নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
ঝর্না চলে গেলে মুকুল শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে রইল । কতক্ষণ এভাবে ছিল তার কোনও হিসাব ছিল না । সন্ধ্যের একটু আগে রহিমাচাচিমা যখন তার সামনে এসে জিজ্ঞাসা করলো,
- তুমি এভাবে বসে আছ কেন? মুকুল তোমার কী হয়েছে ?
তখন সে থতমত খেয়ে,
- কোই না তো ! আমি এমনি বসে আছি । আমার কিচ্ছু হয়নি ।
চাচিমা যেহেতু বিষয়টা জানেন তাই তার মনের অবস্থা অনুমান করে প্রসঙ্গ বদল করলো।
- রান্নাঘরে কাজ আছে, বলে চলে গেল । রান্নাঘরের খাবার- দাবার সব ঠিক ঠাক দেখে,চোখ মোটামোটা করে ,
- একি ! তোমরা দুপুরে কিছু খাওনি ? যে ভাবের ভাত - তরকারি সেভাবেই পড়ে আছে। হায়! পোড়া কপাল, কিচ্ছু খাওনি । তা যাক, আব্বাকে বলে রাতে খাওয়ার আগে সব গরম করে নিও । আমি এখন আসছি ।
- আচ্ছা, ঠিক আছে। তুমি এসো ।
কয়েকপা গিয়ে আবার কী মনে করে চাচিমা ফিরে এসে মুকুলের পাশে দাঁড়িয়ে ,
- আচ্ছা মুকুল! এভাবে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করলে শরীর বাঁচবে বাবা?
- না না! আমি ঠিক খেয়েছি। তুমি চিন্তা করোনা । রাতেও ঠিক সময়ে খেয়ে নেবো ।
এবার চাচিমা মুকুলের মাথায় হাতবুলিয়ে,
- ঠিক আছে বাবা, সময়মত খেয়ে নিও কিন্তু ।
মুকুল মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো ।
এদিকে ঝর্নার বিয়েরদিন ক্রমশ উপস্থিত হল । হাবিবুরচাচা যথেষ্ট ধুমধামকরে মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন । বাড়িতে লোকজন থিকথিক করছে । গোটা পাড়া আমন্ত্রিত হওয়াতে যেন সবাই একপ্রকার উৎসবে মেতে উঠেছে । বাড়ির সামনে বিরাট প্যান্ডেল যেন সে উৎসবের সাক্ষ্য বহন করছে । পাড়ার আাট থেকে আশি সবাই সে উৎসবে মেতে উঠেছে । শুধু একটি বাড়িতে সে আনন্দ বা উৎসবের ছিঁটেফোঁটা স্পর্শ করেনি । সমুদ্রে নিমজ্জিত দ্বীপ যেমন নিজের নিমজ্জনের মাধ্যমে সমুদ্রের প্রবল জলোচ্ছ্বাসকে অভ্যুত্থনা জানাতে বাধ্য হয় । মুকুলের আব্বাও তেমনি ঝর্নার বিয়ের রোশনাইতে সামিল হয়েছিলেন । একটা বড় পেতলের ঘড়া নিয়ে নির্দিষ্ট দিন একটু আগেভাগে বিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন । মুকুলের যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠেনা । যাওয়ার আগে বাড়িতে রান্নাকরা খাবার সময়মত খাওয়ার কথা মুকুলকে
তিনি স্মরণ করিয়ে গেলেন ।
আব্বা চলে যেতেই মুকুল চাচিমাদের বাড়িতে গেল । জোরেজোরে চাচিমা চাচিমা বলে চিৎকার করাতে ,
- আসছি । একটু দাঁড়া ।
- না, তোমাকে বাইরে আসতে হবেনা । একটু জরুরি কাজ আছে চাচিমা । তুমি আব্বাকে একটু লক্ষ্য রেখো ।
বলে মুকুল বেড়িয়ে গেল ।
এদিকে সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত এল , মুকুলের আর দেখা নেই । তৌফিকসাহেব অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন । পথচলতি মানুষের কাছে কাতরভাবে জিজ্ঞাসা করলেন , তারা কেউ মুকুলকে দেখেছে কিনা । একদিন দুইদিন করে দিন যেতে লাগলো কিন্তু কোথাও মুকুলের কোনও সন্ধান পাওয়া গেলনা । একবছরের একটু বেশি হয়েছে স্ত্রীবিয়োগ হয়েছে, সম্বল ছিল ছেলেটা । কিন্তু এখন সেও নিরুদ্দেশ । কাজেই তৌফিকসাহেবের এখন জীবন্মৃত অবস্থা । উপরওয়ালার কাছে তাঁর একটাই প্রশ্ন,
- হে আল্লাহপাক! তুমি আমাকে আর কত পরীক্ষা নেবে ? রাতদিন নামাজের পাটিতে বিলাপ করেই এখন তাঁর দিন কাটছে ।
চাচিমার অবস্থাটা একটু বলা জরুরী । ঝর্নার বিয়ের দিন মুকুল যখন জরুরি কাজে বাইরে যাচ্ছি এবং আব্বাকে দেখার কথা বলেছিল তখন চাচিমা ঘরকুনো ছেলের বাইরে এমন কী জরুরি কাজ থাকতে পারে তা সন্দেহ করেনি । মাহারা ছেলেটাকে পেটে না ধরলেও তাকে নিজের সন্তানের মতই ভালো বাসে । তাই মুকুল নিরুদ্দেশ হবার পর চাচিমাও নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। চাচিমার দুইমেয়ের পর একটি ছেলে আছে। বয়সে ওরা মুকুলের চেয়ে বেশ ছোটো । তবে মুকুল ছিল যেন প্রথম সন্তান । এহেন সন্তানের খোঁজে একা তৌফিকসাহেব নন , চাচিমা ও তার স্বামী রহমানচাচা সহ পাড়ার অনেকেই সন্ধানে নেমে পড়েছেন । ইতিমধ্যে রহমানচাচা মানে রহিমাচাচিমার স্বামী একদিন একটি আশংকার কথা বললেন '
- আচ্ছা! তৌফিকভাই হাবিবুরভাই মুকুলকে কিছু করেনিতো?
- না না! রহমান, ওরা মানুষ ভালো । খামোকা ওদের নিয়ে এসব ভেবোনা ।
এদিকে গোটা পাড়ায় অবশ্য দুটি মত তৈরী হয়েছে । কারন বিষয়টি আস্তে আস্তে সবার কানে পৌঁছে গেছে । বেশিরভাগ কমবয়সীরা হাবিবুর চাচাকে ভিলেন বানিয়েছে । অনেকেইতো সন্দেহ করছে যে ছেলেটা এখনও বেঁচে আছে কিনা । অপরদিকে মুরুব্বীগোছের কয়েকজন হাবিবুরচাচার পাশে দাঁড়িয়েছেন । কোনও অবস্থাতেই পাড়ায় এসব বেয়াদবি বরদাস্ত করা যাবেনা । সুতরাং ঝর্নার বিয়ের বেশকিছু দিন আত্মগোপন করার পর হাবিবুরচাচা আবার প্রাকাশ্যে আসছেন। আর তখনই দৈবাৎ দেখা সাক্ষাতের সময় তৌফকসাহেবের কাছে মুকুলের খোঁজখবর নিচ্ছেন ।
তৌফিকসাহেব বাড়িতে উদাসভাবে বসে থাকেন । প্রায়ই বাড়িতে কেউনা কেউ এসে ওনাকে বোঝান যে মুকুল শীঘ্রই ফিরে আসবে, কিমবা তিনি যেন স্বাভাবিক কাজ কর্ম শুরু করেন । শূন্যে চেয়ে থেকে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ,
- কী আশায় আমি স্বাভাবিক হব? ওর মা ছিল , মা চলে গেল । ও ছিল, সেও নিরুদ্দেশ হল । আল্লা আমাকে কেনইবা আর রেখেছে ।
আগে রহিমাচাচিমা এবাড়িতে বেশি আসতো, মাঝে মাঝে ফজিলাচাচিমাও আসতো । এখন তাদের সঙ্গে এবাড়িতে প্রায় সারাক্ষণ থাকেন রহমানচাচাও ।
বিশেষ নোট - তৌফিকচাচা ও মুকুলের পরিনতি যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে গল্পের নাম আর' উজান হাওয়া ' রাখা যুক্তিযুক্ত নয় বিবেচনা করে গল্পকার পরবর্তীতে নাম বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । সকল পাঠকবন্ধুদপরকে এই পরিবারের ভবিষৎ জানতে প্রকাশনার অপেক্ষায় থাকা নুতন নামে পরবর্তী দেখার অনুরোধ করা হচ্ছে।
বিঃদ্র - পোস্টটি শ্রদ্ধেয় ব্লগার সোনাবীজ ; অথবা ধুলোবালিছাই স্যারকে উৎসর্গ করলাম ।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় তারেকভাই,
প্রথম কমেন্ট মানে আলাদা ভালো লাগা। সঙ্গে লাইক দিয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়াই রইল কৃতজ্ঞতা।
একদিকে প্রেম- ভালোবাসা যে সমাজে নিষিদ্ধ, সেখানে এমন দম্পতীর সন্তানদেরও তার মুল্য চোকাতে হত । তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে কন্যা সন্তানদের সামাজিক মর্যাদা । কৃষি নির্ভর গ্রামীণ সমাজে সামান্য একটু ইসলামীয় শিক্ষা ছাড়া সেই অর্থে শিক্ষার আলো তখন পৌঁছায়নি। ছিলনা কোনও বিনোদনের মাধ্যমও। অথচ কোনও কালে কোনও সমাজ প্রেমকে আটকে রাখতে পারিনি । যেমন পারেনি এসময়ও। হাজার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও তাই ভালোবাসা ঠিক তার জায়গা করে নিয়েছে। মধুরমিলন হয়তো নাই হতে পারে তাতে স্মৃতিতো মধুর, সেটাই ক্ষতি কী।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর। ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম। শুভ কামনা নিরন্তর।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় সাজ্জজাদভাই,
অনেকদিন পরে আজ আপনাকে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগছে। আশাকরি ভালো আছেন। আমরাও উপরওয়ালার কৃপায় খুব ভালো আছি। পাঠ ও কমেন্টে ভালো লাগা জানানোয় আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। ♥♥
অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামননা জানবেন ।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: মুকুলের কি হল সেটা জানার আগ্রহ রয়েই গেল, দেখি পরে কি হয়।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দ্বিতীয়বার পড়ে আসার জন্য প্রিয় তারেকভাইকে জানাই আবার ধন্যবাদ। আপনাকে পাশে পেয়ে আমি আনন্দিত । তবে এবার একটু সময় নেবো । মুকুলকে সামনে আনার আগে ওর আব্বার আগামী দিনগুলি একটু টানার ইচ্ছা আছে। সত্যি কথা বলতে কী অনেকদিন পরে আপনাকে এভাবে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগছে ।
অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা ♥♥ ও শুভকামনা আপনাকে ।
৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০
ঋতো আহমেদ বলেছেন: শেষ হয়ে গেল ! মানে কী ? জীবনের গল্প শেষ হয়েও হয় না ?
মার্জিত গল্প-বলার ভংগি আপনাকে আলাদা করে চেনায়। শব্দ ও বাক্যের ব্যবহার যথাযথ। ++
শুভ কামনা দাদা
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঋতোভাই,
আশাকরি ভালো আছেন। তবে প্রতিমন্তব্য আমি দেবো কি। আপনিই যে বলে দিলেন, জীবনের গল্প শেষ হয়েও হয়না । একেবারে ঠিক কথাটি বলেছেন। ♥♥
আর প্রশংসা সবারই ভালো লাগে , যে কারনে আপনার অমন সুন্দর কথায় মুগ্ধ হলাম, পেলাম অনেক অনুপ্রেরণাও। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় কবিভাইকে।
৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪
অচেনা হৃদি বলেছেন: শেষ পর্ব দেখে মনে হয়েছিল আজকেই বুঝি গল্পটা শেষ। গল্প তো আরও আছে তাহলে।
পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসন্ধ্যে প্রিয় ছোটোবোনকে,
গল্পটাকে আগামীতে আরও টানার ইচ্ছে আছে। তবে এখানেই চারটি পর্ব হওয়াতে পাঠকের ধৈর্যচ্যুতির আশংকা আছে। যে কারনে ঝর্নার বিয়ে বা মুকুলের নিরুদ্দেশে আপাতত গল্পের সমাপ্তি ঘটালাম। কয়েক দিনের মধ্যে নুতন গল্প দিয়ে পাঠকের স্বাদবদলের চেষ্টা করবো। সময় সুযোগমত আবার তৌফিকসাহেব বা মুকুলের আগমন ঘটাবো।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয়বোনকে ।
৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমায় ভাসাইলি রে আমায় ডুবাইলি রে অকুল দরিয়ায় বুঝি কুল নাই রে..
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হে হে হে, একেবারে যথার্থ হয়েছে ।
অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় ছোটোভাইকে।
৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই পর্বটাতে একটা তাড়াহুরোর ছাপ আছে মনে হল।
অবশ্য দোষটা আমাদেরই। আপনার উপর দ্রুত পরের পর্বের আব্দারেই বুঝিবা দায়!
যাই হোক। চলুক সিরিজ!
তার নিজস্ব গতিতে। নদীর মতো -আপনাতে আপনি হারা হয়ে।
পারের কথায় থোরাই বয়ে যায় নদীর সে খিলখিলিয়ে, কলবলিয়ে চলে মোহনার টানে।
গল্পের কত্থক যাদু নদী চলুক সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে
++++
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবিভাই,
আশাকরি ভালো আছেন।
আপনি একদিকে ঠিক ধরেছেন। গত পর্বে ঝর্নার বিয়েটা কেবল বাকি ছিল। অথচ সেটাকে ধরে আরেকটি পর্ব না টেনে সেদিনেই শেষ করা যেত। যদিও পোস্টের চেহার বড় হত। আজকের পর্বটি মূলত পাঠকের সাসপেন্স দূর করতে প্রকাশ। নুতনত্ব যে কারনে আসেনি।
মাঝে অন্য গল্প এনে আবার সময় করে মুকুলের আবির্ভাব ঘটাবো।
এবার আসি আপনার সুন্দর কমেন্ট প্রসঙ্গে,
যাই হোক। চলুক সিরিজ।
তার নিজস্ব গতিতে। নদীর মত - আপনাতে আপনি হারা হয়ে। ♥ ♥
পারের কথায় থোরাই বয়ে যায় নদীর ♥ সে খিলখিলিয়ে, কলবলিয়ে চলে মোহনার টানে। @♥♥
গল্পের কত্থক যাদু নদী চলুক সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে। ♥♥
আহা! অপূর্ব আপনার অভিব্যক্তি। সঙ্গে এত্তগুলি প্লাসে কৃতজ্ঞতা জানাই । পেলাম সীমাহীন অনুপ্রেরণা।
অন্তরের বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে ।
৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: গল্পে কিছুটা ফাইন টিউনিং করতে হবে। গল্পটা হুড়মুড় করে এগুচ্ছে। ধারাবাহিক গল্পে তাড়াহুড়োর কিছু নেই।
বিরাম চিহ্নের আগে স্পেস আছে। এটাতে আমার অ্যালার্জি আছে।
শেষ না হতেই, শেষ পর্ব কেন লিখলেন। বুঝলাম না .
মুকুল কি বেঁচে আছে??
আগামি পর্বে নয়, আজকেই বলেন। ওকে মেরে ফেললে আপনার খবর করে দেব।।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মন্ডলভাই,
ধারাবাহিক গল্পে তাড়াহুড়োর কিছু নেই, সহমত আপনার সঙ্গে ।
বিরামচিহ্নের আগে স্পেস বসায় দুঃখিত। সাবধান হলাম ♥♥
শেষ না হতেই শেষ লিখেছি, এখানে উজান হাওয়া নামের পর্বটিকে বুঝিয়েছি।
মাথা খারপ? মুকুলকে মারতে যাব কেন? কোনও দুশ্চিন্তা করবেন না। সঠিক সময়ে আবার মুকুল আসবে । তবে সেটা রুপশা নাহলেও কালিগঞ্জেও হতে পারে।
আমি জানি ব্লগের নায়ক গল্পের নায়কের জৈবিক স্বত্বা । গল্পের নায়ককে মেরে ব্লগের নায়কের ছাঁকা খাওয়ার কোনও ইচ্ছা আমার নেই। কথা দিলাম। হা হা,হ।
৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭
মাহের ইসলাম বলেছেন: এভাবে অপেক্ষায় রাখা !!!
আমি যদি পারতাম !!!!
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহের ভাই,
কতদিন পরে আপনাকে পেলাম। যাক এবার বুঝি একটু ফ্রি হয়েছেন। মাঝে ব্যস্ততার জন্য বহুদিন দেখিনি। আশাকরি কুশলে আছেন।
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ । হ্যাঁ ভাই জীবনটা যেহেতু প্রবাহমান, কাজেই সে জীবনের গল্পটাও যে গতিশীল হবে। আগামীতে একটু কষ্ট করে বাকি অংশগুলি দেখার আমন্ত্রণ থাকলো।
" আমি যদি পারতাম!!!! কথাটি যদি একটু ক্লিয়ার করেন তাহলে সুবিধা হড।
অনেক অনেক ভালোলাগা ♥♥ ও শুভকামনা প্রিয় মাহেরভাইকে।
১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখার লেভেলকে আরো উপরে নেয়ার চেষ্টা করেন।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য ও আন্তরিক সাজেশনের জন্য। চেষ্টায় আছি, দেখি মানোন্নয়ন ঘটাতে পারি কিনা।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
১১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গুরু,
মুকুলের শেষ পরিণতি কি হবে জানি না; তবে গল্পটি পড়ে যতটুকু মনে হলো হয়তো খারাপ কিছু শুনতে হবে৷তবে লেখকের ভাবনায় হয়তো অন্য কিছু আছে৷মুকুলের জন্য শুভ কামনা রইলো৷পাশাপাশি প্রিয় ভাইয়ের নতুন বইয়ের জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো ৷
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গুরুদেবের আগমন মানে শিষ্যের বাড়তি অনুপ্রেরণা। ধন্যবাদ গুরুদেবকে ।
মুকুলের শেষ পরিণতি কি হবে জানি না ; তবে গল্পটি পড়ে যতটুকু মনে হলো হয়তো খারাপ কিছু শুনতে হবে। ♥♥ না না না পরে অন্য ফর্মাটে মুকুলকে পাবেন, যে আরও সাহসী ও কিছুটা প্রতিশোধপরায়ণ। তবে আপাতত ওদের তুলে নিয়ে ভিন্ন স্বাদের গল্প দেওয়ার ইচ্ছা আছে। বেশকিছু সময় নিয়ে আবার মুকুলদের নিয়ে আসবো। ততদিনে গুরুদেবের সান্নিধ্য আমার প্রার্থনা । ♥♥
আর বই করতে পারবো কিনা জানিনা । লিখেতো যাই, পরের ভাবনা পরে হবে । ♥♥
অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা প্রিয় কাওসারভাইকে।
১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
ল বলেছেন: প্রকাশনার জন্য অপেক্ষায়
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না না প্রিয় লতিফ ভাই,
আমার একটু বোঝানোর ভুল হয়েছে। আমি বাংলা প্রতিলিপিতেও মাঝে মাঝে গল্প দিই। অবশ্য ব্লগ থেকে নিয়ে। ওখানে একটি টার্ম আছে , ড্রাফট করুন এবং প্রকাশ করুন। আর তখন প্রাকাশ বাটনে চাপ দিলে গল্পটা প্রতিলিপিতে জমা হয়। ব্ললগকে আমি সেটাই মিন করতে চাইছি। আমার যেটা এখনও পোস্ট করিনি, সেটাই আমার বলার উদ্দেশ্য।
শুভকামনা রইল।
১৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬
ভাইয়ু বলেছেন: পুরোটা পড়ার পর মনে হল; প্রথম পর্বেই সমাপ্তি টেনে দিলে ভাল হত ৷ পাঠক নিজের মত করে বাকিটুকু ভেবে শান্তি খুঁজতো ৷
হুট করে মুকুল এমন ব্যাকুল হয়ে কই গেল আর ঝর্না কিভাবে নিজেকে ওড়নার আড়ালে লুকালো প্রশ্নগুলোর উত্তর পাইনা ভেবে...
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের ভাইয়ু,
খুব সুন্দর সাজেশন মূলক মন্তব্যের জন্য প্রীত হলাম। ♥♥
আসলে এই গল্পের সঙ্গে আমার আবেগ, আমার পারিবারিক জন্মবৃত্তান্ত জড়িত। আমি যে কারনে পূর্বপুরুষের স্মৃতিবিজড়িত ঘটনাগুলিকে যতটা সম্ভব অবিকৃত করে এগোনোর চেষ্টা করছি। ঝর্নার সঙ্গে প্রথম পর্বে মুকুলের মিলন ঘটালে পাঠক খুশি হত। তবে সেখানে আমার উদ্দেশ্য নষ্ট হত। আগামীতে আরও ঘটনাবহুল পর্ব থাকবে। যেখানে দেশ ভাগের মত ঘটনা এসব গ্রামঞ্চলে কতটা প্রভাব ফেলবে কিমবা স্বাধীনতার একেবারে শেষ লগ্নে কীভাবে জমিদারি প্রথার বিলোপ ঘটে কৃষিতে জমির শ্রেণি চরিত্র বদলে যাচ্ছে। সে সব বিষয় ফোকাস করার ইচ্ছা আছে।
আপাতত মুকুলদের একটু টেনে ভিন্ন স্বাদের পোস্ট দেওয়ার প্লান আছে।
অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা ছোট্ট ভাইয়ুকে।
১৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২২
ঢাবিয়ান বলেছেন: মুকুলকে মৃত্যূ দেখতে চাই না সামনের পর্বে
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ঢাবিয়ান ভাই,
কোনও ভয় নেই, মুকুলকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেননা। তবে এবার যখন মুকুল আসবে তখন কিছুটা অ্যাডামেন এবং কিছুটা বয়সের পরিনতীতে মুকুল বেশ সাহসী হবে। তবে আপাতত একটু ভিন্ন স্বাদের পোস্ট দিতেই এই পর্বটি আজ তুলে নিলাম। প্লীজ সঙ্গে থাকুন। ♥♥
অনেক অনেক ভালো লাগা ও শুভকামনা প্রিয় ঢাবিয়ানভাইকে।
১৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৭
প্রামানিক বলেছেন: এটাই মনে হয় শেষ পর্ব, তবে শেষ হইয়াও মনে হয় হইল না শেষ। ধন্যবাদ পদাতিক দা, খুব সুন্দর কাহিনী।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় কবিভাই,
হ্যাঁ শেষ পর্ব হলেও একটু ঝুলিয়ে রেখেছি আগামীর জন্য। জানি পাঠক এতে তৃপ্ত হবেনা। তবে আমাকে গল্পটা টানার জন্য এমন অবস্থায় রাখা
গল্পটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম, পেলাম অনুপ্রেরণাও। ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভকামনা প্রিয় প্রামানিক ভাইকে।
১৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৮
মাহের ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ
আমি কিছুটা সময় ব্যয় করেছি, এই গল্পের শেষাংশ হিসেবে একটা প্লট মাথায় আনতে। কিন্তু পারিনি।
কয়েকবার ভাবলাম, মুকুলের নিরুদ্দেশ হওয়া ও তার পরবর্তী জীবন কিংবা প্রত্যাবর্তন নিয়ে একটা গল্প লিখে আপনাকে উৎসর্গ করে, সারপ্রাইজ দিব। তাও পারলাম না।
তাই, বাধ্য হয়ে লেখলাম যে, আমি যদি পারতাম ( গল্পের শেষটা বা পরবর্তী অংশটুকু লিখতে ) !!!
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় মাহের ভাই,
আবার আসার জন্য আবার ধন্যবাদ। আমিও আনন্দ পেলাম। আর আপনার গল্পের প্লটটাকে নিজের মত করে ভাবনার জন্য পুলকিত হলাম। দেখুন, আমার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। যে কারনে আমি আমার ভাবনার বাইরে যেতে পারছিনা। তবে আপনা যদি বিষয়টি একটু অন্যভাবে ভাবেন, ধরুন মুকুল নিরুদ্দেশ হয়ে খুঁজতে খুঁজতে মামার বাড়ির সন্ধান পেল, যেটা প্রথম পর্বে বলা আছে দেবহাটে অবস্থিত। সেখানে অচেনা অজানা মামা নানা তাকে কীভাবে নেয় সেটিই হবে আপনার ভাবনার বিষয়।
আমি আমার মত আগামীর স্কেচ করবো। আপনিও পারলে এরকম বা সামান্য পরিবর্তন করে ভাবতে পারেন।
শুভকামনা প্রিয় মাহের ভাইকে।
১৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৫
রাকু হাসান বলেছেন:
ভাইয়া , আমি পুরো গল্পটি আবার পড়লাম । সব কিছু ভাল করে বুঝতে । সব মিলিয়ে একটু ভিন্নধর্মী,অনেক গোছালো গল্প মনে হলো । গল্পের প্লট চমৎকার ছিল । একটি স্বার্থক ছোট গল্প যেন পড়লাম । শ্রদ্ধেয় প্রামানিক ভাইয়ের আমি বলবো ‘‘তবে শেষ হইয়াও মনে হয় হইল না শেষ। । যা আমরা প্রত্যক স্বার্থক গল্পে দেখে থাকি । এই গল্পেও সেটার ব্যতিক্রম ছিল না । তবে আমি আমার মনে হয় কাহিনী আরও বাড়ার সুযোগ ছিল । পাঠকের প্রশ্নের উত্তর কি দিবেন গল্পকার ? সেটা গল্পকারের উপর ছেড়ে দিলাম । আমি আমার মত করে মুকুলকে ভেবে নিলাম ।
পোস্টের কমেন্ট ও প্রতিউত্তর বিষয়ক ঃ আর চাপ দিব না ,খুব তাড়াতাড়ি পরের পর্বের জন্য, কেননা লেখকে গল্প লেখার সুযোগ দেওয়া উচিত । কিন্তু পাঠক মন কি সেটা মানে ! তৃষ্ণার কৃতিত্ব লেখকের । আগে থেকে গল্প টি রেডি থাকলে রিলাক্স থাকতে পারতে ভাইয়া ।
সুন্দর গল্প উপহার দেওয়ার জন্য অনেক বেশি শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সমর্থন থাকবে সব সময় । শুভরাত্রি ।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার স্নেহের ছোট্টভাইটি,
প্রথমেই বলি চঞ্চল হরিনী আপুর একটি কথা, বয়সে তুমি খোকা কিন্তু বিচক্ষণতায় পাকা। তোমার প্রসঙ্গে আপুর ঐ কথাটির ভীষণ ভক্ত হয়ে গেছি। তোমার মূল্যায়নের ধরন, কমেন্ট করার প্রকৃতি, প্রভৃতিতে তোমার প্রাজ্ঞতার সাক্ষ্য বহন করে। ♥♥
গল্পটি আবার পড়ে বুঝতে পারলে যে ভায়ের গল্পটা চলনেবল। কিন্তু কী আর করবো, যা তা মানের হয়েছে বলিই বা কেমনে। তবে ভিন্নধর্মী বলে মনে হওয়াই মনে আশা জাগলো। হা হা হা।
"গল্পের প্লট চমৎকার। একটি স্বার্থক ছোটো গল্প , যেখানে প্রামানিকভাইও বলেগেছে, শেষ হয়েও শেষ হলনা । ''♥♥ এমন প্রশংসা কিন্তু মন্দ লাগেনা। তবে ব্লগে শ্রদ্ধেয় গাজী স্যারের মন্তব্যের দেখে আমার প্রশংসার বেলুন যে ছিদ্র হয়ে যায়।( ♠&spades
তবে ভাই রাকু তুমি একেবারে ঠিক ধরেছ, আজকের পর্বটি আরও বাড়ানোর সুযোগ ছিল, একটু পাঠকের কথা যে ভাবিনি তা নয়। যো কারনে একটু বেশিই ছোটো হয়ে গেছে। আর গল্প পড়ে পাঠকের নিজস্ব একটি ভাবনা থাকবেই। এই ভাবনার স্বাধীনতাই সত্যিকারের পাঠককে ভাবিয়ে তুলবে এক নুতন প্লট। তাই লেখক যেটা অসম্পূর্ণ রাখলেন, তাকে সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব পাঠকেরই।
আর পরবর্তী পর্বের জন্য আমার ছোটোভাই মুখ ফুঁটে না বললেও করনীয় কী সেটা আমাকে করতেই হবে। আমার ছোট্ট ভাইটি যে মুখে কিছু বলেনা, তার হৃদয়ের আহ্বান যে সবকিছুর উর্ধ্বে। ♥♥
অনেক অনেক ভালোলাগা ও অম্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা স্নেহের রাকুকে।
১৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: জানি না মুকুলের ভাগ্যে কি ঘটেছে !!
তবে সমাজের এসব মনগড়া নিয়ম গুলো যথেষ্ট বিড়ম্বনা কর।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল আপু,
মুকুল আমার লম্বা রেসের ঘোরা, ওকে অনেকদূর টানতে হবে । প্রথম দিকে ওর প্রেম স্বীকৃতি পায়নি ঠিকই। আগামীতে ওকে আরও সাহসী ও পরিনত হিসাবে তুলে ধরার ইচ্ছা আছে। আর সমাজের মনগড়া নিয়মের বাইরে আমরা যাব কেমন করে। প্রবল স্রোতের বিরুদ্ধে টিকে থাকা যেখানে অসম্ভব।
আজ পর্যন্ত আপনি যতগুলি পোস্ট পড়েছেন, সবগুলিতেই লাইক দিয়েছেন। আপনার এই অনুপ্রেরণার জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ ।
আগামী পর্বে পাশে থাকবেন জেনে আনন্দিত হলাম। আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
সবশেষে অন্তরের বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুমনিকে।
১৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমেই লেখকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই পর্বটা সোনাবীজকে উৎসর্গ করার জন্য।
গল্পটা পড়তে পড়তে যে-কথাটা আমার মাথায় আসছিল, তা বিদ্রোহী পাঠক অলরেডি বলে ফেলেছেন- একটু তাড়াহুড়ো ছিল। আমার খটকা লাগছিল, এ গল্পটা ৩ পর্বে শেষ হচ্ছে কেন এবং কীভাবে? আবার কনফিউশন - শেষ পর্ব হেডিঙে, বিশেষ নোটে আবার অন্য কথা পড়ে। গল্পটা শেষ না হয়ে থাকলে শেষ পর্ব কেন লেখা? নাকি পুরো গল্পটারই কয়েকটা বড়ো পর্ব থাকবে এবং একেক্টা বড়ো পর্বের একেক্টা নাম থাকবে, যেমন ভোরের আলো, উজান হাওয়া, ইত্যাদি এবং ব্লগে সেই উজান হাওয়ার শেষ পর্ব?
কিন্তু শেষ পর্বটা খুবই ছোটো হয়ে গেছে, মনে হয় তাড়াহুড়োর কারণেই।
মুকুলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ভাবছি। সে কোথায় আছে, কেমন আছে?
আশ্চর্য একটা বিষয়- এই প্রেমগুলো সবার জীবনে প্রায় একই রকম। তা না হলে আমার প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়ে গেলে সে লুকিয়ে আমার ঘরে এসে আমাকে কী বলেছিল, আমি কী বলেছিলাম, সে কীভাবে চলে গেলো- এসব আপনি জানলেন কীভাবে?
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,
সকাল থেকে ব্যস্ততার কারনে উত্তর দেরীতে দেওয়াই দুঃখিত । আপনার আগমনে ধন্য হলাম, পেলাম আনন্দও । গতরাতেই অবশ্য
আপনার আগমন দেখেছিলাম। কিন্তু সময় নিয়ে উত্তর দেওয়ার কারনে এখন আসা।
" গল্পটা পড়তে পড়তে যে কথাটা আমার মাথায় আসছিল, তা বিদ্রোহী পাঠক অলরেডি বলে ফেলেছেন - একটু তাড়াহুড়ো ছিল। আমার খটকা লাগছিল, এ গল্পটা তিন পর্বে শেষ হচ্ছে কেন এবং কীভাবে? আবার কনফিউশন - শেষ পর্বে হেডিঙে, বিশেষ নোট আনার অন্য কথা পড়ে। "
আপাতত এই গুলির উত্তর দিই,
হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। উজান হাওয়ার প্রথম পর্বে পাঠকদের একটি আবেদন ছিল একটু দ্রুত পরের পোস্টটি দেওয়ার। এদিকে যেহেতু একটু সাসপেন্স ছিল, সে কারনে আমি একটু তাড়াহুড়ো করেছি। পাশাপাশি আমি অন্য স্বাদের পোস্ট সামনে আনতে আপাতত উজান হাওয়া শেষ করেছি। গল্প শেষ হয়নি। আপনি শেষ অনুমানটি সঠিক। গল্পটা এক একটি বড় পর্বের একেকটি নাম। প্রথমে ছিল, উনবিংশ শতকের ত্রিশ - চল্লিশের দশকে টাকি - বসিরহাটের মধ্যবর্তী গ্রামগুলির সামাজিক অর্থনৈতিক জীবন, ভোরের আলো, উজান হাওয়া , উজান হাওয়া ( শেষ পর্ব) প্রভৃতি নামে পর্বায়িত করেছি। আজ সেরকমই উজান হাওয়া শেষ হল।
আমার ধারনা এই পর্বগুলিতে পাঠকের একটি ক্লান্তি বা ধৈর্যচ্যুতির আশংকা আছে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে ভিন্ন স্বাদের পোস্ট দিতে সময় নেওয়া। আবার সুযোগমত এই পরিবারকে সামনে নিয়ে আসবো।
স্যার আপনার শেষের কথাগুলিতে মজা পেলাম। গতপোস্টেও একই কথা বলেছি। আসলে আপনার শৈশবের সঙ্গে ঐ সময়ের বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের একটি কমন চিত্র মেলে, যেকারনে আপনার শৈশবের মিল পাওয়াটা স্বাভাবিক। এমনতো হতে পারে গল্পের মুকুল আপনারই একটি স্বত্বা । তবে আমি বেশ আশায় আছি এটা ভেবে যে, আমার এই গল্পটা লেখার উপাদান সংগ্রহ করেছিলাম তাঁরা আজ কেউ পৃথিবীতে নেই। এক্ষেত্রে আপনার অভিব্যক্তিতে আমি সঠিক দিশা পাচ্ছি । আশাকরি আগামীতেও এভাবেই আমাকে দিশা দেখাবেন।
পরিশেষে স্যার আজ আমাদের এখানে শিক্ষক দিবস। এমন দিনে আপনাকে অন্তরের বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানাই ।
২০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭
সনেট কবি বলেছেন: হাওয়া বদল হবে বিধায় এটা শেষ পর্ব, বুঝলুম!
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবিভাই,
" হাওয়া বদল হবে বিধায় এটা শেষ পর্ব, বুঝলাম। " ♥♥
হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভেচ্ছা অফুরান।
২১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪০
ওমেরা বলেছেন: আমি তো ভাইয়া আপনার মত সুন্দর করে কমেন্ট করতে পারি না তাই ছোট্ট করে বলি খুব ভাল লেগেছে ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি আপু ভালো আছেন । পৃথিবীতে কয়েকটি জিনিস বোঝাতে ভাষা দরকার হয়না। যেমন - ভালো -মন্দ, হাসি- কান্না, ভালোবাসা। এগুলির প্রত্যেকটি হাজার কথারতে যা, সেটা আবার এক কথতেই যথেষ্ট। এই যেমন আপনি বললেন, ভালো কমেন্ট করতে পারেননা, কিন্তু ভালোলাগাটা বলেদিয়েছেন - সেটাই আমার বড় পুরষ্কার । এমন অন্তরের অনুভূতি বোঝাতে কেন দরকার হবে বেশি বেশি কথার। আপনি এই ভাষাতেই কথা বলেন, আমি কামন করি। ♥♥
লাইক দিয়ে ভাইকে অনুপ্রেরণা দেওয়াই জানাই কৃতজ্ঞতা ।
সবশেষে অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোলাগা ও শুভকামনা আপুকে।
২২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
দ্বিতীয় পর্বটিতে চোখ বুলিয়েছিলাম। ভাল লেগেছিল বেশ। সময় হলে সবটা পড়ার ইচ্ছে থাকলো। শুভাশীষ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় নকিবভাই,
অনেকদিন পরে আপনাকে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগছে। আশাকরি উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছেন । আমরাও কুশলে আছি। আপনার দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। যদি সময় হয় তাহলে এই পর্বটিও পড়ার অনুরোধ থাকলো ।
আপনাকেও আমার বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা। ♥♥
২৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০০
রাজীব নুর বলেছেন: শুভ জন্মদিন দাদা।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ফেবুতে আমার ভায়ের শুভেচ্ছা সকালে নিয়েছি। আর ব্লগে এখন নিলাম।
আমার তরফ থেকেও ভায়ের জন্য রইল অন্তরের ভালোবাসা ও শুভ কামনা। ♥♥
২৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২
জাহিদ অনিক বলেছেন: দুইটা পর্বই পড়লাম---
পড়তে ভালো লাগছিল-- কিন্তু গল্পটা শেষ হয়ে গেল কেন এইভাবে--- হঠাত ব্রেক কষা !
নায়কের অন্তর্ধান !
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় কবিভাই,
গতদিন আপনি বলেছিলেন, সময়করে পড়ে আবার আসবেন। আপনার এই আগমনে পুলকিত হলাম। ব্লগে এরকম আসার কথা যদিও অনেকে বলে, সবাই যে আসতে পারে তা নয়। সেদিক থেকে আপনি ব্যতিক্রমী মানুষ ।
এবার আসি পোস্ট প্রসঙ্গে ,
আমি অলরেডি এই হঠাৎ ব্রেক কষার কারন বলেছি। আপনাকেও একই কথা বলবো, অনেকগুলি পর্বের মত আপাতত উজান হাওয়া শেষ করেছি। আমার অবজার্বভেশন একঘেয়েমী গ্রাম্য প্লটে পাঠকের একটু ক্লান্তি আসছিল। সে কারনে স্বাদ বদলের লক্ষ্যে মাঝে অন্য গল্প দিয়ে আবার সময়মত মুকুলদের আবির্ভাব ঘটাবো।
ততদিন সঙ্গে থাকার প্রার্থনা কটবো। ♥♥
পরিশেষে অন্তরের ভালোবাসা ও শুভকামনা আপনাকে।
২৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর গল্প ছিল, আমি দুই পর্ব পড়েছি মনে হচ্ছে
শুভকামনা আপনার জন্য
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় নয়নভাই,
আপনার দুটি পর্ব পড়ে ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও আমার অন্তরের শুভকামনা রইল।
২৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: তখনকার সময় কেউ নিরুদ্দেশ হলে সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা কম ছিলো। গল্পের মেইন থিম প্রেমঘটিত হলেও গল্পটিতে তখনকার যুগের সমাজচিত্র, মানুষে মানুষে সম্প্রীতি, গ্রামের গৃহস্থ পরিবারগুলোর দিনযাপন, পড়ালেখার অবস্থা, রাস্তাঘাট, বিয়েশাদী অনেককিছুই উঠে এসেছে। উপস্থাপনের ধরন: পূর্বের পর্ব থেকে এই পর্ব ভালো ছিলো।
নতুন শিরোনামের গল্পের পরবর্তী গল্প পড়ার ইচ্ছে জানিয়ে গেলাম। অনেক অনেক শুভকামনা। ভালো থাকবেন পদাতিক চৌধুরী ভাই।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় জুনায়েদভাই,
অত্যন্ত সুন্দর পর্যবেক্ষণ আপনার। একেবারে নিঁখুত ভাবে গল্পের একটি সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেছেন। যদি কমেন্ট প্রিয়তে রাখা যেত তাহলে আপনার এই কমেন্টটি আমি সেটাই করতাম। এমন কমেন্ট আমাদের মত নবাগতদের নিঃসন্দেহ মনোবল আরও বাড়িয়ে দেবে ।
উপস্থাপনের ধরন পূর্বের থেকে এই পর্বে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
পরবর্তী পর্ব পড়ার আগ্রহ দেখানোর জন্য খুশি হলাম। সবশেষে অন্তরের বিমুগ্ধা ভালোবাসা ও শুভ কামনা জানবেন। ♥♥
২৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গল্পে আপনি ভালো এগিয়ে গেছেন, আশা করবো আরো সুন্দর লেখা - আরো সুন্দর কোনো ঘটনা নিয়ে ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয়,মাহমুদভাই,
অনেকদিন পরে আপনার পেয়ে ভালো লাগছে । আপনাদের আশীর্বাদ পেলে হয়তো বেশ কিছুটা এগোতে পারবো। এজন্য চাই আপনাদের অনুপ্রেরণা। ♥♥
অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভ কামনা আপনাকে।
২৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: সামনে ফেব্রুয়ারি আসছে, বইমেলার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নেন
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ইসলামভাই,
হা হা হা। কী যে বলেন । আপাতত কিছু লিখছি, আপনাদের ভালো লাগা পেলেই খুশি। বই প্রকাশ! ওসব বড় ব্যাপার। এখনি ওসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছি না। তবে আপনার আন্তরিক মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। ♥♥
শুভ কামনা আপনাকে।
২৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৭
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
অসম্ভব বলিয়া জগতে কোন কাজ নাই
কে জেন বলে গেছেন আমার মনে নাই।
তবে সত্য কথনের প্রতিফলন দেখিতে পাই!
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইসলামভাই,
আপনার আবার আগমনে পুলকিত হলাম।
" অসম্ভব বলিয়া জগতে কোন কাজ নাই। "
কে জেন বলে গেছেন আমার মনে নাই ।
তবে সত্য কথনের প্রতিফলন দেখিতে পাই! ♥♥
অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম । কৃতজ্ঞতা আপনাকে।
অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় ইসলামভাইকে।
৩০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি ,
আবারও ঝুলে রইলুম ।
উপরে "জাহিদ অনিক" কে বলেছেন --- "অনেকগুলি পর্বের মত আপাতত উজান হাওয়া শেষ করেছি। আমার অবজার্বভেশন একঘেয়েমী গ্রাম্য প্লটে পাঠকের একটু ক্লান্তি আসছিল। সে কারনে স্বাদ বদলের লক্ষ্যে মাঝে অন্য গল্প দিয়ে আবার সময়মত মুকুলদের আবির্ভাব ঘটাবো।"
তাহলে "উজান হাওয়া ( শেষ পর্ব)" হয় কি করে ? "বিশেষ নোট" না দিয়ে একদম শেষে এক কথায় লিখতে পারতেন - চলবে .... তাহলে পরিষ্কার বোঝা যেত উজান হাওয়া , শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ !
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় মান্যবরেষু ,
হ্যাঁ, কবি জাহিদ অনিকভাইকে যেটা বলেছি, আপনি সেটা মার্ক করেছেন। কতগুলি পর্বের মধ্যে উজান হাওয়া একটি পর্ব। তার আগে যেমন ভোরের আলো নামে ছিল। এখানে শেষ বলতে স্রেফ এই বিশেষ পর্বটির শেষের কথা বলেছি। কাজেই বড় আকারের গল্পটি পরে নুতন নামে আসবে। যেহেতু মাঝে অন্য গল্প নিয়ে আসবো বলে মনস্থির করেছি, সেজন্য সঙ্গত কারনে নামটিও অজ্ঞাত রেখেছি। এদিক থেকে বলা যেতেই পারে য়ে শেষ হয়েও হলনা। ♥♥
অনেক অনেক শুভকামনা আপনাকে।
৩১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৩
নীলপরি বলেছেন: খুবই সাবলীল ও পাঠককে বেঁধে রাখার মতো কাহিনী । ভালো লাগলো । ++
শুভকামনা
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আশাকরি ভালো আছেন।
আপনার বিলম্বিত আগমনে আনন্দ পেলাম। খুব অল্প কথাতে যেভাবে অভিমত ব্যক্ত করেছেন, তাতে আমি মুগ্ধ । প্লাস ও লাইক দিয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই ।
অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা আপু আপনাকে ।
৩২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১০
সোহানী বলেছেন: সময় পেয়ে অনেকগুলো লিখা পড়লাম আপনার। এবং অনুভব করছি আপনার মতো একজন ব্লগার সত্যিই দরকার সবসময় যে ব্লগারদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, পজিটিভ মনোভাবসম্পন্ন ও সর্বোপরি মানবিক লেখক।
অনুরোধ, হারিয়ে যাবেন না সময়ের স্রোতে। আপনার মতো পজিটিভ মানুষগুলোকে খুব দরকার সবসময়ই।
ভালো থাকুন সবসময়ই।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়াপু ,
বিলম্বিত হলেও আপনি যে এলেন, এটাই আমার পরম আনন্দের । ভীষণ খুশি হয়েছি বেশ কিছুদিন পরে আপনাকে পেয়ে। আশাকরি ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই খুব ভালো আছি।
এবার আসি পোস্ট প্রসঙ্গে, আপনি আমার অনেকগুলি পোস্ট সময় নিয়ে পড়েছেন জেনে পুলকিত হলাম। পোস্টে লাইক দেওয়াই অনুপ্রেরণা পেলাম । আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই আপু। আর আমার সম্পর্কে যে অবজার্ভেশনটা আপনি বললেন, ব্লগে বহু সুশীল ব্লগারকে দেখে আমি অনুকরন করার চেষ্টা করি। অস্বীকার করবো না যে, ব্লগে কেউ ক্যাচাল করে মজা পায়। কেউবা সুন্দর মিথোস্ক্রীয়া করে আনন্দ লাভ করে। আমি এই শেষেরটা করে অন্যকে সম্মান দিয়ে এক ধরনের সন্তুষ্টি পাই। । দোয়া প্রার্থনা করছি আপনাদের কাছে যেন, এই ট্রেন্ডটা ধরে রাখতে পারি।
সবশেষে আপনার দোয়া মাথাই নিলাম । আপনিও অনেক অনেক বিনম্র ও শুভকামনা নেবেন।
৩৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১২
সোহানী বলেছেন: ও ভালো কথা, উৎসর্গ যথাযথ। তবে লিখার বিষয়ে জাহিদ, বিগু ও জী ভাই সবই বলেছেন তাই রিপিট করলাম না।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি আবার আসায় আবারও মুগ্ধতা । ♥♥ পোস্টটির উৎসর্গ যথাযথ হওয়াই আপনাকে পাশে পেয়ে আনন্দ ও অনুপ্রপরণা পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে । হ্যাঁ ঠিক বলেছেন, উল্লিখিত সম্মানীয় ব্লগারগন বিষয়টি উল্লেখ করেছেন, আপনিও সেটা বলেছেন। পরে আবার সময় নিয়ে মুকুলদের আবির্ভাব ঘটাবো। আপনাকে পাশে পাওয়া আমার প্রার্থনা ।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপু আপনাকে ।
৩৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: গল্পটি যেদিন পোস্ট করেছেন সেদিনই দেখেছি এবং পড়েছি কিন্তু মন্তব্য করতে পারিনি বিজি থাকায়
গল্পের শেষে ঝর্না আর মুকুলের মিল না হলেও শেষটি ভালো লেগেছে। তবে আমার তৌফিক সাহেবের জন্য আমার মন খারাপ লাগছে ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সেই জন্য বলি, আমার বোনটি আসেনা কেন। এখন বিষয়টি পরিষ্কার হল। ঠিকই মাঝে মাঝে ব্যস্ততা এতটা বেশি হয় যে প্রিয়জনদের পোস্টে মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনা। যাক আমার বোনের পড়া ও কমেন্ট পেয়েছি।আমিও খুশি হলাম। আর তৌফিকসাহেবের জন্য সমবেদনা।কিন্তু আর কীবা আমরা করতে পারি।
শুভকামনা প্রিয়বোনকে।
৩৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: আমি আজকে একটি গল্প লেখার চেষ্টা করেছি ভাইয়া। পড়ে জানাবেন কেমন হল, কিংবা কিভাবে আরও ভালো হতো ।
Click This Link target='_blank' >বিদায় বেলা (গল্প)
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোটোবোন,
আমি আপনার পোস্টে গেছিলাম। গল্পটা পড়েছি। ওখানে মতামত জানিয়ে এসেছি।
শুভকামনা প্রিয়বোনকে।
৩৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৪
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: নুতন পর্ব আসুক।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় সাহাদাতভাই,
আপনার পাঠ ও মন্তব্যে আনন্দ পেলাম। আপনি নুতন পর্বের জন্য আগ্রহী। কিন্তু এবার একটু সময় নেব। দু - একদিনের মধ্যে ভিন্ন স্বাদের পোস্ট দেবো। সঙ্গে থাকার আবেদন থাকলো।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
৩৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৫
রাকু হাসান বলেছেন: ভাইয়া আমার সমস্যা সমাধান হয়েছে । খারাপ লাগা সময়ে ভাইয়ের আদুরে মন্তব্যে আনন্দ পেয়েছি । পোস্ট ড্রাফট করে নিছি । সমাধান যেহেতু । তোমরা হয়তো ভাব ভাইটি সারা দিন ব্লগে পড়ে থাকে বা উত্তর দিতে দেরি হলে । আসলে সব সময় থাকি না । লগ আউট করি না তো তাই ,,,অনলাইনে আসলে সেখানে দেখায় । আর অনলাইনে অন্য কাজের জন্যও অনেক সময় আ্যাক্টিভ থাকতে হয় আামার । কেমন আছ ভাইয়া । আমি এখন খুব ভাল আছি । বাড়ির সবাই ভাল তো ?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের ছোট্টভাইরাকু,
গতকাল তোমার সঙ্গে মন্ডলভায়ের সমস্যাটা দেখে খারাপ লাগছিল। আমারও এরকম সমস্যা ইতিপূর্বে হয়েছে। তবে তা ব্রাউজার সম্পর্কিত। যাইহোক তোমার সমস্যা মেটাতে খুশি হলাম। উপরওয়ালা তোমার ও পরিবারের সকলকে ভালো রাখুন। আমরাও ভালো আছি।তবে তোমার ভাইপোকে বিড়ালে স্ক্যাচ করে দেওয়াতে গতকাল সারাদিন আই ডি হসপিটলে কেটেছে। এখনও তিনদিন নির্দিষ্ট গ্যাপে গ্যাপে গিয়ে অ্যান্টি রেবিসের বাকি ডোজগুলি নিতে হবে। ওকে নিয়ে একটু দুশ্চিন্তায় আছি।
অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা আমার ছোট্ট ভাইটিকে।
৩৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৫
রাকু হাসান বলেছেন: দোয়া থাকলো আমার । সুস্থতা দান করুক স্রষ্টা। শুনে খারাপ লাগছে আমার খুব । নিশ্চয় তিনি ভাল করবে । দিনটা ভাল কাটুক সেই কামনা ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবার আসাতে খুশি হলাম প্রিয় ছোটোভাই। তোমার দোয়া যেন উপরওয়ালা কবুল করেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে ।
বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা জানবে।
৩৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা, প্রিয় সাদা মনেরভাইজান,
আমি একা খেয়ে শেষ করতে পারছিনা। আপনাকেও আমার দরকার। আসুন দুইভাই মিলে খেয়ে ফেলি।
শুভকামনা নিয়েন।
৪০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: শেষ পর্যন্ত মুকুল কোথায় হারিয়ে গেল ?
সত্যি সংসার এক সমুদ্রের নাম। ঢেউ উঠে, ঝড় উঠে আবার শান্ত হয়।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল প্রিয় মাইদুলভাই,
হ্যাঁ মুকুল আপাতত নিরুদ্দেশ। এই গল্পটা বেশকিছু দিন পরে আবার নামাবো । এই মুহূর্তে একটু ব্যস্ত। সময় পেলে নুতন গল্প দেবো বলে মনস্থির করেছি । আর জীবনের আর একনাম সমুদ্র । আমরা সেই সমুদ্রে তরী বেয়ে আছি। উত্তাল ঢেউ কখনও আমাদের দিশাহারা করলেও, অপেক্ষা করি দুর্যোগের অবসানের। আপনার সুন্দর কমেন্টে মুগ্ধতা । ♥♥
অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় মাইদুলভাইকে।
৪১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ঝর্না চলে গেলে মুকুল শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে রইল .।.।।প্রথম লাইনটা বেশ সুন্দর করে শুরু করেছেন । শুভ কামনা রইল ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল আপু,
আমার ব্লগে আপনার পদার্পণ । সুস্বাগতম আপনাকে । প্রথম লাইনকে যেভাবে তুলে ধরলেন, অনুপ্রেরণা পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে।
৪২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯
আরোগ্য বলেছেন: সর্বোপরি মুকুলের মঙ্গোল কামনা করছি। লেখাটি ভাল লাগলো।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় আরোগ্যভাই,
আপনার পাঠ ও মন্তব্যে আনন্দ পেলাম। মুকুলের জন্য মঙ্গল কামনা করেছেন জোনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ।
বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল।
৪৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১১
নজসু বলেছেন: গল্পের তিনটি অংশই শেষ করলাম।
মুকুলের জন্য হৃদয়টা ব্যথাতুর হয়ে রইল।
ঝর্ণাও হয়তো ভুলতে পারবেনা মুকুলকে।
ভুলতেও পারে। নতুন জীবন, নতুন মানুষ আনন্দে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে তাকে।
অজানা গন্তব্যে মুকুলেরা পরে থাক।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল আপু ( যদি ভুল হই তবে ঠিক করবেন প্লীজ)
সকাল সকালে পরপর তিনটি পোস্ট পড়ে ফেলায় মুগ্ধ হলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
মুকুল আপাতত নিরুদ্দেশ, তবে ঝর্না কতটা সুখী বা অসুখী হবে তা ভবিষৎ বলবে। আপনার সান্নিধ্য আমার প্রার্থনা ।
অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা আপনাকে।
৪৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প, শিরোনাম, ছবি আর উৎসর্গ - সবই ভাল লেগেছে।
মুকুলরা আজীবন মনের আকরে তুষের ধিকিধিকি অঙ্গার বয়ে বেড়ায়।
গল্পে সাংকেতিক ভাল লাগা রেখে গেলাম। + +
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,
আপনার নৈঃশব্দে আগমন বরাবরই আমার কাছে অনুপ্রেরণার। গল্প, শিরোনাম, উৎসর্গ-সবই ভালো লাগাতে ও গল্পের সাংকেতিক ভালো লাগা রেখে যাওয়াতে বিমোহিত হলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
"মুকুলরা আজীবন মনের আকরে তুষের ধিকিধিকি অঙ্গার বয়ে বেড়ায়।" চমৎকার মন্তব্যে মুগ্ধতা। আবারও ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
পোস্টটিকে লাইক করে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে।
৪৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: সোহানী এর ৩২ নম্বর মন্তব্যটা ভাল লেগেছে, এবং তার অনুরোধের সাথে আমিও একই অনুরোধ জানিয়ে গেলাম।
নুরুন নাহার লিলিয়ান এর মন্তব্যটাও (৪১) ভাল লেগেছে।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দ্বিতীয়বার ভিন্ন প্রকৃতির মন্তব্য করে আপনার সুন্দর অভিব্যক্তি প্রকাশ করাতে পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। আপনাদের ভালো লাগাই আমার পাথেয়; আমার আগামী পথ চলা। সোহানী আপু ও লিলিয়ান আপুর মন্তব্য দুটি সত্যিই খুব সুন্দর হয়েছে। পোস্টের সাথে কমেন্ট পড়েও যথার্থভাবেই তাকে উল্লেখ করে আপনি ব্লগে এক পরম্পরা চালু করেছেন। আপনার এই সুন্দর সৃষ্টিশীলতার জন্য জানাই কুর্নিশ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আগের পর্ব পড়েছি মন্তব্য করিনি, এই পর্ব পড়ে মন্তব্য করছি।