নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি গুগল
মানুষের উপর কখন যে কোন বিপদ নেমে আসে তা কেউ বলতে পারে না। ফারিয়া এই আধা ঘন্টা আগেও কি বুঝতে পেরেছিল যে তার নিজের পরিচিত ক্যাম্পাসে তাকে প্রাণ ভয়ে দৌড়াতে হবে এভাবে।
লম্বা করিডোরের ডান দিকে মোড় নিয়েছে। মোড়ের মাথায় এসে একটু দম নিল সে। সাথে সাথেই মাথার ফুট খানেক উপরে এসে দুইটা গুলি এসে বিধলো দেওয়ালে। ওর কাছে এখনও ব্যাপারটা বিশ্বাস হচ্ছে না। এখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না যে কেউ ওর দিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে৷
ফারিয়া আরেকবার পেছনের করিডোরের দিকে তাকালো। পুরো করিডোর টা অন্ধকার হয়ে আছে। ইচ্ছে করেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
কেবল মাত্র ওকে মারার জন্য?
ব্যাপারটা ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না। একজন সাধারন রিসার্চ স্টুডেন্ট সে। ক্লাস ক্যাম্পাস আর পরিবারের সাথে ঘুরাঘুরি ছাড়া আর কিছু করেছে কি না সন্দেহ। অন্তত এমন কিছুতো অবশ্যই করে নি যে কেউ পিস্তল দিয়ে তার দিকে গুলি করবে।
আরেকবার গুলির আওয়াজ হল। ফারিয়া আবারও দৌড়ানোর প্রস্তুতি নিলো। তবে এবার দৌড়ানোর আগে শরীরের ল্যাব কোর্ট টা খুলে ফেলল। সাদা রংটা অন্ধকারের ভেতরেও পরিস্কার খুজে পাওয়া যায়। এই জন্যই হয়তো আততায়ী তাকে সহজেই খুজে পাচ্ছে।
ফারিয়ার পরনে এখন কেবল কালোরংয়ের টাইট ফিটিং জগিং স্যুট আর নীল কেডস। নিজের ভাগ্যকে একটু ধন্যবাদ দিল৷ যদি সে প্রফেসরের মেসেজ পেয়ে জগিংয়ের বদলে অন্য পোশাকে আসতো তাহলে কি আততায়ীর কাছ থেকে এইভাবে পালিয়ে পারতো। কেডসের বদলে বুট কিংবা হিল পরলে কি হত সেটা ভাবতেই গা শিরশির করে উঠলো। কেডস আর জগিং স্যুট পরেছে বলেই হয়তো এতো সময় টিকে আছে। পালিয়ে যেতে পারছে। নয়তো ধরা পরে যেত।
প্রতিদিনের মত আজকেও ফারিয়া সন্ধ্যার সময় জগিং এ বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তখনই তার রিসার্স কোওডিনেটর পল জেমসের মোবাইল থেকে মেসেজ এসে হাজির৷ সেখানে লেখা যে ফারিয়া যেন এখনই ক্যাম্পাসে ওর ল্যাবে আছে। গতকালের যে রিপোর্ট সে জমা দিয়েছিল সেখানে কিছু ভুল আছে। সেটা একটু ঠিক করতে হবে।
মেজাজ একটু খারাপ হয়েছিল কিন্তু কিছু করার নেই প্রফেসর কে রাগিয়ে দেওয়ার কোন ইচ্ছেই ছিল না৷ আবার নতুন করে পোশাক বদলাতে ইচ্ছে করছিল না। শেষে এই অবস্থাতেই চলে এসেছে৷ কেবল ল্যাব কোর্টটা উপরে পরেছে। কাজ শেষ করে যদি বেশি দেরি না হয় তাহলে ওয়াকটা শেষ করে বাসায় ফিরবে।
ওর রিসার্স ল্যাবটা ক্যাম্পাসের এক পাশে। চার কোনা বিল্ডিং। ভেতরে বেশ কয়েকটি লম্বা করিডোর রয়েছে। বিভিন্ন দিকে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির ল্যাব। দরজা দিয়ে ঢুকে ডান দিকের করিডোর দিয়ে হাটতে হয়। একেবারে শেষ মাথায় প্রফেসরের রুম। ভেতরে ঢুকেই ফারিয়ার মনে হয়েছিল যে কিছু যেন একটা ঠিক নেই। কারন পুরো করিডোরের আলো নেভানো৷ এমনটা খুব সাধারণত হয় না। যখন ল্যাব একেবারে বন্ধ থাকে তখন এই সব আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ কিন্তু এই পুরো ল্যাবটা কখনই বন্ধ হয় না৷ কেউ না কেউ থাকেই সব সময়। গেটে সিরিউরিটি থাকে। কিন্তু আজকে সেটাও দেখে নি সে। গেটে কোন সিকিউরিটি গার্ড ছিল। ব্যাপারটা নতুন লাগলো। তবে খুব একটা পাত্তা দিল না। কিন্তু পাত্তা দেওয়া দরকার ছিল হয়তো।
ফারিয়া একেবারে প্রফেসরের রুমের কাছে চলে এল। দরজা খুলতে যাবে তখনই ভেতর থেকে কেমন যেন চাপা চিৎকার ভেসে এল। কেউ যেন গোঙ্গাচ্ছে ব্যাথায়। সাথে সাথে চাপা কেউ বলে উঠলো, বুড়োটাকে চুপ করাও।
-মেরে ফেলবো? আরেকটা কন্ঠ বলল।
-নাহ৷ অহেতুক ঝামেলা চাই না। আর তাছাড়া এই বুড়োকে মেরে লাভ কি! আমাদের কেবল মেয়েটাকে দরকার।
ফারিয়ার পুরো শরীর দিয়ে একটা শীতল স্রোত বয়ে গেল। মেয়েটাকে দরকার মানে হচ্ছে তাকে দরকার! তখনই পালিয়ে যাওয়ার একটা স্পীহা অনুভব করলো। কিন্তু পারলো না। তাহলে প্রফেসরের কি হবে?
দরজার সামনেই দাঁড়িয়ে রইলো সে। কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। একবার মনে হচ্ছে ভেতরে যায় আরেকবার মনে হচ্ছে এখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
-হেই ইউ! চমকে সামনে তাকালো। দরজা টা এভাবে খুলে যাবে ভাবে নি
দেরি হয়ে গেছে৷ একজন দরজা খুলে ফেলেছে আর ওকে দেখে ফেলেছে। ওকে এখন পালাতেই হবে। ফারিয়া আর চিন্তা না করে দৌড় দিল৷ কিছু দূর দৌড়ে বুঝতে পারলো পেছন থেকে ওকে উদ্দেশ্য করে গুলি করা হচ্ছে। অর্থাৎ যে কোন ভাবেই হোক তাকে তাদের চাই ই চাই। ফারিয়া পালাতে শুরু করলো।
ওর এখনই ল্যাব বিল্ডিং থেকে বের হয়ে যাওয়া দরকার কিন্তু কোন দিক দিয়ে বের হবে সেটা বুঝতে পারছেনা। আলো নেভানো রয়েছে। মাঝে মৃদ্যু আলো জ্বলছে ডিম লাইটের মত। সেই আলোতে অন্ধকারটা যেন আরও গাঢ় হয়ে আসছে। ফারিয়া সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগো । অন্ধকারের জন্য সব কিছু পরিস্কার নজরে আসছে না । তবে এই ল্যাবে ওর নিত্য দিনের চলাফেরা বলে একটু আলাদা সুবিধা পাচ্ছে । সে এগিয়ে চলল সামনে । গুলির হাত থেকে বাঁচতে সে বাঁ দিকে দৌড় দিয়েছিলো । এখন যদি দরজা দিয়ে বের হতে হয় তাহলে সামনে গিয়ে ওকে আবারও ডান দিকে মোড় নিতে হবে । আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে লাগলো । শুরুর ভয়টা এখন কেটে গেছে অনেকটাই । এখন মনে হচ্ছে যে এই বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে । তারপরই নাইনওয়ানওয়ানে কল করা যাবে । প্রফেসরের জন্য ফারিয়ার আসলেই চিন্তা হচ্ছে । তাকে যদি কিছু করে ফেলে ওরা !
এই তো ডান দিকে যাওয়ার রাস্তাটা ! ফারিয়া দ্রুত সেদিকে এগিয়ে গেল । ডান দিকে মোড় নিতে যাবে তখনই কোথা থেকে ভুতের মত একজন মানুষ ওর সামনে চলে এল । সাথে সাথে ওর বুকটা লাফিয়ে উঠলো ভয়ে । যে ভয়টা পাচ্ছিলো সেটাই হল । ও ভেবেছিল হয়তো ওর পেছনেই লোক রয়েছে । সম্ভবত বাইরেও লোক ছিল । সেই লোকটাই এই দিক দিয়ে চলে এসেছে । ফারিয়ার মনে হল ওর জীবনের শেষ সময় চলে এসেছে ।
লোকটা ফারিয়ার একদম কাছে চলে এল । ফারিয়ার মুখ দিয়ে একটা চিৎকার আপনাআপনি বের হতে যাচ্ছিলো কিন্তু লোকটার কারনে বের হতে পারলো না । লোকটা তার হাত দিয়ে ফারিয়ার মুখ চেপে ধরেছে । মুখ দিকে শীইইইইই আওয়াজ করলো । ওকে চুপ থাকতে বলছে !
ফারিয়া অবাক হল । তাকিয়ে দেখলো এই ওর মুখ চেপে ধরা মানুষটা ঐ দুই আততায়ীর মত কালো পোশাক পরে নেই । একটা হাওয়াই রংয়ের শার্ট পরে আছে । লোকটার চেহারার দিকে চোখ যেতেও ফারিয়ার চোখ বড় বড় হয়ে গেল ।
এই মানুষটাকে সে চিনে !
সেদিন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে দেখা হয়েছিলো !
এই লোকটা একজন আর্মি অফিসার । মেজর ! নামটা মনে করার চেষ্টা করলো । সেদিন নেম প্লেটে দেখেছিলো কিন্তু এখন মনে পড়ছে না ।
কিন্তু এই লোক এখানে কি করছে ? এখানে কি তার থাকার কথা ?
মেজর সাহেব ওর কানের কাছে মুখ এনে বলল, চিৎকার দিওনা । ওকে !
ফারিয়া মাথা ঝাঁকালো !
ফারিয়াকে ছেড়ে দিয়ে দিয়ে মেজর সাহেব দেওয়া পিঠ দিয়ে কিছু বোঝার চেষ্টা করলো । কিছু সময় সেভাবেই অপেক্ষা করলো । তারপর ফারিয়াকে অবাক করে দিয়ে ওর হাত ধরে এক টান দিয়ে ওকে করিডোরের মাঝে ঠেলে দিল ।
মেজর লোকটা যে এমন একটা কাজ করতে পারবে সে ভাবতেও পারে নি । ও এতোটাই অবাক হয়ে গেল যে একটা কথাও বলতে পারলো না । কিন্তু এই ব্যাপার নিয়ে অবাক হওয়ার থেকেও অন্য বড় বিপদ ওর সামনে এসে হাজির হয়েছে । একজন আততায়ী ওর সামনে দাড়িয়ে । ওর দিকে পিস্তল তাক করে আছে ।
ফারিয়া কি করবে বুঝতে পারলো না । এই সময় দৌড় দেওয়া মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না । কারন এতো কাছ থেকে পিস্তলের গুলি মিস করবে না লোকটা ।
আততায়ী বলল, ফোন কোথায় তোমার ?
-ফোন ?
ফারিয়ার মাথায় কিছু ঢুকলো না । সামান্য একটা ফোনের জন্য এতো ঝামেলা ! ওর ফোনটা এতো এমন আহামরি দামিও না । স্যামস্যাংকের একটা ফোন ।
আবারও ধমকে উঠলো সে !
-কোথায় ফোনটা ?
ফারিয়া জয়িংয়ের সময় ওর ফোনটা হাতের সাথে আটকে রাখে । আজও ঠিক তেমন ভাবেই ছিল । সেদিকে লোকটা চোখ যেতেই লোকটা বলল
-একদম নড়বে না । নয়তো গুলি করে দিবো !
তারপর আততায়ী ধীরে ধীরে ফারিয়ার দিকে এগিয়ে আস্তে লাগলো । তার চোখ ফারিয়ার ডান হাতের কুনইয়ের উপরে যেখানে ফোনটা আটকানো আছে ।
এদিকে মেজর সাহেব যে কখন লোকটার পেছনে চলে এসেছে সে আততায়ী বুঝতেও পারে নি । সে ফোন নেওয়াতে বেশি ব্যস্ত ! কিন্তু মানুষের ষষ্ঠ ইন্দ্রীয় বলে একটা ব্যাপার আছে সেটা ঠিকই জেগে উঠলো । কিন্তু ততক্ষনে দেরি হয়ে গেছে । লোকটার পিস্তল ধরা হাতটা চেপে ধরেছে মেজর । তারপর অন্য হাত দিয়ে একটা রাম ঘুসি বসিয়ে দিল লোকটার মুখে । আর ঘুসি দেওয়ার দরকার পড়লো না । লোকটা মাটিতে পড়ে গেল ! আর উঠলো না ।
মেজর এবার ফারিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল
-আর কেউ আছে ?
-আরেকজন আছে !
-আচ্ছা থাকুক ! চল এখান থেকে !
-কিন্তু প্রফেসর !! উনাকে আটকে রেখেছে !
-সেটা পুলিশ দেখবে । লোকটা মনে হচ্ছে তোমার জন্য এসেছে । তোমাকে ছাড়া আর কাউকে কিছু করবে না ! এখন এখান থেকে চল জলদি !
তারপর ফারিয়াকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওকে প্রায় টানতে টানতেই দরজার দিকে নিয়ে যেতে লাগলো । যখন ওরা বিল্ডিং থেকে বের হয়েছে তখন মেজর লোকটাই নিজের ফোন বের করে নাইন ওয়ান ওয়ানে ফোন করলো ! তারপর ফারিয়ার গাড়ির দিকে নিয়ে গেল ।
ফারিয়া সাধারন ওর গাড়িটা পার্ক করে পার্কিংয়ের একেবারে শেষ দিকে । যখন গাড়িটার সামনে এসে থামলো তখন ফারিয়ে শক্ত করে নিজের হাত টা টান দিয়ে ছাড়িয়ে নিল । তারপর বলল
-এটা যেন আমার গাড়ি তুমি কিভাবে জানলে ? আর আমি এই বিল্ডিংয়ে আছি এটাই তুমি জানলে ?
ফারিয়া দেখলো মেজর মুখে খানিকটা অপ্রস্তুত ভাব ফুটে উঠেছে । ফারিয়ার মানতেই হবে যে সামনে দাড়ানো উচ্চ লম্বা এই মানুষটার চেহারার মধ্যে একটা ইনোসেন্ট ভাব আছে । অন্যান্য আর্মি অফিসারদের মত চেহারাতে রাফটাফ ভাবটা নেই । তার বদলে আছে একটা শিশু সুলভ সারল্য । সেদিন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে প্রথম দেখাতেই ফারিয়ার এই কথাই মনে হয়েছিলো । সেদিনও ভয় পেয়েছিলো খুব । ও গিয়েছিলো কাছের একটা ডিপার্টমেন্টাল শপে কেনা করার জন্য । কেনা কাটায় ব্যস্ত ছিল ঠিক এমন সময় একজন শর্টগান নিয়ে দোকানে ঢুকে পড়ে । এমন ঘটনা মাঝে মাঝেই হয় । পিস্তল নিয়ে দোকানে ঢুকে পড়ে । ক্যাসের টাকা নিয়ে কেটে পড়ে কিন্তু ফারিয়ার কাছে এই ঘটনা এই প্রথম । তাই বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলো । লোকটা একবার ওর দিকে শর্ট গানটা তাক করলো । তারপর ওকে মাটিতে শুয়ে পড়তে বলল । এতো ভয় লেগেছিলো ওর তখন !
তারপর চোখের পলকে ঘটনা ঘটতে লাগলো । কোথা থেকে এই আর্মি অফিসার এসে হাজির । সেই লোকটাকেও কেবল একটা ঘুসি দিয়ে কাবু করে ফেলেছিল ।
কিন্তু ফারিয়ার মনের ভয় তখনও কাটে নি । আর্মির পোশাক পরা লোকটা ওর কাছে এসে বলল
-ইউ ওকে মিস ?
ফারিয়া বলতে চাইলো যে সে ঠিক আছে কিন্তু বলতে পারলো না । কেবল তাকিয়ে রইলো চুপ করে । তারপর হয়তো ফারিয়ার কিছু সময়ের জন্য নিজের ভেতরে ছিল না । শান্ত হতে আরও কিছু সময় লেগেছিলো । সেই পুরোটা সময়ই এই অফিসার তার পাশেই ছিল । আর আজেও এই বিপদের সময় এই অফিসার এসে হাজির !
কিন্তু ফারিয়ার মনে তখন অন্য প্রশ্ন চলছে । এই সবই কেবল কাকতালীয় নাকি ইচ্ছেকৃত ! ফারিয়া কিছুই বুঝতে পারছে না । সে আবার বলল
-কই বল ?
অপ্রস্তুত চেহারা নিয়ে মেজর সাহেব কিছু সময় তাকিয়ে রইলো ফারিয়ার দিকে । কি বলবে যেন বুঝতে পারছে না ।
-তুমি বলবে নাকি এবার আমি ৯১১এ ফোন দিবো ?
-আচ্ছা বলছি । কিন্তু তার আগে আমাদের এখান থেকে চলে যাওয়া দরকার ! একজন এখনও আছে ভেতরে । সে চলে আসতে পারে ! আর যাই হোক, আমি তোমার শত্রু নই । বিলিভ মি ।
ফারিয়া আর কথা না বলে গাড়িতে উঠে পড়লো । ভেবেছিলো যে আপাতত হয়তো সমস্যা হয়তো শেষ হয়ে গিয়েছে । আপাতত সে নিরাপদ । কিন্তু কিছু সময় ড্রাইভ করার পরের যখন পাশে বসা মেজর অফিসার বলল
-লেট মি ড্রাইভ !
-কেন ? আমি কি খারাপ গাড়ি চালাচ্ছি ?
-সেটা না । আমাদের ফলো করা হচ্ছে ।
-কি !!
-হ্যা । এখন তোমার সি ব্লকের এপার্টমেন্টে যাওয়া ঠিক হবে না !
ফারিয়া অফিসারের দিকে তাকিয়ে বলল
-আমার বাসার ঠিকানাও তুমি জানো ?
এতো সময় পরে হঠাৎআর্মি অফিসার হাসলো একটু । তারপর বলল
-আমি তোমার ব্যাপারে সব জানি ! তুমি কোথায় থাকো কি কর আর তুমি সিঙ্গেল !
সিঙ্গেল ! সিরিয়াসলি ? এইটা এমন কথা বলার সময় ?
ফারিয়া কি বলবে খুজে পেল না । আসলেই ওর সাথে কি হচ্ছে বুঝতে পারছে না । একদল মানুষ ওকে মারার চেষ্টা করছে আর একজন আর্মি অফিসার ওকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে । এমন একজন যে কি না তার ব্যাপারে । তার মাথায় কিছুই ঢুকছে না । কিছু বুঝতে পারছে না । ইয়াং মেজর আবার বলল, কই এসো এই সিটে । আমাকে চালাতে দাও !
ফারিয়া এবং মেজর সাহেব দুজনকেই বেশ কশরত করতে হল সিট টা বদল করার সময় । একে অন্যের বেশ কাছাকাছিও চলে এসেছিলো ওরা । তবে নিজেদের মাথায় এখন চলছে অন্য চিন্তা । পেছনের বিপদ থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় সেটা ভাবছে দুজনই ।
তারপর ফারিয়া কেবল মেজর সাহেবের গাড়ি চালানোটা দেখলো । ওর কাছে কেবল মনে ও কোন মুভির দৃশ্যের দেখছে চোখের সামনে । কেবল পার্থক্য হচ্ছে এই মুভি দৃশ্যের ভেতরে কেবল সে নিজে রয়েছে । একটা সময়ে মনে হল যে সব কিছু শান্ত হয়ে এসেছে । গাড়িটাও থেমে গেছে ।
মেজর সাহেব ফারিয়াকে বলল, নামো এখন !
-কোথায় নিয়ে আসলে আমাকে শুনি ?
-এটা আমার বাসা আপাতত ! তোমার বাসায় তো যাওয়ার উপায় নেই । ওরা তোমার ল্যাবের খোজ পেয়ে গেছে নিশ্চিত ভাবেই তোমার ফ্ল্যাটের কথাও জানে !
এই টুকু বলেই সে বাসার দিকে হাটা দিল । কিন্তু ফারিয়া সেই স্থানেই দাড়িয়ে রইলো । ফারিয়া পেছন পেছন আসছে না দেখে আবার ফিরে তাকালো । তারপর বলল, তুমি আসছো না কেন ?
-আমি আসবো না । আমি তোমার ব্যাপারে কিছু জানি না । সো আসার প্রশ্নই আসে না ।
-তুমি কি দেখলে না তোমাকে আমি রক্ষা করলাম !
-হ্যা দেখেছি ! কিন্তু বিশ্বাস করতে পারছি না তবুও । সরি । তা ছাড়া তোমার আচরনও সন্দেহজনক । তুমি কিভাবে আমার সব কিছু জানো ? আমি এখন নাইনওয়ানওয়ানে ফোন দিবো তারপর তাদের সাথে যাবো !
মেজর সাহেব আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলো কিন্তু ততক্ষনে ফারিয়া ফোন দিয়ে ফেলেছে । তাই আর কিছু বলল না । চুপ করে দাড়িয়ে রইলো । তাকে দেখে যেন কিছু আহত আর অপমানিত মনে হচ্ছে ।
১০ মিনিটের মাথায় একটা পুলিশের গাড়ি এসে হাজির । ফারিয়া আর কিছু না ভেবে পলিশের গাড়িতেই উঠে পড়লো । বলে গেল যে ওর গাড়িটা এখানেই থাকুক আপাতত । পরে এসে নিয়ে যাবে ।
পুলিশের গাড়িতে উঠে বেশ কিছুটা সময় যাওয়ার পরে ফারিয়ার মনে হল সব কিছু নিশ্চয়ই কো ভুল বোঝাবুঝির কোন ফল । লোক গুলো ওর পেছনে কেন পরেছিলো । ও এমন কিছু করেই নি । তাহলে কেন ওর পেছনে পরে আছে । ওর ফোন কেন চাচ্ছিলো । কথাটা মনে হতেই ওর নিজের ফোনের কথা মনে হল । সত্যিই তো ওর ফোন কেন চাচ্ছিলো ওরা !
নিজের ফোনটা বের করলো ও । তারপর এমনিই খুজতে লাগলো । কিছু তেমন কিছুই পেল না । তারপর শেষে ঢুকলো গ্যালারীতে । সেখানে ঢুকেই অবাক হয়ে গেল । ওর ফোনের গ্যারারিতে অনেক গুলো গ্যালারী রয়েছে । ও প্রচুর ছবি তুলতে পছন্দ করে । তাহলে সেই ছবি গুলো সব গেল কোথায় ? মাত্র একটা ফোল্ডার দেখা যাচ্ছে । সেটা ওপেন করতেই এবার বড় ধাক্কা খেল । অপরিচিত কিছু ছবি রয়েছে সেখানে । প্রথম দশ বারোটা ছবি দেখার পরেই একটা বড় রকমের ধাক্কা খেল সে । ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনজন স্যুট পরা মানুষ একজন বৃদ্ধ লোককে জোর করে কাঁছে ঘেরা একটা অফিস রুমের জানালা থেকে নিচে ফেলে দিচ্ছে । মোট ১০ টা ছবি । এই দশটা ছবির সিকোয়েন্সে এই জিনিস দেখা যাচ্ছে । আড়াল থেকে ছবি গুলো তোলা হয়েছে । এর পরের ছবি গুলো স্বাভাবিক । সেই স্বাভবিক ছবিতে
একটা মেয়েকেই দেখতে পেল সে । এবার সাথে সাথেই ঘটনা মনে পরে গেল তার । সেই সাথে বুঝতে পারলো তার সাথে কেন হচ্ছে এসব কিছু !
আজকে সকালে সাবওয়েতে উঠেছিলো একটা কাজে । সেখানে একটা মেয়ে তার পাশে বসেছিলো । ফারিয়া তখন ল্যাপটপে কাজ করছিলো । মেয়েটা ওকে অনুরোধ করে যে ওর ল্যাপটপে সে তার ফোনটা চার্য করতে পারে কি না একটু সময়ের জন্য । ফারিয়া তাতে রাজিও হয়ে যায় । তারপর ফারিয়াকে আরেকটা রিকোয়স্ট করে যে ওকে একটা জরুরী কল করতে হবে । ওর ফোনটা একটু দিবে কি না ! চার্য না থাকায় ফোন করতে পারছে । ফারিয়া নিজের ফোনটাও বের করে দিল । একটু পরে মেয়েটা ওর ফোনটা ফেরৎ দিয়ে দিল । তারপর ল্যাপটপ থেকে নিজের ফোনটা খুলে দ্রুত বের হয়ে গেল ।
ঐ সময়েই মেয়েটা সম্ভবত ওর মোবাইলের মেরোরি কার্ডটা খুলে নিজের ফোনের মেমোরি কার্ডটা ওর ফোনে দিয়েছে । এবং সেই থেকে এই ঝামেলা শুরু । তবে ফারিয়ার মনে হল যারা ওর পেছনে লেগেছে তারা আসলেই শক্তিশালি । মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ওকে খুজে বের করেছে । দ্রুত পুলিশের হেপাজতে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলো । একবার মনে হল মেজর সাহেবকে সাথে আনলেও পারতো । নিশ্চয়ই তার কাহিনী অন্য ।
তারপরই মনে ওর বাসায় ফোন দেওয়া দরকার । ওর ক্যাম্পাসের ঘটনা নিশ্চয়ই এতোক্ষনে সবাই জেনে গেছে । ওর ভাইয়া নিশ্চয়ই চিন্তা করছে । কিন্তু তখনই গাড়িটা থেমে গেল । ফারিয়া নিজের চিন্তার মশগুল ছিলো বিধায় লক্ষ্য করে নি যে ও কোথায় যাচ্ছে । জানলা দিয়ে বাইরে তাকাতেই বুকের ভেতরে একটা ধক করে অনুভুতি এসে ধাক্কা দিল । ওরা কোন পুলিশ স্টেশনে এসে হাজির হয় নি ।
একটা নির্জন ফ্যাক্টরি মনে হচ্ছে । ওর বুঝতে কষ্ট হল না যে কি হয়েছে । ও কিছু করতে যাবে তার আগেই পুলিশ পরা দুজন লোক বেরিয়ে এসে ওকে গাড়ি থেকে বের করলো । ওর হাত থেকে ফোনটা কেড়ে নিল । তারপর ওকে টানতে টানতে নিয়ে গেল ফ্যাক্টরীর ভেতরে ।
কিছু পরে ফারিয়া আবিস্কার করলো ওকে একটা চেয়ারের সাথে ওর হাত দুটো বাঁধা । পওর চারিদিকে নানান ধরনের পুরানো ফ্যাক্টরির জিনিস পত্র রয়েছে । ওর ঠিক মাথার উপরে একটা কম পাওয়ারের বাল্ব জ্বলছে ।
বুঝতে কষ্ট হল না যে ওর দিন এবার শেষ হয়ে আসছে । একটু আগে নিজের করা ভুলটার জন্য এখন আফসোস লাগছে । ঐ আর্মি অফিসারের সাথে তার বাসায় গেলে হয়তো এখন এই অবস্থায় পড়তে হত না । এখই হয়তো তাকে মেরে ফেলা হবে ।
কত সময় পার হল সে বলতেও পারবে না । পুরো ফ্যাক্টরী জুড়ে কেবল ফারিয়া নিজে । ওকে এভাবে একা রেখে ওরা কোথায় চলে গেছে । ওর যখন মনে হল ওরা হয়তো আর ফিরে আসবে না, ওকে এখানে ফেলে চলে গেছে হয়তো প্রমান নিয়ে গেছে তাই আর ভয় নেই । কিন্তু ওর ধারনা সম্পর্ন ভুল প্রমান করে দিয়েই আবার সেই দুজন লোক ফিরে এল । তবে এবার আর তাদের পরনে পুলিশের পোশের নেই । ওর দিকে তাকিয়ে কেমন যেন বিচ্ছিরি চোখে হাসলো ।
ওকে ধরে আনার সময় ওরা একটা কথাও বলে নি । ওকে বেঁধে রেখে চলে যাওয়ার সময়ও ওরা কেউ কোন কথা বলে নি । ফারিয়া অনেক চিৎকারে বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু কোন কাজ হয় নি । কিন্তু এখন ওদের দিকে তাকিয়ে ওর বুকের ভেতরটা শুকিয়ে গেল । ভয়ে জমে গেল ও । এভাবে এমন বিপদে পড়বে সেটা ও কোন দিন বুঝতেও পারে নি । ফারিয়ার চোখ ফেঁটে কান্না এল ।
লোক দুটোর একজনকে এগিয়ে আসতে দেখে ফারিয়া বলল
-প্লিজ আমাকে ছেড়ে ছাও । প্লিজ ! আমি কাউকে কিছু বলবো না । আমার কাছে কোন প্রমান নেই । আমার থেকে তোমাদের কোন ভয় নেই !
-ভয় !
লোকটা যেন শব্দটা শুনে খুব মজা পেল । তারপর এগিয়ে আসতে লাগলো ওর দিকে । ফারিয়ার কেবল মনে হল ওর সাথে খুব খারাপ কিছু হতে চলেছে । কেবল যে এদের মেরে ফেলার ইচ্ছে তা নয় আরও অন্য মতলব ওদের রয়েছে । ফারিয়া উপরওয়ালার কাছে দোয়া করলো যেন ওকে সরাসরি মেরেই ফেলে ।
ফারিয়া নিজের চোখ বন্ধ করে ফেলল । তারপর অপেক্ষা করতে লাগলো ভয়ংকর কিছুর জন্য ।
তারপরেই থুপ করে একটা আওয়াজ শুনতে পেল । খুব কাছ থেকে । কেউ যেন পড়ে গেল কাছেই । কে পড়েছে সেটা বুঝতে কষ্ট হল না । তারপর আবার আরেকটা আওয়াজ একটু পরে কারো পরার আওয়াজ শুনতে পেল । কিছু বুঝতে পারলো না কিছু সময় । তারপর খুব সাবধানে চোখ খুলল । অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখলো ওর সামনে আর ওর থেকে একটু দুরে দুইটা বডি পরে আছে ।
নিজের চোখকে ঠিক মত বিশ্বাস করতে পারছে না যেন ! কি হল এসব আর কিভাবে হল !
পুরো ফ্যাক্টারিতে আর কেউ নেই । একা একা বসে রইলো ওখানে !
কি হচ্ছে ওর সাথে ?
এমন কিভাবে হল ?
কেউ আছেন ?
চিৎকার করে বলল ও !
কিন্তু কেউ শোনার নেই ।
পরিশিষ্টঃ
মোবাইল মেডিক্যাল বেডে শুয়ে শুয়ে আছে । ডাক্তারেরা ওকে পরীক্ষা করে বলে দিল যে সে একদম সুস্থ । ফারিয়া একটু হেসে থেঙ্কিউ বলল । তারপর বেড থেকে উঠে দাড়ালো । সামনেই সেই মেজর কে দেখা যাচ্ছে । এখন তার নামটা জানে সে ।
মেজর Dexter Buchanan !
এই মানুষটাই তাকে পরপর দুইবার বাঁচিয়েছে । আর ও কি না এই মানুষটাকেই অবিশ্বাস করেছে । যদি তখন মেজর ডেক্সটারকে ওভাবে অবিশ্বাস না করে তার সাথেই থেকে যেত তাহলে অন্তত এখানে এভাবে মরতে আসতো না !
মেডিক্যাল টিমের একজন বলল, ম্যাম আপনাকে কোথায় পৌছে দেব বলুন !
ফারিয়া বলল, কিছু না মনে করলে আমি মেজর সাহেবের সাথে যেতে চাই ।
লোকটা একটু হেসে চলে গেল ।
ফারিয়ে এগিয়ে গেল মেজর ডেক্সটারের কাছে । সে এতো সময় পুলিশের লোকদের সাথে কথা বলছিলো । এরা আসল পুলিশ । ওকে আসতে দেখে বলল, তোমার ফোনটা উদ্ধার করা গেছে ওদের কাছ থেকে । টেক জায়েন্ট কোম্পানি ডিনটনের একজন পার্টনারকে অন্য পার্টনারেরা উপরতলা থেকে ফেলে হত্যা করেছে । ছবিতে সেটাই প্রমান করে । সেটার বিচার হবে । আর তোমার উপর হামলার বিচারও হবে । একটু কোর্টে যেতে হবে তোমাকে । সমস্যা নেই তো !
ফারিয়া বলল, নাহ । আমি যাবো ! গুড !
ওর নাম ঠিকানা আগেই লিখে নিয়েছে । তাই আসামীদের নিয়ে পুলিশও চলে গেল । ফারিয়া তখন মেজর ডেক্সটারের দিকে তাকিয়ে বলল
-ক্যান ইউ ড্রাইভ মি হোম ?
-আমার ব্যাপারে তো কিছুই জানো না, তবুও যাবে আমার সাথে ?
ফারিয়া কিছু বলতে গিয়ে হেসে ফেলল । তারপর বলল
-হ্যা যাবো । কারন আমার এখনও কিছু জানার আছে !
-কি ?
-তুমি একেবারে ঠিক সময়ে ল্যাবে পৌছালে । আমার গাড়ি চিনো আর সম্ভবত আমার বাসার ঠিকানাও জানো ! রাইট ?
ডেক্সটার কিছু বলল না । তবে ফারিয়ার বুঝতে কষ্ট হল না যে সে সব জানে !
ফারিয়া বলল
-কিভাবে জানো আমি সেটা জানতে চাই না । আমি আমি কেবল জানতে চাই "কেন" ? আমার ব্যাপারে এতো খোজ খবর কেন নিয়েছো তুমি ?
ডেক্সটার কিছু না বলে কেবল কিছুটা সময় তাকিয়ে রইলো ফারিয়ার দিকে । তারপর একটু হেসে বলল
-ইউ উইল নো !
তারপর আবারও গাড়ির দিকে হাটা দিল ।
ফারিয়া আর কিছুই জানতে চাইলো না । ডেক্সটারের পেছন পেছন হাটতে শুরু করলো । কেন মনে হল সামনের এই মানুষটার সাথে আর জীবনের আরও অনেক গল্প লেখা আছে ! এক সাথে !
সেটা অন্য কোন গল্প !
৯ ফেব্রুয়ারি প্রিয় বান্ধুবী ফারিয়ার জন্মদিন । মেজর ডেক্সটারের সাথে যখন তার বিয়ে হয় তখন তাকে বলেছিলাম তাদের নিয়ে একটা গল্প লিখবো । কিছুটা লিখেও রেখেছিলাম । তারপর সময় আর সুযোগের অভাবে সেটা আর শেষ করা হয় নি । আজকে শেষ করে ফেললাম । প্রেমের গল্প গল্প লিখতে গিয়ে হয়ে গেল একশন গল্প ।
যাই হোক শুভ জন্মদিন ফারিয়া । মেজর সাহেবের সাথে জীবন সুখের হোক !
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো গল্প।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৮
মাহের ইসলাম বলেছেন: আমারও ভালো লেগেছে।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৮
মা.হাসান বলেছেন: Very good thriller. +++
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একশন লাভ সবই আছে
গল্পে ++++
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬
অপু তানভীর বলেছেন: থাকতেই হবে । লাভ ছাড়া কি কিছু হয় ?
৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৮
তারেক ফাহিম বলেছেন: মুভি না গল্প
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬
অপু তানভীর বলেছেন: কেবলই গল্প
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২১
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালো লেগেছে