নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
শ্রদ্ধেয়া জুন আপুনিকে উৎসর্গ করা বিশেষ পর্ব।
পঞ্চম শ্রেণির খ - বিভাগে আমাকে শ্রেণি শিক্ষক করা হয়েছিল । আমরা যারা বিদ্যালয়ে নতুন ঢুকেছি তাঁদেরকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত যেকোনও একটি ইউনিটের শ্রেণি শিক্ষকের অপশন দেওয়া হয়েছিল । আমি বাচ্চাদের বেশ ভালোবাসি । আর তাছাড়া একেবারে প্রথম বছরে একটু উঁচু ক্লাসের দায়িত্ব নিতে একটু অনিহা ছিল । পাশাপাশি আমার আবার ইগোর ব্যাপারটি একটু কম আছে । নুতন ঢুকে নিচু ক্লাসের ক্লাস টিচার হতে অনেকের আপত্তি ছিল । কাজেই পঞ্চম -ক অভিজ্ঞ টিচারের জন্য বরাদ্দ থাকায়, খ - বিভাগ চাইতেই পেয়ে গেলাম । স্কুলে ক্লাস ফাইবের ক - বিভাগে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের শ্রেণি শিক্ষক করার পিছনে বিদ্যালয় কতৃপক্ষের যুক্তি ছিল বাইরে বিজ্ঞাপনে নুতনদের তুলনায় পুরানদের দিয়ে অভিভাবকদের সামনে বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো তুলে ধরার পক্ষে আদর্শ ক্লাস । ওদের ধারনা প্ররম্ভিক ক্লাস হিসাবে নুতন অভিভাবকদের দৃষ্টি থাকে ক - বিভাগের প্রতি । তাই এরূপ ব্যবস্থাপনা ।
ইন্টারভিউ এর দিন সমন্বয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল । ছেলেটি ক্লাস ফাইবের ;ক - বিভাগে পড়ে । এখন মাঝে মাঝে করিডোরে বা ডাইনিংরুমে দেখা হয় । সাধারনত একটু হেসে পাশ কাটিয়ে চলে যায় । সেদিন আমি সবে বসেছি হঠাৎ চোখাচোখি হতেই হাসতে হাসতে কাছে চলে এল । আমি ওর মাথায় হাত বোলাতে,
- স্যার আপনি আমাদের ক্লাস টিচার হলেননা কেন ?
- ক্লাস টিচার হওয়ার ব্যাপারে আমরা মতামত দিলেও ফাইনালি বিষয়টি অনেকটা বিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমি কাউন্সিলেরর উপর নির্ভর করে । আর তোমাদের সেকশনটা সিনিয়র মাস্টার মশায়দের জন্য বরাদ্দ । তার উপরে আমার বেশি ক্লাস খ - বিভাগে। তোমাদের ক্লাসে সপ্তাহে একদিন গল্প নিতে যেতে হয়। কাজেই যে স্যারের যে ক্লাসে বেশি পিরিয়ড থাকে ওনাকে সেই সেকশনের শ্রেণিশিক্ষক করা হয় । তোমাদের ক্লাস টিচারতো মান্নাবাবু ।
- হ্যাঁ স্যার, মান্নাবাবু । তবে আপনি হলে ভালো হত । মান্নাবাবু খুব রাগি । ক্লাসে সারাক্ষণ চিৎকার করেন । আর রেগে রেগে কথা বলেন ।
- তোমরা স্যারকে রাগাও কেন ? তোমরা চুপচাপ থাকলে স্যার নিশ্চয় রাগ করেননা। তোমাকে আর একটি কথা বলবো। কোনও শিক্ষক মহাশয় সম্পর্কে এভাবে কথা বললে ওনাকে অসম্মান করা হয়। ভালো ছেলে শুধু পড়াশোনাতে নয়, তাকে আচরণেও ভালো হওয়াটা কাম্য - স্যরি স্যার। আর এমন হবেনা। তবে আমরা ওনার ক্লাসে একদম দুষ্টুমি করিনা । সবাই ওনাকে ভীষণ ভয় পাই । তবুও উনি খুব রেগে থাকেন ।
মান্নাবাবুর রাগের কারনটি কী - সেটা আমি বিলক্ষণ জানি । আমি সাধারনত বাচ্চাদের উপর রাগ করিনা । বাবা বাছা বলে কথা বলি । ওদের হাজার প্রশ্নের ঠান্ডা মাথায় উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি । অথচ সেই আমিও মাঝে মাঝে ওদের উপর ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলি । এমনিতেই বাচ্চারা প্রচন্ড নালিশ প্রবণ । আর পড়ার বাইরে কথা বললে দেখেছি সবাই খুব মনদিয়ে শোনে । কিন্তু যখনই পড়ানো শুরু করবো ওমনি নালিশের বন্যা শুরু হবে । বোর্ড ওয়ার্কের সময় দুমিনিট টানা কাজ করতে পারিনা ওদের নালিশের ঠেলায় ।
নালিশ বন্ধের চিন্তাভাবনা করতে অবশেষে একটি উপায় বার করি । আমি বলে রেখেছিলাম তোমাদের বন্ধুরা তোমাদেরকে যা যা করবে তোমরা মুখে না বলে চুপিচুপি আমার উপর সেটাই প্রয়োগ করে চলে যাবে । প্রথমে ওরা আমার কথা বুঝতে পারেনি । আমি একটু বুঝিয়ে দিয়েছিলাম যে তোমাদের কোনও বন্দ্ধু তোমাদেরকে যা যা করবে তোমরা মুখে কিছু না বলে বা নালিশ না করে আমার গায়ে হাত বা পেন দিয়ে করলে পেন দিয়ে ঠিক সেটাই করে জায়গায় চলে যাবে । এরফলে আমার পড়ানোয় বিঘ্ন ঘটবেনা , আবার তোমরা স্যারকে অভিযোগটাও জানাতে পারলে । ওরা সবাই প্রায় মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়েছিল ।
আমার নুতন নিয়ম শেখানোর পরেরদিন বোর্ড ওয়ার্ক করছি এমন সময় হঠাৎ শার্টের পিছনে বেশ জোরে টান পেলাম । ঘার ঘুরিয়ে বুঝলাম নালিশের বিকল্প প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। বুঝলাম পাশের ছেলেটির টান পেয়ে বাচ্চাটিও আমার শার্টে টান দিয়ে চলে গে্ল। আমি সামান্য ঘার ঘোরানো ছাড়া যথারীতি বোর্ড ওয়ার্ক চালু রাখলাম । খানিকবাদে বামদিকে কোমরের নিচে পেনের গুতো অনুভব করলাম। বুঝলাম নালিশ বন্ধের পাঠ বেশ কাজ দিচ্ছে । কিছুক্ষণ পরে কোমরের উপরে আস্তে করে একটি চড় মারা অনুভব করলাম । বুঝলাম পাশের ছেলেটি নিশ্চয় ওকে চড় মেরেছে । এরমধ্যে আবার পেনের খোঁচা । যাইহোক আমি ওদের এই ছোটো ছোটো প্রতিক্রিয়াগুলিতে বেশ আনন্দ পেয়েছিলাম । আর বেশ ভালো লাগতো এদের সঙ্গে সময় কাটাতে ।
বেশকিছু দিন এভাবে চলার পর একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি যে আমি যখন চেয়ারে বসে পড়াই তখন ওরা আমার সামনে এসে এসব টানাটানি বা খোঁচা দেওয়ার কাজ করেনা। কিন্তু বোর্ড ওয়ার্ক করলে ঘনঘন পিছন থেকে এরকম টানাটানির সম্মুখীন হতে হয় । এরমধ্যে একদিন একটি ছেলে পিছনে দাঁড়িয়ে বললো,
- ও স্যার একটু নিচু হও ।
আমি ওর কথায় সম্মতি জানিয়ে নিচু হতেই, ও আমার কানে হাত দিয়ে চলে গেল । আমি হাসতে হাসতে ওকে প্রশ্ন করি ,
- তোমার বন্ধু তোমাকে কানধরে টেনেছে ?
- হ্যাঁ স্যার ।
- খুব লেগেছে ?
- হ্যাঁ স্যার, বেশ লেগেছে ।
- তাহলে তুমি আমাকে শুধু কানে হাত দিয়ে চলে গেলে কেন ? তোমারতো জোরে কান ধরে টানার কথা ছিল ।
- ও স্যার, তুমিতো স্যার । তোমাকে কি আমরা কান টানতে পারি ?
আমি আবার হাসতে হাসতে এগিয়ে গিয়ে ওর পিঠ চাপড়ে বলি,
- একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি , আমি না বকাবকি করাতে তোমরা বেশ মজা পেয়ে গেছো। যে কারনে আমি যখন চেয়ারে বসে পড়াই তখন তোমরা শান্তভাবে পড়াশোনা কর । কিন্তু বোর্ড ওয়ার্ক করলেই তোমাদের আমাকে স্পর্শ করার একটি মজার খেলা শুরু হয়ে যায় । আচ্ছা,আমাকে তোমরা বন্ধু ভাবোতো?
সবাই একসঙ্গে চিৎকার করে উঠলো,
-হ্যাঁ স্যার ।
-তাহলে তোমরা কে কে মিথ্যে কথা বলো, হাত তোলো । তোমরা তো জান আমি তোমাদের কোনও শাস্তি দেবোনা।
বেশকিছুক্ষন সময় গেলেও একটি হাতও উপরে উঠলোনা । এবার আমি আবার বলি,
- তোমরা মুখে বললেও প্রকৃতপক্ষে আমাকে বন্ধু ভাবোনা বা সত্যিকথাও বলোনা । বেশ! আমি তাহলে অ্যাকাডেমি কাউন্সিলকে বলে অন্য ক্লাসের ক্লাস টিচার হবো ।
এবারও সবাই চুপচাপ । হঠাৎ একটি ছেলে দাঁড়িয়ে বলে উঠলো ,
- স্যার আর কখনোও মিথ্যে বলবোনা ।
ওর দেখাদেখি আরও তিন - চারজন উঠে একইভাবে বললো,
- স্যার আর মিথ্যে কথা বলবোনা ।
আপনি তুমি মিশিয়ে,
- তুমি আমাদের ছেড়ে অন্যক্লাসে যাবেনা ।
যারা এতক্ষণ বসেছিল সবাই প্রায় একসঙ্গে বলে উঠলো ,###- স্যার আমরা আর মিথ্যে কথা বলবো না। তুমি আমাদের ছেড়ে যাবেনা, প্লীজ ।
এবার আমি ওদের আশ্বস্ত করি,
- বেশ! তোমাদের ছেড়ে যাবোনা ঠিকই, কিন্তু পড়ার সময় কি এভাবে আর নালিশ বা আমার গায়ে হাতে স্পর্শ বা পেনের খোঁচা চলতে থাকবে?
সবাই বলে উঠলো,
- না, স্যার আমরা আর আপনাকে স্পর্শ করবোনা ।
সত্যিকথা এরপরে ওদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়েছিল। আর পড়ানো কালীন আর কোনও অভাব - অভিযোগ শুনতে হয়নি।
দেখতে দেখতে স্কুলে দুমাস পার হয়ে গেল। আমি জীবনের প্রথম বেতন পেলাম । আগেই বলেছি বেসরকারি স্কুলে বেতন খুব কম। তবুও বিষয়ের প্রকৃতি দেখে অন্যরা তবুও একটু বেশি বেতন পায় । আমার সঙ্গে ইতিপূর্বে প্রেসিডেন্টের এনিয়ে কোনও কথা হয়নি। তবে বুঝলাম আমার বেতনটি সবার চেয়ে কম ছিল । তাৎক্ষনিক বেশ কষ্ট লাগলেও মনকে সান্ত্বনা দিয়েছিলাম, বিকল্প কিছু না পেয়ে চাকুরীটা করছি যখন তখন ঐ সামান্য বৈষম্যের কথা না ভেবে মন খারাপ না করতে । যাইহোক যেকটা টাকা পেলাম বাবার হাতে তুলে দিতে আবার গৃহে প্রত্যাবর্তন করলাম ।
সেদিন বাবার হাতে সামান্য কটা টাকা তুলে দিয়ে যে মজা পেয়েছিলাম, পরে স্থায়ী চাকরী পেয়েও সেই আনন্দ, সেইঅনুভূতি আর আসেনি ।এসময় দুদিন বাড়িতে কাটালাম রীতিমতো উৎসবের মেজাজে । তৃতীয় দিন খুব সকালে আবার স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম । আমার আসার সময় আমার মা বাবা বোনের চোখের চাহনি আমার কাছে পৃথক পৃথক বিরাট জিজ্ঞাসা বলে মনে হয়েছিল।
আমার মায়ের একটি শখ ছিল হাত সেলাই করা । আমার কৈশোরে না বুঝলেও পরে অবশ্য বুঝেছি আমাদের মত নিম্নবিত্ত পরিবারের মায়েদের সারাদিন সংসারের কাজ শেষে বিকালে দাওয়াই মাদুর পেতে এরকম সেলাই করা ছিল একমাত্র বিনোদন । ছোটো থেকে দেখতাম মা নিজের মলিন শাড়িতো বটেই পাশাপাশি আমার ও বোনের জামাকাপড় বা বাবার শতফুঁটো পাজ্ঞাবীতে সেলাই দিতে রোজ বিকালে এক দেড় ঘন্টা ব্যয় করতেন । মায়ের চোখে বেশ পাওয়ারের সমস্যা থাকলেও, একাজটি না করলে মায়ের যেন শান্তি ছিল না। চোখের সমস্যা থাকলেও ডাক্তার দেখানো বা চশমা নেওয়াটা আমাদের মত পরিবারের কাছে ছিল বিলাসিতা । কাজেই বাড়িতে একমাত্র বাবার কালো ফ্রেমের চশমাটিই বিকালে মায়ের জন্য বরাদ্দ ছিল । কিন্তু এক্ষেত্রে আমি পড়তাম বেশ বিপদে । বিকালে বাবা তাড়াতাড়ি বাড়ি এলে মায়ের সেলাই কাজটি যেমন সমাধা হত অন্যদিকে আমার যেত বিকালে খেলা বন্ধ হয়ে । মা বারংবার সূঁচে সুতো পড়ানোর জন্য আমাকে ডাকতেন। ফলে মায়ের ডাকে সাড়া দিতে বারবার আসাতে বন্ধুদের খেলায় বিঘ্ন ঘটতো । ওরা আমাকে 'মাডাকা ; নাম দিয়ে খেলতে নিতো না । ফলে আমি বিরস বদনে বন্ধুদের খেলা দেখতাম আর মায়ের পরের বার ডাকের জন্য তৈরী থাকতাম । মাঝে মাঝে বেশি ছেঁড়াফাটা থাকলে মা দুটি মুখ এক করে ধরার কথা বলতেন । ফলে সেদিন বিকালটা অবশ্য আমার একেবারে মাটি হয়ে যেত। । আমি যে একটু নিজের মত করে বিকালে খেলবো সে সুযোগ আর আমার ছিলোনা । তাই যেদিন বাবা কোনও কারনে বিকালে বাড়ি ফিরতে দেরি করতেন সেদিন মা সেলাই কাজে হাত দিতে না পারাতে যেমন চিন্তিত হয়ে পড়তেন আর আমিও ঠিক ততটাই আনন্দ পেতাম একটি স্বাধীন বিকাল উপহার পাওয়ার জন্য । সেদিনের সেই শৈশবে গোমরামুখে কাপর ধরতে বসে মাকে বলতাম,
- বড় হয়ে তোমার জন্য একটি সেলাই মেশিন কিনে দেব।
- আমি কি আর ওসব দেখে যেতে পারবো বাবা ?
- কখনও না। ওসব কথা মুখে আনবেনা।
- বড় হও বাবা। মানুষের মত মানুষ হও, ওটাই হবে আমার বড় পাওয়া ।
এহেন স্বপ্ন নিয়ে জীবনের প্রথম বেতন পেয়ে মায়ের জন্য একডজন নয় একটি শাড়ি ও বাবার জন্য একটি পাঞ্জাবী কিনে দেখলাম হাতে থাকা টাকা অনেকটা কমে গেছে। বাকি টাকা বাবার হাতে তুলে দিই। দুদিন ছুটি কাটিয়ে আসার সময় বাবা মায়ের সঙ্গে আমার ছোট্ট বোনটির চাহনি, তাকে কিছু না দিতে পারার ব্যর্থতা আমাকে এতটা বেদনাহত করেছিল যে স্থির করেছিলাম, পরেরবার বেতন পেয়ে আর কোনও টাকা খরচ না করে বাবার হাতে তুলে দিয়ে বোনকে পছন্দের একটি ফ্রক কিনে দেওয়ার অনুরোধ করবো।
চলবে.....
বিঃদ্র- ১, পূজাবকাশে একটু ঘুরতে যাওয়ার কারনে পরবর্তী পর্ব পেতে দিন দশেক সময় লাগবে।
২, শ্রদ্ধেয়া মনিরা আপুনির কাছে ' কৃপণতা' বিশেষণ থেকে মুক্ত হতে পোস্টটিকে একটু দীর্ঘ করেছি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:২৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাকু,
প্রথম কমেন্টে তোমাকে দেখে রাতেই ভীষণ আনন্দ পেয়েছিলাম। তবে গতকাল আমার নেট অত্যন্ত বিলম্বিত ছিল। আমি পোস্টটিকে ফাইনাল এডিট করে ১০ টা ১৫ তে টকবার পোস্ত করে দেখি, পোস্ট হয়নি। উল্টে অফ লাইন দেখাচ্ছে। আবার নুতন করে পোস্ট টিকে ঠিকঠাক করতে প্রায় সাড়ে এগারোটা হয়ে যায়। সে জন্য পরে যেমন তেমন করে পোস্টটি হলেই যেন বাঁচি। যে।জন্য আর প্রতিমন্তব্য দেওয়ার মত অবস্থায় ছিলাম না। আজ ছুটির দিন হলেও একটি চাকরীর পরীক্ষা আছে। সোওয়া নটা নাগাদ রওয়ানা দেব। দুটি হাফে চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। ফলে মধ্যবর্তী সময়ে আবার ব্লগ থেকে দূরে থাকা।
এবার পোস্ত প্রসঙ্গে ,
হ্যাঁ ঠিকই বলেছ, জুন আপু সহ আমার ভাইদের কথাও লেখকের মাথায় সদা বিরাজমান । কাজেই লেখনির মধ্যে তার প্রতিফলন পড়াটা স্বাভাবিক। ♥♥
স্কুলে পড়াতে গেছি। না পড়ালে শুধু গল্প লিখলে তোমরা আবার আজব স্কুলের তকমা দেবে যে। হা হা হা।
আজ হয়তো সামলে দিয়েছি, কিন্তু পরে আর পারবো কিনা সন্দেহ আছে। তবে এরকম লেখাপড়ার পোস্ট কয়েকটি থাকবে। আর তোমাদের মনের জিজ্ঞাসা, সেটা আস্তে আস্তে পেয়ে যাবে।একটু অপেক্ষায় রাখবো।
আর পর্বগুলির ট্যুইস্ট সাফল্যের সঙ্গে করতে পেরেছি মনে হওয়াতে ধন্যবাদ জানাই আমার ছোট্ট ভাইটিকে। সঙ্গে পোস্টটটিকে লাইক করায় পেলাম অনুপ্রেরণা। আবারও ধন্যবাদ তোমাকে। ♥♥
পরিশেষে অনিঃশেষ শুভকামনা ও বিমুগ্ধ ভালোবাসা তোমাকে।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৪৪
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: বাহ! খুব চমৎকার লিখেছেন ভাইয়া। এরকম টিচার যদি আমাদের ক্লাসেও থাকতো একজন! শেষের দিকে মা'এর কথাগুলো পড়ে খুব কষ্ট লাগলো। মা-বাবা রা কত স্বপ্নই না দেখেন তাঁদের সন্তানের জন্য। আর আমরা সন্তানেরা! আফসোস!
গল্পটি আর চলবে না?
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু,
আপনার সুন্দর কমেন্টে মুগ্ধা হলাম। এমন আন্তরিকতা পূর্ণ কমেন্টের জন্যই পোস্টগুলি দেওয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । গল্প পড়ার সাথে নিজেকে একাত্ম ভাবার কারনে খুশি হলাম। গতকাল ভালো রকম নেট সমস্যায় ছিলাম। আমাকে প্রায় এক ঘন্টার উপরে বাড়তি সময় লেগেছে। যে কারনে আপনি পরের অংশটি এডিট করার আগে কমেন্ট করেছেন। গল্পটি বেশ বড় হবে। একটু জাল বিস্তার করেছি। এখন সেগুলি ক্রমশ গুটিয়ে আনতে হবেনা!
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা আপুনিকে ♥♥।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:০১
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আমি যখন পড়া শেষ করলাম তখন বাকি নিচের লিখাগুলো মনে হয় ছিলোনা। যাইহোক ভাইয়া আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপুনিকে আবার পেয়ে আরও খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে । হ্যাঁ তখনোও সামান্য এডিট বাকি ছিল। পরের পর্ব আরও দশদিনের মত সময় নেব। আপুনির শুভকামনা গ্রহণ করলাম। পাশাপাশি ভাইয়ার পক্ষ থেকে রইল ভালোবাসা ♥♥ ও শুভকামনা।
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:২৭
আরোগ্য বলেছেন: সারাদিন ব্লগে অনলাইন অফলাইন ঘোরাঘুরি করলাম, কেবল তিন চারটেতে মন্তব্য রেখেছি। মাত্রই রাতের নামাজের জন্য ওযু করতে যাবো,অমনি দেখি শ্রদ্ধেয় ভাইটির পোস্ট। আজকের পর্বটাও কিন্তু বরাবরের মত চমৎকার হয়েছে।
আশা করি এই দশদিন আমাদের কাছে দীর্ঘ মনে হবে না। আল্লাহ যেন পরের পর্ব পড়ার সৌভাগ্য দান করেন।
প্রিয় পদাতিক ভাই সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন, আরোগ্য থাকুন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল প্রিয় আরোগ্যভাই,
আপনর আন্তরিকতাপূর্ণ মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। এমন প্রশংসা ও পোস্টটিকে লাইক করে অনুপ্রেরণা দেওয়াতে কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে । আপনার এমন দোয়াতেও মুগ্ধ হলাম। দিন দশেক পরে নিয়েত করেছি পরের পর্ব দেবো। আপনি সঙ্গে আছেন জেনে আনন্দ পেলাম।
অফুরান শুভেচ্ছা ও বিমুগ্ধতা আপনাকে ।
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৫৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহারে মধ্যবিত্ত !
ঠিকঠাক মত নুন পেলে সেদিন পান্তা তে টান - আমাদের প্রায় সবার ই এমন অপরাগতার গল্প আছে মনের কুঠরি তে ..
দারুন তৃপ্তি পেলাম পাঠে। বর্ননার সাবলিলতা সাথে নিজেকে আদর্শ একজন শিক্ষক হিসেবে উপস্হাপনের ধাপ , পরিশ্রম কৌশল সব কিছুই চমৎকার তুলে এনেছেন ।
নাহ মাস্টার মশাই আপনি সত্যি হাত খুলে লিখেছেন !!!
অফুরন্ত শুভেচ্ছা, আগমনী ভ্রমনের জন্য শুভকামনা ।
আমাদের জন্য দারুন মোহনীয় ভ্রমন কাহিনী নিয়ে ফিরে আসুন; অপেক্ষায় রইলাম ব্লগবাসী ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল আপুনি,
আপনার কমেন্টের মধ্যেও আপনার বাচনভঙ্গি, শব্দচয়ন অত্যন্ত সুন্দর, মনোমুগ্ধকর । এমন কমেন্টের জন্য দিন রাত অপেক্ষা করা আরকি। গল্পে উল্লিখিত বিষয়গুলি ঠিক ঠাক তুলে ধরতে পেরেছি বলে আপনার মনে হওয়াতে দারুণ শান্তি পেলাম। সঙ্গে পোস্টটিকো লাইক করায় পেলাম অনুপ্রেরণা। কৃতজ্ঞতা জানাই আপুনিকে।
আজ আর কৃপণতা না মনে করাতে আনন্দ পেলাম। পূজাবকাশে ঘুরে এসে আবার আপনাদের সঙ্গে সামিল হবো। দোয়া করবেন। আর ভ্রমণ বিষয়ক একটি পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে। তবে কতটা মোহনীয় হবে বিচার করবেন আপনারা।
অনিঃশেষ শুভকামনা ও ভালোবাসা আপুনিকে।
৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৪৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: আমার এখনো ইচ্ছে হয় যদি শিক্ষকতা করতে পারতাম!!! বর্তমানে দুইটা টিউশানি করছি. দুধের সাধ ঘোলে মেটানো।
পরের পর্বের অপেক্ষায়
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা!! আমরা করি পেটের জ্বালাই , আর আপনি শিক্ষকতা করছেন ফ্যাসিনেশনে। ওসব শুনবো না । অন্য পেশার লোকজনকে আমাদের পেশাতে নেবনা। প্রচন্ড কমপিটিশন বেড়ে যাচ্ছে। তাতে আবার আপনি প্রবাসী । জুনআপু, মনিরাআপুর মত মায়েরা যদিও দেশি শিক্ষক রাখতেন, আপনার মত প্রবাসী শিক্ষক পেলে আমাদের এ পেশা যে ছেড়ে দিতে হবে সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত । এজন্য প্লীজ ভাই আমাদের কথা একটু ভাবুন। এই বয়সে বাচ্চা নিয়ে পথে বসবো। হা হা হা
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।
৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:১৩
ওমেরা বলেছেন: আমাদের আত্বীয়দের ভিতর অনেক শিক্ষক আমার আব্বুও শিক্ষক ছিলেন আমার বড় ভাইয়া অনেক বছর শিক্ষকতা করেছেন আমার আপুও শিক্ষক , আমারও অনেক ইচ্ছা ছিল কিন্ত হল না। আপনার গল্প খুব ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল আপুনি ,
আমি একটি শিক্ষক পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হয়ে আনন্দ পেলাম। আপনার আব্বু আম্মু বড়ভাই আপুনিকে আমার সালাম পৌঁছে দেবেন। আর আপনার শিক্ষক হতে না পারার মধ্যে একটি ক্ষেদ থাকলেও বলবো একটি পরিবারের পাঁচজন পাঁচটি পেশাতে গেলে সেই পরিবার ততবেশি সমৃদ্ধ । এদিক দিয়ে আমার বিশ্বাস আপনার পরিবারের আর্থিক ও সামাজিক বিকাশ বর্তমানে অত্যন্ত সুবিধাজনক স্থানে। ধন্যবাদ আপনাকে।।
গল্প ভালো লাগাতে ও পোস্টটিকে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।
অনিঃশেষ শুভকামনা ও ভালোবাসা আপুনিকে।
৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
এ পর্বটাতে অনেক সুখময় অভিজ্ঞতার বিবরণ থাকায়, লেখা সামান্য প্রাণ পেয়েছে
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আপনার পোস্টটিকে যে সামান্য প্রাণ পেয়েছে মনে হওয়াতে। আগামী পর্ব পড়ার আমন্ত্রণ থাকলো।
শুভকামনা জানবেন।
৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:৪৩
ঢাকার লোক বলেছেন: বেশ সাবলীল! মনে হচ্ছে ছেলেবেলার প্রাইমারি ইস্কুলে ফিরে গেছি !! অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঢাকার লোকভাই,
আপনার প্রশংসায় খুশি হলাম। আপনার প্রাথমিকের জীবনের কথা মনে পড়াতে আনন্দ পেলাম। সত্যই তো ফেলে আসা দিনগুলি যদি এভাবে ফিরে পাওয়া যায় তাহলে সেটা বড় মধুর।
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে খুশি হলাম।
অনিঃশেষ শুভকামনা ও ভালোবাসা আপনাকে ।
১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:৫৯
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: বেশ সুন্দর ।। ভাল লাগলো।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মামুনভাই,
আপনার পাঠ ও মন্তব্যে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ।
আগামী পর্বে আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম। প্লীজ পাশে থাকবেন।
শুভকামনা জানবেন।
১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:১১
ল বলেছেন: সেদিন বাবার হাতে সামান্য কটা টাকা তুলে দিয়ে যে মজা পেয়েছিলাম, পরে স্থায়ী চাকরী পেয়েও সেই আনন্দ, সেইঅনুভূতি আর আসেনি - এ এক অভাবনীয় নৈতিকতার কথা।
শারদীয় উৎসব মুখর হোক আপনার আগামী।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! প্রিয় লতিফভাই, তুলে ধরলেন তো একটি দুর্বলতার জায়গা। আমার বুঝি লজ্জা লাগেনা। ♥♥
শারদীয়া উৎসব উপলক্ষে আমাদের অনেকদিন ছুটি থাকে। যে কারনে পরিবার নিয়ে একটু বাইরে যাওয়া।
অফুরান শুভকামনা ও ভালোবাসা আপনাকে ।
১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১০
রাজীব নুর বলেছেন: শুভ সকাল।
সহজ সরল প্রানবন্ত লেখা।
আপনি অভিজ্ঞ মানুষ।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোটোভাই,
লেখা সরল ও প্রানবন্ত মনে হওয়াই আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আমার ভাইকে।
অনিঃশেষ শুভকামনা ও ভালোবাসা রইল।
১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৮
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন:
# " মাডাকা"
# " স্বাধীন বিকাল"
# বিরস বদন"
বেশ মজা পেলাম
যাক ডাইনিং থেকে অবশেষে ক্লাসের ভিতরে গেলেন। গত পর্বের চেয়ে এই পর্ব বেশ গতিশীল হয়েছে এবং বিশেষ ভালো লাগল।
ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় যুক্তিদাওভাই,
ঠিক খুঁজে খুঁজে বেশ ভালো শব্দগুলি তুলে ধরেছেন। তবে আমি আজও কিন্তু ডাইনিংরুম পুরোপুরিভাবে ছাড়তে পারিনি। অল্প হলেও আছে। আসলে কলেজ / বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন গুলি বহুঘটনার সাক্ষী। স্কুলের ক্ষেত্রে এই ভূমিকাটা কিছুটা ডাইনিংরুম নিয়ে থাকে। এইপর্ব গতিশীল মনে হওয়াতে খুশি হলাম। তবে একটি বড় গল্পে সবগুলি যে সমান গতিশীল হবেনা। কাজেই মাঝে মাঝে একটু সূক্ত খাওয়াবো আরকি। জানি ভালো না লাগলেও নাক টিপে ধরে গলধঃকরন করবেন। হা হা হা। ♥♥
অন্তরের প্রীতি ও শুভেচ্ছা আপনাকে ।
১৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গুরু,
প্রথমত, পূজার ছুটিতে পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন জেনে খুশি হলাম। এটা খুব প্রয়োজন। আর লেখাটি প্রিয় "জুন" আপুকে উৎসর্গ করেছেন জেনে খুশি হলাম। তিনি খুব ভাল ভ্রমণ কাহিনী লিখেন, গুণীজন। আমি উনার লেখা সময় সুযোগে পড়ি।
আপনার আজকের পর্বটির দু'টি অংশ আছে। প্রথমটি ক্লাস টিচার হিসেবে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রদের সাথে প্রাণবন্ত কথোপকথন। এই বয়সের স্বভাবজাত চারিত্রিক বৈশিষ্ট ফুঁটে উঠেছে তাতে। তবে, এ অংশটি আরেকটু সংক্ষেপ করলে মনে হয় ভাল হতো। কারণ, লেখাটি শিশুতোষ/ কিশোরদের নিয়ে নয়। কাহিনীটা যতটুকু মনে হয় "লেখকের জীবনের টানপোড়ন, প্রেম আর অসচ্ছল একটি পরিবারের স্বপন আর বাস্তবতা নিয়ে"। তবে, এটি আমার নিজস্ব মতামত মাত্র; এটাতে গুরুত্ব দেওয়া কিংবা সিরিয়াস হওয়ার কিছু নেই।
দ্বিতীয় অংশটি সত্যি মুগ্ধ করার মতো। মায়েদের পুরাতন জামা কাপড় সেলাই করা, বাবার শাসন, মায়ের ত্যাগ, আশা সবই আমাদের " বাঙলার" মায়েদেরই সাম্যক চিত্র ফুঁটে উঠেছে। অনেক দিন পর এমন "মা ও মাটির" গন্ধযুক্ত লেখা পড়লাম। এ পর্বে প্রেম নাই তাতে কি? মায়ের প্রতি ছেলের, আর ছেলের প্রতি মায়ের এ প্রেম পৃথিবীর সব ভালবাসাকে হার মানায়।
গুরু, আপনার লেখার অপেক্ষায় প্রতিনিয়ত ব্লগে বিচরণ করি। অনেক শুভ কামনা প্রিয় ভাই, প্রিয় গুরুর জন্য। আর "আনন্দ ভ্রমণ" স্মৃতিময় আর নিরাপদ হোক এই কামনা করছি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব,
আপনাকে পেয়ে আনন্দ পেলাম। ছুটির দিন হলেও একটি চাকরী পরীক্ষা থাকায় মাঝে মাঝে এসে ব্লগিং করছি। পূজোর ছুটিতে একটু বেড়াতে যাচ্ছি ঠিকই, কিন্তু ব্লগ ছেড়ে থাকতে হবে ভেবে একটু খারাপ লাগছে। খারাপ লাগছে আপনাকে ছেড়ে থাকতে হবে ভেবেও। পোস্টটি জুনআপুনিকে উৎসর্গ করা হলেও উনি কখন আসেন আমি অপেক্ষায় আছি।
আজকের পর্বের শ্রেণিকরনটি আপনি ঠিক ভাবে উপস্থাপন করেছেন। বাচ্ছাদের নিয়ে আমার এই গল্পে দুটি পর্ব আছে। আপনি একহিসাবে সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে লেখাটি শিশুতোষ বা কিশোরদেের নিয়ে নয়,।তবে আমার চিন্তায় ছিল যেহেতু বক্তা একজন শিক্ষক, কাজেই বাচ্চা ও একটু বড় ছাত্রদের নিয়ে ওনার অতিতের জীবনের একটি স্মৃতিচারণ থাকবে। হ্যাঁ গড়মান ছাত্রদের ঘটনা থাকবেনা ঠিকই কিন্তু ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতার বর্ণনা থাকবে। যে উদ্দেশ্যে ছোটোদের নিয়ে এই পর্বটি হয়েছে। পরে বড় ব্যতিক্রমী ছাত্রকে নিয়ে আরও একটি পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে। পাশাপাশি আপনি যে বিষয়গুলি উল্লেখ করেছেন, " লেখকের জীবনের টানাপোড়ন, প্রেম আর অসচ্ছল একটি পরিবারের স্বপন আর বাস্তবতা নিয়ে। " গুরু একদম উপযুক্ত মূল্যায়ন করেছেন। বিষয়গুলিকে ও একএক করে আগামীতে সামনে আনার ইচ্ছা আছে। আর আপনি আমার অন্তরে, আপনাকে গুরুত্ব দেবোনা মানে!! একেবারে মটন বিরিয়ানি আপনাকে। হা হা হা।
দ্বিতীয় অংশটি নিয়ে একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। ওটা নিয়ে আর কিছু বলবোনা। আমি বরং আপনার কথা শুনবো।
♥♥
আগাম ভ্রমনের দোয়া করেছেন জেনে ও পোস্টটিকে লাইক করেছেন জেনে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম ও পুলকিত হলাম।
অনিঃশেষ শুভকামনা ও ভালোবাসা আপনাকে ।
১৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০১
নজসু বলেছেন: সমন্বয় নামটা খুব সুন্দর।
প্রথম শুনালাম। নামটা পড়তেই চোখের সামনে চোখের সামনে শান্তশিষ্ট মিষ্টি স্বভাবের ভদ্র একটি ছাত্রের মুখয়ব ভেসে উঠল।
পরের লাইনে এসে নিশ্চিত হলাম ছাত্রটি সত্যিই তাই হবে। কারণ স্যারকে দেখে হেসে পাশ কাটিয়ে যায়।
সালাম/আদাব/ হাই/ হ্যালো কিছু বলে না?
এতো ভালো একটা ছেলের ভাগ্যে কিনা মান্না স্যারের মতো রাগী স্যার পড়েছে।
শ্রেণিতে ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করা চাট্টিখানি কথা নয়। আপনার মতো বাবা বাছা বলা স্যারও মাঝে মাঝে ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন। মান্না স্যার তো রাগী। ক্লাশে না জানি আরও কেমন করেন।
আজকের পর্বটা (৫) খুব মজা নিয়ে পড়লাম। ও স্যার একটু নিচু হও। ও স্যার তুমি তো স্যার। বাচ্চারা খুব বাধ্যগত দেখছি। নালিশ শালিস না করে সত্যি সত্যি ওদের দুষ্টুমিগুলো আপনার উপর প্রয়োগ করছে ।
মজা যতই করি, এই স্যারটিকেই আমার আদর্শ স্যার বলে মনে হচ্ছে।
জীবনের প্রথম রোজগারের টাকা মা বাবার হাতে তুলে দেয়ার আনন্দের চেয়ে আর বড় আনন্দ কি হতে পারে?
একজন সন্তানের কাছে মা বাবারও এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে?
বর্তমান সমাজে চিত্রটা আসলে দুঃখজনক। এমন ঘটনা গল্পে সম্ভব। বাস্তবে থাকলেও তা খুব কম। অবিবাহিত হলে রোজগারের টাকা প্রথম মা বাবার হাতে যাবে এট নিশ্চিত।
ঘরে বউ থাকলে বেতনের টাকাটা পুরোটাই তার হাতে তুলে দিতে হতো (বেশিরভাগ সময়) ।
শেষের প্যারাটা পীড়াদায়ক।
অল্প বেতনের চাকুরীজীবিরা ইচ্ছা থাকলেও পরিবারের সবার মুখের হাসি সমানভাবে ফুটাতে পারেনা।
ছুটিতে ঘুরে আসুন। লেখা দশদিন বিরতি থাক; সমস্যা নাই। আমরা অপেক্ষায় থাকবো।
কিন্তু ছুটির কদিন লগইন থাকবেন তো?
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সুজনভাই,
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সমন্বয় নামটি ভালো লাগায়। নামের সঙ্গে শান্তশিষ্ট মিষ্টি স্বভাবের ছেলেটির আচরণেও তার সদর্থক দিক চোখে পড়লো। এমন ছেলেদের কপালে মান্নাবাবুর মত শিক্ষকদের বরাদ্দ করে পরিচালন সমিতির প্রকৃত রূপটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। খুশি হলাম দেখে যে আপনার সুক্ষদৃষ্টিতে বিষয়টি ধরা পড়েছে। অস্বীকার করবোনা যে এমন পাঠক পেলে যে কোনও লেখকের লেখার স্পৃহা বাড়তে বাধ্য।
আজকের পর্বটি পড়ে মজা পেয়েছেন জেনে আনন্দ পেলাম। এটা ঠিকই বাচ্চারা প্রচন্ড নালিশ প্রবণ।। আবার প্রচন্ড মিশুকে। ছাত্র পড়াতে গেলে নিজেকে ওদের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারলে শ্রেণিকক্ষটি একটি বিনোদন ক্ষেত্রে পরিনত হয়। যদিও সবসময় সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তবুও যতটা হয় আরকি।
বর্তমান সমাজের চিত্রটি সত্যিই দুঃখজনক।। কিন্তু কি চর করা যাবে। এসবের মধ্যে দিয়ে ভালোটা নিয়ে খারাপটাকে যতটা এড়ানো যায় আরকি। প্রথম বেতন বাবা মায়ের হাতে দিলে যে তৃপ্তি সেটা যেমন স্বস্তিদায়ক। ঠিক ততটাই স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করে থাকাটা ততটাই অস্বস্তিদায়ক। এরমধ্যে সেরাটাকে বেছে আমাদের চলতে হবে। ♥♥
ছুটির পরে আবার আসছি। ততদিন একটু অপেক্ষা করুন, প্লীজ। আর যেখানে যাচ্ছি নেট থাকলে লগ ইন হবে বলে আশাকরি ।
সবশেষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও বিমুগ্ধতা প্রিয় সুজনভাইকে।
১৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমি অল্পকিছুদিন শিক্ষকতা করেছি।
ছাত্রদের পড়ানো একটা কঠিন কাজ । সবাই সব সমাল দিয়ে তা পারেনা।
প্রথম বেতনের টাকা দিয়ে সবার জন্য কিছু কেনা/কাটা করা সত্যিই সার জীবনের জন্য দারুন এক অনুভূতি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাইদুলভাই,
আপনি অল্পকিছুদিন শিক্ষকতা করেছেন শুনে খুশি হলাম। অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। পড়ানো সত্যিই সবাই ঠিক মত সমাধা করতে পারেনা।
আর জীবনের প্রথম বেতনের টাকা - সে সারা জীবনের শ্রেষ্ঠ অনুভূতি।
অফুরান শুভকামনা ও ভালোবাসা আপনাকে ।
১৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৬
হাবিব বলেছেন:
পদাতিক ভাইয়া, আপনার লেখা অনেক রাতে দিয়েছেন। তাই পড়তে দেরি হয়ে গেল। ভালো লাগছে, আপনার আগের পর্বগুলোও সময় পেলে পড়ে আসবো। নতুন পর্বের প্রত্যাশায় রইলাম।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় হাবিবভাই ,
আপনার আগমন ও আন্তরিকতাপূর্ণ মন্তব্যে আনন্দ পেলাম। হ্যাঁ , পোস্টটি দিতে কাল একটু বেশি রাত হয়ে গেছিল। গল্প আপনার ভালো লাগছে জেনে খুশি হলাম। সময় নিয়ে আগের পর্বগুলি পড়লে আরও আনন্দ পাবো। নুতন পর্ব পেতে একটু দেরী হবে। আশাকরি এটুকু সময় আমাকে দেবেন । ♥♥
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা আপনাকে ।
১৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২
নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো । বিশেষ করে ক্লাসের বর্ণনা । ++ ++++
শারদ শুভেচ্ছা রইলো
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,
পোস্টটি আপনার ভালো লাগাতে খুশি হলাম। ক্লাসের বর্ননা বেশি ভালো লাগাতে পুলকিত হলাম। সঙ্গে এত্তগুলি প্লাস চিহ্নে ও পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
শুভপঞ্চমীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিয়েন আপুমনি।
১৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪
অন্তরন্তর বলেছেন: খুব সুন্দর করে ছাত্র শিক্ষক কাহিনি লিখার জন্য। সবগুলো পর্ব পরা হয়েছে যদিও অফলাইনে। আমি লগ অফ থাকি বেশি সময় কিন্তু সামু ব্লগের অনেক লিখাই পড়ি। কমেন্ট করা হয়না সাধারণত। লিখার হাত বেশ ভাল আপনার। শুভ কামনা।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ভাই অন্তরন্তর,
আমার ব্লগে আপনার প্রথম কমেন্ট । সুস্বাগতম আপনাকে । যদিও আপনি সবগুলি পর্ব পড়েছেন বলে দাবি করছেন। আনন্দ পেলাম এরকম একজন নিঃশব্দে পদচারীর দেখা পেয়ে। তবে আমাকে কি আপনি বঞ্চিত করলেননা? আমরা আপনাদের একটি মূল্যবান কমেন্ট বা লাইকের জন্য কতনা প্রতীক্ষায় থাকি। যাক আজ যে আমি লাকি, এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আগামীতেও আপনাকে এভাবো পাবো আশাকরি । ♥♥
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা আপনাকে ।
২০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাচ্চাকাচ্চাদের দুষ্টুমি একসময় ভালো লাগতো; এখন বিরক্ত লাগে। বকাঝকা করি, মাঝেমাঝে মারধোর করি। তবুও এদের ঠিক রাখা যায় না। এখনকার ছেলেমেয়েগুলো বড্ড আহ্লাদী। বাপ-মায়ের আদরে একেকটা বাঁদড় হচ্ছে ।
আপনার স্মৃতিচারণমূলক লেখা ভালো লাগছে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় দাদা,
আপনাকে পেয়ে ভীষণ আনন্দ পেলাম। আপনি একটি বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। ডিফার করবোনা আপনার সঙ্গে। তবুও বলবো দাদা মেজাজ হারালে ক্লাস কিন্তু আপনার হাতের বাইরে চলে গেল। কাজেই রাগ হলেও তার বহিপ্রকাশ না করে বরং মুখে হাসি রেখে যেন 'তেমন কিছু হয়নি' মত করে থাকলে ঐ দুষ্টু ছেলেগুলো উল্টে খেই হারিয়ে ফেলে। তবে দাদা আমি আমার মত প্রকাশ করলাম। অন্যভাবে নেবেননা প্লীজ ।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও বিমুগ্ধতা দাদা আপনাকে ।
২১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি সাধারণত বড় লেখা পড়তে চাই না, আসলে এখন পড়ার ব্যাপারে ধৈর্য্য আমার অনেকটা কমে গেছে। তবু পড়লাম আপনার পুরো লেখাটা। বলতে পারেন এক নিঃশ্বাসে পড়ে নিয়েছি। পঞ্চম শ্রণীর বাচ্চাদের পড়ানোটা অনেক ধৈর্য্যের বিষয়। আপনি যেভাবে ওদের বন্ধু বনে গেলেন বলা যায় সেখানটায় আপনি পুরোপুরি সফল।
কলকাতার রাইটাররা বরাবরই সফল রাইটার হয়, আপনিও তেমনি...........শুভ কামনা সব সময়।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় সাদা মনেরভাই,
আপনার প্রকৃতি বিরোধী কাজ করানোর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার বড় লেখা পড়তে অধৈর্য্য লাগে যখন জোর করে পড়ার দরকার কি। তবে সাথেসাথে একথাও বলবো এমন একজন প্রকৃতি বিরোধী মানুষকে যদি তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুক্ষণ চালিত করা যায় তাহলে নেহাৎ মন্দ লাগেনা। ♥♥
আগামীতে আর আপনাকে এভাবে আটকাতে হয়তো পারবোনা, কিন্তু আজকে যেটা পেলাম সেটাই আমার বড় প্রাপ্তি ।
আর বাচ্চাদের সামলানো সত্যিই বেশ ধৈর্য্যের দরকার। আমি নিজে অবশ্য পারিনা। তবে গল্পের বক্তা অর্থাৎ আমার বন্ধু অবশ্য সামলিয়েছে। হা হা,হা।
আর কলকাতা - ঢাকা বলে আলাদা কোনও অনুভূতি আমার মনে হয়না। সাহিত্যের কোনও নির্দিষ্ট বেড়া নেই, নেই কোনও রাজনৈতিক চোখ - রাঙানিও। সে চলবে সম্পূর্ণ স্রোতস্বিনীর ন্যায়। আমরা বরং যে যেখানেই থাকি এই স্রোতস্বিনীর তরঙ্গে নিজেদেরকে তরঙ্গায়িত করি।
অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় ভাইজানকে।
২২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ভাইজান,
সামনাসামনি যখন দেখা হচ্ছেনা তখন ছবিতেই চা- যোগ সম্পন্ন করলাম। তবে আপনার সঙ্গে আমার বারাসাতে নিশ্চিত দেখা হবে। আমি সেই প্রহর গুনছি। দোয়া করছি - সাবধানে ঘুরে আসুন মালদ্বীপ , শ্রীলংকা থেকে। আমরাও আপনার মোহময় পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
অন্তরের শুভেচ্ছা ও বিমুগ্ধতা আপনাকে ।
২৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: পুজার ছুটি বেশ ভালো কাটুক।
পর্ব ভালো লাগলো গুরু।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ফাহিমভাই,
আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম। পূজাবকাশ ভালো কাটার দোয়া করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। পর্বটি পড়ে ভালো লাগার জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাই ।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন ।
২৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩০
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভাইয়া কেমন আছেন?
আপনার সিরিজটা ভালো লাগছে। জীবন স্মৃতি....আপনার লেখা পড়লে বোঝা যায়, আপনি নিয়মিত লিখেন (চর্চা রাখেন)।
চালিয়ে যান ভাই।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পরে আমার আরেক ছোট্ট ভাইটিকে দেখে ভীষণ আনন্দ পেলাম। গত পোস্টে তুমি একটি লাইক দিয়ে উপস্থিতির জানান দিয়েছিলে। এ পোস্টেি তোমার লাইক বাটন পেয়ে মনে হয়েছিল আজও তুমি উপস্থিতি জানান দিয়েছ । কিন্তুভাব আজ হিসাবটা একটু বদলে দিলে ।
আমি উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছি। তোমার পড়াশোনা ও বাড়ির সকলে কেমন আছে? তবে একটি কথা এসমটা পড়াশোনার সময়। তোমাকে আরও দুটি জায়গায় কমেন্টে দেখলাম। ব্লগিং নিশ্চয় করবে, কিন্তু পড়াশোনা সবার আগে। তুমি আমাকে তিন বছর লগ ইন করবেনা বলেছিলে। ঠিক আছে অতটা কড়া প্রতিজ্ঞা না করলেও অফটাইমে কর ক্ষতি নেই।
আর লেখা ছাড়তে পারি? আমার ছোট্ট ভাইটি যে হাজার পড়াশোনার চাপ সামলিয়েও ব্লগে ভাইয়াদের পোস্টে চোখ রাখে। তোমাদের জন্যইতো আমাদের কলম হাতে নেওয়া। ♥♥♥ ♥
অনেক অনেক শুভকামনা,ও বিমুগ্ধ ভালোবাসা আমার ছোট্টভাইটিকে।
২৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:৫২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি ভাবছি কোন একদিন আপনার সাথে আমার দেখা হবেই।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল প্রিয় সাদা মনেরভাই,
আমিও আশাবাদী নিশ্চয় একদিন আপনার সঙ্গে আমার দেখা হবে। আমি সেদনের অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভকামনা ও ভালোবাসা আপনাকে ।
২৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭
সূর্যালোক । বলেছেন: খুঁবে বের করে পড়লাম বেশ কয়েকজনের লেখা । আপনারটাও পড়লাম । মুগ্ধতা রইল । পরের পর্বের অপেক্ষায় ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু,
কষ্ট করে খুঁজে বের করে পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। লেখাটি ভালো লেগেছে বা মুগ্ধ হয়েছেন জেনে আপ্লুত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে আনন্দ পেলাম।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।
২৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩
সূর্যালোক । বলেছেন: পোস্টে লাইক
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু,
পোস্টটিকে লাইক দেওয়াতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। আবারও কৃতজ্ঞতা আপনাকে ।
শুভেচ্ছা অফুরান।
২৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ছাত্রদের নালিশ জানানোর কাহিনীগুলো পড়ে খুব মজা পেলাম
যতটুকুই হোক, নিজের আয়ের টাকায় পরিবারের জন্য কিছু কেনা সে এক অন্যরকম আনন্দ। তবে গল্পের নায়ক যে বাবা মা এর জন্য পারলেও বোনের জন্য কিছু কিনতে পারেনি তাতে মন কেমন লাগলো কিন্তু এগুলোই যে বাস্তবতা ।
পূজার ছুটিতে ভাইয়ার দিনগুলো পরিবারের সাথে আনন্দে কাটুক এই কামনা ।
তারপর পরের পর্বে নিশ্চয় শেফালী ম্যাডাম আর মিলি দির দেখা পাচ্ছি ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা , এতক্ষণে বোনের দেখা পেলাম।
ছাত্রদের নালিশ জানানোর কাহিনী পড়ে বোন মজা পাওয়াতে ভাইয়াও আনন্দিত।
ঠিকইতো নিজের টাকায় পরিবারের জন্য কিছু কেনার আনন্দই আলাদা। তবে গল্পের নায়ক প্রথমবার বোনের জন্য পার্থিব কিছুু কিনতে পারিনি সত্য কিন্তু বোনের হৃদয়টা যে নিজের অন্তরের মনিকোটায় স্থান দিয়েছে। তবে পরেরবার অবশ্য একটা ফ্রক পেয়েছিল ।
ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে একটু ঘুরতে যাচ্ছি ঠিকই কিন্তু ব্লগে বোনদের পাবোনা ভেবে একটু বিষন্ন আছি। ♥♥
আর পরেরদিকে আস্তে আস্তে সবাই আসবে। একটু সময় চাইছি।
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় ছোট্টবোনটিকে।
২৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
তুমি কেমন করে এমন তরো দারুন লেখো গুনি
সবে মুগ্ধ পাঠে, অবাক ভাবে-
আরে এতো আমারই কথা আমি তাহারে চিনি!
প্রিয় পদাতিক দা'
সত্যি অভিভূত! মুগ্ধ!
আমার পিতা শিক্ষক ছিলেন ।আমার খুব খুব খুব ইচ্ছা ছিল শিক্ষক হবার। গ্রাজুয়েশনের পর অন্তত তিনটি স্কুলে লিখিত পরীক্ষায় প্রথম হয়েও হয়ে ওঠেনি! শেষটায়েতা লিখিত, মৌখিক দুটোতেই প্রথম হবার পরো যখন টাকা চাইল -সরাসরি না করে দিলাম।
আবার তারা পরামর্শ করে পরিমান অর্ধেক করে দিল। তাও দেইনি!
পরে ২য় ছেলেটি তাদের চাহিদার দ্বিগুন দিয়েই চাকুরি নিয়েছে।
প্যাসনতো মরে না। ফাঁকে এক বেসরকারী স্কুলে মাস ছয়েক ক্লাস নিয়েছিলাম। মাত্র ছ মাসেই সব ক্লাশের ছাত্রদের
আমার প্রতি টান আর আমার ক্লাশের অপেক্ষায় থাকা দেখে প্রিন্সিপাল মহোদয় মনে হয় ঘাবরে গেছিলেন
স্কুল ভেঙ্গে স্কুল করার একটা কালচার আছে না- তাতেই বোধকরি ভয় পেয়েছিলেন! সেই শেষ!
আর যাইনি।
তবে মনের গহনে কুড়ে কুড়ে খায় সে যাতনা! তাই আপনার অভিজ্ঞতা গুলো একদম ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়!
আর পারিবারিক অংশতো একেবারে যেন ঘরে বসে দেখা সত্যের মতো। মধ্যবিত্তের চিরচেনা কষ্টের সাথে সততা আর স্বপ্নের পাঁচফোড়নের সম্ভার!
অপেক্ষার মধুর জ্বালায় রইলাম
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবিভাই,
আপনার অপেক্ষায় চেয়েছিলাম এতক্ষণ । গতকয়েকদিনে ব্লগেও আপনার উপস্থিতি তেমন চোখে পড়েনি। কাজেই ধরে নিয়েছিলাম খুব ব্যস্ত আছেন। গতকাল আপনার জন্মদিন ছিল। প্রথমেই জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাই । বাকি বসন্তগুলি আপনার দেহ মনের উৎকর্ষতার পরিপূর্ণতা পাক। সৌরভে সুরভীত হোক। আমরা ব্লগে বসে যেন সে সুবাস উপভোগ করতে পারি - উপরওয়ালার কাছে রইল মোর আকুতি ।
৩০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
তুমি কেমন করে এমন তরো দারুন লেখো গুনি
সবে মুগ্ধ পাঠে, অবাক ভাবে-
আরে এতো আমারই কথা আমি তাহারে চিনি!
প্রিয় পদাতিক দা'
সত্যি অভিভূত! মুগ্ধ!
আমার পিতা শিক্ষক ছিলেন ।আমার খুব খুব খুব ইচ্ছা ছিল শিক্ষক হবার। গ্রাজুয়েশনের পর অন্তত তিনটি স্কুলে লিখিত পরীক্ষায় প্রথম হয়েও হয়ে ওঠেনি! শেষটায়েতা লিখিত, মৌখিক দুটোতেই প্রথম হবার পরো যখন টাকা চাইল -সরাসরি না করে দিলাম।
আবার তারা পরামর্শ করে পরিমান অর্ধেক করে দিল। তাও দেইনি!
পরে ২য় ছেলেটি তাদের চাহিদার দ্বিগুন দিয়েই চাকুরি নিয়েছে।
প্যাসনতো মরে না। ফাঁকে এক বেসরকারী স্কুলে মাস ছয়েক ক্লাস নিয়েছিলাম। মাত্র ছ মাসেই সব ক্লাশের ছাত্রদের
আমার প্রতি টান আর আমার ক্লাশের অপেক্ষায় থাকা দেখে প্রিন্সিপাল মহোদয় মনে হয় ঘাবরে গেছিলেন
স্কুল ভেঙ্গে স্কুল করার একটা কালচার আছে না- তাতেই বোধকরি ভয় পেয়েছিলেন! সেই শেষ!
আর যাইনি।
তবে মনের গহনে কুড়ে কুড়ে খায় সে যাতনা! তাই আপনার অভিজ্ঞতা গুলো একদম ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়!
আর পারিবারিক অংশতো একেবারে যেন ঘরে বসে দেখা সত্যের মতো। মধ্যবিত্তের চিরচেনা কষ্টের সাথে সততা আর স্বপ্নের পাঁচফোড়নের সম্ভার!
অপেক্ষার মধুর জ্বালায় রইলাম
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহারে!! কবিভাইজান, আপনার মুগ্ধতা মানে আমার তো চাঁদ হাতে পাওয়া।
" তুমি কেমন করে এমন তরো দারুন লেখো গুনি
সবে মুগ্ধ পাঠে, অবাক ভাবে -
আরে এতো আমারই কথা আমি তাহারে চিনি! "
আহা আহা আহা! তাহলে সেই কথাই বলতে হয়,
" মন্ত্রী কহে, আমারো ছিল মনে,
কেমনে বেটা পেরেছে সেটা জানতে। "
হা হা হা, টেলিপ্যাথিতে আমি আপনার মনের কথা পেরেছি যে জানতে।
আপনার শিক্ষক পিতাকে সর্বাগ্রে আমার সহস্র প্রনাম । আপনিও সেই পারিবারিক পেশাতে নিষ্ঠার সাথে ঢুকতে গিয়ে বারে বারে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। এক্ষেত্রে যোগ্যতা নয়,টাকাপয়সা যেন হয়ে গেছে মাপকাঠি । তবে যে মূল্যবোধ আপনি পারিবারিক ঐতিহ্য হিসাবে পেয়েছেন, সেখানে সঠিকভাবে এহেন অনৈতিকতার সঙ্গে যে আপোষ করেননি সেটাই আপনাকে মাথা উঁচু করে বাঁচিয়ে রেখেছে। আপনার নিকটির মধ্যে আপনার কবিতার মধ্যে আপনার কমেন্টের মধ্যে যার প্রকাশ আমরা পাই। সাথে একটি কথা বলবো, শিক্ষক যদি শুধু শ্রেণিকক্ষের মধ্যে আবদ্ধ থাকেন তাহলে সেই শিক্ষক অনেকটা বদ্ধ জলাশয়ের ন্যায়। সেদিক দিয়ে আমাদের সমাজে অনেক গুনি মানুষজন আছেন যারা হয়তো কোনও শ্রেণিকক্ষে পড়াননা, কিন্তু গোটা সমাজকে প্রতিনিয়ত শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা কুর্নিস করি এৃমন সমাজের শিক্ষকের প্রতি। নাই বা হল চার দেওয়ালের শ্রেণিকক্ষ ব্লগে আমরা বহু গুণমুগ্ধ ছাত্র প্রতিনিয়ত একটি কবিতার জন্য অপেক্ষা করি, য়ে কবিতার প্রতিটি ছত্রে ছত্রে তুলে ধরা থাকে কোনও না কেনও মেসেজ ।
কাজেই যাতনা একেবারেই নয়, আমরা রব চিরকাল আপনার ব্লগিও ছাত্র হয়ে। হা হা হা ♥♥
আর পারিবারিক অংশটা নিম্নবিত্ত বাঙালি পরিবারের একটি চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কতটা পেরেছি বিচার করবেন আপনারা।
" মধুর জ্বালা " যদি মধুর অপেক্ষায় হয় তাহলে আপাতত দিন দশেক সময় ভিক্ষে চাইছি.......
পোস্টটিকে লাইক করায় অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
সবশেষে অফুরান শুভকামনা ও বিমুগ্ধতা আপনাকে।
৩১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: দ্বিতীয় অংশটি সত্যি মুগ্ধ করার মতো। মায়েদের পুরাতন জামা কাপড় সেলাই করা, বাবার শাসন, মায়ের ত্যাগ, আশা সবই আমাদের " বাঙলার" মায়েদেরই সাম্যক চিত্র ফুঁটে উঠেছে। অনেক দিন পর এমন "মা ও মাটির" গন্ধযুক্ত লেখা পড়লাম। এ পর্বে প্রেম নাই তাতে কি? মায়ের প্রতি ছেলের, আর ছেলের প্রতি মায়ের এ প্রেম পৃথিবীর সব ভালবাসাকে হার মানায়।
শেফালী ম্যাডামের প্রেম ভালোবাসা ছাড়িয়ে উঠে এই পর্ব টা দারুন হয়েছে......
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীলআকাভাই,
আপনার সুন্দর পর্যবেক্ষনে মুগ্ধ হলাম। আহা! এমন মাটির গন্ধ যুৃক্ত মা মাটির বিশেষণে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে । গল্পে হয়তো প্রেম পেলেননা ঠিকই তবে মা ছেলের অমর প্রেম কাহিনীকে ধরতে পেরেছেন - এতে খুশি হলাম। গল্পের নেপথ্যে শেফালী ম্যাডামের লুকানো প্রমের যে সন্ধান পেলেন তাতে আবারো ধন্যবাদ জানাই । মোটের উপর পর্বটা দারুণ লাগাতে আবারো আনন্দ পেলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।
৩২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আগেই লেখাটি চোঁখে পড়েছিল কিন্তু মাথা ধরায় তখন আর পড়া হয়নি।
গত পর্বে যে ভাবে শেষ করেছিলেন তাতে মনে করেছিলাম এ পর্বে তার পর থেকেই শুরু হবে।তবে তা না হলেও এবারের পর্বটাও অনেক সুন্দর হয়েছে।
এখন দেখি গল্পের নায়িকারা কখন ফিরে আসে।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সোহেলভাই,
মাথা ধরার কারনে আগে পড়েননি তো কোনও সমস্যা নাই। আপনি যখন পরে আসবেন বলে মনস্থ করেছেন তখন আবার ভাবনা কিসের। যাক গত পর্ব যেখানে শেষ হয়েছিল এ পর্ব তার পর থেকে শুরু হবে বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখলেন একেবারে নুতম। তাইতো!! হা হা হা। এখন সত্যিই অপেক্ষর গল্পের নায়ক - নায়িকারা কখন আসেন? হ্যাঁ ভাই, একটু ধৈর্য্য ধরেন, ঠিক একেএকে সামনে চলে আসবে। আগামী পর্বে এভাবে পাশে থাকার জন্য আনন্দ পেলাম।
পোস্টটিকে লাইক দিয়ে অনুপ্রেরণস দেওয়াতে কৃতজ্ঞতা জানাই ।
অফুরান শুভকামনা ও ভালোবাসা আপনাকে ।
৩৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১২
শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক ক্লাসরুমে বাচ্চাদের বন্ধুদের মতো ম্যানেজ করার ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে। তবে শেষে মায়ের কথা, বিশেষ করে শেষের প্যারাগ্রাফটা পড়ে মন আর্দ্র হয়ে গেলো।
আপনি খুব ভালো লেখেন। পাঠকের মনকে ছুঁতে পারাতেই লেখার সার্থকতা।
শুভ শারদীয়া। সুন্দর কাটুক পরিবারের সাথে পূজোর উৎসবের সময়টা।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,
আপনার মন্তব্য মানে আমার কাছে আলাদা ভালো লাগা। বাচ্চাদের ম্যানেজ করার দৃশ্য আপনার ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম। তবপ শেষ প্যারাতে মায়ের কথাতে মন আদ্র হয়েছে শুনে আপনার আবেগপ্রবণ মনের পরিচয় পেলাম। আসলে গ্রামবাংলায় এরকম হাজারো মায়েদের নিত্যকার ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কতটা সার্থক ভাবে তুলে ধরতে পেরেছি জানিনা, তবে আপনাদের এমন কমেন্টগুলি যে আমাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে তা বলা বাহুল্য ।
শারদীয়ার শুভেচ্ছা নিলাম। আপনাকেও জানাই আপু শারদীয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
সঙ্গে বিনম্র শ্রদ্ধা নিয়েন।
৩৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। সর্বদা ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপুনির আবার আসাতে ভীষণ আনন্দ পেলাম। আপনার আন্তরিকতাপূর্ণ দোয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই ।
আপনাকেও জানাই আমার অন্তরের প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
৩৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে কেবলই মুগ্ধতা বাড়ছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে যেভাবে বন্ধুত্ব করলেন, আবার পরিবারের জন্য আপনার যে মমতা- তা এত চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
পরবর্তী পর্বের জন্য এখন অপেক্ষা, মনে হচ্ছে দশ দিন অনেক দীর্ঘ সময়।
ছুটিটা আনন্দময় হোক, শুভকামনা রইল।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,
যাদের না পেলে পোস্ট যেন সম্পূর্ণতা পায়না, আপনি আমার কাছে তাদের অন্যতম। এক্ষনে আপনার দেখা পেয়ে মনে শান্তি পেলাম। তার উপরে অমন সুন্দর কমেন্টে মুগ্ধ হলাম। আসলে নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখেছি বয়স যেটাই হোক বন্ধুত্ব করলে ছাত্রদের যতটা নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং ওদের মনের মধ্যে প্রবেশ করা যায়, অন্য কোনও ভাবে সেটা সম্ভব হয়না। অবশ্য এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত জানালাম। আমার এই সিরিজে আরও একটি এরকম পর্ব আছে। সুযোগমত একে একে সব পর্বগুলি পরিবেশিত হবে। প্লীজ আপুনি সঙ্গে থাকবেন।
পরবর্তী পর্বের জন্য একটু সময় প্রার্থনা করছি। আশাকরি আপনারা আমাকে নিরাশ করবেননা।
পোস্টটিকে লাইক দেওয়াতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপুনিকে।
সবশেষে বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে।
৩৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি ,
নিম্নবিত্তের কড়চা । এদের স্বপ্ন কখনও হাতের নাগাল হয়না !
বেশ ফুটিয়ে তুলেছেন পিচ্চি পিচ্চি ছাত্র আর নিতান্ত ছাপোষা এক শিক্ষকের মধ্যেকার সুমধুর সম্পর্ক ।
৪র্থ পর্বে ছিলো দেয়াল লিখন । দেয়ালের লিখন মাস্টারমশাইয়ের হয়তো বোঝা হয়নি কিন্তু মাস্টারমশাইয়ের কপালের লিখন বুঝবে পাঠক কবে ? সে কপালে কখন শেফালী ম্যাডামের নাম লেখা হবে এবং তা কোন ভাষায় ?
শারদীয় শুভেচ্ছা ।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এসভাই,
এতদিন পর্যন্ত আমি আপনাকে কমেন্টের প্রকৃতি অনুযায়ী অনেকটা দূরে মান্যবরেষুর জায়গায় বসিয়েছিলাম। কিন্তু আজ আপনার কমেন্ট পেয়ে মনের সেই কল্পিত দেওয়াল ভেঙে একেবারে বন্ধুতে পরিনত হলাম। হা হা হা। আমিও আপনাদের মত শেফালীদিদিমনির আশাতে বসে থাকি ডাইনিংরুমে। কিন্তু একেরপর এক সব ঘটনা চোখের সামনে ঘটছে। তবে নিশ্চিত চক্রাকারে একসময় আমার অপেক্ষার অবসান হবে , অবসান হবে আপনাদেরও। শেফালীদিদিমনিকে আসতেই হবে। ততক্ষণে আমরা সবাই মিলে একটু অপেক্ষা করি।
পরবর্তী পর্বে আপনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম। ২৭:তারিখে বাড়ি ফিরছি। ২৯/৩০ তারিখে আশাকরি পরের পর্ব দিতে পারবো।
শুভকামনা ও বিমুগ্ধতা আপনাকে ।
৩৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫
এ.এস বাশার বলেছেন: অসধারন হয়েছে লেখা...
প্রিয় পদাতিক ভাই খুব উপভোগ করলাম....দুষ্ট মিষ্ট ছাত্রদের মিষ্ট মিষ্ট দুষ্টুমি, মা বাবা শ্রদ্ধা ভালোবাসা বোনের প্রতি ভায়ের স্নেহ , বোনকে কিছু একটা দিতে না পারার আকুতি... আহা মন একদম সিক্ত হয়ে গেল ।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম....আপনার সুস্থতা কামনা করি....
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় বাশারভাই,
আপনার এমন প্রশংসাসূচক কমেন্ট পেয়ে মুগ্ধ হলাম। আপনি গল্পটি পড়ে উপভোগ করলেন জেনে আমিও আনন্দিত । আপনার দৃষ্টিতে , " দুষ্ট মিষ্ট ছাত্রদের মিষ্ট মিষ্ট দুষ্টুমি। " কথাটি দেখে ভীষণ মজা পেয়েছি । আর কমেন্টের বাকি অংশ যে আপনার সিক্ত মনের বহিপ্রকাশ তা জেনে আমিও আবার সিক্ত হয়েছি।
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে খুশি হলাম। তবে আমি ফিরবো ২৭ তারিখে। কাজেই ২৯ / ৩০ এর আগে ব্লগে সময় দিতে পারবো বলে মনে হচ্ছেনা। প্লীজ একটু অপেক্ষা করুন।
শুভকামনা ও ভালোবাসা আপনাকে ।
৩৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি ,
প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
মরীচিকা মানেই তো ধূ-ধূ বালিয়ারীর ওপারে এক জলভ্রান্তি যে জল থেকে যায় অধরা-ই । শেফালীও হয়তো তেমন অধরা । কিন্তু ভ্রান্তি জেনেও তো পিপাসার্ত কেউ সেই মরীচিকার পেছনেই ছোটে , তর সয়না তার । খুঁজে খুঁজে মরে ।
পাঠরাও সেই শেফালীকেই খুঁজছে মরীচিকার পেছনে । তাই আগের মন্তব্যটিতে শেফালীকেই দেখার কথা বলেছি ।
আর ব্লগে আমরা সবাই একটি পরিবারের । আমি তাই আপনাদেরই একজন ।
শারদীয় শুভেচ্ছা ।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল প্রিয় জি এসভাই,
আপনার প্রতিমন্তব্যে আবার আসাতে আনন্দ পেলাম । আপনার কথায়, " মরীচিকা মানেই তো ধূ - ধূ বালিয়ারীর ওপারে এক জলভ্রান্তি যে জল থেকে যায় অধারা- ই। শেফালীও হয়তো তেমন অধরা। কিন্তু ভ্রান্তি জেনেও তো পিপাসার্ত কেউ সেই মরীচিকার পেছনে ছোটে, তর সয়না তার। খুঁজে খুঁজে মরে। পাঠকরাও সেই শেফালীকেই খুঁজছে মরীচিকার পেছনে। তাই আগের মন্তব্যটিতে শেফালীকেই দেখার কথা বলেছি। "' যাক প্রতিমন্তব্য না এলে এমন সুন্দর অভিব্যক্তির যে প্রকাশ পেতোনা। পুলকিত হলাম আপনার সুন্দর কমেন্টে। ছুটির পরে পরবর্তী পর্বে কিছুটা আভাষ পাবেন বলে আশাকরি ।
আপনার সঙ্গে আমিও একমত " ব্লগে আমরা একটি পটিবারের " মত। তাই আপনি আমাদের - ই একজন। হা হা হা। নিজের বাড়িতে আমরা সবাই যে ভাইভাই।
সবশেষে অনেক শুভকামনা ও বিমুগ্ধতা আপনাকে।
৩৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৭
নজসু বলেছেন: অবকাশ কেমন কাটলো?
প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানোর মজাই আলাদা।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সুজন ভাই,
আপনার খোঁজ নিতে আসাতে আনন্দ পেলাম । তবে এখনো অবকাশ শেষ হয়নি। আমরা এখনো গোপালপুর বিচে আছি । 27 তারিখে বাড়ি ফিরব । গিয়েই পরবর্তী পর্ব পোস্ট করব ।
অফুরান শুভেচ্ছা রইল ।
৪০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪
বিজন রয় বলেছেন: আপনার লেখায় বাঙালিত্বের স্বাদ পাই বড়, সত্যিই।
উৎসর্গ সঠিক লোককেই হয়েছে।
পূজা ভালভাবে কাটুক।
শুভকামনা।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন ধরে আপনাকে খুঁজে আছিলাম দাদা । আজ দেখা পেয়ে আনন্দ পেলাম । সঙ্গে এমন কমেন্ট ও পোস্টে লাইক করার অনুপ্রেরণা পেলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে । উৎসর্গ সঠিক ব্যক্তিকে হয়েছে জেনে পুলকিত হলাম । শারদীয় শুভেচ্ছা জানাতে আনন্দিত হলাম ।
আপনাকেও অনেক শুভকামনা ভালোবাসা জানবেন দাদা ।
৪১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কি একজন ভালো শিক্ষক?
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্টটিকে পড়ে কি আপনার আমাকে ভালো শিক্ষক বলে মনে হচ্ছে ?? শিক্ষক হিসেবে পরের দিকে গল্পের বক্তা ক্রমশ ফাঁকিবাজ হয়ে উঠেছিলেন । এখন আর উনি ওখানে চাকরী করেন না । ধন্যবাদ আপনাকে ।
৪২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫৭
মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: অনেকদিন ব্লগে ছিলাম না। পর্ব সবগুল পড়া হয়েছে কিনা সেটাও মনে করতে পারছি না।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার ব্যস্ততা র অবসান হোক কামনা করি । আশা করি সব পোস্টগুলো পড়ে পরে কমেন্ট করবেন । শুভকামনা রইল ।
৪৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১৬
রাকু হাসান বলেছেন:
ভাইয়ের সাথে কথা নাই বেশ ক’দিন । কেমন আছ ভাইয়া । ছুটি কেমন কাটছে ? ভাইপোটা কেমন আছে ?
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাখু ,
আশা করি ভালো আছো । আমিও তোমাদের দোয়ায় ভালো আছি । তবে এখনো তোমার ভাইপো /ভাবিজি কে নিয়ে উড়িষ্যায় ঘুরে বেড়াচ্ছি । আগামীকাল সন্ধ্যেতে ট্রেন আছে। পরের দিন সকালে কলকাতায় পৌঁছাব । ভাইফোঁটা আমাদের হয় না ।
অপুরন শুভকামনা আমার ছোট্ট ভাইটিকে ।
৪৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০২
জুন বলেছেন: পদাতিক চোধুরী এবারের পর্বটি আগেই পড়েছি কিন্ত বিভিন্ন কারনে মন্তব্য করতে পারিনি বলে আমি দুঃখিত । অত্যন্ত সাবলীল এবং সুখপাঠ্য লেখাটি পড়তে পড়তে সবগুলো দৃশ্য যেন চোখের সামনে ভেসে উঠলো । আপনি ছাত্রদের হাতে কলমের খোচা খেয়েছেন আর আমি আমার প্রাইভেট টিচার দীলিপ স্যারের কাছে
দেখলেন তো আমার কথায় ডাইনিং আর শেফালী ম্যডাম ছাড়ায় এই পর্বটি কত পাঠক প্রিয় হলো
আমাকে উৎসর্গ করায় অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন । পরের পর্ব কবে পাবো ?
@ কাউসার চৌধুরী ব্লগে আমার কিন্ত ভ্রমন কাহীনি বাদে অনেক ছোট গল্প কবিতা ফিচার ও আছে । আশাকরি তাতে একবার নজর দিবেন তাহলেই বুঝবেন আমি শুধু বতুতাই নই
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:৩৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অবশেষে আপুকে পেয়ে আনন্দিত হলাম । দৈনন্দিন কর্ম ব্যস্ততার কারণে এমন হয়েই থাকে । তবুও সব সমস্যা মিটিয়ে আপনি যেএসেছেন এটাই আমার বড় প্রাপ্তি । লেখা টি সাবলীল ও সুখপাঠ্য হওয়াই ও আপনার সামনে সব দৃশ্য ভেসে ওঠায় অত্যন্ত আনন্দিত হলাম । আপনার প্রাইভেট টিউটর দিলীপ স্যার এর কথা জেনে কষ্ট পেলাম ।
পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগতে আমিও আনন্দিত । পরের পর্ব টি খুব শীঘ্রই দিয়ে দিব । আপনি সঙ্গে আছেন জেনে আননদিত হলাম । পোস্ট টিকে লাইক করায় অনুপ্রেরণা পেলাম ।
আমি আপনার সব ধরনের পোষ্ট এর নিয়মিত পাঠক । কাউসার ভাইও সেরকম বলতে চেয়েছেন হয়তো । বাকি কমেন্ট সম্পর্কে হা হা হা ।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুকে ।
৪৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪০
আখেনাটেন বলেছেন: 'ও স্যার একটু নিচু হও'--- পড়ে বেশ হাসলাম।
নালিশের ধরণ তো ইনোভেটিভ।
চমৎকার এই লেখাগুলোর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে পদাতিক দা।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা । আপনার চমৎকার জায়গাটি কোটেড করার মুগ্ধ হলাম । সঙ্গে পোস্টটিকে লাইক করায় ও চমৎকার লাগায় অনেক অনুপ্রাণিত হলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।
পরবর্তী পর্বটি গতকাল পোস্ট করেছি ,সময় পেলে দেখার অনুরোধ রইল ।
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় আখেনাটেন ভাইকে ।
৪৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৩
জুন বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী,
দৈনিক ব্যস্ততায় নয়, ব্লগে আমার অনুপস্থিতি অসুস্থতাজনিত কারনে ।
এখনো যাকে বলে পুরোদমে সুস্থ হইনি, তবে আপনাদের আকর্ষনীয় লেখাগুলোর টানে ফিরে ফিরে আসি।
আপনার এই লেখা আমার প্রিয়তে আছে তা বলেছি কি !
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু প্রিয় আপু,
খবরটা শুনে কষ্ট পেলাম যে আপনি ব্যস্ততার কারণে নয় অসুস্থতার জন্য অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন । আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠুন । আপনার দেহ-মনের দ্রুত সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ কামনা করি । এত অসুস্থতার মধ্যেও যে ভাইকে জানিয়ে যাচ্ছেন এতে আনন্দ পেলাম। তবে নেট বা কম্পিউটারের সামনে বেশিক্ষণ না বসে থাকাই ভালো। ব্লগে তাহলে আপনার সঙ্গে চঞ্চল হরিণী আপু, ডক্টর আলী ভাই এবং সোনাবীজ ভাই এরা প্রত্যেকেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন । আমাদের মনটিও ভালো নেই , আমরা আপনাদের প্রচন্ড মিস করছি । দ্রুত সুস্থ হন আমরা অপেক্ষায় থাকবো ।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুকে ......
৪৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০২
মাহের ইসলাম বলেছেন: যথারীতি ভালো লেগেছে।
কমেন্ট করতে গিয়ে স্ক্রল ডাউন করতে করতে প্রায় টায়ার্ড।
এত্তো কমেন্ট !
পরের পর্ব পড়তে যাচ্ছি, তাই আর কিছু লিখলাম না।
ভালো থাকবেন।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহির ভাই,
অনেকদিন ব্যস্ত ছিলেন বলে আমার পোস্টে আসতে পারেননি অনেকটা জমে গেছে। আবে তাড়াহুড়ো নয় আপনি যদি সময় পান পড়ে মন্তব্য করবেন আমি আনন্দ পাব।
পরের পর্বে আমি অবশ্যই অপেক্ষা করবো আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য পেতে।
শুভ কামনা ও বিমুগ্ধ ভালোবাসা প্রিয় মায়ের ভাইকে ।
৪৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০
প্রামানিক বলেছেন: এই পর্ব পড়েও বেশ মজা পেলাম। ধন্যবাদ পদাতিক দা।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় প্রামানিক ভাই,
পুরনো পোস্ট ব্যস্ততার মধ্যেও যে সময় করে পড়েছেন , এ জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
৪৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আবেগময় ...
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার ছোট্ট মন্তব্যে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
৫০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০
ফয়সাল রকি বলেছেন: ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কটা ভালই লাগলো।
আজ বোধহয় আর পড়া হবে না, তবে বাদ যাবে না কোনোটা ইনশাল্লাহ।
++++
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় রকিভাই,
পোস্টটির পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ। এত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও যে আপনি এতক্ষণ ধরে আমার পোস্টে ছিলেন তাতে মুগ্ধ হলাম। যে কারণে আপনার ব্যস্ততার কারণে চলে যাওয়াতে আমার হার্দিক অভিনন্দন জানাই। আবার যদি সময় পান তাহলে আসার অনুরোধ রইল। যদিও মন্তব্যে আপনি সে কথা উল্লেখ করেছেন।
পোস্টটিকে লাইক করাতে ও এতগুলি প্লাসে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।
বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা জানবেন।
৫১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩১
মুক্তা নীল বলেছেন: দাদা,যতই পড়ছি ততই পড়ার নেশা জাগছে। লেখকের শিক্ষক সুলভ আচরন, বাচ্চাদের ভালোবাসার দাবিদার। এটা শিক্ষকের বিশেষ অর্জন।
আর ঐযে বলেছিলাম, মধ্যবিওের ছাপোসা জীবন। ঠিক তার আভাস পেলাম। একজন সন্তানের দায়িত্ব আর বাবা মা'র অধিকার এর পাওনা কি গভীরভাবে ভাবেই না ফুটে উঠেছে।
আর ছোট বোন সে যে বড়ই আদরের মুখ দেখেই মন বুঝে....
অসাধারণ ভালো লাগা রইলো।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মুক্তা আপু,
নতুন পোস্ট নিয়ে একটু বেশি ব্যস্ত থাকাতে আপনার কমেন্টগুলির উত্তর বিলম্বিত দেওয়াতে ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার আন্তরিক মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। বক্তার শিক্ষক সুলভ আচরণ ও বাচ্চাদের ভালো লাগার দিকগুলি আপনার নজরে পড়াতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি গল্পটি পড়ে খুব সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন । মোটের উপর মধ্যবিত্ত ছা-পোষা জীবন বৈকি। একজন সন্তানের দায়িত্ব তার বাবা মার অধিকার এর পাওনা কি এটা গভীরভাবে আপনার দৃষ্টিতে ফুটিয়ে তুলতে পারার জন্য আপ্লূত হলাম ।
ছোট বোন ! ঠিকই তো সে যে বড় আদরের ছোট বোন। মান্না দের গানটি যে বড্ড অনুরণিত হয় কানে।
পোস্টটিকে like' করাতে ও আপনার ' অসাধারণ ' মনে হওয়াতে অনেক অনেক অনুপ্রাণিত হলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
৫২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ছোট ছোট বাচ্চারা যখন ক্লাসে দুষ্টমি করে তখন তাঁদের উপর রাগান্বিত হওয়ার পূর্বে শিক্ষকের ভাবতে হবে,আমিও তাঁদের মত ছিলাম একসময়।
১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:২৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহমুদুরভাই ,
অত্যন্ত সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন। ঠিকই তো ! একজন শিক্ষকের স্টুডেন্টের সঙ্গে সেভাবেই আচরণ করা উচিত যে তারও জীবনের একটা সময় এমনই দুষ্টুমির মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে ।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
৫৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে বুঝলাম আমার বেতনটি সবার চেয়ে কম ছিল - তার পরেও সবকিছু মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আপনার যে একটি সহজাত প্রবৃত্তি রয়েছে, তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আপনার মায়ের প্রতি আপনার যে ভক্তি, মনে রাখবেন অনন্তকালের জন্য তা একটি ফিক্সড ডিপোজিট। সারাজীবন সেটা আপনাকে ডিভিডেন্ড দিয়ে যাবে। আপনার সন্তানদেরকেও এ সুশিক্ষাটি দিয়ে যাবেন।
ব্লগার জুন কে এ লেখাটি উৎসর্গ করাতে প্রীত হ'লাম। পোস্টে প্লাস + +
মনিরা সুলতানা এর মন্তব্যটি (৫ নং) ভাল লেগেছে। আমার অনেক কথাই যেন তিনি বলে গেলেন।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,
বরাবরের মতো আজও আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম ও অনুপ্রাণিত বোধ করছি। পোস্ট থেকে বিশেষ অংশটি কোর্টেড করায় প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই স্যার আপনাকে।
বাবা-মা সম্পর্কে আপনার সুন্দর পর্যবেক্ষণে মুগ্ধ হলাম। আর সন্তান সম্পর্কে উপরওয়ালা যেন আপনার দোয়া কবুল করেন। আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
উৎসর্গে ভালোলাগাতে প্রীত হলাম। পোস্টটিতে আপনার ডাবল প্লাস ও পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। আবারো কৃতজ্ঞতা জানাই। মনিরা আপু অত্যন্ত বিচক্ষণ একজন ব্লগার। বিভিন্ন পোস্টে মন্তব্যে ওনার বিচক্ষণতার পরিচয় দেন। আপনার সুন্দর পর্যবেক্ষণে বিষয়টি ধরা পড়ে পুলকিত হলাম ।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
৫৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: নজসু বলেছেন: সমন্বয় নামটা খুব সুন্দর - আমিও তাই বলি, সুন্দর নাম।
সাদা মনের মানুষ (২১), সূর্যালোক (২৬), কথার ফুলঝুরি! (২৮), বিদ্রোহী ভৃগু (২৯), শিখা রহমান (৩৩), করুণাধারা (৩৫), আহমেদ জী এস (৩৬ ও ৩৮), মুক্তা নীল (৫১) প্রমুখেও মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে। লাইক +।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দ্বিতীয়বার মন্তব্যে আসাতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
সহমত আপনার সঙ্গে যে উল্লিখিত ব্লগারগণ অত্যন্ত সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ব্লগে আপনার মন্তব্য করার ধরনটি নিঃসন্দেহে অভিনব এবং আমাদের সকলের কাছে শিক্ষণীয়। আত্মীয়-স্বজন পরিবারবর্গের মাঝে সবসময় ভালো থাকুন।
শুভেচ্ছা নিয়েন ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৪৩
রাকু হাসান বলেছেন:
প্রথমে তোমাকে অভিনন্দন আজ পোস্ট করায় । কি যেন মিস করছিলাম । কারও লেখাও তেমন পড়ছিলাম না ,তবু ব্লগে এসে বসে ছিলাম ।
জুন কে অভিনন্দন জানাচ্ছি ।
বুঝাই যাচ্ছে । জুন আপুর কথা লেখক কত সিরিয়াসলি নিছে ।
এই পর্ব বাচ্চা কাচ্চাময় ।
তবে বেশ ভালোভাবে সামলিয়েছো । তবে গত পর্বের প্রশ্নটা রয়েই গেল । শিক্ষকের প্রতি মুগ্ধ হয়ে গেলাম । েএতটা সুযোগ কোনো শিক্ষক দিবে না ,যদি না সে একদম ভালো মানুষ না হয় । সে ক্ষেত্রে গল্পের নায়ক কে নিয়ে গর্ব করতেই পারি ।
এতগুলো পর্ব সাফল্যে সাথে ,টুইস্ট রেখে লেখাও কঠিন কাজ । দোয়া রাখছি ।