![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখেও তবু দেখছি না তো অন্যায়-অবিচারের দ্বন্দ্ব, কেউ শুধালে যাচ্ছি বলে আমি আসলে অন্ধ।
রাশিয়া ফেব্রুয়ারিতে কৌশলগত কারণে "কায়িভ" থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়।
কায়িভ-এ রাশিয়ান সৈন্য ও অস্ত্রের সংখ্যা ইউক্রেনের চেয়ে বেশি থাকা সত্ত্বেও ইউক্রেনের কড়া প্রতিরোধের শিকার হয়। যুদ্ধে অগ্রগতি না হওয়ায় অপমানিত হয়ে পিছু হটে রাশিয়া।
এপ্রিলে ব্লাক সী তে থাকা তাদের ফ্ল্যাগশিপ "মস্কভা" "দুর্ঘটনাবশত" ধ্বংস করে ডুবিয়ে দেয়। রাশিয়ার ভাষ্যমতে অস্ত্রে আগুন লেগে জাহাজ ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছিল। পরে জাহাজটি ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। কিন্তু ইউক্রেনের ভাষ্যমতে তাদের নেপচুন অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের আঘাতে ধ্বংস হয় জাহাজটি।
জুনে ইউক্রেন হতে দখলকৃত "স্নেক আইল্যান্ড" থেকে "শুভ ইচ্ছা'র" চিহ্ন হিসেবে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়। স্নেক আইল্যান্ড ইউক্রেনের উপকূলে আক্রমণের জন্য ভালো অবস্থান ছিল। কিন্তু ঠিক কি কারণে স্নেক আইল্যান্ড ছেড়ে দেয় তা পুতিনের ভালো জানা।
সম্প্রতি রাশিয়ার ফ্রন্টলাইনের কিছু সৈন্য বিদ্রোহ করে বসে যুদ্ধে না যাওয়ার জন্য। সৈন্যদের মাঝে শৃঙ্খলা থাকলে এরকম হওয়ার কথা না। এখন রাশিয়া কৌশলগত কারণে "খারসন" থেকেও সরে পড়ার ঘোষণা দিছে। যদিও অধিকাংশ অঞ্চল এখনো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আছে কিন্তু ইউক্রেনের মধ্যে জোশ এসেছে এই খবরে। পাল্টা আক্রমণ জোরদার করেছে ইউক্রেন। খারসন পুরোপুরি ছেড়ে দিলে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া আক্রমণের সুযোগ এসে যাবে। এতদিনের যুদ্ধে তেমন কোন অর্জন নেই রাশিয়ার। খারসন একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী যা রাশিয়া এতদিনে দখল করতে পেরেছে। আর তা ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে রাশিয়া কেবল অপমানিত হয়েছে বিশ্বের কাছে। বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসেবে দেখা রাশিয়ার এরকম রূপ কেউ আশা করেনি।
পুতিনের একের পর এক এরকম কাজকর্মে শেষ পর্যন্ত তার কৌশলগত ব্যর্থতা স্পষ্ট হচ্ছে। অন্যান্য দেশের চাপ আছে, সাথে নিজের সৈন্যরাই তার সাথে প্রতারণা করছে। যুদ্ধ শেষ হয়নি এখনো, তবে পুতিন যে লক্ষ্যে ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অধিক এখন। যদি তাই হয় তবে এই যুদ্ধে লাভ-ক্ষতির পাল্লায় রাশিয়ার লাভের পাল্লা হবে শূন্য। আর যুদ্ধের পরবর্তী পরিণাম আছে। রাশিয়া যুদ্ধে দুর্বল হয়ে পড়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন পুনর্গঠনের স্বপ্ন দেখা পুতিন রাশিয়া কে এরকম কোণঠাসায় ফেলে দিবে তা আমার জন্য আশ্চর্যের ছিল বটে। তবে তার এই ব্যর্থতার মাসুল শীঘ্রই দিতে হবে।
১২/১১/২০২২
অন্ধঘোড়া
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৫
অন্ধঘোড়া বলেছেন: ক্ষমতার লড়াই মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য। যুদ্ধ অতীতে হয়েছে, সামনেও হবে। তবে রাজনীতি আসলে খুবই নোংরা বিষয়।
জিলেন্সকি হিরো সাজার জন্য আমেরিকার মদদে এই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যথায় ইউক্রেনকে এভাবে ধ্বংস করার আর কোন কারণ নেই জিলেন্সকির।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: আন্তর্জাতিক বিষয় গুলো আমি খুব কম বুঝি।
যুদ্ধ আমার পছন্দ না। অতীতে বিভিন্ন দেশের যুদ্ধে পুরো পৃথিবীর ক্ষতিসাধন হয়েছে। এই আধুনিক যুগে এসেও মানুষ যুদ্ধ করছে। ইহা দুঃখজনক।
পুতিন দুষ্টলোক। জিলেন্সকি নির্বোধ।