নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অগ্নিলা

মানুষ ৩ রকম, ১। আগুনে পুড়ে যায়, ২। আগুনে গলে যায়, ৩। আগুনে ঋদ্ধ হয়

অগ্নিলা

দূর্বা কোমল মনে প্রজাপতি'র বাস অরুনের ভালবাসায়, আকাশ ছোঁয়ার আশ!

অগ্নিলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন এক্স ভিকির দৃষ্টিকোণ থেকে ভিকারুননিসার নতুন ভর্তি পদ্ধতি

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৪০

কিছুদিন ধরে ভিকারুননিসায় ভর্তি পদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে মাঠ ঘাট খুব উত্তপ্ত। নিজের উত্তাপে উত্তপ্ত ঢাকার মানুষের আসলে তাতে কিছু যায় আসে না। খবরের ফেরীওয়ালারা গরম গরম খবর দেয় আমরা কিছুক্ষন তা নিয়ে উত্তপ্ত থাকি যদি সেটা আমাদের সম্পর্কিত খবর হয়। কিছুক্ষন ঝড়বাদল চলে তারপর নশ্বর পৃথিবীর আর সব কিছুর মত সেটাও ফুরিয়ে যায়।



রাস্তা-ঘাটে আমি ইদানিং আমি বার বার কথাটা শুনছি, কিন্তু আমি এখন হচ্ছি সেই ছোট পাখি যার আপনার বাসা আগে বুনতে হবে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত হাতে শাইনপুকুর সিরামিকসের এ্যানুয়াল বিজনেস রিপোর্ট নিয়ে ঘুড়তাম এ সপ্তাহে সেটা এ্যানালাইসিস করে জমা দিয়েছি এখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের poverty analysis papers নিয়ে ঘুড়ি। আমি সব শুনি তারপর নিজেকে বলি "এখন না কব কথা আনিয়াছি তৃণলতা আপনার বাসা আগে বুনি"



কিন্তু ভিকারুননিসা শব্দটার সাথে যে আমার অনেক কিছু জড়িয়ে আছে। আমার আকাশি নীল ফ্রকটা, আমার ন্যাড়া মাথাটা, আমার প্রথম দাঁত পরা, একে একে সব দাঁত পরা, প্রথম সেলোয়ার কামিজ পরা, প্রথম শাড়িও পরাও, প্রথম স্টেজে উঠা, সব!

আজকের বলাকাবেশী আমার প্রথম উড়ার আকাশের নাম ভিকারুননিসা! আমার সত্ত্বার সবচেয়ে বড় অংশের নাম ভিকারুননিসা।

২২ বছর জীবনের ১২ বছর আমি ভিকারুননিসার বেইলী রোড ক্যাম্পাসে কাটিয়েছি। তাই যখন কেউ ভিকারুননিসা শব্দটা উচ্চারণ করে তখন আমি একটু কেঁপে উঠি, কিছুটা উত্তেজনায় কিছুটা আবেগে। কিন্তু যখন কেউ ভিকারুননিসায় ভর্তি পরীক্ষা দিবে শুনি তখন আমি আতংকে ভীষনভাবে কেঁপে উঠি। আমার সেই ছোট্ট মেয়েটার কথা মনে পরে যায় যাকে কোনদিন সকালে ডাকতে হত না, নিজ গরজে সে ভোর পাঁচটায় উঠে পড়তে বসত। বড় বোনের ফ্লাক্সের পিপড়ার সাথেও সে হিংসা করত "পিপড়ারে তুইও ভিকারুননিসায় যেতে পারিস? হায়! আমার কবে এই ভাগ্য হবে?"



অনেকেই লটারী পদ্ধতি নিয়ে অনেকে কথা বলছে। কিছু আন্দোলনের পদচারনাও হচ্ছে, কিছু কর্মসূচির হাক-ডাকও শোনা যাচ্ছে। সবার মতমত দেবার অধিকার আছে। আমি সবার মূল্যবান মতামতের প্রতি সন্মান দেখিয়ে একটা তথ্য দেই, লটারী পদ্ধতিটা কিন্তু ভিকারুননিসায় আগেই ছিল ১৯৯২ সালে সেটা বন্ধ হয়ে যায়, তখন থেকে এই লিখিত পদ্ধতি শুরু হয়। এর আগে একটা ভাইভা হত এবং কিছু হাতের লেখা দেখা হত, স্কুলের ছাত্রীরা পরীক্ষার্থীদের গল্প শুনাত, গান শুনাত। বড় আপুদের নিয়ে একটা আনন্দঘন পরিবেশে পরীক্ষা নেয়া হত।



তখনকার ভিকারুননিসার ছাত্রীরা স্কুল প্রাঙ্গন পরিস্কার করা থেকে সব রকম কাজ করত। নাচে গানে খেলায় বিতর্কে লেখাপড়ায় সব ক্ষেত্রে ভিকারুননিসা অপ্রতিদ্বন্দি ছিল। সবখানে ভিকারুননিসার জয়জয়কার ছিল।



আমার বড় বোন '৯০ ব্যাচে ভিকারুননিসায় ভর্তি হয়। ১৯৯০ সালে ছিল ভিকারুননিসার স্বর্ণবর্ষ, সেবছর এস এস সি তে ভিকারুননিসার সাফল্য সব বছরকে ছাড়িয়ে যায়। আমি '৯৫এর ব্যাচে ভিকারুননিসায় ভর্তি হই। তখনও অবশ্য কিছু গৌরব অবশিষ্ট ছিল। এখনকার মেয়েদের শিক্ষা পরিস্থিতি খুবই আশঙ্কাজনক। আমার নিজের ছোটবোন ক্লাস ৭ এ পড়ে। আমার বড়বোন এবং আমার সাথে ওর লেখাপড়া এবং মূল্যবোধ সবকিছুর দূরত্ব অনেক বেশি। আমার অবজার্ভেশন বলে, এখনকার ভিকারুননিসা আসলে অনেক বেশি নামে চলে, গতবছরের রেজাল্টও তার প্রমান!



ইউনিভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার সময়ও দেখা যাচ্ছে মেয়েদের ঠিকানা শেষ পর্যন্ত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে! যেখানে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম না জানা স্কুল কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা উঠে আসছে! সমাপনী পরীক্ষাগুলোতেও নামকরা স্কুলগুলির থেকে তাদের ফলাফল ভাল!



এ থেকে ২টা জিনিশ প্রমান হয়,

এক, লটারী পদ্ধতি বলে যেটাকে আখ্যা দেয়া হচ্ছে সে পদ্ধতিতে ভর্তি হওয়া ভিকারুননিসার মেয়েদের পরবর্তি জীবনে সাফল্যের মাত্রাটা বেশি। তাদের অর্জিত বড় বড় ট্রফিগুলো এখনও আমাদের প্রিন্সিপালের রুমে শোভা বাড়ায়।

দুই, স্কুলের নামে শিক্ষার্থী নামী নয় বরং শিক্ষার্থীর গুনেই স্কুলের সুনাম। আমি ভাল বলেই না সবাই ভিকারুননিসা কে ভাল বলে। আমি যদি ফার্নিচার টাইপ হতাম তাহলে কি কেউ বলত ভিকারুননিসা হেন তেন? আমাদের সাথের সব মেয়েই কি খুব স্মার্ট? মোটেও না অনেক মেয়ে আছে খুব আনস্মার্ট (চেহারার কথা বলি নাই, কাজের কথা বলেছি)



আমার এক কাজিনের মেয়ে ৮ বছর বয়সে ভিকারুননিসায় ক্লাস ওয়ানে পড়ছে। আমার এক চাচাতো বোনও তাই। না ওরা ক্লাস ১ আরও একবার পড়ে নাই। ক্লাস ২টে পড়ার তো প্রশ্নই আসে না! ওরা বনসাই'র মত ২ বছর আল্লাহ'র দুনিয়ার সব ভর্তি কোচিং এ কোচিং করেছে।

আমি যখন ওদের সাথে কথা বলি আমার তখন ওদের মানুষ মনে হয় না। শিশু তো নাই। ওরা দুনিয়ার রূঢ় বাস্তবতাটা আমার চেয়েও ভাল জানে, এমনকি প্রথমবার চান্স না পাবার পর চতুর রাজনীতিবীদের মত "স্থূল কারচুপি হয়েছে, ভিকারুননিসায় সব ডোনেশনের কারবার" জাতীয় মন্তব্যও করেছে।

পরের বার আমি আমার চাচাতোবোনকে জিজ্ঞেস করলাম "তুই এবার চান্স পেয়েছিস কি কারচুপির মাধ্যমে?" সে অম্লান বদনে জবাব দিয়েছিল " কিভাবে চান্স পেয়েছি জানি না তবে এবারও চান্স না পেলে আত্মহত্যা করতাম, এই মুখ আর দেখাতাম না" এই মেয়ে ২০০২ সালের দোসরা জানুয়ারিতে জন্ম নিয়েছে, হিসাব মতে ওর বয়স ঠিক ৮ বছর!!!!!



আমি ভার্সিটিতে ভর্তি হবার আগে অল্প হাতে গোনা কিছু গাছ ছাড়া কোন গাছ চিনতাম না। রুই, ইলিশ আর চিংড়ি ছাড়া কোন মাছ চিনতাম না। ভিকারুননিসায় ভর্তি হবার আগ পর্যন্ত আমার শৈশব বলে কিছু ছিল না। ভার্সিটিতেও এসব শিখার কারণ হচ্ছে আমার পড়ার একটা বড় অংশ কৃষি। ইঞ্জিনিয়ারিং বা পিউর বি বি এ পড়লে হয়তো আমি এসব কোনদিনও শিখতাম না!



ভিকারুননিসা আমাকে অনেক দিয়েছে অনেক কিছু! আমি যেখানে যাই সবার মাঝে আমাকে আলাদা করে দেখা যায়। সবাই জানে মেয়েটা ভিকারুননিসা থেকে পাশ করার কারনে এত স্মার্ট এক্টিভ। এর অনেকটাই ভিকারুননিসার দান। আমাদের টিচারদের মমতা ছিল দেখার মত, আপারা আমাদের কোনদিন ছাত্রী বলে ডাকতেন না, ভিকারুননিসায় ছাত্রী শব্দটাই নেই। সবাইকে মেয়ে বলা হয়। লক্ষ্য করলে দেখবেন টিচাররা কখনও সাক্ষাতকার দিলে, "আমাদের মেয়েরা" এভাবে কথা বলেন।



আমার নিজের বড় বোন ভিকারুননিসায় পড়ত। শান্ত চুপচাপ ছিল, কিছুটা দূর্বল চিত্তেরও, রেজাল্টও তত ভাল করত না। ক্লাসে নাইনে সাইন্স পেল না। ক্লাসে কেউ ওকে গোনায়ই ধরত না। সেই মেয়ে ক্লাস ৯ এ প্লেসে এসে পরল পুরা নিজের চেষ্টায়। এস এস সি তে আর্টস থেকে ৮০৫ নম্বর পেয়ে পাশ করে। ক্লাস নাইনের ঘটনা, মহসিন তালুকদার নামক একজন তথা কথিত শিক্ষক আছেন ভিকারুননিসায়। তিনি আপুকে অংকে সর্বোচ্চ মার্ক্স পাবার অপরাধে যা ইচ্ছা তা বলে বকাবকি করেন তার মধ্যে এমন কথাও ছিল যে আপু নকল করে এত মার্কস পেয়েছে। ক্লাসে এইট পর্যন্ত যে মেয়ে অংকে ৬০ তুলতে পারে নি তখন জনৈক মহসিন তালুকদারের টনক নড়ে নি যে একটি মেয়ে হোঁচট খাচ্ছে, যখন সে দাড়াতে শিখল তখনও তাকে সাধুবাদ জানানোর বদলে তাকে তিরস্কার করেছে। (*পাঠক এমন মনে করার কোন অবকাশ নেই যে ভিকারুননিসার সব টিচার এমন, এটা একটা এক্সট্রিম সিচুয়েশন বললাম, তবে আপুর সাথে অনেক টিচারের ব্যাবহারই এমন ছিল যারা আমাকেই মাথায় তুলে রাখতেন।

**মহসিন তালুকদার সম্পর্কে আমাকে কেউ শিক্ষা না দিতে আসলেই আমি খুশি হব। আমার জীবনে আমি যতগুলো নিম্ন শ্রেনীর মানুষ দেখেছিল এই পর্যন্ত সে তাদের মধ্যে সেরা। আমি স্কুলে থাকতেও তাকে কখনও সন্মান করতাম না এখন তো প্রশ্নই আসে না।যার নিজের মেয়ের অবস্থা এমন সে অন্যের মেয়েকে নিয়ে কথা বলতে আসে কিভাবে সেটাই আমার সারা জীবনের প্রশ্ন)


আমার বোন এখন সিডনিতে থাকে। সে ঢাকা ভার্সিটি থেকে পাবলিক এ্যডমিনিশট্রেশন থেকে পাশ করেছে। সিডনি'র যতগুলো ইউনিভার্সিটিতে Phd'র জন্য আবেদন করেছে সবাই তাকে আমন্ত্রন জানিয়েছে। দুলাভাই'র MS শেষ হলেই ও শুরু করবে। আপু যখন পতিত ছিল ওকে স্কুল থেকে weak girl careটা নেয়া হত ঠিকই, কিন্তু ওর মনোবলটা তৈরি করে নি। উলটা ভর্ষণা দিত, যেটা ওকে আরও তুচ্ছ করে দিত, সেই সব ছাপিয়ে ওর নিজের নিজেকে প্রমান করতে হয়েছে। যেখানে ভিকারুননিসার অবদান তুলনামূলক কম।



একই মায়ের ২ মেয়েকেই যদি সমানভাবে গড়ে তুলতে না পারে সেখানে স্কুল ভিকারুননিসা হোক কি না হোক তাতে কি বা আসে যায়?

শুধু শুধু কেন একটা শিশুর সোনার শৈশব নষ্ট করা? স্কুল কেন শুধু ভিকারুননিসাই হতে হবে? কেন কেউ অন্য অপসনের চিন্তা করবে না? কেন নিজের চেষ্টায় উঠে দাঁড়াবে না? ১৯৫২ সালে ভিকারুননিসাও কিন্তু খুব প্রতিষ্ঠিত স্কুল ছিল না, ভিকারুননিসা যদি উঠতে পারে অন্যরা কেন পারবে না? কেন? শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করার চেয়ে শ্রেষ্ঠত্বে তকমা লাগানো বেশি সোজা বলে? I am very sorry to say, আমি দেখতে পাচ্ছি এই শ্রেষ্ঠত্ব তাসে ঘরের মত ভেঙ্গে যাবে এত বড় জনসংখ্যার চাপ ভিকারুননিসার একার পক্ষে সামলানো কিছুতেই সম্ভব হবে না।



আমি মনে করি, কোন কিছুর উন্নতি করতে হলে সেটাকে প্রতিনিয়ত সময় উপযোগী করতে হয়, পুরাতন ধ্যান ধারণা ভেঙ্গেই তবেই সেটা সম্ভব। আশা থাকবে পরিবর্তন উন্নতির তরে হোক। আমার বাবা-মা যেমন বুক ভরে গর্ব নিয়ে বলে আমার তিনটা মেয়েই ভিকারুননিসায় পড়েছে। প্রার্থনা করি আরও ১০০ বছর পরও যেন কোন বাবা মা'র একই গৌরব মহিমান্বিত করে ভিকারুননিসার প্রাঙ্গন।

Viqi's Rule!!!

মন্তব্য ৮৭ টি রেটিং +২৭/-২

মন্তব্য (৮৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৮

শ।মসীর বলেছেন: নাতনি কথাটা হাছা নাকি- লোকে কয় ভিকির মাইয়াগুলা নাকি ডেনজারাস ;)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১০

অগ্নিলা বলেছেন: জিকুরে জিগাও দি! অর তো বাপ-মা ২ দিকেরই ১৪ দুগুনে ২৮গুষ্টি ভিকারুননিসার!

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৭

কাঠের খাঁচা বলেছেন: এত বড় লেখা পইড়া বিকালের নাস্তা হজম হয়া গ্যাল :-< :-< ।

@শামসীর নানাঃ হ কথা ঠিকই আচে। ভিকিরা হেব্বি ডেঞ্জু :-/ :-/ । আমি হইলাম আবার ভিকির রাইভাল। স্কুল গবঃ ল্যাব, কলেজ এনডিসি।
তয় কোন এক অদ্ভূত কারনে আমার ভাল মেয়ে বন্ধু, প্রিয় বড় বোন, আদরের ছুটকি সবই ভিকির :| :|

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১২

অগ্নিলা বলেছেন: আল্লাহ কাখা'রে একটা ভিকি বৌও দিও, জানি সে দিবা নিশি ডেঞ্জুর মধ্যে বসবাস করে!

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৯

চতুষ্কোণ বলেছেন: চমৎকার লেখা! ভালবাসার জায়গায় দাঁড়িয়েও কিছু কঠিন কথা বলে গেছো। পুরো লেখাটাতেই এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতি ভালবাসা আর মমত্ববোধ টের পাওয়া যায়। +++

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৭

অগ্নিলা বলেছেন: ভীষন মমতা চতুষ্কোন। হনুমানের মত যদি হৃদয় ফুড়ে দেখাতে পারতাম আমার জন্য ভিকারুননিসা কি! খুব খারাপ লাগে যখন দেখি এই অধঃপতন গুলো।

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১০

লড়াকু বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। প্রতিষ্ঠিত স্কুলগুলোতে ভর্তি করানোর জন্যে শিশুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হোক।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৩

অগ্নিলা বলেছেন: প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া প্রতিটি শিশু'র অধিকার। সেখানে লেখাপড়া শিখে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে হবে কেন সেটাই অবশ্য আমার বোধগম্য নয়

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১১

ন হন্যাতে বলেছেন: ঢাকার নামী দামী স্কুল গুলো সত্যিই নামে চলে । ভর্তির নামে প্রথমেই কিছু স্কুল কলেজ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী টেনে নেয়। ফলে স্কুল-কলেজের পরে আর কিছু করার দরকার হয় না। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেরদের যোগ্যতায়, আর ডজন ডজন প্রাইভেট টিচারদের কল্যানে ভালো রেজাল্ট করে। কৃতিত্ব হয় স্কুল কলেজের।

ল্টারী সিস্টেমেই সব স্কুল কলেজে ভর্তি করা উচিত। তাতে স্কুল ভর্তির অমানবিক প্রক্রিয়াটা বন্ধ হবে। আইডিয়াল, ভিকি'র ১ম শ্রেনীতে ভর্তির জন্য রীতিমত বিসিএস পরীক্ষার মত পড়াশুনা করতে হয় ৫ বছরের একটা বাচ্চাকে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৯

অগ্নিলা বলেছেন: কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিসিএস এর চেয়েও কঠিন, আমার ক্লাসে ওয়ানের ভর্তি পরীক্ষায় একটা পাজেল এসেছিল। আমি সেটার সমাধান আজ পর্যন্ত করতে পারি নি!

মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভাল করবে তবে এটাও সত্য ভিকারুননিসার শিক্ষিকাদের মধ্যে খুব আন্তরিকতা ছিল। শুনেছি নতুন নিয়োগ পাওয়া অনেকেই নাকি অবৈধ উপায়ে এসেছেন। আমার মাতৃতূল্য সে সব আপাদের স্থান কি তারা কোনদিন অর্জন করতে পারবে?

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১১

নিশম বলেছেন: আমার ছয় বছরের বোনের চেহারা দেখলেই কান্না পায়। লাল ফর্সা চেহারার মেয়েটা মলিন হয়ে গেছে। ভিকারুন্নসায় টিকতেই হবে! যেভাবেই হোক। সকাল ৭টায় কোচিং এ যায়, ১১টায় আসে। আবার ৩টায় যায় সন্ধ্যা ৭টায় আসে। এর শৈশব কই ? না আছে খেলাধুলা না আছে দেখে দেখে শেখা। সবই কোচিং এর ব্দৈলতে শেখা তোতা পাখির বুলি।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৫

অগ্নিলা বলেছেন: আমাদের সময় পরিস্থিতি সত্যি এত করূন ছিল না! আমি ভিকারুননিসা থেকে অনেক পেয়েছি। অনেক কিছু শিখেছি! আমার একটা রাজহাঁসের জীবন দর্শন আছে আমাকে আমার এক শিক্ষিকা শিখিয়েছিলেন, কোন একদিন সেট বললে দেখবেন ভিকারুননিসা আমাকে কত কিছু দিয়েছে!

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৬

কাঠের খাঁচা বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~ =p~


লাবনাই। বউ ভিকির হইব না ;) :P । আল্লায় আমারে রহম করচে :#) :#)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২১

অগ্নিলা বলেছেন: শামশীর নানার হবু নাত জামাই'র অবশ্য সবচেয়ে বড় গর্বের বিষয় তার হবু'বৌ ভিকি!

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৮

রাতমজুর বলেছেন:
Voice Input Child Identicant (V.I.C.I.) AKA Vicki AKA ভিকি




আন্নে রোবুট আছিলেন! :|

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

অগ্নিলা বলেছেন: বাহ! ভাল মিল বের করসেন তো! সব দিক দিয়ে পার্ফেট রোবটের নামও ভিকি!

সহমত!!

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৮

সাধারণমানুষ বলেছেন: আমার এলাকার এক মেয়ে সে আমার সাথেই ছিলো ক্লাস ৩ পর্যন্ত। আমরা ক্লাস ৪ এ উঠার পরে তারে আর স্কুলে দেখি নাই পরে শুনি সে ভিকারুননেসাতে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হইছে। আরেক ক্লাসমেট ক্লাস ৪ পাশ কইরা আবার ক্লাস ৩ এ ভর্তি হইছিলো জাষ্ট আইডিয়ালে ভর্তি হবার জন্য। ২০১০ এ আইসা আমাদের ঐ ব্যাচের মোটামুটি সবাই এখন ইউনিতে ১-২ ইয়ারে আর তারা ২ জন এইবার এইচএসসি পাস করেছেন।

যেসব পুলাপান নিজেরা দাড়াইতে পারে ওরাই শেষ হাসি হাসে। সে যেমন হইতে পারে রামচন্দ্রপুরের নামকাওয়াস্তে থাকা একটা স্কুলের ছাত্র কিংবা অভিজাত ভিকি বা আইডিয়ালের সব দিক দিয়া আধুনিক ছাত্র ।

তবে আমার কেনো জানি মনে হয় ভিকারুননেসা বা আইডিয়াল যাই বলেন এদের রাজত্ব শেষ হবার সময় এসে পড়ছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

অগ্নিলা বলেছেন: আমাদের সুভাষ স্যার বলতেন মোঘল সাম্রাজ্যের পতনের মূল হচ্ছে রাজ্য বিস্তার এখন সবে মাত্র বসুন্ধরার শাখা খোলা হচ্ছে!!!

সেটাই হচ্ছে কথা, আমি আমার পায়ে দাড়িয়েছি স্কুল কিছুটা সাপোর্ট দিয়েছে কিন্তু হাঁটতে বা দৌড়াতে আমারই হয়েছে!

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩০

রোবট ভিশন বলেছেন: কেলাস ওয়ান এ ভর্তির জন্য লটারী সিস্টেমি ভালা...

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

অগ্নিলা বলেছেন: সহমত

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: ভালো লাগল স্মৃতিচারণ :)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৫

অগ্নিলা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু! এটা আসলে আত্মবিশ্লেষন, স্মৃতিচারণ না। ভিকারুননিসা আমার আত্মার অংশ, সেখানকার স্মৃতি খুব মধুর, এমন তিক্ত নয়!

১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৫

শিপু ভাই বলেছেন: ভাল বলেছেন।
এমনি হওয়া উচিত।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৭

অগ্নিলা বলেছেন: ধন্যবাদ শিপু ভাই।
ফাহিম আহমেদের পোষ্টে আপনার কমেন্টাই আসলে কীবোর্ড চালাতে বাধ্য করল!

১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৯

কি নাম দিব বলেছেন: চমৎকার লেখা আপু। :)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৮

অগ্নিলা বলেছেন: ধন্যবাদ কিনা'পু

১৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৪৪

নুভান বলেছেন: নামী-দামী ইশকুল কলেজে পড়নের দুর্ভাগ্য হয় নাই, অফ যাই আমি :P

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৫৩

অগ্নিলা বলেছেন: কথাটা অবশ্য "যোগ্যতা" হবে!

১৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:০৬

শাহেদ৬৯ বলেছেন: নামী-দামী ইশকুল কলেজে পড়নের দুর্ভাগ্য হয় নাই, অফ যাই আমি , বর্তমানে তেজগাও কলেজে ঝুলতেছি , খিক্স

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৫৭

অগ্নিলা বলেছেন: নুভান বুয়েট থেকে ক্যেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন! তারপর কোরিয়ার বেশ প্রেষ্টিজিয়াস ভার্সিটি থেকে এম এস করেছে্ন!





সবরকম উক্তি সবার মুখে মানায় না কিন্তু! :)

১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:০৬

মাইন রানা বলেছেন: সরকারের সিধান্তে একমত
লটারী একদম ঠিক পদ্ধতি
প্রথম শ্রেনীতে পড়া শিশুদের অধিকার এর যন্য যুদ্ধ করতে হবে কেন ??????????

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:০০

অগ্নিলা বলেছেন: প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া প্রতিটি শিশু'র অধিকার। সেখানে লেখাপড়া শিখে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে হবে কেন সেটাই অবশ্য আমার বোধগম্য নয়।


এটা অবশ্য সাক্ষাতকার পদ্ধতি, একেবারেই যে মেধা যাচাই হবে না তা কিন্তু না!

১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:১৬

কালীদাস বলেছেন:
আমার অবজার্ভেশন বলে, এখনকার ভিকারুননিসা আসলে অনেক বেশি নামে চলে, গতবছরের রেজাল্টও তার প্রমান!

খোঁচাটা জায়গামতই মেরেছেন আপু! শুধু ভিকারুননিসা না ঢাকার কমবেশি সব নামী স্কুলেই এটা হচ্ছে, রেজাল্টে হয়ত সেটা সবসময় প্রকাশ পায় না!! ছোটবোনের কথা যেটা বলেছেন, হান্ড্রেড পারসেন্ট সহমত! আমরা যেই টিচারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলাম বেসিক ভাল দিতেন বলে, নতুন জেনারেশনের বেশিরভাগকেই দেখি ওঁদের নামই শুনতে পারে না, শুনলেই রেগে যায়! বুঝি না , হিসাব মেলাতে পারিনা, এতই কি বদলে গেলেন তবে স্যাররা?!!

পেলাস অবশ্যম্ভাবী ছিল পোস্টে :D :D

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১৯

অগ্নিলা বলেছেন: ভিকারুননিসায় যে প্রকার পাঠদান পদ্ধতির মধ্য দিয়ে আমি গেছি সেটার ২০% ও গ্রহন করতে পারলে বেসিক অনেক উন্নত হয়, এখন সেই সিস্টেমটাই নাই। কোন হোমোয়ার্ক দেয়া হয় না, না কা ওয়াস্তে একটা প্যারেন্স মিটিং হয়। সেই প্যারেন্স মিটিং ছাড়া অন্য কোন সময় টিচারের সাথে দেখা করার কোন সুযোগ নাই। আমাদের সময় সপ্তাহে নির্দিষ্ট একদিন যে কোন গার্জিয়ান টিচারের সাথে দেখা করতে পারতেন। বার্ষিক ক্যালেন্ডারে কবে কোন ক্লাসের টিচারের সাথে দেখা করা যাবে তা উল্লেখ করা থাকত, এবং কোন গার্জিয়ান দেখা না করলেও সেই দিন সেই ক্লাসের টিচাররা ছুটির পর কিছু বেশি সময় থাকতে বাধ্য থাকতেন। ৭২/৭৫ জনের ক্লাসেও টিচার ঠি দূর্বল মেয়েটাকে খুঁজে তার প্যারেন্টসকে কল করতেন।

অনেক টিচারদের বাচ্চারা দেকতে না পারার একটা খুব যৌক্তিক কারন আমিই বলতে পারব! "সময়ের সাথে তারা নিজেদের বদলান নাই। আগে বাচ্চারা টিচারের ভয় পরত এখন টিচারের ভালবাসায় পরে। চোখ রাঙ্গিয়ে এখন আর কিছু আদায় করা যায় না!
আরো একটা যৌক্তিক কারন হচ্ছে এখনকার ছেলেমেয় অনেক ফাষ্ট ওদের লাইফের অপসন অনেক বেশি, ওদের মনযোগ ধরে রাখতে অনেক টেকনিক্যাল হতে হয়, আমাদের সময় এই ব্যাপারটা মোটেও ছিল না। আমরা টিচার মানেই সন্মান করতাম আর ওরা সন্মান করার জন্য নিজেদের মত করে একটা জাজমেন্ট করে ফেলে।

১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৪২

সায়েম মুন বলেছেন: এত্ত বড় পোষ্ট ল্যাখছো। পড়তে পড়তে হাঁফায় গেছি। তবে খুব ভাল ল্যাখছো। ক্লাস ওয়ানে ভর্তির জন্য লটারী সিষ্টেম চালু করা উচিত। পিচ্চি পাচ্চারা ভর্তির জন্য যে যুদ্ধটা করে, দেখলে বেশ খারাপ লাগে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:০৪

অগ্নিলা বলেছেন: এটা কিন্তু আসলে লটারী পদ্ধতি না, ভিকারুননিসার মত এত বড় স্কুল কোনদিন তাদের ভবিষ্যত এভাবে ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিবে না। এখানেও সাক্ষাতকার নেয়া হবে ভাইবা গোছের একটা পরীক্ষা হবে।


১৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৫১

ডাসট ইন দা উইনড বলেছেন: ভালো লাগলো...তবে আমার বউয়ের স্কুল/কলেজ বলেই হয়তো

২০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:০০

জিকসেস বলেছেন: ভাল হৈসে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:০২

অগ্নিলা বলেছেন: টিপিক্যাল কমেন্টের জন্য তোমারে উলটা মাইনাস!

২১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১২

মাথা খারাপ বলেছেন: এণদিসির এক পোলার পক্ষ থাইকা মাইনাচ লন

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:২২

অগ্নিলা বলেছেন: এণ দি সি মানে কি?

২২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:২৭

মাথা খারাপ বলেছেন: না জানলে নাই

২৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:২৯

ডেমিয়েন থর্ন বলেছেন: আমি ভাই গাঁও গেরামের পোলা, এত সব বুঝি না, তবে পড়ে ভাল লাগল।
( বৌ আশেপাশে নাই এই চান্সে একটা কথা বলি, কোন এক ভিকির সাথে প্রেম করার বড় ইচ্ছা ছিল, তার আগেই বৌ এর সাথে প্রেম হয়ে গেল। :P )

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩২

অগ্নিলা বলেছেন: আয় হায়! কি মিস!

২৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:২৯

গুরুজী বলেছেন: জব্বর লেখছেন, ২৯টা প্লাস। :)


ভিকির এক ফেরেন্ড লইয়া বড়ই ছিন্তায় আছি :| বড়ই ডেন্জু 8-|

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩২

অগ্নিলা বলেছেন: সেই চিন্তায় কি ঘোমটা দিসেন নি?

২৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩৭

তৃথা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট, অবশ্যই প্লাস
আমি নিজেও VIQI, ২০০২ SSC। আমার জীবনের অন্যতম দুঃখের একটা সময় কিন্তু ভিকারুন্নিসায় কেটেছে, আবার আমার দেখা সেরা আপাদেরকেও এখানেই পেয়েছি, কথাটা শুনতে আজব হলেও সত্য! এমনকি আমার জীবনের প্রিয়তম বান্ধবীকেও এখানে পেয়েছিলাম!
ভাল থাকবেন :)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪৩

অগ্নিলা বলেছেন: কোন শিফটে ছিলেন আপু? অনন্যা আপুদের ব্যাচ তো, আমার যাবতীয় বন্ধু বান্ধব সেই ব্যাচে ছিল! নিজের ব্যাচের সাথেও কোনদিন এত খাতির হয় নাই!

২৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪১

ডেমিয়েন থর্ন বলেছেন: গুরুজী ওই ডেঞ্জুর ভয়ে ঘোমটা নামাচ্ছে না হি হি

২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪৪

অগ্নিলা বলেছেন: আমারও তাই ধারনা! বিশদ তদন্তে নামতে হবে!

২৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৫৪

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: কিছু বলার নাই!

পোষ্টটা পড়ছি- সেইটা জানাইয়া গেলাম।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৫৪

অগ্নিলা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ

২৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:০৫

গুরুজী বলেছেন: খেক খেক, ধারনা ভুল...... :-0 :-0 :-0

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৫৬

অগ্নিলা বলেছেন: আপনার কথায় কিছু যায় বা আসে না! তদন্ত রিপোর্ট আসুক আগে!

২৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৪৮

তৃথা বলেছেন: আপু আমার স্কুল কিন্তু ধানমন্ডি শাখা ছিল, আর কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ছিলাম-অনন্যা কি বিজ্ঞান বিভাগেই ছিল? মূল শাখার আসলে সবাইকে চিনি না, এটাই মুশকিল, হি হি :P

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৫৩

অগ্নিলা বলেছেন: ধানমন্ডি হলে তো আজরিন এশা'কে চেনার কথা!

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:০৫

অগ্নিলা বলেছেন: অনন্য আপু কলেজে সাইন্স-এ'র ক্যাপ্টেন ছিল

৩০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৫৬

নুভান বলেছেন: আমার মনে হয় শুধু ভিকারুন্নেসা নয়, অন্যান্য সব স্কুল গুলোতেও বাচ্চাদের এখন প্রচন্ড স্ট্রেসে রাখা হয়। আমার ৫ বৎসর বয়সের ভাগ্নে কি যেন এক নামকরা ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে কেজি টু তে পড়ে, শুনলাম তার নাকি ২১ টা টেক্সট বই! আবার পড়া না পারার জন্য নাকি স্কুলের মিস(!)-রা বাচ্চাদের শুধু স্বাস্তি-ই না, যথেষ্ট অপমান-ও করে। আমার প্রশ্ন হল কেজি টু ক্লাসের একটা বাচ্চাকে ২১ টা টেক্সট বই গুলিয়ে খাইয়ে স্বরস্বতী কি বিদ্যা দিবেন, আমার বোধগম্য নয় ! আর ভালো স্কুলগুলোতে (ভিকারুন্নেসা/গভঃল্যার-এর মতন) চান্স পাবার জন্যও বাচ্চাদের যে পরিমান স্ট্রেসের মধ্যে রাখা হয়, তার সত্যিই কি কন অর্থ আছে?

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:০৩

অগ্নিলা বলেছেন: কোন অর্থ নাই। এই সবের উপরে আবার প্রাইভেট পড়া আছে। আমি দেখেছি এইসব বাচ্চারা যে শুধু মুখস্ত বিদ্যায় বাধা পরে তাই না ওরা খুব আত্মকেন্দ্রিক আর স্বার্থপর হয়।

আমার মনে হয় আমাদের জাতীয় উন্নয়নের জন্য একজন ভাল ছাত্রের থেকে ভাল মানুষ অনেক বেশি জরুরী। সেটা হবার সুযোগই ওরা পায় না!

৩১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:১৭

অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: শ।মসীর বলেছেন: নাতনি কথাটা হাছা নাকি- লোকে কয় ভিকির মাইয়াগুলা নাকি ডেনজারাস ;)

আমার এক সময় ধারণা ছিলো, ঢাকা শহরের সব মেয়ে ভিকিতে পড়ে!!!!

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২২

অগ্নিলা বলেছেন: তা কেন হবে? আপনি কোথাকার? মানে বাড়ি কই আর স্কুল কলেজ কোনটা?

৩২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৩৯

তৃথা বলেছেন: হ্যাঁ আজরিন কে চিনি, আমরা একই ক্লাসে ছিলাম :)
অনন্যা কে তো চেনার কথা, ওর পুরা নাম বললে sure হতাম, বুড়া হয়ে গেছি তো, স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছি আর কি! :!>

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২১

অগ্নিলা বলেছেন: আমিও বুড়া হয়ে গেছি। পুরা নাম মনে নাই অনন্যা আহমেদ মনে হয়।

৩৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:২৩

শ।মসীর বলেছেন: তাইত কই কাউয়া মেয়েদের দিকে তাকাইতে সবসময় ডরাইত কেন ;)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৫

অগ্নিলা বলেছেন: নানা নিজের ইয়া নফসি করো

৩৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩০

শেখ ইরফান বলেছেন: ইউনিভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার সময়ও দেখা যাচ্ছে মেয়েদের ঠিকানা শেষ পর্যন্ত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে!

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় !! বলেন কি? ছি ছি আমি ভাবতেও পারতেচিনা!

৩৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৪৮

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: মানুষ ৩ রকম, ১। স্কুলে যায়, ২। স্কুলে যায় না এবং ৩। ভিকারুন্নিসা তে যায় । :#) :#)

প্রশংসা অর্থেই বললাম আপু।

ভালো লেখাকে তো ভালোই বলব। আবার বইলেন না টিপিক্যাল কমেন্ট :) প্লাস।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১৯

অগ্নিলা বলেছেন: আমরা বলতাম আমাদের স্কুলে যারা পড়ে তাদের কবরের আজাব মাফ হয়ে যায়! জীবন দশাই এত যন্ত্রণা দেয়! সারাদিন এটা না ওটা না এমন না অমন না!

৩৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৫৩

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: যারা এখন স্কুলে যাবার জন্য ভর্তি পরীক্ষায় যাচ্ছে ..... তাদের জন্য আর কি বলব ????? পোড়া কপাল নিয়ে জন্মাইছে। আর আমরা আরো বেশি বেশি করে পোড়াচ্ছি।

শুধু এতটুকুই বলব। যে জিনিস খুব দ্রুত শুরু হয়, খুব দ্রুত এগুতে থাকে, সে জিনিস খুব দ্রুতই শেষ হয় । .... বাচ্চাগুলার জীবন আর জীবনিশক্তি খুব দ্রুতই ফুরাবে ...

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:২০

অগ্নিলা বলেছেন: কমেন্টে +

৩৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১২

কাব্য বলেছেন: টেইপ রেকর্ডারের, ফিতা ও সাউন্ড-বক্স আর মানুষের ঘিলু ও মুখ কলাম এক জিনিস নাহ - যেমন নয় তুতাপাখি আর মানুষ !!

০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২২

অগ্নিলা বলেছেন: ক্যাইব্ব টিক বলেচ

৩৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

গুরুজী বলেছেন: @ শেখ ইরফান: ভাবতে পারতেচেন না? আহারে, আপনার চিন্তাশক্তি মনে হয় অনেক নিচুস্তরের :|



=p~ =p~ =p~ =p~ =p~

৩৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৩৯

ছায়াপাখির অরণ্য বলেছেন: লেখাটা পড়ে আবার অনুভব করলাম আমার ছোট বোনকে ভিকারুন্নিসা হলিক্রসের জন্য দৌড় না করিয়ে কত ভাল হয়েছে।
ভাল স্কুল, এই নিয়ে আমার মনেও হয়ত খানিকটা 'লোভ' ছিল, যদি বোনটা চান্স পায়!

শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করার চেয়ে শ্রেষ্ঠত্বে তকমা লাগানো বেশি সোজা বলে?


এ অংশটুকু পড়ে 'লোভ'টাকে পুরোপুরি বিদায় করতে পারলাম। :)


আর ৩৪ নং কমেন্টে শেখ ইরফান সাহেবের সমস্যাটা কি বুঝলাম না।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩২

অগ্নিলা বলেছেন: ভালো স্কুলে পড়া ভালো, কিন্তু অসুস্থ্য প্রতিযোগিতা ভালো না

৪০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:১৭

ফারহান দাউদ বলেছেন: একটু নাক গলাই। পুরো লেখাটাতেই কোন দ্বিমত নেই। নিজে পড়েছি আইডিয়াল স্কুলে, অবশ্য ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই ভর্তি হয়েছিলাম কিন্তু তখনো অতটা প্রতিযোগিতা ছিলনা। এরপর যতই দিন গেছে দেখেছি আইডিয়াল বা ভিকারুন্নিসার মত স্কুলগুলোতে ভর্তির দৌড়টা অসুস্থতার পর্যায়ে চলে গেছে। একই সাথে, টিউশনির অভিজ্ঞতা থেকে জানি, স্কুলগুলোর শিক্ষকরা ব্যবসায়ী হয়ে গেছেন, কারণ পড়াতে গিয়ে বারবারই মনে হয়েছে আমাদের সময় শিক্ষকরা যতটা যত্ন নিয়ে পড়াতেন তার ১০ ভাগের ১ ভাগও এখনকার দুর্ভাগা ছেলেমেয়েগুলো পায় না, যদি পেত তাহলে আমাদের কাছে তাদের পড়তেই হতো না। এর পেছনে অভিভাবকদের যথেষ্ট দায় আছে, যে কোন উপায়েই হোক ছেলেমেয়েদের ভাল ফল (জিপিএ ৫) করাতে হবে, আর সেজন্য স্কুলগুলোর শিক্ষার মানের উপর নজর না দিয়ে বরং অর্থ দিয়ে শিক্ষা কেনার দিকেই তাদের চোখ বেশি। কাজেই শিশুদের আর শৈশব নেই, যে সময়টায় আমরা কলোনির মাঠে খেলে বেড়াতাম ঐ সময়টা তাদের কাটে প্রাইভেট পড়ে। আর ক্লাস ওয়ানেই ভর্তি হয়নি এমন একটা বাচ্চার উপর কি অমানুষিক চাপ, দেখতেও খারাপ লাগে। শুধুমাত্র যার বাপ-মা এর ৫ বছরের একটা বাচ্চার পেছনে হাজার হাজার টাকা খরচ করার সামর্থ্য আছে তারাই তথাকথিত ভাল স্কুলগুলোতে পড়তে পারছে, ন্যাচারাল ট্যালেন্টগুলো আর উঠে আসছে না, স্কুলগুলোও ব্যবসা করে খুশি, পড়াশোনার দিকে আর খেয়াল নেই। সব মিলিয়ে, লটারি সিস্টেমটা একটা ভাল পদক্ষেপ বলেই মনে হয়েছে, যদিও এখানেও অভিভাবকদের আপত্তি, কিন্তু আখেরে এটা ভাল ফল দেবে বলেই মনে হয়।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৯

অগ্নিলা বলেছেন: আমাকে বাড়ি থেকে কোন মানসিক চাপ দেয়া হোত না, সামান্য শাসনও না। কিন্তু ভিকারুননিসায় ভর্তির সময় নিজেই অমানবিক রকম পরিশ্রম করতাম, এক সময় অসুস্থ হয়ে পরেছিলাম। এমনি বাসায় চাপ দেবার প্রথা নাই তার উপর মেয়ের অবস্থা দেখে কেউ কখনও রিস্কটা নেয়ই নাই।

কঠিন সত্য। শিক্ষকতা পেশার আদর্শ বলে এখন আর কিছু নাই। কসাই দের সাথে বাস্তবিক অমিল খুব কম!

৪১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ইমির বলেছেন: কি আর বলব?সারা জীবন তো আমি আপনাদের প্রতিদ্বন্দ্বীই থেকেই গেলাম। স্কুল গভঃল্যাব আর কলেজ এনডিসি।

৪২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৮

অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: আমি চট্টগ্রামের। পড়তাম ক্যাডেট কলেজে।

@শামসীর: মাইয়াদের দিকে তাকাইতে ডরাব ক্যান? জাস্ট একটু শরম করে B-)

৪৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৯

অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: আমি চট্টগ্রামের। পড়তাম ক্যাডেট কলেজে।

@শামসীর: মাইয়াদের দিকে তাকাইতে ডরাব ক্যান? জাস্ট একটু শরম করে B-)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৭

অগ্নিলা বলেছেন: ক্যাডেট সম্পর্কে কোন ধারণা নাই! আমার জন্য সম্পূর্ণ অন্য জগত!

৪৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১৯

মহিতুল আলম পােভল বলেছেন: কাঠের খাঁচা বলেছেন: এত বড় লেখা পইড়া বিকালের নাস্তা হজম হয়া গ্যাল ।

নাস্তা চাই।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৯

অগ্নিলা বলেছেন: কার কাছে যেতে হবে জানেন না? গিয়া কন। আমারেও নিয়া যাইয়েন। ইদানিং আমারে পাত্তাই দেয় না! :(( :(( :((

৪৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪৬

কাদা মাটি জল বলেছেন: আমি প্রথম ভর্তি পরীক্ষা দিলাম ভার্সিটি ভর্তির সময়। আর এদেরকে দেখলে এখন সত্যি মায়া লাগে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫০

অগ্নিলা বলেছেন: আপনি কি ভাগ্যবান!

৪৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভিকি, এইডা আবার কুন ইউনি? ইলেক্ট্রনিক্সে পিএইচডি আছে নাকি?


ও আইচ্ছা, এইডা স্কুল, ভুইলাই গেছিলাম!



ভালা কথা, এইখান থিকা পাশ কইরা ইদানিংকার মাইয়াগুলান সব প্রাইভেটে যায়, এইটা কি ভালা কথা না মন্দ কথা?

জিনিসটা নিয়া কনফুসিয়াসের মতোন কনফিউজ হইয়া আছি!

৪৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভালা কথা, উপ্রে দেকলাম ভিকির মাইয়াগুলান ডেন্জ্ঞারাস, ঘটনা কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.