![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহানবী (সা.) যা বলে গেছেন ঠিক সেভাবে দেশকে পরিচালিত করবো আমরা। তিনি আরও বলেন, মদিনা সনদ অনুযায়ীই দেশ চলবে।
প্রথমেই বলবো,যারা মদিনা সনদের সাথে আজকের পৃথিবীর ধর্মনিরপেক্ষতার মধ্য মিল পান তাঁরা আসলে ইসলামের সাথে বর্তমান কালিক বিশ্ব রাজনৈতিক অবস্থানের সাথে আপোষ করে একটি ভিন্ন ধরণে ইসলামের সংস্করণ চালু করতে চাচ্ছেন। ইসলামের মূল মন্ত্র হচ্ছে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ”!! সোজা কথায় আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নাই, মানে কোন মার্ক্স এঙ্গেল নাই, আব্রাহাম, ওয়াশিংটন নাই। রাজা নাই, বাদশাহ নাই, জমিদার নাই, বস নাই, ভয় নাই—– নাই নাই নাই!!! কোন মানব রচিত তন্ত্র মন্ত্র মতবাদ নাই নাই নাই!!! অতএব কেউ যদি মুখে সাক্ষ্য দেয় যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আরও স্বীকার করে মুহাম্মদর রাসুল আল্লাহ তাঁর মানে সে আর কোন নেতা পেতাকে মুক্তির দিশারী ভাবলে আমি মনে করি তা এই স্বীকার উক্তি আসলে কথার কথা মাত্র, তাতে কোন প্রত্যয় নেই।
যারা মদিনা সনদকে ধর্মনিরপেক্ষতা বলে ভাবেন তারা আসলে বাস্তব সত্য জানেন না বা জেনেও সেই বাস্তবতা মেনে নিতে পারেন না। মদিনা সনদ বা সমঝোতা কখনও ধর্মনিরপেক্ষতা ছিলনা। কারণ সে সনদে পৌত্তলিকদের সাথে কোন সমঝোতা হয়নি। পৌত্তলিকদের সেই সনদেও ঘৃণা করা হয়েছে। সনদটি ছিল এক আল্লাহতে বিশ্বাসী ধর্মীয়দের সহ অবস্থানের চেষ্টা মাত্র। মদিনা সনদে শুধু মাত্র এক আল্লাহতে বিশ্বাসী ধর্ম গোত্রকে তাদের ধর্ম কর্ম তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী চালিয়ে যাবার স্বাধীনতা দিয়েছিল তেমনি এক আল্লাহয় বিশ্বাসী ধর্ম অন্য এক আল্লাহয় বিশ্বাসী ধর্মের প্রতি কোন প্রকার বৈরী প্রচারণা চালাতে নিষেধও করেছিল। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী মদিনার ইহুদিরা সে সমঝোতাকে সম্মান করে নাই যার ফলে মুসলিম ইহুদী সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। মদিনা সনদে রাসুল সাঃ কে সর্বময় চুড়ান্ত ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। উনার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে সমঝোতা হয়েছিল।
এই বার আমরা মহানবী (সা.) যা বলে গেছেন তার কিছু উদ্ধৃতি করবো যা অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হতে পারে-
হাদীছ শরীফ-এ আছে- "যখন রাসুল (সাঃ) এর কাছে খবর পৌছাল যে পারসিয়ান রা খসরুর মেয়েকে তাদের রুলার হিসাবে নির্বাচিত করেছে তখন তিনি (রাসুল) বলেছিলেন, যে জাতি তাদের রাষ্ট্রের কতৃত্ব একজন মহিলার হাতে দেয় তারা কখন উন্নতি করতে পারে না"। (বুখারী শরিফ)
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “সেই ক্বওম কখনোই কল্যাণ লাভ করবে না যে ক্বওমের প্রধান হবে মহিলা।” (বুখারী শরীফ)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “যখন তোমাদের শাসনভার মহিলাদের উপর ন্যস্ত হয় তখন যমীনের উপরিভাগ থেকে যমীনের তলভাগ তোমাদের জন্য উত্তম। অর্থাৎ বেঁচে থাকার চেয়ে মারা যাওয়াই ভাল।” (তিরমিযী শরীফ)
তাহলে মদিনা সনদ ও মহানবীর কথা অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করতে হলে সর্বপ্রথম কোন কাজটি করতে হবে বলে আপনারা মনে করেন? আর বাংলায়ও কিছু পৌত্তলিক হিন্দু আছে। মদিনা সনদ অনুযায়ী এদেরকে কি করা হতে পারে বলে আপনি মনে করেন???
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
মেহেদী হাসান '' বলেছেন: যারা মদিনা সনদকে ধর্মনিরপেক্ষতা বলে ভাবেন তারা আসলে বাস্তব সত্য জানেন না বা জেনেও সেই বাস্তবতা মেনে নিতে পারেন না। ++