![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ছোট্ট ছেলে সারাজীবন এভাবেই ছোট থাকতে চাই! এখন থেকেই ছোট ছোট স্বপ্ন নিয়ে আমার ছোট্ট বুকটা বেঁধেছিলাম কিন্তু স্বপ্ন দেখলেইযে তা বাস্তব হবে এমনতো কোনো কথা নেই..!!! স্বপ্ন পুরনের সুযোগ আল্লাহতো আমাকে নাও দিতে পারে..!!! হুমম.... আমার জীবনটা এমনই... শুধু স্বপ্নই দেখতে শিখেছি,পুরন করতে নই.! দুনিয়াইতো আর দুঃখি মানুষের অভাব নাই! আমিও হয়তো তাদেরই একজন! এরপরও ভালোই আছি.. .. কারণ কিছু ভালো বন্ধু এখনও আমার পাশে আছে.! ওদের জন্যই সব দুঃখ ভুলে এখনও প্রাণ খুলে হাসতে পারি! স্বপ্ন দেখি সুখী মানুষ হওয়া
ছাত্রলীগ আমার এক
সময় প্রানের সংগঠন
ছিলো। নিজেকে ধন্য
মনে করতাম
মুজিবিয়আদর্শের
একজন সৈনিক
হিসাবে।
তখন আমার চিন্তা
চেতণা, ধ্যান ধারনা
ছিলো ছাত্রদের
উপকার সাধনের
মাধ্যমে তথা দেশের
সকল গরিব দূঃখি
মানুষদের জন্যে
নিজেকে উৎসর্গ করা।
যোগ্য সম্মননা সরুপ
তারা উপহার
দিয়েছিলো
ভান্ডারিয়া উপজেলা
ছাত্রলীগের
কমিটিতে উপ স্কুল
ছাত্র বিষয়ক
সম্পাদক হিসাবে স্থান
দিয়ে।
.
আমি যাদের সাথে
রাজনীতিতে নিজেকে
মণোনিবেশ
করেছিলাম তাদের
সকলেই ছিলো (আমার
কাছে) এক এক জন
রাজনৈতিক হিরো।
আজও তারা আমার
কাছে তেমনটি আছেন,
যেমনি পূর্বে ছিলেন।
তাদের প্রতি আমার
শ্রদ্বা, ভালবাসা
এখনো অটুট আছে।
.
কিন্তু হঠাৎ আমার
বিবেকের কাছে আমি
হেড়ে গেলাম। আমি
উপলব্দি করতে
লাগলাম যে,
বাংলাদেশের কোনো
দলই আমার মনবাসনা
পূর্ণ করতে পারবে না।
.
আমি দেখলাম,
পিলখানার বিডিয়ার
বিদ্রহ, রাস্তায়
প্রকাশ্য খুন, হরতালে
গাড়ি ভাংঙচুর।
শুনলাম, শত শত
বোনের ধর্ষনের
কান্না, রানা প্লাজা
ধংসে কতো নিরীহ
মানুষের আর্তনাদ,
ঘুষের জন্যে শত শত
বেকারের যুবকের
আত্মহত্যার খবর,
শ্রমিকের উপর যুলুম,
শিক্ষকের উপর
অত্যাচার, কাওমি
মাদ্রাসার ছাত্রদের
অবহেলা, মাদকের
কবলে ঐশির পিতা
মাতার অকাল মিত্যু।
শুনলাম, পদ্মা সেতু
নিয়ে দূনীতি, শেয়ার
মার্কেট কেলেঙ্কারি,
বিদ্যুৎ নিয়ে
ছিনিমিনি।
দেখলাম, র্নিবাচনে
কারচুপি, বাংলাদেশ
ব্যাংঙ্ক সাইবার
ক্রাইমের মাধ্যমে
লুটপাট, সাংবাদিক
সাগর রুমি হত্যা,
বিশ্বজিৎ হত্যা,
চুরির দায়ে ছোট
বাচ্চাকে বেঁধে
পিটানো, প্রকৃত
মুক্তিযোদ্ধাদের
বঞ্চিতকরণ,
চাঁদাবাজি
টেন্ডারবাজি, শিক্ষা
ক্ষেত্রে দূনীতি,
ঘুষের মাধ্যমে চাকরি,
আরো কতো কি !
.
ও হ্যা সবচেয়ে বেশি
হতাশ হয়েছিলাম,
শাহবাগে কিছু ইসলাম
বিরুধি ব্লগার
আমাদের নবী করিম
স: কে কটুক্তি করে
লেখালেখি করেও
বিচারের আওতায় না
এনে যখন প্রটোকল
পাচ্ছিলো। এবং তার
মিত্যূর পর সংসদে
শোক পালন করা
হয়েছিলো। অসহায়
লেগেছিলো তখন।
.
তবুও আমি তখন চুপ
রয়ে গেছি।
ভেবেছি আমার
ছাত্রলীগ, আমার
সংগঠন একদিন ঠিকই
উপলব্দি করবে।
ঠিকই সরকারকে সৎ
পথে আনতে সাহায্য
করে যাবে, কিন্তু
তারা করে নি, পারে নি।
এমনকি আজ পর্যন্ত
তারা কেউ এইসব
ব্যপারে কর্নপাত
করছে না।
ক্ষমতার লোভে, নাকি
অন্য কিছু এটা আমার
মতো মূর্খের মাথায়
ধরা পরছে না।
.
তখন আমার কাণে
কুরআনের কিছু বাণী
ভেসে আসে। আমার
চোঁখে দেখতে পাই
সত্যের পথ। আমার
পিপাসা মেটানোর জ্বল
খুজে পাই। হযরত
মুহাম্মদ স: এর জীবনি
আমাকে উত্তম
রাজনীতি এর উদাহরন
দেখায়। বিধাতার পথ
কতটা প্রশান্ত
করেছে আমায় তা
আপনারা উপলব্দি
করতে পারবেন কিনা
যানি না !
তবে আমি একমাত্র
কুরআনের র্নিদেশিত
পথ অনুশরন করা বিনে
এই দেশের উন্নতি
আশা করি না।
.
হঠাৎ করে রাজনীতি
থেকে চলে আসায়
আমার কোনো আফসুস
নেই। বরং কুরআনের
সঠিক পথ খুজে পেয়ে
অনেক আনন্দিত।
মিত্যুর পূর্ব পর্যন্ত
যেনো এই পথ অনুসরন
করে দেশ ও ইসলামের
কল্যান করতে পারি
সেই স্বপ্নি দেখি
প্রতিরাতে।
.
পূর্বে প্রতিরাতে
আমার চোঁখজোরা
রাজনীতি ছাড়াও
কোনো এক নারীর
প্রতি তিব্র
ভালবাসায় বিভোর
ছিলো। কস্টে কাতর
ছিলো বুকের পাজর।
লিখা শুরু করলাম
প্রেমের কাব্য, কবিতা
আর গল্প। লিখতে
লিখতে এক সময় ধর্ম
কর্মের উপর আস্থা
হাঁরিয়ে ফেলেছিলাম
আমি। কিন্তু আল্লাহ
আমাকে রক্ষা
করেছেন। আমার
চোঁখকে অন্ধকার
থেকে আঁলোর পথ
দেখিয়েছেন কুরআনের
মাধ্যমে। আমি তখন
থেকে আজ পর্যন্ত
সজ্ঞানে এমন কোনো
লেখা লিখিনি যেটা
আমার প্রতিপালক এর
র্নিদেশ এর বিপরিথে
যায়। লিখবো না আর
কখোনোই। কারণ সত্য
এখন আমার অন্তরে
প্রবেশ করেছে। তাই
মিথ্যা লেজ গুটিয়ে
পালিয়েছে।
.
অনেকেই ভাবে, আমি
শিবির কর্মি !
আমি সাম্যবাদি !
আমি কোনো ধর্ম
বিদ্বেষি !
.
তাদের বলছি, আমি
কোনো শিবির কর্মি
না, আমি সাম্যবাদি
কিংবা কোনো ধর্ম
বিদ্বেষি ও না,
আমাকে কেউ (মানুষ)
ব্রেইন ওয়াশ করেনি।
.
আমার ব্রেইন ওয়াশ
করেছে কুরআনের
বাণীগুলো।
মহান আল্লাহ আমাকে
কবুল করুক, সত্যের
পথ অনুসরণের একজন
পথিক হিসাবে, ও তার
কৃতদাশ হয়ে মানুষের
সেবা করে যেতে পারি,
যেমনিটি তিনি
বলেছেন।
.
আমার একাল ও সেকাল সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিলাম.
.
এই অধম, আপনাদের
কাছে দোয়া প্রার্থি! ;-(
©somewhere in net ltd.