নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভীতুর ভূত দর্শন(পর্ব-১)

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫





সদ্য কলেজে ভর্ত্তি হয়েছি।কয়েকদিনেরর মধ্যে কলেজের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে গেল।রবিবারের ছুটিতে বন্ধুদের জন্য মন খারাপ লাগত।কলেজের ক্লাসের ফাঁকে তপনদার ক্যান্টিনে চারটি চা সাতটি করে খাওয়া ও সঙ্গে চেন স্মোকারের শিক্ষা নেওয়ার মধ্যে আমার কলেজ জীবন বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল।সঙ্গে ছিল ক্যান্টিনে আগত কোন মহিলাকে লক্ষ্য করে সিগারেটের ধোঁয়া দিয়ে বিভিন্ন রকম নক্সা বা রিং করে সদ্য পৌরুষত্ব জাহির করার এক অদ্ভূত প্রতিযোগিতা।সঙ্গে চলতো দেশের মঙ্গলের লক্ষে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা স্মার্টনেস প্রদর্শনের জন্য একটু খিস্তি খেউর দেওয়াও।

এরই মধ্যে একদিন আমার বন্ধু প্রসেনজিৎ কোন একটা প্রসঙ্গে জানাল,ওসব ভূত-ফুত বলে কিছু নেই।সবই নাকি মানুষের কারসাজি। আমি বরাবরি ভীতু প্রকৃতির। পড়াশোনায় ভাল না হলেও অন্তত হাবেভাবে ভাল ছেলে হবার আপ্রাণ চেষ্টা করতাম।স্কুলে প্রদীপ্ত, অর্নব,নীলুরা যখন আড্ডা মারতো, আমি তখন খারাপ হওয়ার ভয়ে এমা!এসব নোংরা কথা বলতে আছে? বলাতে বেশ কয়েকবার বন্ধুদের কাছে ধমক খেয়েছি।ওরা আমাকে পাল্টা লেডিস বলে খ্যাপাত।আমি 'ধ্যৎ অসভ্য' বলে একটু মৃদু প্রতিবাদ করতাম।তবে ওরা মিশতে নেবেনা এই ভয়ে আবার ওদের পাশে ঘুরঘুর করতাম।স্কুলেও একদিন ভূতের প্রসঙ্গ উঠেছিল জীবনবিজ্ঞান শিক্ষক শ্রদ্ধেয় তাপসবাবু স্যারের ক্লাসে।সেদিন স্যার আমাদের এই সব অবাস্তব বিষয়কে মনে প্রশ্রয় না দিয়ে বরং যুক্তি দিয়ে সবকিছু গ্রহণ করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।তবুও মনের মধ্যে কেমন যেন ভূতের ভয় বরাবরি থেকে গিয়েছিল।

প্রসেনজিতের এই কথায়, কলেজের বন্ধু প্রবীর ওকে ভূত দেখানোর প্রস্তাব দিল।প্রসেনজিৎও সাহসী ছেলে। শুধু মুখের কথায় নয়, বাস্তবেও তা দেখাতে রাজি হয়ে গেল।তবে ভূত দেখতে তো আর দল বেধে যাওয়া যায় না।প্রবীরের প্রস্তাব মত প্রসেনজিৎ সঙ্গে একজনকে নিতে পারবে অনুমতি দিল ।সঙ্গে সঙ্গেই উপস্থিত শিবু, সুমিত,রাজু সুদীপ সকলেই যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলো।ওদের উচ্ছ্বাস দেখে আমারও সাহস বেড়ে গেল।উল্লেখ্য প্রসেনজিতের ডাকনাম গোরা।এবার আমিও বলে উঠলাম,গোরা তোর সঙ্গে আমিই যাবো।প্রবীর যেন আমার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছিল।ও তৎক্ষনাক প্রস্তাব দিল,গোরা কতটা সাহসী সেটা পরীক্ষা করতে হলে অন্য কেউ নয়,আমাকে সঙ্গে নিতে রাজি হলে,সে এই পরীক্ষায় বসার উপযোগী বলে বিবেচিত হবে।

আগেই বলেছি গোরা খুব সাহসী ছেলে। কাজেই প্রবীরের কথা গোরার সেন্টিমেন্টে আঘাত করলো।ও চিৎকার করে বলে উঠলো,
-কাউকে সঙ্গে আমি নেব না। আমি একাই যাব ভূতের ইন্টারভিউ নিতে।
উল্লেখ্য আমি না হয় একটু ভীতু, তাই বলে আমাকে নিয়ে এভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করায় আমিও বেশ ব্যাথা পেলাম।আমি গোরাকে জানালাম, তোর আপত্তি থাকলে আমি যাবোনা।একথা অস্বীকার করবোনা যে, আমি যেতে রাজী হলেও আমার গলা শুকিয়ে আসছিল।বুকের ভীতর আসন্ন ভয় দুরুদুরু করছে।প্রাণপণ চেষ্টা করছি নিজেকে ওদের কাছে ধরা না দিতে। ওদিকে গোরা তখনো একা যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল।বাকিরা ওকে নানানভাবে বোঝাতে লাগলো।শেষ পর্যন্ত ও আমাকে সঙ্গে নিতে রাজি হওয়ায় সকলে চিৎকার করে উঠলো।সুদীপ পাইন আমার হাত ধরতেই,বাকিরা আমাকে নিয়ে একপ্রকার মাথায় তুলে নাঁচতে লাগলো।অথচ আমার ভীতর আসন্ন বিপদের আশঙ্কায় যে চোরা স্রোত বইতে লাগলো তা কেবল অন্তর্যামীই জানেন।

নির্দিষ্ট দিনে বাসস্ট্যান্ডে গোরা ও প্রবীর আগে থেকেই আমার জন্য অপেক্ষা করছিল।আমার দেরি হওয়াতে গোরা আমার পশ্চাদদেশে কষিয়ে দিল একটি লাথি।প্রবীর একটি গালি দিয়ে বললো,
-ভাবলাম ভূতের নাম শুনে তোর** শুকিয়ে গেছে।
যাইহোক নিজের কৃতকর্মের জন্য এটুকু তিরস্কার আমার প্রাপ্য ছিল বলে মানসিক ভাবে তৈরী ছিলাম।কিছু পরে ওরা স্বাভাবিক হলে আমরাও গন্তব্যস্থানের উদ্দশ্যে রওনা দিলাম।

প্রবীরের বাড়ি যেতে আমাদের তিনবার নদী পাল্টাতে হয়েছিল।শেষবার ফেরি পার হতে হতে তখন বিকাল গড়িয়ে যায়।এখানে যোগাযোগের মাধ্যম একমাত্র পায়েচালিত ভ্যান।কিন্তু এ অসময়ে সামনে একটাও না পাওয়ায় প্রবীরের কথামত আমরা হাঁটতে শুরু করি।ও জানালো সন্ধ্যা নামলে এখানে আবার মামার আসার সম্ভাবনা থাকে।যেকারনে এই সমস্ত দ্বীপে বিকালের পর সাধারণত কেউ রাস্তায় থাকেনা।আর এজন্যই নাকি আমার বাসস্ট্যান্ডে দেরি করে আসাতে ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল।নিজের ভুলের জন্য আরো একবার ক্ষমা চাইলাম।কিন্তু বাঘের নাম শুনতেই, এবার বুকে ঝোলানো তাবিজটি বার কয়েক কপালে ঠেকালাম।আগে ছিল ভূতের ভয়।এবার আবার যোগ হল বাঘ মামা।মনে মনে নিজেকে অপরাধী করলাম,কেন এমন হিরোজিমের পরিচয় দিতে এমন অনিশ্চিয়তার মধ্যে নিজেকে টেনে আনলাম ভেবে।

এখনকার মত এমন ফোনের যোগাযোগ তখন না থাকায় আমাদের আসার খবর প্রবীর বাড়িতে আগেভাগে দিতে পারেনি। যেমন দিতে পারেনি তার নিজের আসার খবরও।স্বভাবতই এরকম অসময়ে ছেলের সঙ্গে আমাদের দেখা পেয়ে, বাবা-মা,ভাই যেন চাঁদ হাতে পেল।তবে এমন সময়ে আসায় তাদের চোখে মুখের উৎসুক্য দৃষ্টিতে প্রকাশ পেল।প্রবীর আগে থেকে বাবা-মাকে আমাদের আসার কারণ বলতে নিষেধ করেছিল।কাজেই আমরা শহর থেকে ঘুরতে এসেছি,বলাই ওনারা খুব খুশি হলেন।

প্রবীরদের বাড়িটার একটু পরিচয় দেওয়া দরকার।একদিকে আছে ইটের গাঁথুনির উপর টালির ছাউনি দেওয়া তিন কামরার একটি বাড়ি।পাশে আছে একটি ধানের গোলা, একদিকে তুলসিমঞ্চ। আর ঠিক তার উল্টো দিকে একটু দূরে আরো একটি ইটের গাঁথুনি ও টালি দেওয়া বাড়ি।গ্রামের বাড়ি হলেও বেশ ছিমছাম,সাজানো গোছানো।অনেকটা জায়গা জুড়ে ছড়ানো এহেন ভিটে বাড়ি দেখে প্রথমেই আমাদের মনটি বেশ ভরে গেল। তবে একথা অস্বীকার করবো না যে সারা দিনের ক্লান্তির সঙ্গে প্রচন্ড ক্ষিদেও পেয়েছিল।হাতমুখ ধুয়ে বসতে না বসতেই মাসিমা আমাদের খেতে ডাকলেন।খাওয়ার পরে আমরা প্রবীরের ঘরে শুয়ে পড়লাম।

দীর্ঘ রাস্তায় ক্লান্তির এক শেষ ছিলাম। কাজেই শোয়ামাত্র গেলাম ঘুমিয়ে।হাতে কোন ঘড়ি না থাকলেও আনুমানিক বারোটা থেকে সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রবীর ও গোরা আমাকে ডাকলো।ঠোঁটে হাত দিয়ে কথা বলতে বারণ করলো।চোখ ঘষতে ঘষতে প্রচন্ড বিরক্তের মধ্যে ওদের নির্দেশ পালন করলাম।বাড়ির বাকিরা তখন গভীর নিদ্রায় মগ্ন। অত্যন্ত সন্তর্পণে আমরা তিনজন ধানের গোলার পাশের ঘরটিতে ঢুকে পড়লাম।একটা কুপির আলো অবশ্য ঘরের মধ্যে জ্বলছিল।তবে তার আবছা আলোয় লক্ষ্য করলাম ঘরটি অপরিষ্কার বলা চলে বেশ নোংরা। ।ঘরে আসবাব বলতে কেবলমাত্র একটি বড় চৌকি ছিল। প্রবীর আমাদের দুজনকে পৌঁছে ওর ঘরে ফিরে গেল।ও ফিরতেই গোরা গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল। আমি দেওয়ালে ঠেস দিয়ে চৌকিতে আসন করে বসলাম। গোরাও আমার পাশে এসে বসলো।এই ঘরে এসে বুঝলাম, আমরা প্রকৃতই ভূতের সাক্ষাতের জন্য চলে এসেছি। নুতন করে আবার ভীতরটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে এল।গোরা আমার মনের ভাষা বুঝতে পারলো। মাথায় হাত দিয়ে,
-ভয় পাস না আমি আছি।
ও এমন আশ্বাস দিতেই আমি আবার শুয়ে পড়লাম।(চলবে)

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মুগ্ধ হলাম সাকিব ভাই, আপনার মন্তব্যে।আপনাকে মনে হচ্ছে কত দিন দেখিনি।আজ প্রথমেই এলেন দেখে খুশিতে ভরে গেলাম।

অনেক ভালো লাগা আপনাকে।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোন সালের কথা?
প্রবীরদের বাড়ী কি সুন্দরবনের কাছাকাছি?

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অন্তর ছুঁয়ে গেল, স্যার আপনার মন্তব্যে।এফ.বি. দৌলতে ১৯৯৪ সালের পর আমাদের স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে ১ বৈশাখে ইছামতির তীরে মিট করেছিলাম।প্রক্ষাপটটা আমি কলেজের দিয়েছি ঠিকই,কিন্তু চরিত্র গুলি আমার স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে তৈরী। আর হিমাংশু বলে এক বন্ধুর বাড়িতে গেছিলাম,সাতজেলিয়াতে।সেটার সঙ্গে একটু কম্বিনেশন করার ছোট্ট প্রয়াস। উল্লেখ্য আমি এই গল্পটি ইতিমধ্যে বেঙ্গলি প্রতিলিপিতে প্রকাশিত করেছি।

অনন্ত শ্রদ্ধা, স্যার আপনাকে।

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কি লেখব, বুঝতে পারছি না। এক কথায় চমৎকার। নিয়মিত লেখতে থাকেন। একদিন বাংলা সাহিত্য আপনার মতো লেখকদের হাত ধরে সমৃদ্ধ হবে। শুভ কামনা প্রিয় প. চৌ.

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কাওসার ভাই, আপনি গুনিজন।আমি আপনাকে আপনার কোয়ালিটিরর জন্য কুর্নিশ করি।আমি প্রান্তিক মানুষ। এভাবে মূল্যায়ন করে নিজে যে লজ্জায় মরে যাই।ব্লগ তারকার হাট।ওনাদের সামনে আমি যে কী করে মুখ দেখাই ।

অনেক ভাল লাগা আপনাকে।

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভীতুর ভুত দর্শন চলুক...

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আমার ছোট্ট প্রন্তর পাতা ভাইটিকে। আনন্দ পেলাম,সুন্দর ছোট্ট মন্তব্যে।নুতন লেখার কোন খবর থাকলে যেন জানতে পারি।

অনেক অনেক শুভ কামনা, ভাইটিকে।

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪২

তারেক ফাহিম বলেছেন: ভুত ভুতুড়ে চলবে ;)

ভয় পাচ্ছি ভাই, পড়ে মজায়ও আছি।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।

সামু ব্লগে ব্লগারের অনুকুলতা নাই দেখছি।
সব প্রতিভা সামুতে ভরপুর।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ফাহিম ভাই আপনার প্রেরণা মূলক মন্তব্যে আমি মুগ্ধ। আর এখানে ভয়ের কোনো কারন নেই,বরং আগামীতে যাতে ভয় না পান তার একটা প্রয়াস।

শুভেচ্ছা নিয়েন, ভাই।

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: চলবে??:(


ভূতের দেখা নাই? আসল মজা তো শুরুই হল না???

অনেক জায়গায় দাঁড়ির(।) পরে স্পেস দেয়া হয় নি।।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এই জন্যই আপনাকে আমি স্যার বলি। যদিও আপনি আমার গুরু বাবা হতে অস্বীকার করলেন যখন, তাহলে তো ভুল হবেই।যাক আজ আবার টিপস্ দিলেন। আশাকরি আগামীতে আর হবে না।

অনেক অনেক ভাল লাগা আপনাকে।

৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মুগ্ধ হলাম আপনার সুন্দর মন্তব্যে।আপনার আগমনে আমি ধন্য।

অনেক শুভ কামনা আপনাকে।

৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: এখনকার গুরু বাবারা বেশীর ভাগই ভন্ড। আর স্যার ডাকের মধ্যে আন্তরিকতা নেই। কিন্তু ভাই/বন্ধু বললেই মনে একটা প্রশান্তি আসে।

৩০ তারিখে আমার ফ্লাইট।(বাঁকিটা গোপনীয়)
ভাল থাকবেন।:)

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এনিওয়ে আপনি উপরওয়ালার কৃপায় ভাল ভাবে লক্ষ্যে পৌঁছান,এই মোর নিরন্তর কামনা। আমি আপনাকে প্রচন্ড মিস করবো।দেশে ফিরলে আবার দেখা হবে, অনন্ত প্রতিক্ষায় আমরা।

৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আচ্ছা আমারা ও আপনার সাথে অপেক্ষায় ভূত দেখার।
চলুক ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনুভবে মুগ্ধ হলাম আপু আপনার অপেক্ষায়।তবে বাস্তবে আমার মত কতিপয় ভীতু ছাড়া এ দুর্মতি কারো হবে না বলে মনে হয়।

বৈশাখী শুভেচ্ছা রইল, আপু আপনাকে।

১০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১১

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ভূতবিষয়ক লেখা আমি গোগ্রাসে গিলি।
চলমান লেখাটির শেষ দেখে যাব।
ভাললাগা রইল।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য কবিভাই আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আপনি ভূতুরে লেখার প্রেমী, তবে আমি কতটা যে আনন্দ দিতে পারবো ভেবে চিন্তায় পড়লাম।যাক আপনাদের আশাদেখে আমার ভূতুরে গল্প দ্রুত শেষ করবো,কথা দিলাম।

অনেক অনেক ভাল লাগা আপনাকে।

১১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ,সাজ্জাদ ভাই। তবে পরবর্তী পর্ব পাঠ করলে, ধন্য হবো।

অনেক ভাল লাগা আপনাকে।

১২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: মাঝে মাঝে আমি খুব সাহসী। মাঝে মাঝে আমি আবার চরম ভীতু।
ভয় ব্যাপারটা যারা জয় করতে পেরেছে তারা ভাগ্যবান।

আপনার লেখাটি পড়ে ভালো লেগেছে।
আজ কোনো কাজ নেই। সকাল থেকেই বৃষ্টি পড়ছে। আমি চা খাচ্ছি আর একের পর এক ব্লগ পড়ে যাচ্ছি। মনে হচ্ছে জীবনটা মন্দ নয়।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আজকের দিনটি যতটা কর্মমুক্ত, আমি ঠিক ততটাই কর্মযুক্ত।রবিবার সকালে বাজার করা । পরে শ্রীমানের আর্ট স্কুলে নিয়ে যাওয়া। ফিরে এসে গিন্নির ছোট্ট রিকয়ারমেন্ট আরো একবার বাজারে যাওয়া। বাড়ি এসে একটু সময় পেয়ে খেতে খেতে ব্লগে উঁকি মারা। এরই মধ্যে পুরানো বন্ধুদের সঙ্গে হোয়াটসআপে একটু চ্যাট করা। দুপুর বারোটায় আর্ট স্কুল থেকে ছেলেকে আনা ও দুপর একটায় প্রায় সাতকিমি দূরে একটি বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাওয়া প্রভতির পর অবশেষে আপনার কমেন্টের উত্তর লিখতে বসলাম।

আর আমাদের এখানে সকাল থেকে একটু মেঘলাভাব ছিল, কিন্তু বর্তমানে আকাশ সম্পূর্ণ পরিষ্কার।আগামী দুদিন ছুটি আছে।ইচ্ছা আছে চলমান পর্বটিকে সমাপ্ত করার। অবশ্য উপরওয়ালা সহায়।

আর ভয়ের ব্যাপারে আমিও যথেষ্ট ভীতু।পোষ্টের হেডলাইনেই বিষয়টি পরিষ্কার। আগামী পর্ব পড়ার অনুরোধ রইল। অন্য প্রসঙ্গে বলি,আপনার এফ.বি পোষ্টে উত্তর না পেয়ে আমি ব্যাথিত। যাইহোক,অনন্ত শুভ কামনা আপনাকে।

১৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: নতুন একটা গল্প লিখেছি_click

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আজকের গল্পটা অনেক বেশি জমাট।ওখানে মন্তব্য দিয়েছি। আশাকরি খুব শীঘ্রই আপনি সেফ হবেন।
অনন্ত শুভ কামনা রইল।

১৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: :D

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রান্তর ভাই।

শুভ কামনা নিরন্তর।

১৫| ০১ লা মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

শিখা রহমান বলেছেন: শুরুটা ভালো লেগেছে। পরের পর্বের আর ভূতের অপেক্ষায় থাকলাম।

আপনি বেশ সুন্দর লেখেন। ভালো লেগেছে। শুভকামনা।

০১ লা মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মুগ্ধ হলাম আপু আপনার অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যে । শ্রীঘ্রই পরের পর্বটি প্রকাশিত করার ইচ্ছা আছে। দোয়া করবেন।

অনেক অনেক ভাল লাগা আপনাকে।

১৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

সিগন্যাস বলেছেন: পরের পর্বতো আর খুঁঁজে পাচ্ছিনা পদাতিক ভাই।অনুগ্রহ করে লিংক দেন।খুবই আগ্রহ নিয়ে পড়ছি

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সিগন্যাস ভাই,

আমার বোধহয় একটা সমস্যা হচ্ছে। লিংক দিলে দেখছি পোষ্টটি না এসে গোটা ব্লগ চলে আসছে। আপনাকে বরং অনুরোধ করবো, এই পর্বের একটি পোষ্ট পরেই পরপর দুটি ভূত পর্ব আছে কষ্ট পড়ার জন্য।

শুভ কামনা রইল।

১৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভীতুর ভূত দর্শন তো এখনো শুরুই হলো না। তাই পরের পর্বে যাচ্ছি।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশা করি স্যার পরের দিকে ভীতুর ভূত দর্শনের সন্ধান পাবেন ।

শুভকামনা স্যার আপনাকে ।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.