![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/mohammed.tasnim.39
সেদিন সম্মানিত জানা ম্যাডাম লিখলেন আমরা কি নিরাপত্তাহীনতার ঘেরাটোপে আটকে যাচ্ছি?? বেলা' প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী এবি সিদ্দিককে কে/কারা উদ্ধার করলো? প্রশাসনের ভূমিকা কি? নাকি তঁাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এবং তাই তিনি ফিরে এসেছেন। মিডিয়ার সংবাদগুলো বড্ড বিভ্রান্তিকর!
তিনি ফিরে আসায় পুরো পরিবার সহ দেশের মানুষ যেমন একদিকে স্বস্তি পেলেন তেমনি একটি শংকাতেও আড়ষ্ঠ হয়ে গেলেন। রিজওয়ানা আপা এবং তার পরিবার কি এখন নিরাপদে জীবন যাপন করতে পারবেন? নিশ্চয়তাটি কোথায়? সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তাটুকু কে নিশ্চিত করবে? অপহৃত হওয়া সব মানুষগুলোইতো আর ফিরে আসে না। আবার ওদিকে বেচারা প্রশাসনও কানা, খোঁড়া, বোবা এবং কালা! তাহলে একটি সভ্যদেশে, গণতান্ত্রিক দেশে, স্বাধীন দেশে এভাবে গুম, হত্যা, অপহরণ আর অবিচার পাকা পোক্ত জায়গা করে নেবে!!!
সিদ্দিক সাহেব ফিরে আসাতেই আমাদের যাবতীয় উৎকন্ঠা ফুরিয়ে যায় না, বরং আমাদের দায়িত্বশীলতা বোধ করি আরও বেড়ে যায়। আমরা, দেশের সর্বসাধারণ নিরাপদ জীবন-মৃত্যু'র নিশ্চয়তা চাই। মানবিকতায় বাসযোগ্য বিশ্বস্ততা চাই।
সম্মানিত জানা ম্যাডামের উৎকন্ঠা ছিল সত্য এবং সত্যি দুশ্চিন্তা করার মতো। কারণ গতকাল সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম আলোর কিছু সংবাদ দেখে রীতিমত চমকে উঠলাম। দেশের ১৬ কোটি মানুষের মতো আমিও ভীত , হতাশ , নির্বাক এবং আতঙ্কগ্রস্ত।
আমরা সবাই এর মধ্যেই জেনেছি নারায়ণগঞ্জকে গুমের রাজধানী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। “জাতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে প্রায় ৩০০ ব্যক্তিকে হত্যা, গুম ও অপহরণ করা হয়েছে। অথচ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলছে " গুমের সংখ্যার আনুপাতিক হার নারায়ণগঞ্জকে বছরের তুলনায় কম, গুম নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।" তার মানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী স্বীকার করে নিয়েছেন অন্যান্য বছরের গুম হওয়ার আনুপাতিক হার বেশি ছিলো।
আপনি কি এই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে মন্ত্রী কি বলবেন? গুমের আনুপাতিক হার যিনি নির্ধারণ করেন এবং চলতি বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় কম বলে চিন্তা না করতে বলেন তিনি আমাদের মন্ত্রী । তাই আমাদের গুম হওয়ায় স্বাভাবিক।
রেজোয়ানার স্বামীকে গুম করার পর থেকে এখন পর্যন্ত গুম নিয়ে পুরা দেশের মানুষ ভীত হলেও সরকার আগুলো কোন আমলে নিচ্ছেন বলে হচ্ছেনা। তার প্রমাণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের কলাগাছিয়ার শান্তিনগর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে আজ সকালে ( বৃহস্পতিবার) আরো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে এটি প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের গাড়ির ড্রাইভার জাহাঙ্গীরের লাশ। এ নিয়ে উদ্ধারকৃত লাশের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭-এ। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী এই ঘটনার জন্য নারায়ণগঞ্জের গডফাদারদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, গডফাদাররা নারায়ণগঞ্জের সব প্রতিবাদী মানুষকে হত্যা করে তাদের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। এ দিকে অপহরণের পর যাদের নামে নজরুল ইসলামের পরিবার মামলা দায়ের করেছে তাদের কেউ গ্রেফতার হয়নি। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও হাত রয়েছে। তাদেরকে দিয়েই গডফাদাররা এই অপহরণ ও খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে সবিনয়ে জানতে চাই দিনে কমপক্ষে কত জন গুম হওয়ার পর খুন হলে আপনারা চিন্তিত হবেন?
মার্চ মাসে লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গাওয়ার জন্য জন্য ইসলামী ব্যাংক থেকে ৮০ লাখ টাকা গ্রহণ করে সরকার। পরে তীব্র প্রতিবাদ, সমালোচনা ও নিন্দার মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে সে টাকা সরকার ফিরিয়ে দিলেও এপ্রিল মাসের শেষে এসে আবারো ইসলামী ব্যাংক এর টাকার টকা লোভে পড়ে সরকার। খবরে প্রকাশ পায় পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য ২০০০ কোটি টাকা ইসলামী ব্যাংক থেকে নিচ্ছে সরকার। টকা দিলে রাজাকারকে মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্র বিতরণ করা হয়। সে আর নতুন কি?
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এর পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, কার্যরত একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে অর্থ চাওয়ায় তিনি কোনো 'সমস্যা' দেখছেন না। সমালোচনা ওঠায় 'লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলায়' ইসলামী ব্যাংকের অর্থ না নেয়া এবং এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তদন্তের উদ্যোগের মধ্যেই ইসলামী ব্যাংকের অর্থ নিলে নতুন করে বিতর্ক হলেও তা উপেক্ষা করেই বহু প্রতীক্ষিত এই সেতু নির্মাণে এগিয়ে যেতে চান পরিকল্পনামন্ত্রী। মুস্তফা কামাল বলেন, ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের কাছে আমি পদ্মা সেতুর জন্য ১ হাজার কোটি টাকা চেয়েছি। তিনি আমাকে কথা দিয়েছেন, এই ১ হাজার কোটি টাকা তারা পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ করবেন।
প্রিয় পাঠক আবার খেয়াল করুন সমালোচনা ওঠায় 'লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলায়' ইসলামী ব্যাংকের অর্থ না নেয়া এবং এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তদন্তের উদ্যোগের মধ্যেই ইসলামী ব্যাংকের অর্থ নিলে নতুন করে বিতর্ক হলেও তা উপেক্ষা করেই বহু প্রতীক্ষিত এই সেতু নির্মাণে এগিয়ে যেতে চান পরিকল্পনামন্ত্রী। এতে প্রমাণিত হয় ইসলামী ব্যাংক যদি সরকারকে অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য ২০০০ কোটি টাকা দেয় তবে কোন সমস্যা নেই। তাদের অনিয়ম এবং দুর্নীতি বৈধতা পাবে।
মাননীয় মন্ত্রীর কাছে আমি সবিয়ে জানতে চাই জামাত নেতা দেওয়ার দেলোয়ার হোসেন সাইদীর ফাঁসি সহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি কি টাকার বিনিময়ে মওকুপ করে দিবেন ?
এই কথা বলছি কারণ, গণজাগরণ মঞ্চ চিহ্নিত 'যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিষ্ঠান' ইসলামী ব্যাংকের অর্থ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টির সম্ভাবনার বিষয়টি মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হলে তার জবাবও দেন তিনি। বিতর্কের মধ্যেই আমাদের চলতে হবে। সব বিতর্কে কান দিলে দেশের উন্নয়ন হবে না। ইসলামী ব্যাংক দেশে সফলভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে- তাতে কোনো সমস্যা নেই; আর তাদের টাকা পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ হলে বিতর্ক হবে- এটা আমি মেনে নিতে পারি না। গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংক অর্থ দেয়ার পর গণজাগরণ মঞ্চসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন তার প্রতিবাদ জানায়। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাতীয় সংগীতের অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের কোনো অর্থ খবর করা হচ্ছে না। ইসলামী ব্যাংকটির মালিকানা কাঠামোয় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বলে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের নেতাদের বক্তব্য। যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর কাসেম আলী ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান আবু নাসের মোহাম্মদ আব্দুজ জাহের মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম এলাকায় আল বদর বাহিনীর নেতা ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আব্দুল হান্নানও জামায়াতে ইসলামীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এর সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. সালেহ জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরের ভাই। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগে থাকার পর এই প্রথম মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া মুস্তফা কামাল বলেন, ইসলামী ব্যাংক আইডিবির (ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক) সহযোগী প্রতিষ্ঠান। আমরা আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পে আইডিবি'র সহায়তা নিচ্ছি; তাতে কোন সমস্যা নেই। ইসলামী ব্যাংকের টাকা নিলে সমস্যা হবে কেন, বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন করেন তিনি। মুস্তফা কামাল বিসিবির সভাপতি থাকাকালে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজনের সময় ঢাকাকে সাজাতে ইসলামী ব্যাংকের অর্থ নেয়া হয়, যা নিয়েও তখন সমালোচনা ওঠেছিল। গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তদন্তের মধ্যে সঙ্কটে পড়া ইসলামী ব্যাংককে দেশের বৃহত্তম নির্মাণ প্রকল্পের অংশীদার করা হলে তা ব্যাংকটিকে নিজেদের বড় ধরনের বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রচারের সুযোগ এনে দেবে বলে অনেকে মনে করেন। ২৯০ কোটি ডলারে (২২০০০ কোটি টাকা) ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণে মূল অর্থ যোগানদাতা বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে আইডিবিও ছিল। এই সংস্থাটির দেয়ার কথা ছিল ১৪ কোটি ডলার। আইডিবির ১৪ কোটি ডলারের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার কোটি টাকার কোনো সম্পর্ক আছে কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, না, আইডিবির ওই টাকার সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের এই ১ হাজার টাকার কোনো সম্পর্ক নেই।
মাননীয় মন্ত্রী, সরকার এবং চেতনাবাজদের কাছে আমি আবারো সবিনয়ে জানতে চাই ৭১ এর মানবতা বিরোধিতার সরাসরি জড়িত থাকা প্রমাণিত হওয়ার পরও উন্নয়নের দোহায় দিয়ে তাদের পরিচালিত ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়া যদি বৈধ হয় তাহলে টাকার বিনিময়ে সাইদী কেও কি আপনারা মুক্তি দিবেন? যেখানে তার জন্য শতাধিক মানুষ প্রাণ দিয়েছে সেখানে জামাত তাকে বাঁচাতে তাদের মোট অর্থের ১ তৃতীয়াংশ দিতে রাজি আছে বলে আমার মনে হয়। শুধু তাই নয় সাইদী জামাতের কাছে এতই মূল্যবান যে তাকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে আপনারা যা চাইবেন তাই পাবেন। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে রাজাকারদের টাকা নেওয়া বৈধ হলে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে টাকার বিনিময়ে অন্য এক রাজাকারকে মুক্তি দেওয়া কেন বৈধ হবেনা ?
রানা প্লাজার মর্মান্তিক দুর্ঘটনার এক বছর পার হয়ে গেলো নিহত ও আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের কি হবে তা বলা যাচ্ছেনা। এমনকি নির্ধারিত হয়নি ক্ষতিপূরণের পরিমাণও।
যদিও বলা হচ্ছে রানা প্লাজায় প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির জন্য ১৪ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ টাকা পরিমাণের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে । কিন্তু তা আদৌ তারা পাবে কিনা আমি বুঝতে পারছিনা। আর এই সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা কি পর্যাপ্ত? একজন মৃত শ্রমিকের জীবনের মূল্য কি সাড়ে চৌদ্দ লক্ষ টাকা দিয়ে নির্ধারিত হয়? প্রথম আলোতে পড়লাম কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের ইচ্ছাকৃত বা অবহেলাজনিত কারণে কারও মৃত্যু ঘটলে তাকে ‘রংফুল ডেথ’ বা অবৈধ মৃত্যু বলা হয়। মালিকের অবহেলায় কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের মৃত্যু ঘটলে নিঃসন্দেহে তা অবৈধ মৃত্যু। এ ধরনের মৃত্যুর জন্য দেওয়ানি আদালতের শরণাপন্ন হয়ে ‘টর্ট’ আইনের অধীনে মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায়। রানা প্লাজায় এক হাজার ১৩৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ও সহস্রাধিক ব্যক্তির আহত হওয়ার পেছনে রয়েছে মালিকের অমার্জনীয় অবহেলা। তাই আহত-নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ মূলত ভবন ও কারখানার মালিকদেরই দিতে হবে। একই সঙ্গে দণ্ডবিধির আওতায় ‘রংফুল ডেথ’ ও ‘রংফুল ইনজুরি’ ঘটানোর অপরাধে মালিকদের শাস্তি হওয়াও জরুরি।
অবৈধ মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ নির্ণয়ের একটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হলো সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ আয়ের বর্তমান মূল্য (discounted value of future flow of earnings), যা সারা পৃথিবীতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অর্থাৎ এ পদ্ধতিতে মৃত ব্যক্তি বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে সে যা আয় করতে পারত, তার বর্তমান মূল্যই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।
এ ধরনের ডিসকাউন্টিং (discounting) পদ্ধতিতে নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ নির্ভর করে তিনটি বিষয়ের ওপর: মৃতের বয়স, তার ভবিষ্যৎ আয়-ক্ষমতা এবং সুদের হার বা ডিসকাউন্ট রেট। মৃত ব্যক্তির অল্প বয়স হলে তাদের বেশি দিন বেঁচে থাকার এবং উপার্জন করার সম্ভাবনা থাকে। অবশ্যই লেখাপড়া, দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপরও তাদের আয়ের ক্ষমতা নির্ভর করে। সুদের হার বেশি হলে সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ আয়ের বর্তমান মূল্য কম হবে। অন্যভাবে বলতে গেলে, সুদের হার বেশি হলে অপেক্ষাকৃত সামান্য অর্থ বিনিয়োগ করে ভবিষ্যতে অধিক প্রতিদান পাওয়া সম্ভব।
তবে কেউ যুক্তি দিতে পারেন যে তৈরি পোশাকশিল্পের বর্তমান ন্যূনতম বেতন অনেক কম, তাই প্রস্তাবিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ অযৌক্তিক নয়। কিন্তু অধিকাংশ শ্রমিকেরই বেতন-ভাতা ন্যূনতম মজুরি থেকে বেশি। এ ছাড়া অনেক মৃত শ্রমিকেরই অতিরিক্ত আয়ের উৎস ছিল। তাই কিছু কিছু শ্রমিকের জন্য প্রস্তাবিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ গ্রহণযোগ্য হলেও অধিকাংশ শ্রমিকের জন্য তা যৌক্তিক বলে মনে হয় না।
কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের ইচ্ছাকৃত বা অবহেলাজনিত কারণে কারও মৃত্যু ঘটলে তাকে ‘রংফুল ডেথ’ বা অবৈধ মৃত্যু বলা হয়। মালিকের অবহেলায় কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের মৃত্যু ঘটলে নিঃসন্দেহে তা অবৈধ মৃত্যু। এ ধরনের মৃত্যুর জন্য দেওয়ানি আদালতের শরণাপন্ন হয়ে ‘টর্ট’ আইনের অধীনে মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায়। রানা প্লাজায় এক হাজার ১৩৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ও সহস্রাধিক ব্যক্তির আহত হওয়ার পেছনে রয়েছে মালিকের অমার্জনীয় অবহেলা। তাই আহত-নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ মূলত ভবন ও কারখানার মালিকদেরই দিতে হবে। একই সঙ্গে দণ্ডবিধির আওতায় ‘রংফুল ডেথ’ ও ‘রংফুল ইনজুরি’ ঘটানোর অপরাধে মালিকদের শাস্তি হওয়াও জরুরি।
যখন আমি পত্রিকায় পড়ি সোহেল রানার জামিন ৭ দিনের জন্য স্থগিত তখন মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আমি সবিনয়ে জানতে চাই যেখানে আপনারা ঘাতক সোহলকে শাস্তি না দিয়ে মুক্তি দেওয়ার কথা ভাবছেন সেখানে আমরা কি করে বিশ্বাস করবো রানা প্লাজার নিহত শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হবেনা? ট্রাজেডির ১ বছর পরেও যেখানে ক্ষতি পূরণের ব্যাপারটা সুরাহা হয়নি সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক পরিবার তাদের ন্যায্য ক্ষতি পূরণ পাবে তার নিশ্চয়তা কি?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আর একটা ব্যাপার নিয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি বুঝতে পারছিনা ভারতের প্রতি কেন আপনি এতো দুর্বল। তিস্তা তো বি এন পি জামাতের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। তিস্তা নদীর অপমৃত্যুর জন্য দায়ী কে তা বুঝতে পারার পরও কেন আপনি না বুঝার ভান করছেন? অবিলম্বে তিস্তার ন্যায্য হিস্যার সুরাহা করুন। ২০৩৫ সালে হয়তো আপনি থাকবেন না। আপনার সন্তান তার আমেরিকান বউ নিয়ে থাকবে আমেরিকা। কিন্তু এদেশের সাধারণ মানুষ ২০৩৫ সালে পানির জন্য হাহাকার করবে বলে ভাবছেন আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞরা। আমি একজন সামান্য ব্লগার হয়ে বুঝতে পারছি তিস্তা সহ অন্যান্য সমস্যার সমাধানের জন্য ভারতকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে হবে কিন্তু আপনে তা না করে তাদের উপর ভর করে রাজনীতি করছেন। এসব কি?
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জনতা ফুঁসছে । বিদ্রোহ অতি সন্নিকটে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। এদেশের জনগণের জান ও মাল এর নিশ্চিত করা আপনার নৈতিক দায়িত্ব। আপনি দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আপনি তাদের অভিভাবক।
অবিলম্বে ফরমালিন এর অপ-ব্যবহারকারীদের শাস্তির আওতাধীন করুন। প্রশ্ন পত্র ফাঁস করা বন্ধ করুন। প্রশ্নপত্র ফাঁস করা মানে এদেশের মেধা গুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া। আপনার অযোগ্য মন্ত্রী প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে মিথ্যাচার করে নিজের দোষ ডাকতে চাচ্ছেন। আমরা এখন অনেক সচেতন। আই সি টির ৫৭ ধারার কালো থাবার মাধ্যমে আমাদের কণ্ঠ রোধ করা যাবেনা। হলুদ সাংবাদিকরা দালালি করে টাকা খেয়ে সত্য গোপন করলেও ব্লগাররা দালালি করেনা। আমরা ঠিকই সত্য বের করে এনে প্রকাশ করি।
যাত্রীবাহী ফেরি ডুবির ঘটনায় সরকারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে তুমুল সমালোচনার প্রেক্ষিতে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চাং হং-ওন। আর আপনি ? বলতে লজ্জা লাগে। তাজরিন দুর্ঘটনায় এতো গুলো মানুষ পোড়ে কয়লা হয়ে গেলো , রানা প্লাজায় এখনো মৃত মানুষের লাশের গন্ধ উঠছে। অথচ বলছেন রানা প্লাজার শ্রমিকরা কারখানার মূল্যবান জিনিস পত্র সরাতে গিয়েছিলো। চাং হং-ওন ও প্রধানমন্ত্রী আপনিও প্রধানমন্ত্রী । চাং হং-ওন কে গোটা বিশ্ব সম্মানের সাথে স্মরণ করছে আর আপনি বি বি সি - সি এন - এন এ দেওয়া সাক্ষাতকারে কি বলছেন আপনার কি মনে আছে?
আপনার সাথে আমাদের কোন শত্রুতা নেই। দেশ ও দেশের মানুষের যে দায়িত্ব আপনে নিয়েছেন তা যথাযথ ভাবে পালন করুন। আমরা আপনার সাথে থেকে সহযোগিতা করবো।
০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
নিশাত তাসনিম বলেছেন: ভয়ে আছি কখন সরকার ঘোষণা করে ভাতের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবেনা লেখা যাবেনা। ভারতের বিরুদ্ধে কিছু বললে ও লিখলে ৫৭ ধারায় জেলে যেতে হবে।
২| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ৯:২২
অফ দ্যা পিপল, বাই দা পিপল, ফর দা পিপল বলেছেন: আজ একজন এর লাশ সহ নাঃগঞ্জে সবগুলা লাশের (অর্থাৎ ৭ টি লাশের সন্ধান মিলেছে। কোথায় সভ্য চাং হং-ওন আর কোথায় শেখ হাসিনা
হাসতেই আছিইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই
হাইসতে হাইসতে বমি করে দিচ্ছি।
০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৪
নিশাত তাসনিম বলেছেন: আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও চাং হং-ওন এর মানসিকতার অধিকারী হোক।
৩| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ৯:৪২
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
গুম একটা ট্রাডিশন হয়ে গেছে, কয়দিন পর মানুষজন বাংলাদেশকে চিনবে গুমের দেশ হিসেবে।
আপনি ঘর থেকে বের হয়ে আবার যে ঘরে ফিরতে পারবেন তার কোন গ্যারান্টি নাই। আর প্রতিদিন পরিবারের বাকিরা বাইরে থাকা লোকটির জন্য যে কি পরিমান টেনশন করে তার কোন ইয়ত্তা নাই।
স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি জানি চাইলেও পাব না। তাই অন্তত মরার পরে যে পুর্ব পুরুষের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে লাশটি দাফন করতে পারে আত্মীয়-স্বজন সেই কামনাই করি।
সময়োচিত পোস্ট।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬
নিশাত তাসনিম বলেছেন: ধন্যবাদ ঘুণপোকা ভাই । এখন যখন ডাকাতির সংবাদ পত্রিকায় ছাপানো হয় তখন আমরা স্বাভাবিক ভাবে নেই , যখন খুন হওয়ার সংবাদ পড়ি তখনও আমরা আমলে নেই-না। আমরা ধরেই নেই এটাই স্বাভাবিক। বাঙালি আসলেই সাহসী জাতী। পৃথিবীর আর কোন মানুষ মৃত্যুকে এতো সহজ ভাবে মেনে নেয় কিনা বা মেনে নিতে পারে কিনা আমার জানা নেই।
গুম যখন ট্র্যাডিশন হয়ে যাবে তখন আমরা গুমকেও সহজ ভাবে নেব। ডাকাতি , খুন , ধর্ষণ , ছিনতাই এর মতো আস্তে আস্তে গুম ও স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে।
এটাই আওয়ামী দুঃশাসন । এবং এই আওয়ামী দুঃশাসনে সবকিছু সম্ভব।
আল্লাহ জালেমের হাত থেকে সাধারণ মানুষগুলো রক্ষা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ সুবাহানাতাআলার পাকড়াও থেকে বাঁচানোর ক্ষমতা এই পৃথিবীতে অন্য কারো নেই।
৪| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ৯:৫০
খন্দকার আরাফাত বলেছেন: রানা প্লাজায় এক হাজার ১৩৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ও সহস্রাধিক ব্যক্তির আহত হওয়ার পেছনে রয়েছে মালিকের অমার্জনীয় অবহেলা।
মালিক সোহেল রানা নাকি বি এন পি নেতা জানেন কিছু ?
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
নিশাত তাসনিম বলেছেন: হ্যাঁ তিনি বি এন পির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ছিলেন।
৫| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১০:২০
মামুন রশিদ বলেছেন: আতন্ক সর্বত্র । নিরাপত্তাহীন এক সমাজের আমরা বাস করছি ।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
নিশাত তাসনিম বলেছেন: তবে কি জানা ম্যাডাম সত্য বলেননি ? আমরা কি নিরাপত্তাহীনতার ঘেরাটোপে আটকে যাচ্ছি না ??
৬| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১০:৫০
জহীরুল ইসলাম বলেছেন: মামুন রশিদ বলেছেন: আতন্ক সর্বত্র । নিরাপত্তাহীন এক সমাজের আমরা বাস করছি ।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫১
নিশাত তাসনিম বলেছেন: তবে কি জানা ম্যাডাম সত্য বলেননি ? আমরা কি নিরাপত্তাহীনতার ঘেরাটোপে আটকে যাচ্ছি না ??
৭| ০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রয়োজনীয় ও সমপোযোগী পোষ্ট! পোষ্টে আলোচনার জন্য চোখ রাখলাম।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
নিশাত তাসনিম বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই পোস্টের গভীরতা উপলব্ধি করার জন্য। আরো ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
৮| ০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ১২:৫২
সত্য সাহা বলেছেন: আপনি নিশ্চয়ী জামাত-শিবির ও আই এস আই এর এজেন্ট!
আল কায়েদার সাথে আপনার সম্পর্ক আছে!!
অচিরেই আপনি গুম হয়ে যাবেন। আপনার প্রতি ওসমান পরিবারের সুনজর পড়েছে।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
নিশাত তাসনিম বলেছেন: আল্লাহ আমাকে আওয়ামী কর্তৃক গুম হওয়া থেকে রক্ষা করুক।
৯| ০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ১:২৪
রিফাত ২০১০ বলেছেন: অত্যন্ত সমোপোযোগী পোস্ট। দারুণ বিশ্লেষণ। বর্তমান সময়ের সবগুলো সমস্যার সুন্দর বিবরণ।
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রয়োজনীয় ও সমপোযোগী পোষ্ট! পোষ্টে আলোচনার জন্য চোখ রাখলাম।
আমিও চাই পোস্টে আলোচনা হোক।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১১
নিশাত তাসনিম বলেছেন: ধন্যবাদ রিফাত ২০১০ পোস্টের গভীরতা উপলব্ধি করার জন্য। আরো ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
১০| ০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ১:৪৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: 'যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিষ্ঠান' থেকে সাহায্য নিলে দোষ নেই।। এটা "জিজিয়া কর"।। এখন বাকি রাজাকারদের ফাঁসীর দাবী তুলে দেখুন কি হয়?? কাদের মোল্লা দাবার একটি পন মাত্র, যাকে স্যাক্রিফাইস করা হয়েছে হাতি-ঘোড়া তথা মন্ত্রীদের বাচানোর জন্য।।
ভুল বুঝবেন না আমার মন্তব্যের জন্য।। আমার হিসাবে এটাই বাস্তবতা।।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১২
নিশাত তাসনিম বলেছেন: অপেক্ষায় আছি সামনে কি হয় তা দেখার জন্য।
১১| ০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ১:৪৭
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
আই সি টি এর ৫৭ ধারার কালো থাবায় আমাদের কন্ঠ রোধ করা যাবে না।আমরা হলুদ সাংবাদিক নই। আমরা ব্লগার।
কথাটির সাথে সহমত।
পোষ্টে সম্পর্কে পরে আসছি.......
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
নিশাত তাসনিম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
আই সি টির ৬৭ ধারা আমার মত প্রকাশে বাঁধা দানকারী একটি কালো আইন । এটি বন্ধ করতেই হবে।
১২| ০৩ রা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪২
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে সবিনয়ে জানতে চাই দিনে কমপক্ষে কত জন গুম হওয়ার পর খুন হলে আপনারা চিন্তিত হবেন?
ওনারা বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় আছেন ।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
নিশাত তাসনিম বলেছেন: রেকর্ড তো হয়েই গেছে। একসাথে ৭ জন মানুষকে গুম করে শীতলক্ষ্যায় লাস ভেসে উঠার পর প্রধানমন্ত্রী বলছেন এই গুমের সাথে খালেদাজিয়া জড়িত। অথচ গোটা দেশের মানুষ জানে এই গুমের সাথে কে বা কারা জড়িত। নিজের দোষ অন্যের উপর চাপানোর এই রেকর্ড বাংলাদেশ ছাড়া আর কারো নেই।
১৩| ০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
রোহান খান বলেছেন: আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান, জন্মেছি এ দেশে, ভোগার ভাগি করেছে আমারে, কেউ আমারে মাইরালা...।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২০
নিশাত তাসনিম বলেছেন: মেরে না ফেললেও গুম করে ফেলার সম্ভাবনা আছে।
১৪| ০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আই সি টি এর ৫৭ ধারার কালো থাবায় আমাদের কন্ঠ রোধ করা যাবে না।আমরা হলুদ সাংবাদিক নই। আমরা ব্লগার।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:১২
নিশাত তাসনিম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
আই সি টির ৫৭ ধারা আমার মত প্রকাশে বাঁধা দানকারী একটি কালো আইন । এটি বন্ধ করতেই হবে।
১৫| ০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাইরে..
ভবিষ্যতে আতংক আর গুমের প্রতিশব্দ না হয়ে যায় হাম্বা শাসনামল!!!
৭২-৭৫এ বাকশালের আতংক যারা অনুভব করে নাই, বা পরে জন্ম নিয়ে ইতিহাসের সত্যকেও বিশ্বাস করতে চায় নাই-তাদের জন্যই ডিজিটাল আয়োজন!
শুনেছি ৭৫এর বিয়োগান্তক পরিণতির পর নাকি মিষ্টি বিতরণ হয়েছিল!
সেকি এমনই বা এরচে বেশী আতংকাবস্থা থেকে মুক্তির জন্যই?
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৪
নিশাত তাসনিম বলেছেন: আওয়ামী শাষনামল এমন কেন ?
১৬| ০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪
জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন: মত প্রকাশের অধিকার থেকে মানুষ কে বঞ্চিত করলে বরং ওদের নিজেদের ক্ষতি হবে। এ আইনের কবলে আইনকারীরাই বেশি ভুগবে।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৮
নিশাত তাসনিম বলেছেন: ৯৬ এ ক্ষমতায় আসার পর র্যাব গঠন করার পর বি এন পি ২০০১ সালে বি এন পি ক্ষমতায় আসলে সে র্যাবের হাতেই আওয়ামীলীগ ক্যাডারদের কি নির্মম পরিণতি হয়েছিলো আওয়ামীলীগ কি তা ভুলে গেছে?
১৭| ০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪১
rakibmbstu বলেছেন: এত বড় লিখা ধৈর্য্য নাইরে ভাই
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:১০
নিশাত তাসনিম বলেছেন: ঠিক আছে ভাই কোন সমস্যা নেই।
১৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
মুদ্দাকির বলেছেন: আপনিতো দেখি উসিলা দেখিয়ে সায়িদির মুক্তি চেয়ে ফেললেন, উপায়ো দেখিয়ে দিলেন, আমার কোন সমস্যা নাই , উনি আসলেই খারাপ কিনা তা নিয়ে আমি কনফিউজড!!!!! কিন্তু শামীম ওসমান যে খারাপ লোক আর নাসিম ওয়সমানোযে খারাপ লোক ছিল তা নিয়া তো মনে হয় কারো কনফিউশন থাকার কথা না!!!! উনাদের প্রতি প্রধান মন্ত্রী, স্পিকার, প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্যদের এত দরদের একটা অনুসন্ধান হওয়া উচিৎ নাকি বলেন ????
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৯
নিশাত তাসনিম বলেছেন: মুদ্দাকির ভাই আমি কি বলছি আপনে বুঝেননি আমি বলছি
মাননীয় মন্ত্রী, সরকার এবং চেতনাবাজদের কাছে আমি আবারো সবিনয়ে জানতে চাই ৭১ এর মানবতা বিরোধিতার সরাসরি জড়িত থাকা প্রমাণিত হওয়ার পরও উন্নয়নের দোহায় দিয়ে তাদের পরিচালিত ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়া যদি বৈধ হয় তাহলে টাকার বিনিময়ে সাইদী কেও কি আপনারা মুক্তি দিবেন? যেখানে তার জন্য শতাধিক মানুষ প্রাণ দিয়েছে সেখানে জামাত তাকে বাঁচাতে তাদের মোট অর্থের ১ তৃতীয়াংশ দিতে রাজি আছে বলে আমার মনে হয়। শুধু তাই নয় সাইদী জামাতের কাছে এতই মূল্যবান যে তাকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে আপনারা যা চাইবেন তাই পাবেন। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে রাজাকারদের টাকা নেওয়া বৈধ হলে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে টাকার বিনিময়ে অন্য এক রাজাকারকে মুক্তি দেওয়া কেন বৈধ হবেনা ?
কি বলতে চেয়েছি বুঝেন। কে ভালো লোক কে খারাপ আল্লাহই ভালো জানেন। একদিকে মানবতা বিরোধি অপরাধের সাথে জড়িতদের সাথে টাকার বিনিময়ে সম্পর্ক করবেন অন্য দিকে তাদের বিচার করবেন। এটা কেমন কথা।
আমি তাই বলতে চেয়েছি।
১৯| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৭
প্রুফরিডার বলেছেন: ক্ষমতা, শুধুই ক্ষমতা, কেবলমাত্র একমাত্র ক্ষমতাচর্চাই যখন কোন রাজনৈতিক দলের একমাত্র উদ্যেশ্য হয়ে উঠে তখন তার সাধ-সাধ্যের সর্বোচ্চ প্রয়োগ হবে ব্যাক্তি-গুষ্ঠি-স্বার্থের বিরোধীমত ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দমনে।
প্রয়োজনে সহযোগি যে কোন শক্তিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যাবহারে এতটুকুন বিচলিত হবে না হোক সেটা আইনের ধারায় কিংবা কেতাবি আইনের প্রতি অবজ্ঞা দেখিয়ে।
এখন আসি কাজের কথায়, আইন দিয়ে প্রকাশ্য সব প্রতিবাদের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া যেতেই পারে কিন্তু মনের ঘৃনার বিষক্রিয়া থেকে রক্ষা পাবে কি করে?
০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৫২
নিশাত তাসনিম বলেছেন: আমার মনে হয় সে মনের ঘৃণার বিষক্রিয়ার বিস্ফোরণ এতই মারাত্মক হবে যে সে বিস্ফোরণ থেকে বাঁচার সাধ্য কারো নাই।
২০| ০৯ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: মাফ করবেন আমায় প্রিয় ব্লগার। পোস্টটা দেখেছিলাম বেশ আগেই, অথচ এতোদিনে পড়বার কিংবা মন্তব্য করবার সুযোগটুকু মিলল। আগেই বলেছি একবার ঠিক এই পোস্টটার অপেক্ষাতেই ছিলাম। পোস্টের প্রতিটা পয়েন্টে আমার সহ প্রতিটা বাংলাদেশীর মনের কথাগুলো উঠে এসেছে। সময়োপযোগী পোস্ট, প্লাসযোগ্য, পোস্টে সাধুবাদ, ব্লগারকে সাধুবাদ শুভকামনা, হেন তেন বলে আপনার এই বৃহৎ এবং অর্থবহ এবং আমার মনের কথাগুলোর সর্বাঙ্গীণ সুন্দর এবং যৌক্তিক বহিঃপ্রকাশকে খাটো করার মত ধৃষ্টটা দেখাচ্ছিনা, তারচেয়ে বরং পোস্টের মর্মার্থে চলে যাই... আর হ্যাঁ অবশ্যই প্রিয়তে।
এবারে পোস্টের পয়েন্ট গুলোয় আসা যাক...
১// আমরা কি নিরাপত্তাহীনতার ঘেরাটোপে আটকে যাচ্ছি কিনা তা অবশ্যই একটা স্বাধীন এবং আপাত দৃষ্টিতে নিরাপদ দেশের জনগন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তবে আমাদের সৌভাগ্যই বলতে হবে, যে জনগণের বেডরুমের নিরাপত্তা দেয়ার ব্যাপার সেপার নিয়া চিন্তাভাবনা করার মত সময় আমাদের বিজি সরকারের নাই এবং উহা তাদের নির্বাচনী ইশতেহারেও অলিখিতভাবে সত্য! তারচেয়ে বরং ফিতা কর্তন এবং মোড়ক উন্মোচন গুরুত্ব পূর্ণ প্রোগ্রাম শিডিউল হতে পারে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী এবি সিদ্দিককে কে/কারা উদ্ধার করলো? প্রশাসনের ভূমিকা কি? নাকি তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এবং তাই তিনি ফিরে এসেছেন-মিডিয়ার এসব সংবাদ কে আপনি চিন্তাতীত বিভ্রান্তিকর বলছেন, কিন্তু আপনি ভেবে কি দেখননি যে প্রশাসন এবং হলুদ মিডিয়ার লেজ কোথায় কোথায় বাঁধা?
আপনি প্রশ্ন বলছেন কানা-খোঁড়া-বোবা-কালা প্রশাসন যন্ত্রের চাকা যেসব হাতে ঘুরছে সেসব হাতের কাছে জনগন আর কিবা আশা করতে পারে! এবং একটি সভ্যদেশে, গণতান্ত্রিক দেশে, স্বাধীন দেশে এভাবে গুম, হত্যা, অপহরণ আর অবিচার পাকা পোক্ত জায়গা করে নেবে-এই ঢের স্বাভাবিক!!
আপনিকি আদৌ মনেকরেন কানা-খোঁড়া-বোবা-কালা নাহোক, অন্তত হাপপেন্টুল ভোটারের ভোটের গনতন্ত্রে এর চাইতে বেশি কিছু আশা করাটা আমাদের জন্য সমীচীন?? আপনিকি মনে করেন মরচে পড়া ওই প্রশাসন যন্ত্রের চাকার বেয়রিং অদূর ভবিষ্যতে ঘোড়াটা সম্ভব কংক্রিট সম দৃঢ় বজ্র মুষ্টি তলে, ব্লগারের হাত ছোঁয়ানো রূপোর কাঠির বলে?
আপনি বলছেন, সিদ্দিক সাহেব ফিরে আসাতেই আমাদের যাবতীয় উৎকন্ঠা ফুরিয়ে যায় না, বরং আমাদের দায়িত্বশীলতা বোধ করি আরও বেড়ে যায়। আমরা, দেশের সর্বসাধারণ নিরাপদ জীবন-মৃত্যু'র নিশ্চয়তা চাই। মানবিকতায় বাসযোগ্য বিশ্বস্ততা চাই।
আপনিকি শোনেননি, তার বা তাদের জন্য সুশীল সমাজের আহাজারি, প্রেস কনফারেন্সে বিশিষ্ট নাগরিকেরা ব্যানারে উদ্বেগ প্রকাশ। আপনিকি শোনেননি, সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন অবস্থায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি...... আবেদন জানাচ্ছি, তারা যেন আমাদের বন্ধু আবু বকর সিদ্দিককে অক্ষত অবস্থায় নিরাপদভাবে ফিরিয়ে দেয়’ ......
অতএব, ওসব নিরাপদ জীবন-মৃত্যু'র নিশ্চয়তা কিংবা মানবিকতায় বাসযোগ্য বিশ্বস্ততা কার কাছে চাইছেন আপনি? বরং এভাবে বলুন, "অতঃপর হে সুশীল সমাজ ! হে উদ্বিগ্ন এরিস্ট্রোক্র্যাট চিন্তিত তাপস পাল ! হে উদ্বিগ্ন চিন্তামণি নাগরিকবৃন্দ ! হে প্রতিনিয়ত গনতন্ত্র পেয়ালায় গুলিয়ে খাওয়ানো মানবাধিকার চর্চাকারী ! হে দেশের ভন্ড কর্পোরেট দেশপ্রেম বিক্রেতা ! হে মানববন্ধনের নিরলস কারিগর !
প্রতিদিন গুম হয়ে যাওয়া ,অতঃপর কোনো নদীর পাড়ে বা মাঝনদীতে ভেসে ওঠা লাশ তোমাদের বন্ধুর নয় বলে তোমরা তাদের গুম-হত্যা হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত হওনা ? যারা গুম হয়ে যাচ্ছে , তাদের কি পরিবার নেই , তাদের কি চিৎকার করে কান্না করা স্ত্রী–সন্তান-বাবা-মা নেই ? তারা ক্ষমতাবান নয় ,তাদের তোমাদের মতন শক্তিশালী বন্ধু নেই , তারা ফজলুল হক আমীনি বা রিজওয়ানা হাসান নয় - তাই বলে কি তাদের বেঁচে থাকার , নিরাপদে ঘরে ফিরে আসার অধিকার নেই ? তোমার কন্ঠ কেন নির্জীব শোনায় সেই সব হারিয়ে যাওয়া মানুষের বেলায় ?
তবে শুনে রাখো হে সুশীল , যেহেতু তোমরা সাধারনের জন্য না – তোমাদের এই সিলেক্টিভ মানবাধিকার চর্চায় আমি ‘খাড়ায়া মুতি’ ! এবং জেনে রাখো , শুধু আমি না , এইসব ভন্ডামি দেখে তোমরা বাদে বাংলাদেশের ভিক্টিম প্রতিটি পরিবার সেই একই কাজটা তোমাদের উপর করে । চোখ খুললে দেখতে পেতে , নাক থাকলে তোমাদের শরীরে সেই গন্ধটা টের পেতে ।"
২// আপনি দেখাচ্ছেন, ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে প্রায় ৩০০ ব্যক্তিকে হত্যা, গুম ও অপহরণ করা হয়েছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলছে " গুমের সংখ্যার আনুপাতিক হার নারায়ণগঞ্জকে বছরের তুলনায় কম, গুম নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।" প্রশ্ন তুলছেন, দিনে কমপক্ষে কত জন গুম হওয়ার পর খুন হলে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়েরা চিন্তিত হবেন?
আপনিকি জানেননা, গুম শিল্পের রাজনীতিতে বাৎসরিক "গুমের আনুপাতিক হার" এবং তদ সংলগ্ন স্ট্যাটিসটিক্স এবং খতিয়ানসমূহ গুরু তাৎপর্য বহ জিনিস এবং একজন রিজওয়ানা হাসানের মত বন্ধুপ্রবরের প্রয়োজনীয়তা অসামান্য!!?
৩// মার্চ মাসে লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গাওয়ার জন্য জন্য ইসলামী ব্যাংক থেকে ৮০ লাখ টাকা গ্রহণ করে সরকার। পরে তীব্র প্রতিবাদ, সমালোচনা ও নিন্দার মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে সে টাকা সরকার ফিরিয়ে দিলেও এপ্রিল মাসের শেষে এসে আবারো ইসলামী ব্যাংক এর টাকার টকা লোভে পড়ে সরকার। আর এখন আবার পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য ২০০০ কোটি টাকা ইসলামী ব্যাংক থেকে নিচ্ছে সরকার। টকা দিলে রাজাকারকে মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্র বিতরণ করা হয়। সে আর নতুন কি?
অতএব নগদ-নারায়ণ প্রদান করলে সরকার শুকরের গন্ধ যুক্ত মেশসাবকদের শুধু সাধারণ ক্ষমাই ঘোষনা করবেন না উপরন্তু লিঙ্গান্তর করে পুষ্প-পদ্ম সহ দলেও ভেড়াবেন!
মাননীয় মন্ত্রীর কাছে আপনি সবিয়ে জানতে চাচ্ছেন, জামাত নেতা দেওয়ার দেলোয়ার হোসেন সাইদীর ফাঁসি সহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি কি টাকার বিনিময়ে মওকুপ করে দিবেন ?
আপনিকি মনে করেন আপনার এই প্রশ্ন মন্ত্রিসাহেব আদতে কানে তুলবেন? যেখানে এখন শুকরবৎস কিংবা তার গন্ধযুক্ত মেষ সাবকে ভালো হালচাষ সম্ভব
২৯০ কোটি ডলারে (২২০০০ কোটি টাকা) ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণে মূল অর্থ যোগানদাতা বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি)ও ছিল। যাদের সম্ভাব্য অনুদান এর পরিমাণ ছিল ছিল ১৪ কোটি ডলার। আইডিবির ১৪ কোটি ডলারের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার কোটি টাকার কোনো সম্পর্ক আছে কি না- তা আপনি মন্ত্রীমহোদয়ের জবান থেকে শুনতে চান এরপরেও?
ভুলে গেছেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক(এডিবি) র বক্তব্য?
“ADB and the WB follow similar policies, rules and procedures on governance and fiduciary oversight. However, given the importance of the project to the country and the region, ADB also deeply regretted that both parties were unable to reach a workable agreement to move the operation forward.”
"We urged the authorities of Bangladesh to investigate this matter fully and, where justified, prosecute those responsible for corruption. We did so because we hoped the government would give the matter the serious attention it warrants.
ভুলে গেছেন জুনে্র সোমবার প্রকাশিত জাপানি ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন এজেন্সি (জাইকা)র বক্তব্য...
“The situation is very much regrettable in spite of the efforts between the government of Bangladesh and the World Bank. We will consider our position to the project [Padma bridge] after consultation with the Japanese government, referring to the other co-financers positions,” the philanthropic arm of the Japanese government said in an email when contacted by The Independent.
ভুলে গেছেন আইডিবির ১৪০ মিলিয়ন বাতিলের বক্তব্য...
The ADB had pledged a $615-million loan for the construction of the bridge. JICA and Islamic Development Bank had also signed separate agreements with the government to lend $400 million and $140 million, respectively, for the project.All are canceled due to the govt's tolerance to it's minister's serious corruption upholding all signs with SNC-Lavalin"
ভুলে গেছেন গত জুন ২৫-২৬ এ ওয়াশিংটনের সব হেক্টিক মিটিং এর সিরিজ এর বক্তব্য সমূহ...
"The World Bank has credible evidence corroborated by a variety of sources which points to a high-level corruption conspiracy among Bangladeshi government officials, SNC-Lavalin executives and private individuals in connection with the Padma Multipurpose Bridge Project,"
কিংবা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ইন্টিগ্রিটি ভাইস প্রেসিডেন্টের চোখে আঙ্গুল দেয়া গোপন নথির বক্তব্য?
"Because we recognise the importance of the bridge for the development of Bangladesh and the region, we nonetheless proposed to proceed with an alternative, turnkey-style implementation approach to the project provided the government took serious actions against the high-level corruption we had unearthed. It would be irresponsible of the WB not to press for action on these threats to good governance and development.
The report is believed to contain allegations by eleven confidential witnesses against the company.6 Abul Hossain has countered that these allegations were made up by companies angry that they had been rejected by the technical evaluation committee. He contends that there was no conflict of interest in the participation of SAHCO, as he had resigned as managing director of the company. In February 2012, Bangladesh’s Anti-Corruption Commission (ACC) completed its own investigation into the allegations and concluded that there had been no wrong doing"
ভুলে গেছেন, গত সেপ্টেম্বরের শেষে দুদকের নির্লজ্জ রিপোর্ট আর প্রশাসনের ইঙ্গিতপূর্ণ নির্লিপ্ততার পরে বিশ্ব ব্যাংকের চূড়ান্ত বক্তব্য?
"In light of the inadequate response by the Government of Bangladesh, the WB has decided to cancel its $1.2 billion IDA credit in support of the Padma Multipurpose Bridge project, effective immediately,"
না ভুলে থাকলে এটুকুও ভুলবেন না, আশা করি... "টাকা" যখন প্রশ্ন তখন রাজাকারের শিশ্ন মুখে তোলাও সরকারের গণতন্ত্র চর্চার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের একটা বিশেষ পর্যায়ের মধ্যেই পড়ে!
৪// বলছেন, রানা প্লাজার মর্মান্তিক দুর্ঘটনার এক বছর পার হয়ে গেলো নিহত ও আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের কি হবে তা বলা যাচ্ছেনা। এমনকি নির্ধারিত হয়নি ক্ষতিপূরণের পরিমাণও।
যদিও বলা হচ্ছে রানা প্লাজায় প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির জন্য ১৪ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ টাকা পরিমাণের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে । কিন্তু তা আদৌ তারা পাবে কিনা বুঝতে পারছেননা আর এই সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা কি পর্যাপ্ত? একজন মৃত শ্রমিকের জীবনের মূল্য কি সাড়ে চৌদ্দ লক্ষ টাকা দিয়ে নির্ধারিত হয়?
আপনি ইউরোপউদ্ভূত "টর্ট" আইনে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরন দাবী করেন? অবৈধ মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ নির্ণয়ের একটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ আয়ের বর্তমান মূল্য (discounted value of future flow of earnings), যা সারা পৃথিবীতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে সেই সার্বজনীন পন্থার কথা বলেন? কোনরকম নাম সাক্ষর দিতে জানা বকলম শ্রমিকের জন্য কি মালিক সমিতির মুখের বানীই আইন হিসেবে যথেষ্ঠ না!! তারা কি আদৌ ওই ফিউচার ফ্লো অফ আরনিং এর কথা জানবে??
শত অকাল প্রয়াত পঙ্গু-থ্যাতলানো শ্রমিকের অভিশাপ তুড়িতে উড়ায় দিয়া চারদিন আরামে নির্বিগ্নে পুলিশ হেফাজতে শুয়ে বসে কাটায়া যখন রানারা বেড়িয়ে আসে তখন আমি বা আমরা সুশীলেরা আর বিশেষ উদ্বিগ্ন হইনা! ট্রাজেডির ১ বছর পরেও যেখানে বিচারের সুরাহা হয়নি সেইখানে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক পরিবার তাদের ন্যায্য ক্ষতি পূরণ পাবে তার নিশ্চয়তা কি-এসব নিতান্তই ফালতু প্রশ্ন তারচেয়ে বরং আমরা ভুলে থাকাটাতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে শিখে গেছি শ্রেণী যুদ্ধের যে বধ্যভূমির কথা ভুলে থাকাই আরামদায়ক(!) সেগুলো।
বরং আসুননা কিবোর্ড বিপ্লবীদের এবং সুশীল এরিস্ট্রোক্রেইট-কসমোপলিটান সমাজের পক্ষ থেকে সুখী সুখী মে-দিবসের শুভেচ্ছা জানাই শ্রমিক দের । সেই শুভেচ্ছা একবেলা দশটাকায় ভাত কিনে খাওয়া শ্রমিকের কাছে পৌছুক কিংবা না পৌছুক, আমরা যে সুশীল মানবতাবাদী শ্রমিকের দাবীর পক্ষে সোচ্চার সেটুকুতো জাতি জানবে? ওই বা কম কিসে!! আর রানাপ্লাজা-স্পেকট্রাম-তাজরিনের কয়লা হওয়া অথবা থ্যাতলায়া যাওয়া লাশেরা নাহয় এইবেলা আরাম করুক , বিচার সে বহুদূরের কাল্পনিক ভবিষ্যৎ। ও নিয়ে কালক্ষেপণ অনর্থক ইমোক্ষয়েরই নামান্তর!
৫// আপনি তিস্তার ন্যায্য হিস্যার সুরাহা নিয়ে কথা বলেন?? সেগুলো নিতান্তই বেরসিক শোনায় না? ৬৫ হাজার হেক্টর জমি ফেটে চৌচির হইল,৪০ হাজার ৫০০ হেক্টরে সেচ দেয়া সম্ভব হইলো কিনা, নাকি ৮০ হাজার হেক্টরের কৃষি আবাদ অনাগত কালের জন্য অনিশ্চয়তার মুখ দেখলো নাকি তিস্তা পাড়ের হাজার হাজার কৃষকের বুকফাটা মাতম হইলো তাতে কি যায় আসে! কি যায় আসে তিস্তায় পানি কমতে কমতে ৭-৮ হাজার কিউসেক থেকে ৪-৫শ কিউসেকে ঠেকলে! তারচেয়ে আমরা বরং নগরের পানি সমস্যায় কষ্ট পাওয়া পাখিগুলোর পানির নিশয়তা নিয়া কথা বলি। আমরা যে সুশীল।।
৬// আপনি প্রশ্ন পত্র ফাঁস নিয়ে কথা বলতে চান? প্রশ্ন পত্র ফাঁস করা বন্ধ করতে বলেন? প্রশ্নপত্র ফাঁস করা মানে এদেশের মেধা গুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া বলেন? মন্ত্রী মহোদয় যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়াকে "সম্পূর্ণ গুজব" বলেছেন তা অস্বীকার করতে চান, মাননীয় মন্ত্রিমহোদয়ের বক্তব্যকে 'মিথ্যাচার' বলেন?? আপনা এতো বড় ধৃষ্টতা!!
একে-৫৭ চেনেন তো?? আইসিটি এক্টের মাখন ধারা ৫৭র কি স্বাদ টেস্ট করতে চান???
২১| ০৯ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সবশেষে একটা রিকোয়েস্ট করবো... এই অসাধারণ পোস্টটা আপনার নাম এবং ব্লগ নিক সহ আরো তিনটা বৃহৎ কমিউনিটি ব্লগে আমি শেয়ার করতে চাই... অবশ্যই যদি আপনার অনুমতি থাকে...
০৯ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২
নিশাত তাসনিম বলেছেন: অবশ্যই শেয়ার করুন। কোন সমস্যা নেই। আপনার কি কোন কিছুর জন্য আমার কাছে অনুমতি লাগবে? অনুমতি ছাড়াই যে কোন কিছু করতে পারবেন । কোন সমস্যা নেই
অন্য মন্তব্যটির জবাব পরে দিচ্ছি প্লিজ ।
২২| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৩৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমাদের সহ্যক্ষমতা কতটা তা মাঝেমধ্যে ঈশ্বর পরীক্ষা করতে চান মনে হয়। হতাশ লাগে খুব।
১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮
নিশাত তাসনিম বলেছেন:
২৩| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৩৪
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ভাল পোস্ট। ব্লগাররা এ ধরণের পোস্ট লিখে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করছেন কিন্তু যাদের হাতে সব কিছু তারা নিশ্চুপ। রাজনীতির হাতে বন্দী প্রশাসন।
একটা কথা খুব ভাল লেগেছে ''আমরা হলুদ সাংবাদিক নই। আমরা ব্লগার।''
২১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯
নিশাত তাসনিম বলেছেন:
ধন্যবাদ সপ্নাতুর আহসান ভাই।
যাদের হাতে সবকিছু তারা তো ঠকবাজ। নিশ্চুপ থাকা ছাড়া কি বলার আছে তাদের? প্রশাসন এর লোকজন রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ঢাকার বাইরে দৈনিক ১2 ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিতে পারছেনা জালেমরা। গরমে অতিষ্ঠ জনপদ।
২৪| ০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩১
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: কোথায় যে হারায় গেলেন ...
আমি নিজেও থাকতে পারিনা অবশ্য নিয়মিত !
কিন্তু যখনই আসার সুযোগ হয়, অভাববোধ করি...
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
নিশাত তাসনিম বলেছেন: এই তো চলে আসলাম । আমি একটু ব্যস্ত ছিলাম । এখনো আছি । আপনি কেমন আছেন ?
২৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: এইতো আছি আলহামদুলিল্লাহ্ ভালোই ...
তবে আপনারে মিস করি ব্লগে আসলে ...
ব্যস্ত আসলে নিজেও আমি ...
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৭
নিশাত তাসনিম বলেছেন: আমি নিজের ব্যক্তিজীবন নিয়ে একটু ব্যস্ত হয়ে পড়েছি । ক্যারিয়ারের দিকে একটু মনোনিবেশ করছি। আগে তো জীবন তারপর ব্লগ। আমিও আপনাকে মিস করছিলাম।
২৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪০
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
রাষ্ট্র যে কিভাবে কই যাচ্ছে!
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩১
নিশাত তাসনিম বলেছেন: চিন্তার বিষয় আসলেই।
২৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৫১
রাগিব নিযাম বলেছেন: আপনি দেখি পুরো অপরাধ চিত্রের সালতামামি তুলে ধরেছেন।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪০
নিশাত তাসনিম বলেছেন: কিন্তু কোন লাভ তো হলোনা । আমরা নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ নই । অন্যায়ের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিবাদ সময়ের দাবী ।
২৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫২
এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১
নিশাত তাসনিম বলেছেন: আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা এহসান ভাই ।
২৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৫২
এহসান সাবির বলেছেন: এবার কুরবানী ঈদের শুভেচ্ছা
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৭
নিশাত তাসনিম বলেছেন: আমি অত্যন্ত দুঃখিত দেরিতে জবাব দেওয়ার জন্য। আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০১৪ রাত ৯:০৯
দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: নারে ভাই আমদের সরকার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সরকার। তাদের কাছে খুন,গুম,রাহাজানি,ধর্ষণ মামুলি ব্যাপার। সুতুরাং জনগণ বাঁচুক আর মরুক তাদের কিছু যায় আসে না। তারা ভারত কেউ সমর্থন করবে এটাই স্বাভাবিক।