নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃতির রানি পুরুলিয়া (শেষ পর্ব)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

জয়চন্ডি পাহাড়

২৮ ডিসেম্বর সকালে চেক আউট করে আমরা বার হলাম,প্রথমে পাখি পাহাড় বা ময়ুর পাহাড়ের উদ্দশ্যে। পূর্বেই সে পরিচয় দিয়েছি । এখান থেকে আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য জয়চন্ডি পাহাড়। দূরত্ব প্রায় আশি কিমি হবে।চারিদিকে বিস্তীর্ণ মাঠ, প্রশস্ত রাস্তা।গাড়ি দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে।মাঝে দলের সদস্যদের কয়েকজনের জলবিয়োগের কারনে, ড্রাইভারকে বার কয়েক গাড়ি থামাতে অবশ্য হয়েছিল। অন্য গাড়ি থেকে আমাদের দলনায়ক পহ্লবদার ফোন পেলাম।কোন একটা স্থানে মধ্যাহ্নভোজ সারতে হবে।হোটেল খুঁজতে খুঁজতে পথে অনেকগুলি হোটেল বা ধাবায় গাড়ি থামলো,কিন্তু কোথাও একসঙ্গে চল্লিশজনের খাওয়ার ব্যবস্থা না থাকায়,আবার গাড়ি চলতে শুরু করলো।একসময় আমরা বলরামপুর, পুরুলিয়া প্রভৃতি শহর পার হয়ে রঘুনাথপুর শহরে পৌঁছেগেলাম।এখানেও পরপর দুটি হোটেলে ব্যবস্থা না হওয়ায়,তৃতীয় হোটেলে, যেটা বাসস্টপ থেকে একটু দূরে আমাদের দুপুরবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা হল।হোটেলটা বেশ বড়সড় ।সামনে একসঙ্গে জনা ত্রিশ এবং ভীতরে একসঙ্গে আরও জনা চল্লিশ এক সঙ্গে খেতে পারবে।যাইহোক,মধ্যপ্রদেশে প্রচন্ড টান থাকায় বাচ্চাকে নিয়ে ভাল - মন্দ না খুঁজে ভীতরে একটা কর্নারে বসে পড়লাম।বাইরে আমরা সাধারনত মাছ বা মাংস খাইনা।সুতরাং নিপাট সব্জি ভাত ডাল আলু পোস্ত খেলাম।প্রচন্ড ঝাল দেওয়া তরকারি। ছেলেতো খেতেই পারলো না।ওর জন্য একটা ডিমের ওমলেট/মামলেট নিলাম।হোটেলের খাওয়ার পর্ব মিটলে আমরা রওনা দিলাম,দূরে দৃশ্যমান জয়চন্ডি পাহাড়ের উদ্দেশ্য ।



আমরা জয়চন্ডি পাহাড়ে পৌঁছাতেই,দেখলাম ওখানে দ্বাদশবর্ষ জয়চন্ডি মেলা উদ্বোধনের আয়োজন চলছে । আমাদের সামনেই কিছুক্ষনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক মাননীয় মন্ত্রী প্রদীপ জ্বালিয়ে মেলার উদ্ভোধন করলেন।আমরা সেই শুভক্ষনের সাক্ষী হলাম। দ্বাদশবর্ষ জয়চন্ডি মেলার উদ্বোধন হল,২৮ ডিসেম্বর ২০১৭

এখানে একটি বিষয় না বললে নয়,জয়চন্ডি পাহাড় পূর্ব ভারতের রক ক্লাইম্বের আদর্শ ক্ষেত্র।কিন্তু পুরুলিয়া জেলাপরিষদ থেকে উন্নয়নের নামে পাহাড়ের পাদদেশস্থ ছোট / বড় বিভিন্ন আকারের বোল্ডার কেটে কেটে মূল পাহাড়কে নাকি আরো দৃষ্টি আকর্ষণীয় করে তুলছে।পরিবেশবিদদের আশঙ্কা, এর ফলে যে কোনো দিন বিপর্যয় ঘটতে পারে।পাশাপাশি কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও বোল্ডার বিক্রির কাজে নেমে পরেছে।এহেন কয়েকটে বোল্ডার..



পাহাড়ের উপরে দুটি মন্দির আছে।নিতান্ত ব্যক্তিগত কারনে আমি প্রায় দুশো/ আড়াইশো সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠতে না চাওয়াই, সে ছবি দিতে পারলাম না।এদিকে সারাদিন এভাবে বেড়ানোর কারনে, আমার পুত্র বেশ অসুস্ত বোধ করতে লাগলো।বাধ্য হয়ে আমরা দুজনেই ওকে নিয়ে পাশে জেলাপরিষদ নির্মিত পার্কে একটু বিশ্রাম নিলাম।

অবশেষে সন্ধ্যার দিকে আমরা স্থান ত্যাগ করে, আদ্রা স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।চল্লিশ মিনিটের মধ্যে আমরা আদ্রা জংশনে পৌঁছালাম।এখানে এসে আমাদের এক নুতন বিপত্তি শুরু হল।একএক করে প্রায় ২০/২২ জন সভ্য বমি করা শুরু করলো।সবারি দেখলাম দুপুরের খাবার হজম হয়নি।আমার বাচ্চার অবশ্য কিছু হয়নি।বুঝলাম রঘুনাথপুরে হোটেলের খাবারে নিশ্চয় কিছু একটা হয়েছে।আমার কাছে হোমিও ঔষধ নাক্স৩০ (জার্মান) ছিল।অগত্যা আমি রীতিমত ডাক্টার বাবুর ভূমিকা নিলাম।রাতদশটা নাগাদ আমাদের ট্রেন ছিল চক্রধরপুর -হাওড়া ফাস্ট প্যাসেঞ্জার। মোটামুটি ট্রেনে ওঠার আগে দলের অনেকে বেশ স্বস্তি অনুভব করলো।পরেরদিন ভোর সারে চারটাতে আমরা হাওড়ায় পৌঁছালাম।সকালে প্রিপেড ট্যাক্সি ধরে ফাঁকা রাস্তায় একঘন্টার মধ্যে বাড়ি ঢুকলাম।পরের গন্তব্যস্থান ঠিক করলাম,গ্রীষ্মের ছুটিতে দার্জিলিং এর লেপচা জগৎ।( পুরুলিয়া শহরের সিল্কি ভিলেজে গাড়ি থেকে নেমে ৩০/৪০ মিনিট হাটার ভয়ে সিডিউল প্রোগ্রাম বাতিল করতে হয়েছিল )

।।।। ছবিগুলি জয়চন্ডি পাহাড়ের ।।।।।



সারাদিন পরিশ্রমের পর একটু বিশ্রাম, জেলাপরিষদ নির্মিত জয়চন্ডি পার্ক


।।।।।।।। আদ্রা স্টেশনে কুকুর ও মানব শিশুর সহাবস্থান ।।।।।।।।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৮

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: মনে হলো ভ্রমণ করে এলাম
ভাল লিখেছেন ভাই।
শুভেচ্ছা রইল।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রীত হলাম,আপনার সুন্দর মন্তব্যে।আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর বর্ণনা।

ছবিও।

শুভ ব্লগিং।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ,মাইদুল ভাইয়া।অনন্ত শুভেচ্ছা আপনাকেও।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

আরাফআহনাফ বলেছেন: মনে অতৃপ্তি রয়ে গেল ! !!
দারুনভাবে ঘুরছিলাম আপনার সাথে।

মধ্যপ্রদেশের কথা বলে হাসালেন - ধন্যবাদ।
কুকুর আর মানবের সহাবস্থানের ছবিটা মন ছুঁয়ে গেল।


ভালো থাকুন -
আবার বের হোন জগৎটাকে আরেকটু দেখার জন্য - শুভ কামনা রইলো সেই পর্যন্ত।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার মন্তব্যে প্রীত হলাম।কী আর করা যাবে, আপনাদের সঙ্গে নিতে না পারার যন্ত্রণা আমারও রয়ে গেল।
সামনে গ্রীষ্মের ছুটিতে আবার একটু বার হচ্ছি।ট্রেনের টিকিট,হোটেল বুকিং সব একপ্রকার মিটে গেছে।সামনে পঞ্চায়েত ভোট। অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ।বেশ টেনশনে আছি।ভালোই ভালো পর্বটি মিটলেই হয়।উপর ওয়ালা সহায়।দোয়া করবেন।
আপনার জন্য অনন্ত শুভ কামনা রইল।

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:

ভাই, মোটামুটি নেটওয়ার্কে আছি ।

পড়লাম।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার সঙ্গে মনে হচ্ছে যেন কতদিন কথা হয়না।নেট সমস্যা কদিন আগে আমারও ছিল,খুব অসহায় লাগতো। সে কারনে, খুব ভাল লাগছে আপনার সমস্যা মিটে গেছে শুনে । আপনার চনমনে ক্যাচাল আমার হট ফেবারিট।দেখছি নুতন কোনো পোষ্ট দিয়েছেন কিনা।

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


কুকুর ও মানব শিশু?

পশ্চিম বংগের এই অবস্হা? দাদাদের ঝাটাপেটা করার দরকার! বেকুবরা তো সঠিক পথে নেই!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে,পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।আসলে আপনারা যে পশ্চিমবঙ্গকে চেনেন বা জানেন, তার সঙ্গে এ ছবি বড় বিসদৃশ। কিন্তু এটাই বাস্তব।আপনাকে এছবি দেখতে আমলাশোল, গিরিডি, দেওঘর,বান্দোয়ান,বা আপনার মীরপুরে যেতে হবেনা। আমার আপনার সাধারন ব্যস্ততম জীবনপথে এ চিত্র মিলবে। (আমি আগে বার তিনেক আপনার কমেন্টের উত্তর দিতে পারিনি। বেশ নেট সমস্যা আছে।জানিনা এবারও পারবো কিনা।)
অনেক অনেক ভাল লাগা আপনাকে।

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৫

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভালো লাগলো।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে প্রীত হলাম।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভ কামনা নিরন্তর।

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:
শুভ নববর্ষ পদাতিক চৌধুরি!!!

আপনাদের নির্বাচনের কি হাল??

পোস্টে সেকেন্ড লাস্ট ছবিটা কাদের?

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ নববর্ষ, ভাইয়া।ছুটির দিনে একটু ব্যস্ত ছিলাম।দেরীতে উত্তর দেওয়াই দুঃখিত।কলকাতা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী এই মুহূর্তে ভোট পক্রিয়া স্থগিত আছে।পরবর্তী রায়ের উপর নির্ভর করছে।
আমাদের দলের সভ্যরা যখন জয়চন্ডি পাহাড়ের চূড়াতে মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল,আমরা তখন পাশের পার্কে একটু বিশ্রাম নিই।আমি ছবিটি তুলছিলাম।বসে আছে মা ও ছেলে।

আপনাকে রেগুলার না পেয়ে বেদনাহত। শুভেচ্ছা নিয়েন।

৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ।দেরীতে উত্তর দেওয়াই দুঃখিত।
কষ্ট পাওয়ার কি আছে ভাই?? এমনিতেই আমি নোটিফিকেশন পাচ্ছি না।

ছবি নিয়ে আমার ধারনা সঠিক:)

ল্যাপটপে সমস্যা। তাই--

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঠিক আছে।আপনার ধারনার জন্য ধন্যবাদ।তবে বয়স তো অনেকটা হয়েছে, এই বয়সে আর অন্য কোনো ছবি দিই কেমনে? ঘর বাইরে সর্বত্রই ঝাঁটা খাইতে হইবো যে।মুখ লুকানোর রাস্তা পাইবো না।

শুভ কামনা রইল।

৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভাই আমার এই গল্পটি পড়লে কৃতার্থ হই B-)
Click
নববর্ষ কেমন কাটলো?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব ভাল কাটলো।৯৪ সালে স্কুল ছাড়ার পর আজ পুরানো বন্ধুদের সঙ্গে মিট করলাম।আজ এক অন্য বৈশাখ পালন করলাম। সারাদিন এজন্য ব্লগে সময় দিতে পারিনি।

আপনাকেও অনেক বৈশাখী শুভেচ্ছা।

১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২৬

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: চন্ডিগড়কে প্রকৃতির রানী বলা হয় নাকী? আমার কাছে তো তেমন সুন্দর লাগল না

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।আপনার দেখার দৃষ্টিটি অত্যন্ত উচু মানের, যেকারনে আমার কাছে যেটা সুন্দর লাগলো,আপনার কাছে সেটা খুব সাধারন বলে মনে হয়েছে।আমি চন্ডিগড়কে দেখিনি,তবে সিমলা কুলু মানালি মনিকরন খুব ভালো লেগেছিল। দার্জিলিং আমার ভালো লাগেনি।তবে পুরুলিয়ার সৌন্দর্যে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম । ভাল লাগাটা ব্যক্তিবিশেষে ভিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক।

চন্ডিগড় গোলাপি শহর নামে পরিচিত।পার্টিকুলার ঐ নামে এরকম কোনো স্থানকে চিহ্নিত করা হয় বলে আমার জানা নেই।দার্জিলিং এ এই রুপের রানী লেখা হোর্ডিং কয়েক জায়গায় চোখে পড়েছিল।আমার পুরি /দার্জিলিং একেবারে ভালো লাগেনি।

বৈশাখী শুভেচ্ছা রইল।

১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: আমি যাইনি ,তবে শুনেছি দার্জিলিং অনেক সুন্দর । হিন্দি "বরফি" মুভি দার্জিলিং এ করা হয়েছে । মুভির দৃশয়গুলো অনেক সুন্দর ছিল ।আপনার তথ্যের জন্য ধন্যবাদ

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঐ ছবির শুটিং হয়েছিল দার্জিলিং এ।টয়ট্রেনের দৃশ্য আছে এছবিতে।মূল দার্জিলিং শহর অত্যন্ত কনজাশটেড প্লেস।যেটা আমার প্রচন্ড দূষণযুক্ত এলাকা বলে মনে হয়েছে।তবে এখানে ঘুরতে গেলে ৭ পয়েন্ট / ৩ পয়েন্ট ট্যুরেরর ব্যবস্থা আছে, যেগুলি অত্যন্ত আকর্ষণীয়।আমরা সামনের গ্রীষ্মে অবশ্য আবার দার্জিলিংএ যাচ্ছি।জায়গাটি লেপচাজগৎ,কার্শিয়ং, শ্রীখোলা প্রভৃতি স্থানে। প্লান তৈরী।বাকিটা উপর ওয়ালার উপর নির্ভরশীল।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন! ভ্রমনের স্বাদ ব্লগেই মিটে গেল। ধন্যবাদ।

আচ্ছা, আপনার পোস্ট কি প্রথম পাতায় পাবলিশ হচ্ছে এখন?

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আসাতে আনন্দ পেলাম নকিব ভাই।ভ্রমন ভালো লাগাতে প্রীত হলাম।

আর আপনারর প্রশ্নের উত্তরে বলি না।আমাকে এখনো প্রথম পাতার যোগ্য বলে মাননীয় কতৃপক্ষ মনে করেনি।

অনেক শুভ কামনা রইল ভাই আপনাকে।

১৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রত্যুত্তরে ধন্যবাদ। তাহলে আমার অনুমান সঠিক ছিল। এখানে, এই পোস্টটিতে দেখতে পারেন- প্রথম পাতার এক্সেস দেয়া হলে এরা কি আরও ভাল কিছু উপহার দিতেন না!

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দুঃখিত নকিবভাই, আপনার উত্তর দিতে গিয়ে দেখলাম নির্দিষ্ট স্থানে না গিয়ে পৃথকভাবে প্রকাশ পেয়েছে।১৪ নং মন্তব্যটি আপনার উত্তর।অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থী।

১৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।সত্যি আজই মইদুল ভায়ের একটি পোষ্টে ঠিক এই মন্তব্যটি করেছিলাম।ব্লগে এসে পেয়েছি অনেক বন্ধু অনেক শিক্ষক, অনেক পরিজন। এ এক বৃহৎ সংসার,যে বন্ধন জীবনে কখনো ভোলার নয়।আর কতৃপক্ষ যেদিন আমাদের মত নুতনদের উপযুক্ত মনে করবে, সেদিন হয়তো প্রথম পাতায় সুযোগ দেবে । তাদের সুচিন্তিত অপারেটকে শ্রদ্ধা জানাই। তবে আপনাদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শিখছি,উপর ওয়ালা সহায়, একদিন ঠিক সুযোগ পাবো।দোয়া করবেন।

শুভেচ্ছা রইল।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নকিব ভায়ের ১৩ নং পোষ্টের উত্তর দিতে গিয়ে ভুলকরে ১৪ নং পৃথক পোষ্ট হয়ে গেছে।

১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৩৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভ্রমণ পোষ্টের ভক্ত আমি, জয়চন্ডি পাহাড় কিন্তু আমায় টানছে খুব........ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মুগ্ধ হলাম ভাই, আপনার ভালো লেগেছে জেনে।আমি ইতিপূর্বে জেনেছি আপনার ভ্রমন পিপাসার কথা। আমিও আপনার এমন পোষ্টের ফ্যান। মুগ্ধ হই আপনার লেখা পড়ে। জয়চন্ডি ভাল লেগেছে জেনে আর একবার কৃতজ্ঞতা জানাই। পারলে এবার এদিকেও ঘুরে যান।

শুভ কামনা আপনাকে।

১৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
কিন্তু শেষের ছবিটা দেখে মনটা বিষন্ন হয়ে গেল।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই,আপনার আগমনে কৃতজ্ঞতা জানাই। সেই সঙ্গে মন্তব্যে প্রীত হলাম। আর শেষ ছবিটা আমাদের সভ্যতার পক্ষে বড় লজ্জার। অনেক কিছুই যে আমাদের হাতে থাকেনা।কিন্তু হৃদয় যে দগ্ধ হয় বড়।

অনন্ত শুভ কামনা আপনাকে।

১৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কোন একদিন যাওয়া হতেও পারে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মুগ্ধ হলাম ভাই আপনার ইচ্ছা শুনে।নিশ্চয় আপনি আসবেন,পুরুলিয়াতে,উপরওয়ালা সহায়।

অনেক শুভ কামনা সহজ সরল মনের সাদা ভাইকে।

১৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আদ্রা স্টেশনে কুকুর আর মানব শিশুর সহাবস্থানের ছবিটা দেখে মনে মিশ্র অনুভূতির সৃষ্টি হলো। এক, ভালবাসায় মানব ও পশুর মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। দুই, মানুষ কতটা অমানুষ হলে সেই সমাজে শিশুর এমন অবস্থা হতে পারে!
ভ্রমণ কাহিনী ভাল লেগেছে। পড়তে পড়তে টেনশন হচ্ছিল, বমির মাত্রাটা কারো কারো আবার বেড়ে যায় কিনা। যাক, আপনার নাক্স-৩০ বেশ কাজে দিয়েছিল জেনে স্বস্তি পেলাম। আর পোস্ট ভাল লাগার স্বাক্ষর হিসেবে প্রথম প্লাসটি রেখে গেলাম। + +

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পক্টেড স্যার,

আপনার আগমন মানে আমার কাছে আনন্দের ও অনুকরণীয় বা অনুপ্রেরণার । আপনার এই সুন্দর কমেন্টের জন্যই কতদিন যেন অপেক্ষা করা। আপনার কথার সুরেই বলছি ভালোবাসার কোনও রং বা প্রকারভেদ হয়না। সে কারনে মানবশিশু ও পশুশাবক নিশ্চিন্তে একাসনে থাকতে পারে। আমাদের যাদের অর্থ আছে, প্রভাব - প্রতিপত্তি আছে, তারাই আমরা ভেদাভেদ খুঁজি।

ভ্রমন কাহিনী ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে । আর বমিটা পরে আর কারও হয়নি। হয়তো প্রথমে সকলের বমি হয়ে ভিতরের র মেটেরিয়াল বার হওয়ার জন্য সমস্যা হয়নি। পাশাপাশি নাক্সেরও একটি কাজ থাকতে পারে। আপনি সুন্দর করে পড়ে মন্তব্য করায় ভীষণ খুশি হলাম।

অন্তরের বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে।


১৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি সুন্দর করে পড়ে মন্তব্য করায় ভীষণ খুশি হলাম - আপনার এ কমপ্লিমেন্টস পেয়ে খুশী হ'লাম। আমি কখনোই কারো পোস্ট আদ্যোপান্ত না পড়ে মন্তব্য করিনা। শুধু পোস্টই নয়, সব মন্তব্যগুলোই পড়ি। কোন কোন জনপ্রিয় ব্লগারের পোস্টে মন্তব্যের সংখ্যা হাজার অতিক্রম করেছিল। সেগুলোও সব পড়েই তবে পোস্টে মন্তব্য করেছি।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা---

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আবার কমেন্ট আবারও আনন্দ পেলাম। হ্যাঁ স্যার, সামনাসামনি বললে হয়তো আপনার অস্বস্তি হতে পারে, তবে আপনি ব্লগে একটি ঘরানা তৈরী করেছেন। আজ পর্যন্ত কোথাও কোনও পোস্টে আপনার দায়সারাভাবে কমেন্ট দেখিনি। দেখিনি কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করতেও। উল্টে দেখেছি সম্মান আদায় করার এক অনন্য পথের নজির সৃষ্টি করতে । সুন্দর সুস্থ মতবিনিময়ের এজন্য আমার মত বহুজনের কাছে আপনি পূজ্য।

অস্বীকার করবোনা যে আপনার কমেন্ট পাওয়াটা আমার মত অনেকের হৃদয়ের কাঙ্খিত লক্ষ্য। আপনার এই সময় নিয়ে পড়ে মতামত দেওয়ার জন্যই অনেকের মত আপনাকে প্রথম পেজে কম দেখি। পাশাপাশি লক্ষ্য করেছি, যখন আসেন বেশ কয়েকটি পড়ে চলে গেলেও পরে ঠিক তার পরের পোস্ট থেকে পড়া শুরু করেন। আমার আপনার এমন আগমন ভীষণ ভীষণ ভালো লাগে। সঙ্গে মুগ্ধ হই এমন শিক্ষনীয় কমেন্ট পেয়ে।


আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং মানসিক উৎফুল্লতা কামনা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.