“নালিশ করলে বালিশ পাবি, ভাঙ্গা জুতার বাড়ি খাবি”

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২২

প্রিয় পারুল,
আশা করি হাসপাতালের বেডে ভালই আছিস। আমিও সহযোদ্ধাদের নিয়ে ভিষণ ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছি। একটা উড়াল দিয়ে তোকে দেখে আসলে ভালই হতো। কিন্ত এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেড় হাজার কাজ পড়ে আছে। শুনেছি ওরা গিয়েছিল তোকে দেখতে। ওদের মায়াকান্নায় ভুলবিনা। ওদের কান্না মাছের মায়ের পুত্রশোক ছাড়া আর কিছু না। গত দশ বছরে ওরা কত গাড়ি পোড়ালো, কই, তোর জন্য তো একটা গাড়িও পোড়ালোনা।
।
পারুল, প্রিয় ছোট বোন, শুনে খুব খারাপ লাগলো, তুই নাকি উন্নয়নবিরোধী মার্কায় ভোট দিয়েছিস। ৩০ তারিখের ঐতিহাসিক গণজোয়োরের বিপরীতে ছিলি তুই। গণরায়ের বিপক্ষে ছিলি তুই। ফলে গণরোষের মুখোমুখি হয়েছিস তুই। অযথা এত ঝামেলা কেন পাকালি তুই?
।
পারুল, জেনে খুশি হবি, আমাদের এমপিরা সপথ নিয়েছে, মন্ত্রিপরিষদও গঠিত হয়ে গেছে। নতুন উদ্দমে দেশ আবার ছুটতে শুরু করবে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায়। কিন্তু তোর পছন্দের ফখরুলিয়া বাহিনী, কামালিয়া বাহিনী, কাদেরিয়া বাহিনীর কেউ সপথ নেয়নি। তোদের ত্যাগের কোন মূল্যায়নই করলনা দেখলি?
।
পারুল তোকে আরেকটা ভাল খবর দিচ্ছি, ৭১ সালের মা বোনদেরকে ধর্ষণকারী যুদ্ধাপরাধীরা, আর এতিমের টাকা মারা উন্নয়নবিরোধীরা আর কোনদিন ক্ষমতায় আসবে না। কারণ, একতাই বল। বাংলার জনগণ আজ ওদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ,বিজেপি, বি এস এফ, মিডিয়া সবাই আজ একদেহ একপ্রাণ।
।
সুতরাং নারীনির্যাতনকারী অগ্নিসংযোগকারী যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের একটাই কাজ এখন, বিদেশীদের কাছে কেঁদে কেঁদে নালিশ করা। এটা তাদের পুরনো অভ্যাস। গত দশ বছর ধরেইতো নালিশ করলো, “নালিশ করে বালিশ পেলো, ভাঙ্গা জুতার বাড়ি খেলো”। গত দশ বছরে একটা আন্দোলনও করতে পারলো না। ইতিহাসের সুষ্ঠুতম এই নির্বাচনেও চরম ভাবে ব্যার্থ হলো।
।
পারুল, তাই বলছি, আয়। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শামিল হ। তোর দুর্দশা দূর হবে। তা নাহলে তোদের জন্য খুব খারাপ দিন অপেক্ষা করছে।
।
আজ এ পর্যন্তই, ভাল থাকিস।
ইতি তোর শুভাকাঙ্খী

১৭ টি +০/-০