![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফুল ভালোবাসি,গান ভালোবাসি,মেঘ ভালোবাসি,বৃষ্টি ভালোবাসি............বন্ধু ভালোবাসি......
গতরাতে ব্লগার টিভি পাগলা'র একটা পোস্ট পড়েছিলাম যার শিরোনাম হল,"ভিকারুন্নেসা আর আইডিয়াল, ছাত্রছাত্রীরা এক অসুস্হ প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত।"ব্লগটি আর ব্লগের কমেন্টগুলো পড়ে মনে হল আমিও আমার নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করি।যদিও এই ব্যাপারটায় আমি এতই হতাশ হয়ে পড়েছি যে ব্লগে লিখতে গিয়ে মনে হয় কি হবে এইসব লিখে?শুধু আলোচনাই হবে,কিন্তু কোন পরিবর্তন তো আসবে না!সেকারনেই হয়ত মনের ভেতর অনেক যন্ত্রনা থাকা সত্বেও কিছু লেখা হয়নি কখনো।কিন্তু এই পোস্টটি পড়ে আমি উদ্বু্দ্ধ হয়েছি নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছুটা আলোকপাত করার।
আমরা যে কিভাবে শিক্ষকদের হাতে জিম্মি তা একমাত্র ভুক্তভোগীমাত্রই জানে।আমার মেয়ে ক্লাস ৫ এ পড়ে।এইবছর সমাপনী দিবে।কিন্তু আমি তাকে যে স্কুলে ভর্তি করিয়েছি সেই স্কুলে আবার সমাপনীর পাশাপাশি রাজঊক স্কুলে ভর্তির জন্যও চাপ দেয়া হয়।দেখা গেল যত না সমাপনি,তারচেয়ে বেশী রাজউকে ভর্তির ব্যাপারেই তাদের মাথা ব্যাথা বেশি।কিন্তু যেহেতু আমার মেয়ে লেখাপড়ায় দুর্বল তাই আমি তাকে এই বাড়তি চাপ থেকে দূরে রাখতাম।আমার মত অনেকেই ছিল যারা তার সন্তানকে শুধুই সমাপনি দেয়াতে চাচ্ছিল,এডমিশন নয়।কিন্তু টিচারেরা বাধ্যতামুলোকভাবে এডমিশনের কোচিং করাচ্ছিল এবং প্রতি সপ্তাহে পরীক্ষা নিচ্ছিল।
আমার মেয়ের স্কুল শুরু হত ৭ঃ৩০ টায় আর স্কুল শেষ হতেই শুরু হত কোচিং ঠিক ২ঃ৪০ পর্যন্ত,যা আমি মনে করি ১০ বছরের একটা বাচ্চার জন্য অতিরিক্ত চাপ ছাড়া আর কিছুই না।(কোচিং এর জন্য ১০০০ টাকাও নেয়া হয়।) তারপর বাসায় ফিরে গোসল করে খেতে খেতে ৩ঃ৩০টা।এরপর ঘুম।সন্ধ্যায় আমি ওকে পড়াতে বসালে দেখতাম সমাপনীর পড়া আর স্পকুলের হোময়ার্ক করতেই সময় চলে যেত।এডমিশনের পড়া সে কখনই কমপ্লিট করতে পারত না।তাছাড়া সম্পুর্ন দুইরকম পড়া তার মাথায় ঢুকবে না বলে আমিও আর চাপ দেইনি।কিন্তু তার দরুন যে ক্লাসের এডমিশনের মডেল পরীক্ষাগুলোতে সে (এবং আরো অনেকে) খারাপ করত,তার জন্য তাকে রোজ পানিশমেন্ট দেয়া হত এবং গার্জিয়ান ডাকা হত।এমনকি আমাদের মোবাইলে তার ক্লাস টীচার দু একদিন পর পর ফোন করে বলত যে সে পরীক্ষায় ভাল করছে না,তাই তার টিচার দরকার।আমি তাদের কিছুতেই বলে বোঝাতে পারি না যে আমার মেয়েকে তো আমি রাজউকে এডমিশন দেয়াব না,তাহলে পড়াব কেন।কিন্তু টিচার আমাকে বোঝায় যে আপনার মেয়ে পারবে আপনি চেষ্টা করেন।যেন রাজউকে ভর্তি না করালে আমার মেয়ের জীবনটাই বৃথা ! আমার কাছে আমার মেয়ের শৈশবটাই ইম্পর্ট্যান্ট,একাডেমিক শিক্ষার চেয়ে সত্যিকার মানুষ হওয়াটাই জরুরী,-আমি তাকে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে চাই,আকাশের বিশালতা দেখাতে চাই,তার সৃষ্টিশীল মনটাকে খুজে বের করতে চাই,জীবনের সৌন্দর্য বোঝাতে চাই।তাকে যাঁতাকলে পিষে ফেলে জীবনের সব রং-রুপ-রস শেষ করে দিতে চাই না।কিন্তু স্যারের কথায় মনে হয় যেন আমার জীবনের এখন একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত রাজউকে মেয়েকে ভর্তি করানো!
ছয়টা মাস এই টিচার আমাকে দিন নেই রাত নেই বিরক্ত করতে লাগল এই বলে যে আমাকে এডমিশন দেয়াতেই হবে এবং তার জন্য টিচার রাখতেই হবে।রোজ সে আমাকে স্কুলে ডেকে নিত,নাহলে কল করত।আমার হাজব্যান্ডকেও কল করত অফিস টাইমে।এমনকি আমার ছোট ছেলেটিকে ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে মেয়ের খাতা দেখিয়ে বকাবকি করত যে তোমার বোনত কিছুই পারে না!শুধু তাই নয়,বাচ্চাদের কাছে বারবার সন্দেহবশত জিজ্ঞেস করত তারা কোচিং করে কিনা কিংবা বাসায় টিচার আছে কিনা!কিনতু তাতেও যখন কাজ হচ্ছিল না তখন তিনি আমার মেয়ের নাম্বার কম দিতে লাগলেন।যেহেতু তিনি ফর্ম টিচার,তাই তার কথায় অন্যরাও কম দেয়া শুরু করল।অযথাই নাম্বার কাটতে লাগলেন টিচারেরা।মেয়ের এই কম নাম্বার দেখে আমার আত্মবিশ্বাস আমি হারিয়ে ফেললাম।তখন মনে হল আমি বোধহয় ঠিকমত পড়াতে পারছি না।ভয় পেয়ে গেলাম সমাপনি পরীক্ষা নিয়ে যে যদি সে ফেল করে তো জীবন থেকে একটি বছর তার হারিয়ে যাবে।
শেষ পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে আমি বাধ্য হলাম তার কাছে আমার মেয়েকে পড়াতে।।কিন্তু তাতে কি কোন লাভ হয়েছে?সারা মাস কিছুই না পড়িয়ে,৬দিনের জায়গায় প্রায়ই ৪দিন এসে,এবং ১ঘন্টার আগেই পড়া শেষ করে সে তার টিউশনি চালাতে লাগল।এমনকি অঙ্কটাও সে বেছে বেছে করাতে লাগল।আমি যখন টেনশনে পড়ে গেলাম যে থরোলি পড়ে যেখানে আমার মেয়ে কোনমতে পাশ করত,সেখানে এত কম পড়ে সে কিভাবে পাশ করবে?তাছাড়াও আমার মেয়ের একটা বড় সমস্যা হল সে কোন পড়াই মনে রাখতে পারে না।তাকে একই পড়া বারবার রিভিশন দিতে হয়।এবং যতবার সে রিভিশন দেয়,ততবারই সে মুখস্থ করে।কিন্তু টিচারদের এত ধৈর্য কোথায়?যেখানে একবার পড়াতেই তাদের সময় হয় না,সেখানে বারবার কে রিভিশন দেয়াবে?তারা তো বাচ্চার হোমওয়ার্কটুকুও চেক করে দেখে না!কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার যে সে পাশ করল,এবং ৯৮% মার্ক্স নিয়েই, যা সে তার ইহজীবনে কোনোদিন পাওয়ার স্বপ্নও দেখেনি!কিভাবে?কারন তার শ্রদ্ধেয় স্যার পরীক্ষার আগে তাকে পুরো কোয়েশ্চেন্টাই আউট করে দিয়েছিলেন!!!
এ হেন অবস্থা চাক্ষুষ দেখে কি কোন বিবেকবান শিক্ষিত মানুষ স্থির থাকতে পারে?আমিও পারিনি।সবার নিষেধ সত্ত্বেও আমি প্রমানসহ প্রিন্সিপালের কাছে গিয়ে কমপ্লেইন করলাম ।কারন আমার মনে হয়েছিল যে ব্যাপারটা সবার জানা দরকার এবং এই অন্যায় বন্ধ করা দরকার।একেতো জোর করে মেয়েকে পড়াতে চাওয়া,তায় আবার পড়াতে এসে না পড়িয়ে কোয়েশ্চেন আউট করে দেয়া,এর চেয়ে বড় অন্যায় আর কি হতে পারে?আমি এভাবে দুর্নীতি করে আমার মেয়েকে ১ম করতে চাইনি,তার চেয়ে সে তার যোগ্যতায় ফেল করাও ভাল মনে হয়েছে আমার কাছে।প্রিন্সিপাল ভাল মানুষ,তিনি এই ঘটনার জন্য আমার কাছে মাফ চেয়েছেন এবং এরপর আর সেই টিচারকে কোন পরীক্ষার দায়িত্বে দেননি।কিন্তু এরপর আমি শত্রু হয়ে গেলাম পুরো স্কুলের টিচারদের কাছে।খুটিনাটি ব্যাপারে বার বার কমপ্লেইন আসা শুরু হল,আর সব পরীক্ষায় মেয়ের ন্যুনতম নাম্বার পাওয়া তো আছেই।নানাভাবে আমাকে এবং আমার মেয়েকে হ্যারেসমেন্ট করতে লাগল স্কুলের কিছু তথাকথিত শিক্ষক।
আমার যে স্বামী এবং পরিবার আমার এই সাহসিকতায় আমাকে বাহবা দিয়েছিল,তারাই একসময় আমাকে বকতে লাগল এই বলে যে কেন আমি জলে বসে কুমিরের সঙ্গে লড়তে গেলাম।স্কুলে পড়াতে গেলে এরকম হবেই এবং আমাদের এটা মেনে নিয়েই চলতে হবে।যে মানতে পারবে না সে হবে সবচাইতে বোকা।এইসব দেখে আমি একদম হতাশ হয়ে গেলাম।এই কি সততা আর মানবিকতা?এই কি একজন শিক্ষকের আচরন?নিজের মনকে কিছুতেই বোঝাতে পারছিলাম না।কিন্তু সবার কথা শুনে আর মেয়ের কথা ভেবেই মনে হল বিবেককে এবার বর্জন করতেই হবে। শেষপর্যন্ত সবার কথামত স্কুলের দুইজন সিনিয়র টিচারকে নিয়োগ করলাম আমার মেয়েকে পড়ানোর জন্য!বাধ্য হয়ে।তাতে করে অন্য সব টিচারেরা আমাদের যন্ত্রনা করা তো বন্ধ করল,কিন্তু আমার বিবেকের যন্ত্রনা যেন বেড়ে গেল এভাবে অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে হল বলে।
এখন সন্ধ্যার পর দুইজন টিচার আসে মেয়েকে পড়াতে।তারা এসে স্কুলের মত সব পড়া বুঝিয়ে দিয়ে চলে যান বাসায় পড়তে নির্দেশ দিয়ে।তারা চলে গেলে রাত ৯টায় আমি মেয়েকে নিয়ে বসি স্যরদের পড়া মুখস্ত,স্কুলের হোময়ার্ক কমপ্লিট করার জন্য।সব শেষ করতে করতে কখনো রাত ১২টা আবার কখনো ১টা বাজে।তারপর মেয়ে আমার ঘুমাতে যায়।বাড়ির সবাই রাগ করে আমার উপর যে আমার বাড়াবাড়ির জন্ই নাকি এই অবস্থা!আমি শুনি আর লজ্জায় কুকড়ে যাই!মনে মনে ভাবি,আমি এমন কেন?কেন আর দশজনের মত সবকিছু স্বাভাবিকভাবে নিতে পারি না?
মজার ব্যাপার হল,এখন আবার আমার মেয়ে ভাল পরীক্ষা না দিয়েও ভাল মার্ক্স নিয়ে পাশ করছে।এখন স্কুল মিস দিলে কিংবা কোচিং না করলেও কেউ বার বার ফোন করে কমপ্লেইন করে না যে সে কেন আসে না?এখন এডমিশনের পড়া না পড়লেও কেউ পানিশমন্ট দেয় না।বরং স্কুলে না গেলেও সে ঘরে বসেই সব পড়া পেয়ে যায়।কোন রচনা পড়তে হবে,কোন কবিতাটা পড়ে গেলেই হবে সবই সে এখন আগে থেকে জানতে পারে।আমি ঠিক বুঝি না যে এটা কি ওর জন্য ভাল হচ্ছে নাকি খারাপ হচ্ছে।আমার বোধশক্তিও যেন আমি হারিয়ে ফেলেছি।
আমি শুধু দিন গুনছি যে কবে ওর পরীক্ষা শেষ হবে!কারন বাংলা মিডিয়ামগুলোর পঙ্কিলতা আমার দেখা হয়ে গেছে।এই জিনিস হজম করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।তাই ভাবছি পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্র তাকে ইংলিশ মিডিয়ামে নিয়ে যাব।যদিও সেখানেও তাকে কোচিং করতে হবে,কিন্তু ভাল রেজাল্টের জন্য ইদুর দৌড় সেখানে না করলেও চলবে।্ফলে স্কুলের টিচারদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না আমাকে।তার যা মেধা ঠিক সে অনুযায়ী সে পড়াশোনা করতে পারবে।
আজ এই শিক্ষকদের জন্য আমাকে যে হয়রানির শিকার হতে হল,তার জন্য দায়ী কে?সরকার,বড় বড় বুদ্ধিজীবিরা নতুন নতুন শিক্ষাব্যাবস্থা চালু করছেন।দেশকে ডিজিটাল করার চেষ্টা করছেন।ডঃমুহম্মদ জাফর ইকবাল তো ভাবছেন যে সৃজনশীল পদ্ধতির কারনে শিক্ষার্থীরা এখন আগের চেয়েও অনেক বেশি শিক্ষিত হচ্ছে!কিন্তু বাস্তবতা কি বলে?যতদিন শিক্ষকদের উপযুক্ত বেতন নিশ্চিত না করা হবে,যতদিন কোচিং ব্যাবস্থা বন্ধ না করা হবে,যতদিন বাইরের দেশগুলোর মত স্কুলেই সব পড়া শেষ করে আসার ব্যাবস্থা করা না হবে,ততদিন শিক্ষার্থীরা এভাবেই মুখস্ত বিদ্যার উপর নির্ভর করে চলবে।ফলে গাইড বই আর নোট খাতার কদর কখনোই কমবে না।আর সেই সুযোগে কিছু অসাধু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে তাদের রক্ত চুষে খাবে।এতে কি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে,নাকি পিছিয়ে?বাইরের দেশে তো শুনেছি কেউ ইচ্ছা করলেই যা খুশী তা পড়তে পারে না।তাকে তার মেধা অনুযায়ী তার সাবজেক্ট দেয়া হয় পড়তে।কিন্তু আমাদের দেশে যার অঙ্কের মাথা নেই তাকে সাইন্স পড়ানোর জন্য কিরকম অমানবিকভাবে পড়ার চাপে রাখা হয়!ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার প্রতিযোগিতায় লাভবান হয় শিক্ষকেরা।তারা সুযোগ নেয় এইসব অভিবাবকদের এই প্রতিযোগিতার দুর্বলতার ।আর এভাবেই সুযোগ নিতে নিতে একসময় তাদের লোভ এতই বেড়ে যায় যে শিক্ষাটা তখন আর তাদের কাছে নোবল প্রফেশন না হয়ে,হয়ে যায় টাকা কামানোর সহজ ব্যাবসা।আর তাদের বলির পাঠা হয় ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা।এভাবেই মুখস্ত বিদ্যার উপর নির্ভর করে আর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগেই পড়ে ফেলে বিকাশহীনভাবে বেড়ে উঠছে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:২৭
অপরাজিতার কথা বলেছেন: সরকার চোখ বন্ধ করে কানামাছি খেলছে,কে দেখবে বলুন?
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৩২
মাতবার বলেছেন: আমার মনেহয় যা করার আমাদেরই করতে হবে
৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৫২
অপরাজিতার কথা বলেছেন: কিছু করার সাহস হারিয়ে ফেলেছি।
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৪০
সবুজ ভীমরুল বলেছেন: আপনার সিদ্ধান্ত একদম ঠিক। যতদ্রুত সম্ভব ওই স্কুল থেকে আপনার মেয়েকে সরিয়ে নিন। ওই স্কুলে থাকলে হয়ত সবার বাহবা পাবে, কিন্তু তার ভবিষ্যৎ একদম ধ্বংস হয়ে যাবে। যে স্কুলে কিনা নম্বর দেয়া নিয়ে এমন দূর্নীতি হয় এমন স্কুলকে স্কুল না বলে দূর্নীতির আখড়া বলা উচিৎ।
আমরা ৩০-৪০ হাজার জি.পি.এ ৫ নিয়ে যতই লাফালাফি করি না কেন, এটা সবার বোঝা উচিৎ যে গোড়ায় গলদ রয়ে গেছে।
একটা অনুরোধ, আপনি পারলে এই লেখাটা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিন। উনি পার্সনালি পড়লে হয়ত বুঝতে পারবেন যে ঢাকার স্কুল গুলোতে কিরকম ভয়াবহ দুর্নীতি হয়।
আপনার ও আপনার মেয়ের জন্য রইল শুভ কামনা।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৫৭
অপরাজিতার কথা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।প্রথমত শুভেচ্ছার জন্য,দ্বিতীয়ত আমাকে সাহস দেয়ার জন্য।কেবলই মনে হচ্ছিল কোন ভুল করছি না তো?
আমি এখনো প্রতিবাদ করতে চাই।সবাইকে জানাতে চাই।কিন্তু পরিবারের লোকজন রাগ হয় বিধায় চুপ করে আছি।আমার কাছে মনে হয় যে আমার যা ক্ষতি হল তা তো হল,কিন্তু আর কোন শিশুর যেন এমন ভোগান্তি না হয়।এদের সমূলে উতপাটন করা উচিত।
৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৪৪
এম এস জুলহাস বলেছেন:
আমরা কতিপয় ভক্ষক, ব্যবসায়ী শিক্ষক, কিন্তু সবাই নয়, সবাই কিন্তু ভক্ষক নয়-ব্যবসায়ী নয়। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই ভালো শিক্ষক-ভালো মানুষ। আর ভালো মানুষ-ভালো শিক্ষকদের সংখ্যাটাই বেশী আছে বলে পেশাটাও এখনোও বেঁচে আছে। সবার আগে প্রয়োজন এঁদের দিকে সরকারের নজরদারী বৃদ্ধি করা।
ইদানিং শিক্ষক নামের কিছু কিছু ইতর প্রাণীদের কারণে মাঝে মাঝে নিজেকে মনে হয় রাস্তার একটা মরা ছাগলেরও কিছু দাম আছে, কিন্তু আমারতো তা-ও নাই ! লজ্জায়, ঘৃনায় নিজের গা নিজের কাছেই গন্ধ করে। কারণ আমিতো ওদের পেশাতেই আছি, ঐ পেশাতেইতো আমার রুটী-রুজী চলে !
আমরা কতিপয় পরিমলের জাত ভাই, সবাই নয়, সবাই পরিমল নয়।
যৌক্তিক, সময়োপযোগী একটা বিষয়ের অবতারণা করেছেন আপনি। ভালো লাগলো লেখা। বিষন্ন হয়ে গেল মন।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:১৮
অপরাজিতার কথা বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে আসলাম।আপনার সাথে আমি সহমত।যেখানে বিদেশে শিক্ষকদের সম্মান সবচাইতে বেশি এবং বেতনো বেশী,সেখানে আমাদের দেশে ঠিক এর উল্টোটা।আর সেকারনেই তারা দুর্নীতির আশ্রয় নেয় ।তাতে ক্ষতি হয় কাদের?শিক্ষার্থীদের।টাকার কাছে শিক্ষকেরা তাদের বিবেককে বিকিয়ে দিতে বাধ্য হয়,সেটা আমিও বুঝি।আমার লেখাতেও তা উল্লেখ করেছি,
"যতদিন শিক্ষকদের উপযুক্ত বেতন নিশ্চিত না করা হবে,যতদিন কোচিং ব্যাবস্থা বন্ধ না করা হবে,যতদিন বাইরের দেশগুলোর মত স্কুলেই সব পড়া শেষ করে আসার ব্যাবস্থা করা না হবে,ততদিন শিক্ষার্থীরা এভাবেই মুখস্ত বিদ্যার উপর নির্ভর করে চলবে।"
তাই উন্নত জাতি পেতে হলে সরকারকে এইসব দিকগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।কিন্তু সরকার এদিকে দৃষ্টি দেবেন না এই জন্য কেননা পদ্মা সেতু,কিংবা গ্যাস ফিল্ডের মত শিক্ষাখাত থেকে কোন লাভ আসবে না সরকারের।এই খাতে কোন টেন্ডারবাজি নেই,বৈদেশিক সাহায্য নেই,তাহলে এই খাতের দিকে এত দৃষ্টি দেয়ার কি দরকার?আপনার মত আমিও অবাক হই ভেবে,যেখানে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো সপ্তাহে ২দিন বন্ধ থাকে,এমনকি ইংলিশ ভার্সান এর স্কুলগুলোতেও ২দিন বন্ধ রেখেও একই সিলেবাস সময়মত শেষ করছে।সেখানে কি কারনে সমস্ত বাংলা মিডিয়ামগুলোতে সপ্তাহে ১দিন বন্ধ দেয়া হয়?আসলে এরকম অনেক অভিযোগ আছে যা বলে শেষ করা যাবে না।তাই আপনার অভিযোগগুলোও আমি বুঝতে পারি।
কিন্তু আমার অভিযোগটা ভিন্ন।আপনি অবাক হবেন এই শুনে যে,আমি শিক্ষকদের কষ্ট বুঝি বলেই মেয়ের শিক্ষক যখন ৬দিন দেড় ঘনটা পড়ানোর জন্য ৭০০০টাকা চাইলেন আমি নির্দ্বিধায় রাজী হয়ে গেলাম শুধু এই ভেবে যে তবু তিনি ভালোমত যেন পড়ান।কিন্তু কেউ যখন কমিটমেন্ট না রাখেন তখন কষ্ট হয়।তিনি কিছুতেই ৬দিন আসতেন না এবং দেড় ঘন্টা কখনোই পড়াতেন না।আপনার কি মনে হয় না ক্লাস ৫ এর একটা বাচ্চাকে শুধু ৩টা সাব্জেক্ট পড়ানোর জন্য ৭০০০টাকা দেয়াটা অনেক বেশী??তাও দুজনকে মিলে ১৪০০০??!!আমার কাছে তো মনে হয় অনে--ক বেশী।অন্তত আমার জন্য কারন যেখানে আমি নিজেই পড়াতে পারি।পারিবারিক চাহিদার জন্য তারা টিউশনি করেন বুঝলাম,কিন্তু কেন তারা একজনকে বাধ্য করবেন বলুন তো?আমি তো কালোবাজারী না যে ১৪০০০ টাকা আমার কাছে হাতের ময়লা লাগবে।আজ যদি তারা আমাকে বাধ্য না করতেন তাহলে আমার এই অপচয়টা হত না তাই না?এটাকে আপনি কি বলবেন ভাইয়া,একজনকে শোষন করে আরেকজনের বেচে থাকা নয় কি?আর আমার মেয়েই কিন্তু একা নয়,ওর ক্লাসেরই আরও কয়েকজন পড়ে তাদের কাছে।
ভাইয়া,আমি আপনাকে কষ্ট দিতে চাই না।আমিও জানি ভাল লোকও আছেন।আমি নিজেই এমন একজন শিক্ষককে পেয়েছিলাম যার অবদান আমি কখনোই ভুলব না!কিন্তু আমার মেয়ের জীবনে আমি সেরকম কাউকে খুজে পাইনি।তারপরো আমার কোন অভিযোগ থাকত না যদি দেখতাম যে তারা আমার মেয়েকে খুব আন্তরিকতার সাথে পড়াচ্ছেন!আসলে আমি যাদের কথা বলছি তাদের মধ্যে সততা বলে কোন বস্তুই আর অবশিষ্ট নেই।তানাহলে আর কিছু না হোক,অন্তত ১০ বছরের শিশুর জীবনের দিকে তাকিয়ে হলেও তারা তাদের কর্তব্য পালন করত।টাকার বিনিময়ে হলেও।
৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১১:৩৩
নবজট বলেছেন: শিক্ষকদের পেশাটা এখন হয়ে গেছে ডাকাতের মত। টাকার জন্য শিক্ষকরা এখন কোমলমতি শিশুদের খুন করতেও দ্বিধাবোধ করবে না। আমাদের এই টাকার পেছনে দৌড়ানো, এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা কবে শেষ হবে আল্লাহ জানেন। আপনার লেখাটা খুব ভাল লাগল, তারচেয়েও ভাল লাগল আপনার মেয়ের জন্য আপনার চিন্তা-ভাবনাগুলো। চুরি করে তাকে স্কুলে প্রথম বানিয়ে লাভ নেই। তারচেয়ে সে যা ভাল পারে, তাকে ঐটাই করতে দেয়া উচিত।
আমি আমার পরিচিত কয়েকজনকে বলেছিলাম, কি দরকার তাদের ছেলেমেয়েদেরকে ৩/৪ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি করাতে। আরো কিছুদিন থাকুক না বাসায়, খেলাধুলা করুক, আনন্দ করুক। কিন্তু তারা নাকি পিছিয়ে যাবে। কার কাছ থেকে পিছিয়ে যাবে? আমরা তো তাকে ভাল কিছু শিখাতে পারছিনা, ভাল কিছু দিতে পারছিনা, তাহলে চুরি করাটা কয়দিন পরেই শিখাই।
আপনি আপনার মেয়েকে অন্য কোনো স্কুলে নিয়ে আসুন। এইরকম পশুদের কাছ থেকে শিখার কিছু নাই। বরং যেটুকু মনূষ্যত্ব আছে, তাও চলে যাবে। এই রকম প্রথম হওয়া, এই রকম অসুস্থ প্রতযোগিতায় অন্যদেরকে হারানোর মাঝে কোন পাওয়া নেই। তারচেয়ে মানুষ হিসেবে যতটুকু শিখবে, জানবে, তাতেই জীবন চলে যাবে। পশু হওয়ার কোন প্রয়োজন আমি দেখি না।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৩২
অপরাজিতার কথা বলেছেন: নবজট বলেছেন:এই রকম প্রথম হওয়া, এই রকম অসুস্থ প্রতযোগিতায় অন্যদেরকে হারানোর মাঝে কোন পাওয়া নেই। তারচেয়ে মানুষ হিসেবে যতটুকু শিখবে, জানবে, তাতেই জীবন চলে যাবে। পশু হওয়ার কোন প্রয়োজন আমি দেখি না
ধন্যবাদ।আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।
৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১১:৩৯
এম এস জুলহাস বলেছেন:
শিশুর অভিভাবকদের প্রতি-
৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:১৪
অপরাজিতার কথা বলেছেন: পড়লাম।আপনার সাথে আমি সহমত।
শুভ কামনা।
৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:১৬
তিক্তভাষী বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতাতো দেখছি ভয়াবহ!
আমার ছেলেরও স্কুলে পারফর্মেন্স তেমন নয়, তবে পরীক্ষার খাতাগুলো দেখতে দিলে তাকে কত নম্বর দিলো সেটা না দেখে বরং সে কী লিখেছে সে দিকে নজর দেই বেশী।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৮
অপরাজিতার কথা বলেছেন: ভাইয়া,আমিও আগে কি লিখেছে দেখি।এবং কতটুকু নম্বর পাওয়ার যোগ্য সেটাও খেয়াল করি।তাই সঠিক লিখে কম নাম্বার পেলেও খারাপ লাগে,আবার যখন দেখি অকারনে বেশি নাম্বার দেয়া হয়েছে তখনও খারাপ লাগে।কারন এতে করে সে তার নিজের যোগ্যতাটা বুঝতে পারে না।আজ সে ৯০/৯৮ নাম্বার পেয়ে স্যরদের কথায় স্বপ্ন দেখছে স্কলারশিপের।(স্ককলারশিপ নাকি সে পাবেই।)কিন্তু সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নও স্যর জানবেন না,আর খাতাও স্যার দেখবেন না।তাই তখন যদি সে ৬০ এর উপর না পায় তাহলে স্বপ্নভঙ্গটা তাকে কতটা আঘাত করবে বলুন?আর এত বছর যখন মেয়েকে পড়িয়ে আসছি,তখন তার ক্যাপাবিলিটি সম্বন্ধে কিছু তো আইডিয়া আছে আমার ভাইয়া।
আপনার ছেলের জন্য শুভ কামনা ভাইয়া!
৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৪
এম এস জুলহাস বলেছেন:
লেখক বলেছেনঃ
. . . কিন্তু সরকার এদিকে দৃষ্টি দেবেন না এই জন্য কেননা পদ্মা সেতু,কিংবা গ্যাস ফিল্ডের মত শিক্ষাখাত থেকে কোন লাভ আসবে না সরকারের।এই খাতে কোন টেন্ডারবাজি নেই,বৈদেশিক সাহায্য নেই,তাহলে এই খাতের দিকে এত দৃষ্টি দেয়ার কি দরকার?
বিশেষ করে শিক্ষার দিকে-শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে তাদের জোরালো ভাবে নজর দে'য়ার দরকার নাই এই কারণে যে, জাতি শিক্ষিত হলে-জনগণ শিক্ষিত হলে তাদর-ই ক্ষতি হবার সমূহ সম্ভাবনা। জাতি শিক্ষিত হলে অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদ করতে শিখবে। -এ থেকে জাতিকে দূরে-অন্ধকারে রাখতেই পরিকল্পিত এই (সু)!-ব্যবস্থা !
৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:১৬
অপরাজিতার কথা বলেছেন: হাহাহা......ঠিক বলেছেন।জনগন যত কম বুঝবে ততই তাদের মঙ্গল।
১০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৪৯
রাজীব বলেছেন: আজকালকার মায়েরা তো বাচ্চাদের পড়াশুনার ব্যাপারে বেশ সচেতন!!
অনেককেই দেখি স্কুল, কোচিং -এর পরও স্যারদের বাসায় দৌড়াতে।
সেক্ষেত্র আপনাকে ব্যাতিক্রম বলতে হয়।
তবে
আমার কাছে আমার মেয়ের শৈশবটাই ইম্পর্ট্যান্ট,একাডেমিক শিক্ষার চেয়ে সত্যিকার মানুষ হওয়াটাই জরুরী,-আমি তাকে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে চাই,আকাশের বিশালতা দেখাতে চাই,তার সৃষ্টিশীল মনটাকে খুজে বের করতে চাই,জীবনের সৌন্দর্য বোঝাতে চাই
আপনার এ কথাটির সাথে আমি চরমভাবে একমত।
তবে
জলে থেকে কুমীরের সাথে যুদ্ধে নামা আপনার ভুল হয়েছে। আপনি যেভাবে ছিলেন সেভাবে থাকলেই পারতেন। মানে, টিচার না দিয়ে নিজেই মেয়েকে পড়ানো। জাস্ট এ্যডমিশন কোচিং -থেকে মেয়েকে সরিয়ে নিয়ে আসলেই হতো।
আর প্রতিকুল অবস্থার মধ্যেও স্কুলে মানিয়ে চলা, এটিও কিন্তু বাচ্চাদের জন্য একটি শিক্ষা -কারন আমাদের মত দেশে বড় হয়ে এরকম প্রতিকুল পরিবেশেই তো চলতে হয়।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩০
অপরাজিতার কথা বলেছেন: ধন্যবাদ।আপনি ঠিকই বলেছেন।এরকম প্রতিকূল পরিবেশে চলার শিক্ষাটাই হয়ত আমার দেয়া উচিত আমার মেয়েকে।কিছু ব্যাপার হয়ত মেনে নিতেই হয়।
শুভ কামনা।
১১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:০৪
পৃথিবী আমারে চাই না বলেছেন:
জীবন ধারনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এদেশের পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে। আমার মেয়ের বয়স দেড় বছর হলো মাত্র। চারিদিকের এইসব অভিজ্ঞতার করুন কাহিনি শুনে দেখে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দেশ ছেড়ে পালাতে মন চাই।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৭
অপরাজিতার কথা বলেছেন: শুধু দুর্নীতি থেকে মুক্ত হতে এবং ভাল শিক্ষাব্যাবস্থার আকাংখায় আমারো দেশ ছেড়ে পালাতে ইচ্ছা করে মাঝে মাঝে।কিন্তু এই পোড়া দেশটাকে এত ভালোবাসি যে একে ছেড়ে যেতে মন সায় দেয় না।কিন্তু জানি না কতদিন এভাবে অন্যায়কে মেনে নিয়ে থাকতে পারব।
ধন্যবাদ ভাইয়া।শুভ কামনা।
১২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:২০
বলাক০৪ বলেছেন: স্কুল আপনাকে অবশ্য অবশ্যই বদলাতে হবে। বাচ্চাটাকে নিশ্চয়ই আপনি এভাবে ধ্বংস হতে দেবেন না। ওর অনেক দাম।
ইংলিশ মিডিয়াম সম্পর্কে একটু বলি। আমার বোনঝি পড়ত বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো এক ইংলিশ মিডিয়াম মিশনারী স্কুলে। আসাদ এভিনিউতে স্কুলটি। অনেক সুনাম। সেখানে কয়েকজন টিচার ঠিক একই ভাবে মেয়েটির এবং তার মায়ের পিছনে লাগলো। তিতিবিরক্ত হয়ে আমার বোন এদেরকে টিচার হিসাবে এপয়েন্টমেন্ট দিয়ে রেহাই পেলো। কাজেই ইংলিশ মিডিয়ামের উপরেও বেশি ভরসা রাখবেন না।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৮
অপরাজিতার কথা বলেছেন: বলেন কি?ইংলিশ মিডিয়ামেও!!!!তাহলে কোথায় যাই বলুন তো?কারন বাংলা মিডিয়ামের যে কয়টা এখানে ভাল স্কুল আছে সবই প্রায় এক অবস্থা।অন্যদের মুখে শুনিতো।কিন্তু সবাই মেনে নেয় আর অনেকেই দেখেও না দেখার ভান করে।কারন তাদের কাছে রেজাল্টটাই বড় কথা।কিভাবে পেল তা নিয়ে মাথা ঘামায় না।কিন্তু সমস্যা হয় শুধু আমার!!
আসলে ভাল স্কুলের দুর্নীতির ব্যপারগুলো আমরা কম বেশী সবাই জানি,কিন্তু সুযোগটা যেহেতু নিজেও নেই তাই কেউ টু শব্দটাও করি না।সবাই শর্টকাট রাস্তা খুজি আর নিজের স্বার্থ চিন্তা করি।আমি শুধু তার ছিড়া টাইপ বলে আমার এই অবস্থা।তানাহলে ৫০,০০০টাকার বিনিময়ে মেয়েকে স্বনামধন্য একটি স্কুলে ভর্তি করানোর সুযোগ কি কেউ হারায় বলেন?এগুলো কিন্তু গল্প নয়, সবই কঠিন সত্য।যারা জানেন তারা চুপ করে থাকেন,কিংবা অস্বীকার করেন।আর সে কারনেই এইসব দুর্নীতির কথা কেউ জানতে পায় না আর বন্ধও হয় না!সত্যি বলতে,এখন আর আমাদের সময়ের মত পড়ালেখার পরিবেশটা আর নেই।আফসোস!আমরা অভিভাবকেরা যদি সোচ্চার হতাম তাহলে সরকারও হয়ত এদিকে দৃষ্টি দিত।
ধন্যবাদ।।শুভ কামনা।
১৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২
কাঙাল মামা বলেছেন: আপনার মেয়ে এখন কোন স্কুলে পড়ে?
যেভাবে ওর টিচাররা পড়াইতেছে, সেভাবে ও ৫ পাবে ঠিকই, কিন্তু ওর ব্যাসিক কোনোদিন হবে না। ভার্সিটি ভর্তি এক্সামে গিয়া ধরা খেয়ে যাবে। আর স্কুল টিচারদের টার্গেট কিন্তু ৫, ভার্সিটি ভর্তি এক্সাম না।
আপনে পারলে সময় করে ওকে সম্পূর্ন বইটা পড়াইয়েন। সবগুলা ম্যাথ বা ইংলিশ ট্রান্সলেশন করাইয়েন।
আমিও রাজউক কলেজে পড়তাম। ওখানের কলেজের টিচারগুলাও এরকম ধান্দাবাজী আর টরচার করতো। শেষে না পেরে ফর্ম মাস্টারের কাছে পড়া লাগছে
ইংলিশ মিডিয়াম ট্রাই করতে পারেন। ভালো জায়গা হলে বেচে যাবেন। ইংলিশ মিডিয়াম থেকে আসা পোলাপান গুলা প্রাইভেট ভার্সিটিতে বেশ ভালো করে এবং দ্রুত পাশ করে বের হয়ে যায়। সরকারীতে কি করে সেটা অবশ্য জানি না।
১৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:৩৬
অপরাজিতার কথা বলেছেন: কোন স্কুল সেটা আর নাই বা বললাম।তবে উত্তরার একটি ভাল স্কুল যা গত বছর থেকে সমাপনি পরীক্ষায় ১০০% ফার্স্ট ডিভিশন পাচ্ছে।অথচ এমন স্টুডেন্টও আছে যে কিনা অঙ্কে মাত্র ৬ পায়।আমার মেয়ে বলে,আম্মু ও ছক্কা মেরেছে!
রাজউকের কথা ভালোই জানি ভাইয়া।আর ফর্ম টিচারেরাই এই সুযোগটা নেয় বেশি।রাজউকের মত করে উত্তরার অনেক ভাল স্কুলগুলোতেই এখন ফর্ম টিচার থাকেন।তারাই অভিভাবকদের এভাবে কল করে কিংবা স্কুলে ডেকে নিয়ে টিচারের কাছে পড়ানোর জন্য প্রেশার ক্রিয়েট করেন।ভাল স্কুলগুলোর অভিভাবকেরা সবাই কম বেশি এই ব্যপারগুলো জানেন,নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করেন,কিন্তু কখনো প্রতিবাদ করেন না বলেই এই দুর্নীতি দিন দিন বেড়েই চলেছে।একবার ভাবুন তো,রাজউক থেকে যারা জিপি৫ পায়,তাদের কয়জন বুয়েট,মেডিক্যাল কিংবা ডিইউ তে চান্স পায়?এভাবে কি আমরা দেশের ভবিষ্যত নিজেরাই ধংস করছি না?
আসলে যাদের সত্যিকার মেধা আছে তাদের জন্য ভাল স্কুল প্রয়োজন হয় না।তানাহলে গ্রাম থেকে আসা ছেলে মেয়েরা বুয়েট মেডিক্যালে ভর্তি হতে পারত না।সমস্যা হয় দুর্বল বাচ্চাদের নিয়ে।তাদের যেভাবে ফাঁকিবাজি করে ভাল রেজাল্ট করানো হয় তাতেই আমার আপত্তি।অথচ সমাপনীর পড়া কিন্তু খুব একটা কঠিন কিছু নয়।স্কুল থেকেই যদি একটু বাচ্চাদের যত্ন নেয়া হয় তাহলেই বাচ্চারা ভাল রেজাল্ট করতে পারে।একটা বাচ্চা দিনের বেশিরভাগ সময়টাই সে স্কুলে কাটায়।অথচ সে সেখান থেকে কিছুই শিখে না।আমাদের আসলে এই সিস্টেমটাই বদলানো উচিত।আমরা যদি এখুনি ব্যাবস্থা না নেই তাহলে একসময় দেশের সব স্কুলই ১০০% ফার্স্ট ডিভিশন পাওয়ার ফরমূলা জেনে নিয়ে প্রয়োগ করা শুরু করবে।তাই সবার আগে দরকার শিক্ষকদের উচ্চ বেতন দিয়ে তাদের টিউশনির উপর নির্ভর করা থেকে বিরত রাখা।এবং তারপর স্কুলের টিচারেরা স্কুলেই সব পড়া শেষ করে দিচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা।আসলে এই ব্যাপারগুলোতে আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলি,আমার ভাগ্নী যখন ইংল্যান্ড থেকে দেশে এল,তখন আমার মেয়েকে একদিন ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যেতে দেখে খুব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল ও ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছে কেন স্কুলে? আমার ভাগ্নী আমার মেয়ের সমসাময়িক,দুজনেই তখন ক্লাস টু তে পড়ে।তার কাছে জানতে পেলাম যে ওরা ক্লাসে শুধু ডায়রি নিয়ে যায়,আর বই খাতা সব স্কুলের লকারেই থাকে।স্কুলে গিয়ে সেখানেই পড়াশোনা করে আবার সেখানেই রেখে আসা হয়।আর আমাদের এখানে?ক্লাস টু তে পড়া একটা বাচ্চার ব্যাগ এতই ভারী থাকে যে তা টেনে নিতে একজন বড় প্রাপ্তবয়স্কেরও কষ্ট হয়!!
ইংলিশ মিডিয়ামের কথা চিন্তা ভাবনা করছি।আসলে সবই তো লাউ আর কদু,পালিয়ে যাব কোথায়।
১৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৩৫
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
স্কুল পালটে ফেলুন । অবশ্য এমনই অবস্থা প্রায় সব স্কুলে ।
মুখস্ত বিদ্যার উপর নির্ভর করে আর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগেই পড়ে ফেলে বিকাশহীনভাবে বেড়ে উঠছে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম। এটাই হলো আমাদের বর্তমনান শিক্ষার সবচেয়ে বড় ত্রুটি ।
শুভকামনা আপনার জন্য.........।
০১ লা নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৯
অপরাজিতার কথা বলেছেন: ঠিক বলেছেন,এমন অবস্থা সব জায়গাতেই।হয় কানে তুলো ,চোখে ধুলো দিতে হবে,তানাহয় পালাতে হবে!!!আসলে বিরাট একটা পরিবর্তন দরকার।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা আপনার জন্যও ।
১৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৭
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
শুভকামনা সবসময়ের জন্য .......
ঈদ মুবারক
১৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩১
স্নিগ বলেছেন: জানি না আপনার মেয়েকে ইংলিশ মিডিয়ামে দিয়েছেন কিনা।
কিন্তু এতগুলো বছর বাংলা মিডিয়ামে পড়ে, এখন ইংলিশ মিডিয়ামে গেলে তার পুরো এজুকেশনাল লাইফটাই বরবাদ হয়ে যাবার পসিবিলিটি আছে।
সে কোপ আপ করতে পারবে না।
ইংলিশ মিডিয়ামেও একই রকম কোচিং বাণিজ্য আছে।
দ্বিগুণ খরচে দুপুর ৩টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত কোচিং করতে হবে।
আপনি যেহেতু মেয়ের রেজাল্টের চে মানসিক বিকাশটাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন (আপনাকে স্যালুট), নতুন প্রতিষ্ঠিত কোনো স্কুলে মেয়েকে দিলে ভালো করবেন।নতুন স্কুলগুলায় সাধারণত এতটা কমার্শিয়াল থাকে না।ওরা আগে রেপুটেশন বিল্ড-আপ করতে চায়।
আমার ছোট্ট বোনটার জন্য শুভকামনা রইলো।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১২
অপরাজিতার কথা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ স্নিগ,আপনার সুপরামশের জন্য।আসলে আমাদের এডুকেশন সিস্টেমটাতেই তো গলদ,তা বাংলা হোক আর ইংলিশ।যদ্দিন আমাদের মন মানসিকতার বদল না হবে তদ্দিন এগুলোকে মেনে নিয়ে চলতে হবে।আর যে না পারবে মেনে নিতে তার অবস্থা আমার মতই হবে!!
মেয়েকে নিতে চেয়েছিলাম ইংলিশ মিডিয়ামে,কিন্তু জি পি ৫ পাওয়ার পর সে আর অন্যকোথাও যেতে চাইল না।বন্ধুদের সাথে এখানেই থাকতে চাইল।তাই রাখতে হল বাংলাতেই।আজ তার স্কুল যখন গর্বের সাথে আমার মেয়ের নাম নেয়,তখন খুব হাসি পায়!কারন তার এই প্রাপ্তিতে স্কুলের কোন অবদানই ছিল না!এভাবেই স্কুলগুলো নাম করে কোন অবদান না রেখেই!
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:১৮
মাতবার বলেছেন: আমরা কোথায় বাস করি দেখার কি কেউ নেই?