![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখেও তবু দেখছি না তো অন্যায়-অবিচারের দ্বন্দ্ব, কেউ শুধালে যাচ্ছি বলে আমি আসলে অন্ধ।
পৃথিবীর সবকিছু একটা লুপের মধ্যে চলে। আমি মরে যাবো যাতে আমার জায়গা অন্য কেউ নিতে পারে। এভাবে আমার জায়গায় যে আসবে সেও মরে যাবে যাতে তার জায়গায় অন্য কেউ আসতে পারে। এইটা প্রকৃতির বেধে দেওয়া নিয়ম। কোনকিছু যাতে অভারফ্লো না হয়ে যায় সেজন্য বেশ ভালোভাবেই প্রকৃতির নিয়মগুলো তৈরি করা আছে। আমরা কাওকে ভালোবাসা দেই, সেও আমাদের ভালোবাসা ফিরিয়ে দেয়- এটাও একটা লুপ। এইযে সরকারের টাকায় আমি এতো বছর যাবত নামমাত্র মূল্যে পড়ালেখা করে আসতেছি, এই টাকা আমার বাপের দেয়া ট্যাক্স থেকে আসতেছে- এখানেও লুপ। বৃষ্টি।হয় কারণ পানি বাষ্প হয় বলে। খাবার-দাবার, নিশ্বাস-প্রশ্বাস ও লুপের মধ্যে চলে তা সবাই জানে। লুপ নেই কোথায়? আমি যা দিবো, ঘুরেফিরে একসময় তাই ফিরে পাবো। "Karma hits back." কারো কখনো আশা করা উচিৎ না সে যাচ্ছেতাই কাজকর্ম করে বিনিময়ে কোন শাস্তি ভোগ না করেই ছাড় পেয়ে যাবে। প্রকৃতি কাওকে ছাড় দেয়না। যখন সময় হবে, লুপের মতো প্রকৃতি সব ফিরিয়ে দিবে।
এই বিষয় নিয়ে খুব ভাবলাম। এখন মজার বিষয় হচ্ছে আমি মরে যাবো, কিন্তু মরে যাওয়ার আগে ২-৩ গুন বংশধর রেখে যাবো। এভাবে করে তো কেবল আমার বংশধর দিয়েই পৃথিবীতে অভারফ্লো হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা হয়না। হইতে পারে আমার বংশধর কেউ এমন রোগ নিয়ে জন্মাবে যার বেচে থাকার সম্ভাবনা নেই। হইতে পারে আমি বন্ধ্যা, আমার কোন বংশধর হলো না। আরো অনেক কিছুই হইতে পারে। এগুলোও প্রকৃতির নিয়ম। আবার অনেক জঘন্য অপরাধী আছে যারা মোটা দাগের অপরাধ করেও দিব্যি সুখে-শান্তিতে আছেন। এরা যে অপরাধ করছেন, প্রকৃতির লুপ অনুযায়ী এরাও একই অপরাধের শিকার হওয়ার কথা। এদের ক্ষেত্রে প্রকৃতির সেই লুপ কই গেলো? তাহলে কি প্রকৃতি সিলেক্টিভ কাওকে কাওকে ছাড় দেয়? প্রকৃতি তো ঘুষ নেয়না, না তার বিরুদ্ধে আছে দুর্নীতির অভিযোগ। সমীকরণ তো মিলছে না! তাহলে কোনো লুপ কি নেই? নাকি প্রকৃতি ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী না? এমন হলে তো সমস্যা! প্রকৃতি কাওকে বিনাদোষে শাস্তি দিবে আর কাওকে পূর্ণ দোষেও ছাড় দিবে? তাহলে কি "Karma sometimes hits back, sometimes does not?"
এই কারণে বহুকাল আগেই আমরা বুদ্ধিমান মানুষ আইন বানিয়েছিলাম। প্রকৃতি যেহেতু ন্যায়বিচার করতেছে না, উপরের আদালতের রায়ের আশায় বসে থেকে নিরাশ হতে হচ্ছে তাই আমরা নিজেরাই কিছু আইন বানিয়ে ন্যায়বিচার করে দিলাম। তাতে ন্যায়বিচারের পরিমাণ বেড়েছে নিঃসন্দেহে, কিন্তু ১০০ ভাগ ন্যায়বিচার কখনোই করতে পারলাম না। আদতে কোনকিছুই নিখুঁত না। প্রকৃতির নিয়মে, প্রকৃতির বিচারে যেমন খুত আছে, মানুষের বিচারেও তেমনি খুত আছে। এসব কারণে জীবন কখনোই আমাদের পরিকল্পনা মতো চলবে না। জীবনের গূঢ় তাৎপর্য এটাই যে অনাকাঙ্ক্ষিত টুইস্ট আশা-ভরসা ভেঙে দিবে, আবার অনেকসময় জীবনের মহত্ত্ব বাড়িয়ে দিবে বহুগুণে। কোনটা হবে তা আগেই বলতে পারিনা আমরা,জীবনের রহস্য এটা।
দেখা যাবে অনেক মানুষ অসুখী হয়েই মারা যাবে। জীবনের শেষ ক্ষণে এসে হয়তো উপলব্ধি করবে নিজের সুবিশাল পাপকর্মের কথা, অথবা পুণ্যের কথা। তাতে স্বস্তি বা হতাশ হয়েও আর কোন লাভ-ক্ষতি থাকবে না। মানুষের মরণের এই লুপ প্রকৃতি খুব ভালোভাবেই বজায় রাখবে সবসময়। যেমন বোধহীন হয়ে জন্মাই, তেমনি যদি বোধহীন হয়ে মৃত্যু হতো তাহলে মন্দ হতোনা। কিন্তু এই ক্ষুদ্র জীবনের মধ্যেই যে অভিজ্ঞতা অর্জিত হবে, যে বোধশক্তির সঞ্চার হবে, তাতে বোধহীন হয়ে মরতে পারা সম্ভবপর হবে বলে মনে হয়না।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৩
অন্ধঘোড়া বলেছেন: জীবনের প্রতি মানুষের মোহ অনেক। জীবনে দুঃখ-কষ্ট যতই আসুক, এরা তবুও মরতে চায় না। তবে যারা আত্মহত্যা করে এদের সাইকোলজি আলাদা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ আসলে মরতে চায় না।
তাকে যদি বলা হয়, তুমি মরো তোমাকে বেহেশত দেওয়া হবে। তবু সে মরতে চাইবে না।
কারন মানব জীবন একটাই।