhaka, First Edition, 1989, Page-45। Bangladesh at War

↑ Lt. Gen. (Retd.) Kamal Matinuddin, Wajidalis, Lahore, First Edition, 1994, Page-255। Tragedy of Errors: East Pakistan Crisis, 1968-1971


ধন্যবাদ বেঈমান আমি ভাই ।

২৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: ব্রাদার,কোনটা ঠিক বেঠিক এই টাইপ রিপ্লাই না দিয়ে আমি যে রেফারেন্স দিলাম তা মূল্যায়ন করেন।উইকির রেফারেন্স দিলেন আর বলতে চাইলেন সেখানে যা লেখা থাকে তা অথেন্টিক এমন কথা শুনে হাসি পেল।উইকি আর্টিকেল এডিট করা মানুষের জন্যে মজার একটা কাজ।এ সামুতেই অনেক ব্লগার আছেন যারা উইকিতে ইনফো এডিট করে বেড়ান।আমি নিজেই করি।একাউন্ট খুললে আপনিও করতে পারবেন।এখন কোন বিএনপি যদি ২৭ শে মার্চকে ২৬ শে মার্চ রূপান্তর করে দেন তা কিভাবে কোন যুক্তিতে আপনি গ্রহণ করবেন যেখানে আমি জিয়ার ২৭ শে মার্চ পাঠ করে নিজের মুখে স্বীকার করার ভিডিও দিলাম?দাঁড়ান আপনাকে একটা স্যাম্পল দেখাই।উইকিতে চট্টগ্রাম সার্চ দিয়ে দেখেন আমি কি এডিট করে এলাম:


এই নেন লিংক:
Click This Link

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮

নিশাত তাসনিম বলেছেন: স্বাধীনতার ঘোষণা:
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাতে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন । কথিত আছে, গ্রেপ্তার হবার একটু আগে ২৫শে মার্চ রাত ১২টার পর (অর্থাৎ, ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে) তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন যা চট্টগ্রামে অবস্থিত তৎকালীন ই.পি.আর এর ট্রান্সমিটারে করে প্রচার করার জন্য পাঠানো হয়।

ঘোষণাটি নিম্নরূপ অনুবাদ: এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।

২৬শে মার্চ বেলাল মোহাম্মদ, আবুল কাসেম সহ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের কয়েক'জন কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ.হান্নান প্রথম শেখ মুজিব এর স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি মাইকিং করে প্রচার করেন।

পরে ২৬শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ঘোষণাটি নিম্নরূপ:
আমি,মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির প্রাদেশিক কমান্ডার-ইন-চিফ, শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আমি আরো ঘোষণা করছি যে, আমরা শেখ মুজিবর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম ও আইনসিদ্ধ সরকার গঠন করেছি যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার জোট-নিরপেক্ষ নীতি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। এ রাষ্ট্র সকল জাতীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং বিশ্বশান্তির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আমি সকল দেশের সরকারকে তাদের নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। শেখ মুজিবর রহমানের সরকার একটি সার্বভৌম ও আইনসম্মত সরকার এৰং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাবার দাবিদার।

১৯৭১ সালে ২৬ মার্চের এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে যা নয় মাস স্থায়ী হয়। শহীদ হয় ৩০ লক্ষ বাংলাদেশী , ইজ্জত নষ্ট হয় ৩ লক্ষ মা-বোনের।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা।

২৭ শে মার্চ এর ব্যপারে গ্রহণযোগ্য লিঙ্ক পাইনি। কিন্তু ২৬শে মার্চ এর ব্যাপারে আমার কাছে গ্রহণযোগ্য তথ্যসূত্র আছে।

JYOTI SEN GUPTA, NAYA PROKASH, 206, BIDHAN SARANI, CALCUTTA-6, FIRST EDITION, 1974, CHAPTER-15, PAGE-325 and 326। HISTORY OF FREEDOM MOVEMENT IN BANGLADESH, 1943-1973: SOME INVOLVEMENT

"প্রথম আলো-গোপন মার্কিন দলিল-‘একজন পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।’"। Prothom-alo.com। 2012-12-08। সংগৃহীত 2013-02-18

↑ "US State Department Secret Telegram on Bangladesh Declaration of Independence"। Docs.google.com। সংগৃহীত 2013-02-18।

↑ Maj. Gen. (Retd.) K. M. shafiullah, Bir Uttom, Academic Publishers, Dhaka, First Edition, 1989, Page-45। Bangladesh at War

↑ Lt. Gen. (Retd.) Kamal Matinuddin, Wajidalis, Lahore, First Edition, 1994, Page-255। Tragedy of Errors: East Pakistan Crisis, 1968-1971


এখন বলিয়েন না যে এখানেও এডিট করে দেওয়া হয়েছে।

২৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: চট্রগ্রাম সার্চ দেন আর দেখেন আমি কি এডিট করলাম।আর এই নেন লিংক।
Click This Link

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১

নিশাত তাসনিম বলেছেন: আগের মন্তব্যের জবাব দেখুন ।

২৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

বেঈমান আমি. বলেছেন: আর উইকির ইনফো? ;) B-)) :P আমার এক ফ্রেন্ড কিছু দিন লিথুনিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিল উইকির ইনফো অনুসারে ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২

নিশাত তাসনিম বলেছেন: এতো কথা বইলা কোন লাভ নেই । ২৭ শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার ব্যাপারে কোন গ্রহণযোহগ্য রেফারেন্স দেন পোস্ট এডিট কইরা দেই।

২৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: উইকির ইনফোর কোন জোগ্য ভিত্তিনাই। তবে স্বাধিনতার ঘোষনাপত্র জিয়া পাঠকরলেন কেন সেই প্রশ্নটা আমার এখনো মাথা ঘুরতেছে। আম্লিগের এত এত নেতা থাকতে আর হান্নান সাহেব নিজে বা অন্য অন্যকোন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্য এটা পরলেননা কেন।

সামরিক অফিসাররাই এই যুদ্ধটা শুরু করছিলেন। তারা পাকিস্তানের শোষন এর বিরুদ্ধে সাধারন মানুষকে অস্ত্র ধরাটা শিখিয়েছেন এবং পুরো যুদ্ধটা ভারতের হাতথেকে বেরকরে এনে নিজেদের হাতে রেখেছেন। যার ফসল আজকের বাংলাদেশ। আর তখন আম্লিগের ডেডিকেটেড নেতারা কলকাতায় বসে বসে সরসে ইলিশ চিবিয়েছেন আর দাদাদের সাথে সন্ধের পরে মদের আসর বসিয়েছেন।

স্বাধিনতা যুদ্ধে ৭ ই মার্চের অবদান জানিনা কিন্তু ২৬ শে মার্চ ছিল যুদ্ধের একটা মুল ভিত্তি। এখান থেকেই যু্দ্ধটা তারাই শুরু করেছিলেন যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা।

আর একটা কথা। একজন সেক্টর কমান্ডার, নিজ হাতে মুক্তিযুদ্ধকারি এবং পরবর্তিতে দেশের শির্ষ পর্যায়ের একজন সেনাকর্মকর্তা সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য তাদের মুখথেকেই আসে যাদের প্রকৃত পরিচয় ঘাটলে রাজাকার গন্ধ আসবে।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

নিশাত তাসনিম বলেছেন: পোস্ট এডিট করে উপযুক্ত ও ডাইরেক্ট তথ্যসূত্র এর লিঙ্ক যুক্ত করা হয়েছে দেখুন।

স্বাধীনতা যুদ্ধে ৭ ই মার্চের অবদান জানিনা কিন্তু ২৬ শে মার্চ ছিল যুদ্ধের একটা মুল ভিত্তি। এখান থেকেই যুদ্ধটা তারাই শুরু করেছিলেন যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা।

৭ ই মার্চের অবদান না জানার কি হলো ভাই ? ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ শোনেনি এমন লোকও দেশে আছে একথাও কি আমাকে বিশ্বাস করতে হবে।

মুক্তি যুদ্ধে কারও যদি ০.০১ ভাগ অবদানও আমাদের উচিৎ সে অবদানকে শ্রদ্ধা করা।

ভুলে গেলে চলবেনা সেদিন কেউ আওয়ামীলীগ বি এন পি হিসেব করে যুদ্ধ করেনি সবাই দেশের জন্যই যুদ্ধ করেছেন।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ঐতিহাসিক বিষয়গুলোতে বিতর্ক জাতী হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জা ! আফসোস আমরা আমাদের ইতিহাস নিয়েও দুইভাগে বিভক্ত :(

পোষ্টের উপস্থাপন আর ব্যাপ্তি খুব ভালো লেগেছে , আর কমেন্টে প্রাণবন্ত আর যুক্তিযুক্ত আলোচনার মাঝেই সত্য প্রতিষ্টা পাবে , মডারেটরকে ধন্যবাদ পোষ্ট টি স্টিকি করার জন্য !
আর আপনাকে আরো বেশী ধন্যবাদ !

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

নিশাত তাসনিম বলেছেন: ধন্যবাদ অভি ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

একটি অমূলক ভিত্তিহীন বিষয় ( স্বাধীনতা কে কখন ঘোষণা দিয়েছে) নিয়ে বিতর্ক ও বিভক্তিকরণ সত্যি লজ্জা জনক। ঐতিহাসিক বিষয়গুলোতে বিতর্ক জাতী হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জা ! আফসোস আমরা আমাদের ইতিহাস নিয়েও দুইভাগে বিভক্ত

২৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

বেঈমান আমি. বলেছেন: ২৬ শে মার্চ, ১৯৭১ সালে বেলা ২টা ১০ মিনিটে সময় চৌধুরীবেলালের নেতৃত্বে চট্রগ্রাম কালুরঘাটে বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাকালীন নাম ছিল “স্বাধীনবাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র” পরে তা নামকরণ করা হয় “স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্র” নামে।
২৬ শে মার্চ, ১৯৭১ সালে বেলা ২টা ১০ মিনিটের সময় মোহাম্মদ হান্নান (ততকালীন চট্রগ্রাম জেলার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন) বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। হান্নান সাহেবও ইংরেজীতে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ঐদিন সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের সময় আবুল কাশেম সন্দ্বীপ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

পরের দিন ২৭ শে মার্চ, ১৯৭১ সালে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। শুধু ২৭ শে মার্চ নয়, মেজর জিয়াউর রহমান ২৭ শে মার্চ সহ ২৮ শে মার্চ ও ২৯ শে মার্চ মোট ৩ দিন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। তিনিও ইংরেজীতে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নীচে দেওয়া হলঃ

“On behalf on our Great National Leader, The Supreme Commandar of Bangladesh Sheikh Mujibur Rahman do hereby proclaim the independence of Bangladesh. It is further proclaimed that Sheikh Mujibur Rahman is the sole leader of the elected representatives of 75 miliion people of Bangladesh. I therefore apeal on behalf of our great leader Sheikh Mujibur Rahman to the Government of all the democratic countries of the world specially the big world part and the neighboring countries to take effective steps to stop immediately the awful genocide that has been carried on by the army of occupation from Pakistan. The legally representatives of the majority of the people as repressionist, it is cruel joke and contradiction in terms whic should be fool none. The guiding principle of a new step will be first nutrality, second peace and third frienship to all and anomity to none. May Allah help us. Joy Bangla.”

লান্চ করে এসে বাকিটা দিচ্ছি উইথ রেফারেন্স।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

নিশাত তাসনিম বলেছেন: ঠিক আছে অপেক্ষায় আছি।

৩০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ডানাভাঙ্গা চিল বলেছেন: @বশর সিদ্দিকীঃ
একজন সেক্টর কমান্ডার, নিজ হাতে মুক্তিযুদ্ধকারি এবং পরবর্তিতে দেশের শির্ষ পর্যায়ের একজন সেনাকর্মকর্তা কিভাবে পারেন রাজাকার শিরোমণি যে কিনা বাংলাদেশ ই চায়নি তাকে আবার দেশে আসার সুযোগ করে দিতে আদর আপ্যায়ন করে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিতে । আর তার গড়া দল ই বা কিভাবে পারে ওদের সাথে জোটবদ্ধ হতে যারা বাংলাদেশ ই চায়নি ।
শুধু ২৬শে মার্চ কিংবা ২৭শে মার্চের মেজর জিয়ার ঘোষোণাপত্র পাঠে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়নি , এর জন্য ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত অনেক সংগ্রাম , আত্বত্যাগ আর সাংগঠনিক শক্তির প্রয়োজন হয়েছে । ৭ ই মার্চের এই ঐতিহাসিক ভাষণ টিও তারই গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

নিশাত তাসনিম বলেছেন: ভাই এখানে তো বিতর্কের সৃষ্টি হবে। রাজাকারদের প্রথম সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা কে করেছেন তা তো বললেন না ।


বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলাপ না করি।

শুধু ২৬শে মার্চ কিংবা ২৭শে মার্চের মেজর জিয়ার ঘোষোণাপত্র পাঠে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়নি , এর জন্য ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত অনেক সংগ্রাম , আত্বত্যাগ আর সাংগঠনিক শক্তির প্রয়োজন হয়েছে । ৭ ই মার্চের এই ঐতিহাসিক ভাষণ টিও তারই গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।

সহমত।

৩১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

চলতি নিয়ম বলেছেন: অনেক তথ্যপূর্ণ সময় উপযোগী লেখা। ইতিহাস নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি থাকার সুযোগ নেই। স্টিকি পোস্টে তথ্য ভুল থাকলে সেটা অবশ্যই ঠিক করা উচিত। যেমন আপনার দেয়া লিঙ্কে এখন দেখলাম ;

১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন[১][২] এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করে।

এইটা লেখা।


এই পাঠক/ঘোষক দন্দের শুরু টা কবে থেকে? কেউ কি জানাতে পারবেন? এর সমাধান যতদিন না হবে ততদিন ইতিহাস বিকৃতি চলতে থাকবে।


সবশেষে পোস্টে +

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

নিশাত তাসনিম বলেছেন: আমার দেওয়া কোন লিঙ্ক থেকে পেয়েছেন ২৭ শে মার্চ ??? লিঙ্ক টা কপি করে দিন দয়া করে।

২৭ শে মার্চেই যদি স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয় তবে ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে? ২৫ শে মার্চ বা ২৭ শে মার্চ নয় কেন ?

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৩২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

শিক্ষানবিস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

নিশাত তাসনিম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ শিক্ষানবিশ।

৩৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

চলতি নিয়ম বলেছেন: জিয়াউর রহমানের যে উইকি লিঙ্ক দিয়েছেন সেখানেই তো দেখলাম।

আমার এই লিঙ্ক ভাঙ্গা ভাঙ্গা আসলো কেন? আপনার পোস্ট থেকে ক্লিক করে দেখুন.

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

নিশাত তাসনিম বলেছেন: জেনারেশন সুপারস্টার ভাই এর ২৪ নং মন্তব্য দেখুন । উইকি এডিট করা যায়। আমি এই পোস্ট লেখার আগে ওটা ২৬ শে মার্চ ছিলো।

উইকি লিঙ্ক ছাড়াও কিছু ডাইরেক্ট লিঙ্ক দেওয়া আছে ওখানে দেখুন ।

২৬ আর ২৭ এর বিতর্কিত প্রসঙ্গটা বাদ দেই। ২৬ শে মার্চ হলেই কি ২৭ শে মার্চ হলেই কি ? জিয়াউর রহমান এর কণ্ঠে আমরা সবাই তো বেতারে সেদিন সে ঘোষণা শুনেছেনই ।

৩৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ঐতিহাসিক উত্তাল মার্চ
স্বাধীনতার ডাক

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩৫

নিশাত তাসনিম বলেছেন: উত্তাল মার্চেই স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু। :)

৩৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৭

বেঈমান আমি. বলেছেন:

মেজর জিয়ার মুখেই শুনো।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

নিশাত তাসনিম বলেছেন: পোস্ট এডিট করে দুই পক্ষকেই খুশি রাখা হলো। ধন্যবাদ।

কিন্তু পোস্টের মূল বিষয়বস্তুর ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি ?

৩৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০৩

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: ভাই এটায় তো আপনার উপরে রাগ করার কারণ যে আপনি কিছু টেমপ্লেটকে রেফারেন্স হিসেবে নিয়ে আসছেন।আমি ২১ নং কমেন্টেই দিয়ে দিছি জিয়া এক সাক্ষাৎকারে ২৭ শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করার যে বিবৃতি দিলেন তার ভিডিও আর তা না দেখে আপনি কিভাবে একটি সুন্দর ও চমৎকার সাজানো গোছানো রিপ্লাই দেওয়া যায় তা নিয়া আছেন।আপনি ২৬ এর রিপ্লাইতে বললেন কি এটা তাহলে তো আমার আগের কমেন্টই আপনি পড়েন নি বা আপনি সিনসিয়ার না!এবার আশা করব এডিট করে লিখবেন জিয়া ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন ২৭ শে মার্চে যার আলাদা কোন ভেল্যু নেই।জিয়ার নিজের মুখেই শুনেন:


আর হ্যাঁ এভাবে উইকির রেফারেন্স দিতে দিতে নিজেকে লজ্জায় ফেলবেন না বিশেষ করে বাংলা উইকির।কারণ বাংলা উইকির অবস্হা খুব খারাপ।আর কোন বান্দর এডিট করে থাকলে তা পরে থাকে বছরের পর বছর ঠিক করারও কেউ নেই।আমার ২১ আর ২৪ নম্বর কমেন্ট আবার পড়ে আসেন আর নিচে উইকিতে আমার এইমাত্র এডিট করা যা দিলাম তা নিজে গিয়ে এডিট করে ঠিক করে আসেন।আবারও প্রতিবাদ জানাইলাম এপোস্ট এভাবে স্টিকি করে দেওয়ার কারণ এখান থেকে অনেকেই ভুল তথ্য মনে নিয়া চলে গেসে যারা কোনদিন এপোস্টে ফিরবেনা।আপনার ২১ এর রিপ্লাইয়ের এই কথাটা পড়ে এখনও হাসতেসি "আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি এখানের প্রতিটি তথ্য উইকি থেকে সংগৃহীত। নিজ থেকে কিছু লেখা হয় নাই। " =p~



আমি বাংলা উইকির চট্টগ্রাম পার্টে সীমারেখা বিভাগে লিখে রাখসি ব্লগার জেনারেশন সুপারস্টার আর নিশাত তাসনিম সামুতে উইকি নিয়া ঝগড়া করতেসে।কিন্তু নিশাত বাংলা উইকির মত দূর্বল রেফারেন্স ইউজ করে কতটুকু অথেনটিক ইনফরমেশন আনতে পারবে?
এই নেন লিংক:
Click This Link

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

নিশাত তাসনিম বলেছেন: পোস্ট এডিট করে দুই পক্ষকেই খুশি রাখা হলো। ধন্যবাদ।

কিন্তু পোস্টের মূল বিষয়বস্তুর ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি ?

৩৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০৪

রাবার বলেছেন: ঐতিহাসিক উত্তাল মার্চ
স্বাধীনতার ডাক

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

নিশাত তাসনিম বলেছেন: মার্চ থেকেই স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু ।

৩৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৯

রূপা কর বলেছেন: সময় উপযোগী লেখা। +++++্

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৮

নিশাত তাসনিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রূপা কর।

৩৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

ব্লগার ভাই বলেছেন:

জয় বাংলা।


বাংলা জয় হোক

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২২

নিশাত তাসনিম বলেছেন: বাংলাদেশের জয় হোক। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৩

উজবুক ইশতি বলেছেন: অনেক তথ্য বহুল পোস্ট

খুব কষ্ট করেছেন

অনেক ধন্যবাদ

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৪

নিশাত তাসনিম বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকা হোক সবসময়।

৪১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:

পরিশ্রমী পোস্টে ধন্যবাদ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

নিশাত তাসনিম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ কবি আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় ।

৪২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৭

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: ব্রো(অথবা সিস) আপনি কথা বলতে জানেন না।চরিত্রগতভাবে আপনার সমস্যা আছে।কোন পক্ষকে খুশি করার কি আছে এখানে ইতিহাসের হিসাবনিকাশ নিয়ে?এমন ফালতু কথা বলাটা ঠিক হয়নি।জিয়া বললেন ২৭ শে মার্চ তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন আর আপনি পোস্টে সেকথা পাশ কাটিয়ে ২৬ মার্চ রেখে দিয়েছেন......আর এটাও লিখেছেন "অনেকেই বলেন ২৬ শে মার্চ নয় ২৭ শে মার্চেই শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা বার্তাটি পাঠ করেন এবং তারা একটা ভিডিও চিত্র উপস্থাপন করেন।".....সমস্যা কি আপনার?আপনি কি মেজর জিয়ার কথা বিশ্বাস করেন না?আর এভাবে পাশ কাটিয়ে ভালো সেজে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চুপচাপ অপরাধ করার স্টাইলটা পছন্দ হচ্ছেনা।

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১১

নিশাত তাসনিম বলেছেন: জেনারেশন সুপারস্টার আপনি পোস্টে ইচ্ছাকৃত ক্যাচাল লাগাতে চাচ্ছেন আমার ধারণা। একটা মন্তব্যে কান্ডারি ভাইকে খোঁচা দিলেন! সমস্যা কি ভাই আপনার? আমার পোস্টের তথ্যের উপর উপযুক্ত সূত্র দেওয়া আছে। ঠিক তেমনি আপনিও আপনার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন। আপনি যেরকম প্রমাণ দিচ্ছেন অন্য একজন এসে যদি ২৬ শে মার্চের পক্ষে প্রমাণ দিয়ে যায় তখন কি তার প্রমাণের উপর ভিত্তি করে আবার এডিট করবো ?

আপনি পাবলিকটা সুবিধার মনে হচ্ছেনা । পোস্ট যেমন আছে তেমনই থাকবে। আপনার ভালো না লাগলে বা আপত্তি থাকলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেন। অথবা পোস্টটি এড়িয়ে যেতে পারেন।

এই ব্লগের সম্পাদক এবং মডু যথেষ্ট বিজ্ঞ। তারা পোস্ট না পড়ে নিশ্চয় পোস্টটি স্টিকি করেনি।

এই নিকটি নতুন হলেও ব্লগার পুরনো। আপনার প্রথম মন্তব্য দেখেই বুঝেছিলাম আপনার উদ্দেশ্য তেমন সুবিধার নয়। আপনার এবং বেঈমান ভাই এর মন্তব্য ধরণ একই রকম । আপনার বক্তব্য যাহা উনারও তাহা । ঘটনা কি?

দুঃখিত পরের বার আপনার মন্তব্যের জবাব দেওয়া হবেনা।

৪৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৮

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন:

ভিডিওতে জিয়া বলছেন তিনি ২৭শে মার্চ ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন।পোস্ট এডিট করে ঠিক করে দেন।

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৫

নিশাত তাসনিম বলেছেন: পোস্ট এডিট করে ঠিক করা হয়েছে । স্বাধীনতার ঘোষণা কত তারিখ দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে দুই প্রকার বক্তব্য রয়েছে আর আমি আমার পোস্টে তাই লিখেছি। পোস্ট এডিট করা হয়েছে দেখুন।

৪৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩১

বেঈমান আমি. বলেছেন: পোস্ট এডিট করে দুই পক্ষকেই খুশি রাখা হলো।

হাহাহাহা এইখানে দুই পক্ষ কে ব্রো?আমিতো কোন পক্ষ না ।আমি বলছি সঠিক ইতিহাসটা তুলে ধরতে।জিয়ার নিজের মুখের কথায় কি তোমার বিশ্বাস নাই?স্বাধীনতার ইতিহাস কি ব্লগ ফেসবুকে এসে জানতে হবে?

জিয়ার ঘোষনা পত্র পাঠের ভুল তারিখটা ছাড়া পোস্ট ভালো হইছে।

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪২

নিশাত তাসনিম বলেছেন: বেঈমান আমি ভাই দুই পক্ষ বলতে বুঝানো হয়েছে দুই মতবাদের লোকদেরকে। কেউ কেউ প্রমাণ সহ বলেন জিয়া ২৭ তারিখে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেছেন আবার অনেক জায়গায় প্রমাণ সহ অনেকেই ২৬ শে মার্চ এর পক্ষে জোরালো রেফারেন্স দেন ।

তাই আমি পোস্ট সেভাবেই এডিট করেছি। বাদ দেই এই বিতর্কিত বিষয়টি । ধরে নেই এটা ২৬ তারিখ অথবা ২৭ তারিখ। যে কোন এক দিন। এখানে সিম্পল বিষয় নিয়ে বিতর্ক করার তো কিছু নেই।

৪৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০০

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: না আপনি এডিট করেন নি।আর হ্যাঁ ২৬শে মার্চ জিয়ার ঘোষণাপাঠের প্রমাণ কেউ দেয় নি ওটা বিএনপি থেকে বিবৃতি দেওয়া হয় মাত্র।আপনি এখনও লিখে রেখেছেন-"পরে ২৬শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।"-কেন আপনি এটা বিশ্বাস করছেন যেখানে জিয়া নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন তিনি ২৭শে মার্চ ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন?


পোস্ট এডিট করে লিখুন জিয়া ২৭শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন।

৪৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কষ্ট সাধ্য পোষ্টের জন্য আন্তরিক অভিনন্দ। বঙ্গবন্ধু একজন অসামান্য নেতা ছিলেন। তার প্রতি একটি দূর্বলতা আছে। তবে এটাও সত্য দূর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি হয়ত একজন ভালো শাসক ছিলেন না। যাই হোক, বাংলাদেশের ইতিহাসে তথা পৃথিবীর ইতিহাসে এই ৭ই মার্চের ভাষন অন্যতম সেরা ভাষনগুলোর মধ্যে একটি।

ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের জায়গা থেকে যখন আমরা আমাদের নেতাদের মূল্যায়ন করা থেকে বের হয়ে আসতে পারব, তখনই আসলে আমাদের দেশের প্রকৃত জাগরন হবে। এর আগে সবই লবডংকা আর নোংরা বাক্যবান।

যাইহোক, আপনার পোষ্ট এবং কমেন্ট থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

নিশাত তাসনিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কাল্পনিক ভালোবাসা। খুব সুন্দর বলেছেন।

ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের জায়গা থেকে যখন আমরা আমাদের নেতাদের মূল্যায়ন করা থেকে বের হয়ে আসতে পারব, তখনই আসলে আমাদের দেশের প্রকৃত জাগরন হবে। এর আগে সবই লবডংকা আর নোংরা বাক্যবান।

৪৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

অদৃশ্য বলেছেন:




বাহ্‌... দারুন


শুভকামনা...

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২২

নিশাত তাসনিম বলেছেন: ধন্যবাদ অদৃশ্য ।

৪৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:০৭

রাতুল_শাহ বলেছেন: সুন্দর তথ্যবহুল পোষ্ট।

মন্তব্যগুলোতেও বেশ গুরুত্ব আছে।

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:২৮

নিশাত তাসনিম বলেছেন: ধন্যবাদ রাতুল ভাই । অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম। কিছুক্ষণ আগে আপনার ব্লগে বেড়াতে গিয়েছিলাম । এখন দেখলাম আপনার মন্তব্য ।

মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.