নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য ও সুন্দরের পক্ষে কথা বলতে ও শুনতে এ পথচলা। কুসংস্কার ও কুরসম দূর হয়ে সত্যের শুভ সকাল হোক; এমনটাই কামনা করি। ইহকাল পরকালে যা কিছু সত্য তা-ই আমার ধর্ম; আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র। এই দেশটি আজ যেখানে দাঁড়িয়ে, সেখানে পৌঁছাতে অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগের মাধ্যমে এক দীর্ঘ যাত্রা অতিক্রম করতে হয়েছে। এই যাত্রায় আলেম উলামাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা শুধু ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করে না, বরং দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ও রাজনৈতিক উন্নয়নে তাঁদের অবদান অসীম।
১. স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আলেম উলামাদের ভূমিকা অপরিসীম। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অনেক আলেম এই রাষ্ট্রের নীতির বিরুদ্ধে এবং স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করতে শুরু করেন। তারা জনগণকে একত্রিত করতে, স্বাধীনতার পক্ষে আহ্বান জানাতে এবং পাকিস্তানি শাসনের অন্যায় বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে সহায়তা করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আলেমদের অংশগ্রহণ ছিল অসাধারণ, বিশেষ করে ধর্মীয় নেতা ও সংগঠনগুলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তারা জনগণকে সচেতন করেছিল।
২. সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ভূমিকা
আলেম উলামাদের শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য শুধু ধর্মীয় অনুশাসনই নয়, বরং সমাজের সার্বিক উন্নতি। তারা ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ, ন্যায়নীতি, সৎ চরিত্র গঠনে উৎসাহিত করে থাকেন। আলেমরা সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি, এবং মানবতার প্রচারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন। তারা বিভিন্ন সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং শিক্ষা দিয়েছেন কীভাবে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠা করা যায়।
৩. শিক্ষার উন্নয়নে অবদান
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে আলেম উলামাদের অবদানও অনেক। তারা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে লাখো শিক্ষার্থীকে মানবিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করেছেন। একদিকে যেমন তারা কোরআন-হাদীসের শিক্ষা দিয়েছেন, তেমনি তারা মানুষের জীবনযাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় নৈতিক মূল্যবোধেরও শিক্ষা দিয়েছেন। আজকের আধুনিক সমাজে আলেমরা বিভিন্ন ধর্মীয় এবং সামাজিক সমস্যা নিয়ে গবেষণা এবং আলোচনা করছেন, যা আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয়।
৪. শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
বাংলাদেশ একটি বহু ধর্মীয় এবং বহু সংস্কৃতির দেশ। আলেম উলামারা সবসময় ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে সহায়তা করেছেন। তারা সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে, সভা-সমিতিতে, এবং ধর্মীয় বক্তৃতায় মানুষকে একত্রিত করেছেন। তাদের এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং শান্তিপূর্ণ coexistence প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে।
উপসংহার
বাংলাদেশের উন্নয়নে আলেম উলামাদের অবদান অনস্বীকার্য। তারা শুধু ধর্মীয় শিক্ষার আলো ছড়াননি, বরং দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের দানে বাংলাদেশ আজ একটি সুন্দর, সমৃদ্ধ, এবং শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিত। আলেম উলামাদের পথ প্রদর্শন, সংগ্রাম এবং আদর্শ আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য অমূল্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: সেই আদিযুগ থেকে এই আধুনিক কাল পর্যন্ত দেশ বা সমাজের জন্য আলেম উলামার কোনো অবদান নেই। নো নেভার। বরং এরা দেশ ও সমাজের ক্ষতি করে যাচ্ছে।