আমার স্বাধীনতা

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭

কিছু মানুষ যাদের আমি খুব ছোটবেলা থেকেই আমার চারপাশে দেখে আসছি। অমায়িক সম্পর্কের মুখোশ পরে আছে।অথচ তাদের ভিতরে প্রতিহিংসার কালো ছায়া।একে অন্যের ক্ষতি করার জন্য ভয়ঙ্কর সব নীল নকশা।কি করে মানুষ পারে এমন হাসিমুখের আড়ালে এত হিংসা লুকিয়ে রাখতে। আর আমি বোকার মত সেই প্রতিহিংসার কালো গর্তেই পা হড়কালাম।তাদের নোংরা খেলার অংশ হয়ে গেলাম নিজের অজান্তেই।যখন চিনতে পারলাম ঐ অমায়িক মুখের পিছনের কালো ছায়া ঘেন্না হল খুব।অবাক হয়েছিলাম। ভীষণ অবাক।কেন করলো তারা এমন!! কি লাভ হল এতে!! কিছু সমীকরণ এর উত্তর মিলে যাওয়ার পর বুঝলাম এই পৃথিবীতে এক বোকার হদ্দ আমি। তাদের এই খেলায় আমার কোন ক্ষতি হয় নি।কেবল মানুষের উপরে বিশ্বাস হারালাম।
আমি নিজেও খুব ভালো মানুষ না তবে নিজ থেকে কারও ক্ষতি করি নি।আমার হিসেবে যে আমার কাছে খারাপ তাকে এড়িয়ে গেছি।কি লাভ অন্যের ক্ষতি করে। সৃষ্টিকর্তা নিজেই তাকে পাপের শাস্তি দিবে। আমার কাছে মানসিক শান্তি টাই সবচেয়ে মূল্যবান।মনে হিংসা নিয়ে আর যাই হোক শান্তিতে থাকা যায় না।যত দোষ এই বুদ্ধির । এটা না থাকলে তো বেশ বোকা হয়েই ভালো ছিলাম। আর এখন নির্বিকার হয়ে সব মুখোশ মানব দেখি।আমাকে বলা হয়েছিল এই তোমার সীমানা । যা করবে এর ভিতরে থেকেই করতে হবে। স্বপ্নও দেখবে এই সীমানার ভিতর।কিন্তু সীমানার বাহিরের জগৎ টা আমার দেখতে ইচ্ছে হল।মনে প্রশ্ন জাগলো এই সীমানার বাহিরে আমি কেন যেতে পারব না । সেই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে আমি সীমানা ছাড়িয়ে বাহিরে বেরিয়ে এলাম। পিছনে অনেকে ভয় দেখালো, ব্যাঙ্গ করলো,উপহাস করলো। তখন আবারো সেই “কেন ” এসে জুড়ে বসলো আমার মনে। কেন এই মানুষগুলোর কথা আমাকে শুনতে হবে ? এইসব অর্থহীন কথায় আমার তো কিছুই যায় আসে না !! তারপর থেকে আমার জীবনে ঐ মানুষগুলোর কোন অস্তিত্ব নেই।আমার জন্য কোন সীমানা নেই। আমি সীমাহীন স্বাধীনতায় স্বপ্ন দেখব। স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে আকুল হয়ে কাঁদবো । তারপর আবারো ঘুরে দাড়িয়ে স্বপ্ন দেখব।আমার সৃষ্টিকর্তা যেখানে আমাকে দিয়েছেন সীমাহীন স্বাধীন আকাশ সেখানে ঠুনকো কিছু প্রথা কি করে আমাকে রুখবে।

২ টি +২/-০