![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকাল নতুন এক ধরণের সহিংসতা দিন দিন বেড়েই চলছে তা হলো পুরুষাঙ্গ কর্তন। প্রায় প্রতিদিনই ভয়ঙ্কর এই সহিংসতা দেখতে পাই পত্রিকায়। এ ধরণের সহিংসতায় কেউ কেউ খুশী হলেও ব্যক্তিগতভাবে আমি আঁতকে উঠি। কোথায় যেন এক ধরণের কষ্ট ও আতঙ্ক অনুভব করি।
গতকালকে একটি সংবাদ পেলাম, খুলনার নূপুর বালা তার স্বামীর লিঙ্গটি কেটে ফেলেছেন। স্বামীর অপরাধ সে পরকীয়ায় জড়িয়েছে। স্বামীর উপর প্রতিশোধ নেবার জন্য একেবারে গোঁড়া থেকেই মুসলমানি দিয়ে ফেলেছে ঘুমন্ত নিষ্পাপ অবলা মিহির বালাকে। নূপুর নিজেই পরকীয়া করে মধুর প্রতিশোধ নিতে পারতো। অথবা এই রকম স্বামীকে ছেড়ে দিতে পারতো, কিন্তু সেগুলো না করে সহিংসতার পথ বেছে নিলো সে।
প্রকৃতপক্ষে পরকীয়া দোষের কিছু নয়, একান্ত নিজের সঙ্গী হলো আবদ্ধ কক্ষের দম বন্ধ হাওয়ার মতো অন্যদিকে একান্ত অন্য সঙ্গীরা হলো দখিণা বাতাসের মতো যা আন্দোলিত করে সমস্ত শরীর ও মনকে। আবদ্ধ হাওয়া খেতে খেতে মাঝের মধ্যে একটু দখিণা হাওয়া খারাপ কিছু নয়। তবে এই সুযোগ তো সবার পাওয়া সম্ভব নয়, যারা ঠিক মতো এই সুযোগের সদব্যবহার করতে পারে তারাই জানে ইহা কতো বড় সুবর্ণ সুযোগ। তবে যারা আবদ্ধ হাওয়ার মধ্যে থাকতে থাকতে অভ্যাস্ত হয়ে যায় তাদের কথা ভিন্ন। বেশীরভাগ মানুষই কিন্তু নিরাপদে দখিণা হাওয়া খেতে চায়, উপরের কথা গুলো নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্যই প্রযোজ্য।
যদি ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হয়, তাহলে পুরুষাঙ্গ কাঁটার সর্বোচ্চ শাস্তি কেন মৃত্যুদণ্ড হবে না? কিন্তু আপসোস, এই ব্যপারে ভিক্টিম ও অপরাধকারী দুজনকে নিয়েই হাসিঠাট্টা করে আমাদের সমাজ, আইন ও প্রশাসন। আজ পর্যন্ত আমার জানা মতে, পুরুষাঙ্গ কাঁটার সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে ২ বছরের কারাদণ্ড, এটা ২০১১ সালে হয়েছিলো যা ছিলো হাস্যকর।
পৃথিবীতে নারীর প্রতি সহিংসতার পাশাপাশি পুরুষের প্রতি সহিংসতাও বেড়েই চলছে। উন্নত বিশ্বগুলোতে এই ব্যপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখা হলেও বাংলাদেশে হাসি ঠাট্টাই করা হয়। পুরুষাঙ্গ কাঁটার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, এই ধরণের সহিংসতা কখনোই কাম্য নয়।
অবশেষে বলবো এই বিষয়ে আল্লাহ্ কোরআনে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন। আপনার স্ত্রী যদি আপনার পরকীয়ার জন্য লিঙ্গ কাঁটার হুমকি দেয় তাহলে আপনি কি করবেন তা সূরা নিসার ৬ নম্বর রুকুর ৩৪ নাম্বার আয়াতে রয়েছে। “পুরুষ নারীর কর্তা, কারণ আল্লাহ্ তাদের একের উপরে অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করো। আর যাদের (স্ত্রীদের) মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যাত্যাগ কর এবং প্রহার কর।”
সুতরং এই ধরণের নারীদের প্রথমে সদুপদেশ তারপর শয্যাত্যাগ এরপর প্রহার এমনকি পরিত্যাগ করাও শ্রেয়। মনে রাখবেন, একজন গেলে আরেকজন পাবেন কিন্তু ঐ টা একবার গেলে আর পাবেন না। বি careফুল।
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: ইসলাম ধর্মকে কোট করছেন আবার বলছেন পরকিয়া দোষের কিছু নয়? আজিব!!
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৯
গেন্না বয় বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ে মনে হচ্ছে আপনি আপনার পুরুষাঙ্গ কর্তনের আশঙ্কায় আছেন । ঘটনা কি ? করছেন কি ?
ভাল হয়ে যান, তাহলে আর পুরুষাঙ্গ কর্তনের আশঙ্কা থাকবে না।
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৮
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: এভাবে সহিংসতার পথ বেছে নেয়া মোটেও ঠিক হয়নি। পরোকিয়া বিষয়ে আমি ভুলেও সমর্থন করিনা। আবার অবাধ্য স্ত্রীকে শেষমেষ না পারলে ছেড়ে দেয়ার পক্ষেই বলবো। কিন্তু কিছুতেই এভাবে অংগহানী করে আইন হাতে তুলে নেয়ার পক্ষ অবলম্বন করতে পারিনা।
৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৪
আমায় ডেকো না বলেছেন: পরকিয়া একটি ঘৃনিত কাজ। যে বলবে এতে কোন সমস্যা নাই। বুঝতে হবে সে হয় যৌন বিকার গ্রস্হ। অথবা তার অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে, যারা চায় এ দেশ সামাজিকভাবে ভারসাম্য হীন হয়ে যাক। তাদেরকে যদি কেউ একটা প্রশ্ন করে যে -
তুমি যদি কখনও শুন, তুমি তোমার মায়ের পরকিয়া প্রেমের ফসল। তখন তুমি কি করবে?"
সে কি শুনে খুব খুশী হবে- এই কথা ভেবে যে তার মা যৌন বিষয়ে অনেক উদার ছিলো, যাকে ভালো লাগতো তার সাথেই যৌন মিলন করতো।
৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৩
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ঢাকাবাসী বলেছেন: ইসলাম ধর্মকে কোট করছেন আবার বলছেন পরকিয়া দোষের কিছু নয়? আজিব!!
গেন্না বয় বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ে মনে হচ্ছে আপনি আপনার পুরুষাঙ্গ কর্তনের আশঙ্কায় আছেন । ঘটনা কি ? করছেন কি ?
ভাল হয়ে যান, তাহলে আর পুরুষাঙ্গ কর্তনের আশঙ্কা থাকবে না।
৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
বি careফুল।
৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৮
আমায় ডেকো না বলেছেন: পরকিয়া হচ্ছে ব্যভিচার স্বরুপ। কেননা ইসলামে ব্যভিচারকে হারাম করা হয়েছে। শুধু হারাম নয়, ব্যাভিচারকারী অথবা ব্যাভিচারকারিনী যদি অবিবাহিত হয় তবে তাকে ১০০ টি বেত্রাঘাত আর বিবাহিত হলে তাকে গর্ত করে , সেখানে পুঁতে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করতে হবে। এটাই ইসলামের বিধান। এই কঠোর শাস্ব্যতির ব্যবস্হাটা এই জন্য যে, কোন নারী-পুরুষ যেন ব্যাভিচার বা ব্যাভিচারিনী না হয়। আর পরকিয়ার দ্বারা যে সন্তান হয় সে হয় জারজ সন্তান। এটা ইসলামের দৃষ্টিতে শক্ত-কঠিন গুনাহ।
লেখক মনে হয় ছুপা মালু অথবা নাস্তিক হবে। সে অত্যান্ত সচেতন ভাবেই কুরআন শরিফের ভুল ও বিকৃত ব্যাখ্যা করে বলছে, যে পরকিয়া করবে তাকে ইসলাম .....। আমাদের জানা রয়েছে বর্তমানে এক শ্রেনীর দালাল শ্রেনীর লোকজন এ দেশে পরকিয়া নামক ব্যাভিচার এবং সমকামীতা চালু করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে । এজন্য তারা নানা যুক্তি দিয়ে থাকে । এমন কি কুরআন শরীফের আয়াত শরীফ ভুল ভাবে উপস্হাপন করতে দ্বিধা বোধ করে না। এই পোষ্ট টা তারই একটি উদাহরন। তারা চায় তারা যেমন বিকৃত ও অসৎ চরত্রের অধিকারি , তেমনিভাবে সবার চরিত্র নষ্ট হয়ে যাক । দেখুন এই বক্তব্যটা কতটুকূ আপত্তিকর "নূপুর নিজেই পরকীয়া করে মধুর প্রতিশোধ নিতে পারতো। " অথবা "প্রকৃতপক্ষে পরকীয়া দোষের কিছু নয়, একান্ত নিজের সঙ্গী হলো আবদ্ধ কক্ষের দম বন্ধ হাওয়ার মতো অন্যদিকে একান্ত অন্য সঙ্গীরা হলো দখিণা বাতাসের মতো যা আন্দোলিত করে সমস্ত শরীর ও মনকে। আবদ্ধ হাওয়া খেতে খেতে মাঝের মধ্যে একটু দখিণা হাওয়া খারাপ কিছু নয়।"
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হাসুম না কান্দুম!!!!
এই সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।
একমাত্র আরাধ্য সবচে শ্রেষ্ঠ সম্পদের উপর এইরকম হামলা দু:খজনক। সকলেই যদি উহা কেটে ফেলে নারীরা তখন কুতায় যাবে
তাই নারীদের নিজেদের স্বার্থেই
নইলে পৃথিবীতে মানব সভ্যতার বদলে অন্যকিছু হবার সম্ভাবনা প্রবল!!!!
অট: আগের দিনে রাজা বাদশাহরা নাকি রাণী মহলের সকল পুরুষ কর্মচারীদের খোজা করে দিত!!!!! কি ভয়ংকর!!!!!!!