তুমি ছয় বছরের বালিকা, তোমাকে ধর্ষণ করবে ছয়জন পুরুষ মিলে।

০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫০

তুমি ছয় বছরের বালিকা,
তোমাকে ধর্ষণ করবে
ছয়জন পুরুষ মিলে।

অসম্ভব যন্ত্রণায় কাতর
হয়ে দৌড়াবে তুমি,
তারপর আবারো দৌড়াবে পুলিশ স্টেশানের দিকে।

তারপর আর সময় নষ্ট নয়,
তৎক্ষণাৎ সারা পুলিশ স্টেশানের পুলিশ তোমাকে ধর্ষণ করবে,
সারা শরীর জুড়ে নানা প্রশ্ন করে,
বারবার প্রশ্ন করে মজা নিবে সারা রাতভর।

আর তুমি,
মারাত্মক ভাবে ক্ষত বিক্ষত হবে।

বারবার তুমি রক্তাক্ত হবে,
তোমার কান্না ফুপিয়ে ফুপিয়ে উঠবে।
জলাতঙ্ক রোগীর মতো ভয় তোমার সমস্ত সত্তা দখলে নেবে।

কিছু পুলিশ তোমাকে নিয়ে আসবে তোমার মহল্লায়,
সেখানে তোমাকে প্রশ্নের উপর প্রশ্ন করে মানসিক ভাবে
ধর্ষণ করা হবে দফারফা করে।

তোমার মহল্লা
তোমার সমাজ
তুমি ধর্ষিতা বলে ঘৃণার তীর চূড়ে মারবে,
তুমি মুখ লোকাবে,
নিজকে আড়াল করতে চাইবে,
পারবেনা।

তোমার হৃদক্রিয়া বন্দ হয়ে আসতে চাইবে কিন্তু পারবে না,
পুলিশ তোমাকে নিয়ে যাবে হাসপাতালে।
সেখানে তোমার মনে হবে
তোমাকে নিয়ে আসা হয়েছে মৃত্যুর পাতালপুড়িতে।

হাসপাতালে আবার তোমাকে নিয়ে তৈরি হবে
বিনোদন মূলক এক মেডিকেল টিম।

সেই টিমের সবাই তোমাকে উপভোগ করবে বিবস্ত্র করে।

টু ফিঙ্গার টেস্টের নাম করে
তোমার অপ্রাপ্ত জরায়ুতে ঢুকিয়ে দেবে
তাদের সমস্ত কয়টা হাত।

তুমি কাঁদবে
তুমি চিৎকার করবে
তুমি তোমাকে হত্যা করতে চাইবে।

পারবে না কারণ,
তাদের বিনোদন
এখনো শেষ হয়নি তোমাকে নিয়ে।

যখন বিনোদন শেষ হবে
তখন শুরু হবে আরেক রঙ্গমঞ্চ,
আদালত।

যেখানে থাকবে কালো পোশাক পড়া অনেক
মিথ্যুক নিপুন অভিনেতা,

নিপুন ভাবে ফুটিয়ে তুলবে তোমাকে ধর্ষণ করার প্রক্রিয়া।

পুনঃ পুনঃ আলোচনায় আনবে তোমার ভিতরে
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটে যাওয়া বিক্রিয়া,
যে আলোচনা চলতে থাকবে বছরের পর বছর।

তোমার বৃদ্ধ বাবা এই রঙ্গমঞ্চ বন্ধ করতে চেষ্টা চালাবে
মৃত্যুর ঠিক পৃর্ব মূহুর্ত অবধি,
কিন্তু পারবেন না।

বেশ অনেক পরে,
তোমার পুরুষ শাসিত সমাজ,
তোমার পাশে এসে দাড়াবে,
ধর্মীয় কিছু নোংরা বানোয়াট বাণী নিয়ে।
যাতে উল্থাপন করা হবে
ধর্ষণের সময় তুমি
অসম্ভব ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত হওয়ার বদলে
কোন সুখ পেয়েছিলে কিনা?

তারপর ফলাফল এই ......?

২ টি +০/-০