নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মত মানুষ হবার ইচ্ছায় জগতে বিচরন করছি.....

ওমর আল হাসান

আমি এক ছোট্ট ছেলে সারাজীবন এভাবেই ছোট থাকতে চাই! এখন থেকেই ছোট ছোট স্বপ্ন নিয়ে আমার ছোট্ট বুকটা বেঁধেছিলাম কিন্তু স্বপ্ন দেখলেইযে তা বাস্তব হবে এমনতো কোনো কথা নেই..!!! স্বপ্ন পুরনের সুযোগ আল্লাহতো আমাকে নাও দিতে পারে..!!! হুমম.... আমার জীবনটা এমনই... শুধু স্বপ্নই দেখতে শিখেছি,পুরন করতে নই.! দুনিয়াইতো আর দুঃখি মানুষের অভাব নাই! আমিও হয়তো তাদেরই একজন! এরপরও ভালোই আছি.. .. কারণ কিছু ভালো বন্ধু এখনও আমার পাশে আছে.! ওদের জন্যই সব দুঃখ ভুলে এখনও প্রাণ খুলে হাসতে পারি! স্বপ্ন দেখি সুখী মানুষ হওয়া

ওমর আল হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

“সংবিৎ”-জাকারিয়া মাসুদ

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৪১



“সংবিৎ”—বইটায় যা যা থাকবে, তার সংক্ষেপ বর্ণনা :

(১) দ্যা স্টান্ডার্ড :
এই গল্পটায় আপনি জানতে পারবেন, কেনো আমাদের ওহীকে অনুসরণ করতে হবে? কেনো ওহীকে সকল কাজের স্ট্যান্ডার্ড ধরতে হবে?

(২) নিরীশ্বরবাদের অন্তরালে :
এই গল্পটায় আপনি জানতে পারবেন, নাস্তিকদের প্রিয় ‘মানবধর্ম’, সমাজতন্ত্রের অসার দিক ও নাস্তিকদের সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে। নাস্তিকদের থাবা কতোটা বিষাক্ত হতে পারে, সেসম্পর্কে।

আরো জানতে পারবেন, যুগে যুগে নাস্তিকরা ইতিহাসের পাতাকে কীভাবে রক্তাক্ত করেছে। কীভাবে স্ট্যালিন, লেনিন, মাও সেতুং, পল পট, মেগগিস্টো হেইলি মারিয়ামের মতো নাস্তিকরা হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে? কীভাবে নির্যাতন চালিয়েছে অসহায় নীরিহ মানুষদের ওপর?

জানতে পারবেন নাস্তিক্যবাদ, সমাজতন্ত্র সম্পর্কে Harrison E. Salisbury, Pope Pious, Sir Samuel Francis, Nicolas Werth, Jean-louis Pann, Andrzej Paczkowski, Karel Bartosek, Jean-Louis Margolin সহ বড় বড় ইতিহাসবিদ ও সমাজ-বিজ্ঞানীদের মন্তব্য।

(৩) ডারইউনিজম—সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর :
ডারউইন তার ‘The Origin of Species’—বইতে বুঝাতে চেয়েছেন, প্রকৃতিতে তারাই টিকে থাকবে—যারা অধিক শক্তিশালী। অপেক্ষাকৃত দুর্বলরা নিঃশেষ হয়ে যাবে। এটাই নাকি প্রকৃতির সাধারণ নিয়ম! এই আত্মঘাতী মতবাদ—সাম্রাজ্যবাদী, পুঁজিবাদী ও অন্যান্য বস্তুবাদী সমাজগুলো গ্রহণ করে। যে সমাজগুলো নীতিহীন, শোষণমূলক রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রবর্তক ছিলো।

এই রাজনৈতিক ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে—বৈজ্ঞানিক যুক্তিরও দরকার ছিলো। ডারউইনের বক্তব্যের মধ্যেই তারা তথাকথিত বৈজ্ঞানিক যৌক্তকতা খুঁজে পেয়েছিলো। এ মতবাদকেই তারা দুর্বলদের ওপর অত্যাচার চালানোর—প্রাকৃতিক কারণ হিসেবে চালিয়ে দিতো।

এ গল্পটা আপনাকে ডারউইনিজমের কালো থাবা সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে। জানতে পারবেন, Stephen Jay Gould, Jacques Barzun, Kenneth J. Hsu, James Joll সহ বড় বড় শিক্ষাবিদ, গবেষক ও ঐতিহাসিকগণ ডারইউনিজমকে কীভাবে চিত্রায়িত করেছেন।

(৪) পাতানো ফাঁদ :
নোবেল বিজয়ী মানবাধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থী মনে করেন, “বিশ্বব্যাপী আয় বৈষম্য—অর্থনৈতিক সহিংসতার রূপ পেয়েছে। এই সহিংসতা মানবজাতির নিরাপত্তা ও শান্তির জন্যে বড় ধরনের হুমকি।”

ধনী দেশগুলোর বাৎসরিক মাথাপিছু আয়—এক লাখ ডলার। আর দরিদ্র দেশগুলোর মাত্র মাথাপিছু আয়—এক হাজার ডলার। যাদের মধ্যে ২০% এর দৈনিক আয় হলো ১.২৫ ডলারেরও কম। পৃথিবীতে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কী হারে বাড়ছে, তা আন্দাজ করার জন্যে—এই একটি পরিসংখ্যানই যথেষ্ট।

এই গল্পে আপনি আরো জানতে পারবেন, কীভাবে মাত্র আট জন লোকের হাতে—বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ আটকে আছে? কীভাবে ধনী দেশগুলোর কাছে বন্দী আছে—মোট সম্পদের ৯৪ ভাগ? কীভাবে দরিদ্র দেশথেকে থেকে ওরা প্রতি বছর ২ ট্রিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে?

(৫) সমকামিতা—একটি বৈজ্ঞানিক ও তাত্ত্বিক অনুসন্ধান
সমকামিতাকে সহজলভ্য করার জন্যে আমেরিকাকে আজ চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। আমেরিকা এক যৌন বিকারগ্রস্ত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যৌনরোগ সেখানে মহামারি আকার ধারণ করেছে। ওদের ৬৫ মিলিয়ন নাগরিক—বিভিন্ন যৌনরোগে আক্রান্ত। শুধুমাত্র HIV-তে আক্রান্ত—১.২ মিলিয়ন নাগরিক। যার ৫৪% সমকামী।

আমেরিকার মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩.৫% হলো সমকামী। শুধুমাত্র ২০১২ সালে প্রায় পনেরো হাজার এইডস’র রোগী মারা যায়। যাদের মধ্যে ম্যাক্সিমামই হলো—গে অথবা লেসবিয়ান। যৌনরোগুলোর ৫৭% সমকামীদের দ্বারা ছড়ায়।

তুলনামূলক অনুপাতে সমকামীরা একেবারেই নগণ্য, কিন্তু সংক্রমণের দিক থেকে এরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
নাস্তিকতা আর সমকামিতা যেন সমানুপাতিক সম্পর্ক। এই গল্পে আপনি জানতে পারবেন, সমকামীদের অসার দাবিগুলো সম্পর্কে। জানতে পারবেন সমকামিতা নিয়ে অভিজিৎ রায়ের মিথ্যাচার সম্পর্কে। আরো জানতে পারবেন, সমকামিতার ফলে কী কী রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?

(৬) অভিশপ্ত সভ্যতার আর্তনাদ :
FBI-এর দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, আমেরিকায় প্রতি ২৬.২ সেকেন্ডে একটি ভায়োলেন্ট ক্রাইম, প্রতি ৩৬ মিনিটে একটি হত্যাকাণ্ড, প্রতি ৬ মিনিটে একটি ধর্ষণ, দেড় মিনিটে একটি ডাকাতি, সাড়ে তিন সেকেন্ডে একটি প্রোপার্টি ক্রাইম, ৪২ সেকেন্ডে একটি আক্রমণাত্মক ঘটনা, ১৪ সেকেন্ডে একটি ছিঁচকে চুরি, ৪৪ সেকেন্ডে একটি মোটরযান চুরি এবং ৫ সেকেন্ডে একটি অপহরণের ঘটনা ঘটে।

পাশ্চাত্য সভ্যতার এরূপ আরো অনেক অজানা দিক আপনার সামনে পরিস্কার হবে। আপনি জানতে পারবেন পাশ্চাত্যের ভোগবাদী সভ্যতার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে।

(৭) মানবী—ইসলাম বনাম আধুনিক বিজ্ঞান :
উইল ডুর‌্যান্ট তাঁর লেখা ‘The Pleasures of Philosophy’ বইতে বলেছেন-“নারীর সতীত্ব তার সন্তান জন্মদানের লক্ষ্যের সেবায় নিয়োজিত। কারণ নিজেকে আড়াল বা আবৃত করে রাখার কায়দায় সে যে নিজেকে বিরত রাখে; তা তাকে বিপরীত লিঙ্গের সাথী বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে। সতীত্ব নারীকে স্বীয় প্রেমিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে অর্থাৎ কাকে সে স্বীয় সন্তানদের পিতৃত্বের গৌরব প্রদান করবে—তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে অধিকতর সক্ষম করে তোলে। সমষ্টির ও মানব জাতির স্বার্থ নারীর মুখে কথা বলে, ঠিক যেভাবে ব্যক্তির স্বার্থ পুরুষের কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসে।”

উইল ডুর‌্যান্ট, প্রফেসর রিক, ড. ডাল্টন সহ আরো অনেক মনোবিজ্ঞানী, বিজ্ঞানী, দার্শনিকগণের মন্তব্য এ গল্পে আপনি জানতে পারবেন। জানতে পারবেন, যারা নারী-পুরুষকে সব ক্ষেত্রে সমান করতে চায়—তাদের দাবির অযৌক্তিকতা সম্পর্কে।

বাংলার বিশষ্ট নাস্তিক—হুমায়ুন আজাদ। যিনি নিজেই নিজের লেখাগুলো নিয়ে গর্ব করতেন। নিজেকে অনেক বড় ভাষাবিজ্ঞানী মনে করতেন। অনেক বড় লেখক মনে করতেন। অথচ তিনি অনেক ক্ষেত্রেই অন্যের লেখা চুরি করে নিজের নামে চালিয়েছেন।

এই গল্পে আপনি হুমায়ুন আজাদের চৌর্যবৃত্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন। উপযুক্ত প্রমান ও দলিল সহকারে তার চৌর্যবৃত্তি নিয়ে এ গল্প সাজানো হয়েছে। আরো জানতে পারবেন ইসলাম সম্পর্কে তার মিথ্যাচার সম্পর্কে।

(৯) অজানা অধ্যায়ের সুসমাচার—১ :
খ্রিষ্টান মিশনারিরা প্রতিনিয়ত ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও মিথ্যাচার ছড়িয়ে যাচ্ছে। ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু তাদের ধর্মের সন্ত্রাসী কর্মগুলোকে চিরকালই আড়াল করে রেখেছে। এই গল্প আপনাকে বাইবেলের ঐসব ভার্স সম্পর্কে ধারণা দেবে, যেগুলো তারা সব সময় গোপন করে রাখে।

(১০) বাইবেলের বৈপরীত্য—১ :
মথি থেকে জানা যায়, যোষেফের পিতা যাকোব। কিন্তু লূক বলছে, যোষেফের পিতা এলি। মথি বলছে, যীশু দাউদের পুত্র শলোমনের বংশধর। কিন্তু লূক থেকে জানা যায়, তিনি দাউদের পুত্র নাথনের বংশধর। মথির বর্ণনায়, দাউদ থেকে যীশুর পুর্বপুরুষরা সবাই রাজা ছিলেন। লূকের বর্ণনায় দাউদ ও নাথন ছাড়া কেউই রাজা ছিলেন না। আবার মথিতে আছে—যীশুর পূর্বপুরুষ শল্টীয়েলের পিতার নাম যিকনিয়। কিন্তু লূক বলছে, শল্টীয়ের পিতার নাম নেরি। মথিতে সরুব্বাবিলের পুত্রের নাম অবীহূদ বলা হয়েছে। লূকের বর্ণনায় তাকে রীষা বলা হয়েছে।

বাইবেলের এইরূপ আরো অনেক বৈপরীত্য সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে এই গল্পটি।

(১১) রোজনামচা :
এ গল্প সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই বলবো না।

(১২) মতিভ্রম :
নাস্তিকরা দু তিনটা আয়াত পড়েই, কোরআনের ভুল ধরতে আসে। কোরআনের অনেক আয়াতকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে। এরপর সেসব আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। তেমনি কিছু আয়াতের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে, এ গল্পে।

(১৩) স্বপ্নলোক :
কেউ যদি আমায় জিজ্ঞেস করে, এই বইয়ের কোন গল্পটি আপনার সবচে’ বেশি ভালো লেগেছে? আমি নির্দ্বিধায় বলবো—‘স্বপ্নলোক’।

(১৪) সংবিৎ :
৩০ পৃষ্টার এ গল্পটাই শেষ গল্প। এ গল্প আপনাকে অনেক কিছু উপলব্ধি করতে শেখাবে ইনশাআল্লাহ। কী কী উপলব্ধি করতে শেখাবে, তা পড়লেই ইনশাআল্লাহ বুঝতে পারবেন।


চলছে প্রি-অর্ডার। চাইলে প্রি-অর্ডার করতে পারেন। প্রি-অর্ডার লিংক :
https://www.rokomari.com/book/155260/সংবিৎ?ref=srac_p0

#Copy from facebook. BY writer: Jakaria Masud.

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.