নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভীতুর ভূত দর্শন( শেষ পর্ব )

০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৮:০১



শেষবার কতক্ষণ ঘুমিয়েছিলাম ঠিক মনে নেই। হঠাৎ মনে হল বুকের উপর কে যেন বরফ চাপা দিয়েছে। ঘুমের মধ্যে বুকে হাত দিতেই কারো পায়ে আমার হাত ঠেকলো। চোখ খুলেইতো আমার আত্মারাম খাঁচাছাড়া। আমার বুকের উপর বাঁশের আঁড়াতে গলায় দড়ি দিয়ে কে একজন ঝুলছে।ওরে বাবারে! বলে চিৎকার করাতে গোরারও ঘুম ভেঙে গেল। সেও এই দৃশ্য দেখে চিৎকার করে উঠলো। আমাদের সমবেত চিৎকারে প্রবীরের বাবা-মা হ্যারিকেন নিয়ে ছুটে এলেন। পিছন পিছনে সুপর্ণাও চলে এলো। আমরা দুজনেই তখন ভয়ে কাঁপছি।মাসিমা মেসোমশাই প্রবীর সকলেই আমাদের সেবা শুশ্রূষা করতে ব্যস্ত। আর তারই মধ্যে বাবার পিছনে দাঁড়িয়ে কিছুটা মাথা নিচু করে সুপর্ণা খিক খিক করে হাসছে। গোরাতো রীতিমতো গোঁঙানি শুরু করে দিলো। আমার অবস্থা হয়েছিল ওর চাইতেও সঙ্গীন। আমি কথা বলার মত শক্তি হারিয়ে ফেলেছিলাম। পিছন থেকে মনে হল ট্রাউজার্সটা চিটটিট করছে। বুঝলাম কাপড়ে পটি হয়ে গেছে। উপস্থিত সকলেই নাক চাপা দিলো। মাসিমা-মেসোমশায় প্রবীরকে প্রচন্ড বকা দিলেন,আর বারবার আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে লাগলেন।

ঐ রাতে আবার ভালো করে স্নান করে আমরা প্রবীরের ঘরে শুয়ে পড়ি। সুপর্ণা ঘুমানোর আগ পর্যন্ত বার কয়েক ঢুঁ মেরে গেল। তবে আমার আর ওসবের প্রতি মন ছিলোনা। আতঙ্ক তখন এতটাই গ্রাস করেছে যে এই ঘরেও ভূত আসতে পারে ভেবে হ্যারিকেনের নভটা অনেকটা বাড়িয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ বাদে মোরগের ডাক কানে এলো। আরও কিছুক্ষণ বাদে পূর্বাকাশে রক্তিম আভা দেখা দিল।

পরেরদিন সকালে মাসিমা-মেশোমশাই দুজনেই আবার আমাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন। এবার গোরা মুখ খুললো,
-ভূল তো আমাদেরই হয়েছে মাসিমা। আমরা ভূত দেখবো বলেই এখানে এসেছিলাম। আর এজন্যই মাঝরাতে আপনাদের না জানিয়ে ঘর বদল করি। তাই ক্ষমা যদি চাইতেই হয় তাহলে আমাদেরই চাওয়া উচিত।
এবার মেসোমশাই যা বললেন,
-দুই ছেলে-মেয়ে মা ও তোমার মাসিমাকে নিয়ে সংসার চলানো তখন খুব সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছিল । সামান্য এক ফসলি জমির উপর নির্ভর না করে, আরো একটু ভালো কাজের আশায়,আমি গুজরাতে স্বর্ণ শিল্পের কাজে গেছিলাম । কিছুদিন পরে শুনি মা অসুস্থ। ওখানে যার অধীনে কাজ করতাম, মায়ের অসুস্থতার কথা জানিয়েও না দিল বকেয়া টাকা বা না দিল ছুটি। তবে আমার ধারনা ছিল, তোমার মাসিমা যে করেই হোক সংসারটা সামলে নেবে। এরইমধ্যে আচমকা একদিন মায়ের মৃত্যুর খবর পেলাম। বাড়িতে এসে শুনলাম মা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রথমে পুরোহিত মহাশয় রাজি না হলেও পরে শাস্ত্রমতে মায়ের সৎকারের ব্যবস্থা করি। সেদিন রাতে বাড়িতে লোকজন বেশি হওয়ায় কয়েকজনকে মায়ের ঘরে থাকার ব্যবস্থাও করেছিলাম । উল্লেখ্য ঐ ঘরটি আমাদের পুরানো বাড়ি। পরে আমি এই নুতন বাড়িটি করলেও মা ঐ বাড়ি ছেড়ে কোনোদিন এখানে আসেননি।যাইহোক রাত তখন দুইটা/আড়াইটা নাগাদ হঠাৎ সকলে চিৎকার করে উঠে আমি তখনও জেগেই ছিলাম। ছুটে গিয়ে শুনলাম, ওরা মাকে ঝুলতে দেখেছে । ভাবলাম, মায়ের ঘর ছিল বলেই, একটি ফোবিয়া থেকেই হয়তো এমন আশঙ্কা করছে।

এদিকে এখবর চাউর হতেই স্থানীয় যুক্তিবাদী মঞ্চের কয়েকজন, একদিন আমাদের বাড়িতে আসে।কুসংস্কার বা বুজরুকি বলে তারা এলাকায় প্রচার করে। তাদের দলের জনাছয়েক সভ্য ঐ ঘরে একদিন রাত কাটিয়ে কিছু পায়নি। কয়েকদিন পর আবার ওই ঘরে একই সমস্যা দেখা দেয়। সেবারও কিছু আত্মীয় কুটুম্ব ছিল। যুক্তিবাদী মঞ্চের কাছে আবার খবরটি যায়। তখন তারা দুটি দলে ভাগ হয়ে পালা করে ওখানে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। কী আশ্চর্য! প্রথম দল যে অভিজ্ঞতায় পড়েছিল, পরের দলটিও সেই একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় । তার পর থেকে এই ঘরে আর কেউ থাকেনি। উপর ওয়ালার রক্ষে যে তোমাদের কারো কিছু হয়নি ।

মায়ের মৃত্যুর কারন হিসাবে আমি তোমার মাসিমাকে সত্য ঘটনাটা জানতে চেয়েছিলাম। মিনতি তার অপরাধ স্বীকার করে যে ঘটনাটা বলেছিল,
মাকে মিনতি নিয়মিত খেতে দিতনা । দিনেরপরদিন মা এক হিসাবে না খেয়ে থাকতো । জলের পাত্রগুলি সব লুকিয়ে রাখতো। ঘরে সন্ধ্যাবাতি দিতনা। মায়ের ঘর মা পরিষ্কার করতে না পারায় চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ও অবহেলায় থাকতে মা একপ্রকার বাধ্য হয়েছিল। এদিকে আমি টাকা না পাওয়াই সময়মত টাকা পাঠাতে পারিনি। ফলে সংসার চালাতে মিনতির খুব অসুবিধা হচ্ছিল। ফলে চূড়ান্ত অবহেলায়, দীর্ঘদিন অনাহারে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সহ্য করতে না পেরে মা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে ।

এই ঘটনার পরে আমার বন্ধু গোরা অসম্ভব রকম ভূত বিশ্বাসী হয়ে পড়লো । আর আমি তো রাতের বেলা বাইরে বের হওয়া বন্ধই করে দিলাম ।
ফেরার সময় প্রবীরের সঙ্গে গল্প করতে করতে তখন বেশ কিছুটা দূরে চলে এসেছি। এমন সময় সুপর্ণার চিৎকারে পিছন ফিরে দাঁড়ালাম। দূরে বাড়ির সামনে আমারই একটি পেন উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। একবার ভাবলাম পেনটি থাক। কিন্তু প্রবীর বাঁধা দিল। ও বোনের কাছে পেন আনতে উদ্ধত হলে আমি বরং ওকে বাঁধা দিয়ে নিজেই এগিয়ে চললাম। এক ছুটে গেলাম পেনটি নিতে। পেনটি নেওয়ার সময় সুপর্ণার নরম হাতের স্পর্শ পেলাম। মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে জানালো,
-ভাগ্যিস দাদা আসেনি। দাদা যেন না জানে। পেনটি আড়ালে খুলবে হিরণদা।
আমি গতকালের সমস্ত ঘটনা ভুলে গিয়ে একটা মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে আবার ছুটে চলে এলাম। বোট ঘাট থেকে প্রবীর বিদায় নিতেই জল বিয়োগের নামে কিছু দুরে গিয়ে পেনটির মুখ খুলতেই দেখি ভিতরে কোন রিফিল নাই। একটা সাদা চিরকুট সুন্দর করে সাজানো। লেখা আছে,
-পারবেনা হিরণদা ভুতের অভিজ্ঞতাকে দূরে সরিয়ে রেখে আমাকে হৃদয়ে ধারণ করতে? যদি পারো, তাহলে তোমার আগমনের অপেক্ষায় রইলাম।
এত বিষাদের মধ্যেও সুপর্ণার মায়াবী চাহনি আমার হৃদয়ে যে দুন্দুভি বাজিয়েছিল তাকে অস্বীকার করি কেমনে।



মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৮:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


পরিবারটির দারিদ্রতার কাহিনীটি খুবই কষ্টের। এটা কি গল্প হিসেবে লিখেছেন, নাকি ঘটনা হিসেবে বলছেন?

০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রভাত স্যর। দারিদ্রতা আমাদের মত দেশের নিত্যকার ঘটনা । তাই বলে সেটাকে হাতিয়ার করে অসহায় বাবামাকে না দেখাটা বড্ড বেদনার। আমি ক্ষয়িষ্ঞু সমাজের এই দিকটিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র।
আর স্যার আপনার মত মানুষের কাছে বাস্তবের সঙ্গে গল্পের মিল পাওয়াতে পুলকিত হলাম।

অনেক শ্রদ্ধা, আপনাকে।

২| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: গোরার ভুতের ভয়ের কারণটা শেষ পর্যন্ত পরিষ্কার হলো। মায়ের আত্মহত্যার সংবাদটা কষ্ট দিল। আমার মনে হয় ভয়, আতঙ্ক, নিরাপত্তা হীনতা ও প্রিয় মানষদের অসময়ে চলে যাওয়া বা সীমাহীন একাকীত্ব মানুষের মধ্যে অজানা ভয়ের সঞ্চার করে। আর ভয় থেকেই ভূত মাথায় চেপে বসে। আসলে ভূত বলে কিছু নেই। এজন্য আমাদের বিশ্বাস ও ভীতু মনটা দায়ী।

লেখাটি চমৎকার হয়েছে প: চৌ: ভাই। অনেক ভাল কাটুক দিনটি আজ। এই কামনায়।

০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একটু ব্যস্ত আছি। পরে আসছি।

০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ, কাওসার ভাই আশাকরি ভাল আছেন। আপনার সুন্দর বিশ্লেষণের জন্য আমি অপেক্ষায় থাকি। মুগ্ধ হই আপনার এহেন মন্তব্যে। পোষ্ট প্রসঙ্গে বলি,একটি বিশেষ বয়সে বাবামাকে আমরা অনেকে সংসারেরর বোঝা ভাবি।তারা চলে যায়, কিন্তু আমাদের মাথায় চাপিয়ে দেয় অবহেলা বা বঞ্চনার পাহাড় প্রমান বোঝা। মুলত সেটাকে মাথায় রেখে আমার এই ছোট্ট প্রয়াস।

অাপনার পোষ্টতো আমি পড়ি,পাশাপাশি অন্যের পোষ্টে আপনার কমেন্ট পড়ে মুগ্ধ হই।

অনেক ভাল লাগা আপনাকে ।

৩| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

নীলপরি বলেছেন: এটা ভালো লাগলো। আগেরগুলোও পড়ে নেবো।

০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু অপেক্ষায় থাকলাম, আপনার আগমনের।

০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম উত্তরটা দেওয়ার সময় হাতে সময় তেমন ছিলনা। তাইজন্য আবার আসলাম।হ্যাঁ,আপু আপনাকে পাঠ ও মন্তবের জন্য ধন্যবাদ।গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম।আর আগের পর্বগুলি পড়লে ধন্য হবো।

বৈশাখী শুভেচ্ছা রইল, আপু আপনাকে।

৪| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাকে সম্বোধন করার সময় 'স্যার' শব্দটি ব্যবহার করবেন না, প্লীজ; আমরা সবাই ব্লগার।

০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ,আপনি অবজেকশন দিয়েছেন দেখে, আর বলবো না।তবে স্যার সম্বোধনটি আসে সাধারনত কোনো একজনের বিচক্ষণতা, বা তার কোয়ালিটির গুনে। তবে শুধু শ্রদ্ধেয় বললে, আশাকরি আপনার আপত্তি থাকবেনা। পাশাপাশি সহ ব্লগার হিসাবে আমরা সবাই পরিবারের সদস্য। বড়দের প্রতি তো একটা শ্রদ্ধাবোধ থাকবে।

অনেক অনেক ভাল লাগা আপনাকে ।

৫| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: গল্পটি হৃদয়বিদারক।
ভূতের বই বা কোনো মুভি দেখলে আমি খুব ভয় পাই। এই ভয় কোনো কিছুতেই তাড়াতে পারি না।

০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজ প্রথম আপনাকে, তুমি বললাম।আসলে তুমি খুব ভাল বা কোমল মনের মানুষ। আর এরা সাধারনত এসব ভূত ফুত বা প্যাঁচ ফ্যাঁচ বোঝেনা।এমন মানুষের আজকের দিনে বড্ড দরকার।

আশাকরি তুমি দ্রুত একটু ঘ্যাট ঘোট বুঝে পরিবর্তনশীল সমাজে খাপ খাইয়ে নেবে।অনন্ত আশায় আমরা।

৬| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

শামচুল হক বলেছেন: আত্মহত্যা করা জায়গায় বাস্তবেই এরকম কিছু ঘটে থাকে যা আমার গ্রামেও ঘটেছিল। ধন্যবাদ ভূতের কাহিনী তুলে ধরার জন্য।

০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ,শামচুল ভাই পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্য করার জন্য। আসলে আত্মহত্যাটা প্রতীক মাত্র। আমরা সবাই একদিন চলে যাবো ঠিকই। আমরা যদি প্রত্যেককে যথাযথ মূল্য দিই,তাহলে কোন সমস্যা থাকতো না। কিন্তু এমনও অনেকে আছে যারা চলে যায়, কিন্তু সেই ক্ষত আমরা সারা জীবন ধরে বয়ে চলি। আমার আজকের মৌলিক রচনাটার উদ্দেশ্য সেটাই।


অনেক শুভ কামনা আপনাকে।

৭| ০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: @চাদঁগাজীর সাথে একমত।
ভাবছি আমিও একটি ভূতের গল্প পোষ্ট করবো।

০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি ভাল আছো।তুমি ভূতের গল্প পোষ্ট করবে শুনে খুশি হলাম।আশায় থাকবো তোমার নুতন পোষ্টের। তবে তুমি কিন্তু আজ আমার গল্প কেমন হলে বললে না।

অনেক শুভ কামনা তোমাকে।

৮| ০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:১০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: চাঁদগাজীর সাথে একমত বলতে আমি বুজিয়েছি, গল্পের ভৌতিকতার চেয়ে শেষ মুহুর্তের আবেগই আমায় বেশি ছুয়ে গেছে।
আপনার গল্প ভালো না লেগে কি কোন উপায় আছে, দাদা।

০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হুম বুঝলাম।আমি আবার মন্ডল ভায়ের মত খোঁজ নিই পড়াটা হয়েছে কিনা। খুশি হলাম, ভায়ের পড়াটা খুব ভাল হয়েছে জেনে।

নুতন পোষ্টের খবর আছে?

আচ্ছা একটি প্রশ্ন করছি,মৌরি হক ঠিক কে? আপত্তি থাকলে শুধু অসুবিধা আছে বললেই হবে।

অনেক শুভ কামনা তোমাকে।

৯| ০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মৌরি হক আমার আপনার মতোই একজন ব্লগার। দাদা আমিতো উত্তর দিলাম, এবার আপনি বলুনতো এ প্রশ্ন কেন উদিত হলো?

০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আসলে আমি লাইক দিতে গিয়ে পরপর দুদিন দেখেছি উনি তোমাকে লাইক দিয়েছেন।ভেবেছিলাম তোমার খুব কাছের বন্ধু স্থানীয়।ওনার সঙ্গে পরিচয় থাকলে , শুনে আরো প্রীত হতাম।আর তাছাড়া আমিও তোমার অদেখা বন্ধু কাম দাদা।কাজেই আমরা একটা জায়গায় পরিবারের সদস্যদের মত।

অনেক শুভ কামনা তোমাকে।

১০| ০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: না দাদা, ওনার সাথে আমার পরিচয় নেই। তবে আমরা সমবয়সী। আপনি ওনার লেখাগুলো পরে দেখতে পারেন, আশা করি ভালো লাগবে।

০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অস্বীকার করবো না যা, আমি ওনার গল্প পড়েছি।তুমি আজ বললে যখন আজই পড়বো।আমি আজ সময় নিয়ে ওনার ব্লগে যাবো।তবে তোমাদের সাক্ষাৎ না থাকলেও সমবয়সী হওয়ায় টেলিপ্যাথিতে বন্ধনটা আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছে।

অটুট থাকুক বন্ধন,এ কামনায়...

১১| ০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

আখেনাটেন বলেছেন: বেদনাদায়ক। গ্রামে ভূত-প্রেত নিয়ে সাজানো নানারকম কষ্টের কাহিনি প্রচলিত।

ভালো লেগেছে লেখা।

০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ ফ্যারাওভাই , পোষ্টটিতে আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম।সহমত আপনার সঙ্গে যে ভূত-প্রেত নিয়ে গ্রামে বহু কাহিনী প্রচলিত আছে।

বৈশাখী শুভেচ্ছা আপনাকে।

১২| ০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভূতের গল্পের শেষ পর্বটি আমাকে উৎসর্গ করার জন্য
লেখককে আন্তুরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তবে বিনয়ের সাথে তার ভালোবাশার প্রতি শ্রদ্ধা ও যথার্থ
সম্মান নিয়ে নিবেদন করছি যে, আপনার এই সম্মান প্রদর্শনের
যোগ্য আমি নই। এখানে হয়তো আবেগ কাজ করেছে বেশী।
যা হোক আপনাকে আবারো ধন্যবাদ আপনার আন্তরিকতার জন্য।

ভৌতিক গল্প লেখা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার, সবাইকে দিয়ে হয়না
ঘটনা, ঘটনার পারিপারর্শ্বিকতার বিস্তারিত খুটিনাটির বর্ণনা করতে
পারলেই গল্পে একটা ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয় যা গল্পের মূল আকর্ষণ।
চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। আশা করি সফল হবেন।

০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ নূর ভাই, আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।আপনার পরামর্শটা আমার খুব ভাল লেগেছে।আগামীতে অনুসরণ করার চেষ্টা করবো। পাশাপাশি ভৌতিক গল্প প্রসঙ্গে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিটি হৃদয়ঙ্গম করলাম।

অনেক অনেক ভাল লাগা আপনাকে।

১৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

প্রামানিক বলেছেন: ভীতুর ভূত দর্শন ভালো লাগল।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ,প্রমানিক ভাই।

বৈশাখী শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভীতুর ভূত দর্শন এ বলা কথাগুলো এবং এর অন্তর্নিহিত বাণী খুব ভাল লাগলো। তবে ভয়ে সত্যি সত্যি কারো পরিধেয় বস্ত্র নষ্ট হয়ে যায়, এটা জানা থাকা সত্তেও নতুন করে জেনে বিস্মিত হ'লাম।
মরা জন্তুর মাংস নিয়ে লেখা আপনার এর আগের একটি পোস্টেও মন্তব্য রেখে এসেছি।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় স্যার ,

ভীতুর ভূত দর্শনের কথা ও বাণী আপনার ভালো লেগেছে শুনে আনন্দ পেলাম। আর ভয়ে কারো পরিধেয় কাপড় নষ্ট হয় জেনে আপনি বিস্মিত হয়েছেন দেখে আমিও বিস্মিত। আপনাকে শুধু গল্প হিসেবে দেখতে অনুরোধ করবো, স্যার।

মৃত জন্তুর মাংস ভক্ষণ এর উপরে লিখিত পোষ্টে আপনার কমেন্টের প্রতি মন্তব্য করেছি । আশা করি ইতিমধ্যে দেখেও নিয়েছেন।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে ।


১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আজ প্রথম আপনাকে, তুমি বললাম।আসলে তুমি খুব ভাল বা কোমল মনের মানুষ। আর এরা সাধারনত এসব ভূত ফুত বা প্যাঁচ ফ্যাঁচ বোঝেনা।এমন মানুষের আজকের দিনে বড্ড দরকার।
আশাকরি তুমি দ্রুত একটু ঘ্যাট ঘোট বুঝে পরিবর্তনশীল সমাজে খাপ খাইয়ে নেবে।অনন্ত আশায় আমরা।

দাদা তুমি শুনতেই আমার বড্ড ভালো লাগে। দোয়া করবেন।

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় ছোট ভাই। প্রথমেই ক্ষমাপ্রার্থী এতদিন পর মন্তব্যটি চোখে পড়াতে ও বিলম্বিত প্রতিমন্তব্য দেওয়ার কারণে।আর তখন মনে হয়েছিল ভাইকে এরকম সম্মোধন করার। কিন্তু এখন বুঝি ওসবের আর দরকার নাই। ফরমালিটিজ আগে। ধন্যবাদ ভাইকে।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.