নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ তাসনিম (নিশাত)

হে নির্লজ্জ ভারত ক্রিকেট আমাদের প্রাণ। এটি হত্যা করার দুঃসাহস দেখাবেনা।

নিশাত তাসনিম

ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/mohammed.tasnim.39

নিশাত তাসনিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন হে সুশীল একটু শিষ্টাচার শিখিয়ে যান ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩২

আজকাল সুশীলদের লিখার অন্যতম প্রধান বিষয়বস্তু হলো শিষ্টাচার। সুপ্রিয় সুশীল মহোদয় গন আজকাল বিরোধী মতের সবাইকেই কথায় কথায় শিষ্টাচার শিখান।



আবার পড়ুন বিরোধী মতের সবাইকেই ।



আমি অবাক হয়ে যাই আমাদের দেশের রত্ন সুশীলদের একপক্ষীয় শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়ার মানসিকতা দেখে। সুশীলগন সম্প্রতি শিষ্টাচার গেলো বলে সবচেয়ে বেশি মায়া কেঁদেছেন যেদিন আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে প্রধান মন্ত্রীর সাথে খালেদা জিয়া দেখা করেন নি সেদিন থেকে।



এরা এমন দলকানা সুশীল যে একজন মন্ত্রী (সমাজকল্যাণ মন্ত্রী) প্রকাশ্যে একটি সভ্য জায়গায় মিডিয়ার সামনে ধূমপান করলেও শিষ্টাচার বহির্ভুত আচরণ বলে মনে হয়না উনাদের কাছে।



পরীক্ষা না দিয়েও এ + পাওয়ার নজির বিহীন ঘটনা ঘটার পরও এদের মুখ দিয়ে কোন কথা বের হয়না। বরং উনারা অপেক্ষা করে বসে থাকেন কখন ভিন্ন মতের কেউ শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করবেন আর তা নিয়ে ফেসবুকের হোম পেজে আগুন লাগাবেন।



একজন মায়ের কাছ থেকে তার কলিজার টুকরা ছেলেদের ৭ বছর দূরে সরিয়ে রাখলে এরা চুপ করে বসে থাকে । আর যখন মায়ের কোলে মাথা রাখার স্বপ্ন নিয়ে বসে থাকা দুই ছেলের মধ্য থেকে একজনের লাশ তার মায়ের কাছে ফিরে আসার পর শোকে পাথরের মতো হয়ে যাওয়া মায়ের অভিমানী আচরণ এদের শিষ্টাচারানুভূতিতে বড়ই আঘাত করে।



আহ শিষ্টাচারের কি অসাধারণ বহিঃপ্রকাশ ! আসুন হে সুশীল আমায় এমন কিছু শিষ্টাচারের শিক্ষা দিয়ে যান।



বাংলাদেশের মেয়ে ফেলানীকে নির্মম ভাবে হত্যা করে কাঁটাতারে লাশ ঝুলিয়ে রাখা এবং বাংলাদেশের যুবক হাবিবকে নেংটা করে পিটানোর পরও সরকারের নির্দেশে বি জি বির নির্লজ্জ নীরব আচরণে এদের সুশীলানুভূতিতে কোন আঘাত লাগেনা। কিন্তু সরকারের দলীয় ক্যাডার হয়ে বিরোধী পক্ষের আন্দোলন ঠেকাতে যখন কোন বি জি বি সদস্য সামান্য হোঁচট ও খায় তখন এ সুশীলগন শিষ্টাচার শিষ্টাচার বলে কান্নাকাটি করে।



বিরোধী দলের অবরোধ এদের কাছে শিষ্টাচার বহির্ভূত মনে হয় কিন্তু যখন পেট্রোল বোমা সহ ছাত্রলীগের ক্যাডাররা হাতে নাতে ধরা খায় এরা চুপ করে থাকে।



এস এস সি পরীক্ষার্থীদের জন্য কাঁদতে কাঁদতে এদের চোখের জল শুকিয়ে যাচ্ছে । কিন্তু পরীক্ষা না দিয়েও এ + পাওয়ার মতো ঘটনা ঘটার পর , গণহারে সবাইকে এ + দেওয়ার পর , এবং সরকারী নেতার ছাত্রলীগে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলেই বি সি এস ক্যাডার বানানোর নিশ্চয়তা দেওয়ার পরও যখন এদের জিজ্ঞেস করা হয় ওহে শিষ্টাচার কোথায় তখন এরা হাম্বা হাম্বা করে উঠে এবং সর্বশেষ ছাগু ট্যাগ লাগায় ।



আর আমি বুঝতে পারি এরা সুশীল নয় এরা একটা একটা আওয়ামীলীগ যারা সুশীলতার মুখোশ পরে ভণ্ডামি করছে। আসুন আওয়ামী থুক্কু সুশীল আমায় একটু শিষ্টাচার শিক্ষা দিন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বেঁচে থাকতে চাই ভালোবাসার মাঝে।
দলীয় দ্বন্দ্ব কাম্য নয়।
সৌহার্দ চাই। পহ্মপাতদুষ্ট সমাজ নয়।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

নিশাত তাসনিম বলেছেন: একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে পক্ষ নেওয়ার অধিকার এদেশের সব মানুষের আছে। কিন্তু পক্ষপাত দুষ্ট আচরন সত্যি নিন্দাজনক।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

মিতক্ষরা বলেছেন: কি জঘন্য এইসব কথিত বুদ্ধিজীবীরা।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০০

নিশাত তাসনিম বলেছেন: ভুল করছেন । ওরা বুদ্ধিজীবী নয় ওরা আওয়ামীলীগ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.