নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

©All Rights Reserved

আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

বিবর্তনবাদী

আপাততঃ আমি একজন কনফিউজড মানুষ। জীবনে বিবর্তনের অপেক্ষায় আছি, দেখি বিবর্তনের পরে কিসে পরিনত হই...

বিবর্তনবাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

~মিথ্যা মায়া~

৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫০







ওর পা ময়লা পানিতে ডুবে ছিল। অনেকটা অস্থিরতার সাথে পানিতে কি যেন খুঁজছিল সে। একটু পর পর হাটু ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছিল পানিতে। সারা

শরীরে ময়লা। স্পর্শ করতে পারিনি, তবুও ওর কাঁপুনি দেখে বুঝলাম হয়ত অনেক জ্বর। বুঝতে পারছিলাম না, সে কি অন্ধ হয়ে গেছে নাকি পরিবেশের সংবেদন গ্রহণ করতে পারছে না!! পাশেই একটা লোক এসে পেশাব করতে বসে গেল। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম ওকে। লোকটা তার কাজ শেষ করে আমাকে বলল, "কুকুরটা দামী কিন্তু অসুস্থ। চিকিৎসা করে ভাল খাবার দিলে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে"। পাশে বস্তিতে/রাস্তায় থাকেন এমন এক মহিলা এসে জানাল কুকুরটা কাটাবনের পশু-পাখির মার্কেটের। অসুস্থ হয়ে পড়ায়, দোকানদার গলির ভেতর এই ময়লা পানিতে ওকে ফেলে গেছে।..............................





....................................... আজ দুপুরে এলিফেন্ট রোডে দাদার বাসায় গিয়েছিলাম। গলির একটু ভেতরে দেখি ময়লা পানিতে একটি বিলেতি কুকুর পড়ে আছে। অবস্থা খুবই খারাপ। সাথে সাথে চাচার বাসা থেকে একটা মুরগীর মাংস এনে দিলাম খেতে। খুব সম্ভবত কুকুরটি দেখতে পায় নি, বা সেন্স করতে পারেনি তার সামনে রাখা খাবার। খাবার দিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েও রইলাম। কিছু কাক তাড়ালাম মাংসের লোভে ওরা ঘুর ঘুর করছিল আসে পাশে। খানিক্ষণ পরে গিয়ে দেখি মাংস নেই, কুকুরটা বসে কাঁপছে। মাংস কে খেল তা বুঝতে পারলাম না!!!





আমাদের আধুনিক জীবনের এই অন্য একটি রূপ। কাটাবনের দোকানদার কুকুরটিকে কিনেছিল বিক্রি করবার উদ্দেশ্যে। যদি বিক্রি হত কোন ধনীর ঘরে তবে সে থাকত ধনীর দুলাল-দুলালীর কোলে কোলে। কাজের ছেলে প্রতিদিন তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হত। অথচ অসুস্থ হয়ে পড়বার কারনে কুকুরটিকে নর্দমাতে ফেলে যেতে দ্বিধা করল না দোকানি। এতটুকু মায়া কাজ করল না তার মাঝে!! শুনেছি আগের দিনে অনেক ডাকাত নাকি প্রতি রাতে ডাকাতির পরে বিধাতার কাছে ক্ষমা চাইত। এর পেছনে হয়ত সেই সব ডাকাতদের সুপ্ত মানবতা কাজ করত। ভাবতে দুঃখ লাগে সেই দোকানির সুপ্ত সেই মানবতা টুকুও নেই। অথচ প্রাণীর প্রতি মানুষের মায়াই কাটাবনের সেই সব পশু-পাখির দোকানদারদের জীবিকার যোগান দেয়।





আমার কিছু করবার ছিল না, শুধু দেখে যাওয়া ছাড়া। ছুটির এই দিনে কুকুরটিকে কোথায় নিয়ে গেলে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব ছিল আমি জানি না। ওকে যে কোথাও নিয়ে রাখব তাও সম্ভব নয় আমার জন্য। নিজেকে বড় অক্ষম মনে হচ্ছে। ভাবতে দুঃখ লাগে যখন ভাবি আমরা আধুনিক মানুষ, থাকি আধুনিক সমাজে। এরচে সেই আদিম মানুষই হয়ত ভাল ছিল যে জঙ্গলের নেকড়েকে পরিণত করেছিল পোষা কুকুরে । তখন মায়া কতটুকু ছিল জানি না তবে দুটি প্রানীতে (মানুষ ও কুকুর) সহযোগীতার সম্পর্ক ছিল। অন্তত তা আধুনিক মানুষের লোক দেখানো মিথ্যা মায়া ছিল না।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০০

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: অন্তত তা আধুনিক মানুষের লোক দেখানো মিথ্যা মায়া ছিল না ......খাঁটি কথা।
আমরা না হইতে পারলাম আদম যুগের না হইতে পারলাম আধুনিক।
তারপর কেমন আছিস তুই???
সবকিছু কেমন চলতেছে??

২| ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

রুখসানা তাজীন বলেছেন: মানবসন্তান পড়ে থাকতে দেখলেও আমার, আমাদের টনক নড়তনা, আর তো কুকুর।

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

মুনিয়া বলেছেন: স্পর্শ করলো লেখাটা.... অনেক ভালো লিখেছেন।
+++

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১০

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আধুনিক সভ্যতা আসলেই মিথ্যা মায়া। আমরা সবাই সেই মায়ার মধ্যে বন্দী।

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

মাসুদ রানা ১২৩ বলেছেন: লেখাটা চমৎকার ছিলো।

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

পারভেজ বলেছেন: দেখে মনে হচ্ছে বাচ্চা এখনো। পাউরুটি আর দুধ দিয়ে দেখতে পারেন। আর আমাদের এখানে পশু ডাক্তার আসলে তেমন ভাল কোথাও নেই। তাই হ্য়তো এর আয়ু খুব কম ই আছে। খারাপ লাগলো পড়ে।

৭| ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ত্রিভুজ বলেছেন: হুমমম.......

৮| ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ঊশৃংখল ঝড়কন্যা বলেছেন: খুব ভাল করে লিখেছেন অক্ষমতার ব্যপারটা! কেমন নাড়া পেলাম পড়ে! কিন্তু কতক্ষণ ? আবারো "মানুষ" নামের পশু হয়ে যাবো... ব্যস্ত হয়ে পড়বো নিজের জীবনের কষ্টগুলো নিয়ে...অসহায় প্রানীটা কিছুক্ষণ মাথায় ঘুড়াঘুড়ি করে হারিয়ে যাবে!!!

৯| ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:১৪

নির্বাসিত বলেছেন: জীবনের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে করতে আমরা সবাই বোধহয় ক্রমে ক্রমে পাষাণ-হৃদয় হয়ে গেছি।

১০| ০১ লা আগস্ট, ২০০৮ ভোর ৫:০০

কঁাকন বলেছেন: মায়া!!!!!

১১| ০২ রা আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:৪৭

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে।

১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:২২

নিবেদীতা বলেছেন: বিবু কুকুরটার পরে কি হল তা কি জান? জানলে এখানে জানাও।

খারাপ লাগছে।

১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:০৫

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: মন খারাপ লাগলো.......।
তোমার যে কেমন লাগছিলো বূঝতে পারছি।
ভালো থেকো।

১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ২:০০

উত্তরাধিকার বলেছেন:

আমাদের মননেও বিবর্তনের ছোঁয়া লাগুক - এই কামনায়।

১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:২৪

আউলা বলেছেন: ২বার কমেন্ট দিয়ে ডিসি খাইলাম :(
আর লিখমু না :(

০৬ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৩৫

বিবর্তনবাদী বলেছেন: কেন খুকি তুমি কি পড় নাই, একবার না পারিলে দেখ দুইবার্!!!!!

১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৪৩

আউলা বলেছেন: আমি ৩বার করেছি নানু আর পারছি না :(

০৬ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৪৬

বিবর্তনবাদী বলেছেন: তবে এখন খান্ত দাও

১৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১০:১৯

সোনার বাংলা বলেছেন:

কিছু মানুষ যে কুকুরের থেকে ও খারাপ তার একটা নমুনা....+

১৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:০২

কঁাকন বলেছেন: পারভেজ বলেছেন: "বিবর্তনবাদী বলেছেন: কবিতায় কমা দাড়ি ইত্যাদি নাই কেন? "

আমরা যখন ভাবি মনে মনে , তখন কি ভাবে ভাবনা গুলি হয়?!! আসলে কি কোন বিরাম চিন্হ থাকে ভাবনায় কিম্বা অনুভুতিতে!? আপনার মন্তব্যটা ঠিক এই চিন্তাটা মাথায় ঢুকিয়ে দিল!

আমিও চিন্তিত
আপনি এভাবে ভেবেছেন?

১৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৫

বিবর্তনবাদী বলেছেন: হুম .... না..... মানে............ বানান ভুল না পেয়ে......... যাই হোক.......

আমি এই ভাবে ভাবি নাই, তবে আপনি আমার মাথায় এই চিন্তাটা ঢুকিয়ে দিলেন। তা আপনি ভেবে কিছু কি পেলেন???

২০| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৭

কঁাকন বলেছেন: নাহ

পারভেজ ভাই ভাবনা শুর করসে
আমার মাথায় ও ঢুকায় দিসে
ভালো থাকেন

০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০২

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ভাল কেমনে থাকি? মাথায় তো চিন্তা ঘুর ঘুর করছে?

২১| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৫৭

তানজু রাহমান বলেছেন: তাজীন আপু বলছেন : মানবসন্তান পড়ে থাকতে দেখলেও আমার, আমাদের টনক নড়তনা, আর তো কুকুর।
মনটা খারাপ। কারন ঘটনা সত্য!

২২| ১০ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:৫৪

তানজিলা হক বলেছেন: আমাদের দেশে মানুষের অবস্থা কী এর থেকে ভালো?

২৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৩:০৬

দস্যু বনহুর বলেছেন: .... অনেক ভালো লিখেছেন।

২৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৩:১৩

নিহন বলেছেন: +++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.