নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে সুন্দর করে হাসতে জানে না,সে মন খুলে ভালোবাসতে জানে না।

Omar Ali Ashraf

আমি একজন মুসলিম

Omar Ali Ashraf › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলায় বাজে গির্জার বাঁশি

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২১


ওমর আলী আশরাফ

আমরা গর্ব করে বলি, বাংলাদেশ মুসলিমপ্রধান দেশ। আমাদের রাজধানী এখনো মসজিদের শহর হিসেবে পরিচিত। এদেশের গ্রাম-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায়; এমনকি গভীর অরণ্যেও মসজিদের দেখা মেলে।
কিন্তু যখন আমি পত্র-পত্রিকায় দেখলাম দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষ দলে দলে খ্রিস্টান হয়ে যাচ্ছে, তখন সত্য দেখার জন্য আমি সফর শুরু করি এবং টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া—বাংলাদেশের যত জায়গায় গেছি, আমার মনে হয়েছে মসজিদের আলো ম্লান করে দিয়ে অনবরত বাজতে থাকা গির্জার ঘণ্টাধ্বনি তীব্র থেকে ঝাঁঝাল হচ্ছে।
কোথাও দেখেছি এলাকার চেয়ারম্যান নিজেই খ্রিস্টান হয়ে গেছে, কোথাও শুনেছি মসজিদের ইমাম সাহেব খ্রিস্টান। উপজাতিদের প্রায় ৯৫ শতাংশকেই খ্রিস্টান বানিয়ে ফেলেছে এনজিও ও মিশনারি সংস্থাগুলো। ভাগ্যবিড়ম্বনায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদেরও দলে দলে খ্রিস্টান বানিয়ে ফেলছে এনজিওরা। অথচ যে ঈমানের জন্য এরা নিজ দেশের সেনা বাহিনী কর্তৃক হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয়ে বিতাড়িত অবস্থায় পালিয়ে এসেছে বাংলাদেশে, এনজিও ধূর্ত সংস্থাগুলো কৌশলে তাদের সেই সম্পদই কেড়ে নিচ্ছে। নোয়াখালীর মতো আলেম-ওলামা প্রভাবিত এলাকায় তারা ছেলেমেয়েদের একত্রে বসিয়ে প্রজেক্টরে ভিডিও ফুটেজ প্রদর্শন করে যৌন ও প্রজনন শিক্ষা দেয়। যশোরের সদরে গাড়ি থেকে নেমেই দেখি রাস্তার এপাশে গির্জা, ওপাশে হাসপাতাল, সামনে স্কুল, ডানে গোরস্তান, পেছনে সোসাইটি প্রভৃতি।

পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে পৃথক করে আলাদা রাজ্য গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে বসবাসকারী উপজাতিদের দলে দলে খ্রিস্টান বানানো হচ্ছে। এদেরকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে 'বাঙালি', 'মুসলমান', এবং 'সেনাবাহিনী'র বিরুদ্ধে। নেত্রকোণায় গিয়ে দেখি সেখানেও যাদের খ্রিস্টান বানানো হয়েছে, বড় অংশটি উপজাতি। সোমেশ্বরী নদীর ওপাশে পাহাড়ের চূড়ায় তারা গড়েছে ভিন্ন জগত। বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িতেও দুর্গম পাহাড়ের সুউচ্চ তুলিতে, গভীর ও ঘন অরণ্যে তারা গড়ে তুলেছে তাদের জগত।
বিভিন্ন জায়গায় তারা স্কুল করেছে, সেখানে ছাত্র আর তাদের অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারোরই ঢোকার অনুমতি নেই। কী করে তারা সেখানে? কেউই জানে না। সাধারণ মানুষের পক্ষে জানার উপায়ও নেই।
দেশের মানুষকে তারা অর্থ দিচ্ছে খাদ্য দিচ্ছে ঘর দিচ্ছে শিক্ষা দিচ্ছে চিকিৎসা দিচ্ছে, বিনিময়ে কেবল গির্জায় যাবার দাওয়াত দিচ্ছে। খ্রিস্টান হলেই প্রতি মাসে নগদ পাঁচ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। যে সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, তাদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা অনেক বড় ঘটনা।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সফর করে আমি যে চিত্র দেখেছি, তার বর্ণনা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছি "বাংলায় বাজে গির্জার বাঁশি" বইতে। আমার দেখাতেই ক্ষ্যান্ত থাকিনি, একই তথ্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে রেফারেন্সসহ উল্লেখ করেছি। খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ থেকে প্রমাণ করেছি, এই ধর্মান্তরকরণ তাদের ধর্মই সমর্থন করে না; খ্রিস্টবাদটাই বিকৃত। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে সংক্ষেপে উদ্ধৃতি টেনে প্রমাণ করেছি, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই শেষ নবী। ইসলাম সত্য এবং খ্রিস্টবাদ বিকৃত।
তারপর কীভাবে আপনি একজন হিন্দু ভাইকে ইসলামের দাওয়াত দেবেন, একজন পাদ্রীকে প্রশ্ন ছুঁড়ে আটকে দেবেন, একজন পুরোহিতকে তার ধর্মগ্রন্থ থেকেই বুঝিয়ে দেবেন কোনটা সত্য আর কোনটা বাতুল, রেফারেন্সসহ উল্লেখ করেছি এখানে।
আমি কেবল চেষ্টা করেছি আপনাদের জানাতে, আপনাদের সামনে গোটা বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরতে। আমি দেখাতে চেয়েছি, খ্রিস্টানরা এ ভূমি শাসন করেছে, আবারও তারা এ ভূমি খ্রিস্টরাজ্য বানাতে চাচ্ছে। মানুষকে তারা নানাভাবে আকৃষ্ট করে নিজেদের অনুগত করছে। অনেকটা হ্যামিলনের বাঁশিঅলার মতো। তার বাঁশিতে বাচ্চারা শহর ছেড়েছিল, এদের বাঁশিতে মানুষ ধর্ম ছাড়ছে। জায়গায় জায়গায় তারা গির্জা গেঁড়ে অনবরত বাজিয়ে যাচ্ছে ধর্মান্তরকরণের বাঁশি।

-
ওমর আলী আশরাফ
email : [email protected]
১০.১২.১৮ ঈ.

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৫

Omar Ali Ashraf বলেছেন: বই : বাংলায় বাজে গির্জার বাঁশি
লেখক : ওমর আলী আশরাফ
ভূমিকা : মুফতি যুবায়ের আহমদ (দাওয়াহ ইনস্টিটিউট, মান্ডা, ঢাকা)
প্রচ্ছদ : আবুল ফাতাহ মুন্না
প্রকাশক : বইকেন্দ্র
বিস্তারিত জানতে ও অর্ডার করতে ক্লিক করুন এই লিংকে : https://goo.gl/forms/NOgW2F7Km5s6BW982

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.