![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে খুঁজ না। আমি অরণ্যে আগুন লাগানো মানুষ। খুব শৈশবে কুড়িয়ে নেয়া আধুলির মতো আমি কৌতূহল। আমি ঝিনুকের খোলে মুক্তোর কান্না। আমাকে খুঁজ না। আমি...
ঐ একবার দেখা হয়েছিল, তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে থাকা, কমবয়সী আবেগকে মহামূল্য দিয়ে তাকিয়ে থাকা এক জোড়া কৌতূহলী চোখের সঙ্গে।
আমি তখন নবম শ্রেণী। বেনীমাধবের প্রেমিকার মতো আমি তখন শাড়ি। সেবার আমি বেড়াতে গিয়েছিলাম ছোট খালার বাসায়। চোখ ভরা কত স্বপ্ন! বাবা-মা আর ভাইয়াদের সীমাহীন আদরে আহ্লাদে আটখানা হয়ে পৃথিবীকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করতো খুব।
ঠিক তখনই, সেই আহ্লাদিত বয়সে এক জোড়া চোখ, হঠাৎ, একদিন আমাকে কী ভীষণ মনোযোগে দেখতে লাগলো। আমি লুকাই। কখনো জানালার পর্দা সরিয়ে, আড়াল থেকে তাকিয়ে দেখি। ধরা পড়ে যাই তার চোখে। সে হাসে।
পরদিন নানা রকম ব্যস্ততায়, আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বেড়াতে বেড়াতে সেই এক জোড়া চোখের কথা প্রায় ভুলে যাই। দু'দিন পর বাড়ি ফিরে আসি। আর দেখা হয়নি সে চোখের সাথে।
যদি আবার দেখা হয়, অচেনা, চিনতে পারবে কি? আমিও কি পারবো চিনতে?
০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:০৮
অরথি স্বর্ণালী বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:১৯
মেঘবাজি বলেছেন: আমি চোখে ভালো দেখি!
০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:১০
অরথি স্বর্ণালী বলেছেন: আপনি বুঝি ঘাস, লতা-পাতা খান? শুনেছি ওসব খেলে নাকি চোখে ভালো দেখা যায়...
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৯
সুতরাং বলেছেন: বেশ বেশ!
০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:১১
অরথি স্বর্ণালী বলেছেন: হা-হা-হা
৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৪১
আলফ্রেড খোকন বলেছেন: আপনি ধরা পড়ে গেলেন!!!!!!!!
একটা গল্প বলি,
কবি আহসান হাবীব তার মামার বাড়ীতে। তখন তিনি কৈশোর পেরুচ্ছেন। মামা বাড়ী থেকে যেদিন বাপের বাড়ী আসবেন, সকালে টেবিলে একটা বেলি ফুলের মালা। পড়লেন বিপদে। কে দিল? মামাতো বোন না তার বান্ধবী? এই প্রশ্নের অজানা উত্তর নিয়েই তাকে ফিরে আসতে হয়েছিল... এবং সারা জীবন তিনি ভেবেছেন- ওই দুজনের কে মালাটা দিয়েছিল, সেই সম্ভাব্য ভাললাগা তিনি একটি জীবন তাকে টেনে নিয়ে গেল বহুদূর.........
০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:১৩
অরথি স্বর্ণালী বলেছেন: দারুণ লিখেছেন খোকন দা। তবে আমি ধরা পড়তে পড়তেও পড়ি না। ওই যে লালনের একটা গান আছে না- কথা কয় দেখা দেয় না...। আমি হইলাম সে!
৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৪২
আলফ্রেড খোকন বলেছেন: এডিট: ওটা ছিল বকুল ফুল
০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:১৬
অরথি স্বর্ণালী বলেছেন: বকুল আর বেলি একটা হলেই হলো। ফুলের মালা বলে কথা!
৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৪৯
সপ্নচারী বলেছেন: এমন ক্ষনকালের বিষাদময় ভালোলাগা শুধু একটা একান্ত স্মৃতি হয়ে বেচে থাকে।একলা কোনো হঠাৎ সন্ধায় মনে করিয়ে দিতে,,,,যদি সে কালটা দীর্ঘস্হায়ী হত,তাহলে জীবনের গল্পটা কি অন্যরকম হতো?
০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:১৮
অরথি স্বর্ণালী বলেছেন: হয়তো তখন গল্পটা অন্যরকম হতো; কিন্তু হঠাৎ সন্ধ্যায় মন খারাপ করে দেয়ার মতো একান্ত স্মৃতিটাকেও তো হারাতাম, তাই না? তারচে এই ভালো...
৭| ১৯ শে জুন, ২০০৮ রাত ৮:২৫
ফয়েজ রেজা বলেছেন: চোখ দেখে মানুষকে চেনা যায়। আবার আসলে ঠিকই চিনতে পারবেন। আপনি গল্পটা বুদ্ধদেব বসুর একটা কবিতার সঙ্গে মিলে গেল। সেখানে ছিল হাতের কথা, কবিতার কথাগুলো এমন-অন্ধকার রাতে বাজার করে ফিরছে একজন। দূরে কেউ ঘরের জানালা লাগাচ্ছে। কুপির আলোয় কবি শুধু হাত দেখতে পেরেছিলেন। তারপর ভেবেছিলেন-এই হাত কখনো হয়তো তাকে গ্লাসে জল ঢেলে খাওয়াবে, কখনো হয়তো তার মাথার চুলে বিলি কাটবে, আরো কি কি যেনো করবে.... তারপর কবি লিখেছিলেন- কখনো জানবো না এই সেই হাত কি না?
কে কারট মেরে দিয়েছে বলুন তো? বুদ্ধদেব নাকি আপনি?
২৩ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫৩
অরথি স্বর্ণালী বলেছেন: বুদ্ধদেব বসুর সেই কবিতাটি আমার পড়া। আবার আমার ক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া ঘটনাটাও সত্য। আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার ছড়া কিন্তু বেশ ভালো।
৮| ২৩ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:১৯
কালপুরুষ বলেছেন: আহা! সেই চোখ!
আহা! সেই দেখা!
আহা! সেই স্মৃতি!
যায় কিগো ভোলা?
ক্ষণে ক্ষণে তাই, মনে পড়ে তাকে;
স্মৃতি হয়ে বুকে, ঘুমিয়ে সে থাকে।
০৩ রা জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:২৫
অরথি স্বর্ণালী বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:৫৪
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: মনের চোখ ঠিক চিনে নেবে