নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাগরণ & বিনোদন (গল্প)

নিশি চৌধুরী

স্বাধীনচেতা ও বিনোদন প্রিয়

নিশি চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ বলতে হয় না।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪১

*** বলতে হয় না ***
.
> কিরে আরিফ, সারাদিন তিথির
সাথে এত কিসের কথা হুহ?
- তাতে তোর কি?
> আমার কি মানে! আমারই তো সব।
- মানে?
> তুই বুঝবি না। আর কোনো দিন যদি
দেখেছি দাত সব ফালাই দিব।
কথাটা বলেই চলে গেল প্রিয়া।
.
> কিরে তুই বলে কাল রাত ১০টায় ঘরে
ঢুকছিলি কেন? সারারাত কই ছিলি?
- কে বলছে?
> আমি সব খবর রাখি। আগে উত্তর দে।
- একটু আড্ডা দিলাম।
> আর কখনোই দিবি না। কেমন?
- সেটা আমার ইচ্ছা।
> তোর ইচ্ছা মানে? দাত সব গুলো
ফালাই দিমু। আর রাতে আড্ডা দিবি
না।
চলে গেল। আরিফ মনে মনে হাসে।
.
> কিরে তুই ইদানিং কলেজে আসোস
না কেন? শরীর খারাপ?
- আরে নাহ! এমনেই আসি না।
> সামনে থেকে যেন এমন না হয়।
- আমি না আসলে তোর কি?
> তোকে না দেখলে মন ভাল থাকে
না।
- মানে কি?
> এত্তো কথা কেন বলছ? যা বলছি তা
করবি।
.
প্রিয়া পার্কে বসে আছে আর ভাবছে
আরিফ কেন সব বুঝে না? নাকি বুঝেও
না বুঝার ভান করে। বুঝে থাকলে কেন
কষ্ট দিচ্ছে? কেন তার হাতটা ধরছে
না?
.
- কিরে এখানে কি?
হঠাত্ পরিচিত কণ্ঠ শুনে চমকিত হয়ে
পেছনে ফিরে আরিফকে দেখে আবার
ফিরে গেল।
- কিরে চুপ কেন? আর এখানে কি?
> কেন এখানে আসতে নিষেধ আছে
নাকি?
- তা নেই। কিন্তু আগে কখনো দেখিনি
তো তাই জিজ্ঞেস করলাম।
> আজ মন একটু খা… (তখনই তিথি হাজির)
.
তিঃ কিরে তোরা এখানে?
- আরে তুই এখানে?
তিথিকে দেখে আরিফের মুখের উজ্জল
হাসি ফুটে উঠল। সেই হাসি প্রিয়ার
কাছে অসহ্যকর লাগল।
তিঃ একটু ঘুরতে আসলাম।
- আমিও (প্রিয়া থামিয়ে দেয়)
> আমরাও ঘুরতে এসেছি।
বলেই প্রিয়া আরিফের হাত ধরে
ফেলল। এই প্রথম প্রিয়া তার হাত ধরল।
তিথি বুঝল যে সে কাবাবের মধ্যে
হাড্ডি হচ্ছে। তাই বাই বলে চলে গেল।
.
কিছুক্ষণ নিরব থাকে দুজনেই। তারপর
> তিথিকে তুই ডাকছোছ?
- আমি কেন ডাকতে যাব!
> তাহলে ওকে দেখে দাত কেলিয়ে
হাসি দিলি কেন?
- অনেক দিন পর দেখলাম তাই।
> এই হাসি তো কখনো আমি আমার জন্য
দেখি নাই!
কথাটা বলেই থমকে গেল প্রিয়া।
আরিফও কিছুটা বিচলিত হয়ে গেল।
দুজনেই নিশ্চুপ।
.
প্রিয়া আবার বলল
> এই তুই চুপ কেন?
- তুইও তো চুপ তাই।
> আর কখনো তিথিকে দেখে ওমন দাত
কেলিয়ে হাসবি না।
- হাসলে দোষের কি?
> হাসবি তবে আমার জন্য।
- তুই আমার কে যে তোর জন্য হাসবো?
> তিথি তোর কি লাগে যে ওর জন্য
হাসবি হুহ! (রেগে)
- এত্তো jealous কেন?
> ফ্রেন্ড তাই।
- অন্য কেউ তো এমন করে না।
> অন্যকেউ কেন করবে?
- তুই কেন করিস?
.
প্রিয়া কিছু না বলে আরিফের দিকে
নিশ্চুপ ভাবে তাকিয়ে থাকে। আরিফ
দেখলো প্রিয়ার চোখ টলমল করছে। মনে
হয় এখনই কেদে দিবে। তাই আরিফ কিছু
না বলে চুপ থাকল। দুজনেই নিশ্চুপ হয়ে
বসে থাকে।
.
কিছুক্ষণ পর
> তুই বুঝি কিছুই বুঝিস না?
- কিভাবে বুঝবো আমি তো অবুঝ
পাখি।
> অবুঝ পাখি না। তুই বাবুই পাখি আমার
বাবুই পাখি।
- জানি
> সেইজন্যেই তিথিকে দেখে দাত
৩২টা বের করে হাসোস?
- তো কি করবো?
> আমার জন্য হাসবি। ওর জন্য না।
- কেন?
> সব বলতে হয় না।
.
আরিফ কিছু না বলে প্রিয়ার কাধে
মাথা রাখল। প্রিয়াও সাই দিল।
পার্কের বেঞ্চে দুজনেই নিশ্চুপে বসে
সছে। দেখছে চলমান নদীর স্রোত।
.
ঠিকই তো সব কিছু বলতে হয় না।
.
নিশি চৌধুরী

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.