![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীন নিয়ে আমাদের আর পশ্চিমাদের ধারনা কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। 'জীন' শব্দটি শুনলে পশ্চিমারা যেখানে ডিজনির আলাদিন মুভির নীল
জীনির কথা মনে করে সেখানে আমাদের চোখে ভেসে আসে হয়ত লাল রঙ্গা শিং ওয়ালা ১০ ফিট দৈত্যের মত ফিগার যে কিনা সব আকার ধারন করতে পারে। নাহ সবার কথা বলছিনা ওটি আমার ব্যাক্তিগত মতামত ছিল।
ধর্ম, কালচার, ফোকলোর অনুযায়ী জীনরাও মানুষের মত জীবনযাপন করে।তাদের মধ্যেও ভাল মন্দ আছে ,তারাও আমাদের মত বিভিন্ন সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হয় , ধার্মিক অধার্মিক সবই আছে তাদের সমাজে।
'জীন' শব্দটি হল 'জীন্নী' এর বহুবচন। 'জীন্নী' শব্দটি কিন্তু ইংরেজি শব্দ 'জিনিয়াস' এর সাথে সম্পর্কিত। কিভাবে ? যেতে হবে খ্রিষ্টপূর্ব ২৩ শতাব্দীতে স্থাপিত রোমান সম্রাজ্যে। তখন তারা জিনিয়াস বলতে এমন কাউকে বোঝাতো না যে হয়ত অনেক বুদ্ধিমান তারা বুঝাতো এমন কাউকে যে কিনা গার্ডিয়ান স্পিরিটের সাহায্য নিয়ে কার উপকার অথবা ক্ষতি করেছে বা করেত পারে।
জীন সম্পর্কে মানুষের ধারনায় অঞ্চলভেদে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। কোথাও জীনদের এই পুরো কনসেপ্টটাকেই শ্রদ্ধা করা হয়, কোথাও তাদের দেখান হয়েছে ডেমিগড হিসেবে, কোথাও আবার প্রাকৃতিক আত্মা অথবা গার্ডিয়ান স্পিরিট হিসেবে, কোথাও আবার পিশাচ বা অপদেবতার মত তাদের রুপায়ন করা হয়েছে।
পশ্চিমাদের জীনের কনসেপ্টটাই মূলত এসে আরব্য রজনির আলাদিন গল্প থেকে । যেখানে এক জাদুকর আলাদীনকে একটি কুপি উদ্ধার করতে একটি গুহায় নিয়ে যায়। ঘটনা চক্রে সে আলাদিনকে একটি আংটি দেয় এবং গুহার ভেতর থেকে কুপিটি উদ্ধার করতে বলে। এমন সময়ে ভুলবসত আংটিতে ঘষা দিলে একটি জীন হাজির হয়। সাদৃশ্যতাপূর্ণ ঘটনা দেখা যায় কিং সলোমন ক্ষেত্রে। কিংবদন্তি আছে তিনি আংটির সাহায্যে জীনদের নিয়ন্ত্রন করতে পারতেন।( যদিও কুরআন ও বাইবেল অনুযায়ী তেমন সাপোর্টিইং ডাটা নেই)
জীনদের আবার ক্ষমতা দিয়েও কয়েকভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।এরা হলঃ
জীনঃ এদের ক্ষমতা সীমিত। নিজেদের মত থাকে। অপ্রয়োজনে কার ক্ষতি করে না।
আরওয়াহঃ যদি জীন ছোট বাচ্চাদের সাথে interact করে তাদের এই ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়।ছোট বাচ্চারা অনেক সময় রিয়েল লাইফে
কার্টুন দেখছে বলে বসে। সম্ভাবনা থাকে হয়ত সে এদের কাউকেই দেখেছে।
ঘুলঃ 'ghul' শব্দটি পশ্চিমে গিয়ে 'ghoul' এ পরিনত হয়েছে। ghoul এর আবাস জনমানবহীন প্রান্তরে।এরা হটাৎ হাজির ও অদৃশ্য হতে পারে এবং এদের চেহারা নাকি কিছুটা বিড়াল সাদৃশ। গ্রাম বাংলায় হয়ত এদেরকেই পিশাচ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
শয়তানঃ পাপী ও দুশ্চরিত্র জীনদের বলা হয় শয়তান।
মারিদ/ইফ্রিতঃ এরা জীনদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমতাবান। হাদিস অনুযায়ী এরাই আকাশের উচ্চতায় উঠে ফেরেশতাদের কথোপকথন আড়ি পেতে শুনে থাকে।এমনকি কুরআনেও এদের কথা বলা হয়েছে। এদের একজনই সুলাইমান (আঃ) এর দরবারে বিলকিসের সিংহাসন হাজির করেছিল।
জীন শুধুমাত্র ফোকলোর অংশ বা হারিয়ে যাওয়া কিংবদন্তি নয়। পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এতে বিশ্বাসী। এমনকি কিছু ইউনিভার্সিটিতে স্কলারদের পাওয়া যাবে যারা মডার্ন সায়েন্স ব্যবহার করে জীনদের অস্তিত্ব প্রমানে ব্যাস্ত।এটিই শেষ নয়,আইসল্যান্ডে অনেকের মনে এরকম অদৃশ্য সত্ত্বা নিয়ে দৃঢ় বিশ্বাস যে এরা পাথরে অথবা পশুপাখির রুপে বিশেষ কিছু স্থানে বসবাস করে। তাদের এই বিশ্বাস এতটাই দৃঢ় যে এদের রাগিয়ে দেওয়ার ভয়ে বিশেষ বিশেষ অঞ্ছলে তারা বিল্ডিং অথবা রাস্তা নির্মাণে বিরত থাকে।
আপনার কি বিশ্বাস করেন জীনে?কি মনে হয় সব সত্য নাকি গাঁজাখুরি? আছে নাকি কোন অভিজ্ঞতা? থাকলে কমেন্ট বক্সে শেয়ার করে ফেলেন। (কেলানো হাসি)
বিঃদ্রঃ শুধুমাত্র জানার জন্য ও জানানোর জন্য পোস্টটি লেখা। আমার ব্যাক্তিগত বিশ্বাস থেকে না। আসা করি ত্যানা প্যাচাবেন না কেউ। যদি ভুল থেকে থাকে তাহলে দয়া করে ধরিয়ে দিবেন আমি শুধরে নিব।
তথ্যসূত্রওঃ Click This Link
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: সময় করে লিখে ফেলেন একদিন তাহলে। (উইংক)
২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩৬
মহা সমন্বয় বলেছেন: এগুলো হচ্ছে রোগ, মনের রোগ তাই মানুষ জীন, ভূত দেখে।
আচ্ছা আমাকে একটা জ্বীন ধরে দিতে পারবেন?
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫০
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: হাহাহাহা
ভাল বলছেন মনের রোগই হবে হয়ত।
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩৮
মহা সমন্বয় বলেছেন: আপনি যদি মুসলীম হয়ে থাকেন তাহলে বলবেন, ভূত বলতে কিছু নাই এগুলো হচ্ছে কূসংস্কার, তবে নিশ্চই জ্বীন আছে
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫৮
বিদ্যুৎ চমক বলেছেন: আমার দুটো অভিজ্ঞতা আছে, আজ না আরেকদিন বলবো, আজ লেখতে ইচ্ছ করছে না, আমি একটু অলস টাইপের।