নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আপনারে ছাড়া করিনা কাহারে কুর্ণিশ

অর্ফিয়াসের বাঁশি

লিবারেল, মডার্ন, অসাম্প্রদায়িক, খানিকটা সোশালিস্ট; রিফর্মেশনে বিশ্বাসী। সবকিছুকে নিউট্রাল পয়েন্ট অব ভিউ থেকে ভাবতে চাই। চিকিৎসাশাস্ত্রের সাথে জড়িত; যেকোন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করি- নিজেকে প্রতিনিয়ত আপগ্রেড করি। সংস্কৃতিমনা; কবিতা পড়তে ভালোবাসি; আবৃত্তি করি।

অর্ফিয়াসের বাঁশি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদ সভায় প্রকাশ্যে চুম্বন প্রসঙ্গ...

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৬

প্রকাশ্যে চুমু খাওয়াটা বা জড়িয়ে ধরাটা (যদি না মাত্রাতিরিক্ত(!) বোঝায়) অশ্লীলতা স্প্রেড করা না। এটা কোন আমদানি করা ভিনদেশী কালচারও না। আর প্রতিবাদটাও দেশকে ভিনদেশি কালচার শেখানোর না। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? সমস্যা হচ্ছে আমরা এই প্রকাশ্য চুমুর একচুয়াল মেসেজটা ধরতে পারছি না বা ডেলিভারি দিতে পারছি না। এর মাধ্যমে যে মেসেজটা দেয়া হচ্ছে তা হচ্ছে আমি আমার লাইফে যা কিছু করি, তাতে অন্যকারো মাথাব্যথা থাকতে পারবে না। যে মেসেজটা দেয়া হচ্ছে তা হচ্ছে ফ্রিডম, রাইট টু লিবার্টি। এটা একরকম ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন।
এটা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সভ্য সমাজের রাইট। ওয়েস্টার্ন কালচারেও কিন্তু অনেক কঞ্জার্ভেশন আছে। সবাই একরকম না। কিন্তু সেখানে স্বাধীনতা, ফ্রিডমের চর্চা হয়। যার এধরণের স্বাধীনতা পছন্দ না, সে তা করে না। কিন্তু অন্যকে বাধা দিতে পারবে না। এটাই 'স্ব অধীনতা'।


আমি কোন হিসেবে এটাকে অশ্লীল বলি নি, তা ব্যাখ্যা করেছি। আমরা ভুলে যাচ্ছি যে প্রতিবাদটা হচ্ছে সেটা একটা ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদ। এটা কোন পাবলিক্যালি চুমু খাওয়াকে জায়েজ বানানোর আন্দোলন না। কিন্তু খুব সূক্ষ্ম একটা ঘটনা ঘটানো হয়েছে বুঝে এবং না বুঝে। তা হচ্ছে এই চুমু খাওয়ার ঘটনাকে ইচ্ছা করে হাইলাইট করা হয়েছে। কীভাবে হয়েছে, এবং কারা করেছে জানি না। কিন্তু এর কারণ হচ্ছে প্রতিবাদটা নিয়ে খুব সূক্ষ্ম একটা নেগেটিভ ধারণা আনার চেষ্টা। আমি প্রথম প্যারায় একটা সাধারণ রাইট বলেছিলাম, কিন্তু সেটা সবসময় না। অর্থাৎ প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া বা জড়িয়ে ধরা যদি স্বাভাবিক love regarded হয়, তাহলে কেউ কিছু মনে করবে না। কিন্তু তা যদি overly explicit display হয়, তাহলে কিন্তু এক্সেপ্টেবল না। এখন আমাদের মতো কনভারজেটিভ দেশে ধর্ষকদের শেল্টার দেয়ার মতো অনেকেই আছে। তারাই এই সামান্য ব্যাপারগুলোকে হাইলাইট করেছে। এবং তারা সফল। গত কয়েকদিনে ধর্ষণের প্রতিবাদ থেকে বেশি মাতামাতি হচ্ছে এই কয়েকটা চুমুর দৃশ্য নিয়ে। একটা বড়ো মুভমেন্টে এমন হওয়া খুবই স্বাভাবিক, এবং সারাবিশ্বেই প্রেম- দ্রোহ একে অপরকে সঙ্গ দিয়ে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বুঝে এবং না বুঝে আমরা আসল প্রতিবাদটার মোটিভ চেঞ্জ করে ফেলার চেষ্টা করছি ঘটনাগুলোকে হাইলাইট করার মাধ্যমে। যে দেশে ছেলেমেয়েদের স্বাভাবিক মেলামেশা, চলাফেরাকে সন্দেহের চোখে দেখা হয়, তারা তাদের চোখে এই 'অস্বাভাবিক' দৃশ্য দেখে হজম করতে পারবে না এবং সবার প্রতি খারাপ ধারণা আসবে। (আমি ঠিক বুঝলাম না কয়েক জোড়া কপোত-কপোতী প্রকাশ্যে চুমু খেয়ে কীভাবে বাংলাদেশকে আমেরিকা বা অন্য কোন 'nasty culture' এর ধারক বানাতে পারে!)।

অথচ এই দৃশ্যটা একটা মুভমেন্টের খুবই স্বাভাবিক দৃশ্য হওয়ার কথা ছিল কারণ একটা মুভমেন্টে নিজেদের কোয়ালিটি টাইম থাকাকে আপনি অস্বীকার করতে পারেন না।
যাইহোক, শেষ কথাটা হচ্ছে, একদম প্রথমে বলা স্বাধীনতার মেসেজটা কেউই দিতে পারতেসে না। যারা এখন প্রকাশ্যে চুমু খাচ্ছে, তারা অনেকটা ঝোঁকের বসেই করতেসে। তারা ভাবতেসে 'লোকে যা বলে বলুক'- এটা ঠিক- এটাই স্বাধীনতা। কিন্তু এই মেসেজটা তারা কারো কাছে ক্লিয়ারলি দিতে পারতেসে না। যার ফলস্বরূপ প্রতিবাদটা 'ধর্ষকদের আস্তানা- ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও' থেকে অনেকটা 'ভালোবাসা হোক উন্মুক্ত' টাইপের হয়ে গেছে। এবং আগেই বলেছি 'যারা বুঝতে পেরেছে যে প্রতিবাদটা পুরা সিস্টেমকে আঙুল দেখাচ্ছে এবং যারা চায় না বাংলাদেশের দলীয় শেল্টার ব্যবস্থাটা ভেঙে পড়ুক'; তাদের সাথে সাথে 'যারা ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদটা প্রকৃতপক্ষেই চায় এমন অনেক মানুষও এর জন্য দায়ী'।




[আমার মেসেজ যারা বুঝার, তারা বুঝবেন আশা করি। না বুঝলে অপেক্ষা করেন, ভাবেন। বুঝে যাবেন। আর যারা আমার বক্তব্যের গঠনমূলক সমালোচনা করতে আগ্রহী তারা সাদরে আমন্ত্রিত। আর হ্যা, এই চুমুর সমালোচনা যদি করোনাকালীন সিচুয়েশন বিবেচনায় হয়, তাহলেও কিছুটা বিবেচনা করা যায় :-p]

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৮

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: মূল বক্তব্য এটাই। যদি কিছু যোগ-বিয়োগ করতে হয়, করবো। আশা করি public nuisance এর বিষয়টি এখানে উঠে এসেছে এবং কীভাবে এটা পাবলিক নুইসেন্স সেটাও ব্যাখ্যা করেছি।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


বাংলাদেশের ঘুষ খাওয়া কোন অপরাধ না।
দুর্নীতি করা অপরাধ না।

চুমু খাওয়া বিরাট অপরাধ।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৫

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: খুব সামান্য একটা জিনিসকে এত বড় করে হাইলাইট করা হচ্ছে যে বাংলাদেশের ধ্যানধারণাই এখন এইটা। ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন না এখন আর, বরং এটা যেন প্রকাশ্যে চুম্বন আন্দোলন।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪০

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার একটা অপচেষ্টা এইটা।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৬

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে আমরা ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদের মানুষরাও এটাকে হাইলাইট করে ভিন্ন দিকে নেওয়াকে ত্বরান্বিত করছি

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: চুমু কোনো সমস্যা। প্রতিবাদটাই বড় কথা।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩১

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: চুমুর মতো ছোট ঘটনাকে যখন দুই পক্ষই বড়ো করে তুলে ধরে, তখন বুঝতে হবে চুমুই সমস্যা :-p

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০৫

এইচ তালুকদার বলেছেন: চুমুতে এত এলার্জী,ওদিকে ৫৭ হাজার বর্গমাইলে ২০ কোটি মানুষ কিয়েক্টা অবস্থা।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:৩৬

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: রীতিমতো রে রে পড়ে যাচ্ছে। দুই একজোড়া কপোত কপোতি চুমু খেয়ে সভ্যতা সংস্কৃতি ধ্বংস করে ফেললো তো৷ প্রতিবাদের ভাষাও ধর্ষণ থেকে উন্মুক্ত ভালবাসা হয়ে গেলো মূহুর্তেই।
এটাকেই বলে গেম চেঞ্জের নিঞ্জা টেকনিক।

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমরা সবকিছু ইসলামিক মানদন্ডে বিচার করি।অগ্রসর হতে চাই না,কেবল পিছনে যেতে চাঁই।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৫৫

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: আপনার কথায় মনে পড়লো-

“বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে
আমরা তখনো বসে,
বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি
ফিকাহ ও হাদীস চষে।
হানাফী, শাফিঈ, মালিকী, হাম্বলীর
তখনো মেটেনি গোল,
এমন সময় আজরাইল আসি
হাঁকিল তলপি তোল।
বাহিরের দিকে মরিয়াছি যত
ভিতরের দিকে তত,
গুণতিতে মোরা বাড়িয়া চলেছি
গরু ছাগলের মতো।”
——–– কাজী নজরুল ইসলাম


যাইহোক, যে যার আইডলজি নিয়ে থাকবে এবং সেটাই থাকতে দেয়া উচিত। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে নিজের আইডলজি দিয়ে অন্যকে জাজ করার চেষ্টায়। আমি নিজেও মুসলিম এবং নিউট্রাল চিন্তা করার চেষ্টা করি। সে অ্যাঙ্গেল থেকে উপরের এই তুচ্ছ ঘটনাটাকে বিশ্লেষণ করলাম। ফেসবুকে তো রীতিমতো এই নিয়ে নতুন বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে যেমন লিখেছি।

৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: অর্ফিয়াসের বাঁশি ,



আপনি যে দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে বিষয়টিকে দেখছেন সে ভাবে দেখার চোখ আমাদের বেশীর ভাগেরই নেই।
বলেছেন - “এই চুমু খাওয়ার ঘটনাকে ইচ্ছা করে হাইলাইট করা হয়েছে। কীভাবে হয়েছে, এবং কারা করেছে জানি না। কিন্তু এর কারণ হচ্ছে প্রতিবাদটা নিয়ে খুব সূক্ষ্ম একটা নেগেটিভ ধারণা আনার চেষ্টা।.......................আমাদের মতো কনভারজেটিভ দেশে ধর্ষকদের শেল্টার দেয়ার মতো অনেকেই আছে। তারাই এই সামান্য ব্যাপারগুলোকে হাইলাইট করেছে।“
সম্ভবত এটা ঘটেছে, ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন কে “নেগেটিভ” ভাবে তুলে ধরার সচেতন নোংরামী থেকে নতুবা আপনার কথা মতো -“ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বুঝে এবং না বুঝে।“ এর কারনে।

যদি আমরা সত্যিকার ভাবেই একটি আন্দোলনের সফলতা চাই তবে সেখানের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলোকে আমলে না নিয়ে আন্দোলনের প্রতিপাদ্যকেই বারেবারে তুলে ধরাই সঙ্গত। জনস্বার্থের পক্ষে প্রতিটি আন্দোলনেই এমন কিছু না কিছু ঘটে থাকে কিন্তু সেই ত্রুটি বিচ্যুতিগুলোকে বাদ দিয়ে আন্দোলনের বক্তবটাকেই প্রতিষ্ঠিত করার তাগিদটাই থাকে বেশী এবং উচ্চকিত। নইলে এ পর্যন্ত সকল গণআন্দোলনই ব্যর্থ হয়ে যাবার কথা ছিলো।

আর যদি এসব আন্দোলনে কারো কারো স্বার্থে আঘাত লাগে তবে তারা এর ভেতরের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলোকে এক একটি ইস্যু বানিয়ে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই চাইবেন জোরেশোরে। আন্দোলন বিরোধী লোকজন তো এখানে থাকেনই আরও থাকেন এই আন্দোলনের পক্ষের কিছু লোক বা সাধারণ দর্শক যারা বুঝে কিম্বা না বুঝে এসব নিয়ে মাতামাতি করেন। তাই গত কয়েকদিনে ধর্ষণের প্রতিবাদ থেকে বেশি মাতামাতি হচ্ছে এই কয়েকটা চুমুর দৃশ্য নিয়ে।

আপনার এ কথাটি আসলেই ভাবনার খোরাক যোগায় - “স্বাধীনতার মেসেজটা কেউই দিতে পারতেসে না। যারা এখন প্রকাশ্যে চুমু খাচ্ছে, তারা অনেকটা ঝোঁকের বসেই করতেসে। তারা ভাবতেসে 'লোকে যা বলে বলুক'- এটা ঠিক- এটাই স্বাধীনতা। কিন্তু এই মেসেজটা তারা কারো কাছে ক্লিয়ারলি দিতে পারতেসে না। যার ফলস্বরূপ প্রতিবাদটা 'ধর্ষকদের আস্তানা- ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও' থেকে অনেকটা 'ভালোবাসা হোক উন্মুক্ত' টাইপের হয়ে গেছে।“
এ প্রসঙ্গে আপনার ব্যবহৃত একটি শব্দ - “স্ব অধীনতা” র কথা এসেই যায়। আসলেই, স্বাধীনতা একটি সোনার শেকল । যা আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে চেতনায়, অনুভবে, বিচক্ষনতায়, দায়িত্বশীলতায়, প্রজ্ঞায় । সোজা কথায়, আপনার সকল স্বাধীনতা সম্পর্ণভাবেই পরাধীন ।
যদিও পৃথিবীর হাতে এ পর্যন্ত স্বাধীনতার একটিও ভালো সংজ্ঞা নেই ।
এখানে দেখতে পারেন - স্বাধীনতা মানেই এবসোলিয়্যুট পরাধীনতা । ব্যক্তি ও স্বাধীনতা : একটি সোনার শেকল

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:২৫

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগের প্রকৃত অর্থ ধরতে পারার জন্য। আমি কিন্তু বলেছি যে মেসেজের অর্থ সঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে অক্ষম বলেই এর পক্ষ-বিপক্ষ তৈরি হয়েছে।
আপনার ব্লগটি চমৎকার। ঠিক একই কথা আমিও বলেছি, আপনি স্বাভাবিক ভালোবাসা প্রদর্শন করতে পারবেন, কিন্তু সেটা মাত্রাতিরিক্ত হতে পারবে না। আমার কাছে চুমু খাওয়াটা স্বাভাবিক বলেই মনে হয়েছে (তার উপর সেটা একটা আন্দোলন চলাকালে যেখানে আন্দোলনের মূল থিম পুরাপুরি ভিন্ন, যার সাথে চুমু খাওয়ার সম্পর্ক অনেকটা থেকেও নেই)। এই স্বাভাবিক ব্যাপারটিই তারা বুঝাতে পারে নি। যারা চুমু খাচ্ছে এবং যাদের কাছে 'nuisance' মনে হয়েছে, দু'পক্ষকেই এ বিষয়ের দিকে খেয়াল করতে হবে। আমার মনে হয় না গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া এটি ওই মুহূর্তে কেউ লক্ষ্যও করেছে। বরং এর পক্ষের মানুষজন (এবং অবশ্যই বিপক্ষের) একে হাইলাইট করেছে 'কঞ্জারভেটিভ দেশে নতুন বিপ্লব' হিসেবে, কিন্তু আদৌ সেটি তাদের করার কথা ছিল না বলেই মনে হয়। আর public nuisance' নিয়ে ভাবতে গেলে আমি এমকি বান্ধবীর হাত ধরে টিএসসিতে হাটতেও কিঞ্চিৎ দ্বিধাবোধ করি। আশা করি বুঝাতে পেরেছি যে এই দেশে স্বাভাবিক মেলামেশাও কতটা কঞ্জারভেটিভ দৃষ্টিতে দেখা হয়। সেখানে হাইলাইট করে 'নোংরা' জিনিস ইচ্ছে করে দেখানো হলে তো তা নিয়ে হৈচৈ উঠবেই।
আর যদি এটাকে nuisance ও ধরে নেই, সেটা বারবার আমাদের দেখানো হচ্ছে অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই। appeal to motive fallacy.

৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৪৫

রাশিয়া বলেছেন: প্রকাশ্যে চুমু খেয়ে কি এই মেসেজ দেয়া হচ্ছে যে, "ধর্ষণ নয়, চুমু দিন" বা "চুমু দিয়ে সাড়া পেলে তবেই সেক্স করুন, নইলে না।"

অবিবাহিত ব্যক্তিরা চুমু খাওয়া তো স্পষ্ট ব্যভিচার, বিবাহিত ব্যক্তিরা যদি বৌকে প্রকাশ্যে চুমু খায়, সেটা ব্যভিচার না হলেও নির্লজ্জতা। সেই সনাজকে আমরা আধুনিক বলি সেখানে নির্লজ্জ হতে বাধা নেই, কিন্তু আমাদের সমাজে নির্লজ্জতাকে এখনও ঘৃণার চোখে দেখা হয়।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:০৯

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: আবার পড়ুন। উত্তর দেয়া আছে ব্লগেই। প্রকাশ্যে চুমু খেয়ে প্রকাশ্যে সেক্সের অনুমতি দেয়া হচ্ছে বিষয়টা মোটেও এমন বলি নি। বলেছি এর অর্থ 'আমার জীবনে আমি যা ইচ্ছা করবো'- তবে সেটা অবশ্যই overly explicit public display হতে পারবে না। আপনার কী মনে হয় চুমু খাওয়া এমন কিছু? আপনাকে হাইলাইট করে চুমুর ছবি প্রতিদিন শতবার না দেখানো হলে আপনি সেটা জানতেনও না। আর আমি বলেছি কেন বারবার হাইলাইট করা হয়েছে।
দয়া করে আবার পড়ুন। মাথা ঠাণ্ডা রেখে। যে মেসেজ দিতে চেয়েছি তা আপনি আবারো উলটে দিয়েছেন

৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০৬

কৃষ্ণগহ্বর বলেছেন: B:-/

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: চুমুর মতো ছোট ঘটনাকে যখন দুই পক্ষই বড়ো করে তুলে ধরে, তখন বুঝতে হবে চুমুই সমস্যা :-p

চুমু দুনিয়াতে সবচেয়ে সুন্দর বিষয়।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত বলেছেন, গোপনে একটি চুম্বন দাও।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:৫৯

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: অবশ্যই চুমু সবচেয়ে সুন্দর বিষয়। ছোট বলতে বুঝিয়েছি স্বাভাবিক ঘটনা।

১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২৬

স্থিতধী বলেছেন: আপনার শেয়ার করা সেই কবে লিখে যাওয়া কাজী নজরুলের কবিতাটি আজো কত প্রাসঙ্গিক! আজ বেঁচে থাকলে নজরুল কি খুব খুশী হতেন তাঁর এই প্রাসঙ্গিকতা টুকু দেখে? হবার তো কথা নয়; সবাই তো আর ভবিষ্যৎবক্তা হয়ে উঠতে চায়না! নজরুল শুধু বাঙ্গালীর আর্থিক আর বুদ্ধিভিত্তিক উন্নতি প্রত্যাশা করেছিলেন সকল কূপমণ্ডূকতা কে ঝেড়ে ফেলার মাধ্যমে । তবে তাকে শখ করে জাতীয় কবি বানানো এই আমরা তাঁর সেই স্পিরিট টিকে বুঝতে চাইলামনা আজো। এটা ট্রাজেডি না প্রহসন তাও বোঝা দায়!

আপনার লেখাটি ও নজরুলের কবিতাটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে আমি বেশি কিছু বুঝাতে চাই নি। আমার কাছে মনে হয়েছে একটা কাপল যদি চুমু খায়, সেটাকে এমনভাবে তুলে ধরা হচ্ছে যেন প্রতিবাদটাই চুমু খাওয়া নিয়ে। প্রতিবাদকারীরা সবাই চুমু খাচ্ছে। সেটার পেছনে যে উদ্দেশ্য আছে সেটাই তুলে ধরতে চেয়েছি।
আর নজরুলের কবিতা সবকালের সবার জন্য। তার সাহিত্য বোঝার মত বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন এখনো ৯০% মানুষেরই হয় নি।

১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৫২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: খুব সহজে এই সবের ব্যাখ্যা চলে না।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৯

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: যেভাবে হাইলাইট করা হয়েছে তাতে এটাই ফুটে উঠেছে। দুই এক জোড়া মানুষ যদি কালচার চেঞ্জ করে ফেলতে পারতো তাহলে তো হয়েই যেত। সবার প্রথমে মানুষের হিপোক্রেসির কালচার চেঞ্জ করা হতো তাহলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.