নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এন সি নীল

মানুষ হবার প্রচেষ্টায়

নীলমেঘ আমি

nu

নীলমেঘ আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দু বালিকা ধর্ষণ ও ধর্মান্তরের প্রতীবাদে ঢাকায় মানববন্ধন।

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৪৩

“ক্লাস ফাইভে এ প্লাস পেয়েছিলো মেয়েটি। দুর্ভাগ্যবশত সে জন্মগত ভাবে হিন্দু। মেধাবী এই মেয়েটিকে গত ৬ এপ্রিল থেকে ধর্মের নামে এক দুঃসহ বর্বরতার শিকার হতে হয়। ওই দিন বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে অপহৃত হয় সে। পরে তাকে জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করে কথিত বিয়ের নামে চক্রটির এক সদস্য তাকে আটকে রেখে ৫৫ দিন ধরে ধর্ষণ করে। অবশেষে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।



চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী গ্রাম থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী থানা পুলিশ। উদ্ধারের পর থানায় সাংবাদিকদের কাছে এই বর্বর কাহিনী শোনায় ছাত্রীটি। এ সময় টঙ্গী থানা পুলিশের সঙ্গে আসা ছাত্রীটির মা-বাবা উপস্থিত ছিলেন। তবে অপহরণকারীদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

ছাত্রীটি জানায়, তার কাছে হিন্দু ধর্মই এখনো শ্রেষ্ঠ ধর্ম।



অপহরণকারীরা কোনো কাগজে স্বাক্ষর না নিয়েই পাঞ্জাবি পরা এক মোল্লা ডেকে এনে কলেমা পড়িয়ে আয়েশা বেগম নাম দেয়। যদিও কলেমা কী জিনিস এর কিছুই বুঝতে পারেনি শিশুটি। তৎক্ষণাৎ তাকে অপহরণকারী দলের এক সদস্য মানিকের সঙ্গে পাতানো বিয়ে দেওয়া হয়। ছাত্রীটির অভিযোগ, ৬ এপ্রিল অপহরণের পর ৭ এপ্রিল থেকেই তাকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেছে মানিক। এ ছাড়া অপহরণকারীদের আরো কয়েকজন তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।”



খুব অবাক হই যখন এই ধরনের কোন ঘটনা পত্রিকার পাতায় দেখতে পাই। সম্ভবত কিছু দিন পরে আবার নতুন ইস্যু আসবে হারিয়ে যাবে এই ধর্মান্তর ও ৫৫ দিনের অমানুষিক নির্যাতনের কথা গুলো। আমরাও কিছু দিন সুশীলের মত সমালোচনা করে চুপ করে যাবো আর ওদিকে আবার ধর্ষিত হবে নির্যাতিত হবে নতুন কেউ। শুধু কি আমরা ধর্ষকের শাস্তি দাবী করেই দায় সারবো? হ্যাঁ, ধর্ষকের সরবচ্চ শাস্তি আমরা দাবী করতেই পারি কিন্তু তাতেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে???



মানুষের মানবিকতার বিকাশ না ঘটলে, মানুষ বিবেক দিয়ে পরিচালিত না হলে শুধু শাস্তিই কি এগুলোর প্রতিরোধ করতে পারবে? আমাদের পারিপার্শ্বিক সমাজ, সমাজের বাস্তবতা, সমাজের ধর্ম ব্যাবস্থা, সমাজ এবং সমাজের ধর্ম থেকে সৃষ্ট দীর্ঘ দিনের পুরুষতান্ত্রিক প্রভুত্ব বিস্তারকারী মানুষিকতা কি এর জন্য দায়ী নয়? আমাদের কি আর কিছুই করার নেই ঘৃণা প্রকাশ করা ছাড়া??? এই ঘৃণা প্রকাশের মাধ্যমেও যদি মানুষের মধ্যে মানবিকতার উন্মেষ ঘটাতে পারি তাতেই আমরা সফল হব।



আগামী শুক্রবার ৭ জুন বিকাল ৪ টায় আমরা একত্রিত হব শাহবাগের জাতীয় যাদুঘরের সামনে। সেখানে মানব বন্ধনে অংশগ্রহণ করবো আমরা। না কোন একক সংগঠনের ব্যানারে নয়, না কোন জাতি ধর্মের ব্যানারে, মানুষ হিসেবে অমানুষিক এই কর্মকে ঘৃণা জানাতে আমরা ব্যাক্তিগত ভাবেই সবাই উপস্থিত থাকবো। যে যার মত প্ল্যাকার্ডে লিখে নিয়ে আসবেন মনের কথা। মানবিকতার চরম বিকাশের মাধ্যমেই মানবতার জয় হোক।

আর নয় ধর্ষণ,

জেগে উঠুক মানবতার দর্শন।



ফেসবুক পেজের লিংক

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩১

জাহি বলেছেন: হে চুচীল!
যখন,
প্রগতিশীলদের অন্তর্ভুক্ত পরিমল জয়ধর মুসলিম মেয়েদের ধর্ষন করেছিল, মোবাইলে ধারণকৃত ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে দুইবার শিকারে পরিণত করে।
তখন কিন্তু হিন্দু সমাজের দোষ হয় না... হিন্দু ধর্মের দোষ হয় না।

যখন,
প্রগতিশীলদের অন্তর্ভুক্ত অরূন চৌধুরীরা মুসলিম মেয়েদের ধর্ষন করে
তখন কিন্তু হিন্দু সমাজের দোষ হয় না... হিন্দু ধর্মের দোষ হয় না।

যখন,
তারকচন্দ্র মন্ডল, চন্দন পোদ্দারেরা মুসলিম মেয়েদের মেয়েদের ধর্ষন করে
তখন কিন্তু হিন্দু সমাজের দোষ হয় না... হিন্দু ধর্মের দোষ হয় না।

যখন মুসলিম নামধারী কোন কুলাঙ্গার এইরকম অপরাধ করে তখন চেতনা ব্যবসায়ী ও ইসলাম বিদ্ধেষীরা এই দোষ পূরা মুসলিম সমাজের উপর দিয়ে দেয়

২| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো ইভেন্ট টা দেখে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.