নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আপনারে ছাড়া করিনা কাহারে কুর্ণিশ

অর্ফিয়াসের বাঁশি

লিবারেল, মডার্ন, অসাম্প্রদায়িক, খানিকটা সোশালিস্ট; রিফর্মেশনে বিশ্বাসী। সবকিছুকে নিউট্রাল পয়েন্ট অব ভিউ থেকে ভাবতে চাই। চিকিৎসাশাস্ত্রের সাথে জড়িত; যেকোন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করি- নিজেকে প্রতিনিয়ত আপগ্রেড করি। সংস্কৃতিমনা; কবিতা পড়তে ভালোবাসি; আবৃত্তি করি।

অর্ফিয়াসের বাঁশি › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্বী, আপনাকেই বলছিঃ আপনি কী মুসলমান নাকি মানুষ-মুসলমান?

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৩০

(লেখাটি ছিল বর্তমানের আলোচিত ঘটনা নিয়ে আমার বন্ধুর সাথে আলোচনা। ফেসবুকের মেসেজটি কপি করে দিলাম। তার পরের অংশে থাকবে মেসেজের প্রাসঙ্গিকতা এবং কয়েকটি খবরের লিংকসহ স্ক্রিনশট। ডিসক্লেইমার- এটি ধর্মীয় পয়েন্ট অব ভিউ থেকে নিউট্রালি সত্যিটাকে দেখার চেষ্টা)

"জিহাদ ২ প্রকার। আল আসগর আর আল আকবর। আল আকবর তো আমরা জানিই। নফসের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমরা যেইটাকে জিহাদ বলি মূলত, অর্থাৎ যুদ্ধ অর্থে, সেটা হইল আসগর। এখন জিহাদ আল আসগর বলা হইসে অন্যায়কারী এবং কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। এইটার অর্থ কিন্তু ব্যাপক। যদি স্থুল অর্থে গ্রহণ করি তাইলে কিন্তু অর্থ দাঁড়ায় কাফির হঠানো। অন্যদিকে যদি সূক্ষ্ম চিন্তা করি তাহলে মূলত অর্থ দাঁড়ায় যেকোন প্রকার অন্যায় এবং ইসলামের বেসিক চিন্তার বিরুদ্ধে যারা, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। আমাদের কিছু জিনিস প্রথমে মাথায় রাখতে হবে। ইসলাম হচ্ছে ন্যায়ের ধর্ম। সুতরাং কেউ অন্যায় করলে তা সে নামে মুসলমান হইলেও প্রকৃতপক্ষে মুমিন না। তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। আর কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ব্যাপারটা অন্যায়ের সাথে ইসলামের বেসিক আইডলজির ব্যাপারটাও চলে আসবে- অবশ্য সেগুলাও ন্যায়ের তালিকাতেই পড়ে। এখন এই যে এই জিহাদে আসগর, এইটা তাহলে কেমন হওয়া উচিত? সেইটা প্রথমে হতে তাকে বুঝানোর মাধ্যমে। সেইখানে দুইটা ব্যাপার চলে আসে, এক- কলমের মাধ্যমে বা মুখের মাধ্যমে। আরেকটা আসে অস্ত্রের মাধ্যমে। এইটা হচ্ছে বেসিক কথা জিহাদের।

এখন যেহেতু কলম, মুখ, অর্থাৎ বুঝানোর মাধ্যমে এবং অস্ত্রের মাধ্যমে দুই ভাবেই জিহাদ করতে হয়, আমরা কোনটা আগে করব? এইখানেই প্রকৃত বুঝার ব্যাপারটা চলে আসে। মুমিনের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সবর। আর মুমিনরা মধ্যস্ততাকারী, মডারেটর৷ সুতরাং আমাদের প্রথমে সবর করতে হবে৷ এখন বিষয়টা হচ্ছে জিহাদে আবার সবর কিভাবে করব? জিহাদেও সবর করতে হবে। এইটা আল্লাহর হুকুম। আমাদের বুঝতে হবে যে ইসলামকে আমরা যে শান্তির ধর্ম বলি সেই শান্তি শব্দটা কীভাবে ব্যবহার হবে। এই শান্তি আসবে সবরের মাধ্যমে। আগে আমাদের বুঝানোর মাধ্যমে জিহাদ করতে হবে। সবর করতে হবে। যদি প্রথমেই অস্ত্র ধরি তাহলে একটার সাথে আরেকটার কনফ্লিক্ট লেগে যাবে।

কাজেই কিছু হইলেই জবাই করার চিন্তা থেকে বের হয়ে গঠনমূলক চিন্তা করতে হবে। জিহাদের সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছে অস্ত্র ধরা৷ অর্থাৎ তার আগের স্তরগুলা ফুল ফিল হইসে কিনা সেটা আমাদের ধ্যানজ্ঞান দিয়ে চিন্তা করতে হবে। কারণ কাণ্ডজ্ঞান হারায়ে যদি কাউকে মেরে বসি আখিরাতে কী আমি তার জন্য পুরষ্কার পাবো নাকি তিরস্কার পাবো সেটাও মাথায় রাখা দরকার। নবী-অপমান যেমন অপরাধ, তারচেয়েও নিচু অপরাধ কাউকে মেরে ফেলা। সম্ভব হলে শত্রুকেও ক্ষমা করে দেওয়ার কথা কী বলা হয় নাই ইসলামে? জবাই না করলে অন্তত দুনিয়ার সবার কাছে এখন নবীজির কার্টুন পৌঁছাইতো না। অথচ প্রতিবাদ স্বরূপ শার্লি এব্দো এখন নবীজির কার্টুন ঝুলায়ে রাখসে অফিসের সামনে। আমরাই এইটার সুযোগ করে দিসি যেইটা এড়ানো যাইতো যদি যুক্তি দিয়ে সমালোচনা করা হইতো। তার মানে হয় দুনিয়ার মুসলমানরা টেররিস্ট, অথবা তারা বোকা, অথবা স্বার্থপর। নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনসি শতশত বছর ধরে।

আর আরেকটা কথা, ইসলামকে আমরা বলি আধুনিক ধর্ম। কারণ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা একে ব্যবহার করি। কিন্তু একই সাথে হিপোক্রেসিও করি। যখন যেটা প্রয়োজন, সেভাবে ইসলামকে নেই, মনে কর যদি এখন মারামারি করে ইসলাম কায়েম করা ইজি হয়, আমরা কোরানকে স্থুল অর্থে গ্রহণ করি। আর যখন বিজ্ঞান বিষয়ে আসে, তখন আমরা তার ব্যাপক অর্থ গ্রহণ করি। এই হিপক্রেসি থেকে বের হয়ে সত্যিকার মডারেট পন্থা গ্রহণ করতে হবে। এই যে যুগের সাথে তাল মিলানোর উপায়, এইটাই হইল মাজহাব। মাজহাব, ইজমা কিয়াস- সব একসূত্রেই গাঁথা। কিন্তু সেই মাজহাবও বন্ধ করে ফেলা হইসে ৮০০ বছর আগে। আর এইটাও কিন্তু স্বার্থপর মুসলমানরাই করসে। নাহইলে ইসলামের যুগোপযোগী ব্যবহার থাকতো আজকে। সুতরাং, যেহেতু সেই সুযোগ নাই, আমাদের বিবেক বুদ্ধি কাজে লাগাইতে হবে। এই পৃথিবীতে সবচে ইফেক্টিভ হচ্ছে মেন্টালিটির উপর প্রভাব বিস্তার করা। ফিজিকালি টর্চার না। আর কোন রাস্তা গ্রহণ করব, সেই সুযোগও ইসলাম আমাকে দিসে।"

উপরের কোটেশন দেওয়া লেখাটা ছিল আমার বন্ধুর সাথে কথোপকথনের অংশ। এখন একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস বলি। তারপর আপনারা বিবেচনা করবেন মুসলিম হিসেবে আপনার জায়গা কোথায়।

আপনি কি জানেন স্যামুয়েল প্যাটি কীভাবে 'ব্যঙ্গচিত্র' প্রকাশ করার কারণে মারা গিয়েছিলেন? তার ক্লাসের বিষয় ছিল ফ্রিডম অব স্পিচ এবং ফ্রান্সের সেকুলার আইডলজি। সেই ফ্রি স্পিচ নিয়ে বলতে গিয়েই তিনি নবী(সাঃ) এর দু'টি ছবি দেখান ক্লাসে। এটি সেই দুটি ছবি, যার জন্যই ২০১৫ সালে শার্লি হেবদোর অফিসে জঙ্গী হামলা করে ১২জনকে মেরে ফেলা হয়েছিল। হেবদো কেন এইভাবে ইমোশনে আঘাত করলো আমি সেসব নিয়ে কথা বলতে চাই না, শার্লি হেবদোর কাজ সর্ম্পকে সবাই আগে থেকেই অবগত আছেন আশা করি। কিন্তু, মজার ব্যাপারটা হচ্ছে প্যাটি তার স্টুডেন্টদের সম্পর্কে কনসার্ন ছিলেন এবং তার মুসলিম ছাত্রদের অনুরোধ করেছিলেন যদি তারা ধর্মানুভুতিতে আঘাত পায় তাহলে তারা ক্লাস ত্যাগ করতে পারে।
যে ছাত্রীটি ক্লাসরুম থেকে বের হয় নি, সে পরবর্তীতে সোশ্যাল সাইটে স্যামুয়েল প্যাটিকে ভাইরাল করে। তার অভিযোগ মূলত ছিল পর্ণগ্রাফি ছড়ানো বিষয়ক। বলা হয়েছে সেই দুইটা ছবির একটা ছিল নবী(সা)র নাকি এর নগ্ন প্রতিকৃতি। সে বিষয়ে তদন্তও চলছিল, এবং শেষ পর্যন্ত সেই ছাত্রী স্বীকারও করে নিয়েছিল যে এটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং। কিন্তু তার মাঝখানেই.. আর সেই অভিভাবক, যারা ওই অভিযোগ আমলে নিয়েছিল তারা কিন্তু সেই 'নবী(সা)র ছবি' সংক্রান্ত আবেগে যাই নি। কারণ সেটা তো ভ্যালিড না। ডিসক্লেইমার দেওয়া হয়েছিল- ছবিগুলো মুসলিমরা এভয়ড করতে পারতো। তাই তারা আমলে নিয়েছিল পর্ণগ্রাফি বিষয়টিকে, নুডিটি বিষয়টিকে।
এখন আমাকে বলেন আপনার সাধারণ জ্ঞান কী বলে? অনুরোধ করার পরেও যদি কেউ থেকে যায়, তার কী ধর্মানুভুতিতে আঘাত পাওয়ার কথা? তাকে তো আগেই ডিসক্লেইমার দেওয়া হয়েছে। তাহলে এই যে মুসলিমরা যে 'বয়কট ফ্রান্স' বলে চিৎকার করছি, তার ভিত্তি কী? আর আমাদের সবরই বা কোথায়? আলোচনা সমালোচনা করা হয়েছিল? সেটাও তো হয় নি। কারণ স্যামুয়েল জবাই হওয়ার আগে বাইরের কেউ জানতোও না ঘটনাটা। তাহলে আমরা কি ইসলাম সম্পর্কে জেনে বুঝে এসব করছি, নাকী হুজুগে পড়ে করছি? আল্লাহ এগুলো মানবেন তো? কী মনে হচ্ছে, এটা কী আসলে হত্যা না? (অবশ্যই জিহাদ না- উপরে কোটেশনে ব্যাখ্যা করেছি]। অনেকেই এখন বলবেন ম্যাক্রনের বক্তব্যের কথা। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা ম্যাক্রনের বক্তব্য শুনে দেখবেন ভালোভাবে। যদি স্যামুয়েল প্যাটি তার ছাত্রদের ডিসক্লেইমার দিয়েই থাকে, তাহলে যারা ওই অন্ধ জঙ্গির পক্ষে ডিরেক্টলি ইনডিরেক্টলি সাফাই গেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ম্যাক্রনের সেইসব বক্তব্য কি ফেলে দেওয়ার মতো?

দেখুন,
রয়টার্স থেকে- স্যামুয়েল প্যাটি অনুরোধ করেছিল তার শিক্ষার্থীদের





The Guardian এর লিংক- Click This Link

Reuters এর লিংক- Click This Link

আরো অসংখ্য নিউজ পাবেন যেখানে পুরো ঘটনা বর্ণনা করা আছে। কেউ এসব পড়েও দেখে নি। বা দেখেও কিছু বলবে না। কারণটা নিজেই খুঁজে বের করুন।
মুসলমানদের রিফর্মেশন প্রয়োজন। হুজুগ দূর করে চিন্তাচেতনার ব্যপ্তি বাড়াতে হবে, লিবারেলি ভাবতে হবে। দুনিয়ার জীবনে ইসলাম সবার ভালো চায়। এখন নিজেদের কারেকশন না করলে অদূর ভবিষ্যতে যা হবে তার জন্য আমরাই দায়ী থাকবো। যদিও তা বুঝার মানসিকতা হবে না মুসলমানদের। এখন যেমন হচ্ছে না।

এখন কী মনে হচ্ছে, আপনি আসলেই মুসলিম? নাকি এত বড়ো ঘটনায় আমি এভাবে 'অন্যায়ের'(!) পক্ষ নিচ্ছি বলে আমাকে কাফির নাস্তিক ট্যাগ দিয়ে দিতে ইচ্ছা করছে? ইচ্ছা করলে দিতে পারেন কিন্তু আমি জানি আমি কতটুকু সঠিক। শেষ বিচারে নাহয় আমার হিসাব আমিই দিবো, তাও অন্তত বলতে পারবো যে আমি হুজুগে পড়ে কোন কাজ করি নি। যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি অনেস্টলি নিউট্রাল থাকার, ভালো থাকার।
শেষ করব আপনাদের কাছে একটা প্রশ্ন রেখে। মুসলিমরা ফ্রান্সকে বয়কট করছে তারা নবীর ছবি প্রকাশ প্রসঙ্গে আগের অবস্থানে আছে বলে। কিন্তু এই যে মুসলিমরা স্যামুয়েলকে হত্যা করেছে এবং হত্যার পক্ষে সাফাই গেয়ে শার্লি হেবদোকে যে এখন উস্কানি দিয়েছে আমার প্রিয় নবী(সা)এর সেইসব নোংরা কার্টুন জনসম্মুখে সরকারি অফিসের সামনে টাঙাতে-কোটি কোটি মানুষকে আবারো নতুন করে দেখিয়েছে সেসব, তাহলে কী মুসলমান হয়েও এখন আমার উপর মুসলমানদের বয়কট করা ফরজ?

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমি মানুষ। এটাই আমার আসল পরিচয়।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৫৮

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: আমিও মানুষ, এবং মানুষই। ধর্ম এর বাইরের বিষয়। যা কিছু ভালো তাই আমার ধর্ম।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মন্তব্য করার মতো কিছু নেই।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২৫

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: আমি ইচ্ছে করেই ধর্মের পারস্পেক্টিভে একে ব্যাখ্যা করেছি। অনেক তো হলো ধর্মের বাইরে থেকে দেখা। ধর্মের দিক দিয়েও যে আসলে তারা ভুল, সেটাই দেখিয়েছি

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৫৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কিছু সূরার ব্যাখ্যায় সমস্যা।
সুরা আত তাওবাহঃ আয়াত,৫
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে পাও,তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর।আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক।কিন্তু যদি তারা তওবা করে নামাজ কায়েক করে,যাকাত আদায় করে তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও।
নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।
(সকল গোত্রের লোকরা মিলে ঠিক করেছিল এই সময়টাতে তারা যুদ্ধ করবে না,সেটাই নিষিদ্ধ মাস।)

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:২৪

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: ওই যে বলেছিলাম যে যখন যেভাবে গ্রহণ করা দরকার সেভাবে ইসলামকে গ্রহণ করা হয়। ইসলামকে ছোট করার পেছনে তো মুসলিমরাই দায়ী।
আলোচিত কিছু আয়াতের নিউট্রাল ব্যাখ্যা আমার কাছে আছে। অন্ততপক্ষে, সেভাবে গ্রহণ করলে কিছুটা হলেও নিরপেক্ষ হওয়া যায়- ব্যাখ্যা অবশ্য পটভূমি, শানে নুজুলসহ। প্রকাশ করি নি কখনো

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তার ক্লাসের বিষয় ছিল ফ্রিডম অব স্পিচ এবং ফ্রান্সের সেকুলার আইডলজি।

সেই ফ্রি স্পিচ নিয়ে বলতে গিয়েই সেই কাহিনী বিভিন্ন স্যাটায়ার পত্রিকা ও কার্টুন পত্রিকার কথা
সে ধরনের পত্রিকা বাংলাদেশেও ছিল, উম্মাদ পত্রিকা এখনো আছে
শার্লি হেবদোইয়ে হাজার হাজার কার্টুন ছবি, সব ছবি মুলত রাজনীতিবিদ, ব্যাবসায়ী নেতা শিল্পি খেলোয়াড় কত কি।
হাজার হাজার লাখ লাখ কার্টুন চরিত্রের ভেতর ২টি কার্টুন ছবির কারনে। ২০১৫ সালে শার্লি হেবদোর অফিসে জঙ্গী হামলা করে ১২জনকে মেরে ফেলা হয়েছিল।
ক্লাসে সব টিন এজ ছাত্ররা হতবাক, কি এমন আঁকা কার্টুন যার কারনে ১২জনকে মেরে ফেলা হল। আমরা সেই ছবি দেখতে চাই।

দুটি ছবির কোনটাই নগ্ন ছিল না, লম্বা আরবীও আলখেল্লা, মাথায় পাগড়ি, এক এক পেইজে অনেকগুলো দাড়ী ওয়ায়ালা লোকের ছবি কোনটা মাহোমেট (MAHOMET) বোঝা মুসকিল। ছবিগুলো প্রত্যেকটি পরে একটি ভবনে ডিস্পেলেতে দেখানো হয়েছে, সেসব ছবিতে কোন নগ্ন ছবি নেই।

মেয়েটি পরে শিখিয়ে দেয়া মিথ্যে বলেছে। পরিবারের ও স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটির।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: সেসব নিয়ে তদন্ত চলছিল এবং পরবর্তীতে তারা স্বীকার করে নেয় যে মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং। কিন্তু তার মাঝেই ঘটে হত্যাকাণ্ড। এই জিনিসটা কে বুঝবে? কেউই না। মুসলমানরা নিজেরাই নিজেদের নাম খারাপ করসে, সেটার দায় নাকি নিতে হবে এখন অন্যদের।

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


হাসান কালবেশাখীর বক্তব্য খুবই সুন্দর।

+++

৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পোস্টটি মিস হয়ে গিয়েছিল, আপনার ভাবনা সঠিক ও লজিক্যাল।
+++

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৫

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৯

স্থিতধী বলেছেন: মুসলমানদের নিজেদের রিফর্ম করতেই হবে। যত বেশী ৭ম- ৮ ম শতাব্দী তে নিজেদের আটকে রাখার চেষ্টা করবে ততো বেশী ভুগবে আর ভোগাবে। এই যে আপনি ইসলাম কে শান্তির ধর্ম বলতে চান। এটা সালাফিরা ইসলামের অপব্যখ্যা বলবে, ইসলামের আসল অর্থ বলা হবে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ , ফলে জিহাদের ব্যাখ্যা তেও পরিবর্তন আসবে । আপনি কোরআনের এই অংশ মেনে চলেন কিন্তু ঐ অংশ মেনে চলেন না বা চলতে পারেন না , আপনি সোজা মুনাফেক হয়ে যাবেন। আপনি কোরআন মানলেও হাদীস সব মানেন না, আপনি দ্বীনে কায়েম নাই হিসেবে অবাঞ্ছিত হবেন। আবার অনেক হাদীস মানলে আপনি জাল হাদিস দ্বারা পথ ভ্রষ্ট হয়েছেন বলা হবে। আপনি সাহাবী ও তাবেয়ীদের পরম্পরা তে নাই তাহলে আপনার আমল শুদ্ধ নাই। আপনি ইরানি মুসলিমের ধর্মীয় ভাষা ও সংস্কৃতি ফলো করেন তো আপনি বিদআতি, সুফি ইসলাম মানলে আপনি শিরক- কুফরি তে মগ্ন হচ্ছেন বলা হবে । আপনি যে বললেন আখিরাতে আপনার হিসেব আপনি ই দিবেন এটার জন্যও জঙ্গীমনা দের গাত্রদাহ হবে, মুরতাদ বিবেচনা করে নিতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা এরা আল্লাহর দেয়া শাস্তির জন্য অপেক্ষা করতে রাজি না। বিচারের ভার আল্লাহর হাতে ছেড়ে না দিয়ে বিচার করার ভার নিজেই নিতে আগ্রহী। নিচের ছবিতে মজা করে হলেও ; একজন ব্লগারের প্রফাইল ডেসক্রিপশনে তাদের এই স্বভাবটা ভালোই ফোটানো হয়েছে।

মুসলমানদের নিজেদের রিফর্ম করতেই হবে। যত বেশী ৭ম- ৮ ম শতাব্দী তে নিজেদের আটকে রাখার চেষ্টা করবে ততো বেশী ভুগবে আর ভোগাবে। এই যে আপনি ইসলাম কে শান্তির ধর্ম বলতে চান। এটা সালাফিরা ইসলামের অপব্যখ্যা বলবে, ইসলামের আসল অর্থ বলা হবে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ , ফলে জিহাদের ব্যাখ্যা তেও পরিবর্তন আসবে । আপনি কোরআনের এই অংশ মেনে চলেন কিন্তু ঐ অংশ মেনে চলেন না বা চলতে পারেন না , আপনি সোজা মুনাফেক হয়ে যাবেন। আপনি কোরআন মানলেও হাদীস সব মানেন না, আপনি দ্বীনে কায়েম নাই হিসেবে অবাঞ্ছিত হবেন। আবার অনেক হাদীস মানলে আপনি জাল হাদিস দ্বারা পথ ভ্রষ্ট হয়েছেন বলা হবে। আপনি সাহাবী ও তাবেয়ীদের পরম্পরা তে নাই তাহলে আপনার আমল শুদ্ধ নাই। আপনি ইরানি মুসলিমের ধর্মীয় ভাষা ও সংস্কৃতি ফলো করেন তো আপনি বিদআতি, সুফি ইসলাম মানলে আপনি শিরক- কুফরি তে মগ্ন হচ্ছেন বলা হবে । আপনি যে বললেন আখিরাতে আপনার হিসেব আপনি ই দিবেন এটার জন্যও জঙ্গীমনা দের গাত্রদাহ হবে, মুরতাদ বিবেচনা করে নিতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা এরা আল্লাহর দেয়া শাস্তির জন্য অপেক্ষা করতে রাজি না। বিচারের ভার আল্লাহর হাতে ছেড়ে না দিয়ে বিচার করার ভার নিজেই নিতে আগ্রহী। নিচের ছবিতে মজা করে হলেও ; একজন ব্লগারের প্রফাইল ডেসক্রিপশনে তাদের এই স্বভাবটা ভালোই ফোটানো হয়েছে।

মুসলমানদের নিজেদের রিফর্ম করতেই হবে। যত বেশী ৭ম- ৮ ম শতাব্দী তে নিজেদের আটকে রাখার চেষ্টা করবে ততো বেশী ভুগবে আর ভোগাবে। এই যে আপনি ইসলাম কে শান্তির ধর্ম বলতে চান। এটা সালাফিরা ইসলামের অপব্যখ্যা বলবে, ইসলামের আসল অর্থ বলা হবে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ , ফলে জিহাদের ব্যাখ্যা তেও পরিবর্তন আসবে । আপনি কোরআনের এই অংশ মেনে চলেন কিন্তু ঐ অংশ মেনে চলেন না বা চলতে পারেন না , আপনি সোজা মুনাফেক হয়ে যাবেন। আপনি কোরআন মানলেও হাদীস সব মানেন না, আপনি দ্বীনে কায়েম নাই হিসেবে অবাঞ্ছিত হবেন। আবার অনেক হাদীস মানলে আপনি জাল হাদিস দ্বারা পথ ভ্রষ্ট হয়েছেন বলা হবে। আপনি সাহাবী ও তাবেয়ীদের পরম্পরা তে নাই তাহলে আপনার আমল শুদ্ধ নাই। আপনি ইরানি মুসলিমের ধর্মীয় ভাষা ও সংস্কৃতি ফলো করেন তো আপনি বিদআতি, সুফি ইসলাম মানলে আপনি শিরক- কুফরি তে মগ্ন হচ্ছেন বলা হবে । আপনি যে বললেন আখিরাতে আপনার হিসেব আপনি ই দিবেন এটার জন্যও জঙ্গীমনা দের গাত্রদাহ হবে, মুরতাদ বিবেচনা করে নিতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা এরা আল্লাহর দেয়া শাস্তির জন্য অপেক্ষা করতে রাজি না। বিচারের ভার আল্লাহর হাতে ছেড়ে না দিয়ে বিচার করার ভার নিজেই নিতে আগ্রহী। নিচের ছবিতে মজা করে হলেও ; একজন ব্লগারের প্রফাইল ডেসক্রিপশনে তাদের এই স্বভাবটা ভালোই ফোটানো হয়েছে।

মুসলমানদের নিজেদের রিফর্ম করতেই হবে। যত বেশী ৭ম- ৮ ম শতাব্দী তে নিজেদের আটকে রাখার চেষ্টা করবে ততো বেশী ভুগবে আর ভোগাবে। এই যে আপনি ইসলাম কে শান্তির ধর্ম বলতে চান। এটা সালাফিরা ইসলামের অপব্যখ্যা বলবে, ইসলামের আসল অর্থ বলা হবে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ , ফলে জিহাদের ব্যাখ্যা তেও পরিবর্তন আসবে । আপনি কোরআনের এই অংশ মেনে চলেন কিন্তু ঐ অংশ মেনে চলেন না বা চলতে পারেন না , আপনি সোজা মুনাফেক হয়ে যাবেন। আপনি কোরআন মানলেও হাদীস সব মানেন না, আপনি দ্বীনে কায়েম নাই হিসেবে অবাঞ্ছিত হবেন। আবার অনেক হাদীস মানলে আপনি জাল হাদিস দ্বারা পথ ভ্রষ্ট হয়েছেন বলা হবে। আপনি সাহাবী ও তাবেয়ীদের পরম্পরা তে নাই তাহলে আপনার আমল শুদ্ধ নাই। আপনি ইরানি মুসলিমের ধর্মীয় ভাষা ও সংস্কৃতি ফলো করেন তো আপনি বিদআতি, সুফি ইসলাম মানলে আপনি শিরক- কুফরি তে মগ্ন হচ্ছেন বলা হবে । আপনি যে বললেন আখিরাতে আপনার হিসেব আপনি ই দিবেন এটার জন্যও জঙ্গীমনা দের গাত্রদাহ হবে, মুরতাদ বিবেচনা করে নিতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা এরা আল্লাহর দেয়া শাস্তির জন্য অপেক্ষা করতে রাজি না। বিচারের ভার আল্লাহর হাতে ছেড়ে না দিয়ে বিচার করার ভার নিজেই নিতে আগ্রহী। নিচের ছবিতে মজা করে হলেও ; একজন ব্লগারের প্রফাইল ডেসক্রিপশনে তাদের এই স্বভাবটা ভালোই ফোটানো হয়েছে।

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: স্থিতধী বলেছেন: মুসলমানদের নিজেদের রিফর্ম করতেই হবে। যত বেশী ৭ম- ৮ ম শতাব্দী তে নিজেদের আটকে রাখার চেষ্টা করবে ততো বেশী ভুগবে আর ভোগাবে। এই যে আপনি ইসলাম কে শান্তির ধর্ম বলতে চান। এটা সালাফিরা ইসলামের অপব্যখ্যা বলবে, ইসলামের আসল অর্থ বলা হবে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ , ফলে জিহাদের ব্যাখ্যা তেও পরিবর্তন আসবে । আপনি কোরআনের এই অংশ মেনে চলেন কিন্তু ঐ অংশ মেনে চলেন না বা চলতে পারেন না , আপনি সোজা মুনাফেক হয়ে যাবেন। আপনি কোরআন মানলেও হাদীস সব মানেন না, আপনি দ্বীনে কায়েম নাই হিসেবে অবাঞ্ছিত হবেন। আবার অনেক হাদীস মানলে আপনি জাল হাদিস দ্বারা পথ ভ্রষ্ট হয়েছেন বলা হবে। আপনি সাহাবী ও তাবেয়ীদের পরম্পরা তে নাই তাহলে আপনার আমল শুদ্ধ নাই। আপনি ইরানি মুসলিমের ধর্মীয় ভাষা ও সংস্কৃতি ফলো করেন তো আপনি বিদআতি, সুফি ইসলাম মানলে আপনি শিরক- কুফরি তে মগ্ন হচ্ছেন বলা হবে । আপনি যে বললেন আখিরাতে আপনার হিসেব আপনি ই দিবেন এটার জন্যও জঙ্গীমনা দের গাত্রদাহ হবে, মুরতাদ বিবেচনা করে নিতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা এরা আল্লাহর দেয়া শাস্তির জন্য অপেক্ষা করতে রাজি না। বিচারের ভার আল্লাহর হাতে ছেড়ে না দিয়ে বিচার করার ভার নিজেই নিতে আগ্রহী। নিচের ছবিতে মজা করে হলেও ; একজন ব্লগারের প্রফাইল ডেসক্রিপশনে তাদের এই স্বভাবটা ভালোই ফোটানো হয়েছে।
অবশ্যই আপনার কথা সত্যি ভাই। ইসলাম অর্থ সাবমিশন। এখন সালাফিরা কীভাবে নিবে সেটা তো আমি জানিই। ২০০-২৫০ বছর পরের সংকলিত হাদিসগুলার মধ্যে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা, অথবা হাদিসগুলাকে কিভাবে ব্যবহার করবো সেটা জানারও তো আমার কাছে নিজের বিবেক ছাড়া উপায় নাই। আমি যদি ইসলামকে সাবমিশন বলি, তাহলে আমাকে বুঝতে হবে খোদা কী চান। তিনি কি আসলে ভালো চান নাকি মন্দ চান? যদি ভালই চান, তাহলে আমাদের সেই ভালোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। কেন? মক্কা বিজয়ের পর নবী(সা) কি হিন্দাকে ক্ষমা করে দেন নাই ইসলাম গ্রহণের পর? আসমা বিনতে মারওয়ার মৃত্যুর পর নবীর রিএকশন কি ছিল এইটা কোন হাদিসেই দেওয়া নাই। ক্বাব বিন আশরাফকে কেন মারা হয়েছিল সেটাও পুরাপুরি ব্যাখ্যা করা নাই। এখন, যদি আমি নিজের স্বার্থের দিকে তাকাই, তাহলে আমি ধরেই নিতে পারি যে আসমাকে মারার পর তার স্বামীকে রাসূল(সা) পুরস্কৃত করেছিলেন। আর যদি আমি সবরের কথা মাথায় আনি, তাহলে অবশ্যই আমাকে পজিটিভ ধরে নিয়ে হাদিস ব্যাখ্যা করতে হবে। আমার মূল কথা হচ্ছে দুনিয়াতে সবার ভালোর জন্য যা প্রয়োজন আমি তাই করবো। নিজের স্বার্থ দেখে সত্য লুকিয়ে আমি মিথ্যাচার করব না। আমি কুরানের সব অংশই মেনে চলি। তাদের সাথে আমার পার্থক্য চিন্তাধারায়। এতই যদি সঠিকতার হিসাব আনে, একটা ইসলামি রাষ্ট্রও তো মডেল হইতে পারলো না। লাখ লাখ হাদিসের মধ্যে কোনটা জাল, কোনটা যয়িফ এইটার হিসাবেও তারা একমত হতে পারে নাই। এমনকি একজন আমাকে ধর্মবিরোধী হাদিস বলার পর যখন বুখারী থেকেই প্রমাণ করলাম যে হাদিসটা জাল, তখন তার উত্তর ছিল 'বুখারীরও তো ভুল হতে পারে'। অথচ এরাই আবার বুখারীকে বলে সহিহ। অর্থাৎ তাদের কথার বাইরে গেলেই আমি ভুল। এইটাই সালাফিজমের আসল কথা।
যাইহোক, ভালো হোক আর মন্দ, আমি সবার ভালোর জন্য ভালো ব্যাখ্যাই করব। এখন সালাফিরা এইটার কারণে আমার উপর ক্ষেপতেই পারে। তবে এটাও ভুল না, আমার আপনার মতো করে ভাবার মানুষ হাজারে/ লাখে একজন হলেও তো আছে। এইটাই একমাত্র ভরসা।

৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪৩

অজ্ঞ বালক বলেছেন: টু দ্য পয়েন্ট লিখসেন। সুন্দর পুস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.