নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমরা জাগাব, গড়ে তুলব শ্যামল বাংলাদেশ

আমরা কেউ অপদার্থ নই, সুতরাং আমরা সবাই...

জাগরণের ডাক

খোলা চোখে দেখতে চাই..

জাগরণের ডাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই শিক্ষকের নির্যাতনে ৮ বছরের শিশু আহত

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১১

রংপুরে দু’শিক্ষক মিলে দ্বিতীয় শ্রেণির এক আবাসিক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেছে। আহত শিশুটির নাম মুনতাসির প্রমীত (৮)। সে ইঞ্জিনিয়ার পাড়ার মৃত: আ. হান্নানের পুত্র। আহত প্রমীত রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় ছটফট করছে। এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর নূরপুরে অবস্থিত শিবরাম ফ্রেন্ডস প্রি-ক্যাডেট স্কুলে।



ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন মুঠোফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে রয়েছেন।



রবিবার সন্ধ্যায় রমেক হাসপাতালের ১৮নং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, নির্যাতিত প্রমীত যন্ত্রণায় ছটফট করছে। পিতৃহারা এই শিশুটির মা মমতাজ বেগম ছেলের পাশে বসে নিরবে কেঁদে চলছেন।



মমতাজ বেগমের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রমীতকে গত ১২ জানুয়ারী শিবরাম ফ্রেন্ডস প্রি-ক্যাডেট স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে (আবাসিক) ভর্তি করানো হয়। গত শুক্রবার তিনি সন্তানকে একদিনের জন্য বাড়ীতে নেয়ার জন্য নুরপুর শাখা অফিসে যায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন প্রমীতকে বাড়িতে না নেয়ার জন্য তোড়জোড় চালায়। অনেক চেষ্টার পর মা তার ছেলেকে বাড়িতে আনে।



এদিকে শনিবার দুপুরে প্রমীতকে গোসল করাতে গিয়ে মা দেখতে পায় গোটা শরীরে আঘাতের কালো চিহ্ন। এ ঘটনা দেখে প্রমীতকে জিজ্ঞাসা করলে সে সব জানায়।



তাৎক্ষণিক বিষয়টি কোতয়ালী থানায় অবগত করে প্রমীতকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।



নির্যাতনের শিকার প্রমীত জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের খাবারের আগে পড়া না পারার অপরাধে মিজান ও রাসেল নামের দু’শিক্ষক তাকে গাছের ডাল দিয়ে পেটায়। এরপর তারা রাতে আবারও প্রমীতকে কিল ঘুষি মারে। এতেও তারা ক্ষ্যান্ত না হয়ে প্রমীতকে আছাড় মারে এবং ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।



প্রমীত জানায়, এজন্যই প্রমীতকে বাড়ি আসতে বাধা দেয়া হয় এবং ভয়ে মাকেও কিছু বলেনি।



এদিকে প্রমীতের মা উপস্থিত সাংবাদিকের কাছে তার সন্তানের নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।



অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য নূরপুরে গেলে কোন শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। অফিস পিয়নের মাধ্যমে ঠিকানা জেনে কামাল কাছনা শাখা অফিসে গিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয় তালাবদ্ধ দেখা যায়। পরে তার সেল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ ছিল। বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য আবাসিক ছাত্রদের সাথে কথা বলতে চাইলেও সাংবাদিকদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।



অপর দিকে এলাকাবাসী জানায়, সুন্দরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শিবরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি শিক্ষার নামে বাণিজ্য শুরু করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও এই প্রতিষ্ঠানের নামে অনুমিত নেয়া হয়নি।

সূত্র: উন্মোচনডটকম

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক । এদের আসলে গনধোলাই দেয়া উচিত ।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

জুন বলেছেন: জেল হওয়া উচিত এসব শিক্ষক নামের কলংকদের । না পারলে টিসি দিয়ে বের করে দাও। গায়ে হাত তোলার অধিকারতো তোমাদের দেয়া হয়নি ।
+

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

আমি ইহতিব বলেছেন: কি অবস্থা !!! X( X( X(

এরা মানুষ গড়ার কারিগর??? এদেরকেও এভাবে গাছের ডাল দিয়ে পেটানো উচিত।

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: আমি ইহতিব বলেছেন: কি অবস্থা !!! X( X( X(

এরা মানুষ গড়ার কারিগর??? এদেরকেও এভাবে গাছের ডাল দিয়ে পেটানো উচিত।

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

ত্রিভুবন বলেছেন: প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: আমি ইহতিব বলেছেন: কি অবস্থা !!!

এরা মানুষ গড়ার কারিগর??? এদেরকেও এভাবে গাছের ডাল দিয়ে পেটানো উচিত।

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: জাতীর নরপশু
ডুম দের নিকট পাটিয়ে দেওয়া উচিৎ

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

আহসান২০২০ বলেছেন: কুত্তার বাচ্চা দুইটারে পিটানোর উপর রাখা উচিত। তারপর যখন পানি খেতে চাইবে তখন শিশুটার প্রস্রাব খাওয়ানো উচিত।

৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

মাক্স বলেছেন: সঞ্জয় নিপু বলেছেন: এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক । এদের আসলে গনধোলাই দেয়া উচিত ।

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: সঞ্জয় নিপু বলেছেন: এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক । এদের আসলে গনধোলাই দেয়া উচিত

১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

অ্যামাটার বলেছেন: স্কুল মাস্টার জাতটাই ছোটলোকের। i mean it!
(দুই-এক জন ব্যাতিক্রম বাদে)।

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ক্লাস টুর একটা বাচ্চার সাথেও এরা স্বাভাবিক আচরণ করতে শেখেনি।

১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

তানজিনা ইয়াসমিন বলেছেন: যদি এই দুইজন শিক্ষকের সন্তানের সাথেও ঠিক একইরকম আচরণ করা হয়?

১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪১

বিলাতী পোলা বলেছেন: উপযুক্ত শাস্তি দাবি করি।

১৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

একটু স্বপ্ন বলেছেন:
কি ভয়াবহ কথা.. ভাবা যায়!

বিচ্ছিন্নভাবে দু'একটি শিক্ষক নামের কলঙ্ককে ধরলে সামগ্রীক পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা যায়না। কাজ করা দরকার পুরো শিক্ষা ব্যাবস্থাটি নিয়ে। শিক্ষকদেরকে উন্নত প্রশিক্ষণের আওতায় রাখতে হবে নিয়মিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.